মাযহাবী পোস্টমর্টেম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাযহাবী পোস্টমর্টেম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত

============== মাযহাবীরা অন্য করেকটি দলিল দেয় নং- ৭ ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ 5. আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧﻌَﻤﺖَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ 6. সে সমস্ত লোকের পথ, ﻏَﻴﺮِ ﺍﻟﻤَﻐﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ 7. যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট। এখানে আল্লাহ তায়ালা তাক্বলীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
¤¤¤¤¤ জবাব ¤¤¤¤

এই যে ১. আপনার (হানাফি) সব খানে তাক্বলিদ খুজেন কেন ???

২. তাক্বলিদ কাকে বলে এটা আগে বলেন ??

5 নং আয়াতে সরল পথের কথা বলেছে এটা এদের মধ্যে কোন কোনটা 1.হানাফি সরল পথ 2.শাফি সরল পথ 3.মালেকি সরল পথ 4.হাম্বলি সরল পথ

না উপরের একটাও না নিচের এইটা
5.সিরাতে মুস্তাকিম (সুরা আনআম ১৫৩ নং আয়াতের বর্ণিত সরল পথ এবং মিশকাত মাদ্রাসা পাঠ্য ১ম খন্ড হাঃ ১৫৮/২৭ পৃঃ ২৯১ ,আহামদ, নাসাঈ, দারমী )

6 নং আয়াত সে সমস্ত লোকের পথ,
#এই আয়াত তাক্বলিদ এর সংঙ্গাকে বা তাক্বলিদকে খন্ড করে, (দেখতে এই লংকে তাক্বলিদের সংঙ্গা আছে:

Click This Link


কারণ, তাক্বলিদ হবে শুধু #এক জন মুস্তাহিদ ইমাম এর , এই মুস্তাহিদ এর কোন মত স্পষ্ট কুরআন ও হাদিসের বিপক্ষে গেলেও , মুকালীদ্ব অন্য আরেক জন ইমাম এর মত যেটা কুরআন ও হাদিস মতে সঠিক সে গ্রহন করতে পারবে না, """"তাক্বলিদের সংঙ্গা বিরুদ্ধীতা করবে""""॥

7 নং আয়াতের অপর অংশ: #যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।

এর ব্যাখ্যা দেখতে পারেন তাফসিরে ইবনে কাসীর এর সূরা ফাতিহা এর ৬ ও ৭ নং আয়াত"

আসুন দেখি, আল্লাহ তায়ালা কাদেরকে নিয়ামত দান করেছেনঃ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻭَﺣَﺴُﻦَ ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﺭَﻓِﻴﻘًﺎ 69 আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। (নিসা -৬৯)

এ ব্যাপারে সাহাবী বলেন দেখুন- আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ঐ সব ফেরেশতা, নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং সৎলোকের পথে পরিচালিত করুন যাদেরকে আপনি আপনার আনুগত্য ও ইবাদাতের কারণে পুরস্কৃত করেছেন।"

রাবী বিন আনাস রাঃ বলেন, "এর অর্থ হচ্ছে নবীগণ। "

মুজাহিদ রহঃ অর্থ নিয়েছেন, মুমিনগণ।

অকী রহঃ অর্থ নিয়েছেন, মুসলিমগন।

আবদুর রহমান রহঃ অর্থ নিয়েছেন, 'রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবীগণ (রাঃ) '

ইবনে কাছীর রহঃ সবগুলো ব্যাখ্যাকেই সমর্থন করেছেন। (তাফসীর ইবনে কাছীর ১/১১১-১১২ পৃঃ)

আল্লাহ তায়ালা এখানে আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমরা যেন দুআ করি যাতে তাঁর নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের অনুসৃত পথের অনুসরন করতে পারি।

আর সেই পথটি হচ্ছে 'সীরাতুল মুস্তাকীম '। { কুরআন ও হাদিসে সিরাতুল মুস্তাকিমের বর্ণনা

Click This Link


যা আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

ﻭَﻧَﺰَﻋْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِﻫِﻢ ﻣِّﻦْ ﻏِﻞٍّ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬِﻢُ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﻟِﻬَـﺬَﺍ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻟِﻨَﻬْﺘَﺪِﻱَ ﻟَﻮْﻻ ﺃَﻥْ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻟَﻘَﺪْ ﺟَﺎﺀﺕْ ﺭُﺳُﻞُ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻧُﻮﺩُﻭﺍْ ﺃَﻥ ﺗِﻠْﻜُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ﺃُﻭﺭِﺛْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺑِﻤَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ 43 তাদের অন্তরে যা কিছু দুঃখ ছিল, আমি তা বের করে দেব। তাদের তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণী প্রবাহিত হবে। তারা বলবেঃ আল্লাহ শোকর, যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। আমরা কখনও পথ পেতাম না, যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করতেন। আমাদের প্রতিপালকের রসূল আমাদের কাছে সত্য কথা নিয়ে এসেছিলেন। আওয়াজ আসবেঃ এটি জান্নাত। তোমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তোমাদের কর্মের প্রতিদানে। (আরাফ-৪৩)

ﺷَﺎﻛِﺮًﺍ ﻟِّﺄَﻧْﻌُﻤِﻪِ ﺍﺟْﺘَﺒَﺎﻩُ ﻭَﻫَﺪَﺍﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ 121 তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন। (নাহল-১২১)

ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﺃَﻭْﺣَﻴْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺭُﻭﺣًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻣَﺎ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏُ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥُ ﻭَﻟَﻜِﻦ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻧَّﻬْﺪِﻱ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻧَّﺸَﺎﺀ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻧَﺎ ﻭَﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺘَﻬْﺪِﻱ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ 52 এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন। (সুরা শুরা-৫২)

আলী রাঃ বলেন,"সহজ সরল পথটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।"(তাফসীরে ত্বাবারী হা/৪০, ইবনে কাছীর ১/১০৮ পৃঃ)

----------------------------------------

উপরের সমস্ত আলোচনার নির্যাস নিম্নের হাদীছ খানাঃ
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ হতে বর্নিত, রাসুল সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণণা করেছেন, একটি সরল সঠিক পথ তার দুপাশে দুটি প্রাচীর, যাতে রয়েছে বহু খোলা দরজা এবং দরজাসমুহে পর্দা ঝুলানো রয়েছে। আর পথের মাথায় একজন আহবায়ক রয়েছে, যে লোকদের আহবান করছে,
আসো সোজা পথে চলে যাও।
বক্র পথে চলিও না। আর তার আগে একজন আহবায়ক লোকদের ডাকছে।যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন একটি খুলতে চায় তখনি সে বলে সর্বনাশ! দরজা খোল না।
দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
অতঃপর রাসুল সাঃ কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল সঠিক পথটি হচ্ছে ইসলাম, আর খোলা দরজাসমুহ হচ্ছে হারামকৃত বিষয়সমুহ এবং ঝুলানো পর্দাসমুহ হচ্ছে কুরআন, আর আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোয়া) বা আল্লাহর ভয় যা প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমি যি হা/২৮৫৯,ত্বাবারী হা/১৮৬-১৮৭, মুসনাদে আবি হাতিম, তাফসীরে ইবনে জারীর, নাসাঈ)

-------------------------------------------

এক্ষনে আমরা দেখতে পাচ্ছি- ১.এই আয়াতদ্বয় দ্বারা যদি তাক্বলীদের উদ্দেশ্য ধরি তাহলে তো আমাদেরকে সকল মুমিনের তাক্বলীদ করতে হবে।

কোন মাযহাবী মুকাল্লিদ কি সকল মুমিনের তাক্বলীদ করে?

নাকি শুধুমাত্র একজন মুজতাহিদের তাক্বলীদ করে?

আসলে মুকাল্লিদরা তো একজন মুজতাহিদের তাক্বলীদের দাবী করে থাকে!

দলিল দিতে পারে না!!!

২. এই আয়াতদ্বয়ের দাবী হচ্ছে মুমিনদের অনুসৃত রাস্তা বা আল্লাহর নির্দেশিত রাস্তার (সীরাতুল মুস্তাকীম) অনুসরন করা।

কোথায় ঐসব ব্যক্তির অনুসরণ আর কোথায় রাস্তার (আদর্শের অনুসরণ) !!!!

রাস্তার উপর চলতে চলতে মুমিনগণ ভূল করতেই পারেন, কেননা প্রত্যেক মানুষই ভূল ত্রুটির উদ্ধে নয়।

কিন্তু যে রাস্তার উপর চলছে সে রাস্তা ভূল নয়।

তাই এখানে সীরাতুল মুস্তাকীমের উপর চলার নির্দেশ হয়েছে,

কোন মৃত ইমামের অন্ধ তাক্বলিদ করা নয়।

সূরা ফাতিহার ৬নং আয়াত সরল পথের ব্যাখ্যা

¤ ¤% সূরা ফাতিহার ৬নং আয়াত সরল পথের ব্যাখ্যা %¤¤

==============

সরল পথের ব্যাখ্যা (কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে)

ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ - আমাদেরকে সরল- সঠিক পথ প্রদর্শন কর:- ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ (ইহদিনা) শব্দটি হিদায়াতুন শব্দ হতে নির্গত, অর্থ পথের সন্ধান, পথ প্রদর্শন, পরিচালনা।

ﺻﺮﺍﻁ (ছিরাতুন) শব্দটি একবচন,

ﺻﺮﻁ( বহুবচন (সুরুতুন) অর্থ – পথ।

সরলপথ সম্পর্কীত পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ – আল্লাহ সুবহানুতালা বলেন, সূরা বালাদ – আয়াত নং – ১০।

তিনি আরও বলেন, সূরা নাহল – আয়াত নং – ১২১),

আল্লাহ বলেন, শুরা – আয়াত নং – ৫২।

আল্লাহ বলেন, সূরা আরাফ – আয়াত নং – ৪৩)।মুসা (আ:) বলেন, ….. (সূরা শুয়ারা – আয়াত নং – ৬২)।

"সরলপথ" - পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ –
(১) সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (Yaseen: 4)

(২) আর তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করব। (An-Nisaa: 68)

(৩) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখে ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি সৎ পথে চলে, না সে ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরলপথে চলে? (Al-Mulk: 22)

৪) আমি তো সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবর্তীর্ণ করেছি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালনা করেন। (An-Noor: 46)

(৫) সে বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো। (Al-A'raaf: 16)

(৬) অতএব, আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সরল পথে রয়েছেন। (Az- Zukhruf: 43)

(৭) তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন। (An- Nahl: 121)

(৮) সরল পথ আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে এবং পথগুলোর মধ্যে কিছু বক্র পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে সৎপথে পরিচালিত করতে পারতেন। (An- Nahl: 9)

(৯) যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-Fath: 2)

(১০) যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-An'aam: 39)

(১১) বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে। (Taa- Haa: 135)

(১২) এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান। (Al- Baqara: 142)

(১৩) তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএব, এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা সংযত হও। (Al-An'aam: 153)

(১৪) অতএব, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাতে দৃঢ়তা অবলম্বন করেছে তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহের আওতায় স্থান দেবেন এবং নিজের দিকে আসার মত সরল পথে তুলে দেবেন। (An- Nisaa: 175)

(১৫) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, যারা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে। (An- Nisaa: 51)

(১৬) তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে। (Al-Ahqaf: 30)

(১৭) আমি আল্লাহর উপর নিশ্চিত ভরসা করেছি যিনি আমার এবং তোমাদের পরওয়ারদেগার। পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নাই যা তাঁর র্পূণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালকর্তার সরল পথে সন্দেহ নেই। (Hud: 56)

(১৮) এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন। (Al-Maaida: 16)

(১৯) আর যেদিন তাদেরকে সমবেত করা হবে, যেন তারা অবস্থান করেনি, তবে দিনের একদন্ড একজন অপরজনকে চিনবে। নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতকে এবং সরলপথে আসেনি। (Yunus: 45)

(২০) আর তোমরা কেমন করে কাফের হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল পথের। (Aali Imraan: 101)

(২১) আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন। (Al- Hajj: 67)

(২২) যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। (An- Nisaa: 115)

(২৩) আল্লাহ আরেকটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, দু’ব্যক্তির, একজন বোবা কোন কাজ করতে পারে না। সে মালিকের উপর বোঝা। যেদিকে তাকে পাঠায়, কোন সঠিক কাজ করে আসে না। সে কি সমান হবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায় বিচারের আদেশ করে এবং সরল পথে কায়েম রয়েছে। (An-Nahl: 76)

(২৪) যখন তাদেরকে মেঘমালা সদৃশ তরংগ আচ্ছাদিত করে নেয়, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে স্থলভাগের দিকে উদ্ধার করে আনেন, তখন তাদের কেউ কেউ সরল পথে চলে। কেবল মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে। (Luqman: 32)

(২৫) আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন- যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-Fath: 20)

(২৬) আর যদি তাদের বিমুখতা আপনার পক্ষে কষ্টকর হয়, তবে আপনি যদি ভূতলে কোন সুড়ঙ্গ অথবা আকাশে কোন সিড়ি অনুসন্ধান করতে সমর্থ হন, অতঃপর তাদের কাছে কোন একটি মোজেযা আনতে পারেন, তবে নিয়ে আসুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সবাইকে সরল পথে সমবেত করতে পারতেন। অতএব, আপনি নির্বোধদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। (Al-An'aam: 35)

(২৭) আর মূসা বেছে নিলেন নিজের সম্প্রদায় থেকে সত্তর জন লোক আমার প্রতিশ্রুত সময়ের জন্য। তারপর যখন তাদেরকে ভূমিকম্প পাকড়াও করল, তখন বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি যদি ইচ্ছা করতে, তবে তাদেরকে আগেই ধ্বংস করে দিতে এবং আমাকেও। আমাদেরকে কি সে কর্মের কারণে ধ্বংস করছ, যা আমার সম্প্রদায়ের নির্বোধ লোকেরা করেছে? এসবই তোমার পরীক্ষা; তুমি যাকে ইচ্ছা এতে পথ ভ্রষ্ট করবে এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথে রাখবে। তুমি যে আমাদের রক্ষক- সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর করুনা কর। তাছাড়া তুমিই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। (Al- A'raaf: 155)

(২৮) মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, ত আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।

# # সরলপথসম্পর্কীত সহীহ হাদীসসমূহঃ -

১। সহীহ হাদীসঃ হযরত আলী (রা:) সূত্রে বর্নীত তিনি বলেন, সহজ- সরল পথটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (ইবনু কাছীর ১/১৩০ পৃষ্ঠা, টীকা নং – তাফসীরে ত্বাবারী হা / ৪০)।

২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:)বলেন, - আল্লাহ একটা দৃষ্টান্ত বর্ননা করেছেন, একটি সরল-সঠিক পথ তার দু’পাশে দুটি প্রাচীর যাতে বহু খোলা দরজা রয়েছে এবং লোকদেরকে আহবান করছে, আস! পথে সোজা চলে যাও। বক্র পথে চলিও না। আর তার একটু আগে আর একজন আহবায়ক লোকদেরকে ডাকছে। যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন একটি খুলতে চায় তখনই সে তাকে বলে, সর্বনাশ দরজা খুল না। দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা:)কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল-সঠিক পথ হচ্ছে ইসলাম আর খোলা দরজা সমূহ হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত বিষয়সমূহ এবং ঝুলানো পর্দা সমূহ হচ্ছে কুরআন। আর তার সম্মুখের আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোঁয়া) যা প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমিযী হা/২৮৫৯, ত্ববারী হা/১৮৬-১৮৭) ।
অত্র হাদীসে পথ শব্দের সাথে সঠিক শব্দটি লাগানোর উদ্দেশ্যে এমন পথ যাতে কোন ভুল নেই এবং যার শেষ গন্তব্য জান্নাত।

##সরলপথ সম্পর্কীত যঈফ হাদীস সমূহঃ

– ১। হযরত আলী(রা:) বলেন, সঠিক পথ হচ্ছে আল্লাহর মজবুত রশি তা হচ্ছে জ্ঞান সম্পন্ন যিকির তা হচ্ছে সরল-পথ (তিরমিযী – হা/২৯০৬)।

২। হারীস (রা:)বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করে দেখি কিছু মানুষ বিভিন্ন কথায় মত্ত। আমি আলী (রা:)এর কাছে গিয়ে বললাম, আপনি দেখছেন না মানুষ মসজিদের মধ্যে কত কথায় লিপ্ত রয়েছে? তিনি বললেন, মনে রেখ আমি নবী করিম (সা:) কে বলতে শুনেছি অচিরেই অনেক ফেতনা দেখা দিবে। আমি বললাম, এসব ফেতনা বাঁচার পথ কি? রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর কিতাবটি এমন কিতাব যাতে রয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের সংবাদ। তাতে তোমাদের সবধরনের ফায়সালা রয়েছে তা হচ্ছে হক্ব ও বাতিলের মাঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের এক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। তা কোন মজা করার বস্ত নয়। তা এমন এক গ্রন্থ যদি মানুষ তাকে অহংকার করে ত্যাগ করে, তাহলে আল্রাহ তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ধ্বংস করে দিবেন। কেউ যদি কুরআন ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থে সঠিক, সহজ- সরল পথ অন্বেষন করে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। তা হচ্ছে আল্লাহর মজবুত রশি। তা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জিকির আর তা হচ্ছে সহজ-সরল পথ। কোন প্রবৃত্তি তা দ্বারা ভ্রষ্ট হবে না। কোন জিহবা তাতে বাতিল মিশাতে পারবে না। আলিমগণ পড়ে শেষ তৃপ্তি অর্জন করতে পারে না। বার বার পড়লেও তা পুরাতন হয় না। তার অলৌকিক দর্শন শেষ হয় না। জিনেরা শুনে বলেছিল আমরা আশ্চর্য কুরআন শুনলাম। তা এমন গ্রন্থ যে, কেউ তার মাধ্যমে কথা বললে সত্য হবে। তা দ্বারা ফায়সালা করলে ইনসাফ হবে, তা দ্বারা আমল করলে নেকী দেয়া হবে ও সে পথে দাওয়াত দিলে তাকে সঠিক সহজ-সরল পথ দেখানো হবে। (দারেমী হা/নং-৩৩৩১) ।

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

হানাফি এর বিশ্লেষণ

""হানাফি এর বিশ্লেষণ ""

হানাফি একটা লেডিস মাযহাব॥

এই প্রচলিত হানাফি , এই বিয়াদবেরা

""ইমাম নুমান ইবনে সাবেত রঃ"" এর নাম না নিয়ে হানাফি নাম নিল কারন

  • হা=হাদিস,


  • না=না জানা,


  • ফি=ফির্কা।


বুঝলেন তো ""হাদিস না জানা ফির্কা""=হানাফি

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

মাযহাবীদের লিডার বর্তমান মুফতি লুত্‍ফর এর তাক্বলিদের সংঙ্গার কপি প্রচার কারকদের #তাক্বলিদের সংঙ্গার জবাব ((মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ এর ২য় অংশ (৫.২))

মাযহাবীদের লিডার বর্তমান মুফতি লুত্‍ফর এর তাক্বলিদের সংঙ্গার কপি প্রচার কারকদের #তাক্বলিদের সংঙ্গার জবাব ((মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ এর ২য় অংশ (৫.২))

—————————————————————————————————

মূল : লুত্‍ফর ফরাজী . কপি প্রচারক :-//Shahariar Rahman Sajib

তাকলীদ হল, মাসায়েলে ইজতিহাদিয়্যাতে,গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তির এমন মুজতাহিদেরমুফতা বিহা মাসায়েলকে দলীলচাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া, যে ব্যক্তির মুজতাহিদহওয়া শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমানিত, এবং তার মাযহাবউসুলান ও ফুরূআন সংকলিত হয়ে মুকাল্লিদের কাছে আমলহিসেবে মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছেছে। ভাই দয়া করে এ সংজ্ঞাটির সবগুলো পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তাক্বলীদ হারাম দলিলসহ আলোচনা করুন

// .

—————————————————————————————————

আপনার দেওয়া সংঙ্গার জবাব নিচে দেওয়া হল:-

//Shahariar Rahman Sajib@ তাকলীদ হল, মাসায়েলে ইজতিহাদিয়্যাতে,গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তির এমন মুজতাহিদেরমুফতা বিহা মাসায়েলকে দলীল চাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া,//

জবাব:- সূরা তাওবার আয়াত ০৯/৩১ এবং হাদিস আদি ইবনে হাতেম এর সেই বিখ্যাত হাদিস দেখুন লিংক

[

Click This Link

] //যে ব্যক্তির মুজতাহিদহওয়া শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমানিত, এবং তার মাযহাবউসুলান ও ফুরূআন সংকলিত হয়ে মুকাল্লিদের কাছে আমলহিসেবে মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছেছে।//

জবাব : এই মতটা কোন মুতাওয়াতির সূত্রে পেয়েছে যা কুরআনে এবং হাদিসে নেই

  • নির্দিষ্ট করেছে ১৩০ ফরজ


  • চার মাযহাব চার ফরজ


  • চার কুরসি চার ফরজ


নির্দিষ্ট এক মুস্তাহিদ ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর তাক্বলিদ করতে হবে যার কোন একটা প্রমাণ নেই

এক ব্যক্তির তাক্বলিদ করার

এই গুলোর পক্ষে একটা দলিল দিন কুরআন ও হাদিস থেকে যা আপনার কাছে এসেছে ???

{{এখানে এই পোষ্টে ০১ নং এবং ০৩ নং দুইটি ইসতিহাদি মাসায়েল আছে পারলে এই এক মুস্তাহিদ ইমামের তাক্বলিদ করা যাবে প্রমাণ করেন

এই দুটি মতে অন্য কোন ইমামের মত দিবে না

[

Click This Link

] //ভাই দয়া করে এ সংজ্ঞাটির সবগুলো পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তাক্বলীদ হারাম দলিলসহ আলোচনা করুন//

জবাব : দলিল ছাড়া কার কথা গ্রহণ করা যাবে প্রমাণ দেখেতে পারবেন ???

//দলীল চাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া,//

জবাব:-- দলিল ছাড়া আলেম বা পন্ডিত দের কথা গ্রহন করা এটা ইহুদি নাসারা এদের স্বাভাব দেখুন তাওবা ৩১ হাদিস আদি ইবনে এর সেই বিখ্যাত হাদিস ( ১ম লিংকে দেওয়া আছে

Click This Link

)
  • আপনার দেওয়া সংঙ্গা মতে"" আপনি বলেন দলিল ছাড়া কোন মত গ্রহন কাদের নীতি ???


  • আপনি বলেন, আপনার সংঙ্গার কথা মানব না আল্লাহ এবং তার নবীর কথা মানব ????


এক জন মুস্তাহিদ সব বিষয়ে সমাধান দিয়ে গিয়েছে কি ??

  • মুস্তাহিদের সব বিষয়ে সমাধান কি সবগুলো সঠিক ??


ধরুন বা হয়েছে , মুস্তাহিদ ভুল করেছে ,এখন মুস্তাহিদের এই ভুলটা মুকালিদরা মানবে না বাদ দিবে ??

আবার, বাদ দিয়ে অন্য আরেক জন এর মত গ্রহন করে তখন

#তাক্বলিদ খতম হয়ে যাবে কারণ ঐ মুকালিদ এখন আর মুকালিদ থাকবে না সে দলিল যাচাই কারী হবে,

#আর দলিল চাওয়া বা যাচাই মুকালিদের কাজ না ॥

ইসলামে মুস্তাহিদের ভুল এর উপর মুকালিদের আমল করার পক্ষে কি কোন দলিল আছে ???

  • মানুষ কি ভুল করে ???


{{~Wait & See~}}

—————————————————————————————————

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর,আনুগত্য কর রাসুলের ও উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯) মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট (ছয়) ৬

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট (ছয়) ৬

মাযহাবীর দলিল দেয় নং- ৬ "হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর,আনুগত্য কর রাসুলের ও উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯)

যেহেতু আল্লাহ তায়ালা এখানে আলেমদের আনুগত্যের কথা বলেছেন তাই তাদের তাক্বলীদ করা ওয়াজিব।

জবাবঃ

প্রথমত এখানে আগে বলা হয়েছে আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করতে।

  • অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করার লক্ষ্যেই উলিল আমরের আনুগত্য করতে হবে।


[[ জানতে এই পোষ্টটা পড়ুন

Click This Link

]] দ্বিতীয়ত উলিল আমর বলতে শাসক ও আলেম উভয় শ্রেণীকেই বুঝায়।

তারা যদি সত্যের বিরোধিতা করেন তাহলে তাদের কথা মানাযাবে না।

[[জানতে এই পোষ্টটা পড়ুন

Click This Link

]] কেননা রাসুল সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতায় সৃষ্টি জীবের কথা মানা যাবে না।" (মুত্তাফাক্ব আলাইহি,মিশকাত হা/৩৬৬৫)

  • তাই তাদের কথা দলিল প্রমাণের মাধ্যমে যাচাই করে মানতে হবে।


তৃতীয়ত এই আয়াতের পরের অংশেই বলা হয়েছে -"

যদি তোমাদের মাঝে মতবিরোধ হয় তবে তা ফিরিয়ে দাও আল্লাহ ওপরাসুলের দিকে।

  • "অতএব মুজতাহিদগণের যেখানে মতপার্থক্য রয়েছে সেখানে কুরআন ও হাদীছের আলোকে যাচাই করে যে মত অগ্রগণ্য হবে সেটাই গ্রহণ করতে হবে।


তাই কিভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির তাক্বলীদ করা যেতে পারে?

এই আয়াতে এই শব্দ কি একক বচন না বহু বচন উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯)?

  • তাক্বলিদ কয় ব্যক্তির করতে হয়?


[[জানতে এই পোষ্টেটি পড়ুন:- প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।

প্রশ্ন কর্তা:এক জন হানাফি মাযহাবী

Click This Link

]] এই আয়াতে তো মৃত ব্যক্তির তাকলিদ প্রমাণিত হয় কি ভাবে?

.নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট ৪

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট (চার) ৪

¤ মাযহাবী আলেমরা দলীল দেন " কাসীর ইবনু ক্বঈস (রহ.) সুত্রে বর্ণিত, “..রসূলুল্লাহ (দ.) বলেছেন, ...নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” -আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২০, কিতাবুল ইল্ম, অনুচ্ছেদঃ ১, জ্ঞানের ফাযীলাত, হাদিস # ৩৬৪১।

¤ এই হাদিস অনুযায়ী আলেমগণ নিজ থেকে শারীয়াহ’র বিধান দিতে পারেন। যেহেতু আলেমগণ নাবী (আ.) গণের ওয়ারিস। অতএব, এ হাদিসটি থেকেই বুঝা যায় যে, আলিমদের তাক্বলীদ করা বৈধ।"!!?

  • জবাব : ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণই ভুল।


কারণ নাবী রসূল গণ শারীয়াহর কোনো কথাই নিজ থেকে বলতে পারতেন না।

বরং তাঁদের কাছে যে ওয়াহি করা হতো শুধু তাই অনুসরণ করতেন।

¤ এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “কোনো রসূলেরই এই অধিকার ছিলো না যে, তাঁরা আল্লাহ’র অনুমতি ছাড়া (শারীয়াহ’র) কোনো বিধান নিয়ে আসবে।” - সূরা আর- রা’দ (১৩), ৩৮।

নাবী রসূলগণ যেহেতু নিজ থেকে শারীয়াহ র কোনো কথা বলতে পারতেন না,

সেখানে একজন আলেম কিভাবে নিজ থেকে শারীয়াহর কথা বলবেন ?

¤ হাদিসটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন, রসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন,

নাবীগণ (আ.) ওয়ারিস হিসেবে রেখে যান ইলম (জ্ঞান)।

আলিমগণ যদি নিজ থেকে শারীয়াহর কোনো কথা বলতে পারতেন তা হলে

  • তো নাবী গণের ইলম বা জ্ঞান রেখে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন ছিলো না॥


¤ বরং নাবীগণ (আ.) যে ইলম (জ্ঞান) রেখে গিয়েছেন তা বুঝাবার দায়িত্ব দিয়েগেছেন আলিমগণকে।

তাই হাদিসটিতে আলিমগণকে শারীয়াহ’র মাঝে নিজ ইচ্ছামত বিধান দেয়ার অধিকার দেয়া হয়নি।

বরং নাবী- রসূলগণ (আ.) ওয়াহী ছাড়া কিছুই বলতে পারতেন না। ঠিক নাবী- রসূলগণের ওয়ারিসগণ তারাই যারা নাবী-রসূলগণের (আ.) রেখে যাওয়া ওয়াহীর ইলম অনুযায়ী ফায়সালা দেন।

আর যারা নাবী রসূলগণের রেখে যাওয়া ইলম ব্যতীত ফায়সালা দেয় তারা নাবী রসূলগণের ওয়ারিস নয়।

  • অতএব, এই হাদিসটি কোনোভাবেই তাক্বলীদ প্রতিষ্ঠার দালিল হতে পারে না।


আল্লাহ আমাদের তাকলীদ হতে হেফাজত করুক। ((আমীন))।

{{ S H M HASAN }}

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

কোনটা সরল পথ ??? মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট নয় ____ (৯)

কোনটা সরল পথ ??? মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট নয় ____ (৯) ============ মাযহাবী হানাফিরা বলে থাকে এই কথা/উক্তিটা """চার মাযহাব বলে সিরাতে মুস্তাকিম থেকে বের হয়েছে আবার মিলবে!!!!"" [চিত্র ৪নং

Click This Link

Click This Link

Click This Link

এবং ৫নং

Click This Link

] কিভাবে???? পরিস্কর ভাবে বলুন কেনই বা বের হয়েছে ?? আবার এরা বলে ""এই চার মাযহাব বলে একত্র হবে"" যা কোন ভাবে মিলিত হওয়া সম্ভব না [চিত্র ৩

Click This Link

এবং ৫নং

Click This Link

] সিরাতে মুস্তাকিম সোজা একটা পথ [চিত্র ২

Click This Link

] কিন্তু এটা থেকে যদি আরো চারটি সোজা পথ [চিত্র ৪

Click This Link

] বের হয় , কিভাবে তা আবার সোজা পথ হবে, না তা হবে বক্র পথ [চিত্র ৫

Click This Link

চারটি সরল পথ কখনো একটি সরল পথে গিয়ে একত্র হতে পারবে না। কারণ একটি সরল রেখা অপর কোন সরল রেখাকে ছেদ বা মিলিত হবে না। তার সমান্তরাল ভাবে চলবে এটা সরল পথ বা রেখার ধর্ম ॥ [চিত্র ১

Click This Link

এবং ৩

Click This Link

] তাই এই মাযহাবীদের প্লে -শ্রেণীতে পড়াতে হবে!!! চার মাযহাব চারটি সোজা পথ [চিত্র ১

Click This Link

] সিরাতে মুস্তাকিম একটি সোজা পথ [চিত্র ২

Click This Link

] এই চার মাযহাব চার পথ এবং সিরাতে মুস্তাকিম পাশাপাশি হল পাঁচটি সোজা পথ [চিত্র ৩

Click This Link

] মাযহাবীদের কথা মত, সিরাতে মুস্তাকিম থেকে বের হয়েছে এবং মিলিত হয়েছে [চিত্র ৫

Click This Link

] তাহলে এই চার মাযহাবের চারটি পথ কি সোজা থাকলো [চিত্র ৪

Click This Link

এবং ৫

Click This Link

] এই মাযহাবী পথগুলো হল বক্র পথ বা বক্র রেখা [চিত্র ৪

Click This Link

Click This Link

Click This Link

এবং ৫

Click This Link

] আর রাসূল সাঃ বলেছেন সিরাতে মুস্তাকিমের আশেপাশে বক্র পথের মাথায় এক একটা করে শয়তান দাড়িয়ে আছে আর ডাকছে তার দিকে॥ মাযহাব মানেই বক্র পথ আর মাযহাবের মাঝে যত সব বক্রতা রয়েছে ॥ এই মাযহাব আল্লাহ দেওয়া দ্বিন ইসলামকে টুকরো টুকরো করেছে॥

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

ঐ লোকদের রাস্তার অনুসরণ কর যারা আমার দিকে ঝঁকে আছে।

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট ৩
================ *মাযহাবী আলেমরা দলীল দেন " মহান আল্লাহ্ বলেন, “ঐ লোকদের রাস্তার অনুসরণ কর যারা আমার দিকে ঝঁকে আছে।” -সূরা লুকমান (৩১), ১৫।

এই আয়াত থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ্ ওয়ালাদের তাক্বলীদ (অন্ধ অনুসরণ) করতে হবে।

জবাব :

  • এই ব্যাখ্যাটি মারাত্মক বিভ্রান্তিকর। কারণ মাযহাবীরা আয়াতের প্রথম অংশটি উল্লেখ করেননি।


¤আয়াতটি লক্ষ্য করুন-

সূরা: Luqman (Luqman) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৩১ ==== 15. ﻭَﺇِﻥ ﺟَﺎﻫَﺪَﺍﻙَ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻥ ﺗُﺸْﺮِﻙَ ﺑِﻲ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻚَ ﺑِﻪِ ﻋِﻠْﻢٌ ﻓَﻠَﺎ ﺗُﻄِﻌْﻬُﻤَﺎۖ ﻭَﺻَﺎﺣِﺒْﻬُﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻣَﻌْﺮُﻭﻓًﺎۖ ﻭَﺍﺗَّﺒِﻊْ ﺳَﺒِﻴﻞَ ﻣَﻦْ ﺃَﻧَﺎﺏَ ﺇِﻟَﻲَّۚ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣَﺮْﺟِﻌُﻜُﻢْ ﻓَﺄُﻧَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ পিতা- মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহ অবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।

  • আয়াতটির প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য করুন,


বলা হয়েছে পিতা মাতা আল্লাহর সাথে শিরক করতে বললে তাদের কথা মান্য করা যাবে না।

¤বরং যারা আল্লাহ্’র পথে চলে তাদের কথা মানতে হবে।

¤অর্থাৎ যারা আল্লাহ্’র সাথে শিরক বা কুফরীমূলক কথা বলে না তাদের কথা মানতে হবে।

এখন কার কথা শিরক বা কুফরী তা বুঝবেন কি করে?????

*এটা বুঝতে হলে কুরআন বা হাদিসের দলিল সহ কারে যারা কথা বলে তারাই মূলতঃ আল্লাহ’র পথে রয়েছেন।

যদি বিনা দলিলে কারো কথা মানা হয় অর্থাৎ অন্ধ তাক্বলীদ করা হয় তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন তার বক্তব্য কি শিরক- কুফর হয়েছে না’কি সঠিক হয়েছে?

এটা বুঝতে হলে অবশ্যই তাদের কথা যাচাই করে নিতে হবে।

যাচাই বাছাই করলে সে মুক্বালিদ থাকে কি??

¤এই আয়াত দ্বারা কোন ভাবে একক ব্যক্তির (তাক্বলিদে শাখসী -এক জন মৃত ইমাম এর অনুসরণ) প্রমাণিত হয় না।

¤ তাহলেই যাচাই বাছাই করলে বুঝা যাবে কে আল্লাহ্’র পথে রয়েছে। তা’না হলে বুঝা সম্ভব নয়।

¤ অতএব, আয়াতটি কোন ভাবেই অন্ধ তাক্বলীদের পক্ষে বলা হয় নি

তাফসীরে ইবনে কাসিরে َّ "" ﻣﻦﺃَْ َﻧﺎﺏﺇََ ِﻟﻲ "" এর তাফসিরে মু'মিন গণ কে বলা হয়েছে ।

""মু'মিনগন"" কি এক বচন না বহু বচন ?

¤ বহু বচন হলে মৃত একক ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা রঃ এর অন্ধ তাক্বলিদ প্রমাণিত কি ভাবে হয় বলেন?

আল্লাহ আমাদের অন্ধ তাকলীদ হতে হেফাজত করুক।

§ Md Sarower Hossain §

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

আল কুরআন এবং হাদিসের বিপক্ষে কোন ইমাম মুস্তাহিদ এর কথা মানতে পারব না

আল কুরআন এবং হাদিসের বিপক্ষে কোন ইমাম মুস্তাহিদ এর কথা মানতে পারব না
=========
আসসালামু আলাইকুম,
কুরআনে সুরা নিসা ৫৯ আয়াত থেকে যত মাজহাবী আর যত ভন্ড পীরের আমদানি হয়ছে,
এই আয়াতে ব্যাখ্যা কোন সাহবী নিজের নামে দল বা মত পেশ করেন নাই,।
সেই আয়াতটা বর্তমানে আলেমরা (> অবিভাবক বা বিচারক <) এত টুকু পর্যন্ত পাঠ করে,
কিন্তু দু:খের বিষয় হলো পুরা আয়াত না পরে তাফছির করে বর্তমানে বিদাআতি আলেমেরা ।
সেই আয়াতে দেখেন কি বলছে আল্লাহ। ।।।। ৫৯. يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْۖفَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِۚذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা অবিভাবক (বিচারক) তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।।– সূরা নিসা-৫৯।
এই আয়াত তো নাযিল হয়েছে হাদিস
ইবনু আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে।তিনি বর্ণনা করেছেন, আয়াতটি আব্দুল্লাহ ইবনু হুযাফা ইবনু ক্বায়েস ইবনু আদির সর্ম্পকে নাযিল হয়েছিল যাকে রসূলুল্লাহ সাঃ কোন যুদ্ধের (আমীর) হিসাবে পাঠান (সহিহ মুসলিম,কিতাবুল ইমারাত ِ اباِْب ٍوجُوب طا حَة اِلا مراءِ শরহে মুসলিম নববী-আলোচ্য অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ, নাসায়ী হা/৪১৯৪ ও আবু দাউদ হা/২৬২৪)
উক্ত সাহাবী (আমীর) রাঃ কি বলেছিলেন এবং অন্য সাহাবী রাঃ রা কি বলেছিল উত্তর জানাবেন
  • দেখন কি ভাবে আপনা দলিল আপনার মাযহাবের বিপক্ষে যায়।

মাযহাবীরা দেখে আয়াত দ্বারা তো মৃত চার ইমামের যে কোন একটি মাযহাবের কিতাব অনুসরণ বাধ্যতামুলক করে না।
  • বরং উন্মুক্ত ভাবে জীবিত আলেমদের ইত্তে'বাহ

  • কুরআন ও সহিহ হাদিসের অনুকুলে প্রতিষ্ঠিত করে।

কারন আয়াতের পরের অংশে আছে
হাদিস:- ﻋَﻦْ ﻋَﻠِﻰٍّ ﻗَﺎﻝَ ﺑَﻌَﺚَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺳَﺮِﻳَّﺔً ﻭَﺍﺳْﺘَﻌْﻤَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺭَﺟُﻼً ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِ ﻭَﺃَﻣَﺮَﻫُﻢْ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﻳُﻄِﻴﻌُﻮﺍ ﻓَﺄَﻏْﻀَﺒُﻮﻩُ ﻓِﻰ ﺷَﻰْﺀٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﺟْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟِﻰ ﺣَﻄَﺒًﺎ . ﻓَﺠَﻤَﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﺃَﻭْﻗِﺪُﻭﺍ ﻧَﺎﺭًﺍ. ﻓَﺄَﻭْﻗَﺪُﻭﺍ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﺃَﻟَﻢْ ﻳَﺄْﻣُﺮْﻛُﻢْ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺃَﻥْ ﺗَﺴْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟِﻰ ﻭَﺗُﻄِﻴﻌُﻮﺍ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺑَﻠَﻰ . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺎﺩْﺧُﻠُﻮﻫَﺎ . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﻨَﻈَﺮَ ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺑَﻌْﺾٍ ﻓَﻘَﺎﻟُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻓَﺮَﺭْﻧَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ . ﻓَﻜَﺎﻧُﻮﺍ ﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻭَﺳَﻜَﻦَ ﻏَﻀَﺒُﻪُ ﻭَﻃُﻔِﺌَﺖِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭُ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺭَﺟَﻌُﻮﺍ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺫَﻟِﻚَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻰِّ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻓَﻘَﺎﻝَ ্র ﻟَﻮْ ﺩَﺧَﻠُﻮﻫَﺎ ﻣَﺎ ﺧَﺮَﺟُﻮﺍ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﻄَّﺎﻋَﺔُ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ অর্থ: “আলী )রা:( থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ )সা:( একটি সেনাদল যুদ্ধাভিযানে প্রেরণ করলেন। এক আনসারী ব্যক্তিকে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এবং সাহাবীদেরকে তার কথা শুনা ও মানার জন্য নির্দেশ দিলেন। অতপর তাদের কোন আচরণে সেনাপতি রাগ করলেন। তিনি সকলকে লাকড়ি জমা করতে বললেন। সকলে লাকড়ি জমা করলো এরপর আগুন জ্বালাতে বললেন। সকলে আগুন জ্বালালো। তারপর সেনাপতি বললো রাসূলুল্লাহ )সা:( কি তোমাদেরকে আমার আনুগত্য করার এবং আমার কথা শুনা ও মানার নির্দেশ দেন নাই? সকলেই বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তোমরা সকলেই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়। সাহাবীগণ একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলেন। এবং বললেন, আমরাতো আগুন থেকে বাঁচার জন্যই রাসূলুল্লাহ )সা:( এর কাছে এসেছি। এ অবস্থায় কিছুক্ষন পর তার রাগ ঠান্ডা হলো এবং আগুনও নিভে গেল। যখন সাহাবারা মদীনায় প্রত্যাবর্তণ করলেন তখন বিষয়টি রাসূলুল্লাহ )সা:( এর কাছে উপস্থাপন করা হলো।
উত্তরে রাসূলুল্লাহ )সা:( বললেন ‘তারা যদি আমীরের কথা মতো আগুনে ঝাঁপ দিতো তাহলে তারা আর কখনোই তা থেকে বের হতে পারতো না। প্রকৃতপক্ষে আনুগত্য কেবল ন্যায় এবং সৎ কাজেই।”)
সহীহ মুসলিম হা:নং: ৪৮৭২, সহীহ বুখারী হা: নং: ৪৩৪০, সহীহ মুসলিম বাংলা; ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক তরজমা; হা: নং: ৪৬১৫। এ হাদীস থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, শরিয়তের বিরূদ্ধে কারো হুকুমের আনুগত্য করা যাবে না।
########

প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।

মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ (৫)
—————————————————————————————————
প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।
প্রশ্ন কর্তা:এক জন হানাফি মাযহাবী
———————————————————————————
জবাব/উত্তর
¤ আসসালা-মু আলাইকুম ¤
নিম্নে তাক্বলীদের বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরা হলো
তাকলীদের শাব্দিক অর্থ: ‘তাকলীদ’ (ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ) শব্দটি ‘ক্বালাদাতুন’ (ﻗﻼﺩﺓ) হ’তে গৃহীত। যার অর্থ কণ্ঠহার বা রশি। যেমন বলা হয়, ﻗَﻠَّﺪَ ﺍﻟْﺒَﻌِﻴْﺮَ ‘সে উটের গলায় রশি বেঁধেছে’।
সেখান থেকে ‘মুক্বাল্লিদ’ ( ﻣﻘﻠﺪ) , যিনি কারো আনুগত্যের রশি নিজের গলায় বেঁধে নিয়েছেন।
তাকলীদের পারিভাষিক অর্থ:
তাক্বলীদ হ’ল শারঈ বিষয়ে কোন মুজতাহিদ বা শরী‘আত গবেষকের কথাকে বিনা দলীল- প্রমাণে চোখ বুজে গ্রহণ করা।
আল্লামা জুরজানী (রহঃ) -এর মতে, ‘তাক্বলীদ হ’ল বিনা দলীল- প্রমাণে অন্যের কথা গ্রহণ করা’। (জুরজানী, কিতাবুত তা’রীফাত, পৃঃ ৬৪।)।
ইমাম শাওকানী (রহঃ)-এর মতে, ‘তাকলীদ হ’ল বিনা দলীলে অন্যের মত গ্রহণ করা, যার মত দলীল হিসাবে সাব্যস্ত হবে না’। (ইমাম শাওকানী, ইরশাদুস সায়েল ইলা দালায়িলিল মাসায়েল, পৃঃ ৪০৮।)।
তাফসীরে আযওয়াউল বায়ান’-এর লেখক মুহাম্মাদ আল- আমীন আশ- শানক্বীত্বী (রহঃ)- এর মতে, ‘তাক্বলীদ হ’ল কারো দলীল সম্পর্কে অবহিত না হয়ে তার কথা গ্রহণ করা’। (মুহাম্মাদ আল- আমীন আশ- শানক্বীত্বী, মুযাক্কিরাতু উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ ৪৯০।)
তাক্বলীদ (ﺗﻘﻠﻴﺪ ) দলিল উল্লেখ ছাড়াই কোন ব্যক্তির মতামতকে গ্রহণ করা।
তাক্কলিদের উপরে সংজ্ঞা গুলোর আলোকে বলা যায় যে ,শারঈ বিষয়ে কারো কোন কথা বিনা দলিলে গ্রহণ করাই তাক্বলীদ।
তাকলিদের সংঙ্গা থেকে জানা যায় যে
তাকলিদ হবে শুধু এক জন ব্যক্তির
তাকলিদ কারী অর্থাত্‍ মুকাল্লিদ কখনো দলিল জানতে চাইবে না।
যার তাকলিদ করবে সে যা বলবে তাই মুকাল্লিদ চোখ বোঝে মেনে নিবে সেটা ভুল হলেও,
(০০১ নং) মুকাল্লিদ কখনো দলিল খুজবে না মুকাল্লিদ যদি এই মতটি অন্য আরেক জনের কাছে যানতে চায় তখন সে আর মুকালিদ থাকে না কারণ তাকলিদের সংঙ্গা তার বিরুদ্ধীতা করবে বা সংঙ্গা বিরুদ্ধী হবে আপনি কি বলেন?
(০০২ নং) আপনি কি দেখাতে পারবেন যে এক জন মুসতাহি বা ইমামকে মানতে হবে?
আমি এখন ৩ টি মতের মাধ্যমে দেখাবো একক ব্যক্তি তাকলিদ করা বৈধ না।
(০০৩ নং) আপনি যদি বলে একক ব্যক্তি না ২ বা ৩ এর অধিক ব্যক্তির তাকলিদ করা জায়েজ আছে, তবে আপনি তাকলিদের সংঙ্গা মানলেন না কেন?
আমি ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) কে সম্মান করি ওনার এই ফতওয়াটা
০১-যে কোন ভাষায় নামাযের সূরা (কেরআত) পড়লে ইমাম আবু হানিফা র: মতে জায়েজ যদিও সে ব্যক্তি আরবী ভাষা জানে।(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০২ পৃঃ)
(০০৪ নং) ভাই পৃথিবীর কয়টা প্রচলিত হানাফিরা এই মতটা অন্ধ মুকালিদ বা তাকলিদ কারী মানে?
০২. মুল্লাজি শিক্ষিয়েছে, চার মাযহাব চার ফরজ ও চার কুরসী চার ফরজ এই ফরজ কুরআনে ও হাদিসে নেই ,
(০০৫ নং) এখানে এই ব্যক্তি ফরজ কোথায় পেল?
(০০৬ নং) এই ব্যক্তি কি বিধান দিয়ে রবের আসনে বসে নি?
০৩:- তাকবীর তাহরীমায় আল্লাহু আকবার না বলে সুবাহানাল্লাহ আর রহমান বা আল্লাহ কোন গুন বাচক নাম বলে সলাত আরম্ভ করা ইমাম আবূ হানিফা রহঃ মতে জায়েয, (কুদরি পৃষ্ঠা নং ৭৬ )
০৩.১:- তাকবীর তাহরীমায় আল্লাহু আকবার না বলে সুবাহানাল্লাহ আর রহমান বলে সলাত আরম্ভ করা ইমাম আবূ হানিফা রহঃ (হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০১ পৃঃ(হিদায়ার হল নিচের বইয়ের ব্যাখ্যা)) আল- মুখতাসারুল কুদুরী (আরবি- বাংলা) পৃঃ৭৬ (অনুবাদ ও সম্পাদনায়;মাওঃ মুহাম্মদ আমিন উল্লাহ~ভূতপূর্ব মাহাদ্দিস,কারাম তিয়া আলিয়া মাদরাসা,নোয়াখালী; মাওঃ মুহাম্মদ সিদ্দীকুল্লাহ~এম.এম. (ফার্স্ট ক্লাস),বি.এ. (স্ ট্যান্ড),প্রধান আরবি প্রভাষক,হায়দারা বাদ মারদাসা গাজীপুর ঢাকা এবং মাওঃ মুহাম্মদ মুস্তফা এম.এম.~;; প্রকাশনায় == ইসলামিয়া কুতুবখানা; ৩০/৩২ নর্থব্রুক হল রোড; বাংলাবাজার; ঢাকা-১১০০)
(০০৭ নং) এখন বলেন ওপরে পৃঃ ৭৬(০৩) অথবা ০৩.১ নং মতে কে পৃথিবীর কয়টা হানাফি মানে ?
(০০৮ নং) এই মতের তাকলিদ কি আপনি করবেন?
(০০৯ নং) যারা তাকলিদ করে বলে তাকলিদ জায়েজ তথা যে কোন
এক ইমামের মাযহাব মানতে হবে তাদের চেলেন্জ করছি একক বা এক জন ইমামকে মানা
কোন দলিল প্রমান দিতে পারবে না?
(০১০ নং) এখন সম্মানিত ভাই আপনি বলে তাকলিদের সংঙ্গা বুঝতে কোথায় ভুল হয়েছে?
(বিঃদ্রঃ ০০৯ নং এর উত্তর সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ তাই কেউ এই উত্তরটা দিতে বাদ দিবে না
) ¤ জাজাকাল্লাহ ¤ {{~Wait & See~}}
—————————————————————————————————

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড

মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড

—————————————————————————————————
প্রশ্নঃ কতিপয় প্রচলিত হানাফি ভাই বলে থাকে যে ‘হাদীস সহীহ না যঈফ’ তা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে এবং নবী (সা:) হাদীসের এবং কোন রাবী মিথ্যূক বা সত্যবাদী এটা তো নবী (সা:) বলে যান নাই। সেক্ষেত্রে আপনারা মুহাদ্দীসগণের তাকলীদ করেন। তাহলে আপনারাও তো মুকাল্লিদ?
—————————————————————
উত্তর /জবাব:
আমারা ৪ ইমামকেই মানি।
১ জনকে মানি না। ১ জনকে মানা জায়েজ নেই।
আপনি কি শুধু বাবার কথা মানবেন, চাচার কথা শুনবেন না? কোন সত্যবাদী ব্যক্তি যদি কোন রাবীকে মিথ্যুক অথবা রাবীকে মিথ্যুক নয় বলে তবে এটা মানতে হবে।
যদি এমন হয় তবে তাহলে নাউযুবিল্লাহ রাসুল (সঃ) কেও মুকাল্লিদ মানতে হবে।
  • কারন প্রায় প্রতি বছর ঈদের সময় রসূল মুহাম্মাদ (সঃ) অন্য কোন ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে ঈদের চাঁদ উঠার খবর জেনে মেনে নিতেন (আবু দাউদ) ।

এভাবে বক্তব্য মানা তাকলীদ নয়।
কোন সাহাবী কি অন্য কারো সম্পর্কে রাসুল মুহাম্মাদ (সঃ) কে বলে নাই যে,
এই লোক এমন, এই লোক এই কাজ করেছে। রাসুল (সঃ) কি ঐ সাহাবীর বক্তব্য মানেন নাই? তা হলে এটা কি তাকলীদ?
এই ভাবে জর্জের সামনে যদি কোন স্বাক্ষী বলে যে, হ্যাঁ, আমি দেখেছি ও খুন করেছে।
  • জর্জ যত বড়ই মুফতী, আলেম হউক না কেন জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর কথার উপর রায় দিবে না?

এটা কি জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর মোকাল্লেদ হলো?
  • আপনার বাসায় একজন বড় মুফতী, ইমাম আসছে।

কিন্তু কিবলা কোন দিকে জানে না।
আপনাকে জিজ্ঞাসা করলো কিবলা কোন দিকে? আপনি বললেন, কিবলা এই দিকে। ঐ ইমাম মুফতী কি আপনার মুকাল্লীদ হইয়া গেলো?
  • ২য় কথা হলো আমারাও ইমামদের মান্য করি।

কোরআন আর সুন্নার সাথে মিললে তা আমরা মানি। না মিললে মানি নি।
এটা আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) ই বলেছেন। ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻨَﺎﺯَﻋْﺘُﻢْ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ ﻓَﺮُﺩُّﻭﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝِ যদি ইখতেলাফ দেখা দেয় তবে আল্লাহ ও তার রাসুলে দিকে ফিরে যাবে। কেন? ফয়সালার জন্য।
৪ ইমামের মাঝেই ইখতেলাফ রয়েছে।
কিতাব ও সুন্নাহ মোতাবেক {জিসনি বাত সহীহ হায় মানো} (!)
  • এটা দেখা যাবে না যে, আমার ইমাম কে, তোমার ইমাম কে? আমার ইমাম ইমাম আবু হানিফা, বাকী গুলো কি আমার ইমাম নয়?

তারাও আমার ইমাম।
  • চার (সহ বাকি সবাই) জনই আমাদের ইমাম!

{{~Wait & See~}}
—————————————————————————————————

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ১ম ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড

মাযহাবী পোস্টমর্টেম (পার্ট ২)
হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
  • মাযহাবী আলেমরা বলে থাকে কোন হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয় করতে ইমামগণ থেকে মতামত গ্রহণ করতে হয়। কোন রাবী বিশ্বস্ত বা অবিশ্বস্ত যা কি’না ইমামগণের তাক্বলীদ বুঝায়। যে তাক্বলীদ আমরা সকলেই করে থাকি। এ থেকেই বুঝা যায় ইসলামে তাক্বলীদ রয়েছে।!!!



জবাব :
এই ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ, হাদিসের ইমামগণের থেকে আমরা শারী’আহ’র বিধান নেই না। বরং হাদিসের রাবীগণ কে ভাল বা খারাপ তা গ্রহণ করি।
  • এই বিষয়টি মোটেই ইমামগণের তাক্বলীদ (তাক্বলিদে শাখসী) নয়।

মুহাদ্দিস গণ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করি ওমুক রাবী ভাল অথবা খারাপ এখনো তো অনেক জন মুহাদ্দিস থেকে নেওয়া হয়
{যা তাক্বলিদে মুতলাক্ব~ মুক্ত তাক্বলিদ }
  • এর দ্বারা তাক্বলিদে শাখসী খতম মানে একক ব্যক্তির তাক্বলিদ (অনুসরন)।

বুঝা গেল কোন মানুষ সম্পর্কে জানার জন্য কারো কথা মান্য করলে অন্ধ তাক্বলীদ হয় না।
  • তেমনি হাদিসের রাবী সম্পর্কে ইমামগণ থেকে জেনে নিলে তা অন্ধ তাক্বলীদ হয় না।

বরং তাহক্বীক অর্থাৎ যাচাই- বাছাই হয়।
মাযহাবীদের কথা দ্বারা তাদের মতের বিপক্ষে যায় কারণ তাক্বলিদ হবে একক ব্যক্তির কিন্তু উক্তি তে আছে অনেক জন ।
এক হানাফি মুক্কালিদ কি কোন মাসলায় জানতে অন্য কোন মাযহাবিদের শাফি মালিকি হাম্বলি কাছে যায়?
আল্লাহ আমাদের অন্ধ তাকলীদ (তাক্বলিদে শাখসী) হতে রক্ষা করুক।
§ S H M HASAN §

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট এক (১) তোমরা আমার পরে আবু বাকার ও ওমারের অনুসরণ করবে।” -তিরমিযী,

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট এক (১) ————————————————————————————————— মাযহাবীরা তাকলীদ নিয়ে যে হাদিসের দলীল দেয় তার জবাব : . মাযহাবীদের দলীল হুযাইফা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (স.) বলেছেন, তোমরা আমার পরে আবু বাকার ও ওমারের অনুসরণ করবে।” -তিরমিযী, সহীহ্ লি- গইরিহী, অধ্যায়ঃ ৪৬, রসূলুল্লাহ্ (স.) এবং তাঁর সাহাবাগণের মর্যাদা অনুচ্ছেদঃ ১৬, আবু বাকার ও ওমার (রা.)গণের গুণাবলী, #হাদিস ৩৬৬২, ৩৬৬৩। . মাযহাবীরা ব্যাখ্যা করে এই ভাবে ::- এই হাদিস থেকে বুঝা যায় কুরআন ও সুন্নাহ্ ছাড়াও অন্যকোন ব্যক্তির তাক্বলীদ (অন্ধ অনুসরণ) করা যায়। অতএব, বুঝা গেল যে, হানাফী, শাফীঈ, মালিকি ও হাম্বলী মাযহাবের তাক্বলীদ করলে দোষণীয় হবে না। ————————————————————————————————— জবাব : ১. তাক্বলিদ তো এক ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। . #এই হাদিসে তো দুই জন ব্যক্তির অনুসরণের নির্দেশনা আছে। . #মাযহাবীরা কি দুই জন ইমাম বা মুস্তাহিদ এর তাক্বলিদ করা জায়েয বলবেন? . #মাযহাবী আপনারা দুই জন ইমাম এর তাক্বলিদ করতে চান না ? যেমন- ইমাম শাফি রঃ এবং ইমাম আবু হানিফা রঃ . #এখন আপনার এক জন যেমন ইমাম আবু হানিফা রহ তাক্বলিদ এর পক্ষে একটা দলিল দেন ? . #উপরের মাযহাবীদের বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি। (আমিন) . #যদি এই হাদিস দিয়ে তাক্বলীদ বুঝে থাকেন তাহলে #আবু বাকার রাঃ ও #ওমারের রাঃ #নামে মাযহাব না করে অন্যদের নামে করলেন কেন? . #এটা কি রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আদেশ অমান্য হয়ে গেল না? . #এটাই কি আপনাদের রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আনুগত্যের নমুনা!!!! . #আসলে তাক্বলীদ আপনাদের মাথা নষ্ট করে দিয়েছে। . #যে কারণে সব সময়ই খুজতে থাকেন কিভাবে তাক্বলীদকে জায়েয বানানো যায়। . এই হাদিসটি বুঝতে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন- ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা যিনার অপরাধে জনৈকা পাগলীকে ধরে এনে ওমার (রা.) এর নিকট হাজির করা হয়। তিনি এ ব্যাপারে লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। এই সময় আলী (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, এর কি হয়েছে? উপস্থিত লোকেরা বলল, সে #অমুক গোত্রের পাগল মহিলা। সে যিনা করেছে। ওমার (রা.) তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, তাকে নিয়ে ফিরে যাও। #অতপর, তিনি (আলী (রা.)) ওমার (রা.) এর নিকট এসে বললেন, হে আমিরুল মুমিনীন, আপনি কি জানেন না ৩ (তিন )ধরণের লোকের উপর থেকে ক্বলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (ক) পাগল যতণ না সে সুস্থ হয়, (খ) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতণ না জাগ্রত হয়, (গ) অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু যতণ না সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। #ওমার (রা.) বললেন, হ্যাঁ। আলী (রা.) বললেন, তাহলে তাকে পাথর মারা হবে কেন? তিনি বললেন, কোন কারণ নেই। আলী (রা.) বললেন, তবে তাকে ছেড়ে দিন। বর্ণনাকারী বললেন, ওমার (রা.) তাকে ছেড়ে দিলেন এবং আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করলেন। -আবু দাউদ, সহীহ, অধ্যায়ঃ ৩৩, কিতাবুল হুদুদ, অনুচ্ছেদঃ ১৬, পাগল চুরি বা হাদ্দযোগ্য অপরাধ করলে, হাদিস # ৪৩৯৯। . এই হাদিসটির প্রতি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন। #আলী (রা.) যখন ওমার (রা.) এর ভুল ধরলেন তখন কিন্তু #ওমার (রা.) বলেননি যে, রসূলুল্লাহ্ (স.) আমার আনুগত্য করতে বলেছেন তারপরেও তুমি আমার ভুল ধরেছ কেন? . বরং ওমার (রা.) তাঁর ভুল স্বীকার করে ভুলটি শোধরে নিয়েছেন। . তাহলে বুঝা গেল যে, ওমার (রা.) এর অনুসরণও কুরআন এবং হাদিসের আলোকে হতে হবে তাক্বলীদের আলোকে নয়। . এ বিষয়টি আরো ভালভাবে বুঝতে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন- সালিম বিন আব্দুল্লা হ্শামের এক লোক থেকে শুনেছেন সে আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমার (রা.) কে প্রশ্ন করেছিলেন তামাত্তু হাজ্জ জায়েজ না’কি নাজায়েয? তিনি বললেন, জায়েয। #প্রশ্নকারী বললেন, আপনার পিতা তো (ওমার রা.) এটা নিষেধ করেছেন। #আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমার (রা.) বললেন, আমাকে বল আমার আব্বা নিষেধ করেছেন আর রসূলুল্লাহ (স.) করেছেন এখন আমার আব্বার নির্দেশ মানব না’কি রসূলুল্লাহ্ (স.) এর নির্দেশ মানবো? #প্রশ্নকারী বললেন, বরং রসূলুল্লাহ্ (স.) এর হুকম-ই মানতে হবে। ইবনু ওমার (রা.) বললেন, আসল বিষয় হলো রসূলুল্লাহ্ (স.) তামাত্তু হাজ্জ করেছেন।” - তিরমিযী, সহীহ, অধ্যায়ঃ ৭, কিতাবুল হাজ্জ, অনুচ্ছেদঃ ১৩, তালবিয়া পাঠ করা, হাদিস ৮২৪। . এই হাদিস থেকে আরো বুঝা গেল যে, স্বহাবায়ে কিরামগণ ওমার (রা.) এর তাক্বলীদ করতেন না। . তাহলে কি স্বহাবায়ে কিরামগণ রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আদেশ লংঘন করেছিলেন? (নাউযুবিল্লাহ্) . মোটেই নয়। . তাহলে রসূলুল্লাহ্ (স.) আবু বাকার ও ওর্মা (রা.) এর অনুসরণ করতে বলতে কি বুঝিয়েছেন? . মূলতঃ রসূলুল্লাহ্ (স.) বুঝিয়েছেন তাঁর (স.) পরে যেন আবু বাকার এবং ওমারকে খালীফা হ্বানানো হয়। এভাবে বুঝ নিলেই হাদিস বুঝা সহজ হবে। . আল্লাহ আমাদের হারাম কাজ হতে রক্ষা করুক। . {{~Wait & See~}} —————————————————————————————————