মাযহাব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাযহাব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৮

মাযহাব বিষয়ক ১০টি উদ্ভট প্রশ্নের ইলযামী জবাব এর পাল্টা জবাব Lutfor Farazi V/S Md Sarower Hossain

<h>মাযহাব বিষয়ক ১০টি উদ্ভট প্রশ্নের ইলযামী জবাব এর পাল্টা জবাব Lutfor Farazi V/S Md Sarower Hossain</h>

<strong>১)প্রচলিত ৪ মাজহাব মান্য করা কি ফারয, ওয়াজিব??</strong>

<span style="color:red">জাল Lutfor Farazi
১) প্রচলিত সহীহ লিজাতিহী, সহীহ লিগাইরিহী, হাসান লিজাতিহী, হাসান লিগাইরিহী, জঈফ মুনকার, মুদাল্লাস হাদীসের এসব পরিভাষা মান্য করা কি ফরজ? না ওয়াজিব? নাকি সুন্নত? কুরআন ও সহীহ হাদীসের শব্দ দ্বারা জানতে চাই।</span>

<b>আমি
Md Sarower Hossain বলি আরে জাহেল প্রশ্নের উত্তর কি প্রশ্ন দিয়ে হয়???</b>
তাহলে বল এর উত্তর কি হবে–!<ul><li>(১)তর বাড়ি কোথায়??? (২)তুই কখন ভাত খেয়েছিস?? (৩)তর বাপের নাম কি??? (৪)এখন কত বাজে???(7)what’s your name?? (৮)
তুই কি ব্যাকারণ পরস নি?? (৯)কোন ব্যাকরণে আছে প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করতে হয়???</li></ul>
<span style="color:green">এখন আসি তর প্রশ্নের জবাবে ১মে বলি তুই ১ম প্রশ্নের উত্তর দেসনি। প্রশ্ন করা হয়েছে মাযহাব নিয়ে আর তুই উত্তরে প্রশ্ন করলি হাদিসের উপর বাহ কি সুন্দর তর ইল্মের জাহির।
এই পরিভাষা গুলো হাদিসের ইমামদের দেওয়া। এই গুলো মান্য করা ফরজ বা ওয়াজিব বা সুন্নত না। এই পরিভাষা গুলো কুরআনে বা হাদিসে নাই।</span>

<u>২) যদি ইহা মান্য করা ফারজ,ওয়াজিব বা সুন্নাহ হয়ে থাকে তবে আ বাপারে কুরান ও হাদিছ কি বলে?</u>

<span style="color:red">Lutfor Farazi
২) যদি এসব মান্য করা ফরজ, ওয়াজিব বা সুন্নাহ হয়ে থাকে, তাহলে এসব পরিভাষার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীস পরিস্কার ভাষায় কি বলে? কুরআন ও সহীহ হাদীসের শব্দ দ্বারা জানতে চাই।</span>

<b>Md Sarower Hossain
(১)
তুই কি ব্যাকারণ পরস নি?? (২)কোন ব্যাকরণে আছে প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করতে হয়???</b>
<span style="color:green">এখন আসি তর প্রশ্নের জবাবে ১মে বলি তুই ২য় প্রশ্নের উত্তর দেসনি। প্রশ্ন করা হয়েছে মাযহাব নিয়ে আর তুই উত্তরে প্রশ্ন করলি হাদিসের উপর বাহ কি সুন্দর তর ইল্মের জাহির।
এই পরিভাষা গুলো হাদিসের ইমামদের দেওয়া। এই গুলো মান্য করা ফরজ বা ওয়াজিব বা সুন্নত না। এই পরিভাষা গুলো কুরআনে বা হাদিসে নাই। এইগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে কিছু বলার নাই।</span>
<br>

<span style="color:red">আমি একটা বিষয় পরিস্কার করি Lutfor Farazi কাজ হাদিস বা হাদিসের গ্রন্থ/কিতাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, যা করে থাকে বতর্মান যুগের নাস্তিকগুস্টিরা। নাস্তিকরা যে ভাবে বলে হাদিসে এটা আছে তো তুরা তা করস না কেন?? ঠিক সেই প্রশ্নটি করে Lutfor Farazi সাহেব মহাশয়।।</span>

বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

নাভীর নিচে হাত বাধার সমাচার ই:ফা:


Somun Khan is feeling মামা আর ভাগ্নে সমাচারে এবার ধরা খাইলো..... (!) কারা? জানতে হলে পড়ুন..

★ মামা-ভাগ্নে সমাচার: বুখারী শরীফে নাভীর নিচে হাত বাঁধার দলীল পাওয়া গেছে! 😜😜😜
ভাগ্নে। আইজকা তোমারে আমি ছাই দিয়া ধরুম।
.
আল্লাহু আকবার! কন কি মামা? কি বিষয়ে ছাই দিয়া ধরবেন?
.
আমি বুখারী শরীফ পড়ছি। তাতেই তো পাইলাম যে বাম হাতের কব্জির উপর বাম হাতের কব্জি রাখতে হইবো।
.
তাই নাকি! সাহল ইবনু সা’দ রাঃ এর হাদীছটা না?
.
হ। ঐটাই।
.
কোন প্রকাশনীর অনুবাদ পড়ছেন? ফাউণ্ডেশন?
.
হ। ঐটাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করি।
.
তা অনেকাংশেই ঠিক। তবে মুক্বাল্লিদদের রাজত্ব কি না!!!
.
কি কইবার চাও?
.
হাদীছটা হইলোঃ
সাহল ইবনু সা‘দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُونَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلاَةِ
লোকদের নির্দেশ দেয়া হত যে, সালাতে প্রত্যেক ডান হাত বাম হাতের [ ذِرَاع ] উপর রাখবে। [বুখারী, তা.পা ১/৭৪০ নং; ই.ফা. ২/৭০৪ নং; আ.প্র. ১/৬৯৬ নং]

এ হাদীছটির ই.ফা.বা. এর অনুবাদঃ
লোকদের নির্দেশ দেওয়া হত যে, সালাতে প্রত্যেক ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখবে। ....

আধুনিক প্রকাশনীর অনুবাদঃ
নামাযে লোকদেরকে ডান হাত বাঁ হাতের উপর স্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হতো।....

আজিজুল হক রহঃ এর অনুবাদঃ
নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লাম হইতে এই আদেশ বর্ণনা করিয়াছেন যে, নামাযের মধ্যে (দাঁড়ান অবস্থায়) লোকেরা ডান হাত বাম হাতের উপর রাখিবে।
.
কব্জি আর হাত একই তো কথা। সমস্যা কি?
.
এইটা কোন কথা কইলেন মামা?
হাত তো বগলের অংশ থেকে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত পুরাটাই। কিন্তু খালি কব্জি কইলে তো একটা নির্দিষ্ট অংশই বুঝায়। আর কব্জির উপর রাখলে তো হাত নাভীর নিচে বা কাছে যাবেই।
.
হ। তাতো ঠিকই।
.
এ হাদীছে আরবী শব্দটা হইলো [ ذِرَاع ] 'যিরা' অর্থ হাত বা বাহু [ব্যবহারিক বাংলা ইংরেজী আরবী ডিকশনারী, রিয়াদ প্রকাশনী, ৭ম সংস্করণ, পৃঃ ৭৫৬]।

যিরা [ ذِرَاع ] = বাযু, একহাত, এক গজ (ফরহাঙ্গে জাদীদ, রশিদিয়া লাইব্রেরী, ذ-ر, ৪৪০ পৃঃ) জানুয়ারী ১৯৯৮।

কনুই থেকে কব্জি বা আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত।

অথচ ই.ফা.বা [ ذِرَاع ] এর অর্থ এই হাদীছে করেছে 'কব্জি' [বুখারী ই.ফা. ২/৭০৪]।

অথচ ই.ফা.বা বুখারী ৫০৭ নং হাদীছে [ ذِرَاع ] শব্দের অর্থ লিখেছে 'বাহু'। হাদীছটি হইলো : আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ "তোমরা সিজদায় মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। তোমাদের কেউ যেন তার বাহুদ্বয় [ ذِرَاعَيْهِ ] বিছিয়ে না দেয় কুকুরের মত।.." অর্থাৎ সিজদায় কনুই পর্যন্ত 'যিরা' মাটিতে বিছিয়ে দেয়া যাবে না। উঁচু রাখতে হবে।

৩১০৪নং হাদীছে [ ذِرَاع ] শব্দের অর্থ করেছে বাহু। হাদীছটি হইলোঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এক যিয়াফতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর সামনে (রান্না করা) ছাগলের বাহু পেশ করা হল, এটা তাঁর কাছে পছন্দনীয় ছিল।

এছাড়াও ১২০৬নং ও ৪০৭৯নং হাদীছেও দেখতে পারেন।

তাহলে প্রমাণিত হইলো যে, যিরা বা বাহু বলতে কনুই থেকে কব্জি বা আঙ্গুলের ডগা পর্যন্তই বুঝায়।
.
সুবহানআল্লাহ। এই রকম ধোকা!!! 😭😭
.
মামা! আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে বলছেনঃ
ثُمَّ فِى سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَاسْلُكُوهُ
পুনরায় তাহাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর হস্ত দীর্ঘ এক শৃঙ্খলে।’ (সূরা হাক্কাহ ৬৯/৩২)
এখানেও কিন্তু যিরা শব্দটা আছে। এখানেও ফাউণ্ডেশনের অনুবাদ “হস্ত”। কব্জি নয়।
তা মামা। এখন আপনার যিরার উপর যিরা রাখেন এবং দেখেন তো হাত কোথায় যায়?
.
কি যে করি!!! 😱
.
কি আর করবেন মামা!!? ছাই দিয়া যে কেডা কারে ধরলো সেটাই তো বুঝবার পারতাছি না। 😜😜
.
যাউগ্গা সামনের দিকে আউগ্গা। 😜 কাজ আছে। আজকে আসি। আসসালামু আলাইকুম।
.
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। মামা! দলীল কিন্তু আরো আছিলো ….
.
থাউক। লাগবো না।

সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

“তাহতাস সুররাহ” সমাচার লুৎফর রহমান ফরাজী

Somun Khan  bhai theke

★ মামা আর ভাগ্নের কথোপকথনে “তাহতাস সুররাহ” সমাচার ★ 😆
ভাগ্নে! লুৎফর রহমান ফরায়েজী সাহেব তার বক্তব্যে (লিংকঃ https://youtu.be/tncO1w1VkAI) বলেন, নাভীর নিচে হাত বাঁধার ক্ষেত্রে তাদের প্রথম দলীল হল আওয়ামা কর্তৃক তাহক্বীক্বকৃত “মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ” এটা সৌদি থেকে প্রকাশিত। আবু বকর ইবনু আবী শায়বাহ ইমাম বুখারীর উস্তাদও। সেই কিতাবের ৩৯৫৯নং হাদীছ। যা নিম্নরূপঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ تحت السرة »
আলক্বামা বিন ওয়াইল বিন হুজর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাতে তার বাম হাতের উপর ডান হাত নাভীর নিচে রাখতে দেখেছি।
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, তাহক্বীক্ব আওয়ামা, হা/৩৯৫৯। আওয়ামা আল হানাফী হাদীছটির সানাদ সহীহ বলেছেন।
বুঝলাম! মামু। ঘাপলাটার কথা জানেন তো?
কি ঘাপলা ভাগ্নে?
ঐ হাদীছটিই শামেলাহ থেকে পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, (শামেলাহ) হা/৩৯৩৮
এখানে “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে শব্দ নেই।
শাইখ আবূ মুহাম্মাদ উসামা এর নুসখা থেকে পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, তাহক্বীক্ব উসামা, হা/৩৯৬২
এখানেও “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে শব্দ নেই।
শাইখ উসামা হাদীছটিকে মুরসাল বলেছেন।
সন্দেহ! সন্দেহ!! সন্দেহ!!!
তাহলে মনে হয় অন্য জায়গায় আছে ভাগ্নে!!! অন্য ইমামরা কি এই সানাদে হাদীছ আনেন নি? সেখানে থাকলে তো আর সন্দেহ থাকে না যে এটা সংযোজিত শব্দ কি না?
আচ্ছা মামা! চলুন দেখি হুবহু সানাদে অন্য ইমামরা কি “তাহতাস সুর্রাহ” এর সন্ধান আমাদের দিয়েছেন কি না?
(০১) হুবহু সানাদে হাদীছটি রয়েছে মুসনাদে আহমাদে।
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ "
মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩১৬; (আরনাউত্ব) হা/১৮৮৪৬
শাইখ আরনাউত্ব ইসনাদুহু সহীহ বলেছেন।
পাওয়া গেল না। “তাহতাস সুর্রাহ” পাওয়া গেল না।
(০২) আরো পড়ুন শারহুস সুন্নাহ থেকে,
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الصَّالِحِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْحِيرِيُّ، أَنَا حَاجِبُ بْنُ أَحْمَدَ الطُّوسِيُّ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، نَا وَكِيعٌ، نَا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ، ٢٥ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلاةِ»
শারহুস সুন্নাহ লিল বাগাওয়ী, (শামেলাহ), হা/৫৬৯
হায়! হায়!!
“তাহতাস সুর্রাহ” এর খবর নেই। এ কি কথা!!!
(৩) আরো পড়ুন সুনানে দারাকুতনী থেকে,
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , وَعُثْمَانُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَحْوَلُ , قَالَا: نا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى , نا وَكِيعٌ , نا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ , عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
সুনানে দারাকুতনী, (শামেলাহ) হা/১১০১; (ই.ফা.বা.) হা/১০৭৪
সুবহানআল্লাহ!!!
“তাহতাস সুর্রাহ” তথা নাভীর নিচে কথাটা এখানেও নেই।
আচ্ছা! আর কোথাও কি খোঁজ লাগানো যায়?
আলকামা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছে এরকম আরেকটা বর্ণনা আছে। সেটা ইমাম ওয়াকী এর স্থলে ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের বর্ণনা। সেটা পড়বেন নাকি?
পড়ে দেখি!!! যদি পাইয়া যাই!!!
ওকে। পড়ুনঃ
(৪) সুনানে দারাকুতনী থেকেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَكَرِيَّا , وَالْحَسَنُ بْنُ الْخَضِرِ , قَالَا: نا أَحْمَدُ بْنُ شُعَيْبٍ , ثنا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ , ثنا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ , وَقَيْسُ بْنُ سُلَيْمٍ , قَالَا: نا عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ » إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ "
সুনানে দারাকুতনী, (শামেলাহ) হা/১১০৪; (ই.ফা.বা.) হা/১০৭৭
মামু! “তাহতাস সুর্রাহ” নাইক্কা।
খাড়াও আরেকটা পাইছি।
(৫) সুনানে নাসাঈ আস সুগরা থেকেঃ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ، وَقَيْسِ بْنِ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيِّ قَالَا: حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ»
সুনানে নাসাঈ আস সুগরা, (আলবানী, মা.প্র) হা/৮৮৭; (ই.ফা.বা) হা/৮৯০; (আলী যাই) হা/৮৮৮
শাইখ আলবানী সানাদ সহীহ বলেছেন।
শাইখ যুবায়ের আলী যাই সানাদ সহীহ বলেছেন।
“তাহতাস সুর্রাহ” কিন্তু পাইলাম না মামু!!!
শব্দটা গেল কই?
আচ্ছা। সহীহ মুসলিমে না ওয়ায়েল বিন হুজর থেকে একটা হাদীছ আছে। ঐখানে কি আছে?
আরে! মামুর কও কি? সহীহাইনে থাকলে তো লা মাযহাবীরা তোমাগো জন্মের আগেই আমল করতো।
পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، وَمَوْلًى، لَهُمْ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِيهِ، وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ - وَصَفَ هَمَّامٌ حِيَالَ أُذُنَيْهِ - ثُمَّ الْتَحَفَ بِثَوْبِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنَ الثَّوْبِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ فَلَمَّا قَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ بَيْنَ كَفَّيْهِ ‏.‏
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে।
তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলেন, তিনি সালাত শুরু করার সময় দুই হাত তুললেন এবং তাকবীর বললেন। হাম্মামের বর্ণনায় আছে, তিনি দুই হাত কান পর্যন্ত উঠালেন; অতঃপর চাঁদরে ঢেকে নিলেন এবং ডান হাত বা হাতের উপর রাখলেন। তিনি যখন রুকু’তে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, উভয় হাত কাপড়ের ভিতর থেকে বের করলেন, অতঃপর উভয় হাত উত্তোলন করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে রুকু’তে গেলেন, তিনি যখন "সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" বললেন দু'হাত উঠালেন। তিনি যখন সাজদায় গেলেন, দু' হাতের মাঝখানে সাজদাহ করলেন।
সহীহ মুসলিম, (হা.একা.) হা/৭৮২; (ই.ফা.বা.) হা/৭৭৯, (ই.সে.বা.) হা/৭৯১
ধুর! “তাহতাস সুর্রাহ” যদি হাদীছে না-ই থাকে তাহলে শাইখ আওয়ামা পাইলো কই এই কথা? সে কি নিজের পক্ষ থেকে যোগ করেছে?
না। তা ঠিক সে যোগ করে নি। এর ইতিহাস আছে। তবে দেওবন্দীরা কিছু তথ্য দিয়েছে। যেমনঃ আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, আমি মুসন্নাফের তিনটি নুসখা অধ্যয়ন করেছি। তন্মধ্যে একটিতেও (তাহতাস সুর্রাহ বা নাভীর নিচে শব্দাবলী) পাই নি। (ফায়যুল বারী ২/২৬৭)
তাই নাকি?
হুম। বর্তমানে দেওবন্দীরা যাকে শাইখুল ইসলাম বলে তিনি বলেন জাস্টিস তাকী উসমানী। তিনি তার দারসে তিরমিযীতে মুসান্নাফ এর “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে হাত বাঁধার অংশ নিয়ে সন্দেহপোষণ করেছেন এবং সংশয়পূর্ণ বলেছেন। (দারসে তিরমিযী, বাংলা, ২/২২-২৩)
আচ্ছা!!! তো বাকি ইতিহাস কি?
তাহলে ইতিহাসটা পড়েনঃ https://www.mediafire.com/download/tyf12thz436rygu
আর এই লেখাটা কিন্তু পাকিস্তানের আলবানী শাইখ যুবায়ের আলী যাই রাহিমাহুল্লাহ এর “ছলাতে হাত বাঁধার বিধান ও স্থান” বইয়ের ৫০পৃষ্ঠা থেকে সংকলিত। ঐ বইটাও অবশ্যই পড়বেনঃ https://www.mediafire.com/download/qdel2jwva5jo2q1
আচ্ছা! ইতিহাস পড়ে নেব ইনশাআল্লাহ। তাহলে ওয়ায়েল বিন হুজর অর্থাৎ আলকামা এর পিতা থেকে কি আর কিছু বর্ণিত আছে?
আছে তো।
কি সেটা?
পড়ুনঃ
نا أَبُو مُوسَى، نا مُؤَمَّلٌ، نا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ»
ওয়ায়িল বিন হুজর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছিলাম, তিনি স্বীয় ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে তার সিনার উপর স্থাপন করলেন।
সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, হা/৪৭৯; বুলুগুল মারাম, (তা.পা.) হা/২৭৮
শাইখ আলবানী সানাদ দ্বঈফ কিন্তু হাদীছ সহীহ বলেছেন।
এটা মূলত সাক্ষ্যমূলক হাদীছ হিসেবে পেশ করা হয়। “ছলাতে হাত বাঁধার বিধান ও স্থান” বইতেই আলোচনা করা হয়েছে। ওয়ায়েল রাঃ থেকে হাত বাঁধার স্থান উল্লেখ ব্যতীত আরো বর্ণনাও আছে।
আচ্ছা বইটি তাহলে পড়তেই হবে।
হুম। পড়েন। আরেক দিন কথা হবে ইনঁশাআল্লাহ।
ও! মামা।
বলো ভাগ্নে।
ইমাম আবু বকর ইবনু আবী শাইবাহ কিন্তু ইমাম বুখারীর উস্তাদ।
হ্যাঁ। তাতো ফরায়েজী সাহেবই উল্লেখ করেছেন।
হুম মামা। সে তো উল্লেখ করেছেই। তা ঐ কিতাবে কিন্তু একটা অধ্যায় আছে। নাম কি জানেন নি?
কি নাম ভাগ্নে?
কিতাবুল রাদ্দি আলা আবি হানীফাহ।
মানে?
মানে টানে থাকুক।
আজকে আসি।
আসসালামু আলাইকুম
চলমান...........

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

সালাতে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া হারাম নাকি ফরজ ???

সালাতে ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা
পড়া হারাম
নাকি ফরজ ???

"যখন কুরআন
তেলাওয়াত
করা হয়,তোমরা তা
মণযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ
থাকো যাতে তোমাদের উপর রহম করা হয় "(আরাফ-
আয়াতঃ২০৪)

এই
আয়াতের সংগে
সালাতে ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা
পড়া বা না পড়ার
কোনো সম্পর্ক নেই।

কারণ
এ আয়াত মক্কায়
নাজিল হয়েছে,

আর নামাজে সুরা ফাতেহা পড়ার নির্দেশ হিযরতের পর রাসুল(সঃ) দিয়েছেন মদিনায়।

[ সূরা: Al-A'raaf (The Heights) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৭  আয়াত সংখ্যা: ২০৬

204
. ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧﺼِﺘُﻮﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।]

আবু হুরায়রা(রাঃ) ৭ম হিজরীতে মদিনায় মুসলমান
হয়েছেন,

আর তাকেই সর্ব প্রথম মদিনার ওলীতে গোলিতে এ
কথা ঘোষণা দেয়ার
জন্নে রাসুল (সাঃ)
আদেশ করেন,  যে ব্যক্তি সালাতে সুরা ফাতেহা পড়েনা তার নামাজ
হবে না।
(বায়হাকী-খন্ডঃ ২-
পৃস্টাঃ৩৭৫)

সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ঐ
সময় ১ ব্যক্তি আবু
হুরায়রার হাত ধরে
বলেনঃ আমরা যদি
ইমামের পিছনে থাকি তা ও
কি পড়া লাগবে?
তিনি বলেন তাও.…

  রাসুল (সাঃ) বলেনঃ আমি যখন জোড়ে কেরাত পড়ি তখন তোমরা সুরা ফাতেহা ছাড়া আর কিছুই পড়োনা।
(নাসাঈ,সনদ সহিহ)

এই কথার সাক্ষি যিনি দিলেন
তিনি" উবাদা "
তিনি ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা
পড়তেন (কিতাবুল কেরাত- বায়হাকি- ২য় খন্ড-১৬৮
পৃষ্টা)..…

উপরের আয়াত
নাজিল হওয়ার কারনঃ রাসুল (সাঃ)
মক্কায় যখন সাধারণ ভাবে কাফেরদের কে কুরআন শুনাচ্ছিলেন
তখন কাফেররা একে অপরকে বলেছিলো তোমরা তা শুননা,
চিল্লা পাল্লা কর।
তাহলে তোমরা জয়ি
হবে,তখন এই উপড়ের আয়াত
নাজিল হল।যে,রাসুল(সাঃ)
যখন কুরআন
পড়ে তোমরা ইহুদিরা তখন
চুপ থাকো ও মনোযোগ সহ তা শুনতে থাকো
হয়তো তোমাদের
উপর রহম করা হবে। বিশ্বাস না হলে দেখুন

সুরাঃ হামিম আস-
সিজদাহর ২৬নং
আয়াতে.…

[ সূরা: Fussilat (হা মিম সাজদাহ) (Explained in detail) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৪১  আয়াত সংখ্যা: ৫৪

26
. ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺴْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟِﻬَٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﻭَﺍﻟْﻐَﻮْﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻐْﻠِﺒُﻮﻥَ
আর কাফেররা বলে, তোমরা এ কোরআন শ্রবণ করো না এবং এর আবৃত্তিতে হঞ্জগোল সৃষ্টি কর, যাতে তোমরা জয়ী হও।]

এইটাকে হানাফিরা চালিয়ে দেয় ইমামের পিছনে মুসল্লীরা চুপ থাকবে ও বলে

হানাফিরা কি প্রমান দিতে পারবে যে আরাফের ঐ আয়াতে মাদানী অর্থাত্‍ রাসূলের মেরাজের পর নাজিল হয়েছে ?????

আমাদের দলিল হল কুরআন…

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

চার মাযহাব

GS Islam
ভাই এর পোষ্ট থেকে কপি
ঘটনাটা কয়েকদিন আগের...!
আমার এক চাচা এবং আমার মাঝে
ফোনে কথা হচ্ছে মাঝহাব বিষয়ে...।।
উনি হানাফি মাজহাবের অনুসারী।
উল্লেখ্য যে উনি মাদ্রাসার লাইনে
উচ্চ শিক্ষিত একজন ব্যক্তি।
মাজহাব কেন মানতে হবে সে
উদ্দেশ্যে উনি আমাকে রেফারেন্স
হিসেবে সূরা নিসার ৫৯ নং হাদিসের
উদ্ধৃতি দিলেন।
আয়াতটি পড়ার পরে
উনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল...
প্রশ্ন(১) চাচা, আয়াতটি তো পড়লাম । এখন আমাকে
বলেন যে উক্ত আয়াত দিয়ে চার মাজহাবের
এক মাজহাব মানা ফরজ বুঝাচ্ছে
নাকি ওয়াজিব নাকি,
সুন্নত, নফল , মুস্তাহাব, মাকরুহ, কোনটি
বুঝাচ্ছে ?
...
উনি উত্তর দিয়েছেন ঠিক এভাবে...
=> আমি যতদুর লেখাপড়া শিখেছি
তাতে আমি জেনেছি ...
কুর-আনে সবকিছুর সমাধান
দেয়া থাকলেও সেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে
বলা হয়েছে যেমন ... কুর-আনে সালাত
আদায় করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু কিভাবে
আদায় করতে হবে তা বলা নাই। এজন্য বিস্তারিত
জানতে হলে আমাদেরকে হাদীস দেখতে হবে।
রাসুলের কথা বা কাজ এসব কিছুই হাদীস। কিন্তু
রাসুলের তেইশ বছর নবুয়তের জিন্দেগিতে যত হাদীস সব কিছুই
তো আর লিখে রাখা সম্ভব হয় নাই। বা পুরা তেইশ বছর
জুড়ে মাত্র এই কয়েক হাজার হাদীস ছিল ?? নিশ্চই
অনেক হাদীস বাদ পড়ে গেছে।
তাহলে দেখা গেল হাদীস দিয়েও তুমি
সবকিছু সমাধান করতে পারবে না।
যার কারণে বলা হচ্ছে (সূরা নিসা ৫৯)
উলিল আমরি মিনকুম
অর্থাৎ ফকিহগনের আদেশ মানতে হবে।
...
উনার বলা শেষ হলে আমি বললাম
ঠিক আছে এবার আমি কিছুক্ষণ বলি..
.
=> আমি উনাকে প্রথমে বললাম উক্ত
আয়াতের শেষের অংশটুকুতে তো একথা বলা
হচ্ছে যে, "যদি মতবিরোধ হয় তাহলে (ফারদ্দুহু ইলাল্লহি ওয়া রাসুলিহি)
আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের দিকে ফিরে যাও।"
তখন উনি জবাব দিলেন ...
"তার মানে আদেশদানকারীর কথা যদি
মত বিরোধপূর্ণ হয় তাহলে আবার
সেই কুর-আন হাদীসের দিকে ফিরে যেতে
হবে..!
আমি বললাম...
"তারমানে আবার গোড়ায় চলে যাও
।"
......
আমি তখন আনন্দিত হয়ে আরো
কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম...
প্রশ্ন(২) মনে করুন আমি শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
আর আমি যাকে বিয়ে করব সে হানফী মাজহাবী।
এখন প্রশ্ন হলো আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারবো?
=> ( আমি প্রশ্নটি করার পর তিনি কিছুক্ষণ চুপ হয়ে গেলেন)
পরে উত্তরে তিনি বললেন...... '' তাকে বিয়ে করতে পারবা কিনা এটা
আমি সঠিক বলতে পারলাম না... তবে আমি যতদুর লেখাপড়া শিখেছি
তাতে মনে হচ্ছে বিয়ে করা যাবে কোনো সমস্যা নেই। কারণ শাফেয়ী
মাজহাবের অনুসারীরাও জান্নাতে যাবে হানাফীরাও জান্নাতে যাবে।
তবে তুমি যে মাজহাব মানবা তোমাকে সে মাজহাব পুরোপুরি ভাবে
মানতে হবে তুমি যদি হানাফী মানো তাহলে তোমাকে পুরোপুরীভাবে
হানাফী মানতে হবে আর যদি শাফেয়ী মানো তাহলে পুরোপুরিভাবে
শাফেয়ী মানতে হবে। অর্ধেক হানাফী আর অর্ধেক শাফেয়ী মানা
যাবে না।
............
প্রশ্ন(৩) আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম যে আমার বউ
পুরোপুরিভাবে হানাফি মানবে আর আমি পুরোপুরিভাবে
শাফেয়ি মাজহাব মানবো। এখন ধরেন... আমরা দুজন নামাজ
পড়বো বলে ওজু করে আসলাম। কোনো কারণে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে
আমার বউয়ের শরীরে কোথাও আমার একটু হাত লেগে গেল বা স্পর্শ হলো।
এখন আমার কি ওজু থাকবে নাকি ভেঙে যাবে ?
=> উত্তরে তিনি বললেন, গায়ে টাচ করলে ওজু ভাঙবে বলে হানাফী মাজহাবে
কোথাও উল্লেখ নাই। এটা ওজু ভঙ্গের কারণের মধ্যে পড়ে না।
আমি উনাকে বললাম যে হ্যা... হানাফী মাঝহাবে এমতাবস্থায় ওজু
ভাঙবে না বলা হলেও শাফেয়ী মাঝহাবে কিন্ত এটা বলা হচ্ছে যে
ওযু ভেঙে যাবে। এখন..
.
প্রশ্ন (৪) আমি আমার স্ত্রীকে বলতেছি যে আমাদের ওজু
ভেঙে গেছে আর আমার স্ত্রী বলতেছে না ওজু ভাঙ্গে নাই।
তাহলে আমাকে বলেন সমাধান টা কি হবে ??
=> উত্তরে তিনি বললেন, " তুমি যেহেতু শাফেয়ী মাজহাব মানো
তাহলে তোমার মাজহাবের নিয়মানুসারে তোমার ওজু ভেঙে গেছে। আর তার মাজহাবের নিয়মানুসারে তার ওজু ভাঙে নাই।
=> আমি তখন বললাম এইটা কেমনে হলো ??
.
((বিঃদ্রঃ হানাফীদের চামড়ায় কি তেলের পরিমান বেশি যে তাদের ওযু ভাঙবে না পক্ষান্তরে শাফেয়ীদের চামড়া কি এতই খসখসে যে শরীরে সামান্য হাতের টাচ লাগাতেই ওযু ভেঙে গেল ??))
.
তখন আমি উত্তর দিলাম....
আবু দাউদ এর এক নম্বর খন্ড
অধ্যায় সত্তর হাদীস নম্বর ১৭৯,
অনুসারে এমতাবস্থায় ওযু
ভাঙ্গবে না..!
এছাড়া সহিহ বুখারী এর এক নম্বর খন্ড
হাদীস নম্বর ৫১৯ অনুসারে একই কথা
বলা হচ্ছে যে এমতাবস্থায় ওযু
ভাঙ্গবে না..!
.
প্রশ্ন (৫) এখন আমি কোনটা মানবো ?? হাদীস মানবো নাকি শাফেয়ী মাজহাবের ঐটাই মানবো ??
.
=> উনি একটু দায় সারার মতো কোনো
রকমে উত্তরে বললেন, "" তুমি যদি শাফেয়ী
মানো তাহলে তো সমস্যা নেই কেননা তিনি কিন্তু কুর-আন হাদীসের উপর ভিত্তি করেই সমাধান দিয়েছেন....!!""
.
তখন আমি বললাম
প্রশ্ন (৬) তাহলে
সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের শেষের
সেই ফারদ্দুহু ইলাল্লাহি ওয়া রাসুলিহি (মতবিরোধ হলে আল্লাহ এবং তার রাসুলের দিকে ফিরে যাও)... একথার কি হবে ??
তাছাড়া প্রত্যেক ইমামই বলেছেন যে.....
""যখন সহিহ হাদীস পাবে সেটাই গ্রহণ করবে "" অর্থাৎ
তিনি নিজেই বলেছেন সহিহ হাদীস গ্রহন করার কথা।
তাহলে আমি কি করবো ??
হাদীস গ্রহণ করবো ? নাকি ওজু ভেঙে গেছে ধরে নিব ?
.
তখন তিনি জবাবে বললেন,... হাদীসটা
যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে হাদীস মানলে
তো সমস্যা নাই।
.
=> এরপর আরো অনেক কথা হয়েছিল
যা লিখতে গেলে ছোট খাটো একটা
বই হয়ে যাবে....
.
যা হোক...
কিছু প্রশ্ন বলে রাখি পারলে
মাজহাবী ভাইয়েরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা
করবেন...
.
প্রশ্ন (৭) বিয়ের বছর দুই পর
আল্লাহ আমাদের একটা
ছেলে সন্তান দিলেন।
বাপ বলতেছে ওজু ভাঙবে আর
মা বলতেছে ওযু ভাঙবে না.... কার কথা মানবে সে ??
কিংবা মা বলতেছে
তোমাকে নাভীর নিচে হাত বাধতে হবে
আর বাপ বলতেছে নাভীর উপরে বাধতে
হবে। কার কথা মানবে সে ??
.
প্রশ্ন (৮) যেহেতু আমার স্ত্রী হানাফী
আর আমি শাফেয়ী তাহলে আমার
সন্তানের পরিচয় কি হবে ?? দুইটা কম্বাইন করে অর্থাৎ হানাফীর "হা" এবং শাফেয়ীর "শা" মিলে কি হাশায়ী হবে ??
নাকি চার মাজহাবের যেকোনো এক মাজহাব মানবে??
.
যদি বলেন সে তার পছন্দসই
যেকোনো একটা মাজহাব মানবে...
তাহলে দেখা গেলো সে বড় হয়ে হয়তো
হাম্বলি মাজহাব মানা শুরু করে দিল।
এক্ষেত্রে কিন্তু
কোনো আপত্তি দেখাতে পারবেন না।
.
প্রশ্ন: (৯) কোনো একটা কারণে রাগের মাথায় আমি
আমার বউকে এক সঙ্গে তিন তালাক
দিয়ে ফেললাম...
পরে আমি অনুতপ্ত হলাম যে কাজটা
করা উচিৎ হয়নি।
আমার বউয়ের কাছে শুনলাম সেও আমার কাছে থাকতে চায়।
কিন্ত সে হানাফী
মাজহাবের ফতুয়াটা দাড় করিয়ে বলল
যে, আমিতো থাকতে চাই কিন্ত আমার
মাজহাব তো বলছে পারবো না। একসঙ্গে
তিন তালাক দেয়াকে তিন তালাক হিসেবেই ধরার কথা বলা হয়েছে।
আমি বললাম ওটাকে এক তালাক
ধরতে হবে।
.
ছেলেকে বললাম তোমার মাকে ম্যানেজ
করো....
.
ছেলে কুর-আন হাদীসের রেফারেন্স
দিয়ে বলল যে আব্বা আমার মাকে
ফিরিয়ে নিতে পারবে....!
# দলিল: সুরা বাকারা ২২৯-২৩১
.
এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে
সেটা এক তালাক হিসেবে?
ধরা হবে।
# দলিলঃ আবু দাউদ হা/২১৯৬, সূরা ত্বলাক আয়াত ০১
.
এখন
তাহলে সমাধানটা কি হবে ??
.
প্রশ্ন(১০) এটার কি কোনো
সমাধান আছে নাকি নতুন কোনো
ফতুয়া তৈরি হবে যে "এক মাজহাবের ছেলের
সাথে আরেক মাজহাবের মেয়ের
বিবাহ হারাম .!!
.
প্রশ্ন (১১) ""চার মাজহাবের এক মাজহাব
পুরোপুরিভাবে মানতে হবে বা চার মাজহাবের এক মাজহাব মানা ফরজ""
এই কথাটা কুর-আনের কোন সুরায় বর্ণিত
হয়েছে ?
বা কোন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ?
অথবা চার ইমামের কোন ইমাম বলে গেছেন ??
.
প্রশ্ন(১২).......আরো প্রশ্ন লাগবে.........???
.
বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
গঠনমূলক এবং দলিলভিত্তিক
আলোচনা/সমালোচনা করতে পারেন।
আপনাকে স্বাগতম।
লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার/কপি
যেভাবে পারেন অন্যকে পড়ার সুজোগ
করে দিন।
আল্লাহ আমাদেরকে মাজহাবের গোঁড়ামি
থেকে দূরে রেখে সঠিক জিনিষ জেনে বুঝে
আমল করার তাওফিক দান করুন।
(আমিন)