নাস্তিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নাস্তিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

ওপেন চ্যালেঞ্জঃ নাস্তিকরা কেউ নাস্তিক নয়, নাস্তিক দাবিদার সব সর্বঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী


ওপেন চ্যালেঞ্জঃ নাস্তিকরা কেউ নাস্তিক নয়, নাস্তিক দাবিদার সব সর্বঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী

তথাকথিত নাস্তিকদের কাছে আমার প্রশ্ন ছিল, সৃষ্টির শুরু কোথায়?
নাস্তিকদের উত্তর নিম্নরুপঃ

১. শক্তি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা, শক্তির সৃষ্টি নাই , শক্তির ধ্বংস নাই

২. কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নাই ,কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, শুধু পরিবর্তনের মাধ্যমে চক্রাকারে সৃষ্টি হয়েছে

৩. আসলে সব সৃষ্টি ভাগ্যক্রমে হয়েছে।

৪. উত্তর জানা নাই।

৫. এই প্রশ্নের উত্তর জানলেই ঈশ্বরের কফিনে শেষ পেরেক বাধবে।

৬. একদিন হয়তো এগুলো আবিস্কার হয়ে যাবে ।

৭. তুই একটা আস্ত গাধা, পাগোল ,কাঠ মোল্লা!!

৮. বিজ্ঞানে এইরকম প্রশ্ন নাই ।

৯. এই টা কোন যুক্তিপুর্ন প্রশ্ন নয়।

১০. তোমাদের ঈশ্বর কেমনে সৃষ্টি হয়ছে??(পাল্টা প্রশ্ন)

তথাকথিত নাস্তিকদের থেকে বিভিন্ন ধরনের উত্তর পেয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, তারা সবাই ভ্রান্তিতে সন্দেহে ,অনেকে কিছু আস্তিকদের মত জড় বস্তুতে বিশ্বাস এনেছেন এবং সৃষ্টিকর্তা মেনে নিয়েছেন। অনেকে আশায় আছে কবে বিজ্ঞান জানতে পারবে।
তাদের উত্তর গুলোর পর্যালোচনাঃ

১. শক্তি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা, শক্তির সৃষ্টি নাই , শক্তির ধ্বংস নাইঃ
এই যুক্তি তখনই দেওয়া সম্ভব যখন যুক্তির দৌড় শেষ হয়ে যায় , অস্তিত্ব আসলে কিভাবে আসল তার কারন ব্যাখ্যা অবশ্যই নাস্তিকরা করতে বাধ্য ,আস্তিকরা নয়। আস্তিকরা কেন বাধ্য নয় তা আলোচনা করা হবে ১০ নং প্রশ্নের উত্তরে। নাস্তিকদের অবশ্যই উত্তর দিতে হবে শক্তির জন্ম সূত্র। বিজ্ঞান থেকে একটা মুলনিতী বা উসুলের দলিল দেন যেখান বলা হয়েছে //সূচনা ছাড়া সৃষ্টি হওয়া সম্ভব//। একটি বোনাস প্রশ্ন থাকলো শক্তি থেকে ভর বিশিষ্ট পদার্থ সৃষ্টির ফরমুলাটা দিয়েন তবে আগে প্রথম যুক্তি নিয়ে ভাবুন এই প্রশ্ন পরে ভেবেন।

২. কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নাই ,কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, শুধু পরিবর্তনের মাধ্যমে চক্রাকারে সৃষ্টি হয়েছেঃ
এই পঙ্গু যুক্তি দাড় করিয়ে অনেকে প্রশ্নের জটিলতা থেকে বাচতে চায়ছেন। পরিবর্তনের সংগা কি? পরিবর্তন হতে গেলে প্রথম লাগবে সেই প্রথমের সৃষ্টি নিয়েই আমার প্রশ্ন। //কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নাই ,কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই,// আসেন আরেকটু কথা বলি, আপনি যেটা দিয়ে ফেইসবুক চালাচ্ছেন সেটা আসল কি করে?

৩. আসলে সব সৃষ্টি ভাগ্যক্রমে হয়েছেঃ
আরে মিয়া আপনারে কি বলব, আমাদের আস্তিকদের ভেতর অনেকে যুক্তি দিয়ে বুঝে নেয় যে তকদির বলে কিছু নাই, তকদির মানুষের হাতে, অথচ আপনারা তো দেখছি তকদিরে ফুল ফিল বিশ্বাসী হয়ে গেছেন। random এ নাকি সৃষ্টি হয়ছে, তাইলে random এ কেয়ামত ও চলে আসবে রেডি থাইকেন।

৪. উত্তর জানা নাইঃ
উত্তর না জানা থাকলে নিজেরে যুক্তিবাদি বল কোন দুঃখে ?

৫. এই প্রশ্নের উত্তর জানলেই ঈশ্বরের কফিনে শেষ পেরেক বাধবেঃ
যি এই প্রশ্নই আমাদের বিশাসের প্রথম ধাপ ,কোরআনের প্রথম নাযিলকৃত আয়াতঃ পড়, তোমার প্রভুর নামে ,যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।(আলাক-০১) ,আগে জেনে আসুন এর পর নাস্তিক হন।

৬. একদিন হয়তো এগুলো আবিস্কার হয়ে যাবেঃ
আপনি ফেইসবুকে না থাইকা স্টিপেন হকিং এর সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন এবং একটা টাইম মেশিন বানাইয়া ফিউচারে চলে যান তারপর কথা বলেন।

৭. তুই একটা আস্ত গাধা, পাগোল ,কাঠ মোল্লা!
এইটা কোয়ার জন্যই তথাকথিত নাস্তিক হয়ছোস !

৮. বিজ্ঞানে এইরকম প্রশ্ন নাইঃ
অনেক্ষন পরে একখানা লজিকাল মানুষ পাইলাম , যি বিজ্ঞানে এই প্রশ্ন না থাকারি কথা! বিজ্ঞান সৃস্টির শুরু প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয় এবং পারবেও না, বিজ্ঞান সেটাই যেটা বাহ্যভাবে দেখতে পাওয়া যায় , ভেতর যখন দেখতে পাবে তখন কথা বলবে তার আগে চুপ থাকবে ,আন্দাজে কথা বলা বিজ্ঞানের কাজ নয় ,আমার কান্দে ১০ টা জিন থাকলেও বিজ্ঞান কথা বলবে না ,অথচ আমি এবং আমরা বুঝতে পারছি ।আশা করি বুঝেছেন।

৯. এই টা কোন যুক্তিপুর্ন প্রশ্ন নয়ঃ
প্রত্যেক যুক্তির সূচনা হয় এই প্রশ্ন দিয়ে।

১০. তোমাদের ঈশ্বর কেমনে সৃষ্টি হয়ছে??(পাল্টা প্রশ্ন)
অনেক্ষন গ্যাজাগ্যাজি করে যখন ক্ষান্ত হয়, তখন তথাকথিত নাস্তিক বাধ্য হয়ে এই প্রশ্ন করে। আপনার পালটা প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত উত্তর পেশ করা হলোঃ
আমার প্রশ্ন (সৃষ্টির শুরু কোথায়?) এই প্রশ্নই প্রত্যেক আস্তিকদের প্রথম প্রশ্ন থাকে। কিন্তু আপনাদের তথাকথিন যুক্তি এবং লৌকিক কোন উত্তর আমরা না পাই , তখনই আমরা অলৌকিক //ঈশ্বর// বানিয়ে বা ১০০% সিউর ভাবে ভেবে নিই এবং তার উপর একটা অলৌকিক যুক্তি বসিয়ে দিই সেটা হলো ,তার উপরে কেউ নাই ,  তিনি মহান ,তার উপর কোন যুক্তি নাই , তার আকার আমাদের জানা নাই , তিনি বস্তু ,পদার্থ না কি তা আমরা জানি না ,তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান , তার সাথে আমাদের পৃথিবীর লজিক খাটানো একটা মুর্খামি। তিনি সৃষ্ট নন ,তার প্রথম নাই শেষ নাই ।

এখন এই লজিক গুলো পৃথিবীর লজিকের উপর অবশ্যই অলৌকিক তাই এই অলৌকিক লজিক গুলা লৌকিকের উপর প্রয়োগকরে কতটা মুর্খের মত কাজ করছেন জানাবেন ।
এবার আসি কেন তথাকথিত নাস্তিকদের  সর্বঈশরবাদি বলা হলোঃ
এই সব ক্ষেত্রে তাদের সাথে বারং বার তর্ক করে তারা বর্তমানে শেষ জায়গায় থামে সেটা হলো //শক্তি //। বিজ্ঞান মতেও প্রত্যেক সৃষ্টিই শক্তি থেকে বের হয়েছে। এবং তারা শক্তির উপর একটা বইশিস্ট দাড় করায় //শক্তির সৃষ্টি নাই, শক্তির ধ্বংস নাই// এই বক্তব্যটুকু হলো নাস্তিকদের শেষ  লজিক ,অথচ এটা আমার প্রশ্ন নয় ,এটাকে মুলত বর্তমান বিজ্ঞান দেখছে তাই এই ভাবে একটা মূলনীতি দাড় করিয়েছে, এতে বিজ্ঞানের কোন দোষ নাই । পরে আবার যখন আরো কিছু দেখবে তখন আরো কিছু বলবে ,তবে চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞান আমার প্রশ্নের উত্তর খুজে পাবে না । যাই হোক এটা আমার প্রশ্নের উত্তর কখনই হতে পারে না ,আমি যদি বলি যে পানি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ,আপনি যদি উত্তরে বলেন পানি তরল । এই পানি তরল এটা কখনই আমার প্রশ্নের উত্তর নয়। আমি সৃষ্টি জানতে চাইলে আপনি বইশিস্ট চাপিয়ে দেচ্ছেন এই হচ্ছে বর্তমান তথাকথিত নাস্তিকদের অবস্থা।
যাইহোক যদি ধরে নেই তাদের বর্তমান বিশ্বাস হলোঃ//শক্তির সৃষ্টি নাই, শক্তির ধ্বংস নাই//  তবে বর্তমান বিজ্ঞান বলছে সব কিছুর সৃষ্টির মুলে শক্তিকে পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু শক্তির সৃষ্টি নাই ধ্বংস নাই শক্তি অমর ,তাই বলা যায় তথাকথিত নাস্তিকদের ঈশ্বর হলো সবকিছু । নাস্তিক বলে নিজেকে দাবি করতে গেলে আস্তিকদের মৌলিক প্রশ্নের সমাধান পাওয়া অবশ্যই জরুরি । এটা সেই প্রশ্ন //সৃষ্টির শুরু কোথায়?//
বিঃদ্রঃ অনেকে মনে করতে পারেন উক্ত ১০ টি মত কোন মুর্খ তথাকথিত নাস্তিকদের মত, অথচ তা নয় এই মত গুলা তথাকথিত নাস্তিক সর্বঈশ্বরবাদে বিশ্বাসীদের সার্বজনিন মত ,কয়টি দলিল পেশ করা হলোঃ
১. বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট বস্তুবাদি শব্দের প্রচলিত অর্থে বস্তুবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। অথচ আধুনিক যুগে তিনিই হচ্ছেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি বিশ্বজগতকে বস্তুবাদের আলোকে ব্যাখ্যা করেন। কান্ট ঘোষণা করেনঃ এ বিশ্বজগত অনাদি ও অনন্ত এবং কোন কিছুই বিশ্বজগতের বাইরে নয়। উনবিংশ শতাব্দী যখন শুরু হলো, তখন ব্যাপক ভাবে এ ধারনা গৃহীত হচ্ছিল যে, বিশ্বজগতের কোন শুরু নাই এবং একে সৃষ্টিও করা হয় নাই। পরে কার্ল মার্ক্স এবং এঙ্গেলস এই মতকে সমর্থন করে।
২. এই সর্বঈশ্বরবাদিদের গুরু জর্জেস পলিটজার principles fondamentaux de philosophie বইতে বলেন, বিশ্বজগত কোন সৃষ্ট বস্তু নয়। এটি সৃষ্ট হলে অবশ্যই একে তাৎক্ষনিকভাবে একজন স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট হতো। সৃষ্টির ধারনা মেনে নিতে হলে এ কথাও মেনে নিতে হয় যে, এমন একটা সময় ছিল যখন বিশ্বজগতের অস্তিত্ব ছিল না এবং আরো মেনে নিতে হয় যে, শুন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করা সম্ভব। অথচ এটি এমন এক কথা যা বিজ্ঞান মেনে নিতে পারে না।
=অথচ বিগব্যাং তত্তের আবিষ্কার হয়ে সব তছনছ হয়ে গেল।
সর্বঈশ্বরবাদের বিপক্ষে কিছু সর্বঈশ্বরবাদে বিশাসিঃ
১. পদার্থবিদ এডিংটন বলেছিলেন, বর্তমানে আমরা যে প্রকৃতি দেখছি সেটি একসময় আকস্মিকভাবে অস্তিত্বলাভ করতে শুরু করেছিল এ ধারনা আমার কাছে ফিলসফিক্যালি অগ্রহনযোগ্য।
২.নাস্তিক অধ্যাপক এন্থনি ফ্লিউ বলেছেন, স্বীকারোক্তি আত্মার জন্য ভালো বলে কুখ্যাতি আছে। আমি স্বীকার করছি যে, সৃষ্টিতত্ত্বসংক্রান্ত সমকালীন সর্বসম্মত মত নাস্তিকদের ভালোরকম বিব্রত করবে। কারন বিশ্বজগতের একটা শুরু ছিল এ কথাটা st. Thomas এর মতে ফিলসফিক্যালি প্রমান করা সম্ভব না হলেও দেখা যাচ্ছে সৃষ্টিতত্ত্ববিদরা এর সপক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমান ঠিকই হাজির করছেন।(বিশ্বজগত কোনো শুরু বা শেষ নেই এ ধারনাটা) যদিও আমি এখনো সঠিক বলেই বিশ্বাস করি, তথাপি বলতেই হচ্ছে যে বিগ ব্যাং তত্ত্বএর উপস্থিতিতে ঐ বিশ্বাসের ওপর স্থির থাকা মোটেই সহজ ও স্বস্থিদায়ক ব্যাপার নয়।
৩. জন মেডক্স বিগ ব্যাং তত্ত্ব এর বিরুদ্ধে লেখেন তিনি// বিগ ব্যাং নিপাত যাক // শিরোনামে লিখেছিলেন, বিগ ব্যাং ফিলসফিক্যালি অগ্রহনযোগ্য এবং তিনি ভবিষ্যৎবানি করেছিলেন যে পরবর্তি দশকে বিগব্যাং টিকে থাকবে না কিন্তু তার উল্টাটাই হলো ।
৪.এইচ লিপসন বলেন, আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, সৃষ্টির ধারণা এ ক্ষেত্রে একমাত্র ধারণা যা গ্রহন করা যেতে পারে। এটা মেনে নেয়া আমার মতো অন্য পদার্থবিদদের জন্যও কঠিন। কিন্তু গবেষণালব্ধ প্রমানাদি যখন একে সমর্থন করে, তখন তা স্বীকার না করে উপাই বা কি

৫. জর্জ গ্রীন্সটেইন বলেছেন, (জীবনের সঙ্গে পদার্থবিদ্যার সুত্রসমুহের সঙ্গতিপুর্ন সম্পর্কের ব্যাপারটি) কিভাবে ব্যাখ্যা করা চলে?? প্রাপ্ত সম্ভাব্য সকল তথ্য প্রমান বিচার বিশ্লেষণ করলে তাৎক্ষনিকভাবে মনে হয় যে, কিছু অতিপ্রাক্রিতিক এজেন্সি বা সঠিকভাবে বললে, একটি এজেন্সি ক্রিয়াশিল আছে। এটা কি সম্ভব যে, ইচ্ছায় নয় বরং হঠাত করেই আমরা এমনসব বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমানের সম্মুখীন হয়েছি যেগুলো একজন সর্বোচ্চ সত্তার অস্তিত্ত প্রমান করে? আমাদের সুবিধার্থে এ বিশ্বজগত অত্যান্ত বিচক্ষনতার সাথে সৃষ্টি করেছেন কি তবে ঈশ্বরই ?
৬.জ্যারাল্ড নাস্তিক বিজ্ঞানি বলেন, বস্তুর ভিত্তি হচ্ছে শক্তি এবং বস্তু আসলে জমাটবাধা শক্তি এ সত্য আবিষ্কার করতে মানবাজাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে হাজার বছর, অপেক্ষা করতে হয়েছে একজন আইনস্টাইনের জন্মের। আমরা হয়তো আরো একটু বেশি দেরিতে আবিষ্কার করবো যে, শক্তির চেয়েও অধিক মৌলিক কোন অবস্তুই(non-thing) শক্তির ভিত্তি রচনা করেছে।
৭.শ্রোয়েডার বলেছেন, বিশ্বজগতের ঈশ্বরতাত্ত্বিক ব্যাখ্যামতে, বিশ্বজগতের সবকিছুই এক অতিপ্রাকৃত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ। যদি আমি জ্ঞান শব্দটিকে তথ্য শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন করি, তবে ঈশ্বরতত্ত্বও কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার মধ্যে তেমন কোনো বিরোধ থাকে না। আসলে, আমরা সম্ভবত বস্তুজগতের সঙ্গে আধ্যাত্মিক জগতের বৈজ্ঞানিক মিলন প্রত্যক্ষ করছি

**A-Z না পড়ে মন্তব্য করবেন না**

Farhan Khan Salafi

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না -চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না - এটা আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ ------------------------------- জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন। তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না? আমি বললামঃ হ্যা, আল্লাহর রাসূল! তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেন নি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তাকে তিনি (সুবহানাহু তাআলা) বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব। সে (জাবিরের পিতা) বললঃ হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আবা আপনার রাহে নিহত হতে পারি। বারাকাতময় আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরান: ১৬৯) [তিরমিযি: হা: ৩০১০; হাসান (আলবানী, যুবাইর আলী যাই, ইমাম তিরমিযী) ------------------------ মহান আল্লাহ বলেনঃ যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। না এটা হবার নয়; এটাতো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত। [সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০] {{ কপি }}

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

মুক্বাল্লিদ হল পশু/ জীব/জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ -আইম্মাহগন বলেনঃ

মুক্বাল্লিদ হল পশু /জীব /জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ - আইম্মাহগন বলেনঃ

=======================================================

আমি মুক্বাল্লিদ সম্প্রদায়কে গলায়/ ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করায় কতিপয় জাহিল বড়ই মর্মাহত হয়েছে। তারা এটাকে কর্কশ ও রূঢ বলে উল্লেখ করেছে। এখন আমি-ই বা কি করতে পারি, মুক্বাল্লিদ সম্প্রদায়কে গলায়/ ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে সালাফে সালিহিন আমার অগ্রগামী হয়েছে - তাঁরা পূর্বসুরি, আমি তো উত্তরসুরি। মুকাল্লিদ সম্প্রদায় সম্পর্কে আমার বহু পূর্বেই আইম্মায়ে সালাফগণ মূল্যায়ন করে গেছেন - পশুর কথা সেখানেই এসেছে, আমি কেবল তা আমার মত করে ভাষান্তর করেছিঃ.

==========================================================

. ইমাম ইবন আব্দুল বার বলেছেন, ﻭﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﻌﺘﺰ : » ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺑﻬﻴﻤﺔ ﺗﻘﺎﺩ ﻭﺇﻧﺴﺎﻥ ﻳﻘﻠﺪ « ]ﺟﺎﻣﻊ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻓﻀﻠﻪ : ﺑﺎﺏ ﻓﺴﺎﺩ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﻧﻔﻴﻪ ﻭﺍﻟﻔﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﺍﻻﺗﺒﺎﻉ ] আব্দুল্লাহ বিন মু'তাঝ (রঃ) বলেল, " বেড়ী দেয়া [বাধ্য হওয়া] পশু/জীব/ জানোয়ার আর মুক্বাল্লিদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নাই" [(জামি' বায়ানুল 'ইলম - তাক্বলীদের ফ্যাসাদ... ...অনুচ্ছেদ)]

. আবূ যায়েদ কাযী ওবায়দুল্লাহ আদ- দাবূসী (মৃঃ ৪৩০ হিঃ/১০৩৯ খ্রিঃ) বলেছেন, "তাক্বলীদের সারমর্ম এই যে, মুক্বাল্লিদ নিজেকে চতুষ্পদ জন্তুর সাথে একাকার করে দেয় .. ... মুক্বাল্লিদ যদি নিজেকে এজন্য জন্তু বানিয়ে নেয় যে, সে বুদ্ধি-বিবেক ও অনুভূতিহীন, তাহলে তার (মস্তিষ্কের) চিকিৎসা করানো উচিৎ।" [(তাক্ববীমুল আদিল্লাহ ফী উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ ৩৯০; মাসিক ‘আল- হাদীছ’, হাযরো, সংখ্যা ২২, পৃঃ ১৬)]

. এছাড়া আরও সমালোচনা রয়েছে
- যার মোটামুটি বাংলা হলঃ

---------------------------------------------------------------------------.

হাফিয যায়লাঈ (রঃ) বলেছেনঃ- ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ ‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ মূর্খতা করে’ [নাসবুর রায়াহ, ১/২১৯]

. বদরুদ্দীন ‘আইনী বলেছেনঃ- ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ ﻭﺁﻓﺔ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ মূর্খতা করে। আর তাক্বলীদের কারণে সকল বিপত্তি’ [আল-বিনায়া শারহ হিদায়া, ১/৩১৭]

. ইমাম ত্বাহাবী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ- ﻭﻫﻞ ﻳﻘﻠﺪ ﺇﻻ ﻋﺼﺒﻲ ﺃﻭ ﻏﺒﻲ কট্টর/গোঁড়া ও আহাম্মক ব্যতীত কেউ তাক্বলীদ করে কি? [লিসানুল মীযান, ১/২৮০]

.

– হাফিয শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ (রঃ)

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (পর্ব এক)

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত ""
------------------------------------------
নামধারী ভন্ড মুফতি এই ফেতনাবাজ দেখে নেও কুরআন কি বলে "শবে ......" এই জালিয়াত আপনিরা কুরআন থেকে "শবে বরাত" প্রমাণ করতে পারলে আমি তা পালন করব শর্ত হল "শবে" শব্দ কুরআন ও সহি হাদিস থেকে দেখাতে হবে??
------------------------------------------
সূরা: Ad-Dukhaan (The Smoke) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৪৪
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ 1. ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺣﻢ হা-মীম। 2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। 3. ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। 4. ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। 5. ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। 6. ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻚَۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাত কোনটি ??
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে বলা আছে যে
ﺇﻧﺎَِّ ﺃﻧﺰََﻟﻨَْﺎﻩُ ﻓﻲِ ﻟﻴَْﻠﺔﻣﺒٍََُّﺎﺭﻛََﺔ َ "আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে",
এ আয়াতের আগের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে -
2. ﻭﺍﻟَْﻜﺘَِﺎﺏِ ﺍﻟﻤُْﺒﻴﻦِِ "শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের"।
এই আয়াত সহ মোট ১৩ বার আল্লাহ সুবঃ তাঁর কিতাব কুরআন মাজীদকে "কিতাবুম মুবীন" মানে "সুস্পষ্ট কিতাব" হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই সুস্পষ্ট কুরআনে খুবই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাদান মাসে তা শাবান মাসে নয়?
আর কুরআন নাজিলের রাত যেটি লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতময় রাত সেইটি ।
এখন দেখি আমরা এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাবকে স্পষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কোন মাসে নাজিল হয়েছে?
রামাদান মাসে না শাবান মাসে ??
সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে উত্তর দিবে - .
شهَْرُ رمََضان الذََ َِّي أنزُِلَ فيها الْقرُْآنُ " রমযান মাস-যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে (বাকারা ২: ১৮৫)
এবার আমরা সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কে আবার প্রশ্ন করব আমরা বুঝলাম যে তুমি রামাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছো ।
তবে রামাদানের কোন সময় নাযিল হয়েছো?
রাতে না দিনে ?
রাতে হলে কোন রাতে ?
শাবানের ১৪ তারিখ দিন যেয়ে রাতে না লাইলাতুল কদরে ??
উত্তর দিবে এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কুরআন মাজিদ স্পষ্টভাবে উত্তর দিবে
-সূরা: Al-Qadr (The Power, Fate) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৯৭
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻘﺪﺭ 1. ﺑِّﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরে রাতে নাযিল করেছি ।
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছে রামাদান মাসের লাইলাতুল কদরে কুরআন তো বল না যে সে নাযিল হয়েছে "শবে বরাতে"???
আর সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে কুরআন নাযিলের রাতকেই লাইলাতুম মুবারাকা বলা হয়েছে
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। 3. ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
এখানে পূর্ববতী আয়াতে বলা হয়েছে " ِশপথ সুস্পষ্ট কিতাবের" তার পরে বলা হয়েছে " আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে" এই রাত অন্য কোন রাত নয় ,
"বরকতময় রাতে হচ্ছে কদরের রাত " তাফসীর বিশারদগণের মতে সব চেয়ে বিশুদ্ধ , নির্ভরযোগ্য সঠিক তাফসীর হচ্ছে কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর।
{আরো জানতে পড়ুন ২য় অংশ পড়ুন}

শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬

মুকাল্লিদ আলেম নয়

জনৈক কথিত মুকাল্লিদ/ মাঝাবি>~কথিত আহলে সুন্না ওয়াল জামা>~হানাফি>~ডেওবন্দি>~চোর মুনাইয়ের সমর্থনকারী> ~জর্দা খোর>~কাজ্জাব>~ইতর >বেয়াদব>কানা>দা জ্জালী>ফেতনাবাজ >প্রতারক>ব্যংগক ারী>খবিস,,,<(চল মান....)লুতফর রহমান ফরায়েজী বলছে যে= %%%%%%%%%%%%%%%% =রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। ==রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। ===রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। ====রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। =====রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। %%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%% (লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লাবিল্লাহ) =কাজ্জাব, লুতফর রহমান ফরায়েজী ইমামের পিছে সুরা ফাতিহা পড়ার মাসয়ালার সমাধান দিতে গিয়ে রাসুল সাঃ এর নামে কি বলছে এসব??? #এই কাজ্জাব- ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মাঝাবকে ধর্ম হিসেবে দেখে, আর মনে করে এটাই হক। এজন্য ইনিয়ে বিনিয়ে, মিথ্যা (এমনকি রাসুল সাঃ এর নামেও) বলে যায়। #একশ্রেণীরর আলেমরাই জাহান্নামে আগে যাবে। ওহ, আর একটি কথা= মুহাদ্দিসগণের একটি সুপরিচিত বাক্য আছে। আর তা হল- ""মুকাল্লিদ আলেম নয়, সে তো তাই বলে যা তার ইমাম বলেছে (হাদিস হোক আর মিথ্যা হোক)।"" %%%%%%%%%%%%%%%%%%%%

বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬

কয়টা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে মুস্তাহিদ রা???

একটা জনপ্রিয় জাল মুফতী বলেছে, "চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা হল মুস্তাহিদগণ"
আমি বলি ঐ জাল সাহেব আপনি দেখান তো """কয়টা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে মুস্তাহিদ রা""????

চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা হল মুস্তাহিদগণ Click This Link

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

মাযহাবীদের কথা মত মাযহাবী ইমাম জারজ

মাযহাবীদের কথা মত মাযহাবী ইমাম আবু হানিফা রহঃ জারজ

বিঃদ্রঃ নিচের চিন্হ করা কথা কিন্তু আমার না কথাটা একটা হানাফি পেজের এডমিন পেনেলে থেকে বলা



/// পেজের কথার কপি :: আমরা শুধু জারজ বলেছি তাও বেটিক বলেনি ।কেননা যে কোন মাযহাব মানবে না সে জারজ হতে বাধ্য ।

পেজ :মাযহাব ও আহলে হাদিস ///



উপরের চিন্হত অংশ শেষ এখন আমার কথা #আমি #ইমামদের সম্মান করি এখন বলি উক্ত হানাফি মাযহাবের ব্যক্তির (Admin) কথা মত #তাদের মাযহাব যার নামে তার অবস্থা কি ??

ঐ ব্যক্তি (ইমাম) তথা মাযহাবের ইমাম তো মাযহাব মাননি এবং তিনি মাযহাব তৈরি করে যাননি

Lutfor Faraji বকরির টেগ জাহেল এর পোষ্টের বিশ্লেষণ

Lutfor Faraji @ [100000748979249:] জাহেল এর পোষ্টের বিশ্লেষণ

পোষ্টের স্কিন সট Click This Link

আমার তো মনে হয় সেই রকম বকরির জ্বলন্ত উদাহরণ Lutfor Faraji আপনি নিজেই,,,, Lutfor Faraji আপনি যেভাবে কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করেছেন, তা আমার মনে হয় অন্ধানুসারী হানাফিরাও বুঝতে পেরেছে,,,, ভাবতে অবাক লাগে আপনি নাকি 'আলেম',,,,,, আপনার এই অপব্যাখ্যা দেখে সেই সব আলেমদের কথা মনে পরে যাচ্ছে যাদের ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে, প্রথমের যাদেরকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের মধ্যে একশ্রেণী হবে আলেম বা উলামা ! আমি বুঝতে পারি না আপনার মত একটা লোক কীভাবে সামান্য জিনিস টুকু ভুল করে !! ধিক আপনার প্রতি ! পোস্টে "লা মাজহাবী" / "গাইর মুকাল্লিদ" কথাটা ইউজ করেছেন ইমামদেরকে অন্ধ অনুসরনের প্রতি ইংগিত করে, আর উল্লেখ করেছেন নবী রাসূলদের কথা,,! নন সেন্স।! লা মাজহাবীরা যেভাবে নবী রাসুল সাঃ এর ইতেবা করে তা আপনারা আদৌ করেন না,,, সুতরাং, সেই ফাসিক বা লাগাম ছাড়া বকরী হলেন আপনি নিজের কথা মত Lutfor Faraji সাহেব, আপনারাই,,,, গত ১৪০০ বছরের সব পুস্তক তন্নতন্ন করে খুজলেও এই রকম তাফসীর পাওয়া যাবে না, যা এখন আপনার পোস্টে দেখতে পাচ্ছি,,, অতএব সেই ফাসিক বা লাগাম ছাড়া বকরী হলেন আপনি আপনার কথা মত Lutfor Faraji মিঃ!! আপনি বলেছেন যে, যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠান হয়েছে যাতে করে কেউ নিজে থেকে বেশি বা কম বুঝে কোরানের অপব্যাখ্যা না করে, ভুল মেনে না চলে,,, কিন্তু আপনি এখানে এমন ব্যাখ্যা করেছেন আয়াতের, যা নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর মাথায়ও আসে নি,,,, So, সেই লাগাম ছাড়া বকরী বা ফাসিক সর্বাগ্রে আপনি আপনি আপনি আপনার কথা মত Lutfor Faraji সাহেব! লা মাজহাবীরা রাসূলের দেওয়া তাফসীর ইত্যাদির বিরোধিতা না করে তারা অন্ধভাবে অনুসরণ করে,,, কিন্তু আপনার মত লোকেরা যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের অন্ধ অনুসরণকে উপেক্ষা করে মাঝখানে ইমামের একক ব্যক্তির তাকলীদ টেনে এনেছেন,,, তারা আপনার পোস্ট অনুযায়ি ফাসিক ফাসিক অর্থাৎ লাগাম ছাড়া বকরী !!! পোস্টে দুমুখি কথা বলে নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছেন সেটা দেখার চোখ যেন আল্লাহ আপনাকে দান করেন।!!!

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬

পহেলা বৈশাখে রয়েছে

পুরাতন পোষ্ট আজ শেয়ার করলাম বির্ধমীর বাচ্চারই বৈশাখ পালন করে পহেলা বৈশাখে রয়েছে ১) হিন্দুদের ঘটপূজা ২) হিন্দুদের গণেশ পূজা ৩) হিন্দুদের সিদ্ধেশ্বরী পূজা ৪) হিন্দুদের ঘোড়ামেলা ৫) হিন্দুদের চৈত্রসংক্রান্তি পূজা- অর্চনা ৬) হিন্দুদের চড়ক বা নীল পূজা বা শিবের উপাসনা ও সংশ্লিষ্ট মেলা ৭) হিন্দুদের গম্ভীরা পূজা ৮) হিন্দুদের কুমীরের পূজা ৯) হিন্দুদের অগ্নিনৃত্য ১০) ত্রিপুরাদের বৈশুখ ১১) মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব ১২) চাকমাদের বিজু উৎসব(ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজা উৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি) ১৩) হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা ১৪) মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ ১৫) হিন্দুদের বউমেলা ১৬) হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা ১৭) হিন্দুদের সূর্য পূজা দেখা যাচ্ছে, পহেলা বৈশাখে কাফিরদের বিভিন্ন পূজা ও অনুষ্ঠান বিদ্যমান, কিন্তু মুসলমানদের এই দিনে কোন অনুষ্ঠান নাই। তাহলে মুসলমান কেন শিরকী অনুষ্ঠান বর্জন করবে না??? কিন্তু মুত্রমনারা যেভাবে ব্রেইন ওয়াশ করেছে,তাতে বাঙ্গালী মুসলিমরা ধোকা খাবেই। এছাড়া যান্ত্রিক জীবনে অভস্ত মানুষেরা হাসফাশ করে বেচে থাকে, সুস্ত্য বিনোদনের অবস্থা নেই,কেউ ব্যবস্থাও নেয়নি। তাই কিছুটা ভিন্নতা আনতে অনেকে বৈশাখের অনুষ্ঠানে ছুটে যায়,যদিও তারা এটার মূল মর্ম বিশ্বাস করেনা। বোধহয় একটি বড় অংশই এরকম। সমাজ, রাষ্ট্রে যখন জবর দস্তিমূলক ভাবে কুফর জেকে বসে, তখন মুমিনের চিন্তা ভাবনাও অনেক সময় গুলিয়ে যায়। যথাযথ পরিবেশ না পেলে ঈমানের স্তর বহু নীচে নেমে যায়। সকল কুফরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারলে মুসলিম উপাদানগত ভাবেই মানব সমাজের তলানিতে অবস্থান করবে,কিন্তু তারা তা উপলব্ধীও করতে সক্ষম হবেনা। তারা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে কিন্তু তা কবুল হবেনা। তারা নিজেদের ইবাদতের মাধ্যমে প্রার্থনা করে ক্লান্ত হয়ে যাবে আর আল্লাহকে দোষারোপ করতে থাকবে,কিন্তু ভেবে দেখার অবকাশ পাবে না যে, তারা একই সাথে আল্লাহ এবং #শয়তানকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। আর এখানেই মুত্রমনাদের সাফল্য। তবে বাস্তবতা হল, মুত্রমনারাই ধ্বংস হবে, আল্লাহ এমন মুমিনদেরকে বর্ণচোরাদের মাঝ থেকে বের করে অানবেন, যারা আল্লাহকে অধিক ভয় করে এবং যারা কুফরের ব্যাপারে ব্যপক প্রতিরোধী,ব্যপক প্রবল। { Wait & See }

শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা কি মুজতাহিদগন Lutfor Faraji Vs Ijharul Islam Al- kawsary

Lutfor Faraji Vs Ijharul Islam Al- kawsary

একই Company বা ফিরকায় হানাফির দুই মুফতির বক্তব্য "" ইজতিহাদী মাসআলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে""

===========

এই ক্ষেত্রে Lutfor Faraji বলেছে, ""চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা নবী নয় মুজতাহিদগন""

অপর দিকে Ijharul Islam Al-kawsary বলেছে , "একইভাবে ইজতিহাদী মাসআলার ক্ষেত্রেও শরীয়তের নিদর্েশ হলো, মুজতাহিদ সাধ্য অনুযায়ী গবেষণা করবে। এক্ষেত্রে ভুল হলে এক সওয়াব। সঠিক হলে দু'সওয়াব।
মুজতাহিদকে প্রতে্যকটি মাসআলার চূড়ান্ত সত্য বের করার দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এজন্য ইজতিহাদী মাসআলায় নিজের গবেষণাকে চূড়ান্ত সত্য মনে করাটা 1:মূলত: নিজেকে আল্লাহ ও তার রাসূলের আসনে বসানোর শামিল। ##ইজতিহাদী মাসআলার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সত্যটি অজানা


আমার মন্তব্য: এত দেখি শত্রুর থেকেও বড় মহা শত্রু Lutfor Faraji Vs Ijharul Islam Al- kawsary


দুই জনের আইডি লিংক দেওয়া হল ID Link:

Lutfor Faraji Click This Link

And ID Link :

:Ijharul Islam Al- kawsary Click This Link

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬

হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ

হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ এর লেখক শত শত বছর পর ৫৯৩ হিজরীতে এসে "মার গানের অধিবাসী"বুরহানউদ্দীন মারগানী" হিদায়া নামক কিতাব রচনা করে ঘোষণা দিলেন: "নিশ্চয় হিদায়া কিতাব খানা কুরআনের মতো"নিশ্চয় এটা তার পূর্ববর্তী রচিত সকল গন্থরাজীকে রহিত করে ফেলেছে"(নাউযুবিল্লাহ)(হিদায়া মুকাদ্দামা আখেরাইন-৩য় খন্ড) "হানাফিদের কাছে কুরআনের মত"(হিদায়া ৩য় খন্ড ২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবি। মাদ্রাসা পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজিল পাঠ্য ভূমিকা পৃঃ ৬ আরাফাত পাবলিকেশন্স) এই মতবাদের খন্ডন। আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনকে উদ্দেশ্য করে নিচের আয়াতে চ্যালেঞ্জ করেছে= "আপনি বলে দিন,যুদি মানুষ এবং জ্বিন সকলে এ উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় যে এ কুরআনের মতো (কুরআন) রচনা করে আনবে তথাপিও কুরআনের অনুরূপ আনয়ন করতে পারবে না,যুদিও তারা একে অন্যের সাহায্যকারী হয়"(সূরা বানী ইসরাঈল/ইসরা ১৭নং আয়াত ৮৮;) সূরা হূদ ১১ আয়াত ১৩; সূরা বাকারাহ ২ আয়াত ২৩-২৪; আলোচক মুফতি মীর মোয়াজ্জম হোসাইন সাইফী হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ

হিদাইয়াহ গ্রন্থ কি আল কোরআনের সমান? Click This Link

কওমীদের জন্য । আবূ হানিফার (রঃ) জন্ম - ৮০ হিজরীতে । আল হিদায়া গ্রন্থ পরিচয় : এ গ্রন্থখানি মুখতাসারুল কুদূরীর ব্যাখ্যা ।লেখক হলেন আলী বিন আবী বকর । ব্যাখ্যা গ্রন্থকানি লেখা হয় ৫৯৩ হিজরীতে । মুখতাসারুল কুদূরীর (৫৯৩-৪২৮)=১৬৫ বছর পর ।মুখতাসারুল কুদূরীর লেখকের সাথে হিদায়ার লেখকের কোন দিন সাক্ষাত হয় নাই ।তিনি কোন দলিলের ভিত্তিতে কোন মাসআলাহ বলেছেন তা কোন প্রকারে তার নিকট হতে জানতে পারেন নাই ।তবুও মুখতাসারুল কুদূরীর বিরট ব্যাখ্যা তানি লিখেছেন । এই ব্যাখ্যার মূল্যায়ন হানাফীদের নিকট কুরআনের ন্যায় । হিদায়া ৩য় খন্ড,২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবী ।মাদ্রাসার পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজেল ক্লাসের পাঠ্য, ভূমিকা পৃঃ ৬, আরাফাত পাবলিকেশন্স ।গ্রন্থখানি কওমী মাদ্রাসা ও উঁচু শ্রেণীতে পড়ানো হয় । গ্রন্থকার পরিচিতি : হিদায়ার লেখক কোন হাদিশবিদ ছিলেন না ।ফলে তিনি জাল ,যঈফ সকল শ্রেণীর হাদিশ নির্বিচারে দলিল হিসাবে পেশ করেছেন । তিনি ৫১১ হিজরিতে তুর্কি আঞ্চলের কারাগার নামক প্রদেশের মুরগিনান নামক শহরে জন্মগ্রহন করেন। তিনি সমরকন্দ (তুর্কিঅঞ্চলের)নামক শহরে ৫৯৩ হিজরিতে মৃত্যুবরন করেন । ঐ শহরে মুসলিমদের ,খৃষ্টানদের ,ইহুদীদের কবরস্থানের নাম ছিল আলাদা আলাদা । ঐ আঞ্চলের মুসলিমরা কেবল মাত্র কোরআন ও হাদিশ মানে চলতেন ,কোন মাঝাব কেও মানত না । কবর স্থানের নাম গুলি হল , মুসলিম _ মুহাম্মাদী খৃষ্টান _ঈসায়ী ইহুদী _ইহুদী হিদায়ার লেখক মারা যাবার পর মুহাম্মাদী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে দাফন করতে বাঁধা দেওয়া হয় ।তখন লেখকের ভক্তগন অন্যত্র দাফন করেন । হিদায়া -ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর (৫৯৩-১৫০)=৪৪৩ বত্সর পর (মৃত্যুর বছরকে লেখার বত্সর ধরা হয়েছে) লেখা হয়েছে । হিদায়ার লিখক ইমাম আবু হানিফার মূত্যুর (৫১১-১৫০)=৩৬১ বছর পর জন্ম নিয়ে কিভাবে ইমাম আবু হানিফার মতামত অবগত হলেন তার কোন সূত্রই বলেন নাই হিদায়াতে । অতএব সূত্রবিহীন কারো কোন কথা মান্য করা ইসলামে জায়েয নাই ।(সহিহ মুসলিম ১ম খন্ড) । [উপরোক্ত বিষয় লিখার মদ্ধ্য ভূল থাকলে আমাকে জানাবেন ।]

স্মৃতি থেকে লিখলাম ১

$% স্মৃতি থেকে লিখলাম ১ %$ আমি হানাফি পরিবেশে বড় হয়েছি ।সেই পরিবেশে অনেক নিয়ম কুরআন ও হাদিস মানে না। এই হানাফি সমাজে বছরে একবার নামাজ পড়লে মুসলিম থাকে আর হাদিস এর বিপরীত।আমি নিজেও মাঝে মাঝে সালাত পড়তাম ঈদের সালাত পড়তাম না। এমনো মনে আছে মাস দুই তিন সালাতে ধারেও যেতাম না ॥ হানাফি কাটমোল্লার আমাকে শিখেছে নির্দিষ্ট ১৩০ ফরজ ,এই ১৩০ ফরজ কোন নবীর উপর নাজিল হইয়াছে আল্লাহ ভাল জানেন । হানাফি সমাজে চার মাযহাব চার ফরজ এটা কাঠ মোল্লার আমায় ছোট্ট বেলায় শিক্ষা দিয়েছে। আবার এটাও শিক্ষা দিয়েছে চার কুরসী চার ফরজ। নবী না হলে কিছু হত না। আল্লাহ হিন্দুদের মূর্তিতেও বিরাজ মান, আরো অনেক কিছু ভাই॥॥ আরো এরা, হানাফিরা অন্য মাযহাবীদের বিরুদ্ধবাদী বলে আখ্যা দেয় । হানাফিরা বলে ওরা ছাড়া সব ভন্ড। এরা কবর পূজা পীর পূজা দেওবন পূজা কারী। দেওবন বলে নবীর নির্দেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে । এরা আব্রাহাম লিংকনের কুফরী মতবাদী বিশ্বাসী । এরা আসলে আব্রাহাম লিংকনে উম্মত। এই সমাজের নাস্তিকবাদের উত্‍পত্তি এই হানাপি থেকে। দেশের বড় বড় নাস্তিক সব হানাফি ছিল, আর কি বলব।এরা নাস্তিকবাদী সরকারে মুরিদ সরকারে একটু বিরুদ্ধে বলে জেলে পাঠায় কিন্তু আল্লাহ ও মুহাম্মাদ সাঃ কে নিয়ে নাস্তিকরা যা ইচ্ছা তাই করছে আর বলে ওদের খুজে পাওয়া যায় না

শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১১নামার খন্ড, মনছুর হাল্লাজের জিবনী

(আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১১নামার খন্ড, মনছুর হাল্লাজের জিবনী।) ﻭﻧﺤﻦ ﻧﻌﻮﺫ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻧﻘﻮﻝ ﻋﻠﻴﻪ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻗﺎﻟﻪ ﺃﻭ ﻧﺘﺤﻤﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﻓﻲ ﺃﻗﻮﺍﻟﻪ ﻭﺃﻓﻌﺎﻟﻪ আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি’ কারো বিরুদ্ধে এমন মতবাদ বা এমন কাজের কথা বলতে যা তার মধ্যে নাই বা যা সে করে নাই। নাম; হুসাইন ইবনে মানছুর ইবনে মাহমী আল- হাল্লাজ আবু মুগীছ। এবং তাকে আব্দুল্লাহ ও বলা হত। তার দাদা ছিল অগ্নি পূজক। তার (দাদার) নাম ছিল মাহমী। সে ছিল পারস্যের বাইযা শহরের অধিবাসী। মানছুর হাল্লাজ প্রথমে বাগদাদে আসে। আর মক্কায় বার বার আসা যাওয়া করত। প্রচন্ড ঠান্ডা ও গরমের সময়েও সে মসজিদে হারামে খোলা আকাশের নীচে বসে থকত। সারা বৎসর ব্যাপী সে নাস্তার সময় কিছু রুটি খেত ও পানি পান করত। সে জাবালে আবি- ক্বুবাইসে প্রচন্ড গরম পাথরের উপর বসে থাকত। সে সূফী স ¤্রাটদের সংশ্রব গ্রহন করেছিল। যেমন; জুনাইদ ইবনে মুহাম্মদ, আমর ইবনে উসমান মাক্কী, আবুল হুসাইন নুরী। খতীব বাগদাদী বলেন, সুফিরা মানছুর হাল্লাজের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছে। সুফিদের অধিকাংশই হাল্লাজকে তাদের দলভুক্ত মনে করত না। এবং তারা অসম্মত ছিল হাল্লাজকে তাদের মধ্যে গণণা করতে। কিছু সূফী হাল্লজকে তাদের অর্ন্তভূক্ত মনে করত। যেমন; আবুল আব্বাস ইবনে আতা বাগদাদী, মুহাম্মদ ইবনে খাফিফ সিরাজী, ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ নাছরাবাজী নাইছাবোরী। তারা মানছুর হাল্লাজের অবস্থা গুলোকে ছহীহ বলে প্রচার করত ও তার কথাগুলো লিখে রাখত। এমন কি ইবনে খাফিফ বলত; হাল্লাজ হচ্ছে আলেমে রব্বানী। আবু আব্দুর রহমান আস-সালামী বলেন; (তার নাম হচ্ছে মুহাম্মদ ইবনে হুসাইন) আমি ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ নাছরাবাজীকে বলতে শুনেছি; কেউ হাল্লাজকে কোন কারণে তিরষ্কার করছিল,তখন সে বললঃ যাকে তোমরা নিন্দা করছ প্রকৃতপক্ষে নবী ও সিদ্দীক্বীনদের পরে যদি কোন মুয়াহ্হীদ থেকে থাকে তাহলে সে হচ্ছে হাল্লাজ। আবু আব্দুর রহমান বলেন আমি মনছুর ইবনে আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি, আমি শিবলীকে বলতে শুনেছি; সে বলত আমি এবং হাল্লাজ একই। তবে হাল্লাজ হচ্ছে প্রকাশ্যে আমি হচ্ছি গোপনে। এবং তার থেকে ভিন্ন আরেকটি বর্ণনা আছে তা হল; সে যখন হাল্লাজকে শুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখল তখন সে বলল, আমি তোমাকে পৃথিবী থেকে নিষেধ করি নাই। খতিব বাগদাদী বলেন; যারা হাল্লাজকে সূফীদের অর্ন্তভূক্ত মনে করত না তারা হাল্লাজকে সম্পৃক্ত করত ধোকাবাজদের সাথে। এবং তারা মনে করত সে হচ্ছে একজন যিন্দিক। আর হাল্লাজ ছিল মিষ্ট ভাষী এবং সূফী তরীকার উপর তার অনেক কবিতা রয়েছে। খতিব বাগদাদী বলেন, হাল্লাজের কতল পর্যন্ত তার বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। অথচ ফোকাহায়ে কেরাম এর ইজমার উপর ভিত্তি করেই তাকে কতল করা হয়েছে। সে ছিল একজন কাফির, যিন্দিক ও ধোঁকাবাজ। আর সূফীদের অধিকাংশ এই মতই পোষণ করতেন। মানছুর হাল্লাজের বাহ্যিকতা ছুফিদের ধোকায় ফেলেছে। তারা তার অদৃশ্যের ব্যাপারে জানত না। কারণ; প্রথমে সে খুব ইবাদত করত; এবং সূলূকের লাইনে চলত। কিন্তু সে ছিল মূর্খ। তার কাজের কোন ভিত্তি ছিল না। তার বাহ্যিক অবস্থা ছিল তাকওয়ার উপর। এজন্যই সে ভালর চেয়ে খারাপটাই বেশী করত। সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা বলেন- ﻣﻦ ﻓﺴﺪ ﻣﻦ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ :ﻛﺎﻥ ﻓﻴﻪ ﺷﺒﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩ: ﻣﻦ ﻓﺴﺪ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻧﺎ: ﻛﺎﻥ ﻓﻴﻪ ﺷﺒﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺼﺎﺭﻱ . অথ্যাৎ, “আমাদের আলেমদের মধ্য থেকে যে ভ্রান্ত হয়ে যায় তার মাঝে ইয়াহুদীদের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। আর আবেদগণের মধ্য থেকে যে ভ্রান্ত হয়ে যায় তার মাঝে খৃষ্টানদের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।” আর এজন্যই হাল্লাজের মধ্যে হুলোলের (বান্দার মাঝে আল্লাহ্ তা’আলার মিশ্রণ হওয়া) আক্বিদাহ প্রবেশ করেছিল। মানছুর হাল্লাজ বিভিন্ন শহরে আসা যাওয়া করত এবং সে মানুষের সামনে নিজেকে একজন দায়ী হিসাবে প্রকাশ করত। এবং ছহীহ ভাবে প্রমাণিত আছে সে হিন্দুস্থানে এসেছিল এবং যাদু শিখিয়েছিল। এবং সে বলত আমি এর (যাদু) মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করি। হিন্দুস্থানের লোকেরা তাকে মুগীছ (সাহায্যকারী) বলে ডাকত। ছুরকিছানের লোকেরা তাকে মুক্বীদ (খাদ্য দানকারী) বলে ডাকত। খুরাসান বাসীরা তাকে মুমাইয়িয (পার্থক্যকারী) বলে ডাকত। পারস্যবাসীরা তাকে আবু আব্দিল্লাহ যাহেদ বলে ডাকত। খুজেসতান বাসীরা তাকে আবু আব্দিল্লাহ যাহেদ হাল্লাজ আল-আসরার বলে ডাকত। আর বাগদাদ বাসীরা তাকে মুসতালাম বলে ডাকত। আর বসরাবাসীরা তাকে মুহাইয়ির বলে ডাকত। মানছুরকে হাল্লাজ নাম করণের কারণ হচ্ছে, সে মানুষের গোপন বিষয় প্রকাশ করত। কেউ বলেন হাল্লাজ একবার কোন এক ব্যক্তিকে বলল, তুমি আমার অমুক কাজগুলো করে দাও। অতপর ঐ ব্যক্তি বলল আমি তুলার বীজ বাছাই করতে ব্যাস্ত আছি। তখন মানছুর হাল্লাজ ঐ ব্যক্তিকে বলল, যাও আমি তোমার কাজ করে দিচ্ছি। ঐ লোকটি দ্রুত কাজ সমাপ্ত করে এসে দেখল মনছুর হাল্লাজ তুলা থেকে বীজ আলাদা করে বাছাই করে রেখেছে। বলা হয় হাল্লাজ সুরমার কাঠি দিয়ে ইশারা করলে তুলার বীজ আলাদা হয়ে যেত। (ইবনে কাছীর রহঃ) বলেন শয়তান তার সাথীদেরকে এ জাতীয় কাজে সাহায্য করে এবং তাদের মাধ্যমে কাজ নেয়। আর সে হুলোলের বিশ্বাসী ছিল যা তার কবিতা থেকে বুঝে আসে। ﺟﺒﻠﺖ ﺭﻭﺣﻚ ﻓﻲ ﺭﻭﺣﻲ ﻛﻤﺎ ... ﻳﺠﺒﻞ ﺍﻟﻌﻨﺒﺮ ﺑﺎﻟﻤﺴﻚ ﺍﻟﻔﻨﻖ ... ﻓﺈﺫﺍ ﻣﺴﻚ ﺷﻲﺀ ﻣﺴﻨﻲ ... ﻭﺇﺫﺍ ﺃﻧﺖ ﺃﻧﺎ ﻻ ﻧﻔﺘﺮﻕ ১. তোমার রুহ আমার রুহে এমন ভাবে প্রবেশ করেছে, যেমনিভাবে মৃগনাভীর সাথে কোমল পানির মিশ্রণ হয়। সুতরাং যখন কোন জিনিস তোমাকে স্পর্শ করে তা যেন আমাকেই স্পর্শ করে। অতএব তুমিই আমি, আমাদের মাঝে কোন পৃথকতা নেই। ﻭﻗﻮﻟﻪ ... ﻣﺰﺟﺖ ﺭﻭﺣﻚ ﻓﻲ ﺭﻭﺣﻲ ﻛﻤﺎ ... ﺗﻤﺰﺝ ﺍﻟﺨﻤﺮﺓ ﺑﺎﻟﻤﺎﺀ ﺍﻟﺰﻻﻝ ... ﻓﺈﺫﺍ ﻣﺴﻚ ﺷﻲﺀ ﻣﺴﻨﻲ ... ﻓﺈﺫﺍ ﺃﻧﺖ ﺃﻧﺎ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺣﺎﻝ ২. তোমার রুহ আমার রুহের সাথে এমন ভাবে মিশ্রণ ঘটেছে যেভাবে পানির মিশ্রণ ঘটে রঙ্গের সাথে। সুতরাং যখন কোন জিনিস তোমাকে স্পর্শ করে তা যেন আমাকেই স্পর্শ করে। অতএব সর্ব অবস্থায় তুমিই আমি, এবং আমিই তুমি । ﻭﻗﻮﻟﻪ ﺃﻳﻀﺎ ... ﻗﺪ ﺗﺤﻘﻘﺘﻚ ﻓﻲ ﺳﺮ ... ﻱ ﻓﺨﺎﻃﺒﻚ ﻟﺴﺎﻧﻲ ... ﻓﺎﺟﺘﻤﻌﻨﺎ ﻟﻤﻌﺎﻥ ... ﻭﺍﻓﺘﺮﻗﻨﺎ ﻟﻤﻌﺎﻥ ... ﺇﻥ ﻳﻜﻦ ﻏﻴﺒﺘﻚ ﺍﻟﺘﻌﻈﻲ ... ﻡ ﻋﻦ ﻟﺤﻆ ﺍﻟﻌﻴﺎﻥ ... ﻓﻠﻘﺪ ﺻﻴﺮﻙ ﺍﻟﻮﺝ ... ﺩ ﻣﻦ ﺍﻷﺣﺸﺎﺀ ﺩﺍﻥ৩. নিঃসন্দেহে আমিই তুমি , সুতরাং তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করা মানেই হচ্ছে আমার পবিত্রতা ঘোষণা করা। এবং তোমার একাত্ব মানেই হচ্ছে আমার একাত্ব, এবং তোমার অবাধ্যতা মানেই হচ্ছে আমার অবাধ্যতা। ﻭﻗﺪ ﺃﻧﺸﺪ ﻻﺑﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﺤﻼﺝ ... ﺃﺭﻳﺪﻙ ﻻ ﺃﺭﻳﺪﻙ ﻟﻠﺜﻮﺍﺏ ... ﻭﻟﻜﻨﻲ ﺃﺭﻳﺪﻙ ﻟﻠﻌﻘﺎﺏ ... ﻭﻛﻞ ﻣﺂﺭﺑﻲ ﻗﺪ ﻧﻠﺖ ﻣﻨﻬﺎ ... ﺳﻮﻯ ﻣﻠﺬﻭﺫ ﻭﺟﺪﻱ ﺑﺎﻟﻌﺬﺍﺏ ... ﻓﻘﺎﻝ ﺑﺎﻧﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﻗﺎﻝ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﺗﺰﺍﻳﺪ ﺑﻪ ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﺸﻐﻒ ﻭﻫﻴﺎﻡ ﺍﻟﻜﻠﻒ ﻭﺍﺣﺘﺮﺍﻕ ﺍﻷﺳﻒ ﻓﺈﺫﺍ ﺻﻔﺎ ﻭﻭﻓﺎ ﻋﻼ ﺇﻟﻰ ﻣﺸﺮﺏ ﻋﺬﺏ ﻭﻫﺎﻃﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﺩﺍﺋﻢ ﺳﻜﺐ ﻭﻗﺪ ﺃﻧﺸﺪ ﻷﺑﻲ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺧﻔﻴﻒ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﺤﻼﺝ ... ﺳﺒﺤﺎﻥ ﻣﻦ ﺃﻇﻬﺮ ﻧﺎﺳﻮﺗﻪ ... ﺳﺮﺳﻨﺎ ﻻﻫﻮﺗﻪ ﺍﻟﺜﺎﻗﺐ ... ﺛﻢ ﺑﺪﺍ ﻓﻲ ﺧﻠﻘﻪ ﻇﺎﻫﺮﺍ ... ﻓﻲ ﺻﻮﺭﺓ ﺍﻵﻛﻞ ﻭﺍﻟﺸﺎﺭﺏ ... ﺣﺘﻰ ﻗﺎﻝ ﻋﺎﻳﻨﻪ ﺧﻠﻘﻪ ... ﻛﻠﺤﻈﺔ ﺍﻟﺤﺎﺟﺐ ﺑﺎﻟﺤﺎﺟﺐ ... ﻓﻘﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺧﻔﻴﻒ ﻋﻼ ﻣﻦ ﻳﻘﻮﻝ ﻫﺬﺍ ﻟﻌﻨﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻘﻴﻞ ﻟﻪ ﺇﻥ ﻫﺬﺍ ﻣﻦ ﺷﻌﺮ ﺍﻟﺤﻼﺝ ﻓﻘﺎﻝ ﻗﺪ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻘﻮﻻ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻳﻨﺴﺐ ﺇﻟﻴﻪ ﺃﻳﻀﺎ ... ﺃﻭﺷﻜﺖ ﺗﺴﺄﻝ ﻋﻨﻲ ﻛﻴﻒ ﻛﻨﺖ ... ﻭﻣﺎ ﻻﻗﻴﺖ ﺑﻌﺪﻙ ﻣﻦ ﻫﻢ ﻭﺣﺰﻥ ... ﻻ ﻛﻨﺖ ﻻ ﻛﻨﺖ ﺇﻥ ﻛﻨﺖ ﺃﺩﺭﻱ ﻛﻴﻒ ﻛﻨﺖ ... ﻭﻻ ﻻ ﻛﻨﺖ ﺃﺩﺭﻱ ﻛﻴﻒ ﻟﻢ ﺃﻛﻦ ... ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺧﻠﻜﺎﻥ ﻭﻳﺮﻭﻯ ﻟﺴﻤﻨﻮﻥ ﻻ ﻟﻠﺤﻼﺝ ﻭﻣﻦ ﺷﻌﺮﻩ ﺃﻳﻀﺎ ﻗﻮﻟﻪ ... ﻣﺘﻰ ﺳﻬﺮﺕ ﻋﻴﻨﻲ ﻟﻐﻴﺮﻙ ﺃﻭ ﺑﻜﺖ ... ﻓﻼ ﺃﻋﻄﻴﺖ ﻣﺎ ﺃﻣﻠﺖ ﻭﺗﻤﻨﺖ ... ﻭﺇﻥ ﺃﺿﻤﺮﺕ ﻧﻔﺴﻲ ﺳﻮﺍﻙ ﻓﻼ ﺯﻛﺖ ... ﺭﻳﺎﺽ ﺍﻟﻤﻨﻰ ﻣﻦ ﻭﺟﻨﺘﻴﻚ ﻭﺟﻨﺖ ... ﻭﻣﻦ ﺷﻌﺮﻩ ﺃﻳﻀﺎ ... ﺩﻧﻴﺎ ﺗﻐﺎﻟﻄﻨﻲ ﻛﺄﻥ ... ﻱ ﻟﺴﺖ ﺃﻋﺮﻑ ﺣﺎﻟﻬﺎ ... ﺣﻈﺮ ﺍﻟﻤﻠﻴﻚ ﺣﺮﺍﻣﻬﺎ ... ﻭﺃﻧﺎ ﺃﺣﺘﻤﻴﺖ ﺣﻼﻟﻬﺎ ... ﻓﻮﺟﺪﺗﻬﺎ ﻣﺤﺘﺎﺟﺔ ... ﻓﻮﻫﺒﺖ ﻟﺬﺗﻬﺎ ﻟﻬﺎ ... ﻭﻗﺪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺤﻼﺝ ﻳﺘﻠﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻼﺑﺴﻪ ﻓﺘﺎﺭﺓ ﻳﻠﺒﺲ ﻟﺒﺎﺱ ﺍﻟﺼﻮﻓﻴﺔ ﻭﺗﺎﺭﺓ ﻳﺘﺠﺮﺩ ﻓﻲ ﻣﻼﺑﺲ ﺯﺭﻳﺔ ﻭﺗﺎﺭﺓ ﻳﻠﺒﺲ ﻟﺒﺎﺱ ﺍﻷﺟﻨﺎﺩ ﻭﻳﻌﺎﺷﺮ ﺃﺑﻨﺎﺀ ﺍﻷﻏﻨﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﻠﻮﻙ ﻭﺍﻷﺟﻨﺎﺩ ﻭﻗﺪ ﺭﺁﻩ ﺑﻌﺾ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻓﻲ ﺛﻴﺎﺏ ﺭﺛﺔ ﻭﺑﻴﺪﻩ ﺭﻛﻮﺓ ﻭﻋﻜﺎﺯﺓ ﻭﻫﻮ ﺳﺎﺋﺢ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺤﺎﻟﺔ ﻳﺎ ﺣﻼﺝ ﻓﺄﻧﺸﺄ ﻳﻘﻮﻝ ... ﻟﺌﻢ ﺃﻣﺴﻴﺖ ﻓﻲ ﺛﻮﺑﻲ ﻋﺪﻳﻢ ... ﻟﻘﺪ ﺑﻠﻴﺎ ﻋﻠﻰ ﺣﺮ ﻛﺮﻳﻢ ... ﻓﻼ ﻳﻐﺮﺭﻙ ﺃﻥ ﺃﺑﺼﺮﺕ ﺣﺎﻻ ... ﻣﻐﻴﺮﺓ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺎﻝ ﺍﻟﻘﺪﻳﻢ ... ﻓﻠﻲ ﻧﻔﺲ ﺳﺘﺘﻠﻒ ﺃﻭ ﺳﺘﺮﻗﻰ ... ﻟﻌﻤﺮﻙ ﺑﻲ ﺇﻟﻰ ﺃﻣﺮ ﺟﺴﻴﻢ ... ﻭﻣﻦ ﻣﺴﺘﺠﺎﺩ ﻛﻼﻣﻪ ﻭﻗﺪ ﺳﺄﻟﻪ ﺭﺟﻞ ﺃﻥ ﻳﻮﺻﻴﻪ ﺑﺸﻲﺀ ﻳﻨﻔﻌﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﻋﻠﻴﻚ ﻧﻔﺴﻚ ﺇﻥ ﻟﻢ ﺗﺸﻐﻠﻬﺎ ﺑﺎﻟﺤﻠﻖ ﻭﺇﻵ ﺷﻐﻠﺘﻚ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﻭﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻋﻈﻨﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﻛﻦ ﻣﻊ ﺍﻟﺤﻖ ﺑﺤﻜﻢ ﻣﺎ ﺃﻭﺟﺐ (ইমাম ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেন), হাল্লাজ শেষে স্থির থাকতে পারেনি । এবং সে ভুলে পতিত হয়েছে এবং সে বক্রপথ অবলম্বন করেছে,গোমরাহী ও বিদআতে লিপ্ত হয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে এর থেকে পানাহ চাই। আবু আবদুর রহমান সালামী আমর ইবনে উসমান মাক্কী থেকে বর্নণা করেন, তিনি বলেন, আমি হাল্লাজের সাথে মক্কার কিছু জায়গায় হাটছিলাম ও কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম হাল্লাজ আমার তিলাওয়াত শুনে বলল কোরআনের মত আমিও বলতে পারি। অতপর আমি তার থেকে পৃথক হয়ে গেলাম। খতীব বাগদাদী বলেন মাসউদ ইবনে নাসের বর্র্নণা করেন, ইবনে বাকু সিরাজী থেকে বর্ননা করেন, আমি আবু যুর’আ তাবারী থেকে শুনেছি তিনি বলেন, মানুষ এর মধ্যে কেউ হাল্লাজকে গ্রহন করেছে আবার কেউ প্রত্যাখান করেছে। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহ্ইয়া রাজী বলেন, আমি শুনেছি আমর ইবনে ওসমান হাল্লাজকে লানাত করেছে এবং সে বলত আমার শক্তি থাকলে হাল্লাজ কে আমি নিজ হাতে হত্যা করতাম। আমি তাকে বললাম হাল্লাজকে কিসের উপর পেয়েছ? সে বলল আমি কোআনের আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তখন সে বলল, আমি ক্ষমতা রাখি এমন কোরআন লিখতে এবং বলতে। আবু যুর’আ তাবারী বলেন আমি আবু ইয়াকুব আকতাহ্ কে বলতে শুনেছি, সে বলল আমি আমার মেয়েকে বিবাহ দিলাম, যখন সুলুকের লাইনে হাল্লাজের সুন্দর পদ্ধতি ও প্রচন্ড চেষ্টা দেখলাম। তার কিছুদিন পরে আমার কাছে বিকশিত হল যে সে হল একজন যাদুকর ও ধোঁকাবাজ ভেল্কীবাজ ও কাফের। ইমাম ইবনে কাসীর বলেন, এই বিবাহ মক্কায় হয়েছিল। মেয়ের নাম ছিল উম্মুল হুসাইন বিনতে আবু ইয়াকুব আক্তা। মেয়েটির ঘরে একটি সন্তান হয়ে ছিল যার নাম আহমদ ইবনে হুসাইন ইবনে মানসুর। আহমদ (হাল্লাজের পুত্র) তার বাবার জীবনিতে ঐ কথাগুলোই উল্লেখ করেছেন যেগুলো খতীব বাগদাদী বলেছেন। আবুল কাসেম কুশায়রী তার রেসালায় উল্লেখ করেছেন হেফজ কুলুবুল মাশায়েখ অধ্যায়ে যে, আমর ইবনে ওসমান মক্কায় হাল্লাজের নিকট গিয়েছিল। তখন সে একটি পাতায় কিছু লিখছিল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, এটা কি? সে বলল, “ইহা কেরআনের বিপরীত লিখা হচ্ছে।” কুশায়রী বলেন অতপর হাল্লাজের জন্য বদ দু’আ করা হল। এরপর সে আর সফল হতে পারেনি। আর ইয়াকুব আক্তা হাল্লাজের সাথে তার মেয়ের বিবাহের ব্যপারটি অস্বীকার করল । আমর ইবনে ওসমান চিঠি লিখে বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিল যাতে মানুষদেরকে হাল্লাজের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। অতপর হাল্লাজ বিভ্রান্ত অবস্থায় শহরে ঘুরতে লাগল। আর লোকদের সামনে নিজেকে আল্লাহর দিকে আহবানকারী হিসাবে প্রকাশ করত। আর এতে বিভিন্ন ভেল্কির সাহায্য নিত। এভাবেই সে চলতে ছিল। এমনকি আল্লাহ্ তা’আলা তার এই অনিষ্ঠতা থেকে রক্ষা করল শরীয়াতের ফায়সালায় তাকে হত্যা করে। যে ফায়সালা জিন্দিক ছাড়া অন্য কারো উপর হয় না। আর হাল্লাজ কোরআনের উপর আক্রমন করেছিল। আর সে তা করতে চেয়েছিল হারাম শরীফে অথচ আল্লাহ তা’আলা জিব্রাইলের মাধ্যমে নাযিল করেছেন, ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﺮِﺩْ ﻓِﻴﻪِ ﺑِﺈِﻟْﺤَﺎﺩٍ ﺑِﻈُﻠْﻢٍ ﻧُﺬِﻗْﻪُ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏٍ ﺃَﻟِﻴﻢٍ এখানে (মসজিদে হারামে) যে-ই সততা থেকে দূরে গিয়ে জুলুমের পথ অবলম্বন করবে তাকেই আমি যন্ত্রনাাদায়ক আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাব। (সূরা: হজ্ব ২০) হাল্লাজের এই কাজের আর কি কাজ এমন হতে পারে যা সত্য থেকে দূরে সরায় তার কাজগুলি মক্কার কাফের কুরাইশদের কাজের সাথে সদৃশ্য রাখে। যেমনটা আল্লাহ বলেছেন, ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺗُﺘْﻠَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺁﻳَﺎﺗُﻨَﺎ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻗَﺪْ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻟَﻮْ ﻧَﺸَﺎﺀُ ﻟَﻘُﻠْﻨَﺎ ﻣِﺜْﻞَ ﻫَﺬَﺍ ﺇِﻥْ ﻫَﺬَﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﺳَﺎﻃِﻴﺮُ ﺍﻟْﺄَﻭَّﻟِﻴﻦَ যখন তাদের সামনে আয়াত তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে আমরা তা শুনলাম, আমরা যদি চাই তাহলে এই কোআনের মত আমরাও কিছু বলতে পারি। এতো সেই সব পুরনো কাহিনী যা আগে থেকে লোকেরা বলে আসছে (সূরা: আনফাল, ৩১) (ﺃﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﺣﻴﻞ ﺍﻟﺤﻼﺝ) হাল্লাজের ভেল্কিবাজী (হাল্লাজের কিছু ভেল্কিবাজী): খতীব বাগদাদী রহ: বর্ননা করেন, হাল্লাজ তার সহযোগীদের মধ্য থেকে বিশেষ একজনকে নির্দেশ দিল পাহাড়ি এলাকার বাহিরে যেতে।। আর সেখানে গিয়ে প্রথমে বেশী বেশী ইবাদাত ও দুনিয়া বিমুখতা যেন প্রকাশ করে। কারন মানুষ যখন তার ইবাদত দেখবে তাকে তারা গ্রহন করে নিবে ও বিশ্বাস করে নিবে যে এই লোকটা খুবই ভাল। এই অবস্থা তৈরী হলে সে যেন প্রকাশ করে যে সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে। লোকেরা তার চিকিৎসা করতে চেষ্টা করলে যেন তাদের বলে হে কল্যানের জামাত, তোমাদের এই চেষ্টার কোন ফায়দা হবেনা। এর কিছুদিন পর যেন প্রকাশ করে যে সে রাসূল (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখেছে। এবং রাসূল (সাঃ) তাকে বলেছে কতুবের সাহায্য ছাড়া তুমি সুস্থ্য হবে না। অচিরেই কুতুব সাহেব তোমার কাছে আসবে অমুক মাসের এই দিনে। তার গুণসমূহ হবে এমন এমন। হাল্লাজ তাকে বলল ঐ সময় আমি তোমার কাছে আসব। অতপর লোকটি ঐ শহরে চলে গেল এবং অনেক ইবাদত করে নিজেকে প্রকাশ করল ও কোরআন পাঠ করত। কিছুদিন এভাবেই থাকল। লোকেরা তাকে পছন্দ করল এবং অনেক ভালবাসল। হঠাৎ একদিন সে প্রকাশ করল যে সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিছু সময় এ অবস্থায় থাকার পর সে প্রকাশ করল যে আমি পঙ্গু হয়ে গিয়েছি। তখন ঐ এলাকার লোকেরা তাকে সবধরনের চিকিৎসা করাল। কিন্তু এতে কোন ফল পাওয়া গেলনা। তখন সে লোকদের ডেকে বলল, ওহে কল্যানের জামাত তোমরা যা করছ এতে আমি সুস্থ্য হবনা কারন আমি স্বপ্নে দেখেছি রাসূল (সাঃ) আমাকে ঘুমের ঘরে বলছেন তোমার সুস্থতা অমুক কুতুবের হাতে। অচিরেই সে তোমার কাছে আসবে। তখন লোকেরা তাকে প্রথমে মসজিদে না নিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে গেল। কিন্তু পরে তাকে অনেক সম্মান করতে শুরু করল অতপর হাল্লাজের বেধে দেওয়া সময়ে হাল্লাজ এ শহরে গোপনে প্রবশ করল। তার গায়েছিল সাদা রংয়ের পশমি পোষাক। সে মসজিদে প্রবেশ করল এবং একটি কোনে বসে ইবাদত করতে লাগল আর সে কারো দিকে তাকাত না। হল্লাজের সাথীর বর্ণনাকৃত গুন অনুপাতে লোকেরা তাকে চিনল। তার সাথে মুসাফা করল, সালাম দিল ও সম্মান করল এবং অন্ধ ব্যক্তিকে তা জানানো হল। সে বলল তার গুনগুলি বর্ণনা কর। লোকেরা গুণ বর্ণনা করলে সে বলল এ তো ঐ ব্যক্তি যার ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) আমকে বলেছেন যে, তোমার সুস্থতা অমুক কুতুবের হাতে। সুতরাং তোমরা আমাকে ঐ ব্যক্তির কাছে নিয়ে চল। লোকেরা তাকে নিয়ে গেল। তাকে চিনল এবং বলল হে আল্লাহর বান্দা, রাসূল (সাঃ) স্বপ্নে আমাকে আপনার কথা বলেছেন। পুরো স্বপ্নের কথা সে বলল হাল্লাজ তা শুনে দুহাত দুআর জন্য উপরে উঠাল এবং তার জন্য দু’আ করল। তারপর তার লালা নিয়ে অন্ধ ব্যক্তির চোখে লাগালে তার চোখ এমন ভাবে ভাল হল যেন পূর্বে তার চোখ অন্ধই ছিলনা এমন মনে হল। অতপর তার লালা পঙ্গু ব্যক্তির পায়ে লাগালে সাথে সাথে সে ভাল হয়ে হাটতে লাগল যেন ইতপূর্বে তার কোন রোগই ছিল না। সেখানে ঐ এলাকার লোক সকল ও এলাকার আমীর উপস্থিত ছিল তখন লোকেরা জোরে চিৎকার করে উঠল এবং তাকবির দিয়ে প্রকম্পন সৃষ্টি করল এবং তাসবিহ পাঠ করল। আর লোকেরা হাল্লাজকে অনেক অনেক সম্মান করতে লাগল। এ এলাকার লোকেরা হাল্লাজকে এত বেশী ভালবেসে ফেলল যে, সে যা চাইত তা তারা দিয়ে দিতে প্রস্তুত হয়ে গেল। হাল্লাজ ঐ এলাকা থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছে করল। তখন লোকেরা তাকে অনেক মাল জমা করে দিতে চাইলে সে বলল, আমি এই এলাকায় পৌছেছি দুনিয়াকে পরিত্যাগের মাধ্যমে। সুতরাং আমার ধন সম্পদের প্রয়োজন নেই তবে তোমাদের ঐ সাথীর প্রয়োজন থাকতে পারে কেননা তার অনেক অবদাল সাথী রয়েছে যারা জিহাদ করে হজ্ব করে এবং সদকা করে। তখন ঐ অন্ধ ব্যক্তি (হাল্লাজের সাথী) বলল হা’ আমাদের শাইখ সত্য বলেছেন যার মাধ্যমে আল্লাহ আমায় দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আমি বাকী জীবন জিহাদে কাটাব এবং বাইতুল্লায় আমার আবদাল সাথীদের সাথে হজ্বের মাধ্যমে , অতপর হাল্লাজ লোকদের কে উদ্ধুদ্ধ করলেন তার সাথীকে মালা দিতে। অতপর হাল্লাজ ঐ স্থান ছেড়ে চলে গেল। আর ঐ লোক কিছুদিন লোকদের মাঝে থেকে অনেক সম্পদ একত্রিত করে হাল্লাজের কাছে চলে আসল এবং দুজন এগুলোকে বন্টন করে নিয়েছিল। আব্দুর রহমান সালামী বলেন আমি ইব্রাহীম ইবনে মুহাম্মদ ওয়ায়েজ থেকে শুনেছি যে আবু বকর ইবনে মামশাজ বলেন দায়নুয়ে আমাদের কাছে এক ব্যক্তি উপস্থিত হল যার ঘাড়ে সবসময় একটি গাট্টি ঝুলানো থাকত। তার গাট্টি থেকে আমরা তালাশ করে একটি হাল্লাজের চিঠি পেয়েছি। যার হেডলাইন ছিল রাহমানুর রাহিম এর পক্ষ থেকে(লেখা চিঠি) অমুকের নিকট। অতপর ঐ লোক ও চিঠিসহ ইরাকে পাঠানো হল। হাল্লাজকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সে তা স্বীকার করল যে, এই চিঠি তার নিজের লেখা। তখন বাগদাদের লোকেরা তাকে বলল তুমি (ইতিপূর্বে) নবী দাবী করেছিলে, এখনতো দেখা যাচ্ছে তুমি ইলাহ দাবি ও রব দাবি করছ! সে বলল না, কিন্তু আমার কাছে তো শুধু জমাকৃত, আর লেখকতো একমাত্র আল্লাহই, অন্য কেউ না। আমিতো একটি যন্ত্রমাত্র। তখন তাকে বলা হল তোমার সাথে এই মতের আর কেউ আছে কি? তখন সে বলল হ্যাঁ আছে ইবনে আতা এবং আবু মুহাম্মদ হারিরিও আবুবকর শিবলী। আবু হারিরিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলল হাল্লাজের কথা শাস্তিযোগ্য। শিবলীকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলল যে এমন বলবে তাকে বাধা দেওয়া হবে। এমনকি এই চিঠিই তার ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায়। আবু আব্দুর রহমান সালামী মুহাম্মদ ইবনে আব্দুর রহমান রাজী থেকে বর্ণনা করেন ওজীর হামেদ আক্কাস যখন হাল্লাজকে উপস্থিত করলেন তখন হাল্লাজকে তার আক্বীদার ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে সে তার আক্বীদার কথা স্বীকার করেছে। অতপর তা লিখে ইরাকের ফুকাহায়ে কিরামকে জিজ্ঞেস করা হল। তখন ইরাকের ওলামাগন ঘোষনা করলেন এবং তা লিখে ওজীরের কাছে পাঠানো হল। অতপর অজীর ইবনে আতাকে তার বাড়িতে ডেকে নিলেন এবং মজলিসের মাঝে বসিয়ে ইবনে আতাকে হাল্লাজের আক্বীদা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন ইবনে আতা বলল, যে ব্যক্তি এমন কথা বলে তার কোন আক্বীদা নেই। তখন ইবনে আতা অজীরকে বলল তোমার কি হল? এই ওলীদের নেতার কথায়। তখন অজীর, ইবনে আতার চোয়াল কেটে ফেলার নির্দেশ দেয় এবং তার মাথায় আঘাত করতে নির্দেশ দেয় এভাবে তাকে মারতে থাকে। তার কিছুদিন পর তার হাত পা কেটে ফেলা হয়। সাতদিন পর সে মৃত্যুবরণ করে। বাগদাদের উলামায়ে কিরাম হাল্লাজের কুফরির ব্যপারে ঐক্যমত পোষন করেছেন উল্লেখ্য যে, ঐ সময় বাগদাদ ছিল ইলমের কেন্দ্র।। খতীব বাগদাদী বলেন, হাল্লাজ শেষবারের মতো বাগদাদে এসেছিল এবং সূফীদের সঙ্গ দিয়েছে। বাগদাদের অজীর হামিদ ইবনে আব্বাস এর কাছে এই সংবাদ পৌছল যে হাল্লাজ অনেক মানুষদেরকে গোমরাহ করছে এবং লোকদের কাছে এটাও ছড়াচ্ছিল যে, সে মৃতকে জীবন দিতে পারে । জ্বীনরা তার খেদমত করে এবং যে যা চায় তা উপস্থিত করে দেয়। এবং আলী ইবনে ঈসার কাছে এক বক্তির নাম আলোচনা করা হলো, যাকে মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে কানাবী কাতেব বলা হতো। সে হাল্লাজের ইবাদত করত এবং মানুষদেরকে তার আনুগত্যের গিকে আহবান করত। তখন মুহাম্মদ ইবনে আলী কানায়ীকে গেফতার করা হলে এ বিষয়গুলো সে স্বীকার করল। গ্রেফতারের সময় কানায়ীর বাড়ী থেকে হাল্লাজের কিছু লেখা পাওয়া যায় । যেগুলো স্বর্ণপানী দ্বারা লেখাছিল রেশম কাপড়েরর উপর এবং সেখানে একটি থলে পাওয়া যায়। যাতে হাল্লাজের পশ্রাব পায়খানা এবং হাল্লাজের রুটির কিছু অংশ ও তার অন্যন্য জিনিসপত্র। মুকতাদীরের পক্ষ থেকে অজীরকে ডাকা হল এবং হাল্লাজের বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দিল। তখন অজীর হাল্লাজের সাথীদের একটি জামাতকে এনে ধমকালো তখন তারা স্বীকার করল যে, হাল্লাজ হল আল্লাহর সাথে আরেক ইলাহ এবং সে মৃতকে জীবিত করতে পারে। এভাবেই তারা হাল্লাজকে উন্মোচন করেছিল। তখন আলী ইবনে ঈসা তাদেরকে প্রত্যাখান করল এবং মিথ্যাবাদী বলে হাল্লাজের ব্যপারে বলল আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই এমন লোক থেকে যে নিজেকে নবী দাবী করেছে এবং ইলাহ ও রব দাবী করেছে। আমি একজন সালেহ ব্যক্তি বেশী বেশী সালাত ও সাওম আদায়কারী আর শাহাদাতাইনের উপর আমি কোন জিনিস বৃদ্ধি করবনা এবং আলী ইবনে ঈসা পরে অনেক বেশী বেশী আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইত। অজীর হামিদ আব্বাস সতর্ক হওয়ার পূর্বে তার এখানে সকলেই প্রবেশ করতে পারত। একজন আসত যার নাম কখনো বলত হুসাইন ইবনে মানসুর আবার কখনো বলত মুহাম্মদ ইবনে আহমদ কায়েমী। আর হেরেমের একজন যার নাম ছিল নাসরাল হাজের। সে মানসুর হাল্লাজের ধোঁকায় পরে গিয়েছিল। সে ধারণা করেছিল যে হাল্লাজ একজন নেককার লোক। অতপর হাল্লাজ এর ব্যপারে খলিফা মুকতাদির বিল্লাহ জানতে পারলে তাকে গ্রেফতার করে হামিদ ইবনে আব্বাসের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। সে তাকে জেলে বন্দি করে রাখে। অতপর সকল ফুকাহায়ে কেরাম তার কুফুরির ব্যাপারে ও যিন্দিকের ব্যপারে ফতওয়া দেয় এবং সে একজন যাদুকর। এই ফতোয়ার পর হাল্লাজের সাথীদের মধ্যে থেকে দু’জন ফিরে এসেছিল। একজন হল আবু আলী হারুন ইবনে আব্দুল আজীজ আওরাজী, আরেকজন হল দাব্বাস। তারা দুজনই হাল্লাজের হটকারিতা ও যাদুকরী ও মানুষদেরকে মিথ্যা ও ভেলকীবাজীর দিকে আহবান করত তা খুলে খুলে বলল। হাল্লাজের এই ধেকাবাজীকে আরও স্পষ্ট করার জন্য সুলাইমানের মেয়ে (হাল্লাজের স্ত্রী)কে উপস্থিত করা হল। তখন সে হাল্লাজের আরও অনেক দোষ-ত্রুটির কথা বলেন। সে বলল আমি একদিন ঘুমন্ত অবস্থায়, সে আমার উপর বসে বলল নামাজের জন্য উঠ। হাল্লাজের ইচ্ছা হল তার সাথে সহবাস করবে এবং হাল্লাজ তার মেয়েকে নির্দেশ দিল যে, সে যেন হাল্লাজকে সিজদা করে। তখন তার স্ত্রী তাকে বলল মানুষ কি মানুষকে সিজদা করে? তখন হাল্লাজ বলল হ্যাঁ এক ইলাহ আকাশে, আরেক ইলাহ জমীনে। অতপর সে তাকে নির্দেশ দিল তার আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে যা সম্পদ চাই তা নিতে সে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে দেখল সেখানে অনেক দিনার দিরহাম। হাল্লাজকে নিয়ে সর্বশেষ কাজী আবু ওমর মুহাম্মদ ইবনে ইউছুফকে উপস্থিত করা হল এবং হাল্লাজকে আনা হল এবং হাল্লাজের লিখিত একটি কিতাবও উপস্থিত করা হল। তখন তার কিতাবে একটি লেখা পেল যাতে লিখা আছে যে কোন ব্যক্তি হজ্ব করার ইচ্ছা করল, কিন্তু সামর্থ নেই, তখন সে যেন তার বাড়ীতে একটি ছোট গৃহনির্মান করে যাতে কোন ধরনের নাপাকি থাকবেনা এবং অন্য কেউ যেন সেখানে প্রবেশ না করতে পারে। যখন হজ্বের সময় হবে তখন তিনদিন রোজা রাখবে এবং ঐ ঘরটার চারপাশে তাওয়াফ করবে, যেভাবে কা’বাকে তাওয়াফ করা হয়। অতপর সে যেন হজ্বের কাজগুলো তার ঘরে করতে থাকে। অতপর ত্রিশজন ইয়াতিমকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবে এবং তাদের খেদমত করবে এবং তাদের সকলকে একটি করে জামা পরাবে ও সবাইকে সাত অথবা তিন দিরহাম করে দেবে। হজ্বের জন্য ইচ্ছা পোষণ কারী এমন করলে তার হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। এবং যে ব্যক্তি তিনদিন রোজা রাখবে আর চতুর্থদিন তা ভাঙবে, সে একমাস রমজানের রোজা রাখার সমপরিমান সওয়াব অর্জন করবে। আর যে ব্যক্তি রাত্রের শুরু থেকে নিয়ে শেষপর্যন্ত দুইরাকাত সালাত (নামাজ) পড়বে। এরপর তার সারা জীবনের নামাজের পরিমান সওয়াব পাবে। আর যারা শহীদদের ও কুরাইশদের কবরের পাশে দশদিন থাকবে, নামাজ পরবে ও রোজা রাখবে, ইফতার করবে একটি রুটি ও লবণ দ্বারা, তাহলে বাকী জীবনে তার ইবাদতের জন্য যথেষ্ট হবে। তখন কাজী আবু উমর হাল্লাজকে জিজ্ঞেস করল এগুলো তুমি কোথায় পেয়েছ। হাল্লাজ বলল আমি এগুলি হাসান বসরীর ইখলাছ নামক কিতাবে পেয়েছি। তখন কাজী আবু উমর বলল হাল্লাজ তুমি মিথ্যা বলছ। তোমার রক্ত হালাল। আমি হাসান বসরীর কিতাব মক্কায় শুনেছি অথচ তাতে এই জাতীয় কোন কিছু লেখা নেই। অতপর অজীর কাজীর কাছে আসল এবং বলল সে যে হালানুদ্দাস তাহা কাগজে লিখেদিন। কাজীসাহেব তাহা লিখে দিলে অজীর কাগজটিকে মুক্তাদির কাছে পাঠাল। তখন হাল্লাজ বন্দী অবস্থায়। মুক্তাদিরর এর অনুমোদন দিতে তিনদিন দেরী করল এবং অজীর হামিদ আব্বাসের ব্যপারে খারাপ ধারনা করে বসল। তখন সে খলিফার নিকট একটি চিঠি লিখল যে হাল্লাজের বিষয়টি অনেক প্রচারিত ও প্রসিদ্ধ। তার ব্যপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। সে অনেক মানুষকে গোমরাহ করেছে। অতপর খলিফার পক্ষ থেকে উত্তর আসল যে হাল্লাজকে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুস সনামাদ জেলার এর কাছে হস্তান্তর কর এবং তাকে একহাজার বেত্রাঘাত করতে বল, যদি হাল্লাজ বেতের আঘাতে মরে যায় তাহলে ত হলই, অন্যথায় তার গর্দান উড়িয়ে দেবে। অজীর খলিফার এই নির্দেশে খুবই খুশী হল। এবং জেলার কে ডেকে তার হাতে হাল্লাজকে তুলে দেওয়া হল।খতীব বাগদাদী বলেন আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে উসমান সায়রাকী, আবু ওমর ইবনে ইয়াহ্ইয়া থেকে বর্ণনা করেন যখন হাল্লাজকে কতল করার জন্য মানুষদের সামনে বের করা হল, তখন মানুষদের প্রচন্ড ভীড় ছিল। তখন আমি হাল্লাজকে দেখে তার নিকটে গেলাম। আর হাল্লাজ তার সাথীদের বলতে ছিল,আমার কতল হওয়াটা তোমাদেরকে যেন চিন্তায় না ফেলে। কারন আমি ত্রিশদিন পর তোমাদের কাছে ফিরে আসব। সে হত্যা হল। কিন্তু ফিরে আসে নাই। খতীব বাগদাদী বলেন, যখন হাল্লাজকে জেলারের কাছে হত্যার জন্য হস্তান্তর করা হল তখন সে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুস সামাদ কে ডেকে বলল যে,আমার কাছে কুসতুনতুনিয়া বিজয় করার একটি নসীহত আছে। তখন সে বলল তা বললেও তোমার হত্যা বন্ধ করা হবেনা। অতপর তাকে একহাজার বেত্রাঘাত করা হল এবং হাত পা কাটা হল ও তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হল। তার দেহটাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিল ও তার ছাইগুলোকে দজলা নদীতে ফেলে দিল। তার কাটা মাথাটাকে ইরাকের ব্রীজের ওপর দুইদিন লটকিয়ে রাখা হয়েছিল। হাল্লাজের সাথীরা ত্রিশ দিন গুনতে লাগল হাল্লাজ ফিরে আসে কিনা। কেউ কেউ ধারনা করল যে তারা হাল্লাজকে ত্রিশদিন পর দেখেছে। সে একটি গাধার উপর আরোহিত অবস্থায় নাহরাওয়ানের রাস্তায়। অতপর সে বলল যাতে লোকেরা এ ধারনা না করে যে আমি হত্যা হয়েছি। নিশ্চয় হত্যার সময় অন্য লোককে আমার মত করে দেওয়া হয়েছিল। হাল্লাজের অনুসারীরা তা বলতেছিল যে হাল্লাজের দুশমনকে হত্যা করা হয়েছে। ঐ যুগের উলামাগন বলল তারা সত্যিই দেখেছে শয়তান হাল্লাজের আকৃতি ধারণ করে এসেছিল, যাতে মানুষদেরকে গোমরাহ করতে পারে। যেরকম ভাবে নাসারাদের একটি দলকে গোমরাহ করেছে।

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

"বাউল মতবাদ"

বাউল মতবাদের মুলে রয়েছে স্রষ্টার সর্বেশ্বরবাদ (Pantheism) যা কুফরী।

[[[[ বিঃদ্রঃ শয়তান এই বাউলদের ভন্ডামী তুলে ধরার জন্য লেখা ] [ইসলাম ধর্মে এই বাউলদের কোন স্থান নেই ] [এই লেখায় যে কথাগুলো ইসলাম বিরুদ্ধী তা আমার পক্ষ থেকে না MD SAROWER ]]]]

বাউলরা মানুষ এবং সৃষ্টিকর্তাকে অভেদ জ্ঞান করেন। এরা বাহ্যিক কোন ধর্মীয় আচার আচারনে বিশ্বাসী নন। তাদের নেই কোন শাস্ত্রীয় পুস্তক।

বাউলের অসংখ্য গানের মধ্যে তাহা প্রকাশিত।

বাউল মতে, দেহের মধ্যেই বাস করেন পরম পুরুষ।তাকে পেতে দরকার দেহ-সাধনা।

পণ্ডিতদের অনেকের মতে, বাউল শব্দের অর্থ উন্মাদ বা পাগল। শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'বাতুল' থেকে। কারো মতে, 'বাউর' (বিশৃঙ্খল) কিংবা 'ব্যাকুল' শব্দ থেকে শব্দটির উৎপত্তি। অন্যমতে।

এটি 'আউয়াল' বা 'আউলিয়া' শব্দের অপভ্রংশ।

আরেক মত, গ্রাম্য উল অর্থ সন্ধান বা অর্থ সঙ্গে। দু'য়ে মিলে বাউল। অর্থাৎ 'সন্ধানের সঙ্গে বর্তমান'।

সংস্কৃত শব্দ 'বাউলা' 'বাউরার' অপভ্রংশও মনে করেন কেউ কেউ।

সাধারনভাবে ধর্মীয় শাস্ত্রাদি ও সামাজিক প্রথা ত্যাগ করে উদাসীনতা ও উন্মাদভাবের আশ্রয় নেওয়ার জন্য এদের অভিহিত করা হয় 'বাউল' নামে।

বাউল তত্ত্বের আদর্শ সমূহ - ১। গুরুবাদ ২। শাস্ত্রহীন সাধনা ৩। দেহতত্ত্ব ৪। মনের মানুষ ৫। রুপ স্বরূপ তত্ত্ব

১।গুরুবাদ- গুরু হচ্ছেন শিক্ষক, পরামর্শদাতা, পথ প্রদর্শক, মুর্শিদ। তিনি মানব গুরু এবং পরম পুরুষ দুই-ই। তাকে ঘিরেই গুরুতত্ত্ব । যেমন গুরু সম্পর্কে লালনের সহজ সরল স্বীকারোক্তি -- 'যেই মুর্শিদ সেই তো রাসুল, ইহাতে নাই কোন ভুল, খোদাও সেই হয়; লালন কয় না এমন কথা, কোরানে কয়।।' 'মুর্শিদ বিনে কি ধন আছে রে এই জগতে? মুর্শিদ চরন সুধা, পান করিলে হবে ক্ষুধা; করোনা দেলে দ্বিধা। যে মুর্শিদ, সেই খোদা ...... ' 'জান গে যা গুরুর দ্বারে, জ্ঞান উপাসনা কোন মানুষের কেমন কীর্তি, যাবে রে জানা ................ '

২।শাস্ত্রহীন সাধনা- বাউলরা মনে করে আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় আচার পালন করে 'মনের মানুষ' পাওয়া যায়না। রীতি নীতি বিধান- বিহিতে কিছু নেই। তাই লালন গেয়ে উঠে .... 'কার বা আমি কেবা আমার, আসল বস্তু ঠিক নাহি তার, বৈদিক মেঘে ঘোর অন্ধকার, উদয় হয়না দিনমণি ...... ' 'সত্য কাজে কেউ নাই রাজি সবই দেখি তা না না না জাত গেলো জাত গেলো বলে এ কি আজব কারখানা ...... ' 'বেদ বিধির আগোচর সদাই কৃষ্ণপদ্ম নিত্য উদয়, লালন বলে মনের দ্বিধায় কেউ দেখেও দেখেনা .................. '

৩।দেহতত্ত্ব- বাউল সাধকদের সাধনা দেহে উপর আশ্রয় করে গড়ে উঠে। কারন ঈশ্বর দেবতা সবই কাল্পনিক, মানুষের বিশ্বাস বিশেষ। সাধারন মানুষের জন্য এগুলো প্রতীক মাত্র। আসলে 'পরম পুরুষ' বাস করেন শরীরে। তাই শরীরের সাধন শ্রেষ্ঠ সাধন। বৈষ্ণব কবি চণ্ডীদাস বলেছেন -- 'সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই' । সেই সুত্রে ধরে বাউল কর্তারা রচনা করেছেন -- 'কুতবি যখন কফের জ্বালায়,তাবিজ তাগা বাধবি গলায় তাতে কি আর হবে ভালাই, মস্তকের জল শুষ্ক হলে .........' 'আদি মক্কা এই মানবদেহে, দেখ নারে মন ভেয়ে, দেশ - দেশান্তর দৌড়ে কেন মরছোরে হাঁপিয়ে .................' 'দেহের খবর যে জন করে, আলেক বাজি সে দেখিতে পারে আলেক দম হাওয়ায় চলে, কি আজব কারখানা ............... '

৪।মনের মানুষ- মনের মানুষ হচ্ছে দেহস্থিত আত্মা। আত্মাই বহুনামের মানুষ - ভবের মানুষ, রসিক মানুষ, সোনার মানুষ, আলেক সাঁই ইত্যাদি। লালন তাকে স্মরণ করেন - 'এই মানুষে আছেরে মন,যারে বলে মানুষ রতন। লালন বলে পেয়ে সে ধন, পারলাম নারে চিনিতে .......... ' 'আত্মতত্ত্ব না জানিলে ভজন হবেনা, পড়বি গোলে আগে জানগা কালুল্লা, আয়নাল হক আল্লা, যারে মানুষ বলে পড়ে ভূত এবার, হসনে মন আমার, একবার দেখনা প্রেমনয়ন খুলে। আপনি সাঁই ফকির, আপনি ফকির, ও সে লীলার ছলে ........ ' 'মুন্সী ও মৌলভীর কাছে, জনম ভর সুধাই সে, ঘোর গেলো না। পড়ে নেয় পরের খবর, আপন খবর কেউ বলেনা ......... '

৫।রুপ-স্বরূপ তত্ত্ব- দেহ বা কান্তি চেতনাই সব। রুপ হচ্ছে নারী বা প্রকৃতি আর স্বরূপ হচ্ছে নর বা পুরুষ। রুপ এবং স্বরূপ এর দৈহিক মিলনেই সাধন সম্পূর্ণ হতে পারে। রুপ - সরূপ এর ভবের তাৎপর্য বুঝার জন্য হলেও তাদের মিলনের প্রয়োজন। মূল বাউল তত্ব এর কোন জাত বিচার নেই। শ্রেণীহীন সহজ সরল জীবনের অভিসারী বাউলরা সর্বেশ্বরবাদ , ত্যাগের আদর্শবাদী। কিন্তু সেই সর্বেশ্বরবাদ সত্ত্বা মানেই আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর কিংবা প্রচালিত কোন সৃষ্টিকর্তা হতেই হবে এমন কোন বাধ্য নিয়ম নেই, অনেক বাউল-ই Mysticism বা অতীন্দ্রিয়বাদে বা অদৃশ্য সত্ত্বায় বিশ্বাসী যাকে কোন নিদিষ্ট সৃষ্টিকর্তার আওতায় ফেলাকে এক অর্থে অসম্ভব ব্যাপার।

কোন কোন বাউল সম্প্রদয়ের মতে, বাউল সাধনায় 'দেহ সাধনা' প্রধান বলেই নর-নারীর আঙ্গিক মিলন অপরিহার্য। এ হচ্ছে যুগল সাধনা। যুগল সাধনা দুই প্রকার - স্বকীয়া এবং পরকীয়া। তবে পরকীয়া বেশি প্রার্থিত।

বাউলদের মতে 'পঞ্চরস' পান না করলে প্রকৃত সাধক হওয়া যায়না।

পঞ্চরসের উপকরন হচ্ছে - মল, মুত্র, ঋতুরক্ত, রতিজনিত স্ত্রী-পুরুষের ক্ষরিত রস ও বীর্য।

যুগল সাধনার ক্ষেত্রে বাউল স্বকীয়া তথা স্ত্রীকেই সাধারণত সাধন-সঙ্গিনী করে।।

বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫

নাস্তিক স্যারের সাথে মুসলিম ছাত্রের কথাপোকথন

Click This Link

নাস্তিক শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই প্রশ্ন করল: আচ্ছা তোমরা তো আল্লাহ তে বিশ্বাস কর তাইনা? : ছাত্রছাত্রী সমস্বরে: হ্যাঁ আমরা বিশ্বাস করি। : শিক্ষক: আল্লাহ তো পৃথিবীর সকল ভালমন্দ সৃষ্টি করেছেন তাইনা? : ছাত্রছাত্রী: হ্যাঁ তিনিই. সৃষ্টি করেছেন। : শিক্ষক: আল্লাহ যদি ভাল হয়ে থাকেন তাহলে মন্দসমূহ সৃষ্টি করলেন কেন? : ছাত্র ছাত্রী: সবাই চুপ। কেউ কোন উত্তর দিলনা। : শিক্ষক: আচ্ছা তোমরা কি কেউ কখনো আল্লাহকে দেখেছ? : ছাত্রছাত্রী: না। : শিক্ষক: বিজ্ঞান বলে যে জিনিস কোন যন্ত্র বা পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা দেখা যায়না, ছোঁয়া যায় না, অনুভব করা যায় না, তার কোন অস্তিত্ব নেই! সুতরাং আল্লাহর অস্তিত্ব নেই--!! : সৃষ্টিকর্তার ধারণা অলীক কল্পনা মাত্র। ক্লাসে পিনপতন নিরবতা, কেউ কথা বলছেনা। একজন ছাত্র....নাম প্রিন্স আব্দুল্লাহ..... উঠে দাড়ালো: স্যার আমি কিছু বলতে চাই। : শিক্ষক: বল : আব্দুল্লাহ : স্যার পৃথিবীতে ঠান্ডা বলতে কিছু আছে? : শিক্ষক: আছে। : আব্দুল্লাহ : না স্যার, ঠান্ডা বলতে কোন পদার্থ নেই। তাপমাত্রার অনপুস্থিতিকেই ঠান্ডা বলে। ঠান্ডা পরিমাপ করা যায়না। তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। অর্থাৎ তাপের অনুপস্থিতিকে ঠান্ডা বলে থাকি। : আব্দুল্লাহ : স্যার অন্ধকার বলতে কিছু আছে? : শিক্ষক: না। : আব্দুল্লাহ : হ্যাঁ, অন্ধকার বলতে কিছু নেই৷ অন্ধকার পরিমাপ করা যায়না। আলোর অনুপস্থিতিকেই অন্ধকার বলা হয়। ঠিক তেমনি আল্লাহ মন্দ সৃষ্টি করেননি। ভালোর অনুপস্থিতিকেই মন্দ বলে। ছাত্র সকল ছাত্রছাত্রীদের : উদ্দেশ্যে করে: আচ্ছা আপনারা কেউ স্যারের মস্তিষ্ক দেখেছেন? : ছাত্রছাত্রী: দেখিনি তবে স্ক্যানারের মাধ্যমে দেখা সম্ভব। : আব্দুল্লাহ : পৃথিবীর কোন যন্ত্র দিয়ে কি স্যারের জ্ঞান পরিমাপ করা সম্ভব? স্যার যে এত এত ডিগ্রী এতসব জ্ঞান অর্জন করেছেন তা কি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারাঅনুভব বা পরিমাপ করা যায়? : ছাত্রছাত্রী: না : আব্দুল্লাহ : তাহলে আমি ঘোষণা দিচ্ছি যেহেতু কোন অত্যাধুনিক যন্ত্র বা মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা স্যারের জ্ঞান অনুভব বা পরিমাপ করা যায় না সুতরাং স্যারের কোন জ্ঞান নেই। তিনি একটা মূর্খ।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী মরাতে

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী মরাতে অনেকের আবেগে চোখ অশ্রুশিক্ত হয়ে যাচ্ছে।
আপনাদের স্বরণ করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মহসীন আলীর কতিপয় ধর্মদ্রোহী ও নোংরা উক্তি উল্লেখ করছি:
  • ১/ কোলকাতার নার্সরা আমার গোপন অঙ্গ হাত দিয়ে ধুয়ে দিছে আপনারা বাংলাদেশের নার্সরা কেন পারবেন না??

  • ২/ যারা বোরকা পরে তারা জঙ্গি। তারা অসুন্দর, তাই তারা বোরকা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে।

  • ৩/ সমাজের সব আকাম কুকাম বোরকা পরা মেয়েরাই করে।

  • ৪/ টাঙ্গাইলের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ কারি মোল্লাদের শিরচ্ছেদ করা উচিত।

  • ৫/ পর্দা করলে চলবে না, হাফ প্যান্ট পড়ে পুরুষের পাশাপাশি চলতে হবে। পুরুষদের ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে যেতে হবে।

  • ৬/ আমি চাই দেশে বিখ্যাত নর্তকী গড়ে উঠুক।

  • ৭/ আমি এইট পাশ তাতে সাংবাদিকরা বাল ফালানির কে??

  • ৮/ ঐ সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে রাতে বউয়ের পাশে ঘুমাতে পারবি না।

  • ৯/ ইসলাম সেকুলারিজম তাই তার বিধান মানা যাবেনা।

তার ব্যাপারে কুরান কি বলে দেখুন:
"আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। (সুরা তওবাহ, আয়াত-৮৪)

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

০১. প্রশ্নঃ পৃথিবীতে নাকি মানুষ ছাড়াও জ্বিন নামে একটি জাতি বসবাস করে ।কিন্তু কোথায় ,তাহাদের তো কোথায় দেখা যায়না ? কেহ কেহ বলেন জ্বিন জাতি নাকি আগুনের তৈয়ারি তাহলে দোযখের আগুনে আবার তাহাদের শাস্তি হইবে কেমনে ?

নাস্তিকীয় প্রশ্নঃ ---------------------------- প্রশ্নঃ পৃথিবীতে নাকি মানুষ ছাড়াও জ্বিন নামে একটি জাতি বসবাস করে ।কিন্তু কোথায় ,তাহাদের তো কোথায় দেখা যায়না ? কেহ কেহ বলেন জ্বিন জাতি নাকি আগুনের তৈয়ারি তাহলে দোযখের আগুনে আবার তাহাদের শাস্তি হইবে কেমনে ? ==== উত্তরঃ জ্বি পৃথিবীতে মানুষ ছাড়াও আরেকটি জাতি আছে যাকে বলা হয় জ্বিন । যদিও আমরা অনেকেই সেটাকে আমাদের ভাষায় ভুত,প্রেত বলে অভিহিত করে থাকি । মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,"আমি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য । "(সুরা যারিআতঃ৫৬) তিনি আরও বলেন, "আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকা হতে এবং জ্বিন সৃষ্টি করেছি আগুন হতে । "(সুরা হিজরঃ২৭) আমরা জ্বীন জাতিকে দেখতে পাইনা কারন তারা অদৃশ্য । তবে তারা বিভিন্ন রুপ ধারন করতে পারে । আর তখনই তাদেরকে দেখা যায় । এমন অনেক মানুষ আছে আছে যারা জ্বিনে বিশ্বাস করতনা । কিন্তু যখন তারা নিজেরাই তা দেখেছে তখন তারা নির্ধিয়ায় মেনে নিয়েছে যে অবশ্যই মানুষ ছাড়া আরও কিছু একটা আছে । এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে যাদের জ্বীনের এক্সপেরিয়েন্স আছে ।আর সবাই একযোগে তা সাক্ষ দেবে । তাহলে এখন প্রশ্ন হলো তারা আগুনের তৈরি হলে জাহান্নামের আগুনে আবার তাদের শাস্তি হবে কেমনে ? আমরা মানুষ মাটির তৈরি । তাই বলে কি মাটির খন্ড দ্বারা আঘাত করলে ব্যথা পাইনা ? অবশ্যই পায় । ঠিক তেমনি জ্বীন আগুনের তৈরি হলেও আগুন দিয়েই তাদেরকে শাস্তি দেয়া সম্ভব । আর এছাড়াও জাহান্নামের আগুনের তাপ পৃথিবীর আগুনের তাপের চেয়ে ৬৯ গুন বেশী । রাসুল (সাঃ ) বলেছেন, "পৃথিবীর আগুনের তাপ জাহান্নামের আগুনের তাপের একভাগের সমান । "(সহীহ বুখারী- হাঃ/৩২৬৫ ; মুসলিম- হাঃ/২৮৪৩) সুতরাং আগুনের সৃষ্টি জ্বীন যখন তার নিজস্ব তাপমাত্রা হতে ৬৯ গুন বেশী তাপমাত্রাসম্পন্ন আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে তখন তারা শাস্তি পাবে কিনা তা সহজেই অনুমেয় ।