লা মাযহাবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
লা মাযহাবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

“তাহতাস সুররাহ” সমাচার লুৎফর রহমান ফরাজী

Somun Khan  bhai theke

★ মামা আর ভাগ্নের কথোপকথনে “তাহতাস সুররাহ” সমাচার ★ 😆
ভাগ্নে! লুৎফর রহমান ফরায়েজী সাহেব তার বক্তব্যে (লিংকঃ https://youtu.be/tncO1w1VkAI) বলেন, নাভীর নিচে হাত বাঁধার ক্ষেত্রে তাদের প্রথম দলীল হল আওয়ামা কর্তৃক তাহক্বীক্বকৃত “মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ” এটা সৌদি থেকে প্রকাশিত। আবু বকর ইবনু আবী শায়বাহ ইমাম বুখারীর উস্তাদও। সেই কিতাবের ৩৯৫৯নং হাদীছ। যা নিম্নরূপঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ تحت السرة »
আলক্বামা বিন ওয়াইল বিন হুজর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাতে তার বাম হাতের উপর ডান হাত নাভীর নিচে রাখতে দেখেছি।
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, তাহক্বীক্ব আওয়ামা, হা/৩৯৫৯। আওয়ামা আল হানাফী হাদীছটির সানাদ সহীহ বলেছেন।
বুঝলাম! মামু। ঘাপলাটার কথা জানেন তো?
কি ঘাপলা ভাগ্নে?
ঐ হাদীছটিই শামেলাহ থেকে পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, (শামেলাহ) হা/৩৯৩৮
এখানে “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে শব্দ নেই।
শাইখ আবূ মুহাম্মাদ উসামা এর নুসখা থেকে পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, তাহক্বীক্ব উসামা, হা/৩৯৬২
এখানেও “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে শব্দ নেই।
শাইখ উসামা হাদীছটিকে মুরসাল বলেছেন।
সন্দেহ! সন্দেহ!! সন্দেহ!!!
তাহলে মনে হয় অন্য জায়গায় আছে ভাগ্নে!!! অন্য ইমামরা কি এই সানাদে হাদীছ আনেন নি? সেখানে থাকলে তো আর সন্দেহ থাকে না যে এটা সংযোজিত শব্দ কি না?
আচ্ছা মামা! চলুন দেখি হুবহু সানাদে অন্য ইমামরা কি “তাহতাস সুর্রাহ” এর সন্ধান আমাদের দিয়েছেন কি না?
(০১) হুবহু সানাদে হাদীছটি রয়েছে মুসনাদে আহমাদে।
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ "
মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩১৬; (আরনাউত্ব) হা/১৮৮৪৬
শাইখ আরনাউত্ব ইসনাদুহু সহীহ বলেছেন।
পাওয়া গেল না। “তাহতাস সুর্রাহ” পাওয়া গেল না।
(০২) আরো পড়ুন শারহুস সুন্নাহ থেকে,
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الصَّالِحِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْحِيرِيُّ، أَنَا حَاجِبُ بْنُ أَحْمَدَ الطُّوسِيُّ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، نَا وَكِيعٌ، نَا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ، ٢٥ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلاةِ»
শারহুস সুন্নাহ লিল বাগাওয়ী, (শামেলাহ), হা/৫৬৯
হায়! হায়!!
“তাহতাস সুর্রাহ” এর খবর নেই। এ কি কথা!!!
(৩) আরো পড়ুন সুনানে দারাকুতনী থেকে,
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , وَعُثْمَانُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَحْوَلُ , قَالَا: نا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى , نا وَكِيعٌ , نا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ , عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
সুনানে দারাকুতনী, (শামেলাহ) হা/১১০১; (ই.ফা.বা.) হা/১০৭৪
সুবহানআল্লাহ!!!
“তাহতাস সুর্রাহ” তথা নাভীর নিচে কথাটা এখানেও নেই।
আচ্ছা! আর কোথাও কি খোঁজ লাগানো যায়?
আলকামা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছে এরকম আরেকটা বর্ণনা আছে। সেটা ইমাম ওয়াকী এর স্থলে ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের বর্ণনা। সেটা পড়বেন নাকি?
পড়ে দেখি!!! যদি পাইয়া যাই!!!
ওকে। পড়ুনঃ
(৪) সুনানে দারাকুতনী থেকেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَكَرِيَّا , وَالْحَسَنُ بْنُ الْخَضِرِ , قَالَا: نا أَحْمَدُ بْنُ شُعَيْبٍ , ثنا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ , ثنا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ , وَقَيْسُ بْنُ سُلَيْمٍ , قَالَا: نا عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ » إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ "
সুনানে দারাকুতনী, (শামেলাহ) হা/১১০৪; (ই.ফা.বা.) হা/১০৭৭
মামু! “তাহতাস সুর্রাহ” নাইক্কা।
খাড়াও আরেকটা পাইছি।
(৫) সুনানে নাসাঈ আস সুগরা থেকেঃ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ، وَقَيْسِ بْنِ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيِّ قَالَا: حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ»
সুনানে নাসাঈ আস সুগরা, (আলবানী, মা.প্র) হা/৮৮৭; (ই.ফা.বা) হা/৮৯০; (আলী যাই) হা/৮৮৮
শাইখ আলবানী সানাদ সহীহ বলেছেন।
শাইখ যুবায়ের আলী যাই সানাদ সহীহ বলেছেন।
“তাহতাস সুর্রাহ” কিন্তু পাইলাম না মামু!!!
শব্দটা গেল কই?
আচ্ছা। সহীহ মুসলিমে না ওয়ায়েল বিন হুজর থেকে একটা হাদীছ আছে। ঐখানে কি আছে?
আরে! মামুর কও কি? সহীহাইনে থাকলে তো লা মাযহাবীরা তোমাগো জন্মের আগেই আমল করতো।
পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، وَمَوْلًى، لَهُمْ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِيهِ، وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ - وَصَفَ هَمَّامٌ حِيَالَ أُذُنَيْهِ - ثُمَّ الْتَحَفَ بِثَوْبِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنَ الثَّوْبِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ فَلَمَّا قَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ بَيْنَ كَفَّيْهِ ‏.‏
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে।
তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলেন, তিনি সালাত শুরু করার সময় দুই হাত তুললেন এবং তাকবীর বললেন। হাম্মামের বর্ণনায় আছে, তিনি দুই হাত কান পর্যন্ত উঠালেন; অতঃপর চাঁদরে ঢেকে নিলেন এবং ডান হাত বা হাতের উপর রাখলেন। তিনি যখন রুকু’তে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, উভয় হাত কাপড়ের ভিতর থেকে বের করলেন, অতঃপর উভয় হাত উত্তোলন করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে রুকু’তে গেলেন, তিনি যখন "সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" বললেন দু'হাত উঠালেন। তিনি যখন সাজদায় গেলেন, দু' হাতের মাঝখানে সাজদাহ করলেন।
সহীহ মুসলিম, (হা.একা.) হা/৭৮২; (ই.ফা.বা.) হা/৭৭৯, (ই.সে.বা.) হা/৭৯১
ধুর! “তাহতাস সুর্রাহ” যদি হাদীছে না-ই থাকে তাহলে শাইখ আওয়ামা পাইলো কই এই কথা? সে কি নিজের পক্ষ থেকে যোগ করেছে?
না। তা ঠিক সে যোগ করে নি। এর ইতিহাস আছে। তবে দেওবন্দীরা কিছু তথ্য দিয়েছে। যেমনঃ আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, আমি মুসন্নাফের তিনটি নুসখা অধ্যয়ন করেছি। তন্মধ্যে একটিতেও (তাহতাস সুর্রাহ বা নাভীর নিচে শব্দাবলী) পাই নি। (ফায়যুল বারী ২/২৬৭)
তাই নাকি?
হুম। বর্তমানে দেওবন্দীরা যাকে শাইখুল ইসলাম বলে তিনি বলেন জাস্টিস তাকী উসমানী। তিনি তার দারসে তিরমিযীতে মুসান্নাফ এর “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে হাত বাঁধার অংশ নিয়ে সন্দেহপোষণ করেছেন এবং সংশয়পূর্ণ বলেছেন। (দারসে তিরমিযী, বাংলা, ২/২২-২৩)
আচ্ছা!!! তো বাকি ইতিহাস কি?
তাহলে ইতিহাসটা পড়েনঃ https://www.mediafire.com/download/tyf12thz436rygu
আর এই লেখাটা কিন্তু পাকিস্তানের আলবানী শাইখ যুবায়ের আলী যাই রাহিমাহুল্লাহ এর “ছলাতে হাত বাঁধার বিধান ও স্থান” বইয়ের ৫০পৃষ্ঠা থেকে সংকলিত। ঐ বইটাও অবশ্যই পড়বেনঃ https://www.mediafire.com/download/qdel2jwva5jo2q1
আচ্ছা! ইতিহাস পড়ে নেব ইনশাআল্লাহ। তাহলে ওয়ায়েল বিন হুজর অর্থাৎ আলকামা এর পিতা থেকে কি আর কিছু বর্ণিত আছে?
আছে তো।
কি সেটা?
পড়ুনঃ
نا أَبُو مُوسَى، نا مُؤَمَّلٌ، نا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ»
ওয়ায়িল বিন হুজর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছিলাম, তিনি স্বীয় ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে তার সিনার উপর স্থাপন করলেন।
সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, হা/৪৭৯; বুলুগুল মারাম, (তা.পা.) হা/২৭৮
শাইখ আলবানী সানাদ দ্বঈফ কিন্তু হাদীছ সহীহ বলেছেন।
এটা মূলত সাক্ষ্যমূলক হাদীছ হিসেবে পেশ করা হয়। “ছলাতে হাত বাঁধার বিধান ও স্থান” বইতেই আলোচনা করা হয়েছে। ওয়ায়েল রাঃ থেকে হাত বাঁধার স্থান উল্লেখ ব্যতীত আরো বর্ণনাও আছে।
আচ্ছা বইটি তাহলে পড়তেই হবে।
হুম। পড়েন। আরেক দিন কথা হবে ইনঁশাআল্লাহ।
ও! মামা।
বলো ভাগ্নে।
ইমাম আবু বকর ইবনু আবী শাইবাহ কিন্তু ইমাম বুখারীর উস্তাদ।
হ্যাঁ। তাতো ফরায়েজী সাহেবই উল্লেখ করেছেন।
হুম মামা। সে তো উল্লেখ করেছেই। তা ঐ কিতাবে কিন্তু একটা অধ্যায় আছে। নাম কি জানেন নি?
কি নাম ভাগ্নে?
কিতাবুল রাদ্দি আলা আবি হানীফাহ।
মানে?
মানে টানে থাকুক।
আজকে আসি।
আসসালামু আলাইকুম
চলমান...........

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

চার মাযহাব

GS Islam
ভাই এর পোষ্ট থেকে কপি
ঘটনাটা কয়েকদিন আগের...!
আমার এক চাচা এবং আমার মাঝে
ফোনে কথা হচ্ছে মাঝহাব বিষয়ে...।।
উনি হানাফি মাজহাবের অনুসারী।
উল্লেখ্য যে উনি মাদ্রাসার লাইনে
উচ্চ শিক্ষিত একজন ব্যক্তি।
মাজহাব কেন মানতে হবে সে
উদ্দেশ্যে উনি আমাকে রেফারেন্স
হিসেবে সূরা নিসার ৫৯ নং হাদিসের
উদ্ধৃতি দিলেন।
আয়াতটি পড়ার পরে
উনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল...
প্রশ্ন(১) চাচা, আয়াতটি তো পড়লাম । এখন আমাকে
বলেন যে উক্ত আয়াত দিয়ে চার মাজহাবের
এক মাজহাব মানা ফরজ বুঝাচ্ছে
নাকি ওয়াজিব নাকি,
সুন্নত, নফল , মুস্তাহাব, মাকরুহ, কোনটি
বুঝাচ্ছে ?
...
উনি উত্তর দিয়েছেন ঠিক এভাবে...
=> আমি যতদুর লেখাপড়া শিখেছি
তাতে আমি জেনেছি ...
কুর-আনে সবকিছুর সমাধান
দেয়া থাকলেও সেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে
বলা হয়েছে যেমন ... কুর-আনে সালাত
আদায় করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু কিভাবে
আদায় করতে হবে তা বলা নাই। এজন্য বিস্তারিত
জানতে হলে আমাদেরকে হাদীস দেখতে হবে।
রাসুলের কথা বা কাজ এসব কিছুই হাদীস। কিন্তু
রাসুলের তেইশ বছর নবুয়তের জিন্দেগিতে যত হাদীস সব কিছুই
তো আর লিখে রাখা সম্ভব হয় নাই। বা পুরা তেইশ বছর
জুড়ে মাত্র এই কয়েক হাজার হাদীস ছিল ?? নিশ্চই
অনেক হাদীস বাদ পড়ে গেছে।
তাহলে দেখা গেল হাদীস দিয়েও তুমি
সবকিছু সমাধান করতে পারবে না।
যার কারণে বলা হচ্ছে (সূরা নিসা ৫৯)
উলিল আমরি মিনকুম
অর্থাৎ ফকিহগনের আদেশ মানতে হবে।
...
উনার বলা শেষ হলে আমি বললাম
ঠিক আছে এবার আমি কিছুক্ষণ বলি..
.
=> আমি উনাকে প্রথমে বললাম উক্ত
আয়াতের শেষের অংশটুকুতে তো একথা বলা
হচ্ছে যে, "যদি মতবিরোধ হয় তাহলে (ফারদ্দুহু ইলাল্লহি ওয়া রাসুলিহি)
আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের দিকে ফিরে যাও।"
তখন উনি জবাব দিলেন ...
"তার মানে আদেশদানকারীর কথা যদি
মত বিরোধপূর্ণ হয় তাহলে আবার
সেই কুর-আন হাদীসের দিকে ফিরে যেতে
হবে..!
আমি বললাম...
"তারমানে আবার গোড়ায় চলে যাও
।"
......
আমি তখন আনন্দিত হয়ে আরো
কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম...
প্রশ্ন(২) মনে করুন আমি শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
আর আমি যাকে বিয়ে করব সে হানফী মাজহাবী।
এখন প্রশ্ন হলো আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারবো?
=> ( আমি প্রশ্নটি করার পর তিনি কিছুক্ষণ চুপ হয়ে গেলেন)
পরে উত্তরে তিনি বললেন...... '' তাকে বিয়ে করতে পারবা কিনা এটা
আমি সঠিক বলতে পারলাম না... তবে আমি যতদুর লেখাপড়া শিখেছি
তাতে মনে হচ্ছে বিয়ে করা যাবে কোনো সমস্যা নেই। কারণ শাফেয়ী
মাজহাবের অনুসারীরাও জান্নাতে যাবে হানাফীরাও জান্নাতে যাবে।
তবে তুমি যে মাজহাব মানবা তোমাকে সে মাজহাব পুরোপুরি ভাবে
মানতে হবে তুমি যদি হানাফী মানো তাহলে তোমাকে পুরোপুরীভাবে
হানাফী মানতে হবে আর যদি শাফেয়ী মানো তাহলে পুরোপুরিভাবে
শাফেয়ী মানতে হবে। অর্ধেক হানাফী আর অর্ধেক শাফেয়ী মানা
যাবে না।
............
প্রশ্ন(৩) আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম যে আমার বউ
পুরোপুরিভাবে হানাফি মানবে আর আমি পুরোপুরিভাবে
শাফেয়ি মাজহাব মানবো। এখন ধরেন... আমরা দুজন নামাজ
পড়বো বলে ওজু করে আসলাম। কোনো কারণে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে
আমার বউয়ের শরীরে কোথাও আমার একটু হাত লেগে গেল বা স্পর্শ হলো।
এখন আমার কি ওজু থাকবে নাকি ভেঙে যাবে ?
=> উত্তরে তিনি বললেন, গায়ে টাচ করলে ওজু ভাঙবে বলে হানাফী মাজহাবে
কোথাও উল্লেখ নাই। এটা ওজু ভঙ্গের কারণের মধ্যে পড়ে না।
আমি উনাকে বললাম যে হ্যা... হানাফী মাঝহাবে এমতাবস্থায় ওজু
ভাঙবে না বলা হলেও শাফেয়ী মাঝহাবে কিন্ত এটা বলা হচ্ছে যে
ওযু ভেঙে যাবে। এখন..
.
প্রশ্ন (৪) আমি আমার স্ত্রীকে বলতেছি যে আমাদের ওজু
ভেঙে গেছে আর আমার স্ত্রী বলতেছে না ওজু ভাঙ্গে নাই।
তাহলে আমাকে বলেন সমাধান টা কি হবে ??
=> উত্তরে তিনি বললেন, " তুমি যেহেতু শাফেয়ী মাজহাব মানো
তাহলে তোমার মাজহাবের নিয়মানুসারে তোমার ওজু ভেঙে গেছে। আর তার মাজহাবের নিয়মানুসারে তার ওজু ভাঙে নাই।
=> আমি তখন বললাম এইটা কেমনে হলো ??
.
((বিঃদ্রঃ হানাফীদের চামড়ায় কি তেলের পরিমান বেশি যে তাদের ওযু ভাঙবে না পক্ষান্তরে শাফেয়ীদের চামড়া কি এতই খসখসে যে শরীরে সামান্য হাতের টাচ লাগাতেই ওযু ভেঙে গেল ??))
.
তখন আমি উত্তর দিলাম....
আবু দাউদ এর এক নম্বর খন্ড
অধ্যায় সত্তর হাদীস নম্বর ১৭৯,
অনুসারে এমতাবস্থায় ওযু
ভাঙ্গবে না..!
এছাড়া সহিহ বুখারী এর এক নম্বর খন্ড
হাদীস নম্বর ৫১৯ অনুসারে একই কথা
বলা হচ্ছে যে এমতাবস্থায় ওযু
ভাঙ্গবে না..!
.
প্রশ্ন (৫) এখন আমি কোনটা মানবো ?? হাদীস মানবো নাকি শাফেয়ী মাজহাবের ঐটাই মানবো ??
.
=> উনি একটু দায় সারার মতো কোনো
রকমে উত্তরে বললেন, "" তুমি যদি শাফেয়ী
মানো তাহলে তো সমস্যা নেই কেননা তিনি কিন্তু কুর-আন হাদীসের উপর ভিত্তি করেই সমাধান দিয়েছেন....!!""
.
তখন আমি বললাম
প্রশ্ন (৬) তাহলে
সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের শেষের
সেই ফারদ্দুহু ইলাল্লাহি ওয়া রাসুলিহি (মতবিরোধ হলে আল্লাহ এবং তার রাসুলের দিকে ফিরে যাও)... একথার কি হবে ??
তাছাড়া প্রত্যেক ইমামই বলেছেন যে.....
""যখন সহিহ হাদীস পাবে সেটাই গ্রহণ করবে "" অর্থাৎ
তিনি নিজেই বলেছেন সহিহ হাদীস গ্রহন করার কথা।
তাহলে আমি কি করবো ??
হাদীস গ্রহণ করবো ? নাকি ওজু ভেঙে গেছে ধরে নিব ?
.
তখন তিনি জবাবে বললেন,... হাদীসটা
যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে হাদীস মানলে
তো সমস্যা নাই।
.
=> এরপর আরো অনেক কথা হয়েছিল
যা লিখতে গেলে ছোট খাটো একটা
বই হয়ে যাবে....
.
যা হোক...
কিছু প্রশ্ন বলে রাখি পারলে
মাজহাবী ভাইয়েরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা
করবেন...
.
প্রশ্ন (৭) বিয়ের বছর দুই পর
আল্লাহ আমাদের একটা
ছেলে সন্তান দিলেন।
বাপ বলতেছে ওজু ভাঙবে আর
মা বলতেছে ওযু ভাঙবে না.... কার কথা মানবে সে ??
কিংবা মা বলতেছে
তোমাকে নাভীর নিচে হাত বাধতে হবে
আর বাপ বলতেছে নাভীর উপরে বাধতে
হবে। কার কথা মানবে সে ??
.
প্রশ্ন (৮) যেহেতু আমার স্ত্রী হানাফী
আর আমি শাফেয়ী তাহলে আমার
সন্তানের পরিচয় কি হবে ?? দুইটা কম্বাইন করে অর্থাৎ হানাফীর "হা" এবং শাফেয়ীর "শা" মিলে কি হাশায়ী হবে ??
নাকি চার মাজহাবের যেকোনো এক মাজহাব মানবে??
.
যদি বলেন সে তার পছন্দসই
যেকোনো একটা মাজহাব মানবে...
তাহলে দেখা গেলো সে বড় হয়ে হয়তো
হাম্বলি মাজহাব মানা শুরু করে দিল।
এক্ষেত্রে কিন্তু
কোনো আপত্তি দেখাতে পারবেন না।
.
প্রশ্ন: (৯) কোনো একটা কারণে রাগের মাথায় আমি
আমার বউকে এক সঙ্গে তিন তালাক
দিয়ে ফেললাম...
পরে আমি অনুতপ্ত হলাম যে কাজটা
করা উচিৎ হয়নি।
আমার বউয়ের কাছে শুনলাম সেও আমার কাছে থাকতে চায়।
কিন্ত সে হানাফী
মাজহাবের ফতুয়াটা দাড় করিয়ে বলল
যে, আমিতো থাকতে চাই কিন্ত আমার
মাজহাব তো বলছে পারবো না। একসঙ্গে
তিন তালাক দেয়াকে তিন তালাক হিসেবেই ধরার কথা বলা হয়েছে।
আমি বললাম ওটাকে এক তালাক
ধরতে হবে।
.
ছেলেকে বললাম তোমার মাকে ম্যানেজ
করো....
.
ছেলে কুর-আন হাদীসের রেফারেন্স
দিয়ে বলল যে আব্বা আমার মাকে
ফিরিয়ে নিতে পারবে....!
# দলিল: সুরা বাকারা ২২৯-২৩১
.
এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে
সেটা এক তালাক হিসেবে?
ধরা হবে।
# দলিলঃ আবু দাউদ হা/২১৯৬, সূরা ত্বলাক আয়াত ০১
.
এখন
তাহলে সমাধানটা কি হবে ??
.
প্রশ্ন(১০) এটার কি কোনো
সমাধান আছে নাকি নতুন কোনো
ফতুয়া তৈরি হবে যে "এক মাজহাবের ছেলের
সাথে আরেক মাজহাবের মেয়ের
বিবাহ হারাম .!!
.
প্রশ্ন (১১) ""চার মাজহাবের এক মাজহাব
পুরোপুরিভাবে মানতে হবে বা চার মাজহাবের এক মাজহাব মানা ফরজ""
এই কথাটা কুর-আনের কোন সুরায় বর্ণিত
হয়েছে ?
বা কোন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ?
অথবা চার ইমামের কোন ইমাম বলে গেছেন ??
.
প্রশ্ন(১২).......আরো প্রশ্ন লাগবে.........???
.
বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
গঠনমূলক এবং দলিলভিত্তিক
আলোচনা/সমালোচনা করতে পারেন।
আপনাকে স্বাগতম।
লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার/কপি
যেভাবে পারেন অন্যকে পড়ার সুজোগ
করে দিন।
আল্লাহ আমাদেরকে মাজহাবের গোঁড়ামি
থেকে দূরে রেখে সঠিক জিনিষ জেনে বুঝে
আমল করার তাওফিক দান করুন।
(আমিন)

বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব) ফরাজী

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব)

শরীয়তের যেসব মাসআলায় গবেষণার সুযোগ আছে, সেখানে চূড়ান্ত সত্যটি আমাদের অজানা।

কেউ যদি দাবী করে যে,

ইজতিহাদী মাসআলায় তার বক্তব্য বা মতই চূড়ান্ত, তাহলে তিনটি সম্ভাবনা আছে,

১. সে আল্লাহ অথবা আল্লাহর রাসূল ।

২. তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসে।

৩. উপরের দু'টি না ঘটে থাকলে এ লোকটি যে তার দাবীতে মিথু্যক, সেটাই চূড়ান্ত।

প্রথম দু'টি বিষয় ছাড়া রাসূল স. এর ইন্তেকালের পরে ইজতিহাদী মাসআলায় কোন মতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে দেয়ার দাবীদার হয়তো চূড়ান্ত মিথ্যুক নতুবা নিজের মতকেই শরীয়ত বা ওহী মনে করে।

কোন মুজতাহিদ ইমাম ইজতেহাদের ক্ষেত্রে এই দাবী করে না যে, তার মতটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

কিন্তু হানাফী (হাপানি) জাহেল মুকাল্লীদ Lutfor Faraji এই দাবী করে যে, আমাদেরটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।



Click This Link



Click This Link



বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব) ________________________________________ _Mufti Sana Ullah এই সম্মাণিত মুফতি কে উদ্দেশ্য করে এবং তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে_ জনাব মুফতি (শবে বরাত পাট্টি) সাহেব আপনি বলুন :: ১. "শব" শব্দের অর্থ কি ?? ২. "বরাত" অর্থ কি ?? ৩. "শবে বরাত" এই দুই শব্দ মিলে কি অর্থ হয় ?? ৪. "শবে বরাত" কাকে বলে ?? ৫. "কুরআনে কোন আয়াতে ভাগ্য রজনীর কথা বলা হয়েছে ????? ৬: "দুখানের বর্ণিত রাত যেটা ((আমি একে (কুরআন ) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।সূরা আদ দুখান-3-4) এখানে কয় রাতে কুরআন নাজিল এর কথা বলা হয়েছে ??? ৭. "কুরআন নাজিলের রাতে কি এই আয়াতে "লাইলাতুল মুবারাকা" বলা হয়েছে (এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ৮. "এই কথা কি কুরআন নাজিলের রাতের সাথে (এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ___________________________ ধরুন মানলাম আপনার কথা এখন তাহলে বলুন : 1.কুরআন নাজিল হয়েছে শাবান মাসে !!!! দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন লিংকে } ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

{ }{ বিঃদ্রঃ ১- কপি বাজি লিংক বাজি সরাসরি ডিলেট করা হবে }{ }{বিঃদ্রঃ ২- জনাব আশা করি উত্তর গুলো একে একে দিবেন }{ ______________________________________________________ ////সংগ্রহ:- যাকে উদ্দেশ্য কর নোট লেখা তার নাম ১ম কমান্ট দেখান : ০৪. (ক) শবে বরাত যে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ রজনী তার দলীল কোরআন থেকে- প্রথমত একটি বিষয় জানা প্রয়োজন যে, আমরা কসম করে থাকি মহান সত্ত্বা আল্লাহর নামে, আর সেই আল্লাহ নিজেই যদি তার কোন সৃষ্টিকে নিয়ে কসম করে, তাহলে তার মহত্ব কেমন হতে পারে? ❏আহলে হাদীস ভাইদের নয়নের শিরোমণী শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) বলেন- ﻣﺠﻤﻮﻉ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ (1/ 290 ) ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗِﻪِ ﻟِﺄَﻧَّﻬَﺎ ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﻭَﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗُﻪُ. ﻓَﻬِﻲَ ﺩَﻟِﻴﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺑُﻮﺑِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﺃُﻟُﻮﻫِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﻭَﺣْﺪَﺍﻧِﻴِّﺖِﻩِ ﻭَﻋِﻠْﻤِﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻣَﺸِﻴﺌَﺘِﻪِ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﺣِﻜْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋَﻈْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋِﺰَّﺗِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﺄَﻥَّ ﺇﻗْﺴَﺎﻣَﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺗَﻌْﻈِﻴﻢٌ ﻟَﻪُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ . ....মহান আল্লাহ তার সৃষ্টির কোন কিছু নিয়ে কসম করা, তা ঐ জিনিষের মহান গুরুত্ব সন্মান ইত্যাদির উপর বুঝায়....। মাজমুউল ফাতাওয়া-১/২৯০। ❏ এখন দেখুন মহান আল্লাহ নিজেই পবিত্র কোরআনে শবে বরাত নিয়ে কসম করেছেন- ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺠﺮﺟﺎﻧﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ (ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ: 471ﻫـ ) ﻓﻰ ﺩﺭﺝ ﺍﻟﺪﺭﺭ ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻵﻱ ﻭﺍﻟﺴﻮﺭ (2/ 709 ) 2 - {ﻭَﻟَﻴﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ:} ﺍﻟﻈّﺎﻫﺮ ﺃﻧّﻬﻦّ ﻟﻴﺎﻟﻲ (4 ) ﺍﻷﻳﺎﻡ ﺍﻟﻤﻌﻠﻮﻣﺎﺕ، (5 ) ﻭﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻬﻦّ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺠﺎﺋﺰﺓ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺰﺩﻟﻔﺔ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺘﺎ ﺍﻟﻨّﺤﺮ، ﻭﻟﻴﺎﻟﻲ ﻣﻨﻰ، ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺙ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨّﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺃﺭﺑﻊ ﻟﻴﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻠّﻮﺍﺗﻲ ﺇﺣﺪﺍﻫﻦ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ. (5 ) ﻳﻨﻈﺮ: ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ (19233 ) ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺜﻌﻠﺒﻲ 10/ 191، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ 6/ 217، ﻭﺍﻟﻜﺸﺎﻑ 4/ 749 . অর্থাৎ : পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আল ফজরের শুরুতেই মহান আল্লাহ বলেন- শপথ দশ রাত্রির, উক্ত দশ রাত্রি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, কিন্তু আল্লামা জুরযানী (রহ.) বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ সব রাত্রি যাতে পুরুস্কার ঘোষনা করা হয়েছে যেমন ..... শবে বরাত..। দারজুদ দুরার-২/৭০৯। ❏ উল্লেখ যে উক্ত দশ রাত্রির ব্যাখ্যায় কোন কোন মুফাসসের বলেন, যিলহজের দশ রাত্রি, আবার কেউ বা বলেন, মাহে রমজানের শেষ দশ রাত্রি ইত্যাদি বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ❏ বিখ্যাত তাবেয়ী মাসরুককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ (4/ 376 ) 8120 - ﻋَﻦْ ﻣَﻌْﻤَﺮٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ ﻗَﺎﻝَ: ﺳُﺌِﻞَ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٌ ﻋَﻦِ {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ} [ﺍﻟﻔﺠﺮ: 2 ] ﻗَﺎﻝَ: «ﻫِﻲَ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺃَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔِ » {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ } এই আয়াত দ্বারা কি উদ্দেশ্য? তিনি বললেন বছরের সব উত্তম রাত্রিগুলো উদ্দেশ্য। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৪/৩৭৬, হাদীস-৮১২০। আর শবে বরাত বছরের একটি উত্তম রজনী তা আমরা হাদীস দ্বারা আলোচনা করেছি। ✏ ৪. (খ) মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আরোও বলেন- ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ (7/ 225 ) ﺣﻢ (1 ) ﻭَﺍﻟْﻜِﺘﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ (2 ) ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ (3 ) ﻓِﻴﻬﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ (4 )............. ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻛَﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ ﺍﻟﺦ হা-মীম, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। সূরা আদ দুখান-১-৪। উক্ত আয়াতে ‘‘বরকতময় রাত’’ নিয়ে মুফাসিরদের মাঝে মতানক্য রয়েছে, কেউ বলেন, সেই রাত্রি হলো লাইলাতুল কদর আবার কেউ বা বলেন, শবে বরাত। কিন্তু লাইতালুল কদর এটি অধিক গ্রহণযোগ্য মত। তাফসীরে ইবনে কাসীর-৭/২২৫। আর এই ব্যাখ্যা আহলে হাদীসদের নয়নের শিরোমনি আব্দুর রহমান মুবারকপুরীও বলেছেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী:৩/৩৬৭) ❏ সারকথা হলো, পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাবিদগণ কোন না কোন ভাবে পবিত্র কোরআন থেকেও শবে বরাতের দিকে ইংঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যা তার মহত্বের প্রতি ইংঙ্গিত বহন করে।////

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব) _____________________________________________ %ভারতীর দেওবন্দী ,কবর পূজারী বেরলোভী ,পির পূজারী জর্দা খুরদের দাবী % শবে বরাত হল ভাগ্য রজনী যা ১৫ শাবান দলিল দেয় নিচের আয়াত থেকে 3 . ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। 4 . ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। এই কথা দিয়ে বলে (প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।) এটা হল শবে বরাত !!!! এদের কথা মত এটা দাড়ায় যে কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে শবে বরাতে কারন আয়াতে বলা আছে (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে) কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে এদের মতে" ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে" কেননা এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় !!!!!! _____________________________________________ জবাব :: কুরআন নাজিল হয়েছে " ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে " না রামাদানে দেখুন নিচের লিংকে কারন কুরআন নাজিল আর দুখানে আয়াতে বণির্ত রাত এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ২য় অংশ

Click This Link

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৩য় অংশ (পর্ব) .

Click This Link

{ }

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (৩য় পর্ব)

আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন উল্লেখ নেই ____________________________________________________________ শবে বরাত বলুন আর লাইলাতুল বারায়াত বলুন কোন আকৃতিতে শব্দটি কুরআন মাজীদে খুজে পাবেন না। সত্য কথাটাকে সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন মাজীদে ""শবে বরাতের"" কোন আলোচনা নেই। সরাসরি তো দূরের কথা আকার ইংগিতেও নেই। অনেককে দেখা যায় ""শবে বরাতের"" গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের প্রথম চারটি আয়াত পাঠ করেন। আয়াতসমূহ হলঃ "হা- মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। < u> এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়।" (সূরা দুখান, ১-৪) শবে বরাত পন্থী আলেম উলামারা এখানে বরকতময় রাত বলতে ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন। আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে বরকতময় রাতের অর্থ ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা আল্লাহর কালাম বিকৃত করার মত অপরাধ। কারণঃ (এক) কুরআন মাজীদের এ আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যা সূরা আল- কদর দ্বারা করা হয়। সেই সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ "আমি এই কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য মালাইকা (ফেরেশ্তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এই শান্তি ও নিরাপত্তা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। "(সূরা কাদর, ১-৫) অতএব বরকতময় রাত হল লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল বারায়াত নয়। সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল এই সূরা আল-কদর। আর এ ধরনের ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল- কুরআনের এক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াত দ্বারা করা হল সর্বোত্তম ব্যাখ্যা। (দুই) সূরা দুখানের লাইলাতুল মুবারাকার অর্থ যদি ""শবে বরাত"" হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে বরাতে নাযিল হয়েছে। অথচ আমরা সকলে জানি আল- কুরআন নাযিল হয়েছে রামাযান মাসের লাইলাতুল কদরে। যেমন সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন, "রামাযান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন।" (তিন) অধিকাংশ মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন বরকতময় রাত বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে। তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী হওয়ার কারণে পরিত্যাজ্য। এ বরকতময় রাতের দ্বারা উদ্দেশ্য যদি শবে বরাত হয় তাহলে শবে কদর অর্থ নেয়া চলবেনা। (চার) উক্ত আয়াতে বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা শবে বরাত করা হল তাফসীর বির-রায় (মনগড়া ব্যাখ্যা), আর বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা লাইলাতুল কদর দ্বারা করা হল কুরআন ও হাদীস সম্মত তাফসীর। সকলেই জানেন কুরআন ও হাদীস সম্মত ব্যাখ্যার উপসি'তিতে মনগড়া ব্যাখ্যা (তাফসীর বির-রায়) গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। (পাঁচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে কাসীর, কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা দুখানের ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ শবে বরাত নেয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। (তাফসীরে মায়ারেফুল কুরআন দ্রষ্টব্য) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) তাঁর তাফসীরে বলেছেনঃ “কোন কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল মধ্য শাবানের রাত (শবে বরাত)। কিন্তু' এটা একটা বাতিল ধারণা।” অতএব এ আয়াতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ এর অর্থ লাইলাতুল কদর। শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়। (ছয়) ইকরামা (রঃ) বরকতময় রজনীর যে ব্যাখ্যা শাবানের ১৫ তারিখ দ্বারা করেছেন তা ভুল হওয়া সত্ত্বেও প্রচার করতে হবে এমন কোন নিয়ম- কানুন নেই। বরং তা প্রত্যাখ্যান করাই হল হকের দাবী। তিনি যেমন ভুলের উর্ধ্বে নন, তেমনি যারা তার থেকে বর্ণনা করেছেন তারা ভুল শুনে থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়। (সাত) শবে বরাতের গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত- মাউত, রিয্ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান- নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ করা হয়। আর শবে বরাত উদযাপন কারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন। তারা এর উপর ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের চেয়ে ১৫ শাবানের রাতকে বেশী গুরুত্ব দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত আয়াত উপস'াপন করেন তারা মানুষকে সঠিক ইসলামী আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে- প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না। (আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস্তারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক। (আল জামে লি আহকামিল কুরআন, সূরা আদ-দুখানের তাফসীর দ্রষ্টব্য) লাইলাতুল বারাআত হল লাইলাতুল কদরের একটি নাম। শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের নাম নয় ইমাম শাওকানী (রহ.) তার তাফসীর ফতহুল কাদীরে একই কথাই লিখেছেন। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর : ইমাম শাওকানী দ্রষ্টব্য) এ সকল বিষয় জেনে বুঝেও যারা ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ করবেন শবে বরাত, তারা সাধারণ মানুষদের গোমরাহ করা এবং আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি __________________________________________________ প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই? সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খোঁজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছেতার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি। শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই। এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল- কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই।অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে। ____________________ অতএব এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত অভিহিত করা মানুষের মনগড়া বানানো একটি বিদ‘আত যা কুরআন বা হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (পর্ব এক)

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত ""
------------------------------------------
নামধারী ভন্ড মুফতি এই ফেতনাবাজ দেখে নেও কুরআন কি বলে "শবে ......" এই জালিয়াত আপনিরা কুরআন থেকে "শবে বরাত" প্রমাণ করতে পারলে আমি তা পালন করব শর্ত হল "শবে" শব্দ কুরআন ও সহি হাদিস থেকে দেখাতে হবে??
------------------------------------------
সূরা: Ad-Dukhaan (The Smoke) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৪৪
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ 1. ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺣﻢ হা-মীম। 2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। 3. ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। 4. ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। 5. ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। 6. ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻚَۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাত কোনটি ??
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে বলা আছে যে
ﺇﻧﺎَِّ ﺃﻧﺰََﻟﻨَْﺎﻩُ ﻓﻲِ ﻟﻴَْﻠﺔﻣﺒٍََُّﺎﺭﻛََﺔ َ "আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে",
এ আয়াতের আগের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে -
2. ﻭﺍﻟَْﻜﺘَِﺎﺏِ ﺍﻟﻤُْﺒﻴﻦِِ "শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের"।
এই আয়াত সহ মোট ১৩ বার আল্লাহ সুবঃ তাঁর কিতাব কুরআন মাজীদকে "কিতাবুম মুবীন" মানে "সুস্পষ্ট কিতাব" হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই সুস্পষ্ট কুরআনে খুবই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাদান মাসে তা শাবান মাসে নয়?
আর কুরআন নাজিলের রাত যেটি লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতময় রাত সেইটি ।
এখন দেখি আমরা এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাবকে স্পষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কোন মাসে নাজিল হয়েছে?
রামাদান মাসে না শাবান মাসে ??
সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে উত্তর দিবে - .
شهَْرُ رمََضان الذََ َِّي أنزُِلَ فيها الْقرُْآنُ " রমযান মাস-যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে (বাকারা ২: ১৮৫)
এবার আমরা সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কে আবার প্রশ্ন করব আমরা বুঝলাম যে তুমি রামাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছো ।
তবে রামাদানের কোন সময় নাযিল হয়েছো?
রাতে না দিনে ?
রাতে হলে কোন রাতে ?
শাবানের ১৪ তারিখ দিন যেয়ে রাতে না লাইলাতুল কদরে ??
উত্তর দিবে এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কুরআন মাজিদ স্পষ্টভাবে উত্তর দিবে
-সূরা: Al-Qadr (The Power, Fate) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৯৭
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻘﺪﺭ 1. ﺑِّﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরে রাতে নাযিল করেছি ।
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছে রামাদান মাসের লাইলাতুল কদরে কুরআন তো বল না যে সে নাযিল হয়েছে "শবে বরাতে"???
আর সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে কুরআন নাযিলের রাতকেই লাইলাতুম মুবারাকা বলা হয়েছে
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। 3. ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
এখানে পূর্ববতী আয়াতে বলা হয়েছে " ِশপথ সুস্পষ্ট কিতাবের" তার পরে বলা হয়েছে " আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে" এই রাত অন্য কোন রাত নয় ,
"বরকতময় রাতে হচ্ছে কদরের রাত " তাফসীর বিশারদগণের মতে সব চেয়ে বিশুদ্ধ , নির্ভরযোগ্য সঠিক তাফসীর হচ্ছে কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর।
{আরো জানতে পড়ুন ২য় অংশ পড়ুন}