মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
—————————————————————————————————
প্রশ্নঃ কতিপয় প্রচলিত হানাফি ভাই
বলে থাকে যে ‘হাদীস সহীহ না যঈফ’ তা আল্লাহ
সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে এবং নবী (সা:) হাদীসের এবং কোন রাবী মিথ্যূক বা সত্যবাদী এটা তো নবী (সা:)
বলে যান নাই।
সেক্ষেত্রে আপনারা মুহাদ্দীসগণের
তাকলীদ করেন।
তাহলে আপনারাও
তো মুকাল্লিদ?
—————————————————————
উত্তর /জবাব:
আমারা ৪
ইমামকেই মানি। ১
জনকে মানি না। ১
জনকে মানা জায়েজ নেই।
আপনি কি শুধু বাবার কথা মানবেন, চাচার
কথা শুনবেন না?
কোন সত্যবাদী ব্যক্তি যদি কোন
রাবীকে মিথ্যুক
অথবা রাবীকে মিথ্যুক নয় বলে তবে এটা মানতে হবে।
যদি এমন হয়
তবে তাহলে নাউযুবিল্লাহ রাসুল (সঃ) কেও মুকাল্লিদ
মানতে হবে।
- কারন প্রায় প্রতি বছর ঈদের সময় রসূল মুহাম্মাদ (সঃ) অন্য কোন ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে ঈদের চাঁদ
উঠার খবর জেনে মেনে নিতেন (আবু দাউদ) ।
এভাবে বক্তব্য মানা তাকলীদ নয়।
কোন সাহাবী কি অন্য কারো সম্পর্কে রাসুল মুহাম্মাদ (সঃ) কে বলে নাই যে,
এই লোক এমন, এই
লোক এই কাজ
করেছে।
রাসুল (সঃ) কি ঐ
সাহাবীর বক্তব্য
মানেন নাই?
তা হলে এটা কি তাকলীদ?
এই ভাবে জর্জের
সামনে যদি কোন
স্বাক্ষী বলে যে,
হ্যাঁ, আমি দেখেছি ও
খুন করেছে।
- জর্জ যত বড়ই
মুফতী, আলেম হউক না কেন জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর কথার
উপর রায় দিবে না?
এটা কি জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর মোকাল্লেদ হলো?
- আপনার বাসায়
একজন বড় মুফতী,
ইমাম আসছে।
কিন্তু
কিবলা কোন
দিকে জানে না।
আপনাকে জিজ্ঞাসা করলো কিবলা কোন দিকে?
আপনি বললেন,
কিবলা এই দিকে।
ঐ ইমাম মুফতী কি আপনার মুকাল্লীদ হইয়া গেলো?
- ২য় কথা হলো আমারাও ইমামদের মান্য করি।
কোরআন আর
সুন্নার সাথে মিললে তা আমরা মানি।
না মিললে মানি নি।
এটা আল্লাহ
এবং রাসুল (সঃ) ই
বলেছেন।
ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻨَﺎﺯَﻋْﺘُﻢْ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ
ﻓَﺮُﺩُّﻭﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝِ
যদি ইখতেলাফ
দেখা দেয়
তবে আল্লাহ ও তার
রাসুলে দিকে ফিরে যাবে। কেন?
ফয়সালার জন্য।
৪ ইমামের মাঝেই
ইখতেলাফ রয়েছে।
কিতাব ও সুন্নাহ
মোতাবেক {জিসনি বাত সহীহ হায় মানো} (!)
- এটা দেখা যাবে না যে, আমার ইমাম কে, তোমার ইমাম কে?
আমার ইমাম ইমাম
আবু হানিফা,
বাকী গুলো কি আমার ইমাম নয়?
তারাও আমার ইমাম।
- চার (সহ বাকি সবাই) জনই আমাদের ইমাম!
{{~Wait & See~}}
—————————————————————————————————
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন