কেউ যদি দাবী করে যে,
ইজতিহাদী মাসআলায় তার বক্তব্য বা মতই চূড়ান্ত, তাহলে তিনটি সম্ভাবনা আছে, ১. সে আল্লাহ অথবা আল্লাহর রাসূল । ২. তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসে। ৩. উপরের দু'টি না ঘটে থাকলে এ লোকটি যে তার দাবীতে মিথু্যক, সেটাই চূড়ান্ত। প্রথম দু'টি বিষয় ছাড়া রাসূল স. এর ইন্তেকালের পরে ইজতিহাদী মাসআলায় কোন মতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে দেয়ার দাবীদার হয়তো চূড়ান্ত মিথ্যুক নতুবা নিজের মতকেই শরীয়ত বা ওহী মনে করে। কোন মুজতাহিদ ইমাম ইজতেহাদের ক্ষেত্রে এই দাবী করে না যে, তার মতটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু হানাফী (হাপানি) জাহেল মুকাল্লীদ Lutfor Faraji এই দাবী করে যে, আমাদেরটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
Lutfor Faraji লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Lutfor Faraji লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব) ফরাজী
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব)
শরীয়তের যেসব মাসআলায় গবেষণার সুযোগ আছে, সেখানে চূড়ান্ত সত্যটি আমাদের অজানা।
লেবেলসমূহ:
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দাতা,
দেওবন্দী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
হানাফি,
Lutfor Faraji
মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬
মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না -চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ
মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না - এটা আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ
-------------------------------
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন?
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন।
তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না?
আমি বললামঃ হ্যা, আল্লাহর রাসূল!
তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেন নি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন।
তাকে তিনি (সুবহানাহু তাআলা) বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব।
সে (জাবিরের পিতা) বললঃ হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আবা আপনার রাহে নিহত হতে পারি।
বারাকাতময় আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না।
এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরান: ১৬৯)
[তিরমিযি: হা: ৩০১০; হাসান (আলবানী, যুবাইর আলী যাই, ইমাম তিরমিযী)
------------------------
মহান আল্লাহ বলেনঃ
যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। না এটা হবার নয়; এটাতো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত। [সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০]
{{ কপি }}
বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬
পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য অজুর "ফরয বা রুকন নয়"
জাকির নায়েকের
নামে তোলা মিথ্যা অপবাদের জবাব
""পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়"""
________________________________________________________________________
ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে
লা মাযহাবী লিডার আবু হানিফা
এর অনুসারী দেওবন্দী, বেরোল্ভী,
নামধারী নাস্তিক ও
ইহুদি খ্রিস্টানদের
এজেন্টদের
তোলা প্রচারিত
অভিযোগের
সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযোগ
" পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য
কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়""
এর দলীল
ভিত্তিক খন্ডন
নিচে করা হলো :
________________________________
অভিযোগ খন্ডন এবং জবাব :
প্রথম কথা বিষয়টি একতেলাফী।
কাজেই যদি জাকির
নায়েককে এ
বিষয়ে কটাক্ষ করা হয় তাহলে তাদেরকে করতে হবে যারা এর পক্ষে
.........
মানুষের বেশিরভাগ
সময় অজু
থাকে না।আর
যদি অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা না যায় তাহলে বেশিরভাগ সময় কুরআন পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর কুরআন
পড়া থেকে বিরত
রাখা শয়তানের কাজ।
যারা বলে অজু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে না তারা সূরা ওয়াক্বিয়ার ৭৯ নং আয়াতের রেফারেন্স
দিয়ে থাকেন।
আয়াতটি নিম্নরূপ
ﻻَ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇﻻَّ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥ َ.
আয়াতখানির মূল
শব্দ (Key words)
হচ্ছে তিনটি।
যথা-মাস্
( ﻣَﺲٌّ )=স্পর্শ
করা/
ধারে কাছে আসা,
উপলব্ধি করা,
হু ( ﻩُ )
= ঐ
এবং মুতাহ্হারুন
( ﻣُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥَ )=পাক-
পবিত্র।
মূল শব্দ তিনটি অপরিবর্তিত রেখে আয়াতখানির সরল অর্থ দাঁড়ায়
“মুতাহ্হারুন (পাক- পবিত্র) ব্যতীত ঐ কুরআন কেউ মাস্ (স্পর্শ) করতে পারে না।”
আগের দুটি আয়াত
সহ দেখলে অর্থ হয
“নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সুরক্ষিত গোপন
কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঐটি স্পর্শ করতে পারে না।” (৫৬:৭৭-৭৯)
এখানে যে কুরআনের কথা বলা হয়েছে তা পৃথিবীর কুরআন
নয়, এটা লাওহে মাহফুজের
কুরআন।
আর পাক-পবিত্র
বলতে ফেরেস্তাদেরই
বুঝানো হয়েছে।
কারন,
________________
১. যখন এই আয়াতগুলি নাজিল
হয় তখন সম্পুর্ন কুরআন নাজিল হয় নি। তাই
পৃথিবীর কুরআন এই আয়াত গুলিতে উল্লেখিত সুরক্ষিত
গ্রন্থ হতে পারে না।
________________
২. “( ﻩُ )=ঐ”
দ্বারা দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন বুঝিয়েছে।
আর দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন
হচ্ছে লাওহে মাহফুজের কুরআন।
________________
৩. এখানে “স্পর্শ
করো না” উল্লেখ
নেই। উল্লেখ
আছে “স্পর্শ
করতে পারে না”।
পৃথিবীর
কুরআন যে কেউ স্পর্শ করতে পারে।
তাই ঐটি পৃথিবীর
কুরআন নয়
লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন।
এই আয়াতে ‘মুতাহ্হারুন’
শব্দের অর্থ
ইবনে কাছির ও
আশরাফ আলী থানবী এর মতে ‘নিষ্পাপ ফেরেস্তা’,
মুফতি শফীর মতে বিপুল সংখ্যক
সাহাবী,তাবেয়ী অনুযায়ী এটা হবে ‘নিষ্পাপ’,
মউদুদীও
একে ‘নিষ্পাপ’
অনুবাদ করেছেন।
তাই কুরআন স্পর্শ
করতে বা পড়তে অজু কোনও বিষয় নয়।
যারা মানেন তাদের
জন্য নিচে দুটি
হাদিসও উল্লেখ করছিঃ
“ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত।
একদা রাসূল (সা.)
শৌচাগার হতে বের
হয়ে আসলে তাঁর
সামনে খাবার
উপস্থিত করা হল।
তখন লোকেরা বলল, আমরা কি আপনার জন্যে অজুর পানি আনব না?
তিনি বললেন, যখন নামাজের
প্রস্তুতি নিব শুধু
তখন অজু করার
জন্যে আমি আদিষ্ট
হয়েছি।” (তিরমিযী,
আবু দাউদ,
নাসায়ী)
“আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.)
পায়খানা হতে বের
হয়ে বিনা অজুতে আমাদের কুরআন
পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশত খেতেন।
তাঁকে কুরআন
হতে বাধা দিতে পারত না বা বিরত
রাখত না জানাবাত
(গোসল ফরজ) ব্যতীত অন্য কিছু।” (আবু দাউদ,
নাছায়ী ও
ইবনে মাজাহ)
উপরোক্ত আয়াতের
প্রকৃত অর্থ দাঁড়ায়
[৫৬:৭৯]
যারা আন্তরিক তারা ব্যতিত কেউই
এটা উপলদ্ধি করতে পারে না।
আন্তরিকতাহীন
যারা সন্তষ্ট নয়
শুধুমাত্র কুরআনে তারা ঐশ্বরিকভাবে
কুরআন বুঝা থেকে
প্রতিরোধ প্রাপ্ত হয়।
এই ধারনা কুরআনে বারবার দেওয়া হয়েছে (১৭:৪৫-৪৬,১৮:৫৭)
।
ফলে তারা এই আয়াতটিও বুঝতে পারে না।
৭:৩,১৭:৪৬,৪১:৪৪ ,
এবং ৫৬:৭৯ এর
অনুবাদস্বমূহ
মিলিয়ে দেখুন।
তাই অজুর অজুহাতে কুরআন থেকে দূরে থাকার অর্থই হয়
না।
[কপি করা ও শেয়ার করা যাবে]
লেবেলসমূহ:
ডাঃ জাকির,
দেওবন্দী,
মাযহাব,
হানাফি,
Lutfor Faraji
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬
মুক্বাল্লিদ হল পশু/ জীব/জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ -আইম্মাহগন বলেনঃ
মুক্বাল্লিদ হল পশু /জীব /জানোায়ার
সদৃশ/তুল্য চীজ -
আইম্মাহগন বলেনঃ
=======================================================
আমি মুক্বাল্লিদ
সম্প্রদায়কে গলায়/
ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করায় কতিপয় জাহিল বড়ই
মর্মাহত হয়েছে। তারা এটাকে কর্কশ ও রূঢ বলে উল্লেখ করেছে।
এখন আমি-ই বা কি
করতে পারি,
মুক্বাল্লিদ
সম্প্রদায়কে গলায়/
ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে সালাফে সালিহিন আমার অগ্রগামী হয়েছে - তাঁরা পূর্বসুরি, আমি
তো উত্তরসুরি।
মুকাল্লিদ সম্প্রদায়
সম্পর্কে আমার বহু
পূর্বেই আইম্মায়ে
সালাফগণ মূল্যায়ন
করে গেছেন - পশুর
কথা সেখানেই এসেছে,
আমি কেবল তা আমার
মত করে ভাষান্তর
করেছিঃ.
==========================================================
.
ইমাম ইবন আব্দুল বার বলেছেন,
ﻭﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﻌﺘﺰ :
» ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺑﻬﻴﻤﺔ ﺗﻘﺎﺩ
ﻭﺇﻧﺴﺎﻥ ﻳﻘﻠﺪ «
]ﺟﺎﻣﻊ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻓﻀﻠﻪ :
ﺑﺎﺏ ﻓﺴﺎﺩ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﻧﻔﻴﻪ
ﻭﺍﻟﻔﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ
ﻭﺍﻻﺗﺒﺎﻉ ]
আব্দুল্লাহ বিন
মু'তাঝ (রঃ) বলেল,
" বেড়ী দেয়া [বাধ্য
হওয়া] পশু/জীব/
জানোয়ার আর
মুক্বাল্লিদের মধ্যে
কোনও পার্থক্য নাই"
[(জামি' বায়ানুল 'ইলম - তাক্বলীদের ফ্যাসাদ...
...অনুচ্ছেদ)]
.
আবূ যায়েদ কাযী
ওবায়দুল্লাহ আদ-
দাবূসী (মৃঃ ৪৩০
হিঃ/১০৩৯ খ্রিঃ)
বলেছেন,
"তাক্বলীদের সারমর্ম
এই যে, মুক্বাল্লিদ
নিজেকে চতুষ্পদ
জন্তুর সাথে একাকার
করে দেয় .. ...
মুক্বাল্লিদ যদি
নিজেকে এজন্য জন্তু
বানিয়ে নেয় যে, সে
বুদ্ধি-বিবেক ও
অনুভূতিহীন, তাহলে
তার (মস্তিষ্কের)
চিকিৎসা করানো
উচিৎ।"
[(তাক্ববীমুল
আদিল্লাহ ফী
উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ
৩৯০; মাসিক ‘আল-
হাদীছ’, হাযরো, সংখ্যা ২২, পৃঃ ১৬)]
.
এছাড়া আরও
সমালোচনা রয়েছে
-
যার মোটামুটি বাংলা
হলঃ
---------------------------------------------------------------------------.
হাফিয যায়লাঈ (রঃ)
বলেছেনঃ-
ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ
‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে
এবং মুক্বাল্লিদ
মূর্খতা করে’
[নাসবুর রায়াহ, ১/২১৯]
.
বদরুদ্দীন ‘আইনী
বলেছেনঃ-
ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ
ﻭﺁﻓﺔ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ
‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ
মূর্খতা করে। আর
তাক্বলীদের কারণে
সকল বিপত্তি’
[আল-বিনায়া শারহ
হিদায়া, ১/৩১৭]
.
ইমাম ত্বাহাবী (রঃ)
হতে বর্ণিত আছে যে,
তিনি বলেছেনঃ-
ﻭﻫﻞ ﻳﻘﻠﺪ ﺇﻻ ﻋﺼﺒﻲ ﺃﻭ ﻏﺒﻲ
কট্টর/গোঁড়া ও
আহাম্মক ব্যতীত
কেউ তাক্বলীদ করে
কি?
[লিসানুল মীযান,
১/২৮০]
.
– হাফিয শাইখ যুবায়ের
আলী যাঈ (রঃ)
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)
________________________________________
_Mufti Sana Ullah
এই সম্মাণিত মুফতি কে উদ্দেশ্য করে এবং তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে_
জনাব মুফতি (শবে বরাত পাট্টি) সাহেব আপনি বলুন ::
১. "শব" শব্দের অর্থ কি ??
২. "বরাত" অর্থ কি ??
৩. "শবে বরাত" এই দুই শব্দ মিলে কি অর্থ হয় ??
৪. "শবে বরাত" কাকে বলে ??
৫. "কুরআনে কোন আয়াতে ভাগ্য রজনীর কথা বলা হয়েছে ?????
৬: "দুখানের বর্ণিত রাত যেটা ((আমি একে (কুরআন ) নাযিল
করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি
সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।সূরা আদ দুখান-3-4)
এখানে কয় রাতে কুরআন নাজিল এর কথা বলা হয়েছে ???
৭. "কুরআন নাজিলের রাতে কি এই আয়াতে "লাইলাতুল মুবারাকা" বলা হয়েছে (এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি
সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ?????
৮. "এই কথা কি কুরআন নাজিলের রাতের সাথে (এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ?????
___________________________
ধরুন মানলাম আপনার কথা
এখন তাহলে বলুন :
1.কুরআন নাজিল হয়েছে শাবান মাসে !!!!
দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন লিংকে
} ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ {
}{ বিঃদ্রঃ ১- কপি বাজি লিংক বাজি সরাসরি ডিলেট করা হবে }{
}{বিঃদ্রঃ ২- জনাব আশা করি উত্তর গুলো একে একে দিবেন }{
______________________________________________________
////সংগ্রহ:- যাকে উদ্দেশ্য কর নোট লেখা তার নাম ১ম কমান্ট দেখান : ০৪. (ক) শবে বরাত
যে এক
মহাগুরুত্বপূর্ণ রজনী
তার দলীল কোরআন
থেকে-
প্রথমত একটি বিষয়
জানা প্রয়োজন যে,
আমরা কসম করে
থাকি মহান সত্ত্বা
আল্লাহর নামে, আর
সেই আল্লাহ নিজেই
যদি তার কোন
সৃষ্টিকে নিয়ে কসম
করে, তাহলে তার
মহত্ব কেমন হতে
পারে?
❏আহলে হাদীস
ভাইদের নয়নের
শিরোমণী শায়খুল
ইসলাম ইবনে
তাইমিয়্যা (রহ.)
বলেন-
ﻣﺠﻤﻮﻉ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ (1/
290 )
ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳُﻘْﺴِﻢُ
ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗِﻪِ ﻟِﺄَﻧَّﻬَﺎ
ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﻭَﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗُﻪُ. ﻓَﻬِﻲَ
ﺩَﻟِﻴﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺑُﻮﺑِﻴَّﺘِﻪِ
ﻭَﺃُﻟُﻮﻫِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﻭَﺣْﺪَﺍﻧِﻴِّﺖِﻩِ
ﻭَﻋِﻠْﻤِﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻣَﺸِﻴﺌَﺘِﻪِ
ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﺣِﻜْﻤَﺘِﻪِ
ﻭَﻋَﻈْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋِﺰَّﺗِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﺄَﻥَّ
ﺇﻗْﺴَﺎﻣَﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺗَﻌْﻈِﻴﻢٌ ﻟَﻪُ
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ .
....মহান আল্লাহ তার
সৃষ্টির কোন কিছু
নিয়ে কসম করা, তা
ঐ জিনিষের মহান
গুরুত্ব সন্মান
ইত্যাদির উপর
বুঝায়....। মাজমুউল
ফাতাওয়া-১/২৯০।
❏ এখন দেখুন মহান
আল্লাহ নিজেই
পবিত্র কোরআনে
শবে বরাত নিয়ে
কসম করেছেন-
ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺠﺮﺟﺎﻧﻲ
ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ (ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ:
471ﻫـ ) ﻓﻰ ﺩﺭﺝ ﺍﻟﺪﺭﺭ
ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻵﻱ ﻭﺍﻟﺴﻮﺭ
(2/ 709 )
2 - {ﻭَﻟَﻴﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ:} ﺍﻟﻈّﺎﻫﺮ
ﺃﻧّﻬﻦّ ﻟﻴﺎﻟﻲ (4 ) ﺍﻷﻳﺎﻡ
ﺍﻟﻤﻌﻠﻮﻣﺎﺕ، (5 ) ﻭﻳﺠﻮﺯ
ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻬﻦّ ﻟﻴﻠﺔ
ﺍﻟﺠﺎﺋﺰﺓ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻔﻄﺮ،
ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺰﺩﻟﻔﺔ، ﻭﻫﻲ
ﻟﻴﻠﺘﺎ ﺍﻟﻨّﺤﺮ، ﻭﻟﻴﺎﻟﻲ ﻣﻨﻰ،
ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺙ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨّﺼﻒ
ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ
ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺃﺭﺑﻊ ﻟﻴﺎﻝ ﻓﻲ
ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ
ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻠّﻮﺍﺗﻲ ﺇﺣﺪﺍﻫﻦ
ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ.
(5 ) ﻳﻨﻈﺮ: ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ
ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ (19233 ) ﻋﻦ
ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ
ﺍﻟﺜﻌﻠﺒﻲ 10/ 191،
ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ 6/
217، ﻭﺍﻟﻜﺸﺎﻑ 4/ 749 .
অর্থাৎ : পবিত্র
কোরআনের সূরায়ে
আল ফজরের শুরুতেই
মহান আল্লাহ বলেন-
শপথ দশ রাত্রির,
উক্ত দশ রাত্রি
সম্পর্কে বিভিন্ন
মতামত রয়েছে,
কিন্তু আল্লামা
জুরযানী (রহ.) বলেন,
এর দ্বারা উদ্দেশ্য
হলো ঐ সব রাত্রি
যাতে পুরুস্কার
ঘোষনা করা হয়েছে
যেমন ..... শবে বরাত..।
দারজুদ দুরার-২/৭০৯।
❏ উল্লেখ যে উক্ত
দশ রাত্রির
ব্যাখ্যায় কোন কোন
মুফাসসের বলেন,
যিলহজের দশ
রাত্রি, আবার কেউ
বা বলেন, মাহে
রমজানের শেষ দশ
রাত্রি ইত্যাদি
বিভিন্ন মতামত
রয়েছে।
❏ বিখ্যাত তাবেয়ী
মাসরুককে
জিজ্ঞাসা করা
হয়েছিল-
ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ
ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ (4/ 376 )
8120 - ﻋَﻦْ ﻣَﻌْﻤَﺮٍ، ﻋَﻦِ
ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ
ﻗَﺎﻝَ: ﺳُﺌِﻞَ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٌ ﻋَﻦِ
{ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ}
[ﺍﻟﻔﺠﺮ: 2 ] ﻗَﺎﻝَ: «ﻫِﻲَ
ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺃَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔِ »
{ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ } এই
আয়াত দ্বারা কি
উদ্দেশ্য? তিনি
বললেন বছরের সব
উত্তম রাত্রিগুলো
উদ্দেশ্য। মুসান্নাফে
আব্দুর
রাজ্জাক-৪/৩৭৬,
হাদীস-৮১২০। আর
শবে বরাত বছরের
একটি উত্তম রজনী
তা আমরা হাদীস
দ্বারা আলোচনা
করেছি।
✏ ৪. (খ) মহান
আল্লাহ তায়ালা
পবিত্র কোরআনে
আরোও বলেন-
ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ (7/
225 )
ﺣﻢ (1 ) ﻭَﺍﻟْﻜِﺘﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
(2 ) ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ
ﻣُﺒﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ
(3 ) ﻓِﻴﻬﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ
ﺣَﻜِﻴﻢٍ (4 )............. ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ
ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻛَﻤَﺎ
ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ ﺍﻟﺦ
হা-মীম, শপথ
সুস্পষ্ট কিতাবের,
আমি একে নাযিল
করেছি এক
বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি
সতর্ককারী। এ
রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়। সূরা
আদ দুখান-১-৪।
উক্ত আয়াতে
‘‘বরকতময় রাত’’
নিয়ে মুফাসিরদের
মাঝে মতানক্য
রয়েছে, কেউ বলেন,
সেই রাত্রি হলো
লাইলাতুল কদর
আবার কেউ বা
বলেন, শবে বরাত।
কিন্তু লাইতালুল
কদর এটি অধিক
গ্রহণযোগ্য মত।
তাফসীরে ইবনে
কাসীর-৭/২২৫। আর
এই ব্যাখ্যা আহলে
হাদীসদের নয়নের
শিরোমনি আব্দুর
রহমান মুবারকপুরীও
বলেছেন। (তুহফাতুল
আহওয়াযী:৩/৩৬৭)
❏ সারকথা হলো,
পবিত্র কোরআনের
ব্যাখ্যাবিদগণ কোন
না কোন ভাবে
পবিত্র কোরআন
থেকেও শবে বরাতের
দিকে ইংঙ্গিত দেয়ার
চেষ্টা করেছেন। যা
তার মহত্বের প্রতি
ইংঙ্গিত বহন করে।////
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)
_____________________________________________
%ভারতীর দেওবন্দী ,কবর পূজারী বেরলোভী ,পির পূজারী জর্দা খুরদের দাবী %
শবে বরাত হল ভাগ্য রজনী যা ১৫ শাবান দলিল দেয় নিচের আয়াত থেকে
3 . ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
4
. ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
এই কথা দিয়ে বলে (প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।) এটা হল শবে বরাত !!!!
এদের কথা মত এটা দাড়ায় যে কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে শবে বরাতে কারন আয়াতে বলা আছে (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে)
কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে এদের মতে" ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে" কেননা এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় !!!!!!
_____________________________________________
জবাব :: কুরআন নাজিল হয়েছে " ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে " না রামাদানে দেখুন নিচের লিংকে
কারন কুরআন নাজিল আর দুখানে আয়াতে বণির্ত রাত এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ২য় অংশ
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৩য় অংশ (পর্ব) .
{ }
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (৩য় পর্ব)
আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন
উল্লেখ নেই
____________________________________________________________
শবে বরাত বলুন আর
লাইলাতুল বারায়াত
বলুন কোন
আকৃতিতে শব্দটি
কুরআন মাজীদে
খুজে পাবেন না।
সত্য কথাটাকে সহজভাবে
বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন
মাজীদে ""শবে
বরাতের"" কোন
আলোচনা নেই।
সরাসরি তো দূরের
কথা আকার
ইংগিতেও নেই।
অনেককে দেখা যায়
""শবে বরাতের"" গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের
প্রথম চারটি আয়াত
পাঠ করেন।
আয়াতসমূহ হলঃ "হা-
মীম। শপথ সুস্পষ্ট
কিতাবের। আমিতো
এটা অবতীর্ণ
করেছি এক
বরকতময় রাতে।
আমি তো
সতর্ককারী। < u> এই রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরকৃত হয়।" (সূরা
দুখান, ১-৪)
শবে বরাত পন্থী
আলেম উলামারা
এখানে বরকতময়
রাত বলতে ১৫
শাবানের রাতকে
বুঝিয়ে থাকেন।
আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে
বরকতময় রাতের
অর্থ ১৫ শাবানের
রাতকে বুঝিয়ে
থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা
আল্লাহর কালাম
বিকৃত করার মত
অপরাধ।
কারণঃ
(এক) কুরআন
মাজীদের এ
আয়াতের তাফসীর
বা ব্যাখ্যা সূরা আল-
কদর দ্বারা করা হয়।
সেই সূরায় আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন
বলেনঃ
"আমি এই কুরআন
নাযিল করেছি
লাইলাতুল কদরে।
আপনি জানেন
লাইলাতুল কদর কি?
লাইলাতুল কদর হল
এক হাজার মাস
অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
এতে প্রত্যেক
কাজের জন্য
মালাইকা
(ফেরেশ্তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার
নির্দেশে। এই শান্তি
ও নিরাপত্তা ফজর
পর্যন্ত অব্যাহত
থাকে। "(সূরা কাদর,
১-৫)
অতএব বরকতময়
রাত হল লাইলাতুল
কদর। লাইলাতুল
বারায়াত নয়।
সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল
এই সূরা আল-কদর।
আর এ ধরনের
ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল-
কুরআনের এক
আয়াতের ব্যাখ্যা
অন্য আয়াত দ্বারা
করা হল সর্বোত্তম
ব্যাখ্যা।
(দুই) সূরা দুখানের
লাইলাতুল মুবারাকার
অর্থ যদি ""শবে বরাত"" হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ
দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে
বরাতে নাযিল
হয়েছে।
অথচ আমরা
সকলে জানি আল-
কুরআন নাযিল
হয়েছে রামাযান
মাসের লাইলাতুল
কদরে।
যেমন সূরা বাকারার
১৮৫ নং আয়াতে
আল্লাহ রাব্বুল
‘আলামীন বলেন,
"রামাযান মাস, যাতে
নাযিল করা হয়েছে
আল-কুরআন।"
(তিন) অধিকাংশ
মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন
বরকতময় রাত
বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে। তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী
হওয়ার কারণে
পরিত্যাজ্য।
এ বরকতময় রাতের
দ্বারা উদ্দেশ্য যদি
শবে বরাত হয়
তাহলে শবে কদর
অর্থ নেয়া চলবেনা।
(চার) উক্ত আয়াতে
বরকতময় রাতের
ব্যাখ্যা শবে বরাত
করা হল তাফসীর
বির-রায় (মনগড়া
ব্যাখ্যা), আর
বরকতময় রাতের
ব্যাখ্যা লাইলাতুল
কদর দ্বারা করা হল
কুরআন ও হাদীস
সম্মত তাফসীর।
সকলেই জানেন
কুরআন ও হাদীস
সম্মত ব্যাখ্যার
উপসি'তিতে মনগড়া
ব্যাখ্যা (তাফসীর
বির-রায়) গ্রহণ
করার কোন সুযোগ
নেই।
(পাঁচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা
কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো
হয়েছে। সাহাবী
ইবনে আব্বাস (রাঃ),
ইবনে কাসীর,
কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা
দুখানের ‘লাইলাতুম
মুবারাকা’র অর্থ
শবে বরাত নেয়াকে
প্রত্যাখ্যান
করেছেন। (তাফসীরে
মায়ারেফুল কুরআন
দ্রষ্টব্য)
ইমাম কুরতুবী (রহঃ)
তাঁর তাফসীরে
বলেছেনঃ “কোন
কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম
মুবারাকাহ’ দ্বারা
উদ্দেশ্য হল মধ্য
শাবানের রাত (শবে
বরাত)। কিন্তু' এটা
একটা বাতিল
ধারণা।”
অতএব এ আয়াতে
‘লাইলাতুম
মুবারাকাহ’ এর অর্থ
লাইলাতুল কদর।
শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়।
(ছয়) ইকরামা (রঃ)
বরকতময় রজনীর
যে ব্যাখ্যা শাবানের
১৫ তারিখ দ্বারা
করেছেন তা ভুল
হওয়া সত্ত্বেও
প্রচার করতে হবে
এমন কোন নিয়ম-
কানুন নেই। বরং তা
প্রত্যাখ্যান করাই
হল হকের দাবী।
তিনি যেমন ভুলের
উর্ধ্বে নন, তেমনি
যারা তার থেকে
বর্ণনা করেছেন
তারা ভুল শুনে
থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়।
(সাত) শবে বরাতের
গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা
দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত- মাউত, রিয্ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান-
নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ
করা হয়। আর শবে
বরাত উদযাপন কারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন।
তারা এর উপর
ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের
চেয়ে ১৫ শাবানের
রাতকে বেশী গুরুত্ব
দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের
গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত
আয়াত উপস'াপন
করেন তারা মানুষকে
সঠিক ইসলামী
আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে- প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না।
(আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস্তারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক। (আল জামে লি আহকামিল কুরআন, সূরা আদ-দুখানের তাফসীর দ্রষ্টব্য)
লাইলাতুল বারাআত হল লাইলাতুল কদরের একটি নাম।
শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের নাম নয় ইমাম শাওকানী (রহ.) তার তাফসীর ফতহুল কাদীরে একই কথাই লিখেছেন। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর : ইমাম শাওকানী দ্রষ্টব্য) এ সকল বিষয় জেনে বুঝেও যারা ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ করবেন শবে বরাত, তারা সাধারণ মানুষদের গোমরাহ করা এবং আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না।
শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি __________________________________________________
প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই?
সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খোঁজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছেতার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি।
শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই।
এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল- কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই।অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে।
____________________
অতএব এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত অভিহিত করা মানুষের মনগড়া বানানো একটি বিদ‘আত যা কুরআন বা হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (২য় পর্ব)
প্রসঙ্গ শবে বরাত
আপনারা সূরা দোখানের (৩ ও ৪) নং ---
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ
ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল
করেছি। এক বরকতময়
রাতে, নিশ্চয়
আমি সতর্ককারী।
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়।
এই দুইটি আয়াতের
দলিল দিয়ে শবে বরাতকে জায়েয
করতে চান এবং
হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)-
এর বর্ণিত হাদিস
দিয়ে, (যেখানে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা) ঘুম
থেকে জাগ্রত
হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় না পেয়ে তাকে যখন
বাকী নামক
কবরস্থানে খুঁজে পেলেন এবং তার প্রশ্নের জবাবে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'হে আইশা জান
না আজ কোন রাত?')
দেখুন ইবনে মাজাহ
হাদীস -
১৩৮৯ ( ইসলামিক
ফাউন্ডেশন)
এই কথা দিয়ে তারা শবে বরাতকে জায়েজ করতে চায়।
আমি এইসব
সাম্মানিত শায়েক
বুজর্গ /
বুজর্গয়ানে দ্বীনদের
প্রশ্ন করি,
এই রাতটি যদি মুবারক রাত হয় (সূরা দুখানের আয়াত অনুযায়ী) হয় তাহলে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা)
ঘুমাচ্ছিলেন কেন?
এ ব্যাপারে তিনি জানতেনই
না বা কেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একা একা এই মুবারক
রাতের ফায়েজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন কি?
উম্মাতকে না জানিয়ে?? একাই ইবাদত বেশি করতে চেয়েছেন??
(নাউজুবিল্লাহ্ )।
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতকে 'লাইলাতুন
নিসফ্ মিন শাবান'
বললেন, কিন্তু
আপনাদের এ
সুন্নতটি পছন্দ
হলো না।
এই হাদীসের
আরবি সনদ দেখুন---
( ﺭﻗﻢ 974 ( ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻧﻬﺎ
ﺭﺃﺕ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺧﺮﺝ ﺫﺍﺕ ﻟﻴﻠﺔ ﺇﻟﻰ
ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ . ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻔﻌﻞ ﻧﻔﺴﻪ
ﺍﻟﺬﻱ ﺭﻭﻱ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ
ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻌﻠﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ
ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻓﻴﺤﻤﻞ ﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻭﺧﺮﻭﺟﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻓﻲ
ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ
ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ
তাহলে বুঝুন তাদের
অবস্থা।
আল্লাহ্ তা'আলা এ
উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন ও অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন এবং এ দ্বীনের মদ্ধে যে ব্যাক্তি নতুন কিছু প্রবর্তন করবে যার
তিনি অনুমোদন
দেননি তাকে তিনি অপছন্দ করেন।।
আল্লাহ্
তা'আলা বলেন ---
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ
ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲ
ﻭَﺭَﺿِﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡَ ﺩِﻳﻨًﺎ
আজ আমি তোমাদের
জন্যে তোমাদের
দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ
করে দিলাম, তোমাদের
প্রতি আমার অবদান
সম্পূর্ণ করে দিলাম
এবং ইসলামকে তোমাদের
জন্যে দ্বীন
হিসেবে পছন্দ করলাম।
সূরা মায়েদা আয়াত -৩
কিন্তু আপানাদের
বিদা'আত করা প্রছন্দ কিন্তু সুন্নত পছন্দ নয়, তাই
তো তারা বিদআ'ত
আবিষ্কার
করে সুন্নতকে হটিয়ে এ
রাতের নাম দিলেন
শবে বরাত। যারা সুন্নত
সুন্নত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন,
যারা সুন্নত রাখার
যায়গা পাননা একেবারে উপচিয়ে পড়ে তাদের
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর বলা নামটি পছন্দ হলো না কেন?
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
আপনারা যদি আরবি সনদে কোন
হাদীসে শবে ররাত শব্দ দেখাতে পাড়েন
তাহলে আমিও আজ
থেকে শবে বরাত পালন করবো।
বিদা'আতের
ব্যাপারে রাসূল (স)
সহীহ হাদীস
দ্বারা প্রমাণিত যে,
বিদা'আত মাত্রই
গুমরাহী বা ভ্রষ্ঠতা।
রাসূল (স) এ থেকে বিরত থাকার জন্য কাঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিদ‘আতের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে আমরা আরও ভয়াবহ চিত্র
দেখতে পাব।
বিদ‘আত সম্পর্কে রাসূূলুল্লাহ
(সা) এরশাদ করেন।
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ
ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ- ﺻﺤﻴﺢ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
যে ব্যক্তি আমার এই
দীনের মাঝে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়,
তবে তা প্রত্যাখ্যাত।
তিনি আরও বলেন,
ﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ ﻭﻛﻞ ﺿﻼﻟﺔ
ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ -
প্রত্যেকটি নব
উদ্ভাবিত জিনিষই
পথভ্রষ্টতা আর
পথভ্রষ্টতা দোজখের
দিকে নিয়ে যায়।
বোখারী / মুসলিম
তবে আপনারা যদি তাহাজ্জুদ
মনে করে মসজিদে কিছু সময় সলাত অতঃপর বাসায় সলাত পড়েন বা অন্যান্য ইবাদত
করেন তাহলে সমস্যা নাই
কিন্তু
আমাদের দেশে যেভাবে উৎযাপন
করা হয় এবং মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া মিলাদ
এবং
দলে দলে গিয়ে কবর জিয়ারত
করা এবং
হালুয়া রুটি খাওয়া বা বিতরন
করা তা অবশ্যই
বিদা'আত।
আপনারা আবার
ধরে নিয়েন
না যে আমি করব
জিয়ারত করতে নিশেধ করছি।কিন্তু প্রচলিত এই প্রথায় নয় করব জিয়ারত
করতে হবে রসূল ( স) সুন্নাতের প্রথায় কারন করব জিয়ারতের অনেক
গুলো সহীহ হাদীস
আছে।
পড়ে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলত মহান আল্লাহ প্রতি মদ্ধো রাত্রিতে নেমে আসেন আল্লাহ্ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে তখন আল্লাহ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে প্রার্থনা করছ আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। বুখারী শরীফ-১১৪৫, মুসলিম শরীফ-৭৫৮
এই রাতে সলাত বা ইবাদাতের জন্যে খাস করার দরকার হলে আল্লাহর নবী (স) করতেন, সাহাবা গন (রাদ) করতেন কিন্তু তা করেন নাই।
কোন কোন তাঁবে ই তা ব্যক্তির নিজস্ব কাজ। কারো নিজস্ব কাজ অন্যের জন্যে সুন্নাত বা তরীকা হতে পারেনা।
আজো কেউ যদি সাবানের আগে পরে রাত্রে এবাদাত করে এবং তাঁর অভ্যাস অনুসারে সাবানের রাতেও করে তাহলে তা ঠিক আছে।
কিন্তু সাবানের রাত কে খাস করে ইবাদাত করা বিদা'আত হবে। আল্লাহ্ ভাল জানেন। ইনশাআল্লা হ আল্লাহ্ তালা আমাদের সবাইকেই হক বুঝা ও মানার তৌফিক দাও। আমীন
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (পর্ব এক)
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত ""
------------------------------------------
নামধারী ভন্ড মুফতি এই ফেতনাবাজ দেখে নেও কুরআন কি বলে "শবে ......" এই জালিয়াত আপনিরা কুরআন থেকে "শবে বরাত" প্রমাণ করতে পারলে আমি তা পালন করব শর্ত হল "শবে" শব্দ কুরআন ও সহি হাদিস থেকে দেখাতে হবে??
------------------------------------------
সূরা: Ad-Dukhaan (The Smoke)
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৪৪
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ
1. ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺣﻢ
হা-মীম।
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
3.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
4.
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত
হয়।
5.
ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই
প্রেরণকারী।
6.
ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻚَۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ।
তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাত কোনটি ??
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে বলা আছে যে
ﺇﻧﺎَِّ ﺃﻧﺰََﻟﻨَْﺎﻩُ ﻓﻲِ ﻟﻴَْﻠﺔﻣﺒٍََُّﺎﺭﻛََﺔ َ
"আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে",
এ আয়াতের আগের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে -
2. ﻭﺍﻟَْﻜﺘَِﺎﺏِ ﺍﻟﻤُْﺒﻴﻦِِ
"শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের"।
এই আয়াত সহ মোট ১৩ বার আল্লাহ সুবঃ তাঁর কিতাব কুরআন মাজীদকে "কিতাবুম মুবীন" মানে "সুস্পষ্ট কিতাব" হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই সুস্পষ্ট কুরআনে খুবই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাদান মাসে তা শাবান মাসে নয়?
আর কুরআন নাজিলের রাত যেটি লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতময় রাত সেইটি ।
এখন দেখি আমরা এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাবকে স্পষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কোন মাসে নাজিল হয়েছে?
রামাদান মাসে না শাবান মাসে ??
সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে উত্তর দিবে - .
شهَْرُ رمََضان الذََ َِّي أنزُِلَ فيها الْقرُْآنُ "
রমযান মাস-যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে (বাকারা ২: ১৮৫)
এবার আমরা সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কে আবার প্রশ্ন করব আমরা বুঝলাম যে তুমি রামাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছো ।
তবে রামাদানের কোন সময় নাযিল হয়েছো?
রাতে না দিনে ?
রাতে হলে কোন রাতে ?
শাবানের ১৪ তারিখ দিন যেয়ে রাতে না লাইলাতুল কদরে ??
উত্তর দিবে এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কুরআন মাজিদ স্পষ্টভাবে উত্তর দিবে -সূরা: Al-Qadr (The Power, Fate)
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৯৭
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻘﺪﺭ
1.
ﺑِّﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺇِﻧَّﺎ
ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ
নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরে রাতে নাযিল
করেছি ।
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছে রামাদান মাসের লাইলাতুল কদরে কুরআন তো বল না যে সে নাযিল হয়েছে "শবে বরাতে"???
আর সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে কুরআন নাযিলের রাতকেই লাইলাতুম মুবারাকা বলা হয়েছে
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
3.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
এখানে পূর্ববতী আয়াতে বলা হয়েছে " ِশপথ সুস্পষ্ট কিতাবের" তার পরে বলা হয়েছে " আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে" এই রাত অন্য কোন রাত নয় ,
"বরকতময় রাতে হচ্ছে কদরের রাত "
তাফসীর বিশারদগণের মতে সব চেয়ে বিশুদ্ধ , নির্ভরযোগ্য সঠিক তাফসীর হচ্ছে কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর।
{আরো জানতে পড়ুন
২য় অংশ পড়ুন}
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)