বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

ইমাম আবু হানিফা যিনি ৪০ বছর যাবত এশার অযু দিয়ে ফজরের নামাজ পড়েছেন

আশরাফুল আলম রনি@

মুফতি ভাইযের কথার খন্ডন
নিচে  আছে এবং কিছু প্রশ্ন আছে আশা করি উত্তর পাব
====
লিখেছেন আশরাফুল আলম রনি@ সম্মানিত মুফতি ভাই

///___#সেই_ইমাম_আবু_হানিফা_যিনি_৪০_বছর_যাবত_এশার_অযু_দিয়ে_ফজরের_নামাজ_পড়েছেন ।___///

=====
কিছু প্রশ্ন এখন আরো আছে লিংকে

# কোনো ব্যক্তির
পক্ষে কি সম্ভব
লাগাতার চল্লিশ
বৎসর এশার অযু
দ্বারা ফজরের
নামাজ পড়া?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত
কি সারারাতের
মধ্যে একদিনও তার
অযু ভঙ্গ হয় নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
তিনি ঘুমান নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে পেশাব করেন
নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে পায়খানা করেন
নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে (যদি বিবাহিত
হয়ে থাকেন)
স্ত্রী গমন করেন
নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে তার স্বপ্নদোষ
হয় নাই?

কোন সুস্থ
মস্তিস্কের বিবেক
ও যার সামান্যতম
বোধশক্তি আছে সে উপরোক্ত
কথা সমর্থন
করতে পারে না।

প্রচলিত ইলিয়াছী তাবলীগের সুন্দর একটি ফায়দা উরুফে ভিত্তি হীন কিচ্ছা-১ (পৃষ্ঠা ৯২)>>>বুজুর্গু<<<‘’শেখ আবদুল ওয়াহেদ
নামে একজন
বিখ্যাত
সুফি ছিলেন। কথিত
আছে, চল্লিশ বৎসর
যাবৎ তিনি এশার
অযু দ্বারা ফজরের
নামাজ
পড়িয়াছেন।‘’ (ফাজায়েলে
ফাজায়েলে নামাজ;
তাবলিগী কুতুবখানা সংশোধ
সংস্করন; ১২ মার্চ
১৯৯০ ইংরেজি;
পৃষ্ঠা নঃ ৯২)
অনেকে এই রকম অনেক
বুজুর্গি কাহীনি বর্ণনা করে বা
অমুক বুজুর্গ/অলি/ইমাম
ইত্যাদি (১২দিন) ৪০ বত্‍সর
এক অজুতে সলাত
আদায় করাছে। আসুন
দেখি রসুল (সাঃ)
কি বলেন?
আনাস (রাঃ) বলেন যে, তিন
ব্যক্তি নবী (সাঃ) এর
স্ত্রীদের বাসায় এলেন।
তাঁরা নবী (সাঃ) এর ইবাদত
সম্পর্কে জিঞ্জাসা করলেন।
অত:পর যখন তাঁদেরকে এর
সংবাদ দেওয়া হল তখন
তাঁরা যেন তা অল্প
মনে করলেন
এবং বললেন,‘আমাদের
সঙ্গে নবী (সাঃ) এর
তুলনা কোথায়? তাঁর
তো আগের ও পরের সমস্ত
গোনাহ মোচন
ক’রে দেওয়া হয়েছে।
(সেহেতু আমাদের তাঁর
চেয়ে বেশী ইবাদত
করা প্রয়োজন )।’
সুতরাং তাঁদের
মধ্যে একজন
বললেন, ‘আমি সারা জীবন
রাত ভর সলাত পড়ব। ’
দ্বিতীয় জন বললেন,
‘আমি সারা জীবন
সাওম রাখব,
কখনো সাওম ছাড়ব না।’
তৃতীয় জন বললেন,
‘আমি নারী থেকে দূরে থাকব,
জীবনভর বিয়েই করব না।’
অত:পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
তাঁদের নিকট এলেন
এবং বললেন, “তোমরা এই
এই কথা বলেছ? শোনো!
আল্লাহর কসম!
আমি তোমাদের
চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয়
করি, তার ভয়
অন্তরে তোমাদের
চেয়ে বেশী রাখি।
কিন্তু আমি (নফল)
সাওম রাখ
এবং সাওম ছেড়েও
দিই, সলাত
পড়ি এবং নিদ্রাও যাই ।
আর নারীদের বিয়েও
করি। সুতরাং যে আমার
সুন্নত হতে মুখ
ফিরিয়ে নিবে,
সে আমার দলভুক্ত নয়।”(অর্থাত্‍ আমার উম্মতের অর্ন্তভুক্ত নহে মিসকাত ১মখন্ড মাদ্রাসা পাঃ১৩৭/৬ পৃঃ২৬৪)
( সহীহুল
বুখারী ৫০৬৩,মুসলিম ১৪০১,
নাসায়ী ৩২১৭, আহমাদ
১৩১২২, ১৩০১৬, ১৩৬৩১)
এখানে একজন
সাহাবা (রাঃ) বলেছেন
যে ”তিনি আজীবন রাতভর
সলাত পড়বেন” তার
উত্তরে রসুল (সাঃ)
বলেছেন, “আমি সলাত
পড়ি এবং নিদ্রাও যাই “সুতরাং যে আমার সুন্নত
হতে মুখ
ফিরিয়ে নিবে, সে আমার
দলভুক্ত নয় ।”
এখানে রসুল (সাঃ)
অথবা কোনও
সাহাবা (রাঃ)
যদি সারা রাত সলাত
পড়তেন
তাহলে এটি মানা যেত
কিন্তু তিনি তার
সুন্নতকে ছেড়েদেয়া ব্যক্তিকে বলেন
যে “সে আমার দলভুক্ত না”
এখন এই
বুজুর্গরা কি রাসুল
(সাঃ), সাহাবা (রাঃ)
দের চেয়েও
আল্লাহর
কাছে বেশি
প্রিয়???
বেশি ইবাদত
গুজার???
বেশি আল্লাহ
ভক্ত???
বেশি ভাল???
কেউ যদি মনে করেন
তাহলে তিনি মানতে পারেন
কিন্তু আমি তার বিপরিত।
কেননা রসুল (সাঃ)
বলেছেন, “আল্লাহর কসম!
আমি তোমাদের
চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয়
করি, তার ভয়
অন্তরে তোমাদের
চেয়ে বেশী রাখি। ”
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্নিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেন, যখন সলাত
পড়া অবস্থায় তোমাদের
কারো তন্দ্রা আসবে, তখন
তাকে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত,
যতক্ষন না তার ঘুম
চলে যাবে। কারন,
তোমাদের কেউ
যদি তন্দ্রা অবস্থায়
সলাত পড়ে,
তাহলে সে অনুভব
করতে পারবে না যে,
সম্ভবত:
সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে
(সহীহুল বুখারী ২১২, মুসলিম
৪৮৬, তিরমিযী ৩৫৫.
নাসায়ী ১৬২, আবু দাউদ
১৩১০, ইবনু মাজাহ ১৩৭০,
আহমাদ ২৩৭৬৬, ২৫১৩৩,
২৫১৭১, ২৫৬৯৯,
মুয়াত্তা মালেক-২২৫৯,
দারেমী ১৩৮৩)
হে দ্বীনি ভাই,
তাই এই সকল
বানোয়াট
কিচ্ছা কাহিনি থেকে
সাবধান
থাকতে হবে।
এখন আসেন দ্বিতীয়
বিষয়ঃ
এই সহিহ হাদিস থাকার
পরও অনেকে এই বিষয়
টিকে সঠিক সাব্বস্ত করার
জন্য কোরআন হাদিস
থেকে পাই তারা করেন
তারা বলেন “আল্লাহ
ইচ্ছা করলে হতেও পারে”

ঠিক এই ধরনের
কথাও কাদিয়ানি/ ভণ্ড
নবি দাবিদার রাও করে।
কি ভাবে তা বলছি,
তারা বলে দেখেন
আল্লাহ
বলেছেন, ”ইন্নালহা আলা কুল্লি স
কাদির” অর্থ: নিশ্চই
আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বচ্চ
ক্ষমতাবান এবং সে কোরআনের
কোন কোন সুরায় কোন
আয়াতে, আয়াত
সংখ্যা কত, কতবার
বলা হয়েছে সব বলবে।

এখন
আপনাকে বলবে বলেনতো তাহল
কি ক্ষমতা নাই একজন নতুন
নবী পাঠানোর?”
এখন আপনি কোন
দিকে যাবেন? যদি বলেন
যে ক্ষমতা নাই
তাহলে ক্ষমতা অস্বিকার
করার কারনে কাফের
হয়ে যাবেন
আবার
যদি বলেন
যে হ্যা ক্ষমতা বান
তাহলে কাদিয়ানি নবীকে বিশ্
করতে হবে তাতেও
আপনি কাফের
হয়ে জাবেন।
অপব্যাখ্যার
লেটেস্ট সংস্করন
ঠিক একই
ভাবে এনারা বলছেন “আল্লাহ
ইচ্ছা করলে হতেও পারে”
আল্লাহ কি পারেন না ?
এখন আপনি কোন
দিকে জাবেন
তা আপনার উপর
ছেড়ে দিলাম। সেই বুজুর্গ
এর ১২দিন ৪০,৬০,৯০ বছর এক
উজুতে সলাত
পরা মানবেন নাকি রাসুল
(সাঃ) এর সাহিহ হাদিস
মানবেন। কেননা রসুল (সাঃ)
বলেছেন, “আমি সলাত
পড়ি এবং নিদ্রাও যাই “সুতরাং যে আমার সুন্নত
হতে মুখ
ফিরিয়ে নিবে, সে আমার
দলভুক্ত নয় ।”
এই হল ইলিয়াসি তাবলীগ
জামাত।
হে মুসলিম ভাই
আপনি কোথায়
ফিরে চলছেন??
একবার
ভাবুন??
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
হতে বর্নিত,নবী (সাঃ)
বলেন,“নিশ্চয় দ্বীন সহজ।
যে ব্যক্তি অহেতুক
দ্বীনকে কঠিন বানাবে,
তার উপর দ্বীন
জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ
মানুষ পরাজিত হয়ে আমল
ছেড়ে দিবে।)
সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক
এবং (ইবাদতে)
মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর।
তোমরা সুসংবাদ নাও। আর
সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের
কিছু অংশ ইবাদত করার
মাধ্যমে সাহায্য নাও ।(সহীহুল বুখারী ৩৯, ৫৬৭৩,
৬৪৬৩, মুসলিম ২৮১৬,
নাসয়ী ৫০৩৪, ইবনু মাজাহ
৪২০১, আহমাদ ৭১৬২, ৭৪৩০,
৭৫৩৩, ২৭৪৭০)
আল্লাহ
আমাদেরকে বোঝার
মত তাওফিক দিন
আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন