মাযহাবী পোস্টমর্টেম (পার্ট ২)
হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
- মাযহাবী আলেমরা বলে থাকে কোন
হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয় করতে ইমামগণ থেকে মতামত গ্রহণ করতে হয়। কোন
রাবী বিশ্বস্ত
বা অবিশ্বস্ত
যা কি’না ইমামগণের
তাক্বলীদ বুঝায়।
যে তাক্বলীদ
আমরা সকলেই
করে থাকি। এ থেকেই
বুঝা যায়
ইসলামে তাক্বলীদ
রয়েছে।!!!
জবাব : এই
ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়।
কারণ, হাদিসের ইমামগণের থেকে আমরা শারী’আহ’র
বিধান নেই না। বরং হাদিসের রাবীগণ কে ভাল বা খারাপ তা গ্রহণ করি।
- এই
বিষয়টি মোটেই
ইমামগণের তাক্বলীদ (তাক্বলিদে শাখসী) নয়।
মুহাদ্দিস গণ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করি ওমুক রাবী ভাল অথবা খারাপ এখনো তো অনেক জন মুহাদ্দিস থেকে নেওয়া হয় {যা তাক্বলিদে মুতলাক্ব~ মুক্ত তাক্বলিদ }
- এর দ্বারা তাক্বলিদে শাখসী খতম মানে একক ব্যক্তির তাক্বলিদ (অনুসরন)।
বুঝা গেল কোন
মানুষ সম্পর্কে জানার জন্য কারো কথা মান্য করলে অন্ধ তাক্বলীদ হয়
না।
- তেমনি হাদিসের রাবী সম্পর্কে ইমামগণ
থেকে জেনে নিলে তা অন্ধ তাক্বলীদ
হয় না।
বরং তাহক্বীক
অর্থাৎ যাচাই-
বাছাই হয়।
মাযহাবীদের কথা দ্বারা তাদের মতের বিপক্ষে যায় কারণ তাক্বলিদ হবে একক ব্যক্তির কিন্তু উক্তি তে আছে অনেক জন ।
এক হানাফি মুক্কালিদ কি কোন মাসলায় জানতে অন্য কোন মাযহাবিদের শাফি মালিকি হাম্বলি কাছে যায়?
আল্লাহ আমাদের
অন্ধ তাকলীদ (তাক্বলিদে শাখসী)
হতে রক্ষা করুক।
§ S H M HASAN §
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন