ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ) লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ) লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

মাযহাবীদের কথা মত মাযহাবী ইমাম জারজ

মাযহাবীদের কথা মত মাযহাবী ইমাম আবু হানিফা রহঃ জারজ

বিঃদ্রঃ নিচের চিন্হ করা কথা কিন্তু আমার না কথাটা একটা হানাফি পেজের এডমিন পেনেলে থেকে বলা



/// পেজের কথার কপি :: আমরা শুধু জারজ বলেছি তাও বেটিক বলেনি ।কেননা যে কোন মাযহাব মানবে না সে জারজ হতে বাধ্য ।

পেজ :মাযহাব ও আহলে হাদিস ///



উপরের চিন্হত অংশ শেষ এখন আমার কথা #আমি #ইমামদের সম্মান করি এখন বলি উক্ত হানাফি মাযহাবের ব্যক্তির (Admin) কথা মত #তাদের মাযহাব যার নামে তার অবস্থা কি ??

ঐ ব্যক্তি (ইমাম) তথা মাযহাবের ইমাম তো মাযহাব মাননি এবং তিনি মাযহাব তৈরি করে যাননি

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আয়াত মাক্কী আর সূরা ফাতিহা পড়ার নির্দেশ মাদানী (মাযহাবী হানাফি খুরা যক্তি)

আয়াত মাক্কী আর সূরা ফাতিহা পড়ার নির্দেশ মাদানী (মাযহাবী হানাফি খুরা যক্তি) সালাতে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া হারাম নাকি ফরজ ??? "যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়,তোমরা তা মণযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো যাতে তোমাদের উপর রহম করা হয় "(আরাফ- আয়াতঃ২০৪) এই আয়াতের সংগে সালাতে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া বা না পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ এ আয়াত মক্কায় নাজিল হয়েছে, আর নামাজে সুরা ফাতেহা পড়ার নির্দেশ হিযরতের পর রাসুল(সঃ) দিয়েছেন মদিনায়। [ সূরা: Al-A'raaf (The Heights) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৭ আয়াত সংখ্যা: ২০৬ 204 . ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧﺼِﺘُﻮﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।] আবু হুরায়রা(রাঃ) ৭ম হিজরীতে মদিনায় মুসলমান হয়েছেন, আর তাকেই সর্ব প্রথম মদিনার ওলীতে গোলিতে এ কথা ঘোষণা দেয়ার জন্নে রাসুল (সাঃ) আদেশ করেন, যে ব্যক্তি সালাতে সুরা ফাতেহা পড়েনা তার নামাজ হবে না। (বায়হাকী-খন্ডঃ ২- পৃস্টাঃ৩৭৫) সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ঐ সময় ১ ব্যক্তি আবু হুরায়রার হাত ধরে বলেনঃ আমরা যদি ইমামের পিছনে থাকি তা ও কি পড়া লাগবে? তিনি বলেন তাও.… রাসুল (সাঃ) বলেনঃ আমি যখন জোড়ে কেরাত পড়ি তখন তোমরা সুরা ফাতেহা ছাড়া আর কিছুই পড়োনা। (নাসাঈ,সনদ সহিহ) এই কথার সাক্ষি যিনি দিলেন তিনি" উবাদা " তিনি ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়তেন (কিতাবুল কেরাত- বায়হাকি- ২য় খন্ড-১৬৮ পৃষ্টা)..… উপরের আয়াত নাজিল হওয়ার কারনঃ রাসুল (সাঃ) মক্কায় যখন সাধারণ ভাবে কাফেরদের কে কুরআন শুনাচ্ছিলেন তখন কাফেররা একে অপরকে বলেছিলো তোমরা তা শুননা, চিল্লা পাল্লা কর। তাহলে তোমরা জয়ি হবে,তখন এই উপড়ের আয়াত নাজিল হল।যে,রাসুল(সাঃ) যখন কুরআন পড়ে তোমরা ইহুদিরা তখন চুপ থাকো ও মনোযোগ সহ তা শুনতে থাকো হয়তো তোমাদের উপর রহম করা হবে। বিশ্বাস না হলে দেখুন সুরাঃ হামিম আস- সিজদাহর ২৬নং আয়াতে.… [ সূরা: Fussilat (হা মিম সাজদাহ) (Explained in detail) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৪১ আয়াত সংখ্যা: ৫৪ 26 . ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺴْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟِﻬَٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﻭَﺍﻟْﻐَﻮْﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻐْﻠِﺒُﻮﻥَ আর কাফেররা বলে, তোমরা এ কোরআন শ্রবণ করো না এবং এর আবৃত্তিতে হঞ্জগোল সৃষ্টি কর, যাতে তোমরা জয়ী হও।] এইটাকে হানাফিরা চালিয়ে দেয় ইমামের পিছনে মুসল্লীরা চুপ থাকবে ও বলে হানাফিরা কি প্রমান দিতে পারবে যে আরাফের ঐ আয়াতে মাদানী অর্থাত্‍ রাসূলের হিজরতের পর নাজিল হয়েছে ????? আমাদের দলিল হল কুরআন…

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত হয়েছেঃ

ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত হয়েছেঃ ১. কাদিয়ানী – এরা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নামে এক দাজ্জাল যে মিথ্যা নবুওতীর দাবী করেছিলো তার উম্মত। এরা নিজেদেরকে “আহমদীয়া” নামে পরিচয় দেয়। এরা পরিষ্কার কাফের ও মুরতাদ। ২. মওদুদী জামাত – এরা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদীর অনুসারী। এদের সংগঠনের নাম জামায়েতে ইসলামী। ইসলাম ধর্মের রাজনৈতিক অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে তারা গণতন্ত্রের শিরকী কুফুরীকে জায়েজ বানিয়েছে, হরতালকে জিহাদের সমান বানিয়েছে, নির্বাচনকে ওহুদ-বদরের ময়দান বানিয়েছে। আর এই তরীকায় মারামারি করে কেউ মরে গেলে তারা শহীদ হিসেবে সার্টিফিকেট দেয় আর বড় পুণ্যের কাজ বলে মনে করে। ক্ষমতায় যাবার জন্য যেকোনো সময় তারা তাদের নীতি-গতি পরিবর্তন করে। একবার নারী নেতৃত্ব হারাম অনৈসলামিক ফতোয়া দেয়, আবার ক্ষমতায় যাবার জন্য হুদায়বিয়ার চুক্তির দোহাই দিয়ে জায়েজ বলে তর্ক করে। ৩. বেরেলভী – এরা আহমাদ রেজা খান বেরেলবীর অনুসারী। এরা নিজেদেরকে “রিজভী”,“বেরেলব ী” বা কখনো “সুন্নী”নামে পরিচয় দেয়, যদিও সুন্নতের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কে নেই। তাদের কাছে ধর্ম মানেই হলো কবর, মাজার আর পীর পূজা। এদের শিরকি কুফুরী অনেক ক্ষেত্রে হিন্দুদের মতোই। মাযারে সিজদা দেওয়া, পীরকে খুশি করার জন্য পীরের পায়ে খাসি- মুরগি উতসর্গ করা, বিপদে পড়ে আল্লাহকে না ডেকে পীর-বুজুর্গদেরক ে ডাকা, বানোয়াট শীরকি কাহিনী দিয়ে ওয়াজ করা...এমন বহু অপকর্মের সাথে জড়িত এই বিদাতী সূফীরা। দেওয়ানবাগি, কুতুববাগী,রাজার বাগি, সাইদাবাদী,আটরশী , মাইজভান্ডারি,মা নিকগঞ্জ...এদের প্রধান প্রধান পীরের তরিকাগুলোর নাম। ৪. দেওবন্দী – এরা দেওবন্দ মাদ্রাসা ও তার আলেমদের অন্ধ ভক্ত। তারা মনে করে দেওবন্দ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা যদিও ভারতের বাইরে এই মাদ্রাসাকে মানুষ চিনেইনা, এইখানে পড়তে আসাতো দূরের কথা। এরা মক্কা-মদীনার আলেমদের সাথে সাথে উপরে উপরে ভাব দেখায়, কিন্তু অন্তরে তাদের সাথে দুশমনি রাখে ও তাদের নামে মিথ্যা ও বাজে কথা প্রচার করে বেড়ায়। দেওবন্দী আলেমদের মাঝে অনেক শিরকি কুফুরী লক্ষ্য করা যায় যেগুলো বেরেলবীদের মাঝেও দেখা যায়। তবে পার্থক্য হলো – দেওবন্দীদের শিরকি কুফুরীগুলো অনেকটা গোপন, অধিকাংশ মানুষই জানেই না। ৫. তাবলিগ জামাত – মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের স্বপ্নে প্রাপ্ত ধর্ম তাবলিগ জামাত নিজেদের মনমতো দাওয়াত ও তাবলিগের একটা জামাত যাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলাম নাম দিয়ে দেওবন্দী মতবাদ প্রচার করে যাওয়া। এরা কুরান হাদীস বাদ দিয়ে ফাযায়েল আমাল নামক একটা ভেজালের কেতাব পড়ে ও আমল করে আমাদের দেশে অনেক বেদাত ও ভ্রান্ত মতবাদের মূল উৎস এই ভেজাল আমল।___________ _ ______________ __ পরিশেষে, এই ৫টা দলই নিজেদেরকে হানাফী হওয়ার দাবী করে কিন্তু আসলে এরা কেউই প্রকৃত হানাফী নয়। কারণ ইমাম আবু হানীফা ছিলেন খালেস কুরান ও সুন্নতের অনুসারী – আর এরা হচ্ছে নিজদের ফেরকার অন্ধ অনুসারী। এইজন্য হানাফী নামে ৫টা দলে ভাগ হয়েছে – এবং এক দল আরেক দলের সাথে চরম বিরোধ। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত এই ৫টা ভ্রান্ত দল থেকেই দূরে থাকা। আর নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী কুরান ও সুন্নতের সত্যিকারের আলেমদের কাছ থেকে ইলম শিক্ষা করে সেই অনুযায়ী জীবন গঠন করা। আল্লাহ আমাদের তোওফিক দান করুন, আমীন। —

ওলীপুরীর মুজতাহিদ হওয়ার শর্তঃ ইমাম আবু হানিফা রঃ এর অবস্থান

ওলীপুরীর মুজতাহিদ হওয়ার শর্তঃ . ওলীপুরী মুজতাহিদ হওয়ার 1ম শর্ত হিসেবে বলেন, মুজতাহিদ হতে হলে উসুলে তাফসীর উসুলে ফিকাহর বিষয় জানার সাথে সাথে ত্রিশ পারা কুরআনের ব্যাখ্যা রাসুলের রেখে যাওয়া দশ লক্ষ হাদীস সনদ মতন এবং ইখতেলাফ, রিজাল শাস্ত্র কন্ঠস্ত থাকতে হবে। এটি হল মুজতাহিদ হওয়ার প্রথম ধাপ। . উনার এই শর্ত মতে আসুন ইমাম আবু হানিফার অবস্থান লক্ষ্য করিঃ * ইমাম নাসাঈ বলেন- ইমাম আবু হানিফ. সামান্য কটি হাদীস বর্ণনায় প্রচুর ভুল করেছেন। (সিলসিলা 1ম খন্ড-366)। . * ইমাম ইবনে আদী বলেন- আবু হানিফা যত হাদীস বর্ণনা করেছেন তার মধ্যে মাত্র 19টি হাদীস বিশুদ্ধ ছিল। (সিলসিলা 1ম খন্ড-466)। . * ইবনে খালদুন বলেন- ইমাম আবু হানিফা বর্ণিত হাদীস সংখ্যা 17টি পর্যন্ত। (তারিখে ইবনে খালদুন 444 পৃঃ সিরাতে নুমান পৃঃ 102) . * ইমাম মুহাম্মাদ তাঁর উস্তাদ ইমাম আবু হানিফা থেকে নিজে মুয়াত্তা মুহাম্মাদে মাত্র 13টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। (আত্তালীকুন মুমাজ্জাদ আলা মুয়াত্তা মুহাম্মাদ এর ভূমিকা 39পৃঃ) . * বিখ্যাত হানাফী আলেম আব্দুল হাই লাখনৌভী বলেন: ইমাম ইমাম আবু হানিফার বর্ণিত হাদীস সংখ্যা 100 এর বেশী হবে না, বরং 200 (উমদাতুর রিআয়্যাহ 35 পৃঃ) . * ইমাম আবু হানিফা এর কম হাদীস বর্ণনার কারণ হল- হাদীস বর্ণনার শর্তাবলীর কড়া কড়ি (সিরাতে নুমান পৃঃ-103) . * ইবনে খালদুন, ইমাম আবু হানিফার কম হাদীস বর্ণনার কারণ হিসেবে বলেন: আর সহীহ হাদীস যখন বিবেক বিরোধী হোত তখন ওটাকে তাঁর যয়ীফ বলার কড়াকড়ি করার কারণে। (তারিখে ইবনে খালদুন 445 পৃঃ) . আর যাই হোক ইমাম আবু হানিফার দশলক্ষ হাদীস মুখস্ত ছিল না একথা সত্য। **** উপরে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক ইমাম আবু হানিফা কি মুজতাহিদ ছিলেন? আরো পড়ুন

Click This Link আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ ►ইমাম দারাকুতনী (রহঃ)

Click This Link নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ

Click This Link ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদিস শুনেছে যে চার জন সাহাবী (রাঃ) থেকে ১।আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রাঃ) থেকে

Click This Link স্বয়ং ইমাম আবু হানিফাহ-ই হাদীসে তাঁর দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।তিনি নিজেই তা স্বীকারও করেছেন এবং বিশুদ্ধ সূত্রে তা বর্ণিত হয়ে সঙ্কলিতও হয়েছে।

Click This Link ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।

Click This Link ইমাম আবু হানিফা )রহ(-এর তাদীলের পর্যালোচনা

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ

►ইমাম দারাকুতনী (রহঃ) , ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ) থেকে সর্বমোট ১৪ টি হাদীছ নিয়ে এসেছেন তার সুনান কিতাবে। ► হাদীছ নংঃ ২৯৮, ৪১৩, ৪১৪, ৫০৩, ৬২২, ১২৩৭, ১৩৭৭, ৩০১৪, ৩০১৫, ৩৪৫৮, ৩৮৪৭, ৪৪৭৭, ৪৫১০, ৪৭৯৪। ► তাহকীকঃ মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আল-সুরা উক্ত হাদীছগুলির মধ্যে ৪১৩, ৫০৩, ৬২২, ১৩৭৭ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৩০১৪ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৩৮৪৭, ৪৪৭৭ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৪৫১০ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৪৭৯৪ নং হাদীছগুলিকে যঈফ বলেছেন। (দেখুন মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আল-সুরা তাহকীক দারাকুতনী, দার আআল-কুতুব আল-ইলমিয়াহ থেকে প্রকাশ)

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ

নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ।

324 - ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﺳَﻌِﻴﺪٍ، ﺛﻨﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺗَﻮْﺑَﺔَ، ﻋَﻦْ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻭْﺯَﺍﻋِﻲِّ، ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻤَّﺎ ﻣَﺎﺕَ ﺃَﺑُﻮ ﺣَﻨِﻴﻔَﺔَ، ﻗَﺎﻝَ: » ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻨْﻘُﺾُ ﻋُﺮَﻯ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﻋُﺮْﻭَﺓً ﻋُﺮْﻭَﺓً »

ইমাম আবূ হানীফার মৃত্যুর সংবাদ শুনলেন ইমাম আওযায়ী। শুনে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ। আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে ইসলামের আরও বহু সর্বনাশ হত। (আল-সুন্নাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ, হাদীস নং ৩২৪)

বর্ণনাকীদের পরিচিতিঃ

(১) ইবরাহীম বিন সাঈদ ( ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﺳَﻌِﻴﺪٍ)

  • ইমাম আবী হাতিম এনাকে সুদুক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। (জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ২৯৪)


  • ইমাম ইবন হিব্বান তাকে ‘আল-সিকাহ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছন। (রাবী নং ১২৩৪৩)


  • ইমাম নাসাঈ এনাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহজীবুল তাহজীব, রাবী নং ২১৮)


  • আবূ বাকর আল- খাতীব বলেন, ইনি সিকাহ হিসাবে সাব্যস্ত। (মিজানুল ইহতিদাল, রাবী নং ৯৯)


(২) আবূ তাওবা (ﺃَﺑُﻮ ﺗَﻮْﺑَﺔَ)

  • আবূ হাতিম বলেন, সিকাহ এবং হুজ্জাত। (সিয়ারু আলাম আল-নুবুলা, রাবী নং ২৩৫; জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ৩/৪১৭)


  • ইমাম নাসাঈ বলেন, তার মধ্যে সমস্যা নেই। (সিয়ারু আলাম আল-নুবুলা, রাবী নং ২৩৫; তাহজীবুল কামাল, রাবী নং ৪০৯)


  • ফাসাওয়ী বলেন, তার মধ্যে কোন সমস্যা নেই। (ঐ)


(৩) সালমাহ ইবনু কুলসুম ( ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ)

  • আবু জুরআত দিমাসকী বলেন, তিনি সিকাহ। (তারীখ দিমাসকী ৪৪৬; তাহজীবুল কামাল, রাবী নং ২৪৬৬)


  • ইমাম যাহাবী বলেছেন ﺛﻘﺔ ﻧﺒﻴﻞ (আল-কাশফ, রাবী নং ২০৪৫)।


(৪) আওযায়ী ( ﺍﻟْﺄَﻭْﺯَﺍﻋِﻲّ(ِ

  • ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন এনাকে সিকাহ বলেছেন। (জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ১২৫৭)


  • আল-আজলী তাকে ‘সিকাহ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। (রাবী নং ৯৭০)


  • সুফিয়ান বিন উয়ায়না বলেন ‘ ﺇﻣﺎﻡ ﻳﻌﻨﻲ ﺇﻣﺎﻡ ﺯﻣﺎﻧﻪ ’(জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ১২৫৭)


  • ইনি ছিলেন ফখীহ, ইমাম। (লিসানুল মিহযান, রাবী নং ৩৭৮০)


অর্থাৎ এই সনদের সকল বর্ণনাকারীগন সিকাহ, হুজ্জাত। এবং এই তাদীলও ছহীহ সূত্রে এসেছে।

বিঃদ্রঃ সকল তথ্য গ্রহণ করা হয়েছে মাকতাবা শামেলা থেকে।

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদিস শুনেছে যে চার জন সাহাবী (রাঃ) থেকে ১।আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রাঃ) থেকে

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদিস শুনেছে যে চার জন সাহাবী (রাঃ) থেকে

  • ১।আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রাঃ) থেকে


"প্রচলিত হানাফি আপনারা সাহাবী (রাঃ) সর্ম্পকে এতো বড় মিথ্যা অপবাদ দিলেন"

কারন সম্মানিত সাহাবী (রা) মৃত্যুবরণ করেন সিরিয়ায় ৫৪ হিজরীতে (তাকরীবুত তাহযীব ক্রঃ ৩২১৬ পৃঃ২৯৬)

ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জন্ম ৮০ হিজরীতে।

আল্লাহ আমাদের ভুল বুঝার তৌফিক দান করন (আমিন)

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

স্বয়ং ইমাম আবু হানিফাহ-ই হাদীসে তাঁর দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।তিনি নিজেই তা স্বীকারও করেছেন এবং বিশুদ্ধ সূত্রে তা বর্ণিত হয়ে সঙ্কলিতও হয়েছে।

কিছু উক্তিঃ ================== হাদীসে ইমাম আবু হানীফাহর মাকাম কি? সেটা এর ওর কথা থেকে না নিয়ে উনার নিজের সাক্ষ্যটাই যথেষ্টঃ

স্বয়ং ইমাম আবু হানিফাহ-ই হাদীসে তাঁর দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

তিনি নিজেই তা স্বীকারও করেছেন এবং বিশুদ্ধ সূত্রে তা বর্ণিত হয়ে সঙ্কলিতও হয়েছে।

আমি তাঁর নিজের-ই এমন কয়েকটি স্বীকারোক্তি তুলে ধরছিঃ ১-২। ইবন আদী তাঁর আল-কামিল এ স্বয়ং আবু হানিফাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ https://library.islamweb.net/hadith/display_hbook.php ثنا احمد بن محمد بن سعيد ثنا محمد بن عبد الله بن سليمان ثنا سلمة بن شبيب ثنا المقري عبد الله بن يزيد أبو عبد الرحمن قال سمعت أبا حنيفة يقول عامة ما أحدثكم خطأ. --- --- قال ابن عدي )ج7 ص2473(: ثناه عبد الله بن محمد بن عبد العزيز ، حدثني محمود بن غيلان ، ثنا المقري ، سمعت أبا حنيفة ، يقول : ما رأيت أفضل من عطاء ، وعامة ما أحدثكم خطأ. ৩-৪। খতীব তাঁর তারীখ এ স্বয়ং আবু হানিফাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ قال الخطيب رحمه الله )ج13 ص425(: أخبرني ابن الفضل أخبرنا دعلج بن أحمد أخبرنا أحمد بن علي الأبار حدثني محمود بن غيلان حدثنا المقريء ]})في الأصل : حدثنا ابن المقريء والصواب ما أثبتناه والمقريء عبد الله بن يزيد({[ قال سمعت أبا حنيفة يقول: عامة ما أحدثكم به خطأ. --- --- قال أبو بكر الخطيب )ج13 ص425( : أخبرني الحسن بن أبي طالب حدثنا عبيد الله بن محمد بن حبابة حدثنا عبد الله بن محمد البغوي حدثنا ابن المقريء حدثنا أبي قال سمعت أبا حنيفة يقول : ما رأيت أفضل من عطاء وعامة ما أحدثكم به خطأ. اهـ . وهذا السند صحيح رجاله معروفون. فالحسن بن أبي طالب ترجمه الخطيب في »تاريخه« )ج7 ص425( فقال : الحسن بن محمد بن الحسن بن علي أبو محمد الخلال – إلى أن قال - : وكان ثقة له معرفة وتنبه. وعبيد الله بن محمد بن حبابة ترجمه الخطيب )ج10 ص377( فقال : عبيد الله بن محمد بن إسحاق بن سليمان بن مخلد بن إبراهيم بن مروان بن حبابن بن تميم أبو القاسم البزاز مقوثي الأصل ويعرف بابن حبابة … إلخ وقال : كان ثقة. وعبد الله بن محمد البغوي قد ترجم له. وابن المقريء محمد بن عبد الله بن يزيد. এই বর্ণনাগুলো সূর্যালোকের মত পরিস্কারভাবে আবু হানিফাহর হাদীসে দুর্বলতা প্রমাণ করে। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, আবু হানিফাহর কট্টর পক্ষপাতকারীরা এসব বর্ণনাগুলোরও অভিনব ব্যাখ্যা হাজির করে ফেলেছে; তাদের মতে ইমাম আবু হানিফাহ নাকি তাঁর ছাত্রদের পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল-ভাল হাদীস বলতেন!!! এই ব্যাখ্যা যদি সত্যিই হত তাহলে ওই বর্ণনাগুলোতেই তো সেকথার উল্লেখও থাকত; আর ওই বর্ণনাগুলোতে যদি বা না-ই থাকে অন্য কোন বিশুদ্ধ সূত্রে হলেও ইমাম আবু হানিফাহ হতে একথা বর্ণিত থাকত যে তিনি শুধুমাত্র তাঁর ছাত্রদের পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল-ভাল হাদীস বর্ণনা করতেন। হাদীস বর্ণনা দ্বীন-এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; হাদীস বর্ণনায় ভুল করা তো আরও মারাত্মক। এটা একটা অসম্ভব কথা/দাবী যে ইমাম আবু হানীফাহ ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদের পরীক্ষা করার জন্য ভুল হাদীস বর্ণনা করবেন অথচ এই বিষয়টি বিশুদ্ধ কোন সূত্রে স্বয়ং তাঁর থেকে খোলাসা করে বর্ণীত না হয়ে শুধু তাঁর ভুল হাদীস বর্ণনার কথা সঙ্কলিত হয়ে থেকে যাবে।

ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।

ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।

سمعت محمود بن غيلان قال سمعت المقري يقول سمعت أبا حنيفة يقول : عامة ما أحدثكم خطاء

(ইমাম তিরমিযীর ইলালঃ ১/৩৮৮)

ইমাম আবু হানিফার অত্র কথা বিশুদ্ধ সনদ দ্বারা প্রমানিত।

Click This Link

Click This Link

(১) ইমাম তিরমিযী তো ইমামই ইমাম।

(২) মাহমুদ বিন গাইলান মারঅযী (মৃত্যু ২৩৯ হিঃ) ইমাম, হাফিয, হুজ্জাহ, সিকাহ, বুখারি, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ সহ বিভিন্ন হাদীছের রাবী। (সিয়ার ২০৪০; তাহযীব ১০/৬৪; তাযকিরাহঃ৪৮৮)

(৩) আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযীদ ইমাম, হাফিয, মুহাদ্দিস, হুজ্জাহ, শাইখুল হারাম আবূ আব্দুর রহমান মুকরী (১২০-২১৩ হিঃ) বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ সহ বিভিন্ন হাদীছের রাবী। (সিয়ারঃ ১৫৬৬; কাশিফ ৩০৬৪; তারীখ কাবীরঃ ৭৪৫)

এছাড়াও দেখুনঃ কামেল ৮/২৩৭; তারীখে বাগদাদ ১৫/৫৪৪; তারীখ দামেশক ৪০/৩৯০; মুকতারাবঃ ১/৩৫৭)

তাহলে হানাফী ভাইরা কোন ফিকহের উপর আমল করছেন ?

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইমাম আবু হানিফা )রহ(-এর তাদীলের পর্যালোচনা

ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ) সম্পর্কে কিছু তাদীলের বিশ্লেষণ। ডঃ খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বঙ্গানুবাদকৃত আল-ফিকহুল আকবার বইয়ের ২০ পৃঃ তে আবদুল্লাহ স্যার ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর উপর মুগীরাহ ইবন মিকসাম দাব্বী কূফীর একটি তাদীল (প্রশংসা) পেশ করেছেন, যেটি নিম্নরূপ قَالَ لي الْمُغيرَة بن مقسم الضَّبِّيّ جَالس أَبَا حنيفَة فَلَو كَانَ إِبْرَاهِيم حَيا لَكَانَ مُحْتَاجا إِلَى مُجَالَسَته إِيَّاه هُوَ وَالله يحسن ان يتَكَلَّم فِي الْحَلَال وَالْحرَام “আমাকে মুগীরাহ বলেনঃ তুমি আবূ হানীফার মাজলিসে বসবে, তাহলে ফিকহ শিখতে পারবে। কারণ (কুফার প্রসিদ্ধ ফকীহ ও মুহাদ্দীস, মুগীরার উস্তাদ) ইবরাহীম নাখয়ী (৯৫ হিজরী) যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনিও আবূ হানীফার মাজলিসে বসতেন। ... আল্লাহ্‌র কসম! হালাল ও হারামের বিষয়ে সে ভালভাবে কথা বলার যোগ্যতা রাখে।” সাইমারী, আখবারু আবী হানীফা, পৃষ্ঠা ৭৯; যাহাবী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৬/৪০৩; তারীখুল ইসলাম ৯/৩১২। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি এক্ষেত্রে এই তাদীলের সনদ পেশ করেননি। সনদটি এরকম- أخبرنَا أَبُو حَفْص عمر بن ابراهيم الْمصْرِيّ قَالَ ثَنَا مكرم قَالَ ثَنَا أَحْمد بن مُحَمَّد ابْن مغلس قَالَ ثَنَا يحيى بن أَكْثَم قَالَ سَمِعت جَرِيرًا قَالَ قَالَ لي الْمُغيرَة بن مقسم الضَّبِّيّ এই সনদে আছেন ইয়াহইয়া বিন আকসাম (يحيى بن أَكْثَم) ইনি একজন কাজ্জাব বা মিথ্যুক (তারীখ ইসলাম আল-দাঈফাহ ওয়া আল-কাজ্জাবিন , রাবী নং ৬৮৪) ইবন জাওজী তাকে তার দাঈফ ওয়া মাতরুকিন , রাবী নং ৩৬৯২ তে উল্লেখ করেছেন। 6929 - ت / يحيى بن أَكْثَم القَاضِي صَدُوق إِن شَاءَ الله تَعَالَى من الْفُقَهَاء قَالَ عَليّ بن الْحُسَيْن بن الْجُنَيْد كَانُوا لَا يَشكونَ أَنه يسرق الحَدِيث وَقَالَ الْأَزْدِيّ يَتَكَلَّمُونَ فِيهِ ইয়াহইয়া বিন আকসাম ফিখহের ক্ষেত্রে সুদুক ছিলেন ইনশআল্লাহ , আলী বিন আলহুশায়ন বিন আলজুনায়দ বলেন, তারা সন্দেহ করতেন না যে সে হাদীস চুরি করে। আলমুগনী ফি আলদাঈফ , রাবী নং ৬৯২৯ 9459 - يحيى بن أكثم [ت] القاضي. روى عن سفيان بن عيينة وطبقته. حدث عنه الترمذي، وكان من كبار الفقهاء. قال علي بن الحسين بن الجنيد: كانوا لا يشكون أنه يسرق الحديث. আলী বিন আলহুশায়ন বিন আলজুনায়দ বলেন, তারা সন্দেহ করতেন না যে সে হাদীস চুরি করে। وقال الأزدي: يتكلمون فيه. روى عن الثقات عجائب لا يتابع عليها. وقال آخر: كان يتبين بالميل إلى الاحداث. وقد سقنا ترجمته في التاريخ الكبير. مات في ذي الحجة سنة اثنتين وأربعين ومائتين. (মিজানুল ইহতিদাল , রাবী নং ৯৪৫৯) সুলাইমান ইবন মিহরান আল-আমাশ বলেন, إِنَّمَا يُحْسِنُ الْجَوَابَ فِي هَذَا وَمِثْلُهُ النُّعْمَانُ بْنُ ثَابِتٍ الْخَزَّازُ أَرَاهُ بُورِكَ لَهُ فِي عِلْمِهِ “এগুলির উত্তর তো কাপড় ব্যবসায়ী নুমান ইবন সাবিতই বলতে পারেন। আমার ধারনা তার ইলমে বরকত প্রদান করা হয়েছে।” )الانتقاء في فضائل الثلاثة الأئمة الفقهاء , ১/১২৬( এই তাদীল যে সনদে এসেছে সেটি নিম্নরূপ قَالَ ابو يَعْقُوب نَا عمر بن احْمَد بن عنزة الْمَوْصِلِيُّ قَالَ نَا أَبُو جَعْفَرِ بْنُ أَبِي الْمُثَنَّى قَالَ سَمِعْتُ ‫#‏ مُحَمَّدَ_بْنَ_ عُبَيْدٍ_الطَّن َافِسِيَّ‬يَقُولُ خَرَجَ الأَعْمَشُ يُرِيدُ الْحَجَّ فَلَمَّا صَارَ بِالْحِيرَةِ قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ اذْهَبْ إِلَى أَبِي حَنِيفَةَ حَتَّى يَكْتُبَ لَنَا الْمَنَاسِكَ قَالَ وَحَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَزَّارُ قَالَ نَا مُحَمَّد بن عبيد بن عنام قَالَ نَا مُحَمَّد بن عبد الله بْنِ نُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ سَمِعْتُ الاعمش يَقُول وَسُئِلَ عَن مسئلة فَقَالَ إِنَّمَا يُحْسِنُ الْجَوَابَ فِي هَذَا وَمِثْلُهُ النُّعْمَانُ بْنُ ثَابِتٍ الْخَزَّازُ أَرَاهُ بُورِكَ لَهُ فِي عِلْمِهِ এই তাদীলের সনদে আছেন মুহাম্মাদ বিন উবায়দ আল-তানফিসী )مُحَمَّدَ بْنَ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيَّ( 5804 - مُحَمَّد بن عبيد الطنافسي صَدُوق مَشْهُور قَالَ أَحْمد بن حَنْبَل يُخطئ ويصر سمع الْأَعْمَش মুহাম্মাদ বিন উবায়দ আল-তানফিসী জনপ্রিয় সুদুক , আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন ভুল করত এবং ভুলের উপর অব্যাহত থাকত, আমাশের নিকট শুনেছি। )আল-মুগনী ফি আল-দাঈফ, রাবী নং ৫৮০৪, খণ্ড ২, পৃঃ ৬১২( এছাড়াও অন্য জায়গায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেছেন قال كان أحمد بن حنبل يقول: محمد بن عبيد الطنافسى كان رجلا صدوقا، وكان يعلى اثبت منه. )জারাহ ওয়া তাদীল , রাবী নং ৪০, ৮/১০ পৃঃ( মিসআর ইবন কিদাম ইবন যাহীর কুফী ما أحسد أحدا بالكوفة إلا رجلين: أَبُو حنيفة في فقهه، والحسن بن صالح في زهده. কুফার দু ব্যক্তি ছাড়া কাউকে আমি ঈর্ষার যোগ্য বলে মনে করি নাঃ আবূ হানিফাকে তার ফিকহের জন্য এবং হাসান ইবন সালিহকে তার যুহদের জন্য। সনদসহ উক্ত তাদীল এসেছে তারীখ বাগদাদে, খণ্ড ১৫ , পৃঃ ৪৫৯ , রাবী নং ৭২৪৯ (ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর জীবনীতে) সনদটি নিম্নরূপ خْبَرَنَا الخلال، قَالَ: أَخْبَرَنَا الحريري، أن النخعي، حدثهم قَالَ: حَدَّثَنَا سليمان بن الربيع، قَالَ: حَدَّثَنَا همام بن مسلم، قال: سمعت مسعر بن كدام এই তাদীলের সনদে আছেন হাম্মাম ইবনু মুসলিম (همام بن مسلم) , যিনি একজন প্রতাখিত রাবী। ইবন জাওজী তার দাঈফ ওয়া মাতরুকীন , রাবী নং ৩৬১৬ , ৩/১৭৮ এ উল্লেখ করেছেন। ইবন হিব্বান তাকে يسرق الحَدِيث (যিনি হাদীস চুরি করেন) বলেছেন। (আল-মুগনী ফি আল-দাঈফ, রাবী নং ৬৭৬৬; মিজানুল ইহতিদাল, রাবী নং ৯২৫১) ইমাম দারাকুতনী তাকে মাতরুক বলেছেন। (লিসানুল মিহজান, রাবী নং ৭১০)