রক্তাক্ত বায়তুল্লাহ
-----------------
(লেখক: আরিফুল ইসলাম)
নিরাপদ নগরী মক্কা লাল রক্তে রন্জিত!
হাজীদের রক্ত!
তাও আবার ৯/১১ এ!
৯/১১, যে দিন ভেঙ্গেছিল টুইন টাওয়ার।
যে ক্রেন শত শত টন মাল উঠায়, সে ক্রেন ভেঙ্গে পড়ল বাতাশে? সেটা আবার এই
দুর্যোগকালে বায়তুল্লাহ দিকেই তাক করা
ছিল।
আরব বিশ্বে অকালীন বালি ঝড়? বিশেষঞ্জরা বলছেন এটা ধুলি ঝড়ের মওসম
নয়।
নজির বহিীন ধুলি ঝড়ের কারণে মুজাহিদদের
বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ। আধুনিক
প্রযুক্তির বাহাদরী আপাতত বন্ধ। তারা
এটাকে আল্লাহ্'র সাহায্য হিসাবে দেখছে।
স্বপ্ন দেখছে আল কুদস বিজয়ের, নবুয়তের
আদলে খিলাফার স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন
দেখছে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহ্দী'র, ইশা ইবনে মারিয়ম আঃ এর সাথী
হওয়ার। নুসরা ফ্রন্ট দখলে নিয়েছে কাসাই আসদের সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ বিমান ঘাটির। এ
সুযোগে মুজাহিদরা একের পর এক এলাকা দখল করছে।
রাশিয়ান বাহীনি আবার মার্চ করেছে
দামেস্কর দিকে। তারা কি ভুলে গেছে
আফগানিস্থানে পরাজয়ের কথা? যে পরাজয় রাশিয়াকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছে।
না তারা আসছে আসন্ন মহাযুদ্ধে নিজেদের
ফ্রন্টে অবস্থান নিতে? পুতিন বলেছে দামেস্ক'কে লেলিসগ্রাদ বানাবো, কার জন্যে?
২৩ শে সেম্টম্বর। এ দিন দুনিয়া কি শেষ হয়ে যাবে হবে না নতুন সভ্যতা প্রসবের বেদনা শুরু
হবে?
আসছে ২৩ শে সেম্পটম্বর ঈদের দিনে ইহুদীরা
আল আকসা ভেঙ্গে সেখানে সোলেমন
টেম্পল তথা দাজ্জালের প্রসাদ বানাবে। ইহুদীরা প্রচার করতে শরু করেছে যে ২৩ শে সেপ্টেম্বর ভুমিকম্পে আল আকসা ধুলিস্বাৎ
হয়ে যাবে। আর তখন তারা সেখানে সোলেমন
টেম্পল বানাবে। যার সব কিছুই প্রিকাস্ট করা আছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এনে
জোড়া লাগানোর। যদি অভিশপ্ত ইহুদীরা একাজ করেই বসে, বলা বাহুল্য প্রতিটি
মুসলিমের রক্তে আগুন ধরবেই । বিশ্বব্যাপি শুরু হবে সর্বাত্বক যুদ্ধ।
অভিশপ্ত ইহুদীরা প্রত্নতাত্বিক খননের নামে অসংখ্য ডিনামাইন্ড সেট করেছে আল আকসার নীচে।
ধারনা করা যায় ২৩ শে সেপ্টেম্বর তারা সেই ডিনামাইন্ড ফাটিয়ে বলবে, আল্লাহ আকসা ধ্বংশ করেছে
সোলেমন টেম্পল তৈরীর জন্য।
নজিরবিহীন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বে
দাজ্জালের শাসন কায়েমের । কাফের
মুশরিকরা একজোট হয়ে সর্ব শক্তি নিয়োগ করেছে এ কাজে। ইসলামকে দুনিয়া থেকে
নিশ্চিন্ন করতে।
মুসলিমদের ব্যস্ত রেখেছে খেলাধুলা, গান বাজনা হাসি তামাশায়,
নাটক সিনেমায়, দুনিয়া দারিতে।
কিন্তু তাদের বুঝতে দেয়া হচ্ছে না সময়
একেবারেই শেষ। তাদের শহরগুলি, আরামের প্রসাদগুলি সহসাই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে ।
যে ভাবে ভেঙ্গেছে ইরাক, লিবিয়া,
সিরিয়ার বাড়িগুলো। তাদেরও উদ্বাস্তু হয়ে
ছুটতে হবে আহারের খোঁজে, আশ্রয়ের
খোঁজে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উঠে বসতে হবে
নৌকায়। জাগো মুসলিম, দৌড়াও, ইসলামের দিকে, জান্নাতের দিকে। না হলেও তুমি দৌড়াবে। সব হারিয়ে, শরনার্থী হয়ে, মিসকিন হয়ে অন্য দিকে। যে
দিকে শুধুই অকল্যান। SAROWER
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন