বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার পর্যাপ্ত হাট সরবরাহ করতে পারছে না।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার পর্যাপ্ত হাট সরবরাহ করতে পারছে না।

মেয়র আনিসুলের উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও দূরবর্তী স্থানে হাট বসানোর পক্ষে ছিলো।

গতবারের তুলনায় হাটের সংখ্যাও তারা হ্রাস করে শুরুতেই। মাত্র ৬টি হাট নিয়ে কাজ শুরু করে তারা। এর মধ্যেই বাউনিয়া বাধের হাট ইজারা বাতিল হয়ে যায়। ফলে হাটের সংখ্যা দাড়ায় মাত্র ৫টি। হাটের স্বল্পতা সৃষ্টি হওয়াতে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আরো ৩টি হাট চেয়েছিলো। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ৩টির বদলে মাত্র একটি, শেরেবাংলা নগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাঠে হাট বসানোর অনুমতি দেয়। কিন্তু পরে আবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা বলে এসএসএফ বাহিনীর আপত্তির মুখে তা না করে দেয়। ফলে ঢাকা উত্তরে এবার সর্বসাকূলে হাট মাত্র ৫টি দাড়ায়, যা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নিজেই বলছে ‘অপর্যাপ্ত’, যা দিয়ে উত্তর সিটির জনগণের পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। বলাবাহুল্য, এবার উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই যানজট, নিরাপত্তা, পরিবেশ দূষণ, হাসপাতাল ইত্যাদির কথা বিবেচনা করা হলেও মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের কথা চিন্তা করা হয় নাই, চিন্তা করে নাই কিভাবে ৭০-৭৫ লক্ষ জনগণ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পশু সংগ্রহ করবে। ফলে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির গালে এক হিসেবে জুতা মেরেই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও দূরবর্তী এলাকায় নিয়েছিলো আনিসুলের উত্তর সিটি।

আমার মনে হয়, আনিসুলের উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ যেমন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি পাবলিকেরও উচিত সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের গালে জুতো মেরে দেয়া, হাট-হাসিল না মানা । গরুর গাড়িগুলো ঢাকা শহরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া। প্রাইভেট ভার্সিটির ছেলেপেলে যেমন রাস্তায় বসে ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ করেছে, তেমনি রাস্তায় রাস্তায় হাট বসিয়ে অপর্যাপ্ত হাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ।

হাট হ্রাস ও দূরে ঠেলে দেয়ায় মেয়র আনিসুলের এমন নাজেহাল হওয়া উচিত যেন, সামনের বার থেকে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত হাটের ব্যাপারে সচেতন থাকে। প্রয়োজনীয় সূত্র:

http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2015/09/17/52353.php

লেখক :নয়ন চ্যাটার্জি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন