বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।

মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ (৫)
—————————————————————————————————
প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।
প্রশ্ন কর্তা:এক জন হানাফি মাযহাবী
———————————————————————————
জবাব/উত্তর
¤ আসসালা-মু আলাইকুম ¤
নিম্নে তাক্বলীদের বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরা হলো
তাকলীদের শাব্দিক অর্থ: ‘তাকলীদ’ (ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ) শব্দটি ‘ক্বালাদাতুন’ (ﻗﻼﺩﺓ) হ’তে গৃহীত। যার অর্থ কণ্ঠহার বা রশি। যেমন বলা হয়, ﻗَﻠَّﺪَ ﺍﻟْﺒَﻌِﻴْﺮَ ‘সে উটের গলায় রশি বেঁধেছে’।
সেখান থেকে ‘মুক্বাল্লিদ’ ( ﻣﻘﻠﺪ) , যিনি কারো আনুগত্যের রশি নিজের গলায় বেঁধে নিয়েছেন।
তাকলীদের পারিভাষিক অর্থ:
তাক্বলীদ হ’ল শারঈ বিষয়ে কোন মুজতাহিদ বা শরী‘আত গবেষকের কথাকে বিনা দলীল- প্রমাণে চোখ বুজে গ্রহণ করা।
আল্লামা জুরজানী (রহঃ) -এর মতে, ‘তাক্বলীদ হ’ল বিনা দলীল- প্রমাণে অন্যের কথা গ্রহণ করা’। (জুরজানী, কিতাবুত তা’রীফাত, পৃঃ ৬৪।)।
ইমাম শাওকানী (রহঃ)-এর মতে, ‘তাকলীদ হ’ল বিনা দলীলে অন্যের মত গ্রহণ করা, যার মত দলীল হিসাবে সাব্যস্ত হবে না’। (ইমাম শাওকানী, ইরশাদুস সায়েল ইলা দালায়িলিল মাসায়েল, পৃঃ ৪০৮।)।
তাফসীরে আযওয়াউল বায়ান’-এর লেখক মুহাম্মাদ আল- আমীন আশ- শানক্বীত্বী (রহঃ)- এর মতে, ‘তাক্বলীদ হ’ল কারো দলীল সম্পর্কে অবহিত না হয়ে তার কথা গ্রহণ করা’। (মুহাম্মাদ আল- আমীন আশ- শানক্বীত্বী, মুযাক্কিরাতু উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ ৪৯০।)
তাক্বলীদ (ﺗﻘﻠﻴﺪ ) দলিল উল্লেখ ছাড়াই কোন ব্যক্তির মতামতকে গ্রহণ করা।
তাক্কলিদের উপরে সংজ্ঞা গুলোর আলোকে বলা যায় যে ,শারঈ বিষয়ে কারো কোন কথা বিনা দলিলে গ্রহণ করাই তাক্বলীদ।
তাকলিদের সংঙ্গা থেকে জানা যায় যে
তাকলিদ হবে শুধু এক জন ব্যক্তির
তাকলিদ কারী অর্থাত্‍ মুকাল্লিদ কখনো দলিল জানতে চাইবে না।
যার তাকলিদ করবে সে যা বলবে তাই মুকাল্লিদ চোখ বোঝে মেনে নিবে সেটা ভুল হলেও,
(০০১ নং) মুকাল্লিদ কখনো দলিল খুজবে না মুকাল্লিদ যদি এই মতটি অন্য আরেক জনের কাছে যানতে চায় তখন সে আর মুকালিদ থাকে না কারণ তাকলিদের সংঙ্গা তার বিরুদ্ধীতা করবে বা সংঙ্গা বিরুদ্ধী হবে আপনি কি বলেন?
(০০২ নং) আপনি কি দেখাতে পারবেন যে এক জন মুসতাহি বা ইমামকে মানতে হবে?
আমি এখন ৩ টি মতের মাধ্যমে দেখাবো একক ব্যক্তি তাকলিদ করা বৈধ না।
(০০৩ নং) আপনি যদি বলে একক ব্যক্তি না ২ বা ৩ এর অধিক ব্যক্তির তাকলিদ করা জায়েজ আছে, তবে আপনি তাকলিদের সংঙ্গা মানলেন না কেন?
আমি ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) কে সম্মান করি ওনার এই ফতওয়াটা
০১-যে কোন ভাষায় নামাযের সূরা (কেরআত) পড়লে ইমাম আবু হানিফা র: মতে জায়েজ যদিও সে ব্যক্তি আরবী ভাষা জানে।(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০২ পৃঃ)
(০০৪ নং) ভাই পৃথিবীর কয়টা প্রচলিত হানাফিরা এই মতটা অন্ধ মুকালিদ বা তাকলিদ কারী মানে?
০২. মুল্লাজি শিক্ষিয়েছে, চার মাযহাব চার ফরজ ও চার কুরসী চার ফরজ এই ফরজ কুরআনে ও হাদিসে নেই ,
(০০৫ নং) এখানে এই ব্যক্তি ফরজ কোথায় পেল?
(০০৬ নং) এই ব্যক্তি কি বিধান দিয়ে রবের আসনে বসে নি?
০৩:- তাকবীর তাহরীমায় আল্লাহু আকবার না বলে সুবাহানাল্লাহ আর রহমান বা আল্লাহ কোন গুন বাচক নাম বলে সলাত আরম্ভ করা ইমাম আবূ হানিফা রহঃ মতে জায়েয, (কুদরি পৃষ্ঠা নং ৭৬ )
০৩.১:- তাকবীর তাহরীমায় আল্লাহু আকবার না বলে সুবাহানাল্লাহ আর রহমান বলে সলাত আরম্ভ করা ইমাম আবূ হানিফা রহঃ (হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০১ পৃঃ(হিদায়ার হল নিচের বইয়ের ব্যাখ্যা)) আল- মুখতাসারুল কুদুরী (আরবি- বাংলা) পৃঃ৭৬ (অনুবাদ ও সম্পাদনায়;মাওঃ মুহাম্মদ আমিন উল্লাহ~ভূতপূর্ব মাহাদ্দিস,কারাম তিয়া আলিয়া মাদরাসা,নোয়াখালী; মাওঃ মুহাম্মদ সিদ্দীকুল্লাহ~এম.এম. (ফার্স্ট ক্লাস),বি.এ. (স্ ট্যান্ড),প্রধান আরবি প্রভাষক,হায়দারা বাদ মারদাসা গাজীপুর ঢাকা এবং মাওঃ মুহাম্মদ মুস্তফা এম.এম.~;; প্রকাশনায় == ইসলামিয়া কুতুবখানা; ৩০/৩২ নর্থব্রুক হল রোড; বাংলাবাজার; ঢাকা-১১০০)
(০০৭ নং) এখন বলেন ওপরে পৃঃ ৭৬(০৩) অথবা ০৩.১ নং মতে কে পৃথিবীর কয়টা হানাফি মানে ?
(০০৮ নং) এই মতের তাকলিদ কি আপনি করবেন?
(০০৯ নং) যারা তাকলিদ করে বলে তাকলিদ জায়েজ তথা যে কোন
এক ইমামের মাযহাব মানতে হবে তাদের চেলেন্জ করছি একক বা এক জন ইমামকে মানা
কোন দলিল প্রমান দিতে পারবে না?
(০১০ নং) এখন সম্মানিত ভাই আপনি বলে তাকলিদের সংঙ্গা বুঝতে কোথায় ভুল হয়েছে?
(বিঃদ্রঃ ০০৯ নং এর উত্তর সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ তাই কেউ এই উত্তরটা দিতে বাদ দিবে না
) ¤ জাজাকাল্লাহ ¤ {{~Wait & See~}}
—————————————————————————————————

৮টি মন্তব্য:

  1. অসাধারণ উত্তর। আমি কপি করে রাখলাম।

    উত্তরমুছুন
  2. আমার একটা প্রশ্ন আছে।। আপনারা তো দেখছি হানাফী মাযহাব কেই বাঁশ দিচ্ছেন।। আপনারা বাকি মাযহাব গুলো কেন বাদ দিলেন।।। ইমাম শাফেয়ি হানাফী মাযহাব শিক্ষা করেছেন।।। তো তার মত একজন আলেম কেন তার মাযহাবে হানাফী মাযহাবের ভুল ধরে দেননায়??

    আমার ২য় প্রশ্ন:
    ইমাম শাফী (রহ.) এর বণী,
    তিনি বলেন, ফিকাহ শাস্ত্রে সমস্ত মানুষ ইমাম হযরত আবু হানীফা (রহ.) এর পরিবারের লোক। কারণ আমি তাঁর চেয়ে বড় কোন ফকীহ পাই নি। তিনি আরও বলেন, হযরত ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর কিতাব যে পড়বে না, সে ফকীহ হবে না এবং সে গভীর ইলমে পারদর্শী হতে পারবে না।

    একথাটা কেন বললেন।।। আসলে আপনাদের যুক্তির পক্ষে দলিল টা ভুল ভাই।।।
    আপনারা মাসয়ালা ভুল বুঝেছেন।।। উসূলে ফিকহ পড়ুন তখন বুঝবেন মাসয়ালা কি জিনিস।।।

    ভুল ভাল বুঝিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না সাহস হলে এমন একজন আলেম এমনকি আমার মত নগন্য একজন ছাত্রের সাথে বিতর্ক করুন।।

    আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিব।।

    আর ভাই আপনাদের কথা তারা মেনে নিবে যারা কুরআন তেলাওয়াত ও করতে জানেনা।। আপনারা একজন অজ্ঞানী কে বিভ্রান্ত করতে পারবেন।। সাহস থাকলে একজন আলেম এমনকি আমার মত নগন্য কে বিভ্রান্ত করে দেখান।।।
    إن شاء الله আল্লাহ আমাকে সঠিক পথ দেখাবেন।।।
    السلام عليكم ورحمة الله

    উত্তরমুছুন
  3. ইমাম আবু হানিফা সত্যিকার আলেম হলে তিনি এহেন ইসলাম বিরুধী ফতোয়া দিতে পারেন না।তাকলীদ একমাত্র রসুল(সঃ) এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এখন নির্ভর করতে হবে কোরআন ও সহি হাদিসের উপর। নাবী রসুল ছাড়া কোন মানুষেরই অন্ধঅনুসরণ করা যাবে না। সাধারণ মানুষ ভুলের উর্ধে নয়।

    উত্তরমুছুন