রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

Al-Baraheen al-Qatiya, কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী লেখেন

Al-Baraheen al-Qatiya, কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী লেখেন:

” ….একজন বুজূর্গ নবী মুহাম্মাদ(সা.)-কে (স্বপ্নে??) দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন যখন তিনি দেখলেন যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) ঊর্দুতে কথা বলছেন।
ঐ বুজূর্গ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এই ভাষা কিভাবে জানেন, আপনি তো একজন আরব?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘যখন থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসার ‘আলেমদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, তখন থেকেই আমি এই ভাষা জানি।’ ”
রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী মন্তব্য করেন: ,
  • এ থেকে আমরা এই মাদ্রসার বিশেষত্ব বুঝতে পারি।’

উপরের উদ্ধৃতির মূল লেখাটার , মূল বই থেকে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন:

Click This Link


শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মালু নামক হিন্দু তোদের জন্য

মালুতো মালুর বাচ্চা
মালু নামক হিন্দু তোদের জন্য
1. তোরা যে, কালী পূজার সময় এককোপে পাঁঠাবলি দেস, সেই পাঁঠা কি নিরীহ নয়?
2.নরবলি প্রথা কারা চালু করেছে?
3.মুরগি, হাঁস, ছাগল কি নিরীহ নয়?
4.উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। সুত্রাং তাদের কেটেকুটে খাওয়াটাও কি জীবহত্যা নয়?
তোমরা সারাজীবন বর্বর বর্বর বলে চিৎকার কর।
অথচ তোমরাই হল বর্বর।
তোমাদের অধিকাংশ দেব-দেবীই নরবলি না পেলে তুষ্ট হয়না।
তোমাদের গো-মায়া দেখে আমারই কান্না পাচ্ছে।
গোমাতা হত্যা পাপ।
অথচ সেই মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টাকার জন্য পাচার করা পাপ নয়?
তোমরাই পাপী, মহাপাপী।
নিজে করলে দোষ না অন্য কেউ করলেই দোষ হা হা হা হা হা মালুর জাত হিন্দু¡¡¡
মালু কেট হিন্দু
26/09/2015 Md SaRower HosSain

% নতুন চাদেঁর নির্দেশনা কি? ((ঈদ পর্ব ২য়)) %

% নতুন চাদেঁর নির্দেশনা কি? %
________________________________
নুতন চাঁদ পৃথিবীর কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে এবং চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক যেহেতু অত্র ফাতওয়ায় আলোচিত সকল ইবাদাত উদযাপন চাঁদের তারিখের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই নুতন চাঁদ পৃথিবীর কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে আমাদেরকে সর্বাগ্রে সে ব্যাপারে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এ বিষয়ে ভৌগলিক গবেষণার ফলাফল হলো প্রতি চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময়ই সর্ব প্রথম মধ্য প্রাচ্যের কোন না কোন দেশে দৃষ্টিগোচর হবে।
কারণ চান্দ্র মাসের প্রথম দিনে চাঁদ এবং সূর্য প্রায় একই সময়ে পূর্ব দিগন্তে (জাপানে) উদিত হয়।
এবং উদয় স্থলের পূর্ণ বিপরীত মেরুতে (দক্ষিণ- পশ্চিম আটলান্টিকে) সূর্য অস্ত যাওয়ার প্রায় ৪৯ মিনিট পরে চাঁদ অস্ত যায়।
অর্থাৎ সর্ব পশ্চিম দিগন্তে প্রথম তারিখের চাঁদ সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও প্রায় ৪৯ মিনিট আকাশে থাকে।
এ সময় সূর্যাস্তের পর দিগন্তে চাঁদের যে কিঞ্চিত অংশটুকু সূর্যের আলোয় প্রতিফলিত হয় তাকেই আমরা নুতন চাঁদ হিসেবে দেখি।
প্রথম দিনের চাঁদ সূর্যের ৪৯ মিনিট পরে অস্ত যায় বলেই ২য় দিনের চাঁদ সূর্য উদয়ের ৪৯ মিনিট বিলম্বে পূর্বাকাশে উদিত হয়।

কারণ আকাশের যে দিগন্ত রেখা আটলান্টিকের জন্য অস্তস্থল, আবার সে দিগন্ত রেখাই জাপানের জন্য উদয়স্থল।
এভাবে প্রতি দিনই উদয়ের বিলম্বতায় ৪৯ মিনিট করে যুক্ত হতে থাকে।
এ কারণেই ২৯ দিনে চাঁদকে ২৯টি স্থানে উদয় হতে দেখা যায়। আবার সাড়ে ২৯ দিন পরে চাঁদ ২৪ ঘন্টা ঘুরে এসে পরবর্তী চন্দ্র মাসের ১ তারিখে আবার নুতন করে সূর্যের সঙ্গে প্রায় একই সময় উদিত হয়।
গবেষণালব্ধ আলোচিত তথ্যগুলোকে সঠিক প্রমাণিত করছে এ হিসেবটি।
প্রতি দিনের চাঁদ উদয়ে বিলম্ব ঘটে ৪৯ মিনিট। প্রতি চান্দ্র মাসের পরিধি হচ্ছে সাড়ে ২৯ দিন ৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা। সুতরাং (৪৯ X ২৯১/২ দিন / ৬০ মিনিট) = ২৪ ঘন্টা।
এভাবেই প্রতি সাড়ে ২৯ দিনে চাঁদ ২৪ ঘন্টা সময় অতিক্রম করে পরবর্তী চান্দ্র মাসের ১ তারিখে আবার পূর্বের স্থানে সূর্য উদয়ের সমান সময়ে উদিত হয়।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, জাপান ও আটলান্টিকের মধ্যকার ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদ অস্ত যাওয়ার মধ্যে ব্যবধান হয় ৪৯ মিনিট।
ভৌগলিক ভাবে প্রমাণিত যে, গ্রীনিচমান সময়ের (GMT) দিক থেকে পৃথিবীর সর্ব প্রথম সূর্য উদয়ের দেশ জাপান। যার ভৌগলিক অবস্থান ১৪২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ।
এ উদয় স্থল হিসেবে পূর্ণ বিপরীত মেরুর অস্তস্থল হল দক্ষিণ পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগর। যার ভৌগলিক অবস্থান ৩৮ ডিগ্রী পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশ।
এ উদয় ও অস্ত স্থলের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১২ ঘন্টা এবং অবস্থানগত দূরত্ব ১৮০ ডিগ্রী। কারণ প্রতি ১ ডিগ্রীতে সময়ের ব্যবধান ৪ মিনিট।
চান্দ্র মাসের ১ তারিখে চাঁদ ও সূর্য প্রায় একই সময়ে জাপানে উদিত হয়ে ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করে সন্ধ্যায় সূর্য যখন আটলান্টিকে অস্ত যায়, চাঁদ তার পরেও আটলান্টিকের আকাশে থাকে প্রায় ৪৯ মিনিট।
১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে যদি সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান হয় ৪৯ মিনিট তাহলে এর অর্ধেক পথ অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান হবে সাড়ে ২৪ মিনিট।
মধ্য প্রাচ্যের (ইয়েমেন, রিয়াদ ও বাগদাদ) অবস্থান ৪৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে হওয়ায় উদয় স্থল জাপান ও অস্ত স্থল আটলান্টিকের সঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের ভৌগলিক অবস্থানের ব্যবধান ৯০ ডিগ্রী।
যে কারণে মধ্য প্রাচ্যে যখন সূর্যাস্ত হয় তার পরেও চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ মধ্য প্রাচ্যের আকাশে থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট।
ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সকল সময়ে সর্বপ্রথম মধ্য প্রাচ্যেই দৃষ্টি গোচর হবে।
এবং ক্রমান্বয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ সমূহে সূর্যাস্তের পরে চাঁদের স্থায়িত্ব আকাশে বেশি সময় থাকবে। যার ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখে ঐ সকল পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশে চাঁদ ক্রমান্বয়ে বেশী সময় ধরে দেখা যাবে।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য থেকে পূর্বাঞ্চলীয় দেশসমূহ ক্রমান্বয়ে উদয় স্থলের নিকটবর্তী হওয়ায় সূর্যাস্তের পরে এখানকার আকাশে ১ তারিখের চাঁদের স্থায়িত্ব কম সময় থাকে এবং চাঁদ দিগন্তে আকাশে কম উঁচুতে থাকে বলেই উদয়স্থলের নিকটবর্তী দেশ সমূহ পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, চীন বা জাপানে কখনই চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ দেখা যাবে না।
উল্লেখিত আলোচনায় প্রমাণিত যে, প্রতি চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময় সর্বপ্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোন না কোন দেশে দেখা যাবে।
এর পরে আমাদের জানা প্রয়োজন, চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক?
সময়কে বিশ্লেষণ করলে আমরা সেকেন্ড , মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছর সময়ের এ ৬টি স্তরের অস্তিত্ব খুজে পাই।
সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের উল্লেখিত সকল স্তর অথবা কোন না কোন স্তরের নির্দেশক।
যেমন মহান আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন- ﻭﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﺑﺤﺴﺒﺎﻥ অর্থাৎ সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের হিসেব নির্দেশক।-(সূরাহ আর-রহমান-৫)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সূর্য ও চাঁদ উভয়ে একই ভাবে সময়ের উল্লেখিত স্তরগুলোর নির্দেশক? না কি এক একটি এক এক ধরনের সময় নির্দেশক?
এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল হল সূর্য সময়ের উল্লেখিত ৬টি স্তরের প্রতিটিরই নির্দেশক।
অর্থাৎ সূর্যের পরিভ্রমণের মাধ্যমে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছরের হিসেব নির্ধারণ করা হয়।
পক্ষান্তরে চাঁদ শুরু ও শেষ হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র বছর ও মাসের হিসেব নির্ধারিত হয়।
কিন্তু চাঁদের শুরু-শেষ, পূর্ণতা ও ক্ষয়ের সঙ্গে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা এবং দিবা- রাত্রির আগমণ- প্রস্থানের কোন সম্পর্ক নেই।
পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত এটাই প্রমাণ করে। এরশাদ হচ্ছে- - ﻫﻮﺍﻟﺬﻯ ﺟﻌﻞ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﺿﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﻧﻮﺭﺍ ﻭﻗﺪﺭﻩ ﻣﻨﺎﺯﻝ ﻟﺘﻌﻠﻤﻮﺍ ﻋﺪﺩ ﺍﻟﺴﻨﻴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﺎﺏ অর্থাৎ তিনি আল্লাহ্ যিনি সূর্যকে করেছেন প্রখরতাপূর্ণ আলো আর চাঁদকে করেছেন স্নিগ্ধময় আলো। আর চাঁদের জন্য নির্ধারণ করেছেন অনেক গুলো মানযিল। (২৯দিনে ২৯টি উদয় ও অস্তন্থল) যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখ্যা ও হিসাব। -(সূরাহ ইউনূস, আয়াত-৫)
অত্র আয়াতে কারীমায় “বছর” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও “মাস” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ না করে বরং তাকে ﺣﺴﺎﺏ শব্দে রূপকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারণ চান্দ্র বছর হয় সুনির্দিষ্ট ১২টি চন্দ্র মাস অথবা ৩৫৪দিনের সমন্বয়ে। এতে কোন কম বেশী হয়না।
কিন্তু চান্দ্র মাস গুলো সুনির্দিষ্ট সংখ্যক দিন নিয়ে গঠিত নয়।বরং কোন মাস ২৯দিনে আবার কোন মাস ৩০দিনে হয়।
অন্যদিকে এবছর যে চান্দ্র মাসটি ৩০দিনে হবে, আগামী বছর সে মাসটি ৩০দিনে হতে পারে, আবার ২৯দিনেও হতে পারে।কিন্তু মাস বলতে সুনির্দিষ্ট ৩০দিনকেই বুঝায়।
এ কারণেই মহাবিজ্ঞ মহান রব্বুল আলামীন অত্র আয়াতে চান্দ্র মাসকে ﺷﻬﺮ বা মাস না বলে ﺣﺴﺎﺏ বলে উল্লেখ করেছেন।
অতএব পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে প্রমাণিত যে “চাঁদ শুধুমাত্র মাস ও বছরের সময় নির্দেশক”।
সময়ের এ ২টি স্তর সামগ্রিকভাবে বিশ্ববাসীর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
পক্ষান্তরে সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের প্রথম ৪টি স্তর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা ও দিন- রাত স্থানীয়ভাবে স্থানীয় মানুষের জন্য প্রযোজ্য।

মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে সালাতের দলিল (১ম পর্ব)

মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
সকল প্রশংসা জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি পরিপূর্ণ দ্বীন হিসাবে আমাদেরকে ইসলাম দান করেছেন, যে দ্বীনে মানুষের পক্ষ থেকে কোন সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন হয় না ৷
সালাত ও সালাম তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যিনি আল্লাহর দ্বীনের রিসালাতের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করেছেন, কোথাও কোন কার্পণ্য করেননি ।
দ্বীন হিসাবে যা কিছু এসেছে তিনি তা উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ও নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন ৷ তার সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষিত হোক, যারা ছিলেন উম্মতে মুহাম্মাদীর আদর্শ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ পালনে সকলের চেয়ে অগ্রগামী ৷
পবিত্র কুরআনের সূরা তাওবার ০৯:৩৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমান গুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে । তার মধ্যে চারটি সম্মানিত । এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান । সূতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না”
সূরা ইউনুসের ১০:৫ম আয়াতে বলা হয়েছে- “তিনি (আল্লাহ), যিনি সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চন্দ্রকে আলোকময় বানিয়েছেন এবং ওর (গতির) জন্য মঞ্জিলসমূহ নির্ধারণ করেছেন যাতে তোমরা বছরসমূহের সংখ্যা হিসাব জানতে পার পৃথিবীতে দিন বলতে (রাত্র দিবা অথবা রাত্র রাত্র) সময় ২৪ ঘন্টাকে বুঝানো হয় ।
কোন জনগোষ্ঠীর দিন শুরু হয় রাত্র ১২ টা হতে পরবর্তী রাত্র ১২ টা পর্যন্ত ।
তাদের মাস ফেব্রুয়ারী ব্যতিত সকল মাস ৩০ বা ৩১ দিনে, ১২ মাসে এক বছর এবং বছর ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে হয় ।
বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মার দিন শুরু হয় সূর্যাস্ত হতে পরবর্তী সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত ।
মাস ২৯ বা ৩০ দিনে, ১২ মাসে এক বছর এবং বছরের দিন নির্দিষ্ট নয় (কারন চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভরশীল) সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয় । সমগ্র বিশ্বে (সকল ধর্মে) সময় নির্ধারিত হয় সূর্যের সাথে সম্পর্ক করে ।
তাই পৃথিবীর পূর্ব হতে ক্রমান্বয়ে পশ্চিম দিকে সূর্যদ্বয় এবং সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য দেখা যায় সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা ।
অতএব মুসলিমদের জন্য কোন দেশে রাত্র (দিন শুরু) আবার কোন দেশে দিবা (দিনের অর্ধাংশ) অর্থাৎ একই দিন ।
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সালাতের সময় পৃথিবী সূর্যের আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের পার্থক্যের সাথে সম্পৃক্ত ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন: ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣَﻮْﻗُﻮﺗًﺎ )ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ : ১০৩) ‘নিশ্চয় সালাত মুসলিমদের উপর ফরজ নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে’ (সুরা-আন- নিসা: ০৪:১০৩)
আপনার পালন কর্তার সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যদ্বয়ের পূর্বে সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবা ভাগে (ত্বোয়া হাঃ আয়াত ২০:১৩০)
অতএব তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্বরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে (আর রুমঃ আয়াত ৩০:১৭, ১৮)
আর দিনের দুই প্রান্তেই সালাত ঠিক রাখবে এবং রাতে ও প্রান্ত ভাগে (হুদঃ আয়াত ১১:১১৪)
সূর্য্য ঢলে পরার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করুন (বণি ইসরাঈলঃ আয়াত ১০:৭৮)
  • ফজরঃ-(সূর্য দ্বয়ের পূর্বে- ত্বোয়া-হা২০/১৩০; প্রান্ত ভাগে- হুদ১১/১১৪) সূর্যদ্বয়ের আগ পর্যন্ত । রাসুল (সঃ) ফজরের সালাত এমন সময়ে পড়তেন যে, সালাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে চিনতে পারতেন না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৬০ পৃঃ)

  • যোহরঃ-(মধ্যাহ্নে-রুম৩০/১৭, ১৮; দিবা ভাগে-ত্বোয়া হা২০/১৩০) সূর্য মাথার উপর হেলে যাওয়ার পর হতে কোন কাঠি বা মানুষের ছায়া তার সমান দীর্ঘ না হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, মেশকাত হাঃ নং ৫৮১)

  • আছরঃ- (অপরাহ্নে- রুম৩০/১৭, ১৮) বস্তুর মুল ছায়া একগুন হওয়ার পর থেকে হলুদ রং হওয়া পর্যন্ত বাকি থাকে (মুসলিম, মেশকাত, হাঃ নং ৫৩৪)

  • মাগরীবঃ- (সূর্যাস্তের পূর্বে-ত্বোয়া হা২০/১৩০; সুর্য্য ঢলে পরার সময় থেকে… ইসরাঈল১৭/৭৮) সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিম আকাশে লাল আভা দূর না হওয়া পর্যন্ত থাকে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৫০ পৃঃ)

  • এশাঃ-(রাত্রির কিছু অংশ-ত্বোয়হা২০/১৩০; রাতে- হুদ১১/১১৪) মাগরীবের পর হতে অর্ধ রাত্র পর্যন্ত (মুসলিম, মেশকাত ৫৯ পৃঃ)

  • জুমআঃ-প্রতি শুক্রবার যোহর সালাতের ওয়াক্তে । সাহাবী সাহল বিন সাআদ (রাযিঃ) বলেন, আমরা জুমুআর সালাতের আগে দুপুরের বিশ্রামও করতাম না এবং দুপুরের খাবারও খেতাম না বরং পরে করতাম (বুখারী মুসলিম, মেশকাত আলবানী ১/৪৪১ পৃঃ)

উপরের আল্লাহর বাণী এবং হাদিসের আলোকে দেখা যায় আমরা বিশ্বের সকল মুসলিমরা একই দিনে সূর্যের সাথে সম্পর্ক করে (শরিয়া অনুযায়ী) ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সালাত আদায় করি ।
এছাড়া কিছু কিছু এলাকাতে (মেরু এলাকাতে) ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত হয় । নরওয়েতে কখনই রাত বা সন্ধ্যা হয়না এবং ইউরোপের কয়েয়কটি দেশে কখনও কখনও দিন ২৩ ঘন্টা পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়ে থাকে।
তাদের বলা হয়েছে- পার্শ্ববর্তী দেশের সময়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দিনের বেলায় সেহেরি খাবে, দিনের বেলায় ইফতার করবে ।
আবার যখন ৬ মাস রাত্রি তখন রাতে সেহেরি খাবে আবার রাতেই ইফতার করবে ।
সালাত আদায়ের জন্যও একই নির্দেশ (বুখারি)
যাকাত পবিত্র কুরআন বলে-
তোমাদের বন্ধুতো একমাত্র আল্লাহ তাঁর রাসুল এবং মুমিন বান্দা যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র (সুরা মায়েদার আয়াত ৫৫)
যাকাতের কোন সমষ্টিগত নির্ধারিত কোন সময় দিন নেই ।
এটা যার যার ব্যক্তিগত সময় দিন সম্পদের উপর নির্ধারিত ।
যে দিন হতে কোন ব্যক্তি নিসাব পরিমান (৫২.৫০ তোলা খাঁটি রুপা বা ৭.৫০ তোলা খাঁটি সোনা বা রুপা/ সোনার যে কোন একটির নিসাব পরিমান নগদ টাকা ইত্যাদি) সম্পদের মালিক হবে তার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে শতকরা ২.৫% হারে যাকাত দিতে হবে (বুখারী হাদিস নং ১৩৮৮) ।
এটা এক এক জনের বছরের যে কোন দিন হতে পারে ।
চলবে.....-

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

তাকাব্বাল আল্লাহ্ মিন্না ওয়া মিনকুম

তাকাব্বাল আল্লাহ্ মিন্না ওয়া মিনকুম
আজ ঈদ উল আযহা। মুসলিমদের ২ টি উৎসবের একটি। বিশ্বর মুসলিমরা আজ ঈদ এর সলাত পড়বে, কোরবানি দিবেঃ

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভারতীয় গরু থেকে সাবধান

[img]http://m.facebook.com/md.sarower.hossain55/photos/a.1474678739450550.1073741826.1443603405891417/1612863308965425/?type=3&source=56[/img] একটা গোপন সত্য তথ্য তুলে ধরছি আপনাদের সামনে।
ভারত আমাদের গরু দিবে না বলে স্রেফ জানিয়ে দিয়েছিলো কিছু দিন আগে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ ‘বাংলাদেশে গরু পাঠানো হবে না’ বলে খুব বাহবা পেয়েছিলো হিন্দুদের কাছ থেকে।
এমনও বলেছিলো, তারা বাংলাদেশের মানুষের গরু খাওয়া বন্ধ করে দিবে। কিন্তু অবশেষে টাকার লোভে পিছু হটলো তারা।
বাংলাদেশে গরু পাঠিয়ে ভারত যে বিশাল অংকের মুনাফা করতো সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবে-এ বিবেচনায় তাদের মুসলিম বিদ্বেষী আক্রোশ দমন করতে বাধ্য হলো। এখন নিজেদের ৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি ঠেকাতে সীমান্ত দিয়ে বন্যার স্রোতের মতো গরু পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে।
শুধু কি ব্যবসায় লাভ করার জন্য গরু পাঠাচ্ছে? না।
দেখুন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্টে ভারত থেকে বাবুলাল সরকার নামক এক ভারতীয় লিখেছে-
//“আরে বাংলাদেশী শুযোরের বাচচা, আমরা বা রাজনাথ সিং রা যে গরু পাঠাচ্ছে, তাদের প্রত্যকটাকে বিভিন্ন ক্রানিক রোগের জিবানু ইনজেকশন করে দেওয়া হয়। ওই গরুর মাংস খাবি আর ক্রনিক ক্রনিক রোগে ভুগবি আর ভারতে এসে চিকিত্সা করাবি। আমাদের লক্ষ্য : গরু বেচে পয়সা কামাবো আবার রোগের চিকিত্সা করেও পয়সা কামাবো । মানে ,,,,.... পোয়াও মারবো.... আবার ধোনের ভাড়াও নেব ।”// (কমেন্টের লিঙ্ক: চাইলে দেওয়া হবে)
সূতরাং বাংলাদেশে ভারতীদের গরু পাঠানোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হতে পারে তিনটি:
ক) বাংলাদেশে থেকে ভারতের মোটা অংকের টাকা তুলে নেওয়া।
খ) অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে গরু ছেড়ে বাংলাদেশী খামারীদের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করা।
গ) গরুর শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে স্লো-পয়জনিং করা, এতে গরুর গোশত খেয়ে সেই বিষ মানুষের দেহেও সঞ্চালিত হয়ে রোগ সৃষ্টি করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।
তাই বাংলাদেশীদের উচিত, নিজের ও পরিবারের জীবন সুরক্ষায় ভারতীয় গরু বর্জন করা।

হিন্দী ইলিয়াসী তাবলীগ এর গুমোর ফাঁস !!!¡¡¡- পর্ব চার (৪) ইলিয়াসী তাবলীগ এর দল ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর অর্থ বিকৃতি কারী

হিন্দী ইলিয়াসী তাবলীগ এর গুমোর ফাঁস !!!¡¡¡- পর্ব চার (৪)
ইলিয়াসী তাবলীগ এর দল ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর অর্থ বিকৃতি কারী
এই গাট্টি পাট্টি হিন্দি ইলিয়াসী তাবলীগ এর অনুসারিরা
  • ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর তরজমা করে ""কিছু থেকে কিছু হয় না, সব কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় ।দোকানে খাওয়ায় না, চাকরিতে খাওয়ায় না, ব্যবসা-বাণিজ্য খাওয়ায় না, আল্লাহ খাওয়া।

  • এই বিশ্বাস করার নাম ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ""

জবাব:
মূলত ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই কোন ইলাহ নেই অর্থাত্‍ ইলাহ হিসাবে একমাত্র আল্লাহ সুবঃ কেই মেনে নেওয়া এবং অন্য সকল বাতিল ইলাহকে বর্জন করা আর ইলাহ বলা হয় যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক(০২/১৬৫,৩৬/৮৩,৩৮/১০), যার আনুগত্য করা ফরজ (সূরা নং ও আয়াত নং ৩/৩২,১৩২; ৪/১৩,৫৯,৬৯,৮০; ৫/৯২; ৮/১,২০,৪৬; ৯/৭১; ২৪/৪৭,৫২,৫৪; ৩৩/৩১,৩৩; ৪৭/৩৩; ৪৮/১৭; ৪৯/১৪; ৫৮/১৩; ৭৩/১৫,১৯)।
  • সুতরাং ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর মর্ম কথা হলো আল্লাহর আনুগত্যের বিপরীতে অন্য কারো আনুগত্য করা যাবেনা ।

  • আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে অন্য কোন মানব রচিত হুকুম নিয়ম নীতি মানা যাবে না

  • ব্যক্তি থেকে আন্তজার্তিক জীবনে আল্লাহর দেওয়া নিয়ম নীতি মান্য করতে হবে।

কিন্তু এরা ইলিয়াসি তাবলীগ মসজিদে বলে একটা বাস্তব জীবনে করে আরেকটা | তারা দুয়াবীর জীবনে আল্লাহ কে ইলাহ সব ক্ষেত্রে গ্রহণ না করে ইলাহ হিসাবে বেছে নিয়েছে ইউরোপ আমেরিকা ইত্যাদি দেশের নিয়ম নীতি বিধি বিধানকে | এদের মতে আল্লাহ ও তার রসূলের নিয়ম নীতি বিধান থাকবে শুধু মসজিদে আর বাকি সম্স্ত ক্ষেত্রে থাকবে ইউরোপ ও অন্যান্য দের নিয়ম নীতি বিধি নিষেধ মান্য করে ।

51. ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍ ﺇِﻟَٰﻬَﻴْﻦِ ﺍﺛْﻨَﻴْﻨِۖﺈِﻥَّﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺇِﻟَٰﻪٌ ﻭَﺍﺣِﺪٌۖﻓَﺈِﻱَّﺍﻱَ ﻓَﺎﺭْﻫَﺒُﻮﻥِ আল্লাহ বললেনঃ তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর। 52. ﻭَﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦُ ﻭَﺍﺻِﺒًﺎۚﺃَﻓَﻎَﻳْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﺘَّﻘُﻮﻥَ যা কিছু নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আছে তা তাঁরই এবাদত করা শাশ্বত কর্তব্য। তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করবে?(সূরা: An-Nahl মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ১৬/৫১-৫২)
  • হিন্দী ইলিয়াসী তাবলীগ এরা "লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ "এর সঠিক ব্যাখ্যা করে না, করলে বিগত জাতির লোকদের মত বর্তমান পূথিবীর কাফের মুশরিক শাসক নেতা সমাজ প্রধানরা তাদের পথভ্রষ্ট ,গোমরাহ, গালি গালাজ করত, নির্বোধ, মিথ্যাবাদী, তোমাদের পিতাকে হত্যা করব ,তোমাদের দেশ বা তোমাদের বসতি থেকে বেড় করে দিব ইত্যাদি বলত
  • কিন্তু তাদের হোয়াইট হাউজে খাওয়া
    তাদের জন্য ভিসা রেডি যেখানে সেখানে যেতে পারে
    • গনতন্ত্র বাদীরা না আসলে টুঙ্গীর মোনাজাত হয় না

    নিচে দেখুন বিগত জাতির বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রমাণ কি করে তার
    এক আল্লাহ দিকে দাওয়াত দিলে
    আল কুর’আনে তাওহীদের বিষয়ে ৯ নবীর ভাষণ এবং দাওয়াত
    (১) হযরত নুহ আলাইহি সালাম “নিশ্চয় আমি নুহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠিয়েছি সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত করতিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই আমি তোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি”[সুরা আরাফ,৭:৫৯]
    জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ “তার সম্প্রদায়ের সর্দাররা বলল: আমরা তোমাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতার মাঝে দেখতে পাচ্ছি”[সুরা আরাফ, ৭:৬০]
    (২) হযরত হুদ আলাইহি সালাম “আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই”[সুরা আরাফ, ৭:৬৫]
    জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ তারা সম্প্রদায়ের সর্দররা বলল: “আমরা তোমাকে নির্বোধ দেখতে পাচ্ছি এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি”[সুরা আরাফ, ৭:৬৬]
    “তারা বলল: তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যে এসেছ যে আমরা এক আল্লাহর এবাদত করি এবং আমাদের বাপ-দাদা যাদের পূজা করত, তাদেরকে ছেড়ে দেই? অতএব নিয়ে আস আমাদের কাছে যা দ্বারা আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছ, যদি তুমি সত্যবাদী হও”[সুরা আরাফ, ৭:৭০]
    (৩) হযরত সালেহ আলাইহি সালাম “সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ এসে গেছে এটি আল্লাহর উষ্টী তোমাদের জন্যে প্রমাণ অতএব একে ছেড়ে দাও, আল্লাহর ভুমিতে চড়ে বেড়াবে একে অসৎভাবে স্পর্শ করবে না অন্যথায় তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পাকড়াও করবে”[সুরা আরাফ, ৭:৭৩]
    জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ “দাম্ভিকরা বলল, তোমরা যে বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আমরা তাতে অবিশ্বাসী”[সুরা আরাফ, :৭৬]
    (৪) হযরত ইব্রাহীম আলাইহি সালাম “আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী”[সুরা মারইয়াম, ১৯:৪১]
    জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ “পিতা বলল: যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও”[সুরা মারইয়াম, ১৯:৪৬]
    (৫) হযরত শুয়াইব আলাইহি সালাম “আমি মাদইয়ানের প্রতি তাদের ভাই শোয়ায়েব কে প্রেরণ করেছি সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর এবাদত কর তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ এসে গেছে অতএব তোমরা মাপ ও ওজন পূর্ন কর এবং মানুষকে তাদের দ্রব্যদি কম দিয়ো না এবং ভুপৃষ্টের সংস্কার সাধন করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না এই হল তোমাদের জন্যে কল্যাণ কর, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও”[সুরা আরাফ: ৮৫]
    জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ অর্থ: “তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক সর্দাররা বলল: হে শোয়ায়েব, আমরা অবশ্যই তোমাকে এবং তোমার সাথে বিশ্বাস স্থাপন কারীদের কে শহর থেকে বের করে দেব অথবা তোমরা আমাদের ধর্মে প্রত্যাবর্তন করবে শোয়ায়েব বলল: আমরা অপছন্দ করলেও কি?” [সুরা আরাফ, ৭:৮৮]
    (৬) হযরত ইয়াকুব আলাইহি সালাম অর্থ: “তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকট বর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বলল: আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব তিনি একক উপাস্য”[সুরা বাক্বারা, ২:১৩৩]
    (৭) হযরত ইউসুফ আলাইহি সালাম “হে কারাগারের সঙ্গীদ্বয়! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ”? [সুরা ইউসুফ, ১২:৩৯]
    (৮) হযরত ঈসা আলাইহি সালাম অর্থ: “তিনি (ঈসা আঃ) আরও বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা অতএব, তোমরা তার এবাদত কর এটা সরল পথ”[সুরা মারইয়াম, ১৯:৩৬]
    (৯) হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও এ তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন, বরং মেরাজের পূর্ব পর্যন্ত শুধু তাওহীদের দাওয়াতই দিয়েছেন কারণ মেরাজের পূর্ব পর্যন্ত সালাত, সওম, হজ্জ, যাকাত এর বিধান নাযিল হয়নি অপর দিকে আল্লাহ আছেন,তিনি সৃষ্টিকর্তা,রিজিকদাতা,বৃষ্টিদাতা,চন্দ্র-সূর্য,গ্রহ-নক্ষত্র,এর পরিচালক এ সকল বিষয় গুলোকে মক্কার কাফেরগণ পূর্ব থেকেই বিশ্বাস করতো,
    সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিতে লাগলেন, তিনি ঘোষণা করলেন :
    অর্থ: “আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই”[সুরা বাক্বারা, ২:১৬৩]
    অর্থ: “বলুন: আমাকে তো এ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য সুতরাং তোমরা কি আজ্ঞাবহ হবে”? [সুরা আম্বিয়া, ২১:১০৮]
    অর্থ: “আল্লাহ বললেন: তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো মাত্র এক জনই অতএব আমাকেই ভয় কর”[সুরা নাহল, ১৬:৫১]
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন বলেই মক্কার কাফেরগণ উত্তর দিয়ে ছিলো:
    অর্থ: “সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার”[সূরা সাদ, ৩৮;৫]
    তারা তাদের পূর্বসূরী কাফেরদের চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে বললও "আর বলত আমরা কি এক পাগল কবির জন্য আমাদের ইলাহদের ছেড়ে দেব?" (সুরা সাফফাত ৩৭/৩৬)
    এখানে দেখা গেল যে আমাদের রসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কার কাফেরা প্রভাবশালী নেতারা পাগল ও উম্মাদ কবি বলে গালি গালাজ করলো।

    ভারতীয় হিন্দু স্থানিয় ইলিয়াসী চিল্লা গাট্টি তাবলীগ ওয়ালাদের কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আমাদের প্রিয় রসূল সাল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়াসাল্লাম এর কালিমা যদি একই হতো তাহলে তাদেরকেও (ভারতীয় হিন্দু স্থানিয় ইলিয়াসী চিল্লা গাট্টি তাবলীগ ওয়ালা)
    বর্তমান যুগের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী মূর্তির হেফাজতকারী মূর্তিপূজারী আগুনপূজারী নাস্তিক মুরতাদ প্রভাবশালী নেতারা তাদের সহযোগীতার পরিবর্তে বিরোধিতা করতো।
    বুঝা গেল ভারতীয় হিন্দু স্থানিয় ইলিয়াসী চিল্লা গাট্টি তাবলীগ ওয়ালাদের কালিমা ও মুহাম্মদ সাঃ এর কালিমা এক না
    (Md SaRower HosSain)