ইলিয়াসী তাবলীগ
কুরআনের আয়াত অপব্যাখ্যা কারী।
ইলিয়াসী তাবলীগ
এই জামাত কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে কোন তাবলীগ
করে ?????
যে আয়াতটি দিয়ে তারা লোকদের"চিল্লায়া"যাওয়ার জন্য ডাকে তারা সেই আয়াতের কিছু অংশ বলে আর বাকি অংশ বলেনা অথচ সে আয়াতটি মূলত জিহাদ সর্ম্পকে ।
তারা বলে: আল্লাহ (সুবঃ) মুমিনদের জান মাল ক্রয় করেছেন জান্নাতের বিনিময়ে। চলুন সকলে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পরি॥
তারা এই অংশ বলে আর পরের অংশ বলে না বা পড়েনা॥
কারণ তারা যদি পড়ের অংশ বলে তাহলে সকলেই বঝতে পারবে যে তারা কিভাবে কুরআনের আয়াত কি ভাবে অপ্যব্যাখা করে।
প্রশ্ন : এই দলটি আয়াতের অপ্যব্যাখা করেছে কি কি কি কি না ?????
মূল আয়াত টি হল
"সূরা: At-Tawba
মদীনায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৯
111.
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَۚيُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَۖوَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِۚوَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِۚفَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِۚوَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা_যুদ্ধ_করে_আল্লাহর_রাহে_অতঃপর_মারে_ও_মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।""
বিঃ দ্রঃ প্রচলিত ইলিয়াসী তাবলিগ জামাত খুব শুক্ষ ভাবে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে কিন্তু আয়াত টি জিহাদ সর্ম্পকে
আয়াতের_সাথে_তিন_৪০_ও_জীবন_চেল্লার_কোন_সর্ম্পক_নেই ।
প্রচলিত ইলিয়াসী তাবলিগ জামাত আয়াত টি জিহাদের আয়াতের অপব্যাখ্যা করেছে কি ????
সুরা তাওবার এই আয়াতে খন্ডন
==========
ইলিয়াসী তাবলীগের মত আয়াতের এক অংশ বলে কেউ দলিল দেয় যে
"" সলাত পড়া হারাম""।
কেননা আল্লাহ সলাতের ধারে কাছে যেতেও নিষেধ করেছেন ।
রেফারেন্সঃ আল কুরআনের সূরা নিসার ৪৩ নম্বর আয়াতঃ
"ওহে!তোমরা যারা ঈমান এনেছো,সলাতের ধারে কাছেও যেয়ো না"
অথচ আল্লাহ এই আয়াতটির পরের অংশে বলেছেন
"নেশাগ্রস্থ থাকা অবস্থায়" (সলাতের কাছে যেওনা)
মূল আয়াত: 43.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنتُمْ سُكَارَىٰ حَتَّىٰ تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغْتَسِلُواۚوَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْۗإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন সলাতের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (সলাতের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।
আরো একটি আয়াত এটা সুরা তওবা থেকে
যে কেউ তো এই আয়াতো পেশ কেরে বলতে পাড়ে যে ,ٌ
"""অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও""",
কিন্তু সে আয়াতের পড়ের অংশ বলবেনা কারণ প্রচলিত তাবলীগ জামাত ঠিক আয়াতের প্রথম অংশ বলে।
মুল আয়াত নিচে
5.
فَإِذَا انسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْوَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚفَإِن تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْۚإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আল্লাহ ভালো জানেন
এই জামাত কোন তাবলীগ
করে ?????
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝার তাওফিক দান করুন॥ (আমিন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন