দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫
দেওবন্দীরা ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান_ ব্রিটিশ শাসন আমালে উলামায়ে দেওবন্দ স্বাভাবিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত করতো ও ওয়াজ মাহফিল করে বেড়াতো: (পর্ব ২য়)
(পর্ব ২য়)
দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান
——————————————
ব্রিটিশ শাসন আমালে উলামায়ে দেওবন্দ স্বাভাবিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত করতো ও ওয়াজ মাহফিল করে বেড়াতো:
——————————————————————————————————————
দেওবন্দিদের দাবী উলামায়ে দেওবন্দ ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতো। যদি তারা সত্যিই জিহাদ করতো তাহলে এত বড় একটা মাদ্রাসা ব্রিটিশ শাসকদের সামনে কিভাবে তারা স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতো। কমন সেন্স দিয়ে চিন্তা করুন।
“আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. এর জীবন ও কর্ম ” নামে জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হক্কানী সাহেব। কিন্তু ওনার জীবনীর কোথাও ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ বিষয়ক কোন শব্দ উল্লেখ নেই। বরং এমন দু’টি বিষয় বর্ণিত হয়েছে যেটি ব্রিটিশদের সাথে তাদের সুসম্পর্কের প্রমাণ বহন করে..
১. কাদিয়ানীদের ফিতনার বিরুদ্ধে তিনি কাদিয়ানে মাহফিল করতে যান। কিন্তু কাদিয়ানরা সর্বাত্মকভাবে ব্রিটিশ সরকারের মাধ্যমে চেষ্টা করেছে যে, এ জলসা কাদিয়ানে যেন না হতে পারে। লেখক বলেছেন (একটু খেয়াল করে পড়ুন) —
“কিন্তু উক্ত জলসাকে বাধা দেয়ার আইনগত কোনো কারণ ছিলোনা। কেননা, সে জলসাগুলোতে অত্যন্ত মার্জিত ও দৃঢ়তার সাথে আলেমসুলভ বয়ান হতো এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ দেয়াহতো না।”
উপরের কথা থেকে এটা স্পষ্ট তারা বিভিন্ন স্থানে জলসা করে বেড়াতো ও ইংরেজরা কোন বাধা দিতো না, কারণ তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতো না। তাই নিরাপত্তা পেতো, কোন বিশৃঙ্খলা হতো না।
২. ভাওলপুরে কাদিয়ানী ফেতনা জনিত কারনে এক মহিলাকে সাহায্য করার জন্য এক মুকাদ্দমার সাথে শাহ সাহেব জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে দেওবন্দী আরো বহু উলামাদের সাথে তাদের ইংরেজদের আদালতে দীর্ঘদিন যাতায়াত করতে হয়েছে। আনোয়ার শাহ কাশ্মিরীর সাথে পাকিস্থানের মূফতি শফি সাহেবও ছিলেন। তাদের কথায় –
‘‘আদলতে এত দেওবন্দী আলেম উপস্থিত ছিলেন যে সেটাকে আদালত কক্ষের পরিবর্তে দেওবন্দের দারুল হাদিস মনে হচ্ছিল………।’’
আর এ মুকদ্দমা রায় দিতে পুরো দু’বছর লেগেছিল।
[এ বিষয়ে বৃহৎ বর্ণনা রয়েছে বইটির ১৮৪ থেকে ১৯১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত]
উপরের ঘটনা থেকে বুঝা যায়, তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে কোন জিহাদ করতো না। যদি জিহাদই করতো তাহলে ইংরেজদের আদালতে তাদের এত সাবলীল আনাগোনা কখনও সম্ভব হতো না।
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫
(পর্ব ১ম ) দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান —————————————— ব্রিটিশ শাসকদের সম্পর্কে উপমহাদেশের তৎকালীন হানাফী উলামাদের ফাতাওয়া – ব্রিটিশ সরকারের সাথে জিহাদ করা হারামঃ
(পর্ব ১ম )
দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান
——————————————
ব্রিটিশ শাসকদের সম্পর্কে উপমহাদেশের তৎকালীন হানাফী উলামাদের ফাতাওয়া – ব্রিটিশ সরকারের সাথে জিহাদ করা হারামঃ
—————————————————-
ফাতাওয়া প্রদানের তারিখ: ১৭ই রবিউসসানী, ১২৮৭ হি. (১৭ই জুলাই ১৮৭০)
এখানকার মুসলমানরা খ্রীস্টানদের দ্বারা সংরক্ষিত (নিরাপদ), আর যেখানে নিরাপত্তা প্রদান করা হয় সেদেশে কোন জিহাদ নেই। যখন মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার অভাব হবে সেখানে ধর্মীয় যুদ্ধ অপরিহার্য হবে, আর এই শর্ত এখানে অনুপস্থিত। এছাড়া, এটা আবশ্যক যে সেখানে মুসলমানদের বিজয় লাভ ও ইসলামের গৌরব বজায় রাখার সম্ভাবনা থাকতে হবে। যদি সে রকম কোন সম্ভাবনা না থাকে তবে জিহাদ করা হারাম।
তারপর মৌলভীগণ তাদের ফাতাওয়ার সমর্থনে ‘মানহাজুল গাফফার’ এবং ‘ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী’ থেকে আরবী উদ্ধৃতি উল্লেখ করেন।
ফাতাওয়া প্রদানকারীদের স্বাক্ষরঃ
মৌলভী আলী মুহাম্মাদ (লাখনৌ)
মৌলভী আবদুল হাই (লাখনৌ)
মুহাম্মাদ ফজলূল্লাহ (লাখনৌ)
মুহাম্মাদ নাইম (লাখনৌ)
মৌলভী রহমতুল্লাহ (লাখনৌ)
মৌলভী কুতুবুদ্দীন (দিল্লী)
মৌলভী ও মুফতী সাদুল্লাহ (লাখনৌ)
মৌলভী লুৎফুল্লাহ (রামপুর)
মৌলভী আলম আলী (রামপুর)
সূত্র: ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার, ইন্ডিয়ান মুসলমানস্, পৃ: ২১৪-২১৫ Screenshot
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)