সুফিবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সুফিবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬
মুক্বাল্লিদ হল পশু/ জীব/জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ -আইম্মাহগন বলেনঃ
মুক্বাল্লিদ হল পশু /জীব /জানোায়ার
সদৃশ/তুল্য চীজ -
আইম্মাহগন বলেনঃ
=======================================================
আমি মুক্বাল্লিদ
সম্প্রদায়কে গলায়/
ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করায় কতিপয় জাহিল বড়ই
মর্মাহত হয়েছে। তারা এটাকে কর্কশ ও রূঢ বলে উল্লেখ করেছে।
এখন আমি-ই বা কি
করতে পারি,
মুক্বাল্লিদ
সম্প্রদায়কে গলায়/
ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে সালাফে সালিহিন আমার অগ্রগামী হয়েছে - তাঁরা পূর্বসুরি, আমি
তো উত্তরসুরি।
মুকাল্লিদ সম্প্রদায়
সম্পর্কে আমার বহু
পূর্বেই আইম্মায়ে
সালাফগণ মূল্যায়ন
করে গেছেন - পশুর
কথা সেখানেই এসেছে,
আমি কেবল তা আমার
মত করে ভাষান্তর
করেছিঃ.
==========================================================
.
ইমাম ইবন আব্দুল বার বলেছেন,
ﻭﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﻌﺘﺰ :
» ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺑﻬﻴﻤﺔ ﺗﻘﺎﺩ
ﻭﺇﻧﺴﺎﻥ ﻳﻘﻠﺪ «
]ﺟﺎﻣﻊ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻓﻀﻠﻪ :
ﺑﺎﺏ ﻓﺴﺎﺩ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﻧﻔﻴﻪ
ﻭﺍﻟﻔﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ
ﻭﺍﻻﺗﺒﺎﻉ ]
আব্দুল্লাহ বিন
মু'তাঝ (রঃ) বলেল,
" বেড়ী দেয়া [বাধ্য
হওয়া] পশু/জীব/
জানোয়ার আর
মুক্বাল্লিদের মধ্যে
কোনও পার্থক্য নাই"
[(জামি' বায়ানুল 'ইলম - তাক্বলীদের ফ্যাসাদ...
...অনুচ্ছেদ)]
.
আবূ যায়েদ কাযী
ওবায়দুল্লাহ আদ-
দাবূসী (মৃঃ ৪৩০
হিঃ/১০৩৯ খ্রিঃ)
বলেছেন,
"তাক্বলীদের সারমর্ম
এই যে, মুক্বাল্লিদ
নিজেকে চতুষ্পদ
জন্তুর সাথে একাকার
করে দেয় .. ...
মুক্বাল্লিদ যদি
নিজেকে এজন্য জন্তু
বানিয়ে নেয় যে, সে
বুদ্ধি-বিবেক ও
অনুভূতিহীন, তাহলে
তার (মস্তিষ্কের)
চিকিৎসা করানো
উচিৎ।"
[(তাক্ববীমুল
আদিল্লাহ ফী
উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ
৩৯০; মাসিক ‘আল-
হাদীছ’, হাযরো, সংখ্যা ২২, পৃঃ ১৬)]
.
এছাড়া আরও
সমালোচনা রয়েছে
-
যার মোটামুটি বাংলা
হলঃ
---------------------------------------------------------------------------.
হাফিয যায়লাঈ (রঃ)
বলেছেনঃ-
ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ
‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে
এবং মুক্বাল্লিদ
মূর্খতা করে’
[নাসবুর রায়াহ, ১/২১৯]
.
বদরুদ্দীন ‘আইনী
বলেছেনঃ-
ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ
ﻭﺁﻓﺔ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ
‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ
মূর্খতা করে। আর
তাক্বলীদের কারণে
সকল বিপত্তি’
[আল-বিনায়া শারহ
হিদায়া, ১/৩১৭]
.
ইমাম ত্বাহাবী (রঃ)
হতে বর্ণিত আছে যে,
তিনি বলেছেনঃ-
ﻭﻫﻞ ﻳﻘﻠﺪ ﺇﻻ ﻋﺼﺒﻲ ﺃﻭ ﻏﺒﻲ
কট্টর/গোঁড়া ও
আহাম্মক ব্যতীত
কেউ তাক্বলীদ করে
কি?
[লিসানুল মীযান,
১/২৮০]
.
– হাফিয শাইখ যুবায়ের
আলী যাঈ (রঃ)
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)
________________________________________
_Mufti Sana Ullah
এই সম্মাণিত মুফতি কে উদ্দেশ্য করে এবং তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে_
জনাব মুফতি (শবে বরাত পাট্টি) সাহেব আপনি বলুন ::
১. "শব" শব্দের অর্থ কি ??
২. "বরাত" অর্থ কি ??
৩. "শবে বরাত" এই দুই শব্দ মিলে কি অর্থ হয় ??
৪. "শবে বরাত" কাকে বলে ??
৫. "কুরআনে কোন আয়াতে ভাগ্য রজনীর কথা বলা হয়েছে ?????
৬: "দুখানের বর্ণিত রাত যেটা ((আমি একে (কুরআন ) নাযিল
করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি
সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।সূরা আদ দুখান-3-4)
এখানে কয় রাতে কুরআন নাজিল এর কথা বলা হয়েছে ???
৭. "কুরআন নাজিলের রাতে কি এই আয়াতে "লাইলাতুল মুবারাকা" বলা হয়েছে (এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি
সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ?????
৮. "এই কথা কি কুরআন নাজিলের রাতের সাথে (এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ?????
___________________________
ধরুন মানলাম আপনার কথা
এখন তাহলে বলুন :
1.কুরআন নাজিল হয়েছে শাবান মাসে !!!!
দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন লিংকে
} ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ {
}{ বিঃদ্রঃ ১- কপি বাজি লিংক বাজি সরাসরি ডিলেট করা হবে }{
}{বিঃদ্রঃ ২- জনাব আশা করি উত্তর গুলো একে একে দিবেন }{
______________________________________________________
////সংগ্রহ:- যাকে উদ্দেশ্য কর নোট লেখা তার নাম ১ম কমান্ট দেখান : ০৪. (ক) শবে বরাত
যে এক
মহাগুরুত্বপূর্ণ রজনী
তার দলীল কোরআন
থেকে-
প্রথমত একটি বিষয়
জানা প্রয়োজন যে,
আমরা কসম করে
থাকি মহান সত্ত্বা
আল্লাহর নামে, আর
সেই আল্লাহ নিজেই
যদি তার কোন
সৃষ্টিকে নিয়ে কসম
করে, তাহলে তার
মহত্ব কেমন হতে
পারে?
❏আহলে হাদীস
ভাইদের নয়নের
শিরোমণী শায়খুল
ইসলাম ইবনে
তাইমিয়্যা (রহ.)
বলেন-
ﻣﺠﻤﻮﻉ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ (1/
290 )
ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳُﻘْﺴِﻢُ
ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗِﻪِ ﻟِﺄَﻧَّﻬَﺎ
ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﻭَﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗُﻪُ. ﻓَﻬِﻲَ
ﺩَﻟِﻴﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺑُﻮﺑِﻴَّﺘِﻪِ
ﻭَﺃُﻟُﻮﻫِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﻭَﺣْﺪَﺍﻧِﻴِّﺖِﻩِ
ﻭَﻋِﻠْﻤِﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻣَﺸِﻴﺌَﺘِﻪِ
ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﺣِﻜْﻤَﺘِﻪِ
ﻭَﻋَﻈْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋِﺰَّﺗِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﺄَﻥَّ
ﺇﻗْﺴَﺎﻣَﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺗَﻌْﻈِﻴﻢٌ ﻟَﻪُ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ .
....মহান আল্লাহ তার
সৃষ্টির কোন কিছু
নিয়ে কসম করা, তা
ঐ জিনিষের মহান
গুরুত্ব সন্মান
ইত্যাদির উপর
বুঝায়....। মাজমুউল
ফাতাওয়া-১/২৯০।
❏ এখন দেখুন মহান
আল্লাহ নিজেই
পবিত্র কোরআনে
শবে বরাত নিয়ে
কসম করেছেন-
ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺠﺮﺟﺎﻧﻲ
ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ (ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ:
471ﻫـ ) ﻓﻰ ﺩﺭﺝ ﺍﻟﺪﺭﺭ
ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻵﻱ ﻭﺍﻟﺴﻮﺭ
(2/ 709 )
2 - {ﻭَﻟَﻴﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ:} ﺍﻟﻈّﺎﻫﺮ
ﺃﻧّﻬﻦّ ﻟﻴﺎﻟﻲ (4 ) ﺍﻷﻳﺎﻡ
ﺍﻟﻤﻌﻠﻮﻣﺎﺕ، (5 ) ﻭﻳﺠﻮﺯ
ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻬﻦّ ﻟﻴﻠﺔ
ﺍﻟﺠﺎﺋﺰﺓ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻔﻄﺮ،
ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺰﺩﻟﻔﺔ، ﻭﻫﻲ
ﻟﻴﻠﺘﺎ ﺍﻟﻨّﺤﺮ، ﻭﻟﻴﺎﻟﻲ ﻣﻨﻰ،
ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺙ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨّﺼﻒ
ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ
ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺃﺭﺑﻊ ﻟﻴﺎﻝ ﻓﻲ
ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ
ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻠّﻮﺍﺗﻲ ﺇﺣﺪﺍﻫﻦ
ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ.
(5 ) ﻳﻨﻈﺮ: ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ
ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ (19233 ) ﻋﻦ
ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ
ﺍﻟﺜﻌﻠﺒﻲ 10/ 191،
ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ 6/
217، ﻭﺍﻟﻜﺸﺎﻑ 4/ 749 .
অর্থাৎ : পবিত্র
কোরআনের সূরায়ে
আল ফজরের শুরুতেই
মহান আল্লাহ বলেন-
শপথ দশ রাত্রির,
উক্ত দশ রাত্রি
সম্পর্কে বিভিন্ন
মতামত রয়েছে,
কিন্তু আল্লামা
জুরযানী (রহ.) বলেন,
এর দ্বারা উদ্দেশ্য
হলো ঐ সব রাত্রি
যাতে পুরুস্কার
ঘোষনা করা হয়েছে
যেমন ..... শবে বরাত..।
দারজুদ দুরার-২/৭০৯।
❏ উল্লেখ যে উক্ত
দশ রাত্রির
ব্যাখ্যায় কোন কোন
মুফাসসের বলেন,
যিলহজের দশ
রাত্রি, আবার কেউ
বা বলেন, মাহে
রমজানের শেষ দশ
রাত্রি ইত্যাদি
বিভিন্ন মতামত
রয়েছে।
❏ বিখ্যাত তাবেয়ী
মাসরুককে
জিজ্ঞাসা করা
হয়েছিল-
ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ
ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ (4/ 376 )
8120 - ﻋَﻦْ ﻣَﻌْﻤَﺮٍ، ﻋَﻦِ
ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ
ﻗَﺎﻝَ: ﺳُﺌِﻞَ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٌ ﻋَﻦِ
{ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ}
[ﺍﻟﻔﺠﺮ: 2 ] ﻗَﺎﻝَ: «ﻫِﻲَ
ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺃَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔِ »
{ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ } এই
আয়াত দ্বারা কি
উদ্দেশ্য? তিনি
বললেন বছরের সব
উত্তম রাত্রিগুলো
উদ্দেশ্য। মুসান্নাফে
আব্দুর
রাজ্জাক-৪/৩৭৬,
হাদীস-৮১২০। আর
শবে বরাত বছরের
একটি উত্তম রজনী
তা আমরা হাদীস
দ্বারা আলোচনা
করেছি।
✏ ৪. (খ) মহান
আল্লাহ তায়ালা
পবিত্র কোরআনে
আরোও বলেন-
ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ (7/
225 )
ﺣﻢ (1 ) ﻭَﺍﻟْﻜِﺘﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
(2 ) ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ
ﻣُﺒﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ
(3 ) ﻓِﻴﻬﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ
ﺣَﻜِﻴﻢٍ (4 )............. ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ
ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻛَﻤَﺎ
ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ ﺍﻟﺦ
হা-মীম, শপথ
সুস্পষ্ট কিতাবের,
আমি একে নাযিল
করেছি এক
বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি
সতর্ককারী। এ
রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়। সূরা
আদ দুখান-১-৪।
উক্ত আয়াতে
‘‘বরকতময় রাত’’
নিয়ে মুফাসিরদের
মাঝে মতানক্য
রয়েছে, কেউ বলেন,
সেই রাত্রি হলো
লাইলাতুল কদর
আবার কেউ বা
বলেন, শবে বরাত।
কিন্তু লাইতালুল
কদর এটি অধিক
গ্রহণযোগ্য মত।
তাফসীরে ইবনে
কাসীর-৭/২২৫। আর
এই ব্যাখ্যা আহলে
হাদীসদের নয়নের
শিরোমনি আব্দুর
রহমান মুবারকপুরীও
বলেছেন। (তুহফাতুল
আহওয়াযী:৩/৩৬৭)
❏ সারকথা হলো,
পবিত্র কোরআনের
ব্যাখ্যাবিদগণ কোন
না কোন ভাবে
পবিত্র কোরআন
থেকেও শবে বরাতের
দিকে ইংঙ্গিত দেয়ার
চেষ্টা করেছেন। যা
তার মহত্বের প্রতি
ইংঙ্গিত বহন করে।////
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)
_____________________________________________
%ভারতীর দেওবন্দী ,কবর পূজারী বেরলোভী ,পির পূজারী জর্দা খুরদের দাবী %
শবে বরাত হল ভাগ্য রজনী যা ১৫ শাবান দলিল দেয় নিচের আয়াত থেকে
3 . ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
4
. ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
এই কথা দিয়ে বলে (প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।) এটা হল শবে বরাত !!!!
এদের কথা মত এটা দাড়ায় যে কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে শবে বরাতে কারন আয়াতে বলা আছে (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে)
কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে এদের মতে" ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে" কেননা এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় !!!!!!
_____________________________________________
জবাব :: কুরআন নাজিল হয়েছে " ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে " না রামাদানে দেখুন নিচের লিংকে
কারন কুরআন নাজিল আর দুখানে আয়াতে বণির্ত রাত এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ২য় অংশ
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৩য় অংশ (পর্ব) .
{ }
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (৩য় পর্ব)
আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন
উল্লেখ নেই
____________________________________________________________
শবে বরাত বলুন আর
লাইলাতুল বারায়াত
বলুন কোন
আকৃতিতে শব্দটি
কুরআন মাজীদে
খুজে পাবেন না।
সত্য কথাটাকে সহজভাবে
বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন
মাজীদে ""শবে
বরাতের"" কোন
আলোচনা নেই।
সরাসরি তো দূরের
কথা আকার
ইংগিতেও নেই।
অনেককে দেখা যায়
""শবে বরাতের"" গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের
প্রথম চারটি আয়াত
পাঠ করেন।
আয়াতসমূহ হলঃ "হা-
মীম। শপথ সুস্পষ্ট
কিতাবের। আমিতো
এটা অবতীর্ণ
করেছি এক
বরকতময় রাতে।
আমি তো
সতর্ককারী। < u> এই রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরকৃত হয়।" (সূরা
দুখান, ১-৪)
শবে বরাত পন্থী
আলেম উলামারা
এখানে বরকতময়
রাত বলতে ১৫
শাবানের রাতকে
বুঝিয়ে থাকেন।
আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে
বরকতময় রাতের
অর্থ ১৫ শাবানের
রাতকে বুঝিয়ে
থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা
আল্লাহর কালাম
বিকৃত করার মত
অপরাধ।
কারণঃ
(এক) কুরআন
মাজীদের এ
আয়াতের তাফসীর
বা ব্যাখ্যা সূরা আল-
কদর দ্বারা করা হয়।
সেই সূরায় আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন
বলেনঃ
"আমি এই কুরআন
নাযিল করেছি
লাইলাতুল কদরে।
আপনি জানেন
লাইলাতুল কদর কি?
লাইলাতুল কদর হল
এক হাজার মাস
অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
এতে প্রত্যেক
কাজের জন্য
মালাইকা
(ফেরেশ্তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার
নির্দেশে। এই শান্তি
ও নিরাপত্তা ফজর
পর্যন্ত অব্যাহত
থাকে। "(সূরা কাদর,
১-৫)
অতএব বরকতময়
রাত হল লাইলাতুল
কদর। লাইলাতুল
বারায়াত নয়।
সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল
এই সূরা আল-কদর।
আর এ ধরনের
ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল-
কুরআনের এক
আয়াতের ব্যাখ্যা
অন্য আয়াত দ্বারা
করা হল সর্বোত্তম
ব্যাখ্যা।
(দুই) সূরা দুখানের
লাইলাতুল মুবারাকার
অর্থ যদি ""শবে বরাত"" হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ
দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে
বরাতে নাযিল
হয়েছে।
অথচ আমরা
সকলে জানি আল-
কুরআন নাযিল
হয়েছে রামাযান
মাসের লাইলাতুল
কদরে।
যেমন সূরা বাকারার
১৮৫ নং আয়াতে
আল্লাহ রাব্বুল
‘আলামীন বলেন,
"রামাযান মাস, যাতে
নাযিল করা হয়েছে
আল-কুরআন।"
(তিন) অধিকাংশ
মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন
বরকতময় রাত
বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে। তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী
হওয়ার কারণে
পরিত্যাজ্য।
এ বরকতময় রাতের
দ্বারা উদ্দেশ্য যদি
শবে বরাত হয়
তাহলে শবে কদর
অর্থ নেয়া চলবেনা।
(চার) উক্ত আয়াতে
বরকতময় রাতের
ব্যাখ্যা শবে বরাত
করা হল তাফসীর
বির-রায় (মনগড়া
ব্যাখ্যা), আর
বরকতময় রাতের
ব্যাখ্যা লাইলাতুল
কদর দ্বারা করা হল
কুরআন ও হাদীস
সম্মত তাফসীর।
সকলেই জানেন
কুরআন ও হাদীস
সম্মত ব্যাখ্যার
উপসি'তিতে মনগড়া
ব্যাখ্যা (তাফসীর
বির-রায়) গ্রহণ
করার কোন সুযোগ
নেই।
(পাঁচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা
কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো
হয়েছে। সাহাবী
ইবনে আব্বাস (রাঃ),
ইবনে কাসীর,
কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা
দুখানের ‘লাইলাতুম
মুবারাকা’র অর্থ
শবে বরাত নেয়াকে
প্রত্যাখ্যান
করেছেন। (তাফসীরে
মায়ারেফুল কুরআন
দ্রষ্টব্য)
ইমাম কুরতুবী (রহঃ)
তাঁর তাফসীরে
বলেছেনঃ “কোন
কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম
মুবারাকাহ’ দ্বারা
উদ্দেশ্য হল মধ্য
শাবানের রাত (শবে
বরাত)। কিন্তু' এটা
একটা বাতিল
ধারণা।”
অতএব এ আয়াতে
‘লাইলাতুম
মুবারাকাহ’ এর অর্থ
লাইলাতুল কদর।
শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়।
(ছয়) ইকরামা (রঃ)
বরকতময় রজনীর
যে ব্যাখ্যা শাবানের
১৫ তারিখ দ্বারা
করেছেন তা ভুল
হওয়া সত্ত্বেও
প্রচার করতে হবে
এমন কোন নিয়ম-
কানুন নেই। বরং তা
প্রত্যাখ্যান করাই
হল হকের দাবী।
তিনি যেমন ভুলের
উর্ধ্বে নন, তেমনি
যারা তার থেকে
বর্ণনা করেছেন
তারা ভুল শুনে
থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়।
(সাত) শবে বরাতের
গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা
দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত- মাউত, রিয্ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান-
নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ
করা হয়। আর শবে
বরাত উদযাপন কারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন।
তারা এর উপর
ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের
চেয়ে ১৫ শাবানের
রাতকে বেশী গুরুত্ব
দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের
গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত
আয়াত উপস'াপন
করেন তারা মানুষকে
সঠিক ইসলামী
আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে- প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না।
(আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস্তারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক। (আল জামে লি আহকামিল কুরআন, সূরা আদ-দুখানের তাফসীর দ্রষ্টব্য)
লাইলাতুল বারাআত হল লাইলাতুল কদরের একটি নাম।
শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের নাম নয় ইমাম শাওকানী (রহ.) তার তাফসীর ফতহুল কাদীরে একই কথাই লিখেছেন। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর : ইমাম শাওকানী দ্রষ্টব্য) এ সকল বিষয় জেনে বুঝেও যারা ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ করবেন শবে বরাত, তারা সাধারণ মানুষদের গোমরাহ করা এবং আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না।
শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি __________________________________________________
প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই?
সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খোঁজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছেতার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি।
শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই।
এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল- কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই।অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে।
____________________
অতএব এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত অভিহিত করা মানুষের মনগড়া বানানো একটি বিদ‘আত যা কুরআন বা হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (২য় পর্ব)
প্রসঙ্গ শবে বরাত
আপনারা সূরা দোখানের (৩ ও ৪) নং ---
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ
ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল
করেছি। এক বরকতময়
রাতে, নিশ্চয়
আমি সতর্ককারী।
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়।
এই দুইটি আয়াতের
দলিল দিয়ে শবে বরাতকে জায়েয
করতে চান এবং
হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)-
এর বর্ণিত হাদিস
দিয়ে, (যেখানে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা) ঘুম
থেকে জাগ্রত
হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় না পেয়ে তাকে যখন
বাকী নামক
কবরস্থানে খুঁজে পেলেন এবং তার প্রশ্নের জবাবে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'হে আইশা জান
না আজ কোন রাত?')
দেখুন ইবনে মাজাহ
হাদীস -
১৩৮৯ ( ইসলামিক
ফাউন্ডেশন)
এই কথা দিয়ে তারা শবে বরাতকে জায়েজ করতে চায়।
আমি এইসব
সাম্মানিত শায়েক
বুজর্গ /
বুজর্গয়ানে দ্বীনদের
প্রশ্ন করি,
এই রাতটি যদি মুবারক রাত হয় (সূরা দুখানের আয়াত অনুযায়ী) হয় তাহলে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা)
ঘুমাচ্ছিলেন কেন?
এ ব্যাপারে তিনি জানতেনই
না বা কেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একা একা এই মুবারক
রাতের ফায়েজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন কি?
উম্মাতকে না জানিয়ে?? একাই ইবাদত বেশি করতে চেয়েছেন??
(নাউজুবিল্লাহ্ )।
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতকে 'লাইলাতুন
নিসফ্ মিন শাবান'
বললেন, কিন্তু
আপনাদের এ
সুন্নতটি পছন্দ
হলো না।
এই হাদীসের
আরবি সনদ দেখুন---
( ﺭﻗﻢ 974 ( ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻧﻬﺎ
ﺭﺃﺕ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺧﺮﺝ ﺫﺍﺕ ﻟﻴﻠﺔ ﺇﻟﻰ
ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ . ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻔﻌﻞ ﻧﻔﺴﻪ
ﺍﻟﺬﻱ ﺭﻭﻱ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ
ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻌﻠﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ
ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻓﻴﺤﻤﻞ ﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻭﺧﺮﻭﺟﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻓﻲ
ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ
ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ
তাহলে বুঝুন তাদের
অবস্থা।
আল্লাহ্ তা'আলা এ
উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন ও অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন এবং এ দ্বীনের মদ্ধে যে ব্যাক্তি নতুন কিছু প্রবর্তন করবে যার
তিনি অনুমোদন
দেননি তাকে তিনি অপছন্দ করেন।।
আল্লাহ্
তা'আলা বলেন ---
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ
ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲ
ﻭَﺭَﺿِﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡَ ﺩِﻳﻨًﺎ
আজ আমি তোমাদের
জন্যে তোমাদের
দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ
করে দিলাম, তোমাদের
প্রতি আমার অবদান
সম্পূর্ণ করে দিলাম
এবং ইসলামকে তোমাদের
জন্যে দ্বীন
হিসেবে পছন্দ করলাম।
সূরা মায়েদা আয়াত -৩
কিন্তু আপানাদের
বিদা'আত করা প্রছন্দ কিন্তু সুন্নত পছন্দ নয়, তাই
তো তারা বিদআ'ত
আবিষ্কার
করে সুন্নতকে হটিয়ে এ
রাতের নাম দিলেন
শবে বরাত। যারা সুন্নত
সুন্নত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন,
যারা সুন্নত রাখার
যায়গা পাননা একেবারে উপচিয়ে পড়ে তাদের
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর বলা নামটি পছন্দ হলো না কেন?
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
আপনারা যদি আরবি সনদে কোন
হাদীসে শবে ররাত শব্দ দেখাতে পাড়েন
তাহলে আমিও আজ
থেকে শবে বরাত পালন করবো।
বিদা'আতের
ব্যাপারে রাসূল (স)
সহীহ হাদীস
দ্বারা প্রমাণিত যে,
বিদা'আত মাত্রই
গুমরাহী বা ভ্রষ্ঠতা।
রাসূল (স) এ থেকে বিরত থাকার জন্য কাঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিদ‘আতের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে আমরা আরও ভয়াবহ চিত্র
দেখতে পাব।
বিদ‘আত সম্পর্কে রাসূূলুল্লাহ
(সা) এরশাদ করেন।
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ
ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ- ﺻﺤﻴﺢ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
যে ব্যক্তি আমার এই
দীনের মাঝে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়,
তবে তা প্রত্যাখ্যাত।
তিনি আরও বলেন,
ﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ ﻭﻛﻞ ﺿﻼﻟﺔ
ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ -
প্রত্যেকটি নব
উদ্ভাবিত জিনিষই
পথভ্রষ্টতা আর
পথভ্রষ্টতা দোজখের
দিকে নিয়ে যায়।
বোখারী / মুসলিম
তবে আপনারা যদি তাহাজ্জুদ
মনে করে মসজিদে কিছু সময় সলাত অতঃপর বাসায় সলাত পড়েন বা অন্যান্য ইবাদত
করেন তাহলে সমস্যা নাই
কিন্তু
আমাদের দেশে যেভাবে উৎযাপন
করা হয় এবং মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া মিলাদ
এবং
দলে দলে গিয়ে কবর জিয়ারত
করা এবং
হালুয়া রুটি খাওয়া বা বিতরন
করা তা অবশ্যই
বিদা'আত।
আপনারা আবার
ধরে নিয়েন
না যে আমি করব
জিয়ারত করতে নিশেধ করছি।কিন্তু প্রচলিত এই প্রথায় নয় করব জিয়ারত
করতে হবে রসূল ( স) সুন্নাতের প্রথায় কারন করব জিয়ারতের অনেক
গুলো সহীহ হাদীস
আছে।
পড়ে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলত মহান আল্লাহ প্রতি মদ্ধো রাত্রিতে নেমে আসেন আল্লাহ্ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে তখন আল্লাহ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে প্রার্থনা করছ আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। বুখারী শরীফ-১১৪৫, মুসলিম শরীফ-৭৫৮
এই রাতে সলাত বা ইবাদাতের জন্যে খাস করার দরকার হলে আল্লাহর নবী (স) করতেন, সাহাবা গন (রাদ) করতেন কিন্তু তা করেন নাই।
কোন কোন তাঁবে ই তা ব্যক্তির নিজস্ব কাজ। কারো নিজস্ব কাজ অন্যের জন্যে সুন্নাত বা তরীকা হতে পারেনা।
আজো কেউ যদি সাবানের আগে পরে রাত্রে এবাদাত করে এবং তাঁর অভ্যাস অনুসারে সাবানের রাতেও করে তাহলে তা ঠিক আছে।
কিন্তু সাবানের রাত কে খাস করে ইবাদাত করা বিদা'আত হবে। আল্লাহ্ ভাল জানেন। ইনশাআল্লা হ আল্লাহ্ তালা আমাদের সবাইকেই হক বুঝা ও মানার তৌফিক দাও। আমীন
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (পর্ব এক)
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত ""
------------------------------------------
নামধারী ভন্ড মুফতি এই ফেতনাবাজ দেখে নেও কুরআন কি বলে "শবে ......" এই জালিয়াত আপনিরা কুরআন থেকে "শবে বরাত" প্রমাণ করতে পারলে আমি তা পালন করব শর্ত হল "শবে" শব্দ কুরআন ও সহি হাদিস থেকে দেখাতে হবে??
------------------------------------------
সূরা: Ad-Dukhaan (The Smoke)
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৪৪
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ
1. ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺣﻢ
হা-মীম।
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
3.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
4.
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত
হয়।
5.
ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই
প্রেরণকারী।
6.
ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻚَۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ।
তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাত কোনটি ??
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে বলা আছে যে
ﺇﻧﺎَِّ ﺃﻧﺰََﻟﻨَْﺎﻩُ ﻓﻲِ ﻟﻴَْﻠﺔﻣﺒٍََُّﺎﺭﻛََﺔ َ
"আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে",
এ আয়াতের আগের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে -
2. ﻭﺍﻟَْﻜﺘَِﺎﺏِ ﺍﻟﻤُْﺒﻴﻦِِ
"শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের"।
এই আয়াত সহ মোট ১৩ বার আল্লাহ সুবঃ তাঁর কিতাব কুরআন মাজীদকে "কিতাবুম মুবীন" মানে "সুস্পষ্ট কিতাব" হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই সুস্পষ্ট কুরআনে খুবই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাদান মাসে তা শাবান মাসে নয়?
আর কুরআন নাজিলের রাত যেটি লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতময় রাত সেইটি ।
এখন দেখি আমরা এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাবকে স্পষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কোন মাসে নাজিল হয়েছে?
রামাদান মাসে না শাবান মাসে ??
সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে উত্তর দিবে - .
شهَْرُ رمََضان الذََ َِّي أنزُِلَ فيها الْقرُْآنُ "
রমযান মাস-যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে (বাকারা ২: ১৮৫)
এবার আমরা সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কে আবার প্রশ্ন করব আমরা বুঝলাম যে তুমি রামাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছো ।
তবে রামাদানের কোন সময় নাযিল হয়েছো?
রাতে না দিনে ?
রাতে হলে কোন রাতে ?
শাবানের ১৪ তারিখ দিন যেয়ে রাতে না লাইলাতুল কদরে ??
উত্তর দিবে এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কুরআন মাজিদ স্পষ্টভাবে উত্তর দিবে -সূরা: Al-Qadr (The Power, Fate)
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৯৭
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻘﺪﺭ
1.
ﺑِّﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺇِﻧَّﺎ
ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ
নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরে রাতে নাযিল
করেছি ।
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছে রামাদান মাসের লাইলাতুল কদরে কুরআন তো বল না যে সে নাযিল হয়েছে "শবে বরাতে"???
আর সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে কুরআন নাযিলের রাতকেই লাইলাতুম মুবারাকা বলা হয়েছে
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
3.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
এখানে পূর্ববতী আয়াতে বলা হয়েছে " ِশপথ সুস্পষ্ট কিতাবের" তার পরে বলা হয়েছে " আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে" এই রাত অন্য কোন রাত নয় ,
"বরকতময় রাতে হচ্ছে কদরের রাত "
তাফসীর বিশারদগণের মতে সব চেয়ে বিশুদ্ধ , নির্ভরযোগ্য সঠিক তাফসীর হচ্ছে কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর।
{আরো জানতে পড়ুন
২য় অংশ পড়ুন}
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬
হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ
হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ
এর লেখক শত শত বছর পর ৫৯৩ হিজরীতে এসে "মার গানের অধিবাসী"বুরহানউদ্দীন মারগানী" হিদায়া নামক কিতাব রচনা করে ঘোষণা দিলেন:
"নিশ্চয় হিদায়া কিতাব খানা কুরআনের মতো"নিশ্চয় এটা তার পূর্ববর্তী রচিত সকল গন্থরাজীকে রহিত করে ফেলেছে"(নাউযুবিল্লাহ)(হিদায়া মুকাদ্দামা আখেরাইন-৩য় খন্ড)
"হানাফিদের কাছে কুরআনের মত"(হিদায়া ৩য় খন্ড ২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবি। মাদ্রাসা পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজিল পাঠ্য ভূমিকা পৃঃ ৬ আরাফাত পাবলিকেশন্স)
এই মতবাদের খন্ডন।
আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনকে উদ্দেশ্য করে নিচের আয়াতে চ্যালেঞ্জ করেছে=
"আপনি বলে দিন,যুদি মানুষ এবং জ্বিন সকলে এ উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় যে এ কুরআনের মতো (কুরআন) রচনা করে আনবে তথাপিও কুরআনের অনুরূপ আনয়ন করতে পারবে না,যুদিও তারা একে অন্যের সাহায্যকারী হয়"(সূরা বানী ইসরাঈল/ইসরা ১৭নং আয়াত ৮৮;)
সূরা হূদ ১১ আয়াত ১৩; সূরা বাকারাহ ২ আয়াত ২৩-২৪;
আলোচক মুফতি মীর মোয়াজ্জম হোসাইন সাইফী
হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ
কওমীদের জন্য ।
আবূ হানিফার (রঃ) জন্ম - ৮০ হিজরীতে ।
আল হিদায়া গ্রন্থ পরিচয় : এ গ্রন্থখানি মুখতাসারুল কুদূরীর ব্যাখ্যা ।লেখক হলেন আলী বিন আবী বকর । ব্যাখ্যা গ্রন্থকানি লেখা হয় ৫৯৩ হিজরীতে ।
মুখতাসারুল কুদূরীর (৫৯৩-৪২৮)=১৬৫ বছর পর ।মুখতাসারুল কুদূরীর লেখকের সাথে হিদায়ার লেখকের কোন দিন সাক্ষাত হয় নাই ।তিনি কোন দলিলের ভিত্তিতে কোন মাসআলাহ বলেছেন তা কোন প্রকারে তার নিকট হতে জানতে পারেন নাই ।তবুও মুখতাসারুল কুদূরীর বিরট ব্যাখ্যা তানি লিখেছেন ।
এই ব্যাখ্যার মূল্যায়ন হানাফীদের নিকট কুরআনের ন্যায় । হিদায়া ৩য় খন্ড,২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবী ।মাদ্রাসার পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজেল ক্লাসের পাঠ্য, ভূমিকা পৃঃ ৬, আরাফাত পাবলিকেশন্স ।গ্রন্থখানি কওমী মাদ্রাসা ও উঁচু শ্রেণীতে পড়ানো হয় ।
গ্রন্থকার পরিচিতি : হিদায়ার লেখক কোন হাদিশবিদ ছিলেন না ।ফলে তিনি জাল ,যঈফ সকল শ্রেণীর হাদিশ নির্বিচারে দলিল হিসাবে পেশ করেছেন ।
তিনি ৫১১ হিজরিতে তুর্কি আঞ্চলের কারাগার নামক প্রদেশের মুরগিনান নামক শহরে জন্মগ্রহন করেন।
তিনি সমরকন্দ (তুর্কিঅঞ্চলের)নামক শহরে ৫৯৩ হিজরিতে মৃত্যুবরন করেন ।
ঐ শহরে মুসলিমদের ,খৃষ্টানদের ,ইহুদীদের কবরস্থানের নাম ছিল আলাদা আলাদা । ঐ আঞ্চলের মুসলিমরা কেবল মাত্র কোরআন ও হাদিশ মানে চলতেন ,কোন মাঝাব কেও মানত না । কবর স্থানের নাম গুলি হল ,
মুসলিম _ মুহাম্মাদী
খৃষ্টান _ঈসায়ী
ইহুদী _ইহুদী
হিদায়ার লেখক মারা যাবার পর মুহাম্মাদী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে দাফন করতে বাঁধা দেওয়া হয় ।তখন লেখকের ভক্তগন অন্যত্র দাফন করেন ।
হিদায়া -ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর (৫৯৩-১৫০)=৪৪৩ বত্সর পর (মৃত্যুর বছরকে লেখার বত্সর ধরা হয়েছে) লেখা হয়েছে ।
হিদায়ার লিখক ইমাম আবু হানিফার মূত্যুর (৫১১-১৫০)=৩৬১ বছর পর জন্ম নিয়ে কিভাবে ইমাম আবু হানিফার মতামত অবগত হলেন তার কোন সূত্রই বলেন নাই হিদায়াতে ।
অতএব সূত্রবিহীন কারো কোন কথা মান্য করা ইসলামে জায়েয নাই ।(সহিহ মুসলিম ১ম খন্ড) ।
[উপরোক্ত বিষয় লিখার মদ্ধ্য ভূল থাকলে আমাকে জানাবেন ।]
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
মাযহাব,
মাযহাবী কিতাব,
লা মাযহাবী,
সুফিবাদ,
হানাফি
কাঠমোল্লারা মাযহাবকে ফরজ বা ওয়াজিব করে কি ভাবে
তথাকথিত কাঠমোল্লা অরুফে
মাওলানারা চার
মাযহাব ফরজ বা ওয়াজিব
বানায় কুরআনের
আয়াতের অপব্যাখ্যা
দিয়ে।
আফসোস.....
প্রচলিত
চার মাযহাব
প্রতিষ্ঠিত হলো
রাসূল সা: এর মৃত্যুর
কয়েকশ বছর পর,
অথচ ফরজ বা ওয়াজিব
হওয়ার দলিল দিচ্ছে
কুরআন ও হাদীস
দিয়ে!! সত্যিই
বিশ্ময়কর!!
শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১১নামার খন্ড, মনছুর হাল্লাজের জিবনী
(আল-বিদায়া ওয়ান
নিহায়া ১১নামার খন্ড,
মনছুর হাল্লাজের
জিবনী।)
ﻭﻧﺤﻦ ﻧﻌﻮﺫ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻧﻘﻮﻝ
ﻋﻠﻴﻪ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻗﺎﻟﻪ ﺃﻭ
ﻧﺘﺤﻤﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﻓﻲ ﺃﻗﻮﺍﻟﻪ
ﻭﺃﻓﻌﺎﻟﻪ
আমরা আল্লাহ
তায়ালার নিকট আশ্রয়
প্রার্থনা করছি’
কারো বিরুদ্ধে এমন
মতবাদ বা এমন কাজের
কথা বলতে যা তার
মধ্যে নাই
বা যা সে করে নাই।
নাম; হুসাইন
ইবনে মানছুর
ইবনে মাহমী আল-
হাল্লাজ আবু মুগীছ।
এবং তাকে আব্দুল্লাহ ও
বলা হত। তার দাদা ছিল
অগ্নি পূজক। তার
(দাদার) নাম ছিল
মাহমী। সে ছিল
পারস্যের বাইযা শহরের
অধিবাসী।
মানছুর হাল্লাজ
প্রথমে বাগদাদে আসে।
আর মক্কায় বার বার
আসা যাওয়া করত।
প্রচন্ড ঠান্ডা ও গরমের
সময়েও
সে মসজিদে হারামে খোলা আকাশের
নীচে বসে থকত।
সারা বৎসর
ব্যাপী সে নাস্তার সময়
কিছু রুটি খেত ও
পানি পান করত।
সে জাবালে আবি-
ক্বুবাইসে প্রচন্ড গরম
পাথরের উপর
বসে থাকত। সে সূফী স
¤্রাটদের সংশ্রব গ্রহন
করেছিল। যেমন;
জুনাইদ ইবনে মুহাম্মদ,
আমর ইবনে উসমান
মাক্কী, আবুল হুসাইন
নুরী।
খতীব বাগদাদী বলেন,
সুফিরা মানছুর
হাল্লাজের
ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন
মত পোষণ করেছে।
সুফিদের অধিকাংশই
হাল্লাজকে তাদের
দলভুক্ত মনে করত না।
এবং তারা অসম্মত ছিল
হাল্লাজকে তাদের
মধ্যে গণণা করতে। কিছু
সূফী হাল্লজকে তাদের
অর্ন্তভূক্ত মনে করত।
যেমন; আবুল আব্বাস
ইবনে আতা বাগদাদী,
মুহাম্মদ ইবনে খাফিফ
সিরাজী, ইব্রাহিম
ইবনে মুহাম্মদ
নাছরাবাজী নাইছাবোরী।
তারা মানছুর হাল্লাজের
অবস্থা গুলোকে ছহীহ
বলে প্রচার করত ও তার
কথাগুলো লিখে রাখত।
এমন কি ইবনে খাফিফ
বলত; হাল্লাজ
হচ্ছে আলেমে রব্বানী।
আবু আব্দুর রহমান
আস-সালামী বলেন;
(তার নাম
হচ্ছে মুহাম্মদ
ইবনে হুসাইন)
আমি ইব্রাহিম
ইবনে মুহাম্মদ
নাছরাবাজীকে বলতে শুনেছি;
কেউ হাল্লাজকে কোন
কারণে তিরষ্কার
করছিল,তখন
সে বললঃ যাকে তোমরা নিন্দা করছ
প্রকৃতপক্ষে নবী ও
সিদ্দীক্বীনদের
পরে যদি কোন মুয়াহ্হীদ
থেকে থাকে তাহলে সে হচ্ছে হাল্লাজ।
আবু আব্দুর রহমান
বলেন আমি মনছুর
ইবনে আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি,
আমি শিবলীকে বলতে শুনেছি;
সে বলত
আমি এবং হাল্লাজ
একই। তবে হাল্লাজ
হচ্ছে প্রকাশ্যে আমি হচ্ছি গোপনে।
এবং তার থেকে ভিন্ন
আরেকটি বর্ণনা আছে তা হল;
সে যখন
হাল্লাজকে শুলিবিদ্ধ
অবস্থায় দেখল তখন
সে বলল,
আমি তোমাকে পৃথিবী থেকে নিষেধ
করি নাই।
খতিব বাগদাদী বলেন;
যারা হাল্লাজকে সূফীদের
অর্ন্তভূক্ত মনে করত
না তারা হাল্লাজকে সম্পৃক্ত
করত ধোকাবাজদের
সাথে।
এবং তারা মনে করত
সে হচ্ছে একজন
যিন্দিক। আর হাল্লাজ
ছিল মিষ্ট
ভাষী এবং সূফী তরীকার
উপর তার অনেক
কবিতা রয়েছে।
খতিব বাগদাদী বলেন,
হাল্লাজের কতল
পর্যন্ত তার বিষয়
নিয়ে মানুষের
মধ্যে মতবিরোধ ছিল।
অথচ ফোকাহায়ে কেরাম
এর ইজমার উপর
ভিত্তি করেই
তাকে কতল
করা হয়েছে। সে ছিল
একজন কাফির,
যিন্দিক ও ধোঁকাবাজ।
আর সূফীদের অধিকাংশ
এই মতই পোষণ করতেন।
মানছুর হাল্লাজের
বাহ্যিকতা ছুফিদের
ধোকায় ফেলেছে।
তারা তার অদৃশ্যের
ব্যাপারে জানত না।
কারণ; প্রথমে সে খুব
ইবাদত করত;
এবং সূলূকের
লাইনে চলত। কিন্তু
সে ছিল মূর্খ। তার
কাজের কোন
ভিত্তি ছিল না। তার
বাহ্যিক অবস্থা ছিল
তাকওয়ার উপর।
এজন্যই সে ভালর
চেয়ে খারাপটাই
বেশী করত। সুফিয়ান
ইবনে উয়াইনা বলেন-
ﻣﻦ ﻓﺴﺪ ﻣﻦ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ :ﻛﺎﻥ
ﻓﻴﻪ ﺷﺒﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩ: ﻣﻦ ﻓﺴﺪ
ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻧﺎ: ﻛﺎﻥ ﻓﻴﻪ ﺷﺒﻪ ﻣﻦ
ﺍﻟﻨﺼﺎﺭﻱ .
অথ্যাৎ, “আমাদের
আলেমদের মধ্য
থেকে যে ভ্রান্ত
হয়ে যায় তার
মাঝে ইয়াহুদীদের
সাদৃশ্য পাওয়া যায়। আর
আবেদগণের মধ্য
থেকে যে ভ্রান্ত
হয়ে যায় তার
মাঝে খৃষ্টানদের সাদৃশ্য
পাওয়া যায়।”
আর এজন্যই
হাল্লাজের
মধ্যে হুলোলের (বান্দার
মাঝে আল্লাহ্
তা’আলার মিশ্রণ হওয়া)
আক্বিদাহ প্রবেশ
করেছিল।
মানছুর হাল্লাজ
বিভিন্ন
শহরে আসা যাওয়া করত
এবং সে মানুষের
সামনে নিজেকে একজন
দায়ী হিসাবে প্রকাশ
করত। এবং ছহীহ
ভাবে প্রমাণিত
আছে সে হিন্দুস্থানে এসেছিল
এবং যাদু শিখিয়েছিল।
এবং সে বলত আমি এর
(যাদু)
মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর
দিকে আহ্বান করি।
হিন্দুস্থানের
লোকেরা তাকে মুগীছ
(সাহায্যকারী)
বলে ডাকত।
ছুরকিছানের
লোকেরা তাকে মুক্বীদ
(খাদ্য দানকারী)
বলে ডাকত। খুরাসান
বাসীরা তাকে মুমাইয়িয
(পার্থক্যকারী)
বলে ডাকত।
পারস্যবাসীরা তাকে আবু
আব্দিল্লাহ যাহেদ
বলে ডাকত। খুজেসতান
বাসীরা তাকে আবু
আব্দিল্লাহ যাহেদ
হাল্লাজ আল-আসরার
বলে ডাকত। আর বাগদাদ
বাসীরা তাকে মুসতালাম
বলে ডাকত। আর
বসরাবাসীরা তাকে মুহাইয়ির
বলে ডাকত।
মানছুরকে হাল্লাজ নাম
করণের কারণ হচ্ছে,
সে মানুষের গোপন বিষয়
প্রকাশ করত। কেউ
বলেন হাল্লাজ একবার
কোন এক
ব্যক্তিকে বলল,
তুমি আমার অমুক
কাজগুলো করে দাও।
অতপর ঐ ব্যক্তি বলল
আমি তুলার বীজ বাছাই
করতে ব্যাস্ত আছি।
তখন মানছুর হাল্লাজ ঐ
ব্যক্তিকে বলল, যাও
আমি তোমার কাজ
করে দিচ্ছি। ঐ
লোকটি দ্রুত কাজ
সমাপ্ত করে এসে দেখল
মনছুর হাল্লাজ
তুলা থেকে বীজ
আলাদা করে বাছাই
করে রেখেছে। বলা হয়
হাল্লাজ সুরমার
কাঠি দিয়ে ইশারা করলে তুলার
বীজ আলাদা হয়ে যেত।
(ইবনে কাছীর রহঃ)
বলেন শয়তান তার
সাথীদেরকে এ জাতীয়
কাজে সাহায্য
করে এবং তাদের
মাধ্যমে কাজ নেয়। আর
সে হুলোলের
বিশ্বাসী ছিল যা তার
কবিতা থেকে বুঝে আসে।
ﺟﺒﻠﺖ ﺭﻭﺣﻚ ﻓﻲ ﺭﻭﺣﻲ ﻛﻤﺎ ...
ﻳﺠﺒﻞ ﺍﻟﻌﻨﺒﺮ ﺑﺎﻟﻤﺴﻚ ﺍﻟﻔﻨﻖ ...
ﻓﺈﺫﺍ ﻣﺴﻚ ﺷﻲﺀ ﻣﺴﻨﻲ ...
ﻭﺇﺫﺍ ﺃﻧﺖ ﺃﻧﺎ ﻻ ﻧﻔﺘﺮﻕ
১. তোমার রুহ আমার
রুহে এমন ভাবে প্রবেশ
করেছে,
যেমনিভাবে মৃগনাভীর
সাথে কোমল পানির
মিশ্রণ হয়।
সুতরাং যখন কোন
জিনিস তোমাকে স্পর্শ
করে তা যেন আমাকেই
স্পর্শ করে। অতএব
তুমিই আমি, আমাদের
মাঝে কোন পৃথকতা নেই।
ﻭﻗﻮﻟﻪ ... ﻣﺰﺟﺖ ﺭﻭﺣﻚ ﻓﻲ
ﺭﻭﺣﻲ ﻛﻤﺎ ... ﺗﻤﺰﺝ ﺍﻟﺨﻤﺮﺓ
ﺑﺎﻟﻤﺎﺀ ﺍﻟﺰﻻﻝ ... ﻓﺈﺫﺍ ﻣﺴﻚ
ﺷﻲﺀ ﻣﺴﻨﻲ ... ﻓﺈﺫﺍ ﺃﻧﺖ ﺃﻧﺎ
ﻓﻲ ﻛﻞ ﺣﺎﻝ
২. তোমার রুহ আমার
রুহের সাথে এমন
ভাবে মিশ্রণ
ঘটেছে যেভাবে পানির
মিশ্রণ ঘটে রঙ্গের
সাথে। সুতরাং যখন কোন
জিনিস তোমাকে স্পর্শ
করে তা যেন আমাকেই
স্পর্শ করে। অতএব
সর্ব অবস্থায় তুমিই
আমি, এবং আমিই তুমি ।
ﻭﻗﻮﻟﻪ ﺃﻳﻀﺎ ... ﻗﺪ ﺗﺤﻘﻘﺘﻚ
ﻓﻲ ﺳﺮ ... ﻱ ﻓﺨﺎﻃﺒﻚ
ﻟﺴﺎﻧﻲ ... ﻓﺎﺟﺘﻤﻌﻨﺎ ﻟﻤﻌﺎﻥ ...
ﻭﺍﻓﺘﺮﻗﻨﺎ ﻟﻤﻌﺎﻥ ... ﺇﻥ ﻳﻜﻦ
ﻏﻴﺒﺘﻚ ﺍﻟﺘﻌﻈﻲ ... ﻡ ﻋﻦ ﻟﺤﻆ
ﺍﻟﻌﻴﺎﻥ ... ﻓﻠﻘﺪ ﺻﻴﺮﻙ ﺍﻟﻮﺝ ...
ﺩ ﻣﻦ ﺍﻷﺣﺸﺎﺀ ﺩﺍﻥ৩. নিঃসন্দেহে আমিই
তুমি , সুতরাং তোমার
পবিত্রতা ঘোষণা করা মানেই
হচ্ছে আমার
পবিত্রতা ঘোষণা করা।
এবং তোমার একাত্ব
মানেই হচ্ছে আমার
একাত্ব, এবং তোমার
অবাধ্যতা মানেই
হচ্ছে আমার অবাধ্যতা।
ﻭﻗﺪ ﺃﻧﺸﺪ ﻻﺑﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﻗﻮﻝ
ﺍﻟﺤﻼﺝ ... ﺃﺭﻳﺪﻙ ﻻ ﺃﺭﻳﺪﻙ
ﻟﻠﺜﻮﺍﺏ ... ﻭﻟﻜﻨﻲ ﺃﺭﻳﺪﻙ
ﻟﻠﻌﻘﺎﺏ ... ﻭﻛﻞ ﻣﺂﺭﺑﻲ ﻗﺪ ﻧﻠﺖ
ﻣﻨﻬﺎ ... ﺳﻮﻯ ﻣﻠﺬﻭﺫ ﻭﺟﺪﻱ
ﺑﺎﻟﻌﺬﺍﺏ ...
ﻓﻘﺎﻝ ﺑﺎﻧﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﻗﺎﻝ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ
ﺗﺰﺍﻳﺪ ﺑﻪ ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﺸﻐﻒ ﻭﻫﻴﺎﻡ
ﺍﻟﻜﻠﻒ ﻭﺍﺣﺘﺮﺍﻕ ﺍﻷﺳﻒ ﻓﺈﺫﺍ
ﺻﻔﺎ ﻭﻭﻓﺎ ﻋﻼ ﺇﻟﻰ ﻣﺸﺮﺏ
ﻋﺬﺏ ﻭﻫﺎﻃﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﺩﺍﺋﻢ
ﺳﻜﺐ ﻭﻗﺪ ﺃﻧﺸﺪ ﻷﺑﻲ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ
ﺑﻦ ﺧﻔﻴﻒ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﺤﻼﺝ ...
ﺳﺒﺤﺎﻥ ﻣﻦ ﺃﻇﻬﺮ ﻧﺎﺳﻮﺗﻪ ...
ﺳﺮﺳﻨﺎ ﻻﻫﻮﺗﻪ ﺍﻟﺜﺎﻗﺐ ... ﺛﻢ
ﺑﺪﺍ ﻓﻲ ﺧﻠﻘﻪ ﻇﺎﻫﺮﺍ ... ﻓﻲ
ﺻﻮﺭﺓ ﺍﻵﻛﻞ ﻭﺍﻟﺸﺎﺭﺏ ... ﺣﺘﻰ
ﻗﺎﻝ ﻋﺎﻳﻨﻪ ﺧﻠﻘﻪ ... ﻛﻠﺤﻈﺔ
ﺍﻟﺤﺎﺟﺐ ﺑﺎﻟﺤﺎﺟﺐ ...
ﻓﻘﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺧﻔﻴﻒ ﻋﻼ ﻣﻦ
ﻳﻘﻮﻝ ﻫﺬﺍ ﻟﻌﻨﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻘﻴﻞ ﻟﻪ
ﺇﻥ ﻫﺬﺍ ﻣﻦ ﺷﻌﺮ ﺍﻟﺤﻼﺝ ﻓﻘﺎﻝ
ﻗﺪ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻘﻮﻻ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻳﻨﺴﺐ
ﺇﻟﻴﻪ ﺃﻳﻀﺎ ... ﺃﻭﺷﻜﺖ ﺗﺴﺄﻝ
ﻋﻨﻲ ﻛﻴﻒ ﻛﻨﺖ ... ﻭﻣﺎ ﻻﻗﻴﺖ
ﺑﻌﺪﻙ ﻣﻦ ﻫﻢ ﻭﺣﺰﻥ ... ﻻ ﻛﻨﺖ
ﻻ ﻛﻨﺖ ﺇﻥ ﻛﻨﺖ ﺃﺩﺭﻱ ﻛﻴﻒ
ﻛﻨﺖ ... ﻭﻻ ﻻ ﻛﻨﺖ ﺃﺩﺭﻱ ﻛﻴﻒ
ﻟﻢ ﺃﻛﻦ ...
ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺧﻠﻜﺎﻥ ﻭﻳﺮﻭﻯ
ﻟﺴﻤﻨﻮﻥ ﻻ ﻟﻠﺤﻼﺝ ﻭﻣﻦ ﺷﻌﺮﻩ
ﺃﻳﻀﺎ ﻗﻮﻟﻪ ... ﻣﺘﻰ ﺳﻬﺮﺕ
ﻋﻴﻨﻲ ﻟﻐﻴﺮﻙ ﺃﻭ ﺑﻜﺖ ... ﻓﻼ
ﺃﻋﻄﻴﺖ ﻣﺎ ﺃﻣﻠﺖ ﻭﺗﻤﻨﺖ ...
ﻭﺇﻥ ﺃﺿﻤﺮﺕ ﻧﻔﺴﻲ ﺳﻮﺍﻙ
ﻓﻼ ﺯﻛﺖ ... ﺭﻳﺎﺽ ﺍﻟﻤﻨﻰ ﻣﻦ
ﻭﺟﻨﺘﻴﻚ ﻭﺟﻨﺖ ... ﻭﻣﻦ ﺷﻌﺮﻩ
ﺃﻳﻀﺎ ... ﺩﻧﻴﺎ ﺗﻐﺎﻟﻄﻨﻲ ﻛﺄﻥ ...
ﻱ ﻟﺴﺖ ﺃﻋﺮﻑ ﺣﺎﻟﻬﺎ ... ﺣﻈﺮ
ﺍﻟﻤﻠﻴﻚ ﺣﺮﺍﻣﻬﺎ ... ﻭﺃﻧﺎ
ﺃﺣﺘﻤﻴﺖ ﺣﻼﻟﻬﺎ ... ﻓﻮﺟﺪﺗﻬﺎ
ﻣﺤﺘﺎﺟﺔ ... ﻓﻮﻫﺒﺖ ﻟﺬﺗﻬﺎ ﻟﻬﺎ ...
ﻭﻗﺪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺤﻼﺝ ﻳﺘﻠﻮﻥ ﻓﻲ
ﻣﻼﺑﺴﻪ ﻓﺘﺎﺭﺓ ﻳﻠﺒﺲ ﻟﺒﺎﺱ
ﺍﻟﺼﻮﻓﻴﺔ ﻭﺗﺎﺭﺓ ﻳﺘﺠﺮﺩ ﻓﻲ
ﻣﻼﺑﺲ ﺯﺭﻳﺔ ﻭﺗﺎﺭﺓ ﻳﻠﺒﺲ
ﻟﺒﺎﺱ ﺍﻷﺟﻨﺎﺩ ﻭﻳﻌﺎﺷﺮ ﺃﺑﻨﺎﺀ
ﺍﻷﻏﻨﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﻠﻮﻙ ﻭﺍﻷﺟﻨﺎﺩ
ﻭﻗﺪ ﺭﺁﻩ ﺑﻌﺾ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻓﻲ
ﺛﻴﺎﺏ ﺭﺛﺔ ﻭﺑﻴﺪﻩ ﺭﻛﻮﺓ
ﻭﻋﻜﺎﺯﺓ ﻭﻫﻮ ﺳﺎﺋﺢ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ
ﻣﺎ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺤﺎﻟﺔ ﻳﺎ ﺣﻼﺝ ﻓﺄﻧﺸﺄ
ﻳﻘﻮﻝ ... ﻟﺌﻢ ﺃﻣﺴﻴﺖ ﻓﻲ
ﺛﻮﺑﻲ ﻋﺪﻳﻢ ... ﻟﻘﺪ ﺑﻠﻴﺎ ﻋﻠﻰ
ﺣﺮ ﻛﺮﻳﻢ ... ﻓﻼ ﻳﻐﺮﺭﻙ ﺃﻥ
ﺃﺑﺼﺮﺕ ﺣﺎﻻ ... ﻣﻐﻴﺮﺓ ﻋﻦ
ﺍﻟﺤﺎﻝ ﺍﻟﻘﺪﻳﻢ ... ﻓﻠﻲ ﻧﻔﺲ
ﺳﺘﺘﻠﻒ ﺃﻭ ﺳﺘﺮﻗﻰ ... ﻟﻌﻤﺮﻙ
ﺑﻲ ﺇﻟﻰ ﺃﻣﺮ ﺟﺴﻴﻢ ... ﻭﻣﻦ
ﻣﺴﺘﺠﺎﺩ ﻛﻼﻣﻪ ﻭﻗﺪ ﺳﺄﻟﻪ
ﺭﺟﻞ ﺃﻥ ﻳﻮﺻﻴﻪ ﺑﺸﻲﺀ ﻳﻨﻔﻌﻪ
ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﻋﻠﻴﻚ ﻧﻔﺴﻚ ﺇﻥ
ﻟﻢ ﺗﺸﻐﻠﻬﺎ ﺑﺎﻟﺤﻠﻖ ﻭﺇﻵ
ﺷﻐﻠﺘﻚ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﻭﻗﺎﻝ ﻟﻪ
ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻋﻈﻨﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﻛﻦ ﻣﻊ
ﺍﻟﺤﻖ ﺑﺤﻜﻢ ﻣﺎ ﺃﻭﺟﺐ
(ইমাম ইবনে কাছীর
(রহঃ) বলেন), হাল্লাজ
শেষে স্থির
থাকতে পারেনি ।
এবং সে ভুলে পতিত
হয়েছে এবং সে বক্রপথ
অবলম্বন
করেছে,গোমরাহী ও
বিদআতে লিপ্ত হয়েছে।
আমরা আল্লাহর
কাছে এর থেকে পানাহ
চাই।
আবু আবদুর রহমান
সালামী আমর
ইবনে উসমান
মাক্কী থেকে বর্নণা করেন,
তিনি বলেন,
আমি হাল্লাজের
সাথে মক্কার কিছু
জায়গায় হাটছিলাম ও
কোরআন তিলাওয়াত
করছিলাম হাল্লাজ
আমার তিলাওয়াত
শুনে বলল কোরআনের
মত আমিও বলতে পারি।
অতপর আমি তার
থেকে পৃথক হয়ে গেলাম।
খতীব বাগদাদী বলেন
মাসউদ ইবনে নাসের
বর্র্নণা করেন,
ইবনে বাকু
সিরাজী থেকে বর্ননা করেন,
আমি আবু যুর’আ
তাবারী থেকে শুনেছি তিনি বলেন,
মানুষ এর মধ্যে কেউ
হাল্লাজকে গ্রহন
করেছে আবার কেউ
প্রত্যাখান করেছে।
মুহাম্মাদ
ইবনে ইয়াহ্ইয়া রাজী বলেন,
আমি শুনেছি আমর
ইবনে ওসমান
হাল্লাজকে লানাত
করেছে এবং সে বলত
আমার
শক্তি থাকলে হাল্লাজ
কে আমি নিজ
হাতে হত্যা করতাম।
আমি তাকে বললাম
হাল্লাজকে কিসের
উপর পেয়েছ? সে বলল
আমি কোআনের আয়াত
তিলাওয়াত করলাম,
তখন সে বলল,
আমি ক্ষমতা রাখি এমন
কোরআন
লিখতে এবং বলতে। আবু
যুর’আ তাবারী বলেন
আমি আবু ইয়াকুব
আকতাহ্
কে বলতে শুনেছি,
সে বলল আমি আমার
মেয়েকে বিবাহ দিলাম,
যখন সুলুকের
লাইনে হাল্লাজের
সুন্দর পদ্ধতি ও প্রচন্ড
চেষ্টা দেখলাম। তার
কিছুদিন পরে আমার
কাছে বিকশিত হল
যে সে হল একজন
যাদুকর ও ধোঁকাবাজ
ভেল্কীবাজ ও কাফের।
ইমাম ইবনে কাসীর
বলেন, এই বিবাহ
মক্কায় হয়েছিল।
মেয়ের নাম ছিল উম্মুল
হুসাইন বিনতে আবু
ইয়াকুব আক্তা।
মেয়েটির
ঘরে একটি সন্তান
হয়ে ছিল যার নাম
আহমদ ইবনে হুসাইন
ইবনে মানসুর। আহমদ
(হাল্লাজের পুত্র) তার
বাবার জীবনিতে ঐ
কথাগুলোই উল্লেখ
করেছেন যেগুলো খতীব
বাগদাদী বলেছেন।
আবুল কাসেম
কুশায়রী তার রেসালায়
উল্লেখ করেছেন হেফজ
কুলুবুল মাশায়েখ
অধ্যায়ে যে, আমর
ইবনে ওসমান মক্কায়
হাল্লাজের নিকট
গিয়েছিল। তখন
সে একটি পাতায় কিছু
লিখছিল।
তাকে জিজ্ঞেস
করা হল, এটা কি?
সে বলল,
“ইহা কেরআনের
বিপরীত লিখা হচ্ছে।”
কুশায়রী বলেন অতপর
হাল্লাজের জন্য বদ
দু’আ করা হল। এরপর
সে আর সফল
হতে পারেনি। আর
ইয়াকুব
আক্তা হাল্লাজের
সাথে তার মেয়ের
বিবাহের
ব্যপারটি অস্বীকার
করল । আমর
ইবনে ওসমান
চিঠি লিখে বিভিন্ন
প্রান্তে পাঠিয়ে দিল
যাতে মানুষদেরকে হাল্লাজের
ব্যাপারে সতর্ক
করা হয়েছে। অতপর
হাল্লাজ বিভ্রান্ত
অবস্থায়
শহরে ঘুরতে লাগল। আর
লোকদের
সামনে নিজেকে আল্লাহর
দিকে আহবানকারী হিসাবে প্রকাশ
করত। আর
এতে বিভিন্ন ভেল্কির
সাহায্য নিত। এভাবেই
সে চলতে ছিল।
এমনকি আল্লাহ্
তা’আলা তার এই
অনিষ্ঠতা থেকে রক্ষা করল
শরীয়াতের ফায়সালায়
তাকে হত্যা করে।
যে ফায়সালা জিন্দিক
ছাড়া অন্য কারো উপর
হয় না। আর হাল্লাজ
কোরআনের উপর
আক্রমন করেছিল।
আর
সে তা করতে চেয়েছিল
হারাম শরীফে অথচ
আল্লাহ
তা’আলা জিব্রাইলের
মাধ্যমে নাযিল
করেছেন, ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﺮِﺩْ ﻓِﻴﻪِ
ﺑِﺈِﻟْﺤَﺎﺩٍ ﺑِﻈُﻠْﻢٍ ﻧُﺬِﻗْﻪُ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏٍ
ﺃَﻟِﻴﻢٍ
এখানে (মসজিদে হারামে)
যে-ই
সততা থেকে দূরে গিয়ে জুলুমের
পথ অবলম্বন
করবে তাকেই
আমি যন্ত্রনাাদায়ক
আযাবের স্বাদ
আস্বাদন করাব। (সূরা:
হজ্ব ২০)
হাল্লাজের এই কাজের
আর কি কাজ এমন
হতে পারে যা সত্য
থেকে দূরে সরায় তার
কাজগুলি মক্কার
কাফের কুরাইশদের
কাজের সাথে সদৃশ্য
রাখে। যেমনটা আল্লাহ
বলেছেন,
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺗُﺘْﻠَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺁﻳَﺎﺗُﻨَﺎ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ
ﻗَﺪْ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻟَﻮْ ﻧَﺸَﺎﺀُ ﻟَﻘُﻠْﻨَﺎ ﻣِﺜْﻞَ
ﻫَﺬَﺍ ﺇِﻥْ ﻫَﺬَﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﺳَﺎﻃِﻴﺮُ
ﺍﻟْﺄَﻭَّﻟِﻴﻦَ
যখন তাদের
সামনে আয়াত
তিলাওয়াত করা হয়
তখন
তারা বলে আমরা তা শুনলাম,
আমরা যদি চাই
তাহলে এই কোআনের
মত আমরাও কিছু
বলতে পারি। এতো সেই
সব
পুরনো কাহিনী যা আগে থেকে লোকেরা বলে আসছে (সূরা:
আনফাল, ৩১)
(ﺃﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﺣﻴﻞ ﺍﻟﺤﻼﺝ)
হাল্লাজের
ভেল্কিবাজী
(হাল্লাজের কিছু
ভেল্কিবাজী): খতীব
বাগদাদী রহ:
বর্ননা করেন, হাল্লাজ
তার সহযোগীদের মধ্য
থেকে বিশেষ
একজনকে নির্দেশ দিল
পাহাড়ি এলাকার
বাহিরে যেতে।। আর
সেখানে গিয়ে প্রথমে বেশী বেশী ইবাদাত
ও দুনিয়া বিমুখতা যেন
প্রকাশ করে। কারন
মানুষ যখন তার ইবাদত
দেখবে তাকে তারা গ্রহন
করে নিবে ও বিশ্বাস
করে নিবে যে এই
লোকটা খুবই ভাল। এই
অবস্থা তৈরী হলে সে যেন
প্রকাশ
করে যে সে অন্ধ
হয়ে গিয়েছে।
লোকেরা তার
চিকিৎসা করতে চেষ্টা করলে যেন
তাদের
বলে হে কল্যানের
জামাত, তোমাদের এই
চেষ্টার কোন
ফায়দা হবেনা। এর
কিছুদিন পর যেন
প্রকাশ
করে যে সে রাসূল (সাঃ)
কে স্বপ্নে দেখেছে।
এবং রাসূল (সাঃ)
তাকে বলেছে কতুবের
সাহায্য
ছাড়া তুমি সুস্থ্য
হবে না। অচিরেই কুতুব
সাহেব তোমার
কাছে আসবে অমুক
মাসের এই দিনে। তার
গুণসমূহ হবে এমন এমন।
হাল্লাজ তাকে বলল ঐ
সময় আমি তোমার
কাছে আসব। অতপর
লোকটি ঐ
শহরে চলে গেল
এবং অনেক ইবাদত
করে নিজেকে প্রকাশ
করল ও কোরআন পাঠ
করত। কিছুদিন
এভাবেই থাকল।
লোকেরা তাকে পছন্দ
করল এবং অনেক
ভালবাসল। হঠাৎ
একদিন সে প্রকাশ
করল যে সে অন্ধ
হয়ে গিয়েছে। কিছু সময়
এ অবস্থায় থাকার পর
সে প্রকাশ করল
যে আমি পঙ্গু
হয়ে গিয়েছি। তখন ঐ
এলাকার
লোকেরা তাকে সবধরনের
চিকিৎসা করাল। কিন্তু
এতে কোন ফল
পাওয়া গেলনা। তখন
সে লোকদের
ডেকে বলল,
ওহে কল্যানের জামাত
তোমরা যা করছ
এতে আমি সুস্থ্য
হবনা কারন
আমি স্বপ্নে দেখেছি রাসূল
(সাঃ) আমাকে ঘুমের
ঘরে বলছেন তোমার
সুস্থতা অমুক কুতুবের
হাতে। অচিরেই
সে তোমার
কাছে আসবে। তখন
লোকেরা তাকে প্রথমে মসজিদে না নিয়ে অন্য
জায়গায় নিয়ে গেল।
কিন্তু
পরে তাকে অনেক
সম্মান করতে শুরু করল
অতপর হাল্লাজের
বেধে দেওয়া সময়ে হাল্লাজ
এ শহরে গোপনে প্রবশ
করল। তার গায়েছিল
সাদা রংয়ের
পশমি পোষাক।
সে মসজিদে প্রবেশ
করল
এবং একটি কোনে বসে ইবাদত
করতে লাগল আর
সে কারো দিকে তাকাত
না। হল্লাজের সাথীর
বর্ণনাকৃত গুন
অনুপাতে লোকেরা তাকে চিনল।
তার সাথে মুসাফা করল,
সালাম দিল ও সম্মান
করল এবং অন্ধ
ব্যক্তিকে তা জানানো হল।
সে বলল তার
গুনগুলি বর্ণনা কর।
লোকেরা গুণ
বর্ণনা করলে সে বলল এ
তো ঐ ব্যক্তি যার
ব্যাপারে রাসূল (সাঃ)
আমকে বলেছেন যে,
তোমার সুস্থতা অমুক
কুতুবের হাতে।
সুতরাং তোমরা আমাকে ঐ
ব্যক্তির
কাছে নিয়ে চল।
লোকেরা তাকে নিয়ে গেল।
তাকে চিনল এবং বলল
হে আল্লাহর বান্দা,
রাসূল (সাঃ)
স্বপ্নে আমাকে আপনার
কথা বলেছেন।
পুরো স্বপ্নের
কথা সে বলল হাল্লাজ
তা শুনে দুহাত দুআর
জন্য উপরে উঠাল
এবং তার জন্য দু’আ
করল। তারপর তার
লালা নিয়ে অন্ধ
ব্যক্তির
চোখে লাগালে তার চোখ
এমন ভাবে ভাল হল যেন
পূর্বে তার চোখ অন্ধই
ছিলনা এমন মনে হল।
অতপর তার লালা পঙ্গু
ব্যক্তির
পায়ে লাগালে সাথে সাথে সে ভাল
হয়ে হাটতে লাগল যেন
ইতপূর্বে তার কোন
রোগই ছিল না।
সেখানে ঐ এলাকার লোক
সকল ও এলাকার আমীর
উপস্থিত ছিল তখন
লোকেরা জোরে চিৎকার
করে উঠল এবং তাকবির
দিয়ে প্রকম্পন
সৃষ্টি করল
এবং তাসবিহ পাঠ করল।
আর
লোকেরা হাল্লাজকে অনেক
অনেক সম্মান
করতে লাগল। এ এলাকার
লোকেরা হাল্লাজকে এত
বেশী ভালবেসে ফেলল
যে, সে যা চাইত
তা তারা দিয়ে দিতে প্রস্তুত
হয়ে গেল। হাল্লাজ ঐ
এলাকা থেকে চলে যাওয়ার
ইচ্ছে করল। তখন
লোকেরা তাকে অনেক
মাল
জমা করে দিতে চাইলে সে বলল,
আমি এই এলাকায়
পৌছেছি দুনিয়াকে পরিত্যাগের
মাধ্যমে। সুতরাং আমার
ধন সম্পদের প্রয়োজন
নেই তবে তোমাদের ঐ
সাথীর প্রয়োজন
থাকতে পারে কেননা তার
অনেক অবদাল
সাথী রয়েছে যারা জিহাদ
করে হজ্ব
করে এবং সদকা করে।
তখন ঐ অন্ধ
ব্যক্তি (হাল্লাজের
সাথী) বলল হা’ আমাদের
শাইখ সত্য বলেছেন
যার মাধ্যমে আল্লাহ
আমায়
দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে।
সুতরাং আমি বাকী জীবন
জিহাদে কাটাব
এবং বাইতুল্লায় আমার
আবদাল সাথীদের
সাথে হজ্বের মাধ্যমে ,
অতপর হাল্লাজ
লোকদের কে উদ্ধুদ্ধ
করলেন তার
সাথীকে মালা দিতে।
অতপর হাল্লাজ ঐ স্থান
ছেড়ে চলে গেল। আর ঐ
লোক কিছুদিন লোকদের
মাঝে থেকে অনেক
সম্পদ একত্রিত
করে হাল্লাজের
কাছে চলে আসল
এবং দুজন
এগুলোকে বন্টন
করে নিয়েছিল।
আব্দুর রহমান
সালামী বলেন
আমি ইব্রাহীম
ইবনে মুহাম্মদ ওয়ায়েজ
থেকে শুনেছি যে আবু
বকর ইবনে মামশাজ
বলেন দায়নুয়ে আমাদের
কাছে এক
ব্যক্তি উপস্থিত হল
যার ঘাড়ে সবসময়
একটি গাট্টি ঝুলানো থাকত।
তার
গাট্টি থেকে আমরা তালাশ
করে একটি হাল্লাজের
চিঠি পেয়েছি। যার
হেডলাইন ছিল
রাহমানুর রাহিম এর
পক্ষ থেকে(লেখা চিঠি)
অমুকের নিকট। অতপর
ঐ লোক ও চিঠিসহ
ইরাকে পাঠানো হল।
হাল্লাজকে এ
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সে তা স্বীকার
করল যে, এই চিঠি তার
নিজের লেখা। তখন
বাগদাদের
লোকেরা তাকে বলল
তুমি (ইতিপূর্বে)
নবী দাবী করেছিলে,
এখনতো দেখা যাচ্ছে তুমি ইলাহ
দাবি ও রব দাবি করছ!
সে বলল না, কিন্তু
আমার কাছে তো শুধু
জমাকৃত, আর
লেখকতো একমাত্র
আল্লাহই, অন্য কেউ
না।
আমিতো একটি যন্ত্রমাত্র।
তখন তাকে বলা হল
তোমার সাথে এই মতের
আর কেউ আছে কি?
তখন সে বলল
হ্যাঁ আছে ইবনে আতা এবং আবু
মুহাম্মদ হারিরিও
আবুবকর শিবলী। আবু
হারিরিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলল
হাল্লাজের
কথা শাস্তিযোগ্য।
শিবলীকে জিজ্ঞেস
করা হলে সে বলল
যে এমন
বলবে তাকে বাধা দেওয়া হবে।
এমনকি এই চিঠিই তার
ধ্বংসের কারণ
হয়ে দাড়ায়। আবু আব্দুর
রহমান সালামী মুহাম্মদ
ইবনে আব্দুর রহমান
রাজী থেকে বর্ণনা করেন
ওজীর হামেদ আক্কাস
যখন
হাল্লাজকে উপস্থিত
করলেন তখন
হাল্লাজকে তার
আক্বীদার
ব্যপারে জিজ্ঞেস
করলে সে তার
আক্বীদার
কথা স্বীকার করেছে।
অতপর
তা লিখে ইরাকের
ফুকাহায়ে কিরামকে জিজ্ঞেস
করা হল। তখন ইরাকের
ওলামাগন
ঘোষনা করলেন
এবং তা লিখে ওজীরের
কাছে পাঠানো হল।
অতপর অজীর
ইবনে আতাকে তার
বাড়িতে ডেকে নিলেন
এবং মজলিসের
মাঝে বসিয়ে ইবনে আতাকে হাল্লাজের
আক্বীদা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করলেন। তখন
ইবনে আতা বলল,
যে ব্যক্তি এমন
কথা বলে তার কোন
আক্বীদা নেই। তখন
ইবনে আতা অজীরকে বলল
তোমার কি হল? এই
ওলীদের নেতার কথায়।
তখন অজীর,
ইবনে আতার চোয়াল
কেটে ফেলার নির্দেশ
দেয় এবং তার মাথায়
আঘাত করতে নির্দেশ
দেয়
এভাবে তাকে মারতে থাকে।
তার কিছুদিন পর তার
হাত পা কেটে ফেলা হয়।
সাতদিন পর
সে মৃত্যুবরণ করে।
বাগদাদের
উলামায়ে কিরাম
হাল্লাজের কুফরির
ব্যপারে ঐক্যমত পোষন
করেছেন উল্লেখ্য যে, ঐ
সময় বাগদাদ ছিল
ইলমের কেন্দ্র।। খতীব
বাগদাদী বলেন, হাল্লাজ
শেষবারের
মতো বাগদাদে এসেছিল
এবং সূফীদের সঙ্গ
দিয়েছে। বাগদাদের
অজীর হামিদ
ইবনে আব্বাস এর
কাছে এই সংবাদ পৌছল
যে হাল্লাজ অনেক
মানুষদেরকে গোমরাহ
করছে এবং লোকদের
কাছে এটাও ছড়াচ্ছিল
যে, সে মৃতকে জীবন
দিতে পারে ।
জ্বীনরা তার খেদমত
করে এবং যে যা চায়
তা উপস্থিত করে দেয়।
এবং আলী ইবনে ঈসার
কাছে এক বক্তির নাম
আলোচনা করা হলো,
যাকে মুহাম্মদ
ইবনে আলী ইবনে কানাবী কাতেব
বলা হতো।
সে হাল্লাজের ইবাদত
করত
এবং মানুষদেরকে তার
আনুগত্যের
গিকে আহবান করত।
তখন মুহাম্মদ
ইবনে আলী কানায়ীকে গেফতার
করা হলে এ
বিষয়গুলো সে স্বীকার
করল। গ্রেফতারের সময়
কানায়ীর
বাড়ী থেকে হাল্লাজের
কিছু লেখা পাওয়া যায় ।
যেগুলো স্বর্ণপানী দ্বারা লেখাছিল
রেশম কাপড়েরর উপর
এবং সেখানে একটি থলে পাওয়া যায়।
যাতে হাল্লাজের পশ্রাব
পায়খানা এবং হাল্লাজের
রুটির কিছু অংশ ও তার
অন্যন্য জিনিসপত্র।
মুকতাদীরের পক্ষ
থেকে অজীরকে ডাকা হল
এবং হাল্লাজের
বিষয়টি তদন্ত করার
দায়িত্ব দিল। তখন
অজীর হাল্লাজের
সাথীদের
একটি জামাতকে এনে ধমকালো তখন
তারা স্বীকার করল যে,
হাল্লাজ হল আল্লাহর
সাথে আরেক ইলাহ
এবং সে মৃতকে জীবিত
করতে পারে। এভাবেই
তারা হাল্লাজকে উন্মোচন
করেছিল। তখন
আলী ইবনে ঈসা তাদেরকে প্রত্যাখান
করল
এবং মিথ্যাবাদী বলে হাল্লাজের
ব্যপারে বলল
আমি আল্লাহর
কাছে আশ্রয় চাই এমন
লোক
থেকে যে নিজেকে নবী দাবী করেছে এবং ইলাহ
ও রব দাবী করেছে।
আমি একজন সালেহ
ব্যক্তি বেশী বেশী সালাত
ও সাওম
আদায়কারী আর
শাহাদাতাইনের উপর
আমি কোন জিনিস
বৃদ্ধি করবনা এবং আলী ইবনে ঈসা পরে অনেক
বেশী বেশী আল্লাহর
কাছে ক্ষমা চাইত।
অজীর হামিদ আব্বাস
সতর্ক হওয়ার
পূর্বে তার
এখানে সকলেই প্রবেশ
করতে পারত। একজন
আসত যার নাম
কখনো বলত হুসাইন
ইবনে মানসুর আবার
কখনো বলত মুহাম্মদ
ইবনে আহমদ কায়েমী।
আর হেরেমের একজন
যার নাম ছিল নাসরাল
হাজের। সে মানসুর
হাল্লাজের ধোঁকায়
পরে গিয়েছিল।
সে ধারণা করেছিল
যে হাল্লাজ একজন
নেককার লোক। অতপর
হাল্লাজ এর
ব্যপারে খলিফা মুকতাদির
বিল্লাহ
জানতে পারলে তাকে গ্রেফতার
করে হামিদ
ইবনে আব্বাসের
কাছে হস্তান্তর
করে দেয়।
সে তাকে জেলে বন্দি করে রাখে।
অতপর সকল
ফুকাহায়ে কেরাম তার
কুফুরির ব্যাপারে ও
যিন্দিকের
ব্যপারে ফতওয়া দেয়
এবং সে একজন যাদুকর।
এই ফতোয়ার পর
হাল্লাজের সাথীদের
মধ্যে থেকে দু’জন
ফিরে এসেছিল। একজন
হল আবু আলী হারুন
ইবনে আব্দুল আজীজ
আওরাজী, আরেকজন
হল দাব্বাস।
তারা দুজনই হাল্লাজের
হটকারিতা ও
যাদুকরী ও
মানুষদেরকে মিথ্যা ও
ভেলকীবাজীর
দিকে আহবান করত
তা খুলে খুলে বলল।
হাল্লাজের এই
ধেকাবাজীকে আরও
স্পষ্ট করার জন্য
সুলাইমানের
মেয়ে (হাল্লাজের
স্ত্রী)কে উপস্থিত
করা হল। তখন
সে হাল্লাজের আরও
অনেক দোষ-ত্রুটির
কথা বলেন। সে বলল
আমি একদিন ঘুমন্ত
অবস্থায়, সে আমার
উপর বসে বলল
নামাজের জন্য উঠ।
হাল্লাজের ইচ্ছা হল
তার সাথে সহবাস
করবে এবং হাল্লাজ
তার মেয়েকে নির্দেশ
দিল যে, সে যেন
হাল্লাজকে সিজদা করে।
তখন তার
স্ত্রী তাকে বলল মানুষ
কি মানুষকে সিজদা করে?
তখন হাল্লাজ বলল
হ্যাঁ এক ইলাহ আকাশে,
আরেক ইলাহ জমীনে।
অতপর
সে তাকে নির্দেশ দিল
তার আন্ডারগ্রাউন্ড
থেকে যা সম্পদ চাই
তা নিতে সে আন্ডারগ্রাউন্ডে
গিয়ে দেখল
সেখানে অনেক দিনার
দিরহাম।
হাল্লাজকে নিয়ে সর্বশেষ
কাজী আবু ওমর
মুহাম্মদ
ইবনে ইউছুফকে উপস্থিত
করা হল
এবং হাল্লাজকে আনা হল
এবং হাল্লাজের লিখিত
একটি কিতাবও
উপস্থিত করা হল। তখন
তার
কিতাবে একটি লেখা পেল
যাতে লিখা আছে যে কোন
ব্যক্তি হজ্ব করার
ইচ্ছা করল, কিন্তু
সামর্থ নেই, তখন
সে যেন তার
বাড়ীতে একটি ছোট
গৃহনির্মান
করে যাতে কোন ধরনের
নাপাকি থাকবেনা এবং অন্য
কেউ যেন
সেখানে প্রবেশ
না করতে পারে। যখন
হজ্বের সময় হবে তখন
তিনদিন
রোজা রাখবে এবং ঐ
ঘরটার
চারপাশে তাওয়াফ
করবে,
যেভাবে কা’বাকে তাওয়াফ
করা হয়। অতপর সে যেন
হজ্বের কাজগুলো তার
ঘরে করতে থাকে।
অতপর ত্রিশজন
ইয়াতিমকে দাওয়াত
দিয়ে খাওয়াবে এবং তাদের
খেদমত
করবে এবং তাদের
সকলকে একটি করে জামা পরাবে ও
সবাইকে সাত
অথবা তিন দিরহাম
করে দেবে। হজ্বের
জন্য ইচ্ছা পোষণ
কারী এমন করলে তার
হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
এবং যে ব্যক্তি তিনদিন
রোজা রাখবে আর
চতুর্থদিন তা ভাঙবে,
সে একমাস রমজানের
রোজা রাখার সমপরিমান
সওয়াব অর্জন করবে।
আর
যে ব্যক্তি রাত্রের শুরু
থেকে নিয়ে শেষপর্যন্ত
দুইরাকাত সালাত
(নামাজ) পড়বে। এরপর
তার সারা জীবনের
নামাজের পরিমান
সওয়াব পাবে। আর
যারা শহীদদের ও
কুরাইশদের কবরের
পাশে দশদিন থাকবে,
নামাজ পরবে ও
রোজা রাখবে, ইফতার
করবে একটি রুটি ও
লবণ দ্বারা,
তাহলে বাকী জীবনে তার
ইবাদতের জন্য যথেষ্ট
হবে। তখন কাজী আবু
উমর
হাল্লাজকে জিজ্ঞেস
করল
এগুলো তুমি কোথায়
পেয়েছ। হাল্লাজ বলল
আমি এগুলি হাসান
বসরীর ইখলাছ নামক
কিতাবে পেয়েছি। তখন
কাজী আবু উমর বলল
হাল্লাজ
তুমি মিথ্যা বলছ।
তোমার রক্ত হালাল।
আমি হাসান বসরীর
কিতাব মক্কায়
শুনেছি অথচ তাতে এই
জাতীয় কোন কিছু
লেখা নেই।
অতপর অজীর কাজীর
কাছে আসল এবং বলল
সে যে হালানুদ্দাস
তাহা কাগজে লিখেদিন।
কাজীসাহেব
তাহা লিখে দিলে অজীর
কাগজটিকে মুক্তাদির
কাছে পাঠাল। তখন
হাল্লাজ
বন্দী অবস্থায়।
মুক্তাদিরর এর
অনুমোদন দিতে তিনদিন
দেরী করল এবং অজীর
হামিদ আব্বাসের
ব্যপারে খারাপ
ধারনা করে বসল। তখন
সে খলিফার নিকট
একটি চিঠি লিখল
যে হাল্লাজের
বিষয়টি অনেক
প্রচারিত ও প্রসিদ্ধ।
তার ব্যপারে কারো কোন
দ্বিমত নেই। সে অনেক
মানুষকে গোমরাহ
করেছে। অতপর
খলিফার পক্ষ
থেকে উত্তর আসল
যে হাল্লাজকে মুহাম্মদ
ইবনে আব্দুস সনামাদ
জেলার এর
কাছে হস্তান্তর কর
এবং তাকে একহাজার
বেত্রাঘাত করতে বল,
যদি হাল্লাজ বেতের
আঘাতে মরে যায়
তাহলে ত হলই,
অন্যথায় তার গর্দান
উড়িয়ে দেবে। অজীর
খলিফার এই
নির্দেশে খুবই খুশী হল।
এবং জেলার
কে ডেকে তার
হাতে হাল্লাজকে তুলে দেওয়া হল।খতীব
বাগদাদী বলেন
আব্দুল্লাহ
ইবনে আহমদ
ইবনে উসমান সায়রাকী,
আবু ওমর
ইবনে ইয়াহ্ইয়া থেকে বর্ণনা করেন
যখন
হাল্লাজকে কতল করার
জন্য মানুষদের
সামনে বের
করা হল, তখন মানুষদের
প্রচন্ড ভীড় ছিল।
তখন
আমি হাল্লাজকে দেখে তার
নিকটে গেলাম। আর
হাল্লাজ তার সাথীদের
বলতে ছিল,আমার
কতল
হওয়াটা তোমাদেরকে যেন
চিন্তায় না ফেলে।
কারন
আমি ত্রিশদিন পর
তোমাদের
কাছে ফিরে আসব।
সে হত্যা হল। কিন্তু
ফিরে আসে নাই। খতীব
বাগদাদী বলেন, যখন
হাল্লাজকে জেলারের
কাছে হত্যার জন্য
হস্তান্তর করা হল
তখন
সে মুহাম্মদ
ইবনে আব্দুস সামাদ
কে ডেকে বলল
যে,আমার
কাছে কুসতুনতুনিয়া বিজয়
করার
একটি নসীহত আছে।
তখন সে বলল
তা বললেও তোমার
হত্যা বন্ধ করা হবেনা।
অতপর তাকে একহাজার
বেত্রাঘাত করা হল
এবং হাত পা কাটা হল ও
তার
মাথা দেহ
থেকে বিচ্ছিন্ন
করা হল। তার
দেহটাকে আগুন
দিয়ে জ্বালিয়ে দিল ও
তার
ছাইগুলোকে দজলা নদীতে ফেলে দিল।
তার
কাটা মাথাটাকে ইরাকের
ব্রীজের ওপর দুইদিন
লটকিয়ে রাখা হয়েছিল।
হাল্লাজের
সাথীরা ত্রিশ দিন
গুনতে লাগল হাল্লাজ
ফিরে আসে কিনা। কেউ
কেউ
ধারনা করল
যে তারা হাল্লাজকে ত্রিশদিন
পর দেখেছে।
সে একটি গাধার উপর
আরোহিত অবস্থায়
নাহরাওয়ানের
রাস্তায়। অতপর
সে বলল
যাতে লোকেরা এ
ধারনা না করে যে আমি হত্যা হয়েছি।
নিশ্চয় হত্যার
সময় অন্য
লোককে আমার মত
করে দেওয়া হয়েছিল।
হাল্লাজের
অনুসারীরা তা বলতেছিল
যে হাল্লাজের
দুশমনকে হত্যা করা হয়েছে।
ঐ যুগের উলামাগন বলল
তারা সত্যিই
দেখেছে শয়তান
হাল্লাজের
আকৃতি ধারণ
করে এসেছিল,
যাতে মানুষদেরকে গোমরাহ
করতে পারে।
যেরকম
ভাবে নাসারাদের
একটি দলকে গোমরাহ
করেছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)