শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

( ৭ তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??

( ৭তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??

________________________________________________________

1. রাসুল (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের দিন ১ হিজরী সাল ধরে ১ তারিখ নির্ধারণ করে ১২ মাসে বছর এভাবে হিজরী সাল গণনা হয় বিভিন্ন মানদ্বন্দে চাঁদ দেখা বা স্বাক্ষীর জন্য হিজরী সাল তারিখের গড়মিল হয়েছে।

আরবি তারিখ কার হিজরত দিয়ে গননা করতে হবে???

2. কুরআন নাযিল হয়েছে লাইতুল ক্বদরে (বাকারা-১৮৫; ক্বদর-১) । কুরআন কয় রাতে নাজিল হয়েছে??? বাংলা না নবী সাঃ এর দেশের আরবি তারিখে???

3. ঈদের দিন সাওম রাখা হারাম-হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের সলাত আদায় করেছি । তিনি বলছেন, এ দুই দিনের সাওম রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন । প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা সাওম শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে-(সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১) আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্নীত,রাসুল (সাঃ) রোযার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন (সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২) এক দেশে ঈদ হলে অন্য দেশে রোযা রাখে !! কে হারাম করে ?!

4. আরাফা (জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ) বাংলা বা অন্য দেশের সেদিন ৯ তারিখ থাকে না তো আপনারা কেন সাওম রাখেন ????
ও আশুরার (দশই মুহাররাম) তারিখের ফযিলত- হযরত আবু কাতাদাহ (রাজিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়-আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ ৪/১২৬ হাদিস নং ২৬১৪ কোন দেশের আরাফ ও আশুরার তারিখ সঠিক!!

5. জিলহজ্বের ১০ তারিখে (সউদীর চাঁদের উপর নির্ভর করে) হাজিগণ কুরবানী করেন । হজ্জের কয় দিন পরে ঈদুল আজহা ?????

6. হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত হবে ১০ই মুহাররমের শুক্রবার ।পৃথিবীতে কিয়ামত কোন দেশের তারিখ অনুযায়ী হবে ??
তাহলে বাংলায় এক অথবা ২য় দিন পরে কিয়ামত হবে সুন্দর তো বাংলার চাঁদ মাম ???!!

উপরের বিষয় গুলোর তারিখ যা চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়

যার যার নিজ দেশের চাঁদ উদয়ের উপর নির্ভর করে উক্ত তারিখ গণনা করলে সমগ্র বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিন হয় । আবার কোন দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয় ।

অর্থাৎ উক্ত দুই দেশে একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩১ বা ৩১/৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিল পাওয়া যায় না।

অতএব উক্ত দিনের তারিখ সঠীক না হলে গুনাহ্গার বা ফযিলত থেকে বঞ্চিত হতে হবে ।

সর্বজন স্বীকৃত যে উক্ত দিন (তারিখ) পৃথিবীতে একটাই হবে এবং আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে ।

একথা সকলেরই জানা, আরাফা, পবিত্র ঈদুল আযহা, আশুরা, পালনের দিন তারিখ বেশ কিছু দিন পূর্বেই সংবাদ পাওয়া যায় ।

যা বিশ্বে একই দিনে পালন করা সম্ভব । রমযান মাসের ১ম (যে কোন মাসের ১ম) তারিখ নির্ধারন এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর উপর নির্ভর করে ১ম রোজা এবং ঈদুল ফিতর (পরবর্তী মাস) ।

প্রত্যেক মাসের ১ম তারিখ নির্ধারনে বিশ্ব মুসলিম উম্মা এক হলেই সকল ইবাদত একই দিনে পালন করা সম্ভব হবে । (চলবে) ৮ম পর্বে -

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন