শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

.নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট ৪

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট (চার) ৪

¤ মাযহাবী আলেমরা দলীল দেন " কাসীর ইবনু ক্বঈস (রহ.) সুত্রে বর্ণিত, “..রসূলুল্লাহ (দ.) বলেছেন, ...নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” -আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২০, কিতাবুল ইল্ম, অনুচ্ছেদঃ ১, জ্ঞানের ফাযীলাত, হাদিস # ৩৬৪১।

¤ এই হাদিস অনুযায়ী আলেমগণ নিজ থেকে শারীয়াহ’র বিধান দিতে পারেন। যেহেতু আলেমগণ নাবী (আ.) গণের ওয়ারিস। অতএব, এ হাদিসটি থেকেই বুঝা যায় যে, আলিমদের তাক্বলীদ করা বৈধ।"!!?

  • জবাব : ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণই ভুল।


কারণ নাবী রসূল গণ শারীয়াহর কোনো কথাই নিজ থেকে বলতে পারতেন না।

বরং তাঁদের কাছে যে ওয়াহি করা হতো শুধু তাই অনুসরণ করতেন।

¤ এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “কোনো রসূলেরই এই অধিকার ছিলো না যে, তাঁরা আল্লাহ’র অনুমতি ছাড়া (শারীয়াহ’র) কোনো বিধান নিয়ে আসবে।” - সূরা আর- রা’দ (১৩), ৩৮।

নাবী রসূলগণ যেহেতু নিজ থেকে শারীয়াহ র কোনো কথা বলতে পারতেন না,

সেখানে একজন আলেম কিভাবে নিজ থেকে শারীয়াহর কথা বলবেন ?

¤ হাদিসটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন, রসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন,

নাবীগণ (আ.) ওয়ারিস হিসেবে রেখে যান ইলম (জ্ঞান)।

আলিমগণ যদি নিজ থেকে শারীয়াহর কোনো কথা বলতে পারতেন তা হলে

  • তো নাবী গণের ইলম বা জ্ঞান রেখে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন ছিলো না॥


¤ বরং নাবীগণ (আ.) যে ইলম (জ্ঞান) রেখে গিয়েছেন তা বুঝাবার দায়িত্ব দিয়েগেছেন আলিমগণকে।

তাই হাদিসটিতে আলিমগণকে শারীয়াহ’র মাঝে নিজ ইচ্ছামত বিধান দেয়ার অধিকার দেয়া হয়নি।

বরং নাবী- রসূলগণ (আ.) ওয়াহী ছাড়া কিছুই বলতে পারতেন না। ঠিক নাবী- রসূলগণের ওয়ারিসগণ তারাই যারা নাবী-রসূলগণের (আ.) রেখে যাওয়া ওয়াহীর ইলম অনুযায়ী ফায়সালা দেন।

আর যারা নাবী রসূলগণের রেখে যাওয়া ইলম ব্যতীত ফায়সালা দেয় তারা নাবী রসূলগণের ওয়ারিস নয়।

  • অতএব, এই হাদিসটি কোনোভাবেই তাক্বলীদ প্রতিষ্ঠার দালিল হতে পারে না।


আল্লাহ আমাদের তাকলীদ হতে হেফাজত করুক। ((আমীন))।

{{ S H M HASAN }}

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন