সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

“তাহতাস সুররাহ” সমাচার লুৎফর রহমান ফরাজী

Somun Khan  bhai theke

★ মামা আর ভাগ্নের কথোপকথনে “তাহতাস সুররাহ” সমাচার ★ 😆
ভাগ্নে! লুৎফর রহমান ফরায়েজী সাহেব তার বক্তব্যে (লিংকঃ https://youtu.be/tncO1w1VkAI) বলেন, নাভীর নিচে হাত বাঁধার ক্ষেত্রে তাদের প্রথম দলীল হল আওয়ামা কর্তৃক তাহক্বীক্বকৃত “মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ” এটা সৌদি থেকে প্রকাশিত। আবু বকর ইবনু আবী শায়বাহ ইমাম বুখারীর উস্তাদও। সেই কিতাবের ৩৯৫৯নং হাদীছ। যা নিম্নরূপঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ تحت السرة »
আলক্বামা বিন ওয়াইল বিন হুজর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাতে তার বাম হাতের উপর ডান হাত নাভীর নিচে রাখতে দেখেছি।
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, তাহক্বীক্ব আওয়ামা, হা/৩৯৫৯। আওয়ামা আল হানাফী হাদীছটির সানাদ সহীহ বলেছেন।
বুঝলাম! মামু। ঘাপলাটার কথা জানেন তো?
কি ঘাপলা ভাগ্নে?
ঐ হাদীছটিই শামেলাহ থেকে পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, (শামেলাহ) হা/৩৯৩৮
এখানে “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে শব্দ নেই।
শাইখ আবূ মুহাম্মাদ উসামা এর নুসখা থেকে পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
মুসান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, তাহক্বীক্ব উসামা, হা/৩৯৬২
এখানেও “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে শব্দ নেই।
শাইখ উসামা হাদীছটিকে মুরসাল বলেছেন।
সন্দেহ! সন্দেহ!! সন্দেহ!!!
তাহলে মনে হয় অন্য জায়গায় আছে ভাগ্নে!!! অন্য ইমামরা কি এই সানাদে হাদীছ আনেন নি? সেখানে থাকলে তো আর সন্দেহ থাকে না যে এটা সংযোজিত শব্দ কি না?
আচ্ছা মামা! চলুন দেখি হুবহু সানাদে অন্য ইমামরা কি “তাহতাস সুর্রাহ” এর সন্ধান আমাদের দিয়েছেন কি না?
(০১) হুবহু সানাদে হাদীছটি রয়েছে মুসনাদে আহমাদে।
حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ "
মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩১৬; (আরনাউত্ব) হা/১৮৮৪৬
শাইখ আরনাউত্ব ইসনাদুহু সহীহ বলেছেন।
পাওয়া গেল না। “তাহতাস সুর্রাহ” পাওয়া গেল না।
(০২) আরো পড়ুন শারহুস সুন্নাহ থেকে,
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الصَّالِحِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْحِيرِيُّ، أَنَا حَاجِبُ بْنُ أَحْمَدَ الطُّوسِيُّ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، نَا وَكِيعٌ، نَا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ، ٢٥ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلاةِ»
শারহুস সুন্নাহ লিল বাগাওয়ী, (শামেলাহ), হা/৫৬৯
হায়! হায়!!
“তাহতাস সুর্রাহ” এর খবর নেই। এ কি কথা!!!
(৩) আরো পড়ুন সুনানে দারাকুতনী থেকে,
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , وَعُثْمَانُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَحْوَلُ , قَالَا: نا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى , نا وَكِيعٌ , نا مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيُّ , عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
সুনানে দারাকুতনী, (শামেলাহ) হা/১১০১; (ই.ফা.বা.) হা/১০৭৪
সুবহানআল্লাহ!!!
“তাহতাস সুর্রাহ” তথা নাভীর নিচে কথাটা এখানেও নেই।
আচ্ছা! আর কোথাও কি খোঁজ লাগানো যায়?
আলকামা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছে এরকম আরেকটা বর্ণনা আছে। সেটা ইমাম ওয়াকী এর স্থলে ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের বর্ণনা। সেটা পড়বেন নাকি?
পড়ে দেখি!!! যদি পাইয়া যাই!!!
ওকে। পড়ুনঃ
(৪) সুনানে দারাকুতনী থেকেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَكَرِيَّا , وَالْحَسَنُ بْنُ الْخَضِرِ , قَالَا: نا أَحْمَدُ بْنُ شُعَيْبٍ , ثنا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ , ثنا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ , وَقَيْسُ بْنُ سُلَيْمٍ , قَالَا: نا عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ » إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ "
সুনানে দারাকুতনী, (শামেলাহ) হা/১১০৪; (ই.ফা.বা.) হা/১০৭৭
মামু! “তাহতাস সুর্রাহ” নাইক্কা।
খাড়াও আরেকটা পাইছি।
(৫) সুনানে নাসাঈ আস সুগরা থেকেঃ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ، وَقَيْسِ بْنِ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيِّ قَالَا: حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ»
সুনানে নাসাঈ আস সুগরা, (আলবানী, মা.প্র) হা/৮৮৭; (ই.ফা.বা) হা/৮৯০; (আলী যাই) হা/৮৮৮
শাইখ আলবানী সানাদ সহীহ বলেছেন।
শাইখ যুবায়ের আলী যাই সানাদ সহীহ বলেছেন।
“তাহতাস সুর্রাহ” কিন্তু পাইলাম না মামু!!!
শব্দটা গেল কই?
আচ্ছা। সহীহ মুসলিমে না ওয়ায়েল বিন হুজর থেকে একটা হাদীছ আছে। ঐখানে কি আছে?
আরে! মামুর কও কি? সহীহাইনে থাকলে তো লা মাযহাবীরা তোমাগো জন্মের আগেই আমল করতো।
পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، وَمَوْلًى، لَهُمْ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنْ أَبِيهِ، وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حِينَ دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ - وَصَفَ هَمَّامٌ حِيَالَ أُذُنَيْهِ - ثُمَّ الْتَحَفَ بِثَوْبِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ أَخْرَجَ يَدَيْهِ مِنَ الثَّوْبِ ثُمَّ رَفَعَهُمَا ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ فَلَمَّا قَالَ ‏ "‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ بَيْنَ كَفَّيْهِ ‏.‏
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে।
তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলেন, তিনি সালাত শুরু করার সময় দুই হাত তুললেন এবং তাকবীর বললেন। হাম্মামের বর্ণনায় আছে, তিনি দুই হাত কান পর্যন্ত উঠালেন; অতঃপর চাঁদরে ঢেকে নিলেন এবং ডান হাত বা হাতের উপর রাখলেন। তিনি যখন রুকু’তে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, উভয় হাত কাপড়ের ভিতর থেকে বের করলেন, অতঃপর উভয় হাত উত্তোলন করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে রুকু’তে গেলেন, তিনি যখন "সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" বললেন দু'হাত উঠালেন। তিনি যখন সাজদায় গেলেন, দু' হাতের মাঝখানে সাজদাহ করলেন।
সহীহ মুসলিম, (হা.একা.) হা/৭৮২; (ই.ফা.বা.) হা/৭৭৯, (ই.সে.বা.) হা/৭৯১
ধুর! “তাহতাস সুর্রাহ” যদি হাদীছে না-ই থাকে তাহলে শাইখ আওয়ামা পাইলো কই এই কথা? সে কি নিজের পক্ষ থেকে যোগ করেছে?
না। তা ঠিক সে যোগ করে নি। এর ইতিহাস আছে। তবে দেওবন্দীরা কিছু তথ্য দিয়েছে। যেমনঃ আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, আমি মুসন্নাফের তিনটি নুসখা অধ্যয়ন করেছি। তন্মধ্যে একটিতেও (তাহতাস সুর্রাহ বা নাভীর নিচে শব্দাবলী) পাই নি। (ফায়যুল বারী ২/২৬৭)
তাই নাকি?
হুম। বর্তমানে দেওবন্দীরা যাকে শাইখুল ইসলাম বলে তিনি বলেন জাস্টিস তাকী উসমানী। তিনি তার দারসে তিরমিযীতে মুসান্নাফ এর “তাহতাস সুর্রাহ” বা নাভীর নিচে হাত বাঁধার অংশ নিয়ে সন্দেহপোষণ করেছেন এবং সংশয়পূর্ণ বলেছেন। (দারসে তিরমিযী, বাংলা, ২/২২-২৩)
আচ্ছা!!! তো বাকি ইতিহাস কি?
তাহলে ইতিহাসটা পড়েনঃ https://www.mediafire.com/download/tyf12thz436rygu
আর এই লেখাটা কিন্তু পাকিস্তানের আলবানী শাইখ যুবায়ের আলী যাই রাহিমাহুল্লাহ এর “ছলাতে হাত বাঁধার বিধান ও স্থান” বইয়ের ৫০পৃষ্ঠা থেকে সংকলিত। ঐ বইটাও অবশ্যই পড়বেনঃ https://www.mediafire.com/download/qdel2jwva5jo2q1
আচ্ছা! ইতিহাস পড়ে নেব ইনশাআল্লাহ। তাহলে ওয়ায়েল বিন হুজর অর্থাৎ আলকামা এর পিতা থেকে কি আর কিছু বর্ণিত আছে?
আছে তো।
কি সেটা?
পড়ুনঃ
نا أَبُو مُوسَى، نا مُؤَمَّلٌ، نا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ»
ওয়ায়িল বিন হুজর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছিলাম, তিনি স্বীয় ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে তার সিনার উপর স্থাপন করলেন।
সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, হা/৪৭৯; বুলুগুল মারাম, (তা.পা.) হা/২৭৮
শাইখ আলবানী সানাদ দ্বঈফ কিন্তু হাদীছ সহীহ বলেছেন।
এটা মূলত সাক্ষ্যমূলক হাদীছ হিসেবে পেশ করা হয়। “ছলাতে হাত বাঁধার বিধান ও স্থান” বইতেই আলোচনা করা হয়েছে। ওয়ায়েল রাঃ থেকে হাত বাঁধার স্থান উল্লেখ ব্যতীত আরো বর্ণনাও আছে।
আচ্ছা বইটি তাহলে পড়তেই হবে।
হুম। পড়েন। আরেক দিন কথা হবে ইনঁশাআল্লাহ।
ও! মামা।
বলো ভাগ্নে।
ইমাম আবু বকর ইবনু আবী শাইবাহ কিন্তু ইমাম বুখারীর উস্তাদ।
হ্যাঁ। তাতো ফরায়েজী সাহেবই উল্লেখ করেছেন।
হুম মামা। সে তো উল্লেখ করেছেই। তা ঐ কিতাবে কিন্তু একটা অধ্যায় আছে। নাম কি জানেন নি?
কি নাম ভাগ্নে?
কিতাবুল রাদ্দি আলা আবি হানীফাহ।
মানে?
মানে টানে থাকুক।
আজকে আসি।
আসসালামু আলাইকুম
চলমান...........

1 টি মন্তব্য: