শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

বাংলা ব্যাকরণের ৩৪০ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা পরীক্ষায় বার বার আসে।

বাংলা ব্যাকরণের ৩৪০ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা পরীক্ষায় বার বার আসে।

১) অপমান শব্দের অপ উপসর্গটি যে অর্থে
ব্যবহৃত – বিপরীত
২) ‘ধ্বনি দিয়ে আট বাঁধা শব্দই ভাষার ইট ’ এই
ইটকে বাংলা ভাষায় বলে— বর্ণ

৩) ষড়ঋতু এর সন্ধি বিচ্ছেদ – ষট্ + ঋতু
৪) ইচ্ছা শব্দের বিশেষণ -ঐচ্ছিক
৫) নিশীথ রাতে বাজছে বাঁশী। নিশীথ –
বিশেষণ
৬) যা বলা হয়নি – অনুক্ত
৭) অক্ষির সমীপে – সমক্ষ
৮) পুষ্প এন সমার্থক নয় – অবনী
৯) গোঁফ খেজুরে বাগধারার অর্থ – নিতান্ত
অলস
১০) রাবনের চিতা – চির অশান্তি
১১) পহেলা বৈশাখ চালু করেন – সম্রাট আকবর
১২) হনন করার ইচ্ছা – জিঘাংসা
১৩) শুদ্ধ বানান – কৃষিজীবী
১৪) আভরন শব্দের অর্থ – অলংকার
১৫) নন্দিত নরকে যাঁর উপন্যাস – হুমায়ুন আহমেদ
১৬) কোর্মা – তুর্কি শব্দ
১৭) তদ্ভব শব্দ – চাঁদ
১৮) অপলাপ শব্দের অর্থ – অস্বীকার
১৯) প্রত্যয়গতভাবে শুদ্ধ – উৎকর্ষ, উৎকৃষ্ট,
উৎকৃষ্টতা,
২০) পুণ্যে মতি হোক। পুণ্যে – বিশেষ্য
রুপে ব্যবহৃত
২১) সমাস ভাষাকে – সংক্ষেপ করে
২২) তিনি দরিদ্র কিন্তু খুব উদার – যৌগিক বাক্য
২৩) শুদ্ধ বাক্য – সে এমন রুপবতী যেন
অপ্সরা
২৪) যে ব্যক্তির দুহাত সমান চলে – সব্যসাচী
২৫) সূর্য এর প্রতিশব্দ – আদিত্য
২৬) মুজিব নগর স্মৃতি সৌধের স্থপতি -তানভীর
কবির
২৭) বাঙ্গালীর ইতিহাস – নীহার রঞ্জন রায়
২৮) সৌভাগ্যের বিষয় – একাদশে বৃহষ্পতি
২৯) সংশপ্তক ভাস্কর্যটিরঅবস্থিত -জাহাঙ্গীনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে
৩০) পদ বলতে বোঝায় – বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা
ধাতু
৩১) হাতের পাঁচ অর্থ – শেষ সম্বল
৩২) সুন্দর মাত্রেরই একটা আকর্ষণ শক্তি
আছে। এখানে সুন্দর – বিশেষ্য
৩৩) তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে??
এখানে না – হ্যাঁ বাচক
৩৪) যেই তার দর্শন পেলাম, সেই আমরা
প্রস্থান করলাম – মিশ্র বাক্য
৩৫) রবীন্দ্রনাথের নাটক -চতুরঙ্গ
৩৬) শাহনামা রচনা করেন – ফেরদৌসী
৩৭) উপসর্গ – অতি

৩৮) ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে
আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু
কালি পড়ে – প্রমথ চৌধুরী
৩৯) আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে
প্রার্থনা টি – ঈশ্বরী পাটনীর
৪০) কাশবনের কন্যা – উপন্যাস
৪১) যে সমাসের পূর্ব পদ সংখ্যাবাচক এবং সমস্ত
পদের দ্বারা সমাহার বোঝায় তাকে বলে- দ্বিগু
সমাস
৪২) প্রথম বাংলা থিসরাস বা সমার্থক শব্দের অভিধান
সংকলন করেন – অশোক মুখোপাধ্যায়
৪৩) নিরানব্বইয়ের ধাক্কা – সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি
৪৪) একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম সংকলনের
সম্পাদক – হাসান হাফিজুর রহমান
৪৫) বনফুল – বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
৪৬) কষ্টে অতিক্রম করা যায় না যা -দুরতিক্রম্য
৪৭) উৎকর্ষতা যে কারনে অশুদ্ধ –
প্রত্যয়জনিত কারনে
৪৮) কোনটি ঠিক – বহিপীর ( নাটক)
৪৯) ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ রচনা করেন-
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৫০) ক্রিয়াপদ – সব সময়ে বাক্যে থাকবে
৫১) আহোরণ শব্দের বিপরীত – অবরোহন
৫২) ছাই চাপা আগুন যে অর্থ প্রকাশ করে –
অন্তরে বিদ্যমান অথচ বাইরে প্রকাশের অসাধ্য
এমন
৫৩) যে ভবিষ্যৎ না ভেবে কাজ করে –
অবিমৃষ্যকারী
৫৪) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস – আগুনের পরশ
মনি
৫৫) কবর কবিতা রচনা করেন – জসীমউদদীন
৫৬) সঠিক বাক্য – মনোরম উদ্যানে ভ্রমণ
দূরাকাংখা
৫৭) চৌ হদ্দি – ফারসি+ আরবি
৫৮) সর্বাঙ্গে ব্যাথা ঔষধ দিব কোথা। বাক্যে
ঔষধ – কর্মে শূন্য
৫৯) শরৎচন্দ্রের যে উপন্যাস সরকার
বাজেয়াপ্ত করে – পথের দাবী

৬০) বেটাইম – ফারসি+ ইংরেজী
৬১) সন্ধি ব্যাকরণের যে অংশে আলোচিত হয়
– ধ্বনিতত্ত্ব
৬২) সমুচ্চয়ী অব্যয় ব্যবহৃত হয়েছে – ঢং ঢং
ঘন্টা বাজে
৬৩) বিরাম চিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি – ঢাকা, ২১
ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
৬৪) শুদ্ধ বানান – সমীচীন
৬৫) জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্ধ – ঝরা
পালক
৬৬) কলিঙ্গ পুরষ্কার পান – আবদুল্লাহ আল মুতী
৬৭) নিত্য মূর্ধণ্য ষ যে শব্দে – আষাঢ়
৬৮) সাধু ভাষা অনুপযোগী – নাটকের সংলাপে
৬৯) সাত সাগরের মাঝি কার লেখা – ফররুখ আহমদ
৭০) প্রাতরাশ এর সন্ধি বিচ্ছেদ।- প্রাতঃ+ আশ
৭১) যা বলা হয়নি – অনুক্ত
৭২) যৌগিক শব্দ – গায়ক
৭৩) তৎসম শব্দ – হস্ত
৭৪) নিত্য স্ত্রী বাচক শব্দ – সতীন
৭৫) খাঁটি বাংলা উপসর্গ – ২১ টি
৭৬) বিড়ালের আড়াই পা বাগধারার অর্থ –বেহায়াপনা
৭৭) নজরুল রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন –
সঞ্চিতা
৭৮) ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে –
জিতেন্দ্রিয়
৭৯) অনিষ্ট করতে গিয়ে ভালো হওয়াকে
বলে – শাপেবর
৮০) পৃথিবীর সমার্থক শব্দ – অখিল
৮১) পঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক – সৈয়দ
হামজা
৮২) সনেট শব্দটি – ইটালিয়ান
৮৩) সংগীত এর সন্ধি বিচ্ছেদ – সম+ গীত
৮৪) বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলে -প্রাতিপদিক
৮৫) যে সমাসের পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ
হয় না – অলুক সমাস
৮৬) শুদ্ধ বানান – মুমূর্ষু
৮৭) হুতোম প্যাঁচা যাঁর ছদ্মনাম – কালীপ্রসন্ন
সিংহ
৮৮) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ রচনা
করেন – দীনেশ চন্দ্র সেন
৮৯) জসীমউদদীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্য
গ্রন্থ – রাখালী
৯০) অপাদান কারক – ট্রেন স্টেশন
ছেড়েছে
৯১) পশ্চাতে জন্মেছে যে – অনুজ
৯২) হরতাল -গুজরাটি শব্দ
৯৩) শীতার্থ এর সন্ধি বিচ্ছেদ – শীত+ঋত
৯৪) কুলি শব্দের স্ত্রী বাচক – কামিন
৯৫) তুষার শুভ্র – উপমান কর্মধারয় সমাস
৯৬) শৈত্য শব্দের বিশেষণ পদ – শীতার্ত
৯৭) যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং
তুমি প্রথম হবে – জটিল বাক্য
৯৮) শুদ্ধ – সাক্ষ্যদান
৯৯) মহাকবি আলাওল নাটকটি রচনা করেন -সিকান্দার
আবু জাফর
১০০) রবীন্দ্রনাথ রচিত নাটক – রক্তকরবী।

>>>৯০ টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সমার্থক শব্দ
=> অগ্নি ➟ অনল, পাবক, আগুন, দহন, সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি
=> অন্ধকার ➟ আঁধার, তমঃ, তমিস্রা, তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম
=> অখন্ড ➟ সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।
=> অবকাশ ➟ সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।
=> অক্লান্ত ➟ ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।
=> অপূর্ব ➟ অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম,
সুন্দর।
=> অক্ষয় ➟ চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।
=> অঙ্গ ➟ দেহ, শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র, বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি, দেহাংশ।
=> অবস্থা ➟ দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।
=> আইন ➟ বিধান, কানুন, বিহিতক, অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি, ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।
=> আসল ➟ খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।
=> আনন্দ ➟ হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।
=> আদি ➟ প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব, প্রাচীন, মূল।
=> অতনু ➟ মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প
=> আকাশ ➟ আসমান, অম্বর, গগন, নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ
=> আলোক ➟ আলো, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা
=> ইচ্ছা ➟ আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা
=> আল্লাহ্ ➟ আল্লাহ্ ,ঈশ্বর, খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ, অমরেশ, পরেশ, লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক , ভগবান, ধাতা।

=> উঁচু ➟ উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।
=> উদাহরণ ➟ দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।
=> উত্তম ➟ প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।
=> উত্তর ➟ জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।
=> একতা ➟ ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।
=> কপাল ➟ ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক
=> কোকিল ➟ পরভৃত, পিক, বসন্তদূত
=> কষ্ট ➟ মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।
=> কুল ➟ বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।
=> খ্যাতি ➟ যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।
=> কন্যা ➟ মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া
=> গরু ➟ গো, গাভী, ধেনু
=> ঘোড়া ➟ অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম
=> মেঘ ➟ ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।
=> চাঁদ ➟ সুধাকর, শশী, শশধর, দ্বিজরাজ, বিধু, সোম, নিশাপতি, সুধানিধি, রাকেশ, সুধাময়, ইন্দু, তারানাথ।
=> চতুর ➟ বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, চালাক, সপ্রতিভ।
=> ঘর ➟ গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান
=> চক্ষু ➟ চোখ, আঁখি, অক্ষি, লোচন, নেত্র, নয়ন, দর্শনেন্দ্রিয়
=> চন্দ্র ➟ চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত
=> চুল ➟ চিকুর, কুন্তল, কেশ, অলক,
=> জননী ➟ মা, মাতা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী,
=> দিন ➟ দিবা, দিবস, দিনমান
=> দেবতা ➟ অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অমর, অজর, ঠাকুর
=> দ্বন্দ্ব ➟ বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ
=> তীর ➟ কূল, তট, পাড়, সৈকত, পুলিন, ধার, কিনারা
=> নারী ➟ রমণী, কামিনী, মহিলা, স্ত্রী, অবলা, স্ত্রীলোক, অঙ্গনা, ভাসিনী, ললনা, কান্তা, পত্নী, সীমন্তনী
=> নদী ➟ তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী
=> নৌকা ➟ নাও, তরণী, জলযান, তরী
=> পণ্ডিত ➟ বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ
=>

পদ্ম ➟ কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ
=> পৃথিবী ➟ ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল
=> পর্বত ➟ শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র
=> পানি ➟ জল, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়
=> পুত্র ➟ তনয়, সুত, আত্মজ, ছেলে, নন্দন
=> পত্নী ➟ জায়া, ভার্যা, ভামিনী, স্ত্রী, অর্ধাঙ্গী, সহধর্মিণী, জীবন সাথী, বউ, দারা, বনিতা, কলত্র, গৃহিণী, গিন্নী
=> পাখি ➟ পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ
=> ফুল ➟ পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন
=> বৃক্ষ ➟ গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ
=> বন ➟ অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহন
=> বায়ু ➟ বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ
=> বিদ্যুত ➟ বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা
=> মানুষ ➟ মানব, মনুষ্য, লোক, জন, নৃ, নর,
=> মাটি ➟ ক্ষিতি, মৃত্তিকা,
=> দখল ➟ অধিকার, আয়ত্ত, জ্ঞান, কতৃত্ব, অধীনতা, পটুতা।
=> নারী ➟ রমণী, রামা, বামা, অবলা, মহিলা, স্ত্রী, মেয়ে, মেয়েমানুষ, ললনা, মানবী, মানবিকা, কামিনী, আওরত,
জেনানা, যোষা, জনি, বালা, বনিতা, ভামিনী, শর্বরী।

=> বাতাস ➟ বায়ু, পবন, সমীর, অনিল, মারুত, বাত, বায়, আশুগ, পবমান, সদাগতি, শব্দবহ, অগ্নিশখ, বহ্নিসখ, হাওয়া।
=> মৃত্যু ➟ মরা, ইন্তেকাল, বিনাশ, মরণ, নাশ, নিধন, নিপাত, প্রয়ান, লোকান্তরপ্রাপ্তি, চিরবিদায়, প্রাণত্যাগ, জীবননাশ, দেহান্ত, লোকান্তর, , মারা যাওয়া, পটল তোলা, মহাপ্রয়াণ।
=> সমুদ্র ➟ সাগর, সায়ব, অর্ণব, সিন্ধু, দরিয়া, জলধি, পাথার, পারাবার, প্রচেতা, অকূল, জলধর, নদীকান্ত, নীরধি, তোয়াধি, পয়োধি, বারিধর, বারীন্দ্র, ইরাবান, দ্বীপী।
=> স্বর্ণ ➟ সোনা, কাঞ্চন, কনক, হেম, হিরণ্য, মহাধাতু, গোল্ড।
=> সম ➟ সমান, তুল্য, সদৃশ, যুদ্ন, অনুরূপ।
=> দিন ➟ দিবস, দিবা, অহ, বার, রোজ, বাসর, দিনরাত্রি, দিনরজনী, সাবন, অষ্টপ্রহর, আটপ্রহর।
=> নিদ্রা ➟ ঘুম, তন্দ্রা, নিদ, সুপ্তি, গাঢ়ঘুম, নিষুপ্তি।
=> ছাত্র ➟ শিষ্য, শিক্ষানবিশ, পড়ুয়া।
=> জটিল ➟ জড়ানো, কঠিন, শক্ত, খটমট, জটাযুক্ত।
=> ধরা ➟ পৃথিবী, ধারণ করা, হাত দেয়া, ছোঁয়া, স্পশর্, ধরণি, ধরিত্রী, পাকড়ানো।
=> কবুতর ➟ পারাবত, কপোত, পায়রা, নোটন, লোটন, প্রাসাদকুক্কুট।
=> দক্ষ ➟ নিপুণ, পটু, পারদশী, কর্মঠ, সুনিপুন, কামিল।
=> রাত্রি ➟ রাত, রাত্তির, নিশি, নিশীথ, রাত, রজনী, যামিনী, যামী, যামিকা, শমনী, বিভাবরী, ক্ষণদা, নক্ত, তামসী, অসুরা।
=> মেঘ ➟ জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর
=> রাজা ➟ নরপতি, নৃপতি, ভূপতি, বাদশাহ
=> রাত ➟ রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা
=> শরীর ➟ দেহ, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ, অবয়ব
=>সর্প ➟ সাপ, অহি, আশীবিষ, উরহ, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক
=> স্ত্রী ➟ পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ,
=> স্বর্ণ ➟ সোনা, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ
=> স্বর্গ ➟ দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত
=> সাহসী ➟ অভীক, নির্ভীক,
=> সাগর ➟ সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, পারাবার, বারীন্দ্র, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি
=> সূর্য ➟ রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা
=> হাত ➟ কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি
=> হস্তী ➟ হাতি, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর, নাগ
=> লাল ➟ লোহিত, রক্তবর্ণ

144 টি বাগধারা, এক্সক্লুসিভ:-
1. অগত্যা মধুসূদন – অনন্যোপায় হয়ে।
2. অজগর বৃত্তি – আলসেমি।
3. অপোগণ্ড – অকর্মণ্য, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, নাবালক।
4. অবরে সবরে – কালে -ভদ্রে।
5. অজগর বৃত্তি – আলসেমি।
6. অশ্বমেধ যজ্ঞ – বিপুল আয়োজন।
7. অচলায়তন – গোরামিপূর্ণ

8. অষ্টরম্ভা – কাঁচকলা, ফাঁকি, কিছুই না।
9. অক্ষয় বট – প্রাচীন ব্যক্তি।
10. অকাল কুষ্মাণ্ড – অপদার্থ।
11. অকালের বাদলা -অপ্রত্যাশিত বাধা।
12. অক্ষরে অক্ষরে -সম্পূর্ণভাবে।
13. অষ্টবজ্র সম্মিলন -প্রতিভাবান ব্যক্তিদের
একত্র সমাবেশ
14. অলক্ষ্মীর দশা -দারিদ্র্য
15. অক্ষয়ভাণ্ডার -যে ভাণ্ডারের ধন কখনো ফুরায় না
16. অগ্নিগর্ভ -বলিষ্ঠ
17. অঞ্চলের নিধি – যে সম্পদ আঁচলে ঢেকে সুরক্ষিত
রাখতে হয়/সনত্মান
18. অন্ধিসন্ধি -ফাঁকফোকর/গোপন তথ্য
19. আঠারো মাসে বছর – দীর্ঘসূত্রিতা।
20. আঁটকুড়ো – নিঃসনত্মান।
21. আমড়া কাঠের ঢেঁকি-অকেজো লোক/অকর্মণ্য।
22. আসরে নামা -আবির্ভূত হওয়া।
23. আধা খেঁচড়া -বিশৃঙ্খলা
24. আঁচা-আঁচি -পরস্পরের মনের ভাব
25. আগলদার -জমির ফসল আগলানোর বা পাহারা দেয়ার
জন্য নিযুক্ত লোক
26. আদিখ্যেতা – ন্যাকামি
27. আস্ত কেউটে – অত্যন্ত বিপজ্জনক লোক
28. ইলশে গুঁড়ি – গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
29. ইয়ারবকসি – বন্ধুবান্ধব
30. ইল্লতে কাণ্ড – নোংরা ব্যাপার / নোংরা কাণ্ড
31. ইতুনিদকুঁড়ে – অলস: দীর্ঘসূত্রীতা
32. উলুখাগড়া – গুরুত্বহীন লোক।
33. উজানের কৈ – সহজলভ্য।
34. উপোসি ছারপোকা – অভাবগ্রস্থ লোক।
35. উপরোধের ঢেঁকি গেলা – অন্যায় আবদার করা
36. উদোমারা – বোকা।
37. উটকো লোক – অচেনা লোক/হঠাৎ অবাঞ্ছিতভাবে
এসে

38. ঊনকোটি চোষট্টি – প্রায় সম্পূর্ণ।
39. ঊনপাঁজুরে – অপদার্থ।
40. ঊরুস্তম্ভ – ফোঁড়া জাতীয় রোগ
41. ঊর্মিমালী – সমুদ্র
42. এলেবেলে – নিকৃষ্ট।
43. এক ছাঁচে ঢালা – সাদৃশ্য।
44. একাদশ বৃহস্পতি – মহাসৌভাগ্য/ সৌভাগ্যের লক্ষণ।
45. একা দোকা – নিঃসঙ্গ
46. ওষুধে ধরা – প্রার্থিত ফল পাওয়া।
47. ওষুধ করা – গুণ করা।
48. ওষুধ পড়া – সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া।
49. কচ্ছপের কামড় – যা সহজে ছাড়ে না।
50. কলমি কাপ্তেন – দরিদ্র কিন্তু বিলাসী।
51. কাক ভূষণ্ডি – সম্পূর্ণ ভেজা।
52. কাটনার কড়ি – উপার্জন সামান্য।
53. কায়েতের ঘরের ঢেঁকি – অপদার্থ লোক।
54. কিম্ভূতকিমার – অদ্ভুত ও কুৎসিত।
55. কাগুজে বাঘ – মিথ্যা জুজু।
56. কাঁঠালের আমসত্ত্ব – অলীক বস্তু।
57. কুমিরের সান্নিপাত – অসম্ভব ব্যাপার।
58. কূপমণ্ডুক – ঘরকুনো / সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন।
59. কেউ কেটা – সামান্য।
60. কেঁচো গণ্ডূষ – গোড়া থেকে শুরু।
61. কলির সন্ধ্যা – দৌরাত্ম্যের শুরু।
62. কূর্ম অবতার – অলস।
63. কুনো ব্যাঙ – সীমিত জ্ঞান
64. কুম্ভীরাশ্রু – লোক দেখানো কান্না/নকল সমবেদনা
65. খামকাজ – ভুলকাজ।
66. খাবি খাওয়া – ছটফট করা।
67. খুঁটে খাওয়া – ¯ সাবলম্ভি হওয়া।
68. গয়ংগচ্ছ – ঢিলেমি।
69. গোকুলের ষাঁড় – স্বেচ্ছাচারী
70. গণ্ডগ্রাম – বড়গ্রাম।
71. গোঁয়ার গোবিন্দ – কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ
72. গলগ্রহ – পরের বোঝা হয়ে থাকা
73. ঘাড়ে গর্দানে – অত্যনত্ম মোটা।
74. ঘাড়ার কামড় – দৃঢ় পণ।
75. ঘটিরাম – অপদার্থ
76. চক্ষুদান করা – চুরি করা।
77. চডুই পাখির প্রাণ – ক্ষীণজীবী লোক।
78. চতুর্ভুজ হওয়া – উৎফুল্ল হওয়া।
79. চাঁদের হাট – ধনেজনে পরিপূর্ণ সংসার।
80. চাঁদ-কপালে – ভাগ্যবান।
81. চোখের চামড়া / পর্দা – চক্ষুলজ্জা।
82. চক্ষের পুতলি – আদরের ধন।
83. চর্বিত চর্বণ – পুনরাবৃত্তি।
84. ঢাকের বাঁয়া – অপ্রয়োজনীয়।
85. চোরাবালি – প্রচ্ছন্ন আকর্ষণ
86. ছামনি নাড়া – দৃষ্টি বিনিময়।
87. ছাঁদনা তলা – বিবাহের মণ্ডপ।
88. ছক্কা-পাঞ্জা – ইতঃস্তত করা/ বড় বড় কথা বলা।
89. ছাঁদাবাঁধা – পুজোরপর বা ভোজবাড়ি থেকে ফেরার
সময় চাঁদর বা গামছায় খাবার বেঁধে নেয়া

90. জগদ্দল পাথর – গুরুভার।
91. জেলঘুঘু – যে ব্যক্তি বারবার জেল খাটে
92. ঝাঁকের কৈ – এক দলভুক্ত।
93. ঝাড়ে বংশে – সবশুদ্ধ।
94. টুপ ভুজঙ্গ – নেশায় বিভোর।
95. টেণ্ডাই মেণ্ডাই – আস্ফালন।
96. টেঁকে গোঁজা – আত্মসাৎ করা।
97. ঠাটঠমক – হাবভাব, চালচলন
98. ডুমুরের ফুল – অদর্শনীয়।
99. ডামাডোল – গোলযোগ।
100. ডাকাবুকো – দুঃসাহসী
101. ঢেঁকির কুমির – অপদার্থ।
102. ঢেঁকি অবতার – নির্বোধ লোক।
103. ঢেঁকির কচকচি – বিরক্তিকর কথা।
104. ঢাকের কাঠি – তোষামুদে।
105. ঢাকের বায়া – অপ্রয়োজনীয়।
106. ঢুলুঢুলু – তন্দ্রালুতা
107. তামার বিষ – অর্থের কুপ্রভাব।
108. নবমীর পাঁঠা – প্রাণ ভয়ে ভীত ব্যক্তি।
109. তাসের ঘর – ক্ষণস্থায়ী।
110. তেল নুন লকড়ি – মৌলিক প্রয়োজন।
111. তীর্থের কাক – প্রতীক্ষারত।
112. তুর্কি নাচন – নাজেহাল অবস্থা।
113. তুলসী বনের বাঘ – সুবেশে দুর্বৃত্ত।
114. ত্রাহি ত্রাহি – পরিত্রাণ কর বলে চিৎকার
115. তরবেতর – নানারকম
116. থাউকি বেলা – বিকালবেলা
117. দড়ি কলসি – আত্মহত্যার উপায়।
118. দোজবরে – দ্বিতীয়বার যে ছেলে বিয়ে করতে চায়।
119. দড়বড়ে – তাড়াহুড়ো
120. দবকানো – ওপরে ভার চাপানো/উপর থেকে চাপ
দেয়া
121. দশবাই চণ্ডী – অত্যনত্ম রাগী স্ত্রীলোক
122. দাঁদুড়ে – অত্যন্ত/দুর্দান্ত
123. দাতাকর্ণ – অত্যন্ত উদার ও দানশীল
124. দায়-দৈব – ছোট বড় সমস্যা
125. দেবদ্বিজ মানা – ধর্মে বিশ্বাস থাকা
126. দোপড়া – এক জায়গায় বিয়ে স্থির হওয়ার পরে
কিংবা
127. দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার – বিরাট সমারোহ
128. ধর্মের কল – সত্য।
129. ধামাধরা – তোষামোদকারী।
130. ধোপে টেকা – পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।
131. ধোপার গাধা – পরের জন্য খাটা।

132. ধর্মের ষাঁড় – যথেচ্ছাচারী।
133. ধিনিকেষ্ট – দায়িত্বপালনহীন ব্যক্তি
134. ধোঁকার টাটি – প্রতারণার উপরের আবরণ
135. ধোপার গাধা – ভারবাহী
136. ধড়িবাজ – ধূর্ত ও ফন্দিবাজ
137. ধোপার ভাঁড়ার – প্রচুর জিনিসপত্র যা ব্যবহার করা
যাবে না
138. নয়-দুয়ারি – দ্বারে দ্বারে।
139. নারদের ঢেঁকি – বিবাদের বিষয়।
140. নগদ নারায়ণ – নগদ অর্থ।
141. নিরানবক্ষইয়ের ধাক্কা – সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি, টাকা
জমানোর প্রবৃত্তি।
142. ননির পুতুল – সহজে কাতর, আদরে দুলাল।
143. নন্দভৃঙ্গী – অত্যন্ত আদুরে, অকর্মণ্য
144. ননদী ভুলী – কুকর্মের সঙ্গী

 

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬

পহেলা বৈশাখে রয়েছে

পুরাতন পোষ্ট আজ শেয়ার করলাম বির্ধমীর বাচ্চারই বৈশাখ পালন করে পহেলা বৈশাখে রয়েছে ১) হিন্দুদের ঘটপূজা ২) হিন্দুদের গণেশ পূজা ৩) হিন্দুদের সিদ্ধেশ্বরী পূজা ৪) হিন্দুদের ঘোড়ামেলা ৫) হিন্দুদের চৈত্রসংক্রান্তি পূজা- অর্চনা ৬) হিন্দুদের চড়ক বা নীল পূজা বা শিবের উপাসনা ও সংশ্লিষ্ট মেলা ৭) হিন্দুদের গম্ভীরা পূজা ৮) হিন্দুদের কুমীরের পূজা ৯) হিন্দুদের অগ্নিনৃত্য ১০) ত্রিপুরাদের বৈশুখ ১১) মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব ১২) চাকমাদের বিজু উৎসব(ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের পূজা উৎসবগুলোর সম্মিলিত নাম বৈসাবি) ১৩) হিন্দু ও বৌদ্ধদের উল্কিপূজা ১৪) মজুসি তথা অগ্নি পূজকদের নওরোজ ১৫) হিন্দুদের বউমেলা ১৬) হিন্দুদের মঙ্গলযাত্রা ১৭) হিন্দুদের সূর্য পূজা দেখা যাচ্ছে, পহেলা বৈশাখে কাফিরদের বিভিন্ন পূজা ও অনুষ্ঠান বিদ্যমান, কিন্তু মুসলমানদের এই দিনে কোন অনুষ্ঠান নাই। তাহলে মুসলমান কেন শিরকী অনুষ্ঠান বর্জন করবে না??? কিন্তু মুত্রমনারা যেভাবে ব্রেইন ওয়াশ করেছে,তাতে বাঙ্গালী মুসলিমরা ধোকা খাবেই। এছাড়া যান্ত্রিক জীবনে অভস্ত মানুষেরা হাসফাশ করে বেচে থাকে, সুস্ত্য বিনোদনের অবস্থা নেই,কেউ ব্যবস্থাও নেয়নি। তাই কিছুটা ভিন্নতা আনতে অনেকে বৈশাখের অনুষ্ঠানে ছুটে যায়,যদিও তারা এটার মূল মর্ম বিশ্বাস করেনা। বোধহয় একটি বড় অংশই এরকম। সমাজ, রাষ্ট্রে যখন জবর দস্তিমূলক ভাবে কুফর জেকে বসে, তখন মুমিনের চিন্তা ভাবনাও অনেক সময় গুলিয়ে যায়। যথাযথ পরিবেশ না পেলে ঈমানের স্তর বহু নীচে নেমে যায়। সকল কুফরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারলে মুসলিম উপাদানগত ভাবেই মানব সমাজের তলানিতে অবস্থান করবে,কিন্তু তারা তা উপলব্ধীও করতে সক্ষম হবেনা। তারা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে কিন্তু তা কবুল হবেনা। তারা নিজেদের ইবাদতের মাধ্যমে প্রার্থনা করে ক্লান্ত হয়ে যাবে আর আল্লাহকে দোষারোপ করতে থাকবে,কিন্তু ভেবে দেখার অবকাশ পাবে না যে, তারা একই সাথে আল্লাহ এবং #শয়তানকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। আর এখানেই মুত্রমনাদের সাফল্য। তবে বাস্তবতা হল, মুত্রমনারাই ধ্বংস হবে, আল্লাহ এমন মুমিনদেরকে বর্ণচোরাদের মাঝ থেকে বের করে অানবেন, যারা আল্লাহকে অধিক ভয় করে এবং যারা কুফরের ব্যাপারে ব্যপক প্রতিরোধী,ব্যপক প্রবল। { Wait & See }

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ছহীহ বুখারীতে কি কোন যঈফ হাদীছ রয়েছে?

প্রশ্ন (৪০/২৪০) : ছহীহ বুখারীতে কি কোন যঈফ হাদীছ রয়েছে? শায়খ আলবানী (রহঃ) ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছকে ত্রুটিযুক্ত বা দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। -হুমায়ূন, বংশাল, ঢাকা। উত্তর : কেবল শায়খ আলবানী নন প্রথম যুগের বেশ কিছু মুহাদ্দিছ এ বিষয়ে ছহীহ বুখারীর কতিপয় হাদীছ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ইমাম দারাকুৎনী (৩০৬-৩৮৫ হিঃ) ছহীহ বুখারীর ৭৮টি এবং বুখারী ও মুসলিমের মিলিতভাবে ৩২টি হাদীছের উপর সমালোচনা করেছেন। এসব সমালোচনার উত্তরে বিভিন্ন গ্রন্থ লিপিবদ্ধ হয়েছে। ছহীহ বুখারীর ভাষ্যকারগণের প্রত্যেকেই সংক্ষেপে বা বিস্তারিতভাবে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ভাষ্যকার হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২হিঃ) ফাৎহুল বারীর ভূমিকা ‘হাদীয়ুস সারী’তে এইসব সমালোচনার একটি একটি করে বিস্তারিতভাবে জবাব দিয়েছেন (হাদীয়ুস সারী মুক্বাদ্দামা ফাৎহুল বারী ৮ম অনুচ্ছেদ ৩৬৪-৪০২) । আলোচনার শেষে উপসংহারে তিনি বলেন, সমালোচিত প্রত্যেকটি হাদীছই দোষযুক্ত নয়। বরং অধিকাংশের জওয়াব পরিষ্কার ও দোষমুক্ত। কোন কোনটির জওয়াব গ্রহণযোগ্য এবং খুবই সামান্য কিছু রয়েছে যা না বুঝে তাঁর উপর চাপানো হয়েছে। আমি প্রত্যেকটি হাদীছের শেষে এগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেশ করেছি’ (মুক্বাদ্দামা ৪০২ পৃঃ) । তিরমিযীর ভাষ্যকার শায়খ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের বলেন, ‘ছহীহ বুখারীর যে সব হাদীছ সমালোচিত হয়েছে তার অর্থ হ’ল সেগুলো ইমাম বুখারীর শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেনি। তবে হাদীছটি স্বীয় অবস্থানে ছহীহ। তিনি বলেন, মুহাক্কিক ওলামায়ে হাদীছ-এর নিকটে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের প্রতিটি হাদীছই ছহীহ। এ দু’টি গ্রন্থের কোন একটি হাদীছ দুর্বলতা বা ত্রুটিযুক্ত নয়। ইমাম দারাকুৎনীসহ মুহাদ্দিছগণের কেউ কেউ যে সমালোচনা করেছেন তার অর্থ হ’ল তাঁদের নিকট সমালোচিত হাদীছসমূহ ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারেনি। তবে সাধারণভাবে হাদীছগুলির বিশুদ্ধতা নিয়ে কেউই মতভেদ করেননি (আল বা‘এছুল হাছীছ, তাহকীক : আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের, পৃঃ ৩৩-৩৪) । শায়খ আলবানীও উছূলে হাদীছের আলোকে ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছের সমালোচনা করেছেন তাঁর ‘সিলসিলা যঈফাহ’ গ্রন্থে। উক্ত সমালোচনা হাদীছবিরোধী বা হাদীছে সন্দেহবাদীদের মত নয়। বরং একজন সূক্ষ্মদর্শী মুহাদ্দিছ বিদ্বান হিসাবে। যেমন ইতিপূর্বে অনেক মুহাদ্দিছ করেছেন। যদি এতে তিনি ভুল করে থাকেন তাহ’লেও নেকী পাবেন। আর ঠিক করে থাকলে দ্বিগুণ নেকী পাবেন। তবে তিনি যেসব হাদীছকে যঈফ বলেছেন, সেব্যাপারে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেননা দুর্বল রাবীদের বর্ণনা গ্রহণ করার ব্যাপারে তাঁর কতগুলি স্পষ্ট নীতি ছিল। যেমন : (১) দুর্বল রাবীদের সকল বর্ণনাই দুর্বল নয়। (২) উক্ত বিষয়ে অন্য কোন হাদীছ না পাওয়া এবং হাদীছটি বিধানগত ও আক্বীদা বিষয়ক না হওয়া। বরং হৃদয় গলানো ও ফযীলত বিষয়ে হওয়া। (৩) সনদে বা মতনের কোন ত্রুটি দূর করার জন্য বা কোন বক্তব্যের অধিক ব্যাখ্যা দানের জন্য কিংবা শ্রুত বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সহযোগী হিসাবে ( ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺎﺕ ) কোন হাদীছ আনা’ (ড. মুহাম্মাদ হামদী আবু আবদাহ, জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ে শরী‘আ অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে পেশকৃত গবেষণাপত্র, ৩৪ পৃঃ) । (সংগ্রহীত)

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

মা

بسم الله الرحمن الرحيم "মা" কুরআনের ভাষায় - ووصينا الانسان بوالديه احسانا )আনকাবূত -৮( "মা" কথাটি হৃদয়বীণার সবগুলো তারে টোকা দেয়ার সামর্থ্য রাখে।"মা" যিনি হৃদয়ের গভীরের সর্বোচ্চ স্রোত।একটি শর্তহীন ভালবাসার নাম। "মা" হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী,যিনি গর্ভধারণ,সন্তানের জন্ম,সন্তানকে লালন-পালন,উত্তমচরিত্র গঠন,সর্বোপরি অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম। "মা" এমন একটি শব্দ,যে শব্দটি এক সর্গীয় পূণ্যতায় হৃদয়-মনকে অমিয় সুধায় প্লাবিত করে।বাংলা ভাষায় প্রথম শব্দ "ওম"।যার প্রচলিত রুপ "মা"।'ম' ধ্বনিটি সবচেয়ে সহজবোধ্য।পৃথিবীতে যতগুলো প্রসিদ্ধ ভাষা রয়েছে প্রায় সব ভাষায় 'ম' ধ্বনিটি বিদ্যমান।যেমন- ইংরেজীতে Mother, আরবীতে উম্মুন,হিন্দী আম্মা,উর্দূ আম্মি ইত্যাদি। "মা"যদি কল্যাণকামী না হতেন তবে মানবসভ্যতার চাকা শ্লথ হয়ে যেতো।সন্তানের প্রতি মায়ের এই তীব্র মমতার ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান বলে, মায়ের দুধে এক প্রকার রাসায়নিক যৌগিক পদার্থ আছে,যা সন্তানের দেহে প্রবেশ করলে মা ও সন্তানের মধ্যে সৌহার্দ্যের নিবিড় বন্ধন সৃস্টি হয়।মায়ের ভালবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় সম্ভব নয়।ইসলাম ধর্মে মাকে দেয়া হয়েছে অতুলনীয় মর্য্দা।হযরত আসমা বিনতে আবু বকর )রা.( থেকে বর্ণিত,বুখারী শরীফে সংকলিত হাদীসে "মা" মুশরিকা হলেও তাঁর সাথে ভালো ব্যাবহার করতে রাসূল )স.( নির্দেশ দিয়েছেন। মাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই।মায়ের প্রতি ভালবাসা সর্বমুহূর্তের।তবুও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার "মা" দিবস পালিত হয়ে আসছে।আবু হুরায়রা )রা.( থেকে বর্ণিত বুখারী শরীফে চয়িত আনুগত্য বেশি পাওয়ার হকদার হিসেবে ক্রমান্বয়ে তিনবার রাসূল )স.( মা'র কথা বলেছেন।"মা" ছোট্ট শিশুর প্রথম ভালবাসা।মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে জন্মের পরেও তিল তিল করে নাড়িছেড়া ধনকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন "মা"। মায়ের হৃদয়ের প্রবাহমান রক্তকণিকায় রয়েছে সন্তানের জন্য ভালবাসা।"মা" মা-ই,তাঁর কোনো ভিন্নরুপ নেই - জন গে। প্রেসিডেন্ট,উচ্চপদস্­থ কর্মকর্তা,ডাক্তার,ইঞ­্জিনিয়ারবা নিচুতলার যে কেউ থাকুক সন্তানের কাছে তাঁর পরিচয় তিনি গর্ভধারিণী "মা"।নবী করীম )স.( ফাতেমা )রা.( কে মা বলে ডাকতেন এবং পরম শ্রদ্ধায় দুধ মা হালিমাকে চাদর বিছিয়ে দিতেন।একমাত্র মায়ের জন্যই অসুবিধার সম্মুখীন হলে ইসলাম নামাজ ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে।মা'র দিকে অনুগ্রহের নজরে তাকালে প্রতিটি দৃস্টির বিনিময়ে কবুল হজ্বের সওয়াব পাওয়া যায়।একজন মা-ই তাঁর সন্তানের পক্ষ থেকে উত্তম আচরণ, সম্মান ও মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। "This person is never poor,who has mother" - আব্রাহাম লিংকন। এছাড়া মা সম্পর্কে নেপোলিয়ন এর বিখ্যাত উক্তি রয়েছে।প্রাণের প্রথম স্পন্দন থেকেই সন্তানের সঙ্গে মায়ের দেহ-মন-প্রাণ-আবেগ, অনুভূতির সম্পর্ক একসূত্রে গ্রথিত হয়ে যায়।সন্তানের জন্য মায়ের আশীর্বাদের স্নেহঝর্ণা প্রবাহিত হতেই থাকে। বর্তমান সমাজে সন্তান দ্বারা মা নির্যাতন,হত্যারমত লোমহর্ষক ঘটনা ও বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধি ঘটছে।মায়ের প্রতি সঠিক হক আদায় মায়ের অধিকার নিশ্চিতকরণে আশাতীত সুফল বয়ে আনতে পারে।আল্লাহর বাণী- واخفض لهما خناح الذل من الرحمة وقل رب ارحمهما كما ربياني صغيرا বনী ইসরাইল-২৪ আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন- মায়ের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সন্তান যেন "উহ" শব্দটিও না বলে। মনের মাঝে সর্বোচ্চ আসনটি মায়ের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং বার্ধক্যের একাকীত্বে সন্তানেরই উচিত মাকে সঙ্গ দেয়া।সর্বদা তাঁর খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে।কবির ভাষায়- "মায়ের আঁচল নিয়ে তোমরা যারা আছো মা'র স্নেহের ছায়ায় বুঝবে কি করে বলো মা ছাড়া এ জীবন কত অসহায়,,,,,,,

মা

=মা= আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তাদের মাতা-পিতার ব্যাপারে উত্তম আচরণের তাকিদ প্রদান করেছি। কেননা তার মা কষ্টের পর কষ্ট স্বীকার করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে এবং দুই বছর পর সে বুকের দুধ খাওয়া ছেড়েছে। তুমি তোমার নিজের সৃষ্টির জন্য আমার শোকর আদায় করো এবং তোমার লালন-পালনের জন্য পিতা-মাতারও কৃতজ্ঞতা আদায় করো।’ (সূরা লুকমান, আয়াত নং-১৪)। পবিত্র কুরআন মজিদের এ বর্ণনাভঙ্গিতে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, মা সেবা, ভালবাসা, আনুগত্য, ভাল আচরণ ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার বেশি অধিকারী। সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একজন সাহাবী নবী করিম সা: এর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন­ আমার কাছে খেদমত পাবার সবচেয়ে বেশি হকদার কে? রাসূলে করিম সা: বললেন­ তোমার মা। -তারপর? -তোমার মা। -তারপর? -তোমার মা। -তারপর? -তোমার পিতা এবং তারপর পর্যায়ক্রমে তোমার আত্মীয়-স্বজন।’(বুখারী, মুসলিম) একবার এক ব্যক্তি রাসূলে করিম সা:-এর কাছে হাজির হয়ে অভিযোগ করল­ হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা খারাপ মেজাজের মানুষ। প্রিয় নবী সা: বললেন­ ‘নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহতভাবে যখন সে তোমাকে পেটে ধারণ করে ঘুরে বেড়িয়েছে, তখনতো সে খারাপ মেজাজের ছিল না।’ -হজরত! আমি সত্য বলছি সে খারাপ মেজাজের।’ -তোমার খাতিরে সে যখন রাতের পর রাত জাগত এবং নিজের দুধ পান করাত, সে সময়তো সে খারাপ মেজাজের ছিল না।’ -আমি আমার মায়ের সেসব কাজের প্রতিদান দিয়ে ফেলেছি।’ -সত্যিই কি তুমি তার প্রতিদান দিয়ে ফেলেছ?’ -আমি আমার মাকে কাঁধে চড়িয়ে তাঁকে হজ করিয়েছি।’ -তুমি কি তাঁর সেই কষ্টের বদলা বা প্রতিদান দিতে পার, যা তোমার ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সে স্বীকার করেছে?’ একবার হজরত জাহিমাহ রা: রাসূলে করিম সা:-এর খিদমতে হাজির হয়ে বললেন­ হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করাই আমার ইচ্ছা। এখন এ ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণের জন্য আপনার কাছে এসেছি, বলুন এ ব্যাপারে আপনার নির্দেশ কি? -তোমার মা কী জীবিত আছেন? -জ্বী, জীবিত আছেন। -তাহলে তুমি ফিরে যাও এবং তার খিদমতেই লেগে থাক। কেননা তার পায়ের নিচেই জান্নাত। (ইবনে মাযাহ, নাসায়ি শরিফ)। মায়ের খেদমতের গুরুত্ব সম্পর্কে সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন­ ‘আল্লাহর নৈকট্য এবং সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মায়ের সাথে উত্তম আচরণের চেয়ে বড় আমল আমার জানা নেই।’ মা যদি অমুসলিমও হয় তবুও তার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং তার সম্মান ও খেদমত করতে হবে। হজরত আসমা রা: বলেন­ ‘রাসূল সা:-এর জীবিতাবস্খায় আমার মা মুশরিকা থাকাকালীন আমার কাছে আসে। আমি রাসূল সা:-এর খিদমতে আরজ করলাম­ -আমার মা আমার কাছে এসেছে অথচ সে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন। সে ইসলামকে ঘৃণা করে, এমতাবস্খায়ও কী আমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার করব? -অবশ্যই তুমি তোমার মায়ের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে থাক।’ (সহিহ বুখারি শরিফ)। পৃথিবীতে মায়ের খিদমত না করলে কিংবা মায়ের প্রতি কোনোরূপ খারাপ আচরণ করলে, মাকে কষ্ট ও দু:খ দিলে সন্তান যত ইবাদত-বন্দেগি আর নেকের কাজই করুক না কেন, তার পক্ষে জান্নাত লাভ করা কখনোই সম্ভব হতে পারে না। পরিশেষে বলা যায়, মায়ের সন্তুষ্টি ও তার মমতাপূর্ণ অন্তরের দোয়া দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। পক্ষান্তরে দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ভাগ্য হলো সন্তানের প্রতি মায়ের দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের বদদোয়া।

মা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রচনাঃ মা "আমি মানুষকে এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছি যে তারা যেন মাতা পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করে।তার মা কষ্ট করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছিল এবং কষ্ট করেই প্রসব করেছিল।তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান করাতে ত্রিশমাস লেগেছে....।"(সুরা আহকাফ ১৫) সুরা লোকমান ১৪আয়াতে বলা হয়েছে_"আর প্রকৃতপক্ষে আমি মানুষকে মাতা পিতার হক চিনে নেবার জন্য নিজেই তাকিদ করেছি , তার মা দূর্বলতা সহ্য করে তাকে নিজের গর্ভে ধারণ করে এবং দু বছর লাগে তার দুধ ছাড়াতে, আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং নিজ মাতা পিতার প্রতিও।আমার দিকেই তোমাকে ফিরে আসতে হবে।" মায়ের সেবার মর্যদাঃ একদা রাসুল সাঃ জান্নাতে প্রবেশ করে কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনেন , ফিরিশতা থেকে জানেন এটা হারিছা ইবনে নুমানের তিলাওয়াত।তখন রাসুল সাঃ বলেন , পূণ্যের প্রতিদান এমনই হয়,হারিছা ইবনে নুমান সকল মানুষের চেয়ে মায়ের সাথে সদাচরণকারী।(শরহে সুন্নাহ) মায়ের সেবাই জিহাদঃ মোআবিয়া রা বলেন আমার পিতা জামিমা রাসুল সাঃ খেদমতে হাজির হয়ে জিহাদে যাওয়ার পরামর্শ চান ,তখন রাসুল সাঃ বলেন,তোমার ঘরে মা আছে? তিনি বললেন হ্যাঁ।রাসুল সাঃ বললেন মায়ের সেবাকে অবলম্বন কর,জান্নাত তার পায়ের কাছে।(আহমাদ) মায়ের মর্যদা বেশীঃ একদা এক লোক রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞেস করল আমার নিকট সবচেয়ে সদাচরণ পাওয়ার উপযোগী কে? তিনি বললেন,তোমার মা।আবার জিজ্ঞেস করল তারপর কে ? তিনি বললেন তোমার মা ।আবার বলল ,তারপর? তিনি বললেন,তোমার মা ।লোকটি আবার জিজ্ঞেস করল তারপর ? নবী সাঃ বললেন তোমার বাবা । (বুখারী) মায়ের অবাধ্যতার পরিণামঃ রাসুল সাঃ বলেন, উপকার করে খোঁটাদানকারী ,মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদ্যপায়ী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।(নাসায়ী) রাসুল সাঃএর অভিশাপঃ রাসুল সাঃ বলেন,তার নাসিকা ধুলায় মলিন হোক ,এভাবে তিনবার বললেন ।সাহাবাগণ বললেন কে সে? রাসুল সাঃ বলেন যে মা বাবাকে অথবা একজনকে বার্ধক্যে পেল অথচ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলনা।(মুসলিম) মা ই জান্নাত জাহান্নামঃ একদা এক ব্যক্তি বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাঃ সন্তানের উপর মাতাপিতার হক কি ? রাসুল সাঃ বলেন তারা দুজনই তোমার জান্নাত জাহান্নাম ।(ইবনে মাজাহ) মায়ের দিকে নেক দৃষ্টিঃ রাসুল সাঃ বলেন কোন সদাচারী সন্তান নেক দৃষ্টিতে নিজের মাতাপিতার প্রতি তাকায় আল্লাহ তার প্রতিটি দৃষ্টির বিণিময় একটি কবুল (নফল) হজ্বের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন...(মিশকাত) মায়ের অবাধ্যতার শাস্তিঃ রাসুল সাঃ বলেন, প্রত্যেক পাপ আল্লাহ যতটুকু ইচ্ছা মাফ করে দেন কিন্তু মাতাপিতার অবাধ্যতার শাস্তি দুনিয়াতে মৃত্যূর আগেই প্রদান করেন। (মিশকাত) পরিশেষে বলবো, মা ই আমার জান্নাত।আল্লাহ মালিক ,পৃথিবীর সব সন্তানকে মায়ের কদর বুঝার পাশাপাশি মায়ের খিদমাতের মাধ্যমে জান্নাতের উত্তম হকদার হ ওয়ার তৌফিকদান করুন ।আমীন ইয়া রাব্বে কারীম ।