এক দিনে ঈদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এক দিনে ঈদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবিবার, ২২ মে, ২০১৬
সাওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী
সাওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী
============
ইবনে আব্বাস (রা.)
থেকে বর্ণিত,
রসূলুল্লাহ্ (স.)
বলেছেন,
“তোমরা চাঁদ
দেখে সওম (রোজা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন
করো। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ৩০ পূর্ণ কর।”
নাসাঈ, স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ ২২, স্বওম
(রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১২,
আমর বিন দিনার
(রহ.) কর্তৃক ইবনু
আব্বাস (রা.) থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ,
হাদিস ২১২৪, ২১২৫, অনুচ্ছেদঃ ১৩,
মানসূর (রহ.) কর্তৃক
রিবঈ (রহ.) সূত্রে উক্ত হাদিস বর্ণনায়
বিরোধ, হাদিস ২১২৯,২১৩০,
তিরমিযী, স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ ৬, কিতাবুস্
সাওম, অনুচ্ছেদঃ ৫,
নতুন চাঁদ দেখে সাওম (রোজা) ও (ঈদুল) ফিতর পালন, হাদিস ৬৮৮,
দারিমী, স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্
স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৮৬ (হাদিসটি নাসাঈর বর্ণনা)।
আবু হুরাইরাহ্ (রা.)
হতে বর্ণিত, “রসূলুল্লাহ্ (স.)
বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন কর। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ত্রিশ পূর্ণ
করো। বুখারী,
অধ্যায়ঃ ৩০,
কিতাবুস্
স্বওম (রোজা),
অনুচ্ছেদঃ ১১,
নবী (স.) এর কথা, যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখো তখন স্বওম (রোজা) আরম্ভ কর।
আবার যখন নতুন চাঁদ দেখো তখনই (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন কর,
হাদিস ১৯০৯, মুসলিম,অধ্যায়ঃ ১৩,
কিতাবুস সওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ২,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা)
পালন করা এবং নতুন চাঁদ দেখে (ঈদুল) ফিতর
উদ্যাপন করা এবং মাসের প্রথমে বা শেষের দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ১৭,১৮,১৯,২০/১০৮১, নাসাঈ, স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ ২২,স্বিয়াম, অনুচ্ছেদঃ ৯,
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন
থাকলে ত্রিশদিন
পূর্ণ করা, হাদিস ২১১৭, ২১১৮, অনুচ্ছেদঃ
এই হাদিসে যুহুরী হতে বর্ণনায় বিরোধের আলোচনা, হাদিস ২১১৯, অনুচ্ছেদঃ ১১,
ওবায়দুল্লাহ্ ইবনু
ওমার থেকে এই হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২২, ২১২৩,
তিরমিযী, স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ কিতাবুস্
স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
রমজান মাস আসার
পূর্ব থেকে স্বিয়াম পালন না করা, হাদিস ৬৮৪, ইবনু মাজাহ, স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ ৭, কিতাবুস্
স্বিয়াম, অনুচ্ছেদঃ ৫,
রমজান মাস শুরু
হওয়ার আগের দিন স্বওম রাখা নিষেধ কিন্তু কারো নিয়মিত
স্বওম রাখাতে সেদিন পৌঁছলে তার জন্য নয়, হাদিস ১৬৫০, অনুচ্ছেদঃ ৭,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম ও ঈদ পালন
করা, হাদসি ১৬৫৫,
বায়হাক্বী (সুনানুল
কুবরা), স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ কিতাবুস্
স্বওম (রোজা),
অনুচ্ছেদঃ ১০,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৭৯৩২, ৭৯৩৩, ৭৯৩৪,
৭৯৩৫, দারিমী,
স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৮৫ (হাদিসটি নাসাঈর বর্ণনা)।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমার (রা.) থেকে বর্ণিত, “রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) রমজানের
কথা আলোচনা করে বললেন,চাঁদ না দেখে তোমরা সওম (রোজা) পালন
করবে না এবং চাঁদ না দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন করবে না।
যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে তার সময়
(৩০) পূর্ণ করবে।” -
বুখারী, অধ্যায়ঃ ৩০,
কিতাবুস্ স্বওম
(রোজা), অনুচ্ছেদঃ ৫,
রমজান বলা হবে, না রমজান মাস বলা হবে? যে বলে,
উভয়টাই বলা যাবে,
হাদিস ১৯০০, অনুচ্ছেদঃ ১১,
নবী (সাঃ) এর কথা যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখো তখন স্বওম (রোজা) আরম্ভ কর।
আবর যখন নতুন চাঁদ দেখো তখনই (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন কর,
হাদিস ১৯০৬,
১৯০৭, মুসলিম,
অধ্যায়ঃ১৩,কিতাবুস্ স্বওম(রোজা),
অনুচ্ছেদঃ ২,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা)
পালন করা এবং নতুন চাঁদ দেখে (ঈদুল) ফিতর
উদ্যাপন করা এবং মাসের প্রথমে বা শেষের দিন মেখাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ
করা, হাদিস ৩,৪,৬,৭,৮,৯/১০৮০,
নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২, স্বওম
(রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১২,
আমর বিন দিনার
(রহ.) কর্তৃক ইবনু
আব্বাস(রা.) থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৪,
বায়হাক্বী (সুনানুল
কুবরা), স্বহীহ্,
অধ্যায়ঃ কিতাবুস্
স্বওম (রোজা),
অনুচ্ছেদঃ ১০,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা)
পালন অথবা ত্রিশ
দিন পূর্ণ করা, হাদিস
৭৯২৫, ৭৯২৮, ৭৯৩১, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৯০ (হাদিসটি বুখারীর
বর্ণনা)।
এই হাদিস গুলো থেকে বুঝা যায়
যে, স্বওম (রোজা)
এবং ঈদ পালনের
জন্য চাঁদ দেখা জরুরী।
শিক্ষাঃ
১। সওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা শর্ত।
২। রমজান মাস
সঠিক সময়ে পাওয়ার জন্য শা’বানের চাঁদের
হিসাব রাখা জরুরী।
**************************************************************************
=================
লেবেলসমূহ:
ঈদ,
এক দিনে ঈদ,
এক দিনে ঈদ ও সাওম
শনিবার, ২১ মে, ২০১৬
GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?
প্রশ্ন : GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কথা বলছে যে তারা কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?
জবাবঃ
কিছু মুর্খ দেখা
যাচ্ছে আজকাল
একই দিনে ঈদ ও
সিয়ামের বিরোধিতা
করতে গিয়ে GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কথা বলছে যে তারা কিভাবে একই
দিনে ঈদ ও সিয়াম
পালন করবে?
আসলে মূর্খ গুলোর এ ব্যাপারে কোন
জ্ঞানই নাই।
GMT/UTC 13 কেন
হয়েছে জানার চেষ্টা
করুন।
তারা তাদের ডেট লাইন পরিবর্তন করেছেন। এবং তারা
ডে লাইট সেভিংস
ব্যবহার করে।
GMT/UTC 13 কেন হয়েছে তা জানার চেষ্টা করুন।
এরা আসলে বিরোধীতা করতে
করতে অন্ধ হয়ে
গেছে।
উল্লেখ্য পৃথিবীর মধ্যে সময়ের পার্থক্য সর্বোচ্চ 12 অথবা -12 এর
বেশি হবে না।
এটাই সর্বাধিক সঠিক মত।
যে সব দেশে 13/ 14
GMT তারা নিজেরা
তাদের সুবিধার জন্য
তাদের ডেট লাইন
পরিবর্তন করেছে।
এবং তারা সময়
বাচানোর জন্য ডে
লাইট সেভিং
সিস্টেম ব্যবহার
করছে।
যেমন বাংলাদেশে
কয়েক বছর আগে
সকাল ৭ টাকে ৮ টা
হিসেব করা
হয়েছিল।
তাই সেই সব
মুর্খদের বলবো।
অন্ধভাবে আলেম
পূজা ছেড়ে দাও।
নিজ দলের আলেম যা ব্যাখ্যা করছে সেটাই ঠিক এমন অহংকার জাহান্নামে ও নিতে পারে। সাবধান।
লেবেলসমূহ:
ঈদ,
এক দিনে ঈদ,
এক দিনে ঈদ ও সাওম,
এক দিনে ঈদ ও সাওম প্রশ্নের উত্তর
শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬
( ৭ তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??
( ৭তম পর্ব )
হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??
________________________________________________________
1. রাসুল (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের দিন ১ হিজরী সাল ধরে ১ তারিখ নির্ধারণ করে ১২ মাসে বছর এভাবে হিজরী সাল গণনা হয় বিভিন্ন মানদ্বন্দে চাঁদ দেখা বা স্বাক্ষীর জন্য হিজরী সাল তারিখের গড়মিল হয়েছে।
আরবি তারিখ কার হিজরত দিয়ে গননা করতে হবে???
2. কুরআন নাযিল হয়েছে লাইতুল ক্বদরে (বাকারা-১৮৫; ক্বদর-১) ।
কুরআন কয় রাতে নাজিল হয়েছে??? বাংলা না নবী সাঃ এর দেশের আরবি তারিখে???
3. ঈদের দিন সাওম রাখা হারাম-হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের সলাত আদায় করেছি । তিনি বলছেন, এ দুই দিনের সাওম রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন । প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা সাওম শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে-(সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১) আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্নীত,রাসুল (সাঃ) রোযার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন (সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২) এক দেশে ঈদ হলে অন্য দেশে রোযা রাখে !! কে হারাম করে ?!
4. আরাফা (জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ)
বাংলা বা অন্য দেশের সেদিন ৯ তারিখ থাকে না তো আপনারা কেন সাওম রাখেন ????
ও আশুরার (দশই মুহাররাম) তারিখের ফযিলত- হযরত আবু কাতাদাহ (রাজিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়-আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ ৪/১২৬ হাদিস নং ২৬১৪ কোন দেশের আরাফ ও আশুরার তারিখ সঠিক!!
5. জিলহজ্বের ১০ তারিখে (সউদীর চাঁদের উপর নির্ভর করে) হাজিগণ কুরবানী করেন ।
হজ্জের কয় দিন পরে ঈদুল আজহা ?????
6. হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত হবে ১০ই মুহাররমের শুক্রবার ।পৃথিবীতে কিয়ামত কোন দেশের তারিখ অনুযায়ী হবে ??
তাহলে বাংলায় এক অথবা ২য় দিন পরে কিয়ামত হবে সুন্দর তো বাংলার চাঁদ মাম ???!!
উপরের বিষয় গুলোর তারিখ যা চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় ।
যার যার নিজ দেশের চাঁদ উদয়ের উপর নির্ভর করে উক্ত তারিখ গণনা করলে সমগ্র বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিন হয় । আবার কোন দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয় ।
অর্থাৎ উক্ত দুই দেশে একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩১ বা ৩১/৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিল পাওয়া যায় না।
অতএব উক্ত দিনের তারিখ সঠীক না হলে গুনাহ্গার বা ফযিলত থেকে বঞ্চিত হতে হবে ।
সর্বজন স্বীকৃত যে উক্ত দিন (তারিখ) পৃথিবীতে একটাই হবে এবং আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে ।
একথা সকলেরই জানা, আরাফা, পবিত্র ঈদুল আযহা, আশুরা, পালনের দিন তারিখ বেশ কিছু দিন পূর্বেই সংবাদ পাওয়া যায় ।
যা বিশ্বে একই দিনে পালন করা সম্ভব । রমযান মাসের ১ম (যে কোন মাসের ১ম) তারিখ নির্ধারন এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর উপর নির্ভর করে ১ম রোজা এবং ঈদুল ফিতর (পরবর্তী মাস) ।
প্রত্যেক মাসের ১ম তারিখ নির্ধারনে বিশ্ব মুসলিম উম্মা এক হলেই সকল ইবাদত একই দিনে পালন করা সম্ভব হবে । (চলবে) ৮ম পর্বে -
লেবেলসমূহ:
ঈদ,
এক দিনে ঈদ,
এক দিনে ঈদ ও সাওম
বিশ্বে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা এবং Follow Saudi VS Follow Other (পর্ব ৬ষ্ট )
%% খারেজী বলা থেকে বিরত হন %%
পূর্ণ জ্ঞানি মাদানি আলেমদের জন্য।
ওনারা বলে বাংলাদেশে জসিমুদ্দিন রাহমানী সহ আরো বাংলার যারা সৌদির যে দিন ঈদ করে সে দিন ঈদ করে তারা ছাড়া আর কেহ সৌদির সাথে এক দিনে ঈদ করে না।
নিচের লিস্ট দেখে আরো জ্ঞান অর্জন করবেন
আর তওবা করতে পারেন আবার নাও পারেন , কোন কোন দেশ সৌদির
সাথে এক দিনে ঈদ
করেছে (৭৮ টি দেশ),
বা করে থাকে।
তোমরা কয়েকজন
পণ্ডিত হয়ে বসে
আছ।
সৌদি কতৃপক্ষ ও
খুশি, কিন্তু এদের
হিংসা বা গাঁ জলে
কেন?
আমি (Ataur Rahman) নিজে গত
কয়েক বছর নিজে
সেই লিস্ট পোস্ট
করি, moonsight
ওয়েব সাইড থেকে
Monday, 28 July 2014:
1.Afghanistan (Follow
Saudi)
2.Albania (Follow
Saudi)
3.Algeria (Follow
Saudi)
4.Armenia (Follow
Saudi)
5.Austria (Follow
Saudi)
6.Azerbaijan (Follow
Saudi)
7.Bahrain (Follow
Saudi)
8.Bangladesh (Some
areas follow Saudi)
9.Barbados (Local
Sighting)
10.Belgium (Follow
Saudi)
11.Bolivia (Follow
Saudi)
12.Bosnia and
Hercegovina (Follow
Turkey)
13.Bulgaria (Follow
Saudi)
14.Canada (FCNA/
ISNA - Fiqh Council of
North America/Islamic
Society of North
America)
15.Chechnia (Follow
Saudi)
16.Chile (Local
Sighting)
17.China (Majority
Follow
MeccaCalendar.org)
18.Cosovo (Follow
Turkey)
19.Croatia (Follow
Turkey)
20.Denmark (Follow
Saudi)
21.Egypt - Moon Born
before sunset & moon
sets at least 5
minutes after sunset
22.Fiji Islands (Late
change of decision by
Fiji Muslim League)
http://www.fianz.co.nz/eid-ul-fitr-1435h
23.Finland (Follow
Saudi)
24.France (Union des
organisations
islamiques de France)
[also CFCM (Conseil
français du culte
musulman)]
25.Georgia (Follow
Saudi)
26.Guyana (Accepted
Chile sighting)
27.Hungary (Follow
Saudi)
28.Iceland (Follow
Saudi)
29.Indonesia (Claims
of Sighting - Official
Announcement)
30.Iraq (Sunnis Follow
Saudi)
31.Ireland (ECFR -
European Council for
Fatwa and Research)
32.Italy (Follow Saudi)
33.Jordan (Follow
Saudi)
34.Kazakhstan (Follow
Saudi)
35.Kenya (Claims of
sighting)
36.Kuwait (Follow
Saudi)
37.Kyrgizstan (Follow
Saudi)
38.Lebanon (Follow
Saudi)
39.Libya (following
others who declared
Eid on Monday 28 July)
40.Luxembourg (ECFR -
European Council for
Fatwa and Research)
41.Macedonia (Follow
Turkey)
42.Madagascer (Local
Sighting)
43.Malawi (Local
Sighting)
44.Malaysia (Age > 8
hours, altitude > 2°,
elongation > 3°)
45.Mauritania (Follow
Saudi)
46.Montenegro (Follow
Turkey)
47.Namibia (Follow
Saudi)
48.Netherlands (Follow
Turkey)
49.New Zealand
(Federation of Islamic
Association of New
Zealand) http://www.fianz.co.nz/eid-ul-fitr-1435h
50.Norway (Some
follow Saudi)
51.Palestine (Follow
Saudi)
52.Philippines (Follow
Saudi)
53.Poland (Calculation)
54.Qatar (Follow
Saudi)
55.Romania (Follow
Saudi)
56.Russia (Follow
Turkey)
57.Saudi Arabia
(Official
Announcement)
58.Serbia (Follow
Turkey)
59.Slovania (Follow
Turkey)
60.South Africa (Local
Sighting)
61.Spain (Some Follow
Saudi)
62.Sudan (Follow
Saudi)
63.Sweden (Follow
Saudi)
64.Switzerland (Follow
Saudi)
65.Syria (Official
Decision)
66.Taiwan (Follow
Saudi)
67.Tajikistan (Follow
Saudi)
68.Tatarstan (Follow
Saudi)
69.Tunisia (Criteria of
age, or altitude, or
sunset-moonset lag)
70.Turkey
(Somewhere on the
globe Altitude > 5°,
elongation > 8°)
71.Turkmenistan
(Follow Saudi)
72.U.A.E. (Follow Saudi)
73.UK (Follow Saudi)
[Coordination
Committee of Major
Islamic Centres and
Mosques of London]
74.UK (Local Sighting)
[Wifaaqul ulama),
(Ahle Sunnat Wal
Jamaat], OR (Sighting
from South Africa)
75.USA (FCNA/ISNA -
Fiqh Council of North
America/Islamic
Society of North
America)
76.Uzbekistan (Follow
Saudi)
77.Yemen (Completed
30 days)
78.Zimbabwe (South
Africa Sighting)
পরদিন ঈদ করেছে, নিচের দেশ গুলা -
1.Australia (Local Sighting)
2.Brunei (Local Sighting)
3.China (Some follow Local Sighting)
4.Hong Kong (Local Sighting)
5.India (Local Sighting)
6.Iran (Local Sighting)
7.Iraq (Shi'aas Follow Local Sighting)
8.Morocco (Local Sighting)
9.Oman (Local Sighting)
10.Pakistan (Local Sighting)
11.Spain (Some Follow Morocco)
12.Sri Lanka (Local Sighting)
13.Tanzania (Local Sighting)
লেবেলসমূহ:
এক দিনে ঈদ,
এক দিনে ঈদ ও সাওম
রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন ।((ঈদ পর্ব ৫ম))
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন।((ঈদ পর্ব ৫ম))
______________________________________________________
"চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভরশীল ইবাদত
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ । আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী । কাজেই তোমাদের মধ্যেযে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে । আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুণ আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর- (বাকারা ০২/ ১৮৫)
পৃথিবীর সকল জীবিত লোকই এ মাস পাবে । তথাপী উক্ত আয়াতে “যে লোক এ মাসটি পাবে”কেন বলা হল ?
এর ব্যাখ্যায় যারা চাঁদের উদয়স্থলের বিভিন্নতা গ্রহন করে নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে সাওম রাখতে হবে তারা বলে যে দেশে চাঁদ দেখা গেল তারা এ মাস পেল । যে দেশে চাঁদ দেখা গেল না তারা এ মাস পেল না। তাদের দেশে চাঁদ দেখার পরে পাবে ।
আয়াতে অসুস্থ, মুসাফির ব্যক্তির কথাও আছে । অর্থাৎ দেশের সকলে মাস পেয়ে রোজা রাখলেও অসুস্থ, মুসাফির অন্য মাসে সুস্থ, মুক্বীম অবস্থায় সাওম রাখতে পারবে।
অর্থাৎ সামগ্রীক ভাবে বলা যারা এ মাসে রোজা রাখতে পারবে তারা এ মাস পেল আর যারা রোজা রাখতে পারল না তারা এ মাস পেল না[অসুস্থ, মুসাফির, নামে মুসলমান (ইচ্ছাকৃত ভাবে সাওম রাখেনা) ও ভিন্ন ধর্মাবলী অন্যান্যরা]
ইসলামে মাসের শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
يَسْأَلُونَكَعَنِالْأَهِلَّةِۖقُلْهِيَمَوَاقِيتُلِلنَّاسِوَالْحَجِّۗ
তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে । বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য (মাসের) সময় (তারিখ) নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় (তারিখ) ঠিক করার মাধ্যম (বাকারাহ-০২/১৮৯)
চাঁদ দেখা
_________________
রসূল সা: বলেন, তোমরা সাওম রাখবে না,যে পর্যন্ত না চাঁদ দেখতে পাও।একই ভাবে তোমরা সাওম ভঙ্গ (ঈদ) করবে না, যে পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পাও । তবে যদি মেঘের কারনে তা তোমাদের কাছে গোপন থাকে,তবে শাবান মাস পূর্ণ করবে ৩০ দিনে।
অপর বর্ণনায় আছে, তিঁনি (সাঃ) বলেন- মাস কখনও ২৯ দিনেও হয় (সহীহ বুখারী-৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০,সহীহ মুসলিম-৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪)
"মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেছেন, “ঐ সাওম আরম্ভ হবে যেদিন সকলে সাওম রাখবে, সাওম ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই সাওম ভাঙ্গে আর কুরবানী করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে” (তিরমিযী, হাদিস নং ৬৯৭)
উপরের হাদিসে কি বুঝা যায়ঃ-
১) রমজানের সঠিক তারিখ জানার পূর্বে শা’বান মাসের চাঁদ দেখে সঠিক ভাবে শা’বানের শুরু তারিখ নির্ধারণ করা । অথচ রমযানের চাঁদ দেখার উপর বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয় । শা’বানের (যে কোন মাসের) ২৯ তারিখের দিবাগত রাত্রে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে শেষ হবে এবং ৩০ তারিখের দিবাগত রাত্র থেকে (পরবর্তী মাস) রমযান মাসের শুরু হবে (চাঁদ না দেখা গেলেও)
অতএব রমযানের চেয়ে শা’বানের চাঁদ দেখার গুরুত্ব বেশী (আরবী সকল মাসের চাঁদ দেখার গুরুত্ব আছে)
"আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) শাবানের মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি যখনই নতুন চাঁদ দেখতে পেতেন তখন সাওম শুরু করতেন । আর যদি নতুন চাঁদ না দেখতে পেতেন তাহলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে সাওম রাখতেন” (আবু দাউদ হাদিস নং ২৩১৮)
(২) “তোমরা, না চাঁদ দেখতে পাও” কথা দ্বারা বুঝা যায় পৃথিবীর সকল মানুষ যারা স্বচক্ষে চাঁদ না দেখবে সাওম রাখবে না, ঈদ করবে না; যারা দেখবে সাওম রাখবে, ঈদ করবে (এমন নয়) ।
আর কেউই চাঁদ না দেখলে ৩০ শে শা’বানের দিবাগত রাত্র থেকে সাওম রাখবে ।
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
______________
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন (সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
"একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন । তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন । এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় । রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যাঁ আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
"আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট, যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
"রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই। আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি (সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
"হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম । পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন (আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
"একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন। তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে । তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে, লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে” (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
1. সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
2. তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন ।
3. চাঁদ দেখার স্বাক্ষী নিজ দেশের লোক, পার্শ্ববতী দেশের লোক, পৃথিবীর যে কোন দেশের লোক কোথাকার হবে
অর্থাৎ“তোমরা” “সবাই” “সকলে”বলতে কাদের বুঝিয়েছেন ?
চলবে
হাদিসে কুরাইব ((ঈদ পর্ব ৪র্থ))
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২৩৯৯] ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে- উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব রাঃ বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছিলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধান করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্হায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমূ-আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমূ-আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যা, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ)-এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরুপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
====
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২১১৫] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূআর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখে ছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললাম: হ্যা, অন্যন্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া রাঃ অথবা তার সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন।
========
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৯১] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রাঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের রাঃ কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান
====
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ ((ঈদ পর্ব ৩য়))
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ
=======
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৮৮] মুহাম্মাদ ইবনু
ইসমাঈল (রঃ) ইবনু
আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, জনৈক
বেদুঈন
নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কাছে এসে বলল,
আমি (রামাযানের) চাঁদ
দেখেছি,
তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন,
তুমি কি একথার
সাক্ষ্য দাও
যে আল্লাহ
ছাড়া কোন ইলাহ নাই?
তুমি কি আরো সাক্ষ্য
দাও যে মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আল্লাহর রাসূল?
সে বলল, হ্যাঁ।
তিনি বললেন,
হে বিলাল !রাঃ লোকদের
মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দাও
তারা যেন
আগামী কাল সিয়াম
পালন করে।
====
[৬৮৯] আবূ কুরায়ব (রহঃ) সিমাক ইবনু হারব (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটির সনদে মতভেদ রয়েছে। সুফিয়ান সাওরী প্রমূখ এটিকে সিমাক ইবনু হারব, ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। সিমাক (রহঃ) এর অধিকাংশ ছাত্র সিমাক -ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। অধিকাংশ আলিমের এই হাদিস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, সিয়ামের ব্যাপারে এক ব্যক্তির সাক্ষ্যই গ্রহণীয়। ইবনু মুবারক, শাফিঈ রঃ ও আহমাদ (রঃ) ও কহফা বাসীর ((ইমাম আবূ হানীফা (রঃ) বক্তব্য এ-ই। ইসহাক (রঃ) বলেন,
দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া সিয়াম পালন করা যাবেনা। তবে সিয়ম ভঙ্গের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ নেই যে, দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
========
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
২১১৬। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এক বেদুঈন এসে বললো যে, আমি চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোযণা দিলেন যে, তোমরা সবাই সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন কর।
২১১৭। মুসা ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে একজন বেদূঈন এসে বললেন যে, আমি রাত্রে চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দেও যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে বেলাল! তুমি লোকদের সামনে ঘোযণা করে দাও যে তারা যেন সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করে।
====
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন-(-সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
===
একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন ।তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন ।এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় ।রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যা আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
===
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট,যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
====
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
“রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই।আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি(সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
====
হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম ।পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন(আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
===
একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন।
তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে ।তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে,লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে”(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন
====
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
% নতুন চাদেঁর নির্দেশনা কি? ((ঈদ পর্ব ২য়)) %
% নতুন চাদেঁর
নির্দেশনা কি? %
________________________________
নুতন চাঁদ পৃথিবীর
কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে এবং চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক যেহেতু অত্র ফাতওয়ায় আলোচিত সকল ইবাদাত উদযাপন
চাঁদের তারিখের
সঙ্গে সম্পর্কিত তাই
নুতন চাঁদ পৃথিবীর
কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে আমাদেরকে সর্বাগ্রে সে ব্যাপারে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এ বিষয়ে ভৌগলিক
গবেষণার ফলাফল
হলো প্রতি চান্দ্র
মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময়ই সর্ব প্রথম মধ্য প্রাচ্যের কোন না কোন
দেশে দৃষ্টিগোচর হবে।
কারণ চান্দ্র মাসের প্রথম দিনে চাঁদ এবং সূর্য প্রায় একই সময়ে পূর্ব
দিগন্তে (জাপানে)
উদিত হয়।
এবং উদয় স্থলের পূর্ণ বিপরীত মেরুতে (দক্ষিণ- পশ্চিম আটলান্টিকে)
সূর্য অস্ত যাওয়ার
প্রায় ৪৯ মিনিট
পরে চাঁদ অস্ত যায়।
অর্থাৎ সর্ব পশ্চিম দিগন্তে প্রথম
তারিখের চাঁদ সূর্য
অস্ত যাওয়ার পরেও
প্রায় ৪৯ মিনিট
আকাশে থাকে। এ সময় সূর্যাস্তের পর
দিগন্তে চাঁদের
যে কিঞ্চিত অংশটুকু
সূর্যের আলোয়
প্রতিফলিত হয়
তাকেই আমরা নুতন চাঁদ হিসেবে দেখি।
প্রথম দিনের চাঁদ
সূর্যের ৪৯ মিনিট
পরে অস্ত যায় বলেই
২য় দিনের চাঁদ সূর্য
উদয়ের ৪৯ মিনিট
বিলম্বে পূর্বাকাশে
উদিত হয়।
কারণ আকাশের যে দিগন্ত রেখা আটলান্টিকের
জন্য অস্তস্থল, আবার সে দিগন্ত
রেখাই জাপানের জন্য উদয়স্থল।
এভাবে প্রতি দিনই
উদয়ের বিলম্বতায় ৪৯ মিনিট করে যুক্ত
হতে থাকে।
এ কারণেই ২৯ দিনে চাঁদকে ২৯টি স্থানে উদয় হতে দেখা যায়। আবার
সাড়ে ২৯ দিন পরে চাঁদ ২৪ ঘন্টা ঘুরে এসে পরবর্তী চন্দ্র মাসের ১ তারিখে আবার নুতন
করে সূর্যের
সঙ্গে প্রায় একই সময় উদিত হয়।
গবেষণালব্ধ আলোচিত তথ্যগুলোকে সঠিক
প্রমাণিত করছে এ
হিসেবটি।
প্রতি দিনের চাঁদ
উদয়ে বিলম্ব ঘটে ৪৯ মিনিট। প্রতি চান্দ্র মাসের পরিধি হচ্ছে সাড়ে ২৯ দিন ৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা। সুতরাং (৪৯ X ২৯১/২ দিন / ৬০
মিনিট) = ২৪ ঘন্টা।
এভাবেই প্রতি সাড়ে ২৯ দিনে চাঁদ ২৪
ঘন্টা সময় অতিক্রম
করে পরবর্তী চান্দ্র
মাসের ১ তারিখে আবার পূর্বের
স্থানে সূর্য উদয়ের
সমান সময়ে উদিত হয়।
সুতরাং প্রমাণিত
হলো যে, জাপান ও
আটলান্টিকের
মধ্যকার ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদ অস্ত যাওয়ার মধ্যে ব্যবধান হয় ৪৯
মিনিট।
ভৌগলিক ভাবে প্রমাণিত যে, গ্রীনিচমান সময়ের
(GMT) দিক
থেকে পৃথিবীর সর্ব
প্রথম সূর্য উদয়ের
দেশ জাপান।
যার ভৌগলিক অবস্থান ১৪২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫ ডিগ্রী উত্তর
অক্ষাংশ। এ উদয় স্থল হিসেবে পূর্ণ বিপরীত মেরুর অস্তস্থল হল দক্ষিণ পশ্চিম আটলান্টিক
মহাসাগর। যার
ভৌগলিক অবস্থান ৩৮ ডিগ্রী পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫
দক্ষিণ অক্ষাংশ।
এ উদয় ও অস্ত স্থলের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১২
ঘন্টা এবং অবস্থানগত দূরত্ব ১৮০ ডিগ্রী।
কারণ প্রতি ১ ডিগ্রীতে সময়ের
ব্যবধান ৪ মিনিট।
চান্দ্র মাসের ১
তারিখে চাঁদ ও সূর্য প্রায় একই সময়ে জাপানে উদিত
হয়ে ১৮০ ডিগ্রী পথ
অতিক্রম করে সন্ধ্যায় সূর্য যখন
আটলান্টিকে অস্ত
যায়, চাঁদ তার পরেও আটলান্টিকের
আকাশে থাকে প্রায় ৪৯ মিনিট। ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে যদি সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান
হয় ৪৯ মিনিট
তাহলে এর অর্ধেক পথ অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান
হবে সাড়ে ২৪ মিনিট।
মধ্য প্রাচ্যের
(ইয়েমেন, রিয়াদ ও
বাগদাদ) অবস্থান ৪৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে হওয়ায়
উদয় স্থল জাপান ও
অস্ত স্থল আটলান্টিকের সঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের
ভৌগলিক অবস্থানের
ব্যবধান ৯০ ডিগ্রী।
যে কারণে মধ্য প্রাচ্যে যখন সূর্যাস্ত হয় তার পরেও চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ মধ্য প্রাচ্যের আকাশে থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সকল সময়ে সর্বপ্রথম মধ্য প্রাচ্যেই দৃষ্টি গোচর হবে।
এবং ক্রমান্বয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ সমূহে সূর্যাস্তের পরে চাঁদের স্থায়িত্ব আকাশে বেশি সময় থাকবে। যার ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখে ঐ সকল পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশে চাঁদ ক্রমান্বয়ে বেশী সময় ধরে দেখা যাবে।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য থেকে পূর্বাঞ্চলীয় দেশসমূহ ক্রমান্বয়ে উদয় স্থলের নিকটবর্তী হওয়ায় সূর্যাস্তের পরে এখানকার আকাশে ১ তারিখের চাঁদের স্থায়িত্ব কম সময় থাকে এবং চাঁদ দিগন্তে আকাশে কম উঁচুতে থাকে বলেই উদয়স্থলের নিকটবর্তী দেশ সমূহ পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, চীন বা জাপানে কখনই চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ দেখা যাবে না।
উল্লেখিত আলোচনায় প্রমাণিত যে, প্রতি চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময় সর্বপ্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোন না কোন দেশে দেখা যাবে।
এর পরে আমাদের জানা প্রয়োজন, চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক?
সময়কে বিশ্লেষণ করলে আমরা সেকেন্ড , মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছর সময়ের এ ৬টি স্তরের অস্তিত্ব খুজে পাই।
সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের উল্লেখিত সকল স্তর অথবা কোন না কোন স্তরের নির্দেশক।
যেমন মহান আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন- ﻭﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﺑﺤﺴﺒﺎﻥ অর্থাৎ সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের হিসেব নির্দেশক।-(সূরাহ আর-রহমান-৫)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সূর্য ও চাঁদ উভয়ে একই ভাবে সময়ের উল্লেখিত স্তরগুলোর নির্দেশক? না কি এক একটি এক এক ধরনের সময় নির্দেশক? এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল হল সূর্য সময়ের উল্লেখিত ৬টি স্তরের প্রতিটিরই নির্দেশক।
অর্থাৎ সূর্যের পরিভ্রমণের মাধ্যমে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছরের হিসেব নির্ধারণ করা হয়।
পক্ষান্তরে চাঁদ শুরু ও শেষ হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র বছর ও মাসের হিসেব নির্ধারিত হয়।
কিন্তু চাঁদের শুরু-শেষ, পূর্ণতা ও ক্ষয়ের সঙ্গে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা এবং দিবা- রাত্রির আগমণ- প্রস্থানের কোন সম্পর্ক নেই।
পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত এটাই প্রমাণ করে। এরশাদ হচ্ছে- - ﻫﻮﺍﻟﺬﻯ ﺟﻌﻞ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﺿﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﻧﻮﺭﺍ ﻭﻗﺪﺭﻩ ﻣﻨﺎﺯﻝ ﻟﺘﻌﻠﻤﻮﺍ ﻋﺪﺩ ﺍﻟﺴﻨﻴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﺎﺏ অর্থাৎ তিনি আল্লাহ্ যিনি সূর্যকে করেছেন প্রখরতাপূর্ণ আলো আর চাঁদকে করেছেন স্নিগ্ধময় আলো। আর চাঁদের জন্য নির্ধারণ করেছেন অনেক গুলো মানযিল। (২৯দিনে ২৯টি উদয় ও অস্তন্থল) যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখ্যা ও হিসাব। -(সূরাহ ইউনূস, আয়াত-৫)
অত্র আয়াতে কারীমায় “বছর” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও “মাস” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ না করে বরং তাকে ﺣﺴﺎﺏ শব্দে রূপকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারণ চান্দ্র বছর হয় সুনির্দিষ্ট ১২টি চন্দ্র মাস অথবা ৩৫৪দিনের সমন্বয়ে। এতে কোন কম বেশী হয়না। কিন্তু চান্দ্র মাস গুলো সুনির্দিষ্ট সংখ্যক দিন নিয়ে গঠিত নয়।বরং কোন মাস ২৯দিনে আবার কোন মাস ৩০দিনে হয়। অন্যদিকে এবছর যে চান্দ্র মাসটি ৩০দিনে হবে, আগামী বছর সে মাসটি ৩০দিনে হতে পারে, আবার ২৯দিনেও হতে পারে।কিন্তু মাস বলতে সুনির্দিষ্ট ৩০দিনকেই বুঝায়। এ কারণেই মহাবিজ্ঞ মহান রব্বুল আলামীন অত্র আয়াতে চান্দ্র মাসকে ﺷﻬﺮ বা মাস না বলে ﺣﺴﺎﺏ বলে উল্লেখ করেছেন।
অতএব পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে প্রমাণিত যে “চাঁদ শুধুমাত্র মাস ও বছরের সময় নির্দেশক”।
সময়ের এ ২টি স্তর সামগ্রিকভাবে বিশ্ববাসীর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
পক্ষান্তরে সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের প্রথম ৪টি স্তর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা ও দিন- রাত স্থানীয়ভাবে স্থানীয় মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে সালাতের দলিল (১ম পর্ব)
মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
সকল প্রশংসা
জগত সমূহের
প্রতিপালক
আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি পরিপূর্ণ
দ্বীন হিসাবে
আমাদেরকে
ইসলাম দান
করেছেন, যে
দ্বীনে মানুষের
পক্ষ থেকে কোন
সংযোজন বা
বিয়োজনের
প্রয়োজন হয় না ৷
সালাত ও সালাম
তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া
সাল্লামের প্রতি,
যিনি আল্লাহর
দ্বীনের রিসালাতের
দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে
আদায় করেছেন,
কোথাও কোন
কার্পণ্য করেননি
।
দ্বীন হিসাবে যা
কিছু এসেছে তিনি
তা উম্মতের কাছে
পৌঁছে দিয়েছেন ও
নিজের জীবনে
বাস্তবায়ন করে
গেছেন ৷
তার সাহাবায়ে
কিরামের প্রতি
আল্লাহর রাহমাত
বর্ষিত হোক, যারা
ছিলেন উম্মতে
মুহাম্মাদীর আদর্শ ও আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সুন্নাহ পালনে
সকলের চেয়ে
অগ্রগামী ৷
পবিত্র কুরআনের
সূরা তাওবার ০৯:৩৬ নং আয়াতে বলা
হয়েছে- “নিশ্চয়
আল্লাহর বিধান
ও গণনায় মাস
১২টি, আসমান গুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে । তার মধ্যে চারটি
সম্মানিত । এটিই
সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান । সূতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো
না”
সূরা ইউনুসের ১০:৫ম
আয়াতে বলা
হয়েছে- “তিনি (আল্লাহ), যিনি
সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চন্দ্রকে আলোকময় বানিয়েছেন এবং
ওর (গতির) জন্য
মঞ্জিলসমূহ নির্ধারণ
করেছেন যাতে তোমরা বছরসমূহের
সংখ্যা হিসাব জানতে পার পৃথিবীতে দিন
বলতে (রাত্র দিবা অথবা রাত্র রাত্র) সময় ২৪ ঘন্টাকে বুঝানো হয় ।
কোন জনগোষ্ঠীর দিন শুরু হয় রাত্র ১২ টা হতে পরবর্তী
রাত্র ১২ টা পর্যন্ত ।
তাদের মাস ফেব্রুয়ারী ব্যতিত সকল মাস ৩০ বা ৩১ দিনে, ১২ মাসে এক বছর এবং বছর ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে হয় ।
বিশ্বের সকল
মুসলিম উম্মার
দিন শুরু হয় সূর্যাস্ত হতে পরবর্তী সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত ।
মাস ২৯ বা ৩০ দিনে, ১২ মাসে এক বছর এবং বছরের দিন নির্দিষ্ট নয়
(কারন চাঁদের
উদয়ের উপর
নির্ভরশীল)
সূর্য পূর্ব দিকে
উদিত হয় । সমগ্র
বিশ্বে (সকল
ধর্মে) সময়
নির্ধারিত হয়
সূর্যের সাথে
সম্পর্ক করে ।
তাই পৃথিবীর পূর্ব
হতে ক্রমান্বয়ে
পশ্চিম দিকে
সূর্যদ্বয় এবং সূর্যাস্তের
সময়ের পার্থক্য দেখা যায় সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা ।
অতএব মুসলিমদের জন্য কোন দেশে রাত্র (দিন শুরু) আবার কোন দেশে দিবা (দিনের অর্ধাংশ) অর্থাৎ একই দিন ।
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সালাতের সময় পৃথিবী সূর্যের আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের পার্থক্যের সাথে সম্পৃক্ত ।
আল্লাহ তায়ালা
বলেন:
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣَﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
)ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ : ১০৩)
‘নিশ্চয় সালাত
মুসলিমদের উপর
ফরজ নির্ধারিত
ও নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে’ (সুরা-আন-
নিসা: ০৪:১০৩)
আপনার পালন
কর্তার সপ্রশংসা
পবিত্রতা ও
মহিমা ঘোষনা
করুন সূর্যদ্বয়ের
পূর্বে সূর্যাস্তের
পূর্বে এবং
পবিত্রতা ও
মহিমা ঘোষনা
করুন রাত্রির
কিছু অংশ ও দিবা
ভাগে (ত্বোয়া হাঃ
আয়াত ২০:১৩০)
অতএব তোমরা
আল্লাহর পবিত্রতা স্বরণ কর সন্ধ্যায় ও
সকালে এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে (আর রুমঃ আয়াত ৩০:১৭, ১৮)
আর দিনের দুই প্রান্তেই সালাত ঠিক রাখবে এবং রাতে ও প্রান্ত ভাগে (হুদঃ আয়াত ১১:১১৪)
সূর্য্য ঢলে পরার
সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করুন (বণি
ইসরাঈলঃ আয়াত ১০:৭৮)
- ফজরঃ-(সূর্য দ্বয়ের পূর্বে- ত্বোয়া-হা২০/১৩০; প্রান্ত ভাগে- হুদ১১/১১৪) সূর্যদ্বয়ের আগ পর্যন্ত । রাসুল (সঃ) ফজরের সালাত এমন সময়ে পড়তেন যে, সালাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে চিনতে পারতেন না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৬০ পৃঃ)
- যোহরঃ-(মধ্যাহ্নে-রুম৩০/১৭, ১৮; দিবা ভাগে-ত্বোয়া হা২০/১৩০) সূর্য মাথার উপর হেলে যাওয়ার পর হতে কোন কাঠি বা মানুষের ছায়া তার সমান দীর্ঘ না হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, মেশকাত হাঃ নং ৫৮১)
- আছরঃ- (অপরাহ্নে- রুম৩০/১৭, ১৮) বস্তুর মুল ছায়া একগুন হওয়ার পর থেকে হলুদ রং হওয়া পর্যন্ত বাকি থাকে (মুসলিম, মেশকাত, হাঃ নং ৫৩৪)
- মাগরীবঃ- (সূর্যাস্তের পূর্বে-ত্বোয়া হা২০/১৩০; সুর্য্য ঢলে পরার সময় থেকে… ইসরাঈল১৭/৭৮) সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিম আকাশে লাল আভা দূর না হওয়া পর্যন্ত থাকে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৫০ পৃঃ)
- এশাঃ-(রাত্রির কিছু অংশ-ত্বোয়হা২০/১৩০; রাতে- হুদ১১/১১৪) মাগরীবের পর হতে অর্ধ রাত্র পর্যন্ত (মুসলিম, মেশকাত ৫৯ পৃঃ)
- জুমআঃ-প্রতি শুক্রবার যোহর সালাতের ওয়াক্তে । সাহাবী সাহল বিন সাআদ (রাযিঃ) বলেন, আমরা জুমুআর সালাতের আগে দুপুরের বিশ্রামও করতাম না এবং দুপুরের খাবারও খেতাম না বরং পরে করতাম (বুখারী মুসলিম, মেশকাত আলবানী ১/৪৪১ পৃঃ)
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
হজের কয় দিন পরে ঈদুল আযহা সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং আরবি জিলহজ ১৪৩৬ হিজরী ???
সৌদি আরবের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩
সেপ্টেম্বর ২০১৫
তারিখ বুধবার সৌদি
আরবে হজ বা
আরাফাতের রোজার দিন এবং
২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ
বৃহস্পতিবার ঈদুল
আযহা উদযাপিত হবে ।
- [২৯ তারিখ চাঁদ না দেখা গেলে পরে দিন অর্থাত্ ৩০ তারিখ আর চাঁদ দেখতে হবে না কারণ আরবি মাস ২৯ এর কম হবে না আবার ৩০ এর বেশী হবে না
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
Eid al-Adha is on Thursday, September 24, 2015 vs Friday, 25 September 2015
Eid al-Adha is on Thursday, September 24, 2015 vs Friday, 25 September 2015:
============================
- Thursday, 24 September 2015:
রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
এবার ২০১৫ ইং সালের ঈদুল আযহা হাদিস মতে ২৪ তারিখ আর গণতন্ত্রবাদী সরকারের মতে ২৫ তারিখ
এবার ২০১৫ ইং সালের ঈদুল আযহা হাদিস মতে ২৪ তারিখ আর গণতন্ত্রবাদী সরকারের মতে ২৫ তারিখ
==========
ইন্নাল হামদালিল্হালাহ, ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলিহিল
কারিম।
হাদিসের উল্লেখ
জ্বিলহজ্ব মাসের ৯
তারিখে হজ্ব হবে
এবং হজ্বের পরের
দিন অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০
তারিখে কুরবানি
মানে ঈদুল আযহা
অনুষ্ঠিত হবে।
- কিন্তু আমরা কি হজ্বের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করছি????
- অথচ হজ্বের অনুষ্ঠান গুলো প্রতিটা টিভি চ্যনেল সরাসরি সমপ্রাচারিত করে থাকে গতকাল ,
- আরো একটি কথা আপনি যে দিন ৯ তারিখ মনে করে (বাংলাদেশী তারিখ) সাওম রাখছেন সে দিন কি আরাফার মাঠে কিছু থাকে ???
বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ করবেন???
আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ না করে
আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর রোজ বৃহশপ্রতিবার ঈদউল-আযহা পালন করবেন???????
- হাদিসের ভাষায় জ্বিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে হজ্ব হবে এবং হজ্বের পরের দিন
- অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখে কুরবানি মানে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।
- বাংলাদেশে কুরবানি মানে ঈদ পালন হয় হজ্বের দুই দিন পর।
- কুরবানি কবে করার কথা বা ঈদ কবে হবে????
- আর আপনি কবে করছেন???????
- কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ঐ দিন মক্কা মোআজ্জমা সহ সারা বিশ্বে ১০ বা ১১ জিল- হাজ্জ।
- যে দিন গুলোতে সাওম রাখা সকল ইমাম ও আলেমের ঐক্য মতে হারাম।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)