রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হাদিসে কুরাইব ((ঈদ পর্ব ৪র্থ))

ইসলামিক ফাউন্ডেশন গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা) হাদিস নাম্বারঃ [২৩৯৯] ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে- উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব রাঃ বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছিলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধান করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্হায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমূ-আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমূ-আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যা, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ)-এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরুপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ==== ইসলামিক ফাউন্ডেশন গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা) হাদিস নাম্বারঃ [২১১৫] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূআর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখে ছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললাম: হ্যা, অন্যন্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া রাঃ অথবা তার সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন। ======== ইসলামিক ফাউন্ডেশন গ্রন্থঃ জামে তিরমিজী অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম (রোজা) হাদিস নাম্বারঃ [৬৯১] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রাঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের রাঃ কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান ====

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন