ধর্মীয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ধর্মীয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ছহীহ বুখারীতে কি কোন যঈফ হাদীছ রয়েছে?

প্রশ্ন (৪০/২৪০) : ছহীহ বুখারীতে কি কোন যঈফ হাদীছ রয়েছে? শায়খ আলবানী (রহঃ) ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছকে ত্রুটিযুক্ত বা দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। -হুমায়ূন, বংশাল, ঢাকা। উত্তর : কেবল শায়খ আলবানী নন প্রথম যুগের বেশ কিছু মুহাদ্দিছ এ বিষয়ে ছহীহ বুখারীর কতিপয় হাদীছ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ইমাম দারাকুৎনী (৩০৬-৩৮৫ হিঃ) ছহীহ বুখারীর ৭৮টি এবং বুখারী ও মুসলিমের মিলিতভাবে ৩২টি হাদীছের উপর সমালোচনা করেছেন। এসব সমালোচনার উত্তরে বিভিন্ন গ্রন্থ লিপিবদ্ধ হয়েছে। ছহীহ বুখারীর ভাষ্যকারগণের প্রত্যেকেই সংক্ষেপে বা বিস্তারিতভাবে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ভাষ্যকার হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২হিঃ) ফাৎহুল বারীর ভূমিকা ‘হাদীয়ুস সারী’তে এইসব সমালোচনার একটি একটি করে বিস্তারিতভাবে জবাব দিয়েছেন (হাদীয়ুস সারী মুক্বাদ্দামা ফাৎহুল বারী ৮ম অনুচ্ছেদ ৩৬৪-৪০২) । আলোচনার শেষে উপসংহারে তিনি বলেন, সমালোচিত প্রত্যেকটি হাদীছই দোষযুক্ত নয়। বরং অধিকাংশের জওয়াব পরিষ্কার ও দোষমুক্ত। কোন কোনটির জওয়াব গ্রহণযোগ্য এবং খুবই সামান্য কিছু রয়েছে যা না বুঝে তাঁর উপর চাপানো হয়েছে। আমি প্রত্যেকটি হাদীছের শেষে এগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেশ করেছি’ (মুক্বাদ্দামা ৪০২ পৃঃ) । তিরমিযীর ভাষ্যকার শায়খ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের বলেন, ‘ছহীহ বুখারীর যে সব হাদীছ সমালোচিত হয়েছে তার অর্থ হ’ল সেগুলো ইমাম বুখারীর শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেনি। তবে হাদীছটি স্বীয় অবস্থানে ছহীহ। তিনি বলেন, মুহাক্কিক ওলামায়ে হাদীছ-এর নিকটে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের প্রতিটি হাদীছই ছহীহ। এ দু’টি গ্রন্থের কোন একটি হাদীছ দুর্বলতা বা ত্রুটিযুক্ত নয়। ইমাম দারাকুৎনীসহ মুহাদ্দিছগণের কেউ কেউ যে সমালোচনা করেছেন তার অর্থ হ’ল তাঁদের নিকট সমালোচিত হাদীছসমূহ ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারেনি। তবে সাধারণভাবে হাদীছগুলির বিশুদ্ধতা নিয়ে কেউই মতভেদ করেননি (আল বা‘এছুল হাছীছ, তাহকীক : আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের, পৃঃ ৩৩-৩৪) । শায়খ আলবানীও উছূলে হাদীছের আলোকে ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছের সমালোচনা করেছেন তাঁর ‘সিলসিলা যঈফাহ’ গ্রন্থে। উক্ত সমালোচনা হাদীছবিরোধী বা হাদীছে সন্দেহবাদীদের মত নয়। বরং একজন সূক্ষ্মদর্শী মুহাদ্দিছ বিদ্বান হিসাবে। যেমন ইতিপূর্বে অনেক মুহাদ্দিছ করেছেন। যদি এতে তিনি ভুল করে থাকেন তাহ’লেও নেকী পাবেন। আর ঠিক করে থাকলে দ্বিগুণ নেকী পাবেন। তবে তিনি যেসব হাদীছকে যঈফ বলেছেন, সেব্যাপারে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেননা দুর্বল রাবীদের বর্ণনা গ্রহণ করার ব্যাপারে তাঁর কতগুলি স্পষ্ট নীতি ছিল। যেমন : (১) দুর্বল রাবীদের সকল বর্ণনাই দুর্বল নয়। (২) উক্ত বিষয়ে অন্য কোন হাদীছ না পাওয়া এবং হাদীছটি বিধানগত ও আক্বীদা বিষয়ক না হওয়া। বরং হৃদয় গলানো ও ফযীলত বিষয়ে হওয়া। (৩) সনদে বা মতনের কোন ত্রুটি দূর করার জন্য বা কোন বক্তব্যের অধিক ব্যাখ্যা দানের জন্য কিংবা শ্রুত বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সহযোগী হিসাবে ( ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺎﺕ ) কোন হাদীছ আনা’ (ড. মুহাম্মাদ হামদী আবু আবদাহ, জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ে শরী‘আ অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে পেশকৃত গবেষণাপত্র, ৩৪ পৃঃ) । (সংগ্রহীত)

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬

কাঠমোল্লারা মাযহাবকে ফরজ বা ওয়াজিব করে কি ভাবে

তথাকথিত কাঠমোল্লা অরুফে মাওলানারা চার মাযহাব ফরজ বা ওয়াজিব বানায় কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা দিয়ে। আফসোস..... প্রচলিত চার মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হলো রাসূল সা: এর মৃত্যুর কয়েকশ বছর পর, অথচ ফরজ বা ওয়াজিব হওয়ার দলিল দিচ্ছে কুরআন ও হাদীস দিয়ে!! সত্যিই বিশ্ময়কর!!

স্মৃতি থেকে লিখলাম ১

$% স্মৃতি থেকে লিখলাম ১ %$ আমি হানাফি পরিবেশে বড় হয়েছি ।সেই পরিবেশে অনেক নিয়ম কুরআন ও হাদিস মানে না। এই হানাফি সমাজে বছরে একবার নামাজ পড়লে মুসলিম থাকে আর হাদিস এর বিপরীত।আমি নিজেও মাঝে মাঝে সালাত পড়তাম ঈদের সালাত পড়তাম না। এমনো মনে আছে মাস দুই তিন সালাতে ধারেও যেতাম না ॥ হানাফি কাটমোল্লার আমাকে শিখেছে নির্দিষ্ট ১৩০ ফরজ ,এই ১৩০ ফরজ কোন নবীর উপর নাজিল হইয়াছে আল্লাহ ভাল জানেন । হানাফি সমাজে চার মাযহাব চার ফরজ এটা কাঠ মোল্লার আমায় ছোট্ট বেলায় শিক্ষা দিয়েছে। আবার এটাও শিক্ষা দিয়েছে চার কুরসী চার ফরজ। নবী না হলে কিছু হত না। আল্লাহ হিন্দুদের মূর্তিতেও বিরাজ মান, আরো অনেক কিছু ভাই॥॥ আরো এরা, হানাফিরা অন্য মাযহাবীদের বিরুদ্ধবাদী বলে আখ্যা দেয় । হানাফিরা বলে ওরা ছাড়া সব ভন্ড। এরা কবর পূজা পীর পূজা দেওবন পূজা কারী। দেওবন বলে নবীর নির্দেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে । এরা আব্রাহাম লিংকনের কুফরী মতবাদী বিশ্বাসী । এরা আসলে আব্রাহাম লিংকনে উম্মত। এই সমাজের নাস্তিকবাদের উত্‍পত্তি এই হানাপি থেকে। দেশের বড় বড় নাস্তিক সব হানাফি ছিল, আর কি বলব।এরা নাস্তিকবাদী সরকারে মুরিদ সরকারে একটু বিরুদ্ধে বলে জেলে পাঠায় কিন্তু আল্লাহ ও মুহাম্মাদ সাঃ কে নিয়ে নাস্তিকরা যা ইচ্ছা তাই করছে আর বলে ওদের খুজে পাওয়া যায় না

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার পর্যাপ্ত হাট সরবরাহ করতে পারছে না।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার পর্যাপ্ত হাট সরবরাহ করতে পারছে না।

মেয়র আনিসুলের উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও দূরবর্তী স্থানে হাট বসানোর পক্ষে ছিলো।

গতবারের তুলনায় হাটের সংখ্যাও তারা হ্রাস করে শুরুতেই। মাত্র ৬টি হাট নিয়ে কাজ শুরু করে তারা। এর মধ্যেই বাউনিয়া বাধের হাট ইজারা বাতিল হয়ে যায়। ফলে হাটের সংখ্যা দাড়ায় মাত্র ৫টি। হাটের স্বল্পতা সৃষ্টি হওয়াতে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আরো ৩টি হাট চেয়েছিলো। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ৩টির বদলে মাত্র একটি, শেরেবাংলা নগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাঠে হাট বসানোর অনুমতি দেয়। কিন্তু পরে আবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা বলে এসএসএফ বাহিনীর আপত্তির মুখে তা না করে দেয়। ফলে ঢাকা উত্তরে এবার সর্বসাকূলে হাট মাত্র ৫টি দাড়ায়, যা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নিজেই বলছে ‘অপর্যাপ্ত’, যা দিয়ে উত্তর সিটির জনগণের পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। বলাবাহুল্য, এবার উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই যানজট, নিরাপত্তা, পরিবেশ দূষণ, হাসপাতাল ইত্যাদির কথা বিবেচনা করা হলেও মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের কথা চিন্তা করা হয় নাই, চিন্তা করে নাই কিভাবে ৭০-৭৫ লক্ষ জনগণ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পশু সংগ্রহ করবে। ফলে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির গালে এক হিসেবে জুতা মেরেই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও দূরবর্তী এলাকায় নিয়েছিলো আনিসুলের উত্তর সিটি।

আমার মনে হয়, আনিসুলের উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ যেমন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি পাবলিকেরও উচিত সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের গালে জুতো মেরে দেয়া, হাট-হাসিল না মানা । গরুর গাড়িগুলো ঢাকা শহরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া। প্রাইভেট ভার্সিটির ছেলেপেলে যেমন রাস্তায় বসে ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ করেছে, তেমনি রাস্তায় রাস্তায় হাট বসিয়ে অপর্যাপ্ত হাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ।

হাট হ্রাস ও দূরে ঠেলে দেয়ায় মেয়র আনিসুলের এমন নাজেহাল হওয়া উচিত যেন, সামনের বার থেকে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত হাটের ব্যাপারে সচেতন থাকে। প্রয়োজনীয় সূত্র:

http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2015/09/17/52353.php

লেখক :নয়ন চ্যাটার্জি