মৃত্যু লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মৃত্যু লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না -চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না - এটা আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ ------------------------------- জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন। তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না? আমি বললামঃ হ্যা, আল্লাহর রাসূল! তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেন নি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তাকে তিনি (সুবহানাহু তাআলা) বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব। সে (জাবিরের পিতা) বললঃ হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আবা আপনার রাহে নিহত হতে পারি। বারাকাতময় আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরান: ১৬৯) [তিরমিযি: হা: ৩০১০; হাসান (আলবানী, যুবাইর আলী যাই, ইমাম তিরমিযী) ------------------------ মহান আল্লাহ বলেনঃ যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। না এটা হবার নয়; এটাতো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত। [সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০] {{ কপি }}

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

% শহীদগণ জীবিত আছেন কিন্তু আমাদের মত জীবিত নন %

% শহীদগণ জীবিত আছেন কিন্তু আমাদের মত জীবিত নন % #আল্লাহ তো বলেছে শহিদরা মৃত্যুবরণ করে বা মারা যায় : 09/111 . ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﺷْﺘَﺮَﻯٰ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢْ ﻭَﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻬُﻢ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَۚﻳُﻖَﺍﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻴَﻘْﺘُﻠُﻮﻥَ ﻭَﻳُﻘْﺘَﻠُﻮﻧَۖﻮ ﺍًﺪْﻋَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺣَﻘًّﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻧﺠِﻴﻞِ ﻭَﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻧِۚﻮَﻣَﻦْ ﺃَﻭْﻓَﻰٰ ﺑِﻌَﻬْﺪِﻩِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻬِۚﻔَﺎﺳْﺖَﺑْﺸِﺮُﻭﺍ ﺑِﺒَﻴْﻌِﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺑَﺎﻳَﻌْﺘُﻢ ﺑِﻬِۚﻮَﺫَٰﻟِﻚَ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﻔَﻮْﺯُ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। ¤মারা যাওয়ার পরে: আল্লাহ বলেছেন: ﻭَﻻ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮﺍ ﻟِﻤَﻦْ ﻳُﻘْﺘَﻞُ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺕٌ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀٌ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻻ ﺗَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা অনুভব করতে পার না। আল-বাকারাহ, ২/১৫৪ আরো বলেছেন: ﻭَﻻ ﺗَﺤْﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀٌ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻳُﺮْﺯَﻗُﻮﻥَ আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত, তাদেরকে রিয্ক দেয়া হয়। আলে‘ইমরান, ৩/১৬৯ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাখ্যা : আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি এ আয়াত সম্পর্কে (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন তিনি বললেনঃ তাদের রুহসমুহ সবুজ পাখীর পেটে রক্ষিত থাকে, যা আরশের সাথে ঝূলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় সেখানে বিচরণ করে অবশেষে সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রভূ তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কি কোন আকাংখা আছে? জবাবে তারা বললো, আমাদের আর কি আকাংখা থাকতে পারে আমরা তো যথেচ্ছভাবে জান্নাতে ঘোরাফেরা করছি। আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে এরূপ তিনবার করলেন। যখন তারা দেখলো, জবাব না দিয়ে প্রশ্ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বললো, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাংখা হয়, যদি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহসমূহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা আপনারই পথে নিহত হতে পারতাম। অতঃপর মহান আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোন প্রয়োজনই অবশিষ্ট নাই, তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো (আর প্রশ্ন করা হলো না)। সহীহ মুসলিম: ৪৭৭৯, সুনানু নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ আয়াতের আরেকটি শানেনুযূল জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে দেখা করে আমাকে বলেন: “হে জাবের কেন তোমাকে বিষণ্ণ দেখছি?” আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, আমার পিতা উহুদের দিন শাহাদাত বরণ করেন, তিনি অনেক সন্তান ও ঋণ রেখে গেছেন। তিনি বললেন: “আমি কি তোমাকে সুসংবাদ দিব না তোমার পিতার সাথে আল্লাহ কি নিয়ে সাক্ষাত করেছেন?” জাবের বলেন, আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন: আল্লাহ পর্দার আড়াল ব্যতীত কারো সাথে কখনো কথা বলেননি, কিন্তু তোমার পিতাকে জীবিত করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি বলেন: হে আমার বান্দা আমার নিকট চাও আমি তোমাকে দিব। জবাবে তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন: হে আমার রব আমাকে জীবিত করুন, আমি দ্বিতীয়বার আপনার রাস্তায় শহীদ হব। মহান আল্লাহ বললেন: আমার সিদ্ধান্ত পূর্বে চূড়ান্ত হয়ে গেছে যে, মৃতদের দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করা হবে না। তিনি বলেন: আর এ আয়াত নাযিল করলেন যে, ﻭَﻻ ﺗَﺤْﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত মনে করো না, আলে‘ইমরান, ৩/১৬৯। [আত-তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ]

মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না

মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না সূরা: Al-Anbiyaa (The Prophets) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: 21/34 . ﻭَﻣَﺎ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﺒَﺸَﺮٍ ﻣِّﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺍﻟْﺨُﻠْﺪَۖ ﺃَﻓَﺈِﻥ ﻣِّﺖَّ ﻓَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ আপনার (মুহাম্মাদ সাঃ) পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার (মুহাম্মাদ সাঃ) মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? 21/35 . ﻛُﻞُّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺫَﺍﺋِﻘَﺔُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِۗ ﻭَﻧَﺒْﻠُﻮﻛُﻢ ﺑِﺎﻟﺸَّﺮِّ ﻭَﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻓِﺘْﻨَﺔًۖ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻨَﺎ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সূরা: Az-Zumar (The Groups) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৩৯/30. ﺇِﻧَّﻚَ ﻣَﻴِّﺖٌ ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻣَّﻴِّﺘُﻮﻥَ নিশ্চয় তোমারও (মুহাম্মাদ সাঃ) মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে। সূরা: Ash-Shu'araa (The Poets) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ২৬/81. ﻭَﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻤِﻴﺘُﻨِﻲ ﺛُﻢَّ ﻳُﺤْﻴِﻴﻦِ যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন। 27/80 . ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺗَﻰٰ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟﺼُّﻢَّ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀَ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻟَّﻮْﺍ ﻣُﺪْﺑِﺮِﻳﻦَ আপনি আহবান শোনাতে পারবেন না মৃতদেরকে এবং বধিরকেও নয়, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যায়। 30/19 . ﻳُﺨْﺮِﺝُ ﺍﻟْﺤَﻲَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ ﻭَﻳُﺨْﺮِﺝُ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻲِّ ﻭَﻳُﺤْﻴِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﻮْﺗِﻬَﺎۚ ﻭَﻛَﺬَٰﻟِﻚَ ﺗُﺨْﺮَﺟُﻮﻥَ তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বহির্গত করেন জীবিত থেকে মৃতকে বহির্গত করেন, এবং ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এভাবে তোমরা উত্থিত হবে। 30/25 . ﻭَﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﺃَﻥ ﺗَﻘُﻮﻡَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽُ ﺑِﺄَﻣْﺮِﻩِۚ ﺛُﻢَّ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﻋَﺎﻛُﻢْ ﺩَﻋْﻮَﺓً ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﺨْﺮُﺟُﻮﻥَ তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্তিকা থেকে উঠার জন্যে তোমাদের ডাক দেবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে। 30/40 . ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺭَﺯَﻗَﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳُﻤِﻴﺘُﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳُﺤْﻴِﻴﻜُﻢْۖ ﻫَﻞْ ﻣِﻦ ﺷُﺮَﻛَﺎﺋِﻜُﻢ ﻣَّﻦ ﻳَﻔْﻌَﻞُ ﻣِﻦ ﺫَٰﻟِﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺷَﻲْﺀٍۚ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻰٰ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। 30/52 . ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺗَﻰٰ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟﺼُّﻢَّ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀَ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻟَّﻮْﺍ ﻣُﺪْﺑِﺮِﻳﻦَ অতএব, আপনি (মুহাম্মাদ সাঃ) মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে। 31/34 . ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﻋِﻠْﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺚَ ﻭَﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡِۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﻣَّﺎﺫَﺍ ﺗَﻜْﺴِﺐُ ﻏَﺪًﺍۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮٌ নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। 32/11 . ﻗُﻞْ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻛُﻢ ﻣَّﻠَﻚُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭُﻛِّﻞَ ﺑِﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻰٰ ﺭَﺑِّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। 35/22 . ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟْﺄَﺣْﻴَﺎﺀُ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺄَﻣْﻮَﺍﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺴْﻤِﻊُ ﻣَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀُۖ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧﺖَ ﺑِﻤُﺴْﻤِﻊٍ ﻣَّﻦ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘُﺒُﻮﺭِ আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি (মুহাম্মাদ সাং) কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন। 40/11 . ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺃَﻣَﺘَّﻨَﺎ ﺍﺛْﻨَﺘَﻴْﻦِ ﻭَﺃَﺣْﻴَﻴْﺘَﻨَﺎ ﺍﺛْﻨَﺘَﻴْﻦِ ﻓَﺎﻋْﺘَﺮَﻓْﻨَﺎ ﺑِﺬُﻧُﻮﺑِﻨَﺎ ﻓَﻬَﻞْ ﺇِﻟَﻰٰ ﺧُﺮُﻭﺝٍ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴﻞٍ তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’ বার জীবন দিয়েছেন। এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি? 40/67 . ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻋَﻠَﻘَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ ﻃِﻔْﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻟِﺘَﺒْﻠُﻐُﻮﺍ ﺃَﺷُﺪَّﻛُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻟِﺘَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﺷُﻴُﻮﺧًﺎۚ ﻭَﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَّﻦ ﻳُﺘَﻮَﻓَّﻰٰ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُۖ ﻭَﻟِﺘَﺒْﻠُﻐُﻮﺍ ﺃَﺟَﻠًﺎ ﻣُّﺴَﻤًّﻰ ﻭَﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻌْﻘِﻠُﻮﻥَ তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর। 40/68 . ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺖُۖ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﻰٰ ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻟَﻪُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُ তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা’-তা হয়ে যায়। 40/77 . ﻓَﺎﺻْﺒِﺮْ ﺇِﻥَّ ﻭَﻋْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﻖٌّۚ ﻓَﺈِﻣَّﺎ ﻧُﺮِﻳَﻨَّﻚَ ﺑَﻌْﺾَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻧَﻌِﺪُﻫُﻢْ ﺃَﻭْ ﻧَﺘَﻮَﻓَّﻴَﻨَّﻚَ ﻓَﺈِﻟَﻴْﻨَﺎ ﻳُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ অতএব আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে যে শাস্তির ওয়াদা দেই, তার কিয়দংশ যদি আপনাকে দেখিয়ে দেই অথবা আপনার প্রাণ হরণ করে নেই, সর্বাবস্থায় তারা তো আমারই কাছে ফিরে আসবে। 03/156 . ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻟَﺎ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻟِﺈِﺧْﻮَﺍﻧِﻬِﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﺿَﺮَﺑُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻏُﺰًّﻯ ﻟَّﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻋِﻨﺪَﻧَﺎ ﻣَﺎ ﻣَﺎﺗُﻮﺍ ﻭَﻣَﺎ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻟِﻴَﺠْﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺣَﺴْﺮَﺓً ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻤْۗﻮَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺘُۗﻮَﺍﻟﻞُﻩَّ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺑَﺼِﻴﺮٌ হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোন অভিযানে বের হয় কিংবা জেহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে মরতোও না আহতও হতো না। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তোমাদের সমস্ত কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ সবকিছুৃই দেখেন। 16/61 . ﻭَﻟَﻮْ ﻳُﺆَﺍﺧِﺬُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺑِﻈُﻠْﻤِﻬِﻢ ﻣَّﺎ ﺗَﺮَﻙَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦ ﺩَﺍﺑَّﺔٍ ﻭَﻟَٰﻜِﻦ ﻳُﺆَﺧِّﺮُﻫُﻢْ ﺇِﻟَﻰٰ ﺃَﺟَﻞٍ ﻣُّﺴَﻤًّﻯۖﻔَﺈِﺫﺍَ ﺟَﺎﺀَ ﺃَﺟَﻠُﻬُﻢْ ﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﺄْﺧِﺮُﻭﻥَﺳَﺎﻋَﺔًۖﻭَﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﻘْﺪِﻣُﻮﻥَ যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না। 16/70 . ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻛُﻢْۚﻭَﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَّﻦ ﻳُﺮَﺩُّ ﺇِﻟَﻰٰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ ﻟِﻜَﻲْ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢَ ﺑَﻌْﺪَ ﻋِﻠْﻢٍ ﺷَﻴْﺌًﺎۚﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﻗَﺪِﻳﺮٌ আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এরপর তোমাদের মৃত্যুদান করেন। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ পৌছে যায় জরাগ্রস্ত অকর্মন্য বয়সে, ফলে যা কিছু তারা জানত সে সম্পর্কে তারা সজ্ঞান থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সু-বিজ্ঞ সর্বশক্তিমান।