বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব) ________________________________________ _Mufti Sana Ullah এই সম্মাণিত মুফতি কে উদ্দেশ্য করে এবং তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে_ জনাব মুফতি (শবে বরাত পাট্টি) সাহেব আপনি বলুন :: ১. "শব" শব্দের অর্থ কি ?? ২. "বরাত" অর্থ কি ?? ৩. "শবে বরাত" এই দুই শব্দ মিলে কি অর্থ হয় ?? ৪. "শবে বরাত" কাকে বলে ?? ৫. "কুরআনে কোন আয়াতে ভাগ্য রজনীর কথা বলা হয়েছে ????? ৬: "দুখানের বর্ণিত রাত যেটা ((আমি একে (কুরআন ) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।সূরা আদ দুখান-3-4) এখানে কয় রাতে কুরআন নাজিল এর কথা বলা হয়েছে ??? ৭. "কুরআন নাজিলের রাতে কি এই আয়াতে "লাইলাতুল মুবারাকা" বলা হয়েছে (এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ৮. "এই কথা কি কুরআন নাজিলের রাতের সাথে (এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ___________________________ ধরুন মানলাম আপনার কথা এখন তাহলে বলুন : 1.কুরআন নাজিল হয়েছে শাবান মাসে !!!! দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন লিংকে } ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

{ }{ বিঃদ্রঃ ১- কপি বাজি লিংক বাজি সরাসরি ডিলেট করা হবে }{ }{বিঃদ্রঃ ২- জনাব আশা করি উত্তর গুলো একে একে দিবেন }{ ______________________________________________________ ////সংগ্রহ:- যাকে উদ্দেশ্য কর নোট লেখা তার নাম ১ম কমান্ট দেখান : ০৪. (ক) শবে বরাত যে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ রজনী তার দলীল কোরআন থেকে- প্রথমত একটি বিষয় জানা প্রয়োজন যে, আমরা কসম করে থাকি মহান সত্ত্বা আল্লাহর নামে, আর সেই আল্লাহ নিজেই যদি তার কোন সৃষ্টিকে নিয়ে কসম করে, তাহলে তার মহত্ব কেমন হতে পারে? ❏আহলে হাদীস ভাইদের নয়নের শিরোমণী শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) বলেন- ﻣﺠﻤﻮﻉ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ (1/ 290 ) ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗِﻪِ ﻟِﺄَﻧَّﻬَﺎ ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﻭَﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗُﻪُ. ﻓَﻬِﻲَ ﺩَﻟِﻴﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺑُﻮﺑِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﺃُﻟُﻮﻫِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﻭَﺣْﺪَﺍﻧِﻴِّﺖِﻩِ ﻭَﻋِﻠْﻤِﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻣَﺸِﻴﺌَﺘِﻪِ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﺣِﻜْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋَﻈْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋِﺰَّﺗِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﺄَﻥَّ ﺇﻗْﺴَﺎﻣَﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺗَﻌْﻈِﻴﻢٌ ﻟَﻪُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ . ....মহান আল্লাহ তার সৃষ্টির কোন কিছু নিয়ে কসম করা, তা ঐ জিনিষের মহান গুরুত্ব সন্মান ইত্যাদির উপর বুঝায়....। মাজমুউল ফাতাওয়া-১/২৯০। ❏ এখন দেখুন মহান আল্লাহ নিজেই পবিত্র কোরআনে শবে বরাত নিয়ে কসম করেছেন- ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺠﺮﺟﺎﻧﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ (ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ: 471ﻫـ ) ﻓﻰ ﺩﺭﺝ ﺍﻟﺪﺭﺭ ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻵﻱ ﻭﺍﻟﺴﻮﺭ (2/ 709 ) 2 - {ﻭَﻟَﻴﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ:} ﺍﻟﻈّﺎﻫﺮ ﺃﻧّﻬﻦّ ﻟﻴﺎﻟﻲ (4 ) ﺍﻷﻳﺎﻡ ﺍﻟﻤﻌﻠﻮﻣﺎﺕ، (5 ) ﻭﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻬﻦّ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺠﺎﺋﺰﺓ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺰﺩﻟﻔﺔ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺘﺎ ﺍﻟﻨّﺤﺮ، ﻭﻟﻴﺎﻟﻲ ﻣﻨﻰ، ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺙ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨّﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺃﺭﺑﻊ ﻟﻴﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻠّﻮﺍﺗﻲ ﺇﺣﺪﺍﻫﻦ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ. (5 ) ﻳﻨﻈﺮ: ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ (19233 ) ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺜﻌﻠﺒﻲ 10/ 191، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ 6/ 217، ﻭﺍﻟﻜﺸﺎﻑ 4/ 749 . অর্থাৎ : পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আল ফজরের শুরুতেই মহান আল্লাহ বলেন- শপথ দশ রাত্রির, উক্ত দশ রাত্রি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, কিন্তু আল্লামা জুরযানী (রহ.) বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ সব রাত্রি যাতে পুরুস্কার ঘোষনা করা হয়েছে যেমন ..... শবে বরাত..। দারজুদ দুরার-২/৭০৯। ❏ উল্লেখ যে উক্ত দশ রাত্রির ব্যাখ্যায় কোন কোন মুফাসসের বলেন, যিলহজের দশ রাত্রি, আবার কেউ বা বলেন, মাহে রমজানের শেষ দশ রাত্রি ইত্যাদি বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ❏ বিখ্যাত তাবেয়ী মাসরুককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ (4/ 376 ) 8120 - ﻋَﻦْ ﻣَﻌْﻤَﺮٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ ﻗَﺎﻝَ: ﺳُﺌِﻞَ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٌ ﻋَﻦِ {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ} [ﺍﻟﻔﺠﺮ: 2 ] ﻗَﺎﻝَ: «ﻫِﻲَ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺃَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔِ » {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ } এই আয়াত দ্বারা কি উদ্দেশ্য? তিনি বললেন বছরের সব উত্তম রাত্রিগুলো উদ্দেশ্য। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৪/৩৭৬, হাদীস-৮১২০। আর শবে বরাত বছরের একটি উত্তম রজনী তা আমরা হাদীস দ্বারা আলোচনা করেছি। ✏ ৪. (খ) মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আরোও বলেন- ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ (7/ 225 ) ﺣﻢ (1 ) ﻭَﺍﻟْﻜِﺘﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ (2 ) ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ (3 ) ﻓِﻴﻬﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ (4 )............. ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻛَﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ ﺍﻟﺦ হা-মীম, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। সূরা আদ দুখান-১-৪। উক্ত আয়াতে ‘‘বরকতময় রাত’’ নিয়ে মুফাসিরদের মাঝে মতানক্য রয়েছে, কেউ বলেন, সেই রাত্রি হলো লাইলাতুল কদর আবার কেউ বা বলেন, শবে বরাত। কিন্তু লাইতালুল কদর এটি অধিক গ্রহণযোগ্য মত। তাফসীরে ইবনে কাসীর-৭/২২৫। আর এই ব্যাখ্যা আহলে হাদীসদের নয়নের শিরোমনি আব্দুর রহমান মুবারকপুরীও বলেছেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী:৩/৩৬৭) ❏ সারকথা হলো, পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাবিদগণ কোন না কোন ভাবে পবিত্র কোরআন থেকেও শবে বরাতের দিকে ইংঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যা তার মহত্বের প্রতি ইংঙ্গিত বহন করে।////

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন