বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

ভূমিকা ২ আমি কেন ইলিয়াসী তাবলিগ করি না?-৩

ভূমিকা
====
" Lutfor Farazi অথবা অন্যকোন নাম ধারী "

ঐই মোল্লা শিরক কি ?এবং কাকে বলে তাই জানে না।

জাকারিয়া ছাহেব তার ফাজায়েলে আমল এর ভুমিকাতে লিখেছেন,""এত বড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালের নাজাতের জন্য উচিলা হইবে।"" তিনি দ্বীন এর জন্য যে বইটি লিখেছেন তাতে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি নয়; তার বুজুর্গ ইলিয়াস ছাহেব এর সন্তুষ্টি বিধানে লিখেছেন যাতে করে তা পরকালে নাজাতের জন্য উচিলা হতে পারে।

আর আল্লাহ বলেন,
"তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।" (সূরা আল বাক্বারাহ:২৭২)

"এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, সলাত প্রতিষ্টা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের গৃহ।" (সুরা রাদ:২২)

"আত্নীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য দিন এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরও। এটা তাদের জন্যে উত্তম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। তারাই সফলকাম।" (সূরা আর-রূম:৩৮)

"মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে।" (সূরা আর-রূম:৩৯)

উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে জানা গেল যে, সফলকাম হবার জন্য, পরকালে নাজাত পাবার জন্য যদি কিছু করা হয়, তবে তা হতে হবে একমাত্র ""আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে""।

কোন নবী, রাসুল, পীর, বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধানে নয়।

""যদি আল্লাহর ব্যতীত অন্য কারো সন্তুষ্টি বিধানে করে তবে তা শির্ক।""

""নাম ধারীরা""

এবার এই হাদিসটি দেখুন, সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে (হজ্জ) একটি কঠিন রোগে আমি আক্রান্ত হলে, রাসূল ﷺ আমার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আসতেন। একদিন আমি তাঁর কাছে আরয করলাম, আমার রোগ চরমে পৌছেঁছে আর আমি সম্পদশালী। একটি মাত্র কন্যা ছাড়া কেউ আমার ওয়ারিস নেই। তবে আমি কি আমার সম্পদের দু’ তৃতীয়াংশ সাদাকা করতে পারি? তিনি বললেন, না। আমি আবার আরয করলাম, তা হলে অর্ধেক। তিনি বললেন, না। তারপর তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশও বিরাট পরিমাণ অথবা অধিক। তোমার ওয়ারিসদের অভাব মুক্ত রেখে যাওয়া, তাদের অভাব গ্রস্ত রেখে যাওয়া মানুষের কাছে হাত পাতার চাইতে উত্তম। আর "আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের" জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার বিনিময় দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে (তারও প্রতিদান পাবে) আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূল ﷺ! (আফসোস) আমি আমার সাথীদের থেকে পিছনে থেকে যাব? তিনি বললেন, তুমি যদি পিছনে থেকে নেক আমল করতে থাক, তাহলে তাতে তোমার মর্যাদাও উন্নতি বৃদ্দিই পেতে থাকবে। তাছাড়া, সম্ভবত, তুমি পিছনে (থেকে যাবে)। যার ফলে তোমার দ্বারা অনেক কাওম উপকার লাভ করবে। আর অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীগণের হিজরত বলবৎ রাখুন। পশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস! সা’দ ইবনু খাওলার জন্য (এ বলে) রাসূল ﷺ তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করছিলেন, যেহেতু মক্কায় তাঁর ইন্‌তিকাল হয়েছিল। (সহীহ বুখারি, অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা, হাদিস নাম্বার: 1218)

যদি এই হুজুর এর কথাগুলো সঠিক হত তবে এখানে,"আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার (উত্তম) বিনিময় দেওয়া হবে।"

কথাটি না বলে এটাও তো বলতে পারতেন,"আর তোমার আমার সন্তুষ্টির জন্য/তোমার কন্যার সন্তুষ্টির জন্য/যাদেরকে সদকা করবে তাদের সন্তুষ্টির লাভের জন্
তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার (উত্তম) বিনিময় দেওয়া হবে।

কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা:) তা না বলে বলেছেন,"আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার (উত্তম) বিনিময় দেওয়া হবে।"

অতএব প্রমাণিত হল, জাকারিয়া ছাহেব তার ফাজায়েলে আমল এর ভুমিকাতে,""এত বড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালের নাজাতের জন্য উচিলা হইবে।""

লিখেছেন তা স্পষ্ট একটি শিরক।"

বিঃদ্রঃ-২ >- শাহবাগী,যারা ইসলাম  মাজহাব মানে না তাদের কে  লা-মাজহাবী বলা হয়, সমস্ত পীর নামে শয়তানের চেলা ভক্তরা ১০০.২ গজ দূরে থাকুন।

   #S#

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন