বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (২য় পর্ব)
প্রসঙ্গ শবে বরাত
আপনারা সূরা দোখানের (৩ ও ৪) নং ---
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ
ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল
করেছি। এক বরকতময়
রাতে, নিশ্চয়
আমি সতর্ককারী।
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়।
এই দুইটি আয়াতের
দলিল দিয়ে শবে বরাতকে জায়েয
করতে চান এবং
হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)-
এর বর্ণিত হাদিস
দিয়ে, (যেখানে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা) ঘুম
থেকে জাগ্রত
হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় না পেয়ে তাকে যখন
বাকী নামক
কবরস্থানে খুঁজে পেলেন এবং তার প্রশ্নের জবাবে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'হে আইশা জান
না আজ কোন রাত?')
দেখুন ইবনে মাজাহ
হাদীস -
১৩৮৯ ( ইসলামিক
ফাউন্ডেশন)
এই কথা দিয়ে তারা শবে বরাতকে জায়েজ করতে চায়।
আমি এইসব
সাম্মানিত শায়েক
বুজর্গ /
বুজর্গয়ানে দ্বীনদের
প্রশ্ন করি,
এই রাতটি যদি মুবারক রাত হয় (সূরা দুখানের আয়াত অনুযায়ী) হয় তাহলে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা)
ঘুমাচ্ছিলেন কেন?
এ ব্যাপারে তিনি জানতেনই
না বা কেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একা একা এই মুবারক
রাতের ফায়েজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন কি?
উম্মাতকে না জানিয়ে?? একাই ইবাদত বেশি করতে চেয়েছেন??
(নাউজুবিল্লাহ্ )।
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতকে 'লাইলাতুন
নিসফ্ মিন শাবান'
বললেন, কিন্তু
আপনাদের এ
সুন্নতটি পছন্দ
হলো না।
এই হাদীসের
আরবি সনদ দেখুন---
( ﺭﻗﻢ 974 ( ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻧﻬﺎ
ﺭﺃﺕ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺧﺮﺝ ﺫﺍﺕ ﻟﻴﻠﺔ ﺇﻟﻰ
ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ . ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻔﻌﻞ ﻧﻔﺴﻪ
ﺍﻟﺬﻱ ﺭﻭﻱ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ
ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻌﻠﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ
ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻓﻴﺤﻤﻞ ﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻭﺧﺮﻭﺟﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻓﻲ
ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ
ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ
তাহলে বুঝুন তাদের
অবস্থা।
আল্লাহ্ তা'আলা এ
উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন ও অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন এবং এ দ্বীনের মদ্ধে যে ব্যাক্তি নতুন কিছু প্রবর্তন করবে যার
তিনি অনুমোদন
দেননি তাকে তিনি অপছন্দ করেন।।
আল্লাহ্
তা'আলা বলেন ---
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ
ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲ
ﻭَﺭَﺿِﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡَ ﺩِﻳﻨًﺎ
আজ আমি তোমাদের
জন্যে তোমাদের
দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ
করে দিলাম, তোমাদের
প্রতি আমার অবদান
সম্পূর্ণ করে দিলাম
এবং ইসলামকে তোমাদের
জন্যে দ্বীন
হিসেবে পছন্দ করলাম।
সূরা মায়েদা আয়াত -৩
কিন্তু আপানাদের
বিদা'আত করা প্রছন্দ কিন্তু সুন্নত পছন্দ নয়, তাই
তো তারা বিদআ'ত
আবিষ্কার
করে সুন্নতকে হটিয়ে এ
রাতের নাম দিলেন
শবে বরাত। যারা সুন্নত
সুন্নত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন,
যারা সুন্নত রাখার
যায়গা পাননা একেবারে উপচিয়ে পড়ে তাদের
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর বলা নামটি পছন্দ হলো না কেন?
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
আপনারা যদি আরবি সনদে কোন
হাদীসে শবে ররাত শব্দ দেখাতে পাড়েন
তাহলে আমিও আজ
থেকে শবে বরাত পালন করবো।
বিদা'আতের
ব্যাপারে রাসূল (স)
সহীহ হাদীস
দ্বারা প্রমাণিত যে,
বিদা'আত মাত্রই
গুমরাহী বা ভ্রষ্ঠতা।
রাসূল (স) এ থেকে বিরত থাকার জন্য কাঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিদ‘আতের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে আমরা আরও ভয়াবহ চিত্র
দেখতে পাব।
বিদ‘আত সম্পর্কে রাসূূলুল্লাহ
(সা) এরশাদ করেন।
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ
ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ- ﺻﺤﻴﺢ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
যে ব্যক্তি আমার এই
দীনের মাঝে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়,
তবে তা প্রত্যাখ্যাত।
তিনি আরও বলেন,
ﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ ﻭﻛﻞ ﺿﻼﻟﺔ
ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ -
প্রত্যেকটি নব
উদ্ভাবিত জিনিষই
পথভ্রষ্টতা আর
পথভ্রষ্টতা দোজখের
দিকে নিয়ে যায়।
বোখারী / মুসলিম
তবে আপনারা যদি তাহাজ্জুদ
মনে করে মসজিদে কিছু সময় সলাত অতঃপর বাসায় সলাত পড়েন বা অন্যান্য ইবাদত
করেন তাহলে সমস্যা নাই
কিন্তু
আমাদের দেশে যেভাবে উৎযাপন
করা হয় এবং মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া মিলাদ
এবং
দলে দলে গিয়ে কবর জিয়ারত
করা এবং
হালুয়া রুটি খাওয়া বা বিতরন
করা তা অবশ্যই
বিদা'আত।
আপনারা আবার
ধরে নিয়েন
না যে আমি করব
জিয়ারত করতে নিশেধ করছি।কিন্তু প্রচলিত এই প্রথায় নয় করব জিয়ারত
করতে হবে রসূল ( স) সুন্নাতের প্রথায় কারন করব জিয়ারতের অনেক
গুলো সহীহ হাদীস
আছে।
পড়ে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলত মহান আল্লাহ প্রতি মদ্ধো রাত্রিতে নেমে আসেন আল্লাহ্ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে তখন আল্লাহ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে প্রার্থনা করছ আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। বুখারী শরীফ-১১৪৫, মুসলিম শরীফ-৭৫৮
এই রাতে সলাত বা ইবাদাতের জন্যে খাস করার দরকার হলে আল্লাহর নবী (স) করতেন, সাহাবা গন (রাদ) করতেন কিন্তু তা করেন নাই।
কোন কোন তাঁবে ই তা ব্যক্তির নিজস্ব কাজ। কারো নিজস্ব কাজ অন্যের জন্যে সুন্নাত বা তরীকা হতে পারেনা।
আজো কেউ যদি সাবানের আগে পরে রাত্রে এবাদাত করে এবং তাঁর অভ্যাস অনুসারে সাবানের রাতেও করে তাহলে তা ঠিক আছে।
কিন্তু সাবানের রাত কে খাস করে ইবাদাত করা বিদা'আত হবে। আল্লাহ্ ভাল জানেন। ইনশাআল্লা হ আল্লাহ্ তালা আমাদের সবাইকেই হক বুঝা ও মানার তৌফিক দাও। আমীন
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন