সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

ওপেন চ্যালেঞ্জঃ নাস্তিকরা কেউ নাস্তিক নয়, নাস্তিক দাবিদার সব সর্বঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী


ওপেন চ্যালেঞ্জঃ নাস্তিকরা কেউ নাস্তিক নয়, নাস্তিক দাবিদার সব সর্বঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী

তথাকথিত নাস্তিকদের কাছে আমার প্রশ্ন ছিল, সৃষ্টির শুরু কোথায়?
নাস্তিকদের উত্তর নিম্নরুপঃ

১. শক্তি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা, শক্তির সৃষ্টি নাই , শক্তির ধ্বংস নাই

২. কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নাই ,কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, শুধু পরিবর্তনের মাধ্যমে চক্রাকারে সৃষ্টি হয়েছে

৩. আসলে সব সৃষ্টি ভাগ্যক্রমে হয়েছে।

৪. উত্তর জানা নাই।

৫. এই প্রশ্নের উত্তর জানলেই ঈশ্বরের কফিনে শেষ পেরেক বাধবে।

৬. একদিন হয়তো এগুলো আবিস্কার হয়ে যাবে ।

৭. তুই একটা আস্ত গাধা, পাগোল ,কাঠ মোল্লা!!

৮. বিজ্ঞানে এইরকম প্রশ্ন নাই ।

৯. এই টা কোন যুক্তিপুর্ন প্রশ্ন নয়।

১০. তোমাদের ঈশ্বর কেমনে সৃষ্টি হয়ছে??(পাল্টা প্রশ্ন)

তথাকথিত নাস্তিকদের থেকে বিভিন্ন ধরনের উত্তর পেয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, তারা সবাই ভ্রান্তিতে সন্দেহে ,অনেকে কিছু আস্তিকদের মত জড় বস্তুতে বিশ্বাস এনেছেন এবং সৃষ্টিকর্তা মেনে নিয়েছেন। অনেকে আশায় আছে কবে বিজ্ঞান জানতে পারবে।
তাদের উত্তর গুলোর পর্যালোচনাঃ

১. শক্তি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা, শক্তির সৃষ্টি নাই , শক্তির ধ্বংস নাইঃ
এই যুক্তি তখনই দেওয়া সম্ভব যখন যুক্তির দৌড় শেষ হয়ে যায় , অস্তিত্ব আসলে কিভাবে আসল তার কারন ব্যাখ্যা অবশ্যই নাস্তিকরা করতে বাধ্য ,আস্তিকরা নয়। আস্তিকরা কেন বাধ্য নয় তা আলোচনা করা হবে ১০ নং প্রশ্নের উত্তরে। নাস্তিকদের অবশ্যই উত্তর দিতে হবে শক্তির জন্ম সূত্র। বিজ্ঞান থেকে একটা মুলনিতী বা উসুলের দলিল দেন যেখান বলা হয়েছে //সূচনা ছাড়া সৃষ্টি হওয়া সম্ভব//। একটি বোনাস প্রশ্ন থাকলো শক্তি থেকে ভর বিশিষ্ট পদার্থ সৃষ্টির ফরমুলাটা দিয়েন তবে আগে প্রথম যুক্তি নিয়ে ভাবুন এই প্রশ্ন পরে ভেবেন।

২. কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নাই ,কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, শুধু পরিবর্তনের মাধ্যমে চক্রাকারে সৃষ্টি হয়েছেঃ
এই পঙ্গু যুক্তি দাড় করিয়ে অনেকে প্রশ্নের জটিলতা থেকে বাচতে চায়ছেন। পরিবর্তনের সংগা কি? পরিবর্তন হতে গেলে প্রথম লাগবে সেই প্রথমের সৃষ্টি নিয়েই আমার প্রশ্ন। //কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নাই ,কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই,// আসেন আরেকটু কথা বলি, আপনি যেটা দিয়ে ফেইসবুক চালাচ্ছেন সেটা আসল কি করে?

৩. আসলে সব সৃষ্টি ভাগ্যক্রমে হয়েছেঃ
আরে মিয়া আপনারে কি বলব, আমাদের আস্তিকদের ভেতর অনেকে যুক্তি দিয়ে বুঝে নেয় যে তকদির বলে কিছু নাই, তকদির মানুষের হাতে, অথচ আপনারা তো দেখছি তকদিরে ফুল ফিল বিশ্বাসী হয়ে গেছেন। random এ নাকি সৃষ্টি হয়ছে, তাইলে random এ কেয়ামত ও চলে আসবে রেডি থাইকেন।

৪. উত্তর জানা নাইঃ
উত্তর না জানা থাকলে নিজেরে যুক্তিবাদি বল কোন দুঃখে ?

৫. এই প্রশ্নের উত্তর জানলেই ঈশ্বরের কফিনে শেষ পেরেক বাধবেঃ
যি এই প্রশ্নই আমাদের বিশাসের প্রথম ধাপ ,কোরআনের প্রথম নাযিলকৃত আয়াতঃ পড়, তোমার প্রভুর নামে ,যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।(আলাক-০১) ,আগে জেনে আসুন এর পর নাস্তিক হন।

৬. একদিন হয়তো এগুলো আবিস্কার হয়ে যাবেঃ
আপনি ফেইসবুকে না থাইকা স্টিপেন হকিং এর সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন এবং একটা টাইম মেশিন বানাইয়া ফিউচারে চলে যান তারপর কথা বলেন।

৭. তুই একটা আস্ত গাধা, পাগোল ,কাঠ মোল্লা!
এইটা কোয়ার জন্যই তথাকথিত নাস্তিক হয়ছোস !

৮. বিজ্ঞানে এইরকম প্রশ্ন নাইঃ
অনেক্ষন পরে একখানা লজিকাল মানুষ পাইলাম , যি বিজ্ঞানে এই প্রশ্ন না থাকারি কথা! বিজ্ঞান সৃস্টির শুরু প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয় এবং পারবেও না, বিজ্ঞান সেটাই যেটা বাহ্যভাবে দেখতে পাওয়া যায় , ভেতর যখন দেখতে পাবে তখন কথা বলবে তার আগে চুপ থাকবে ,আন্দাজে কথা বলা বিজ্ঞানের কাজ নয় ,আমার কান্দে ১০ টা জিন থাকলেও বিজ্ঞান কথা বলবে না ,অথচ আমি এবং আমরা বুঝতে পারছি ।আশা করি বুঝেছেন।

৯. এই টা কোন যুক্তিপুর্ন প্রশ্ন নয়ঃ
প্রত্যেক যুক্তির সূচনা হয় এই প্রশ্ন দিয়ে।

১০. তোমাদের ঈশ্বর কেমনে সৃষ্টি হয়ছে??(পাল্টা প্রশ্ন)
অনেক্ষন গ্যাজাগ্যাজি করে যখন ক্ষান্ত হয়, তখন তথাকথিত নাস্তিক বাধ্য হয়ে এই প্রশ্ন করে। আপনার পালটা প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত উত্তর পেশ করা হলোঃ
আমার প্রশ্ন (সৃষ্টির শুরু কোথায়?) এই প্রশ্নই প্রত্যেক আস্তিকদের প্রথম প্রশ্ন থাকে। কিন্তু আপনাদের তথাকথিন যুক্তি এবং লৌকিক কোন উত্তর আমরা না পাই , তখনই আমরা অলৌকিক //ঈশ্বর// বানিয়ে বা ১০০% সিউর ভাবে ভেবে নিই এবং তার উপর একটা অলৌকিক যুক্তি বসিয়ে দিই সেটা হলো ,তার উপরে কেউ নাই ,  তিনি মহান ,তার উপর কোন যুক্তি নাই , তার আকার আমাদের জানা নাই , তিনি বস্তু ,পদার্থ না কি তা আমরা জানি না ,তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান , তার সাথে আমাদের পৃথিবীর লজিক খাটানো একটা মুর্খামি। তিনি সৃষ্ট নন ,তার প্রথম নাই শেষ নাই ।

এখন এই লজিক গুলো পৃথিবীর লজিকের উপর অবশ্যই অলৌকিক তাই এই অলৌকিক লজিক গুলা লৌকিকের উপর প্রয়োগকরে কতটা মুর্খের মত কাজ করছেন জানাবেন ।
এবার আসি কেন তথাকথিত নাস্তিকদের  সর্বঈশরবাদি বলা হলোঃ
এই সব ক্ষেত্রে তাদের সাথে বারং বার তর্ক করে তারা বর্তমানে শেষ জায়গায় থামে সেটা হলো //শক্তি //। বিজ্ঞান মতেও প্রত্যেক সৃষ্টিই শক্তি থেকে বের হয়েছে। এবং তারা শক্তির উপর একটা বইশিস্ট দাড় করায় //শক্তির সৃষ্টি নাই, শক্তির ধ্বংস নাই// এই বক্তব্যটুকু হলো নাস্তিকদের শেষ  লজিক ,অথচ এটা আমার প্রশ্ন নয় ,এটাকে মুলত বর্তমান বিজ্ঞান দেখছে তাই এই ভাবে একটা মূলনীতি দাড় করিয়েছে, এতে বিজ্ঞানের কোন দোষ নাই । পরে আবার যখন আরো কিছু দেখবে তখন আরো কিছু বলবে ,তবে চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞান আমার প্রশ্নের উত্তর খুজে পাবে না । যাই হোক এটা আমার প্রশ্নের উত্তর কখনই হতে পারে না ,আমি যদি বলি যে পানি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ,আপনি যদি উত্তরে বলেন পানি তরল । এই পানি তরল এটা কখনই আমার প্রশ্নের উত্তর নয়। আমি সৃষ্টি জানতে চাইলে আপনি বইশিস্ট চাপিয়ে দেচ্ছেন এই হচ্ছে বর্তমান তথাকথিত নাস্তিকদের অবস্থা।
যাইহোক যদি ধরে নেই তাদের বর্তমান বিশ্বাস হলোঃ//শক্তির সৃষ্টি নাই, শক্তির ধ্বংস নাই//  তবে বর্তমান বিজ্ঞান বলছে সব কিছুর সৃষ্টির মুলে শক্তিকে পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু শক্তির সৃষ্টি নাই ধ্বংস নাই শক্তি অমর ,তাই বলা যায় তথাকথিত নাস্তিকদের ঈশ্বর হলো সবকিছু । নাস্তিক বলে নিজেকে দাবি করতে গেলে আস্তিকদের মৌলিক প্রশ্নের সমাধান পাওয়া অবশ্যই জরুরি । এটা সেই প্রশ্ন //সৃষ্টির শুরু কোথায়?//
বিঃদ্রঃ অনেকে মনে করতে পারেন উক্ত ১০ টি মত কোন মুর্খ তথাকথিত নাস্তিকদের মত, অথচ তা নয় এই মত গুলা তথাকথিত নাস্তিক সর্বঈশ্বরবাদে বিশ্বাসীদের সার্বজনিন মত ,কয়টি দলিল পেশ করা হলোঃ
১. বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট বস্তুবাদি শব্দের প্রচলিত অর্থে বস্তুবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। অথচ আধুনিক যুগে তিনিই হচ্ছেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি বিশ্বজগতকে বস্তুবাদের আলোকে ব্যাখ্যা করেন। কান্ট ঘোষণা করেনঃ এ বিশ্বজগত অনাদি ও অনন্ত এবং কোন কিছুই বিশ্বজগতের বাইরে নয়। উনবিংশ শতাব্দী যখন শুরু হলো, তখন ব্যাপক ভাবে এ ধারনা গৃহীত হচ্ছিল যে, বিশ্বজগতের কোন শুরু নাই এবং একে সৃষ্টিও করা হয় নাই। পরে কার্ল মার্ক্স এবং এঙ্গেলস এই মতকে সমর্থন করে।
২. এই সর্বঈশ্বরবাদিদের গুরু জর্জেস পলিটজার principles fondamentaux de philosophie বইতে বলেন, বিশ্বজগত কোন সৃষ্ট বস্তু নয়। এটি সৃষ্ট হলে অবশ্যই একে তাৎক্ষনিকভাবে একজন স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট হতো। সৃষ্টির ধারনা মেনে নিতে হলে এ কথাও মেনে নিতে হয় যে, এমন একটা সময় ছিল যখন বিশ্বজগতের অস্তিত্ব ছিল না এবং আরো মেনে নিতে হয় যে, শুন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করা সম্ভব। অথচ এটি এমন এক কথা যা বিজ্ঞান মেনে নিতে পারে না।
=অথচ বিগব্যাং তত্তের আবিষ্কার হয়ে সব তছনছ হয়ে গেল।
সর্বঈশ্বরবাদের বিপক্ষে কিছু সর্বঈশ্বরবাদে বিশাসিঃ
১. পদার্থবিদ এডিংটন বলেছিলেন, বর্তমানে আমরা যে প্রকৃতি দেখছি সেটি একসময় আকস্মিকভাবে অস্তিত্বলাভ করতে শুরু করেছিল এ ধারনা আমার কাছে ফিলসফিক্যালি অগ্রহনযোগ্য।
২.নাস্তিক অধ্যাপক এন্থনি ফ্লিউ বলেছেন, স্বীকারোক্তি আত্মার জন্য ভালো বলে কুখ্যাতি আছে। আমি স্বীকার করছি যে, সৃষ্টিতত্ত্বসংক্রান্ত সমকালীন সর্বসম্মত মত নাস্তিকদের ভালোরকম বিব্রত করবে। কারন বিশ্বজগতের একটা শুরু ছিল এ কথাটা st. Thomas এর মতে ফিলসফিক্যালি প্রমান করা সম্ভব না হলেও দেখা যাচ্ছে সৃষ্টিতত্ত্ববিদরা এর সপক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমান ঠিকই হাজির করছেন।(বিশ্বজগত কোনো শুরু বা শেষ নেই এ ধারনাটা) যদিও আমি এখনো সঠিক বলেই বিশ্বাস করি, তথাপি বলতেই হচ্ছে যে বিগ ব্যাং তত্ত্বএর উপস্থিতিতে ঐ বিশ্বাসের ওপর স্থির থাকা মোটেই সহজ ও স্বস্থিদায়ক ব্যাপার নয়।
৩. জন মেডক্স বিগ ব্যাং তত্ত্ব এর বিরুদ্ধে লেখেন তিনি// বিগ ব্যাং নিপাত যাক // শিরোনামে লিখেছিলেন, বিগ ব্যাং ফিলসফিক্যালি অগ্রহনযোগ্য এবং তিনি ভবিষ্যৎবানি করেছিলেন যে পরবর্তি দশকে বিগব্যাং টিকে থাকবে না কিন্তু তার উল্টাটাই হলো ।
৪.এইচ লিপসন বলেন, আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, সৃষ্টির ধারণা এ ক্ষেত্রে একমাত্র ধারণা যা গ্রহন করা যেতে পারে। এটা মেনে নেয়া আমার মতো অন্য পদার্থবিদদের জন্যও কঠিন। কিন্তু গবেষণালব্ধ প্রমানাদি যখন একে সমর্থন করে, তখন তা স্বীকার না করে উপাই বা কি

৫. জর্জ গ্রীন্সটেইন বলেছেন, (জীবনের সঙ্গে পদার্থবিদ্যার সুত্রসমুহের সঙ্গতিপুর্ন সম্পর্কের ব্যাপারটি) কিভাবে ব্যাখ্যা করা চলে?? প্রাপ্ত সম্ভাব্য সকল তথ্য প্রমান বিচার বিশ্লেষণ করলে তাৎক্ষনিকভাবে মনে হয় যে, কিছু অতিপ্রাক্রিতিক এজেন্সি বা সঠিকভাবে বললে, একটি এজেন্সি ক্রিয়াশিল আছে। এটা কি সম্ভব যে, ইচ্ছায় নয় বরং হঠাত করেই আমরা এমনসব বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমানের সম্মুখীন হয়েছি যেগুলো একজন সর্বোচ্চ সত্তার অস্তিত্ত প্রমান করে? আমাদের সুবিধার্থে এ বিশ্বজগত অত্যান্ত বিচক্ষনতার সাথে সৃষ্টি করেছেন কি তবে ঈশ্বরই ?
৬.জ্যারাল্ড নাস্তিক বিজ্ঞানি বলেন, বস্তুর ভিত্তি হচ্ছে শক্তি এবং বস্তু আসলে জমাটবাধা শক্তি এ সত্য আবিষ্কার করতে মানবাজাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে হাজার বছর, অপেক্ষা করতে হয়েছে একজন আইনস্টাইনের জন্মের। আমরা হয়তো আরো একটু বেশি দেরিতে আবিষ্কার করবো যে, শক্তির চেয়েও অধিক মৌলিক কোন অবস্তুই(non-thing) শক্তির ভিত্তি রচনা করেছে।
৭.শ্রোয়েডার বলেছেন, বিশ্বজগতের ঈশ্বরতাত্ত্বিক ব্যাখ্যামতে, বিশ্বজগতের সবকিছুই এক অতিপ্রাকৃত জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ। যদি আমি জ্ঞান শব্দটিকে তথ্য শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন করি, তবে ঈশ্বরতত্ত্বও কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার মধ্যে তেমন কোনো বিরোধ থাকে না। আসলে, আমরা সম্ভবত বস্তুজগতের সঙ্গে আধ্যাত্মিক জগতের বৈজ্ঞানিক মিলন প্রত্যক্ষ করছি

**A-Z না পড়ে মন্তব্য করবেন না**

Farhan Khan Salafi

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

সালাতে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া হারাম নাকি ফরজ ???

সালাতে ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা
পড়া হারাম
নাকি ফরজ ???

"যখন কুরআন
তেলাওয়াত
করা হয়,তোমরা তা
মণযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ
থাকো যাতে তোমাদের উপর রহম করা হয় "(আরাফ-
আয়াতঃ২০৪)

এই
আয়াতের সংগে
সালাতে ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা
পড়া বা না পড়ার
কোনো সম্পর্ক নেই।

কারণ
এ আয়াত মক্কায়
নাজিল হয়েছে,

আর নামাজে সুরা ফাতেহা পড়ার নির্দেশ হিযরতের পর রাসুল(সঃ) দিয়েছেন মদিনায়।

[ সূরা: Al-A'raaf (The Heights) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৭  আয়াত সংখ্যা: ২০৬

204
. ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧﺼِﺘُﻮﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।]

আবু হুরায়রা(রাঃ) ৭ম হিজরীতে মদিনায় মুসলমান
হয়েছেন,

আর তাকেই সর্ব প্রথম মদিনার ওলীতে গোলিতে এ
কথা ঘোষণা দেয়ার
জন্নে রাসুল (সাঃ)
আদেশ করেন,  যে ব্যক্তি সালাতে সুরা ফাতেহা পড়েনা তার নামাজ
হবে না।
(বায়হাকী-খন্ডঃ ২-
পৃস্টাঃ৩৭৫)

সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ঐ
সময় ১ ব্যক্তি আবু
হুরায়রার হাত ধরে
বলেনঃ আমরা যদি
ইমামের পিছনে থাকি তা ও
কি পড়া লাগবে?
তিনি বলেন তাও.…

  রাসুল (সাঃ) বলেনঃ আমি যখন জোড়ে কেরাত পড়ি তখন তোমরা সুরা ফাতেহা ছাড়া আর কিছুই পড়োনা।
(নাসাঈ,সনদ সহিহ)

এই কথার সাক্ষি যিনি দিলেন
তিনি" উবাদা "
তিনি ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা
পড়তেন (কিতাবুল কেরাত- বায়হাকি- ২য় খন্ড-১৬৮
পৃষ্টা)..…

উপরের আয়াত
নাজিল হওয়ার কারনঃ রাসুল (সাঃ)
মক্কায় যখন সাধারণ ভাবে কাফেরদের কে কুরআন শুনাচ্ছিলেন
তখন কাফেররা একে অপরকে বলেছিলো তোমরা তা শুননা,
চিল্লা পাল্লা কর।
তাহলে তোমরা জয়ি
হবে,তখন এই উপড়ের আয়াত
নাজিল হল।যে,রাসুল(সাঃ)
যখন কুরআন
পড়ে তোমরা ইহুদিরা তখন
চুপ থাকো ও মনোযোগ সহ তা শুনতে থাকো
হয়তো তোমাদের
উপর রহম করা হবে। বিশ্বাস না হলে দেখুন

সুরাঃ হামিম আস-
সিজদাহর ২৬নং
আয়াতে.…

[ সূরা: Fussilat (হা মিম সাজদাহ) (Explained in detail) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৪১  আয়াত সংখ্যা: ৫৪

26
. ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺴْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟِﻬَٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﻭَﺍﻟْﻐَﻮْﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻐْﻠِﺒُﻮﻥَ
আর কাফেররা বলে, তোমরা এ কোরআন শ্রবণ করো না এবং এর আবৃত্তিতে হঞ্জগোল সৃষ্টি কর, যাতে তোমরা জয়ী হও।]

এইটাকে হানাফিরা চালিয়ে দেয় ইমামের পিছনে মুসল্লীরা চুপ থাকবে ও বলে

হানাফিরা কি প্রমান দিতে পারবে যে আরাফের ঐ আয়াতে মাদানী অর্থাত্‍ রাসূলের মেরাজের পর নাজিল হয়েছে ?????

আমাদের দলিল হল কুরআন…

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৭

চল্লিশ কদম হাটার ফতোয়া দেওয়া by তাবলীগ

প্রচলিত ইলিয়াসী তাবলীগ এর কান্ড কার খানা

=====
তাবলীগ ইজতেমার  সরাসরি সম্প্রচার  চাই
>>>>পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের প্রসাবে অপবিত্রতা বেশী।
>>>>কিন্তু নারীদের চল্লিশ কদম হাটার ফতোয়া দেয়া হয় না কেন??
>>>>আবার শুধু পেশাব করার পর কুলুখ নিয়ে চল্লিশ কদম হাটার কথা বলা হয় কেন??
>>>>
কিন্তু পেশাব - পায়খানা উভয়ই করার পর কুলুখ নিয়ে হাটার জন্য বলা হয় না কেন??

>>>>
শুধু পেশাব করলে ৪০ কদম হাটতে হবে  কেন???

>>>>
আর পেশাব পায়খানা উভয়টি করার পর হাটতে হবে না কেন???

>>>>
এটা আবার কেমন নীতি?

>>>>
রাসুল সা. কিংবা সাহাবারা রা. কুলুখ নিয়ে হাটাহাটি,নাচানাচি করতেন?(নাউযুবিল্লাহ)

>>>>
এমনটা ধারণা করা কি কোন মুমিনের জন্য শোভা পায় ?

<<¤>>ওনারা বলতে, প্রচলিত হানাফি শাখা ইলিয়াসী তাবলিগ, আবার এরা চার তরিকাও মানে,    এটাও মানে যে, পীরে বুর্জুগদের  কাশফ খোলা,  চোখ বন্ধ করলে সব কিছু দেখে, মুরিদের মনে খবর জানে, চোখ বন্ধ করলে আরশে চলে যায়,ভাই আর কত কি, ওনাদের বুর্জুগরা নিজের ক্ষমতায় মারাকে বাঁচায় ইত্যাদি<<¤>><<¤>> 

<<¤>>হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাঃ এর দোহায় দিয়ে সলাতে  রফ'উল ইয়াদাইন ছেড়েছে (> মিশকাত মাদ্রাসা পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ নং ৭৫৩ <)
কিন্তু এটা বাদ দিতে পারল না যে >>হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাঃ কুলুখ নিয়ে হাটাহাটি,নাচানাচি করেন নি তাই আমারা করব না।

>>>>
আল্লাহ যেন এই জামাত থেকে বাঁচান।(আমিন)

মানুষ ভুল করে আমার ভুল হলে আল্লাহর কাছে ভুলের মাফ চাই।(আমিন)

অযথা কমেন্ট করবেন না। অযথা কপিপেষ্ট করবেন না। দৃষ্টি ঘুরানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করি উপরোক্ত আলোচ্য বিষয় ছাড়া নতুন কোন বিষয়ের অবতারণা করবেন না।
নতুন বিষয়ের অবতারণা করবন না।

বিঃদ্রঃ অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট ডিলিট হয়ে যাবে নোটিশ ছাড়া। প্রসঙ্গ ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে কমেন্ট না করতে সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ।
♦♦♦ বিঃদ্রঃ-২ >- শাহবাগী,যারা ♦♦♦ ইসলাম ♦♦♦ মাজহাব মানে না তাদের কে ♦♦♦ লা-মাজহাবী ♦♦♦ বলা হয়,সমস্ত পীর নামে শয়তানের চেলা ভক্তরা ১০০.২ গজ দূরে থাকুন।

জাযাকুমুল্লাহ।
===>~<===

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

ইমাম আবু হানিফা যিনি ৪০ বছর যাবত এশার অযু দিয়ে ফজরের নামাজ পড়েছেন

আশরাফুল আলম রনি@

মুফতি ভাইযের কথার খন্ডন
নিচে  আছে এবং কিছু প্রশ্ন আছে আশা করি উত্তর পাব
====
লিখেছেন আশরাফুল আলম রনি@ সম্মানিত মুফতি ভাই

///___#সেই_ইমাম_আবু_হানিফা_যিনি_৪০_বছর_যাবত_এশার_অযু_দিয়ে_ফজরের_নামাজ_পড়েছেন ।___///

=====
কিছু প্রশ্ন এখন আরো আছে লিংকে

# কোনো ব্যক্তির
পক্ষে কি সম্ভব
লাগাতার চল্লিশ
বৎসর এশার অযু
দ্বারা ফজরের
নামাজ পড়া?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত
কি সারারাতের
মধ্যে একদিনও তার
অযু ভঙ্গ হয় নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
তিনি ঘুমান নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে পেশাব করেন
নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে পায়খানা করেন
নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে (যদি বিবাহিত
হয়ে থাকেন)
স্ত্রী গমন করেন
নাই?

# চল্লিশ বৎসর
যাবত কি একদিনও
সারারাতের
মধ্যে তার স্বপ্নদোষ
হয় নাই?

কোন সুস্থ
মস্তিস্কের বিবেক
ও যার সামান্যতম
বোধশক্তি আছে সে উপরোক্ত
কথা সমর্থন
করতে পারে না।

প্রচলিত ইলিয়াছী তাবলীগের সুন্দর একটি ফায়দা উরুফে ভিত্তি হীন কিচ্ছা-১ (পৃষ্ঠা ৯২)>>>বুজুর্গু<<<‘’শেখ আবদুল ওয়াহেদ
নামে একজন
বিখ্যাত
সুফি ছিলেন। কথিত
আছে, চল্লিশ বৎসর
যাবৎ তিনি এশার
অযু দ্বারা ফজরের
নামাজ
পড়িয়াছেন।‘’ (ফাজায়েলে
ফাজায়েলে নামাজ;
তাবলিগী কুতুবখানা সংশোধ
সংস্করন; ১২ মার্চ
১৯৯০ ইংরেজি;
পৃষ্ঠা নঃ ৯২)
অনেকে এই রকম অনেক
বুজুর্গি কাহীনি বর্ণনা করে বা
অমুক বুজুর্গ/অলি/ইমাম
ইত্যাদি (১২দিন) ৪০ বত্‍সর
এক অজুতে সলাত
আদায় করাছে। আসুন
দেখি রসুল (সাঃ)
কি বলেন?
আনাস (রাঃ) বলেন যে, তিন
ব্যক্তি নবী (সাঃ) এর
স্ত্রীদের বাসায় এলেন।
তাঁরা নবী (সাঃ) এর ইবাদত
সম্পর্কে জিঞ্জাসা করলেন।
অত:পর যখন তাঁদেরকে এর
সংবাদ দেওয়া হল তখন
তাঁরা যেন তা অল্প
মনে করলেন
এবং বললেন,‘আমাদের
সঙ্গে নবী (সাঃ) এর
তুলনা কোথায়? তাঁর
তো আগের ও পরের সমস্ত
গোনাহ মোচন
ক’রে দেওয়া হয়েছে।
(সেহেতু আমাদের তাঁর
চেয়ে বেশী ইবাদত
করা প্রয়োজন )।’
সুতরাং তাঁদের
মধ্যে একজন
বললেন, ‘আমি সারা জীবন
রাত ভর সলাত পড়ব। ’
দ্বিতীয় জন বললেন,
‘আমি সারা জীবন
সাওম রাখব,
কখনো সাওম ছাড়ব না।’
তৃতীয় জন বললেন,
‘আমি নারী থেকে দূরে থাকব,
জীবনভর বিয়েই করব না।’
অত:পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
তাঁদের নিকট এলেন
এবং বললেন, “তোমরা এই
এই কথা বলেছ? শোনো!
আল্লাহর কসম!
আমি তোমাদের
চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয়
করি, তার ভয়
অন্তরে তোমাদের
চেয়ে বেশী রাখি।
কিন্তু আমি (নফল)
সাওম রাখ
এবং সাওম ছেড়েও
দিই, সলাত
পড়ি এবং নিদ্রাও যাই ।
আর নারীদের বিয়েও
করি। সুতরাং যে আমার
সুন্নত হতে মুখ
ফিরিয়ে নিবে,
সে আমার দলভুক্ত নয়।”(অর্থাত্‍ আমার উম্মতের অর্ন্তভুক্ত নহে মিসকাত ১মখন্ড মাদ্রাসা পাঃ১৩৭/৬ পৃঃ২৬৪)
( সহীহুল
বুখারী ৫০৬৩,মুসলিম ১৪০১,
নাসায়ী ৩২১৭, আহমাদ
১৩১২২, ১৩০১৬, ১৩৬৩১)
এখানে একজন
সাহাবা (রাঃ) বলেছেন
যে ”তিনি আজীবন রাতভর
সলাত পড়বেন” তার
উত্তরে রসুল (সাঃ)
বলেছেন, “আমি সলাত
পড়ি এবং নিদ্রাও যাই “সুতরাং যে আমার সুন্নত
হতে মুখ
ফিরিয়ে নিবে, সে আমার
দলভুক্ত নয় ।”
এখানে রসুল (সাঃ)
অথবা কোনও
সাহাবা (রাঃ)
যদি সারা রাত সলাত
পড়তেন
তাহলে এটি মানা যেত
কিন্তু তিনি তার
সুন্নতকে ছেড়েদেয়া ব্যক্তিকে বলেন
যে “সে আমার দলভুক্ত না”
এখন এই
বুজুর্গরা কি রাসুল
(সাঃ), সাহাবা (রাঃ)
দের চেয়েও
আল্লাহর
কাছে বেশি
প্রিয়???
বেশি ইবাদত
গুজার???
বেশি আল্লাহ
ভক্ত???
বেশি ভাল???
কেউ যদি মনে করেন
তাহলে তিনি মানতে পারেন
কিন্তু আমি তার বিপরিত।
কেননা রসুল (সাঃ)
বলেছেন, “আল্লাহর কসম!
আমি তোমাদের
চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয়
করি, তার ভয়
অন্তরে তোমাদের
চেয়ে বেশী রাখি। ”
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্নিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেন, যখন সলাত
পড়া অবস্থায় তোমাদের
কারো তন্দ্রা আসবে, তখন
তাকে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত,
যতক্ষন না তার ঘুম
চলে যাবে। কারন,
তোমাদের কেউ
যদি তন্দ্রা অবস্থায়
সলাত পড়ে,
তাহলে সে অনুভব
করতে পারবে না যে,
সম্ভবত:
সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে
(সহীহুল বুখারী ২১২, মুসলিম
৪৮৬, তিরমিযী ৩৫৫.
নাসায়ী ১৬২, আবু দাউদ
১৩১০, ইবনু মাজাহ ১৩৭০,
আহমাদ ২৩৭৬৬, ২৫১৩৩,
২৫১৭১, ২৫৬৯৯,
মুয়াত্তা মালেক-২২৫৯,
দারেমী ১৩৮৩)
হে দ্বীনি ভাই,
তাই এই সকল
বানোয়াট
কিচ্ছা কাহিনি থেকে
সাবধান
থাকতে হবে।
এখন আসেন দ্বিতীয়
বিষয়ঃ
এই সহিহ হাদিস থাকার
পরও অনেকে এই বিষয়
টিকে সঠিক সাব্বস্ত করার
জন্য কোরআন হাদিস
থেকে পাই তারা করেন
তারা বলেন “আল্লাহ
ইচ্ছা করলে হতেও পারে”

ঠিক এই ধরনের
কথাও কাদিয়ানি/ ভণ্ড
নবি দাবিদার রাও করে।
কি ভাবে তা বলছি,
তারা বলে দেখেন
আল্লাহ
বলেছেন, ”ইন্নালহা আলা কুল্লি স
কাদির” অর্থ: নিশ্চই
আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বচ্চ
ক্ষমতাবান এবং সে কোরআনের
কোন কোন সুরায় কোন
আয়াতে, আয়াত
সংখ্যা কত, কতবার
বলা হয়েছে সব বলবে।

এখন
আপনাকে বলবে বলেনতো তাহল
কি ক্ষমতা নাই একজন নতুন
নবী পাঠানোর?”
এখন আপনি কোন
দিকে যাবেন? যদি বলেন
যে ক্ষমতা নাই
তাহলে ক্ষমতা অস্বিকার
করার কারনে কাফের
হয়ে যাবেন
আবার
যদি বলেন
যে হ্যা ক্ষমতা বান
তাহলে কাদিয়ানি নবীকে বিশ্
করতে হবে তাতেও
আপনি কাফের
হয়ে জাবেন।
অপব্যাখ্যার
লেটেস্ট সংস্করন
ঠিক একই
ভাবে এনারা বলছেন “আল্লাহ
ইচ্ছা করলে হতেও পারে”
আল্লাহ কি পারেন না ?
এখন আপনি কোন
দিকে জাবেন
তা আপনার উপর
ছেড়ে দিলাম। সেই বুজুর্গ
এর ১২দিন ৪০,৬০,৯০ বছর এক
উজুতে সলাত
পরা মানবেন নাকি রাসুল
(সাঃ) এর সাহিহ হাদিস
মানবেন। কেননা রসুল (সাঃ)
বলেছেন, “আমি সলাত
পড়ি এবং নিদ্রাও যাই “সুতরাং যে আমার সুন্নত
হতে মুখ
ফিরিয়ে নিবে, সে আমার
দলভুক্ত নয় ।”
এই হল ইলিয়াসি তাবলীগ
জামাত।
হে মুসলিম ভাই
আপনি কোথায়
ফিরে চলছেন??
একবার
ভাবুন??
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
হতে বর্নিত,নবী (সাঃ)
বলেন,“নিশ্চয় দ্বীন সহজ।
যে ব্যক্তি অহেতুক
দ্বীনকে কঠিন বানাবে,
তার উপর দ্বীন
জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ
মানুষ পরাজিত হয়ে আমল
ছেড়ে দিবে।)
সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক
এবং (ইবাদতে)
মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর।
তোমরা সুসংবাদ নাও। আর
সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের
কিছু অংশ ইবাদত করার
মাধ্যমে সাহায্য নাও ।(সহীহুল বুখারী ৩৯, ৫৬৭৩,
৬৪৬৩, মুসলিম ২৮১৬,
নাসয়ী ৫০৩৪, ইবনু মাজাহ
৪২০১, আহমাদ ৭১৬২, ৭৪৩০,
৭৫৩৩, ২৭৪৭০)
আল্লাহ
আমাদেরকে বোঝার
মত তাওফিক দিন
আমিন।

ভূমিকা ২ আমি কেন ইলিয়াসী তাবলিগ করি না?-৩

ভূমিকা
====
" Lutfor Farazi অথবা অন্যকোন নাম ধারী "

ঐই মোল্লা শিরক কি ?এবং কাকে বলে তাই জানে না।

জাকারিয়া ছাহেব তার ফাজায়েলে আমল এর ভুমিকাতে লিখেছেন,""এত বড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালের নাজাতের জন্য উচিলা হইবে।"" তিনি দ্বীন এর জন্য যে বইটি লিখেছেন তাতে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি নয়; তার বুজুর্গ ইলিয়াস ছাহেব এর সন্তুষ্টি বিধানে লিখেছেন যাতে করে তা পরকালে নাজাতের জন্য উচিলা হতে পারে।

আর আল্লাহ বলেন,
"তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।" (সূরা আল বাক্বারাহ:২৭২)

"এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, সলাত প্রতিষ্টা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের গৃহ।" (সুরা রাদ:২২)

"আত্নীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য দিন এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরও। এটা তাদের জন্যে উত্তম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। তারাই সফলকাম।" (সূরা আর-রূম:৩৮)

"মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে।" (সূরা আর-রূম:৩৯)

উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে জানা গেল যে, সফলকাম হবার জন্য, পরকালে নাজাত পাবার জন্য যদি কিছু করা হয়, তবে তা হতে হবে একমাত্র ""আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে""।

কোন নবী, রাসুল, পীর, বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধানে নয়।

""যদি আল্লাহর ব্যতীত অন্য কারো সন্তুষ্টি বিধানে করে তবে তা শির্ক।""

""নাম ধারীরা""

এবার এই হাদিসটি দেখুন, সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে (হজ্জ) একটি কঠিন রোগে আমি আক্রান্ত হলে, রাসূল ﷺ আমার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আসতেন। একদিন আমি তাঁর কাছে আরয করলাম, আমার রোগ চরমে পৌছেঁছে আর আমি সম্পদশালী। একটি মাত্র কন্যা ছাড়া কেউ আমার ওয়ারিস নেই। তবে আমি কি আমার সম্পদের দু’ তৃতীয়াংশ সাদাকা করতে পারি? তিনি বললেন, না। আমি আবার আরয করলাম, তা হলে অর্ধেক। তিনি বললেন, না। তারপর তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশও বিরাট পরিমাণ অথবা অধিক। তোমার ওয়ারিসদের অভাব মুক্ত রেখে যাওয়া, তাদের অভাব গ্রস্ত রেখে যাওয়া মানুষের কাছে হাত পাতার চাইতে উত্তম। আর "আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের" জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার বিনিময় দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে (তারও প্রতিদান পাবে) আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূল ﷺ! (আফসোস) আমি আমার সাথীদের থেকে পিছনে থেকে যাব? তিনি বললেন, তুমি যদি পিছনে থেকে নেক আমল করতে থাক, তাহলে তাতে তোমার মর্যাদাও উন্নতি বৃদ্দিই পেতে থাকবে। তাছাড়া, সম্ভবত, তুমি পিছনে (থেকে যাবে)। যার ফলে তোমার দ্বারা অনেক কাওম উপকার লাভ করবে। আর অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীগণের হিজরত বলবৎ রাখুন। পশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস! সা’দ ইবনু খাওলার জন্য (এ বলে) রাসূল ﷺ তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করছিলেন, যেহেতু মক্কায় তাঁর ইন্‌তিকাল হয়েছিল। (সহীহ বুখারি, অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা, হাদিস নাম্বার: 1218)

যদি এই হুজুর এর কথাগুলো সঠিক হত তবে এখানে,"আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার (উত্তম) বিনিময় দেওয়া হবে।"

কথাটি না বলে এটাও তো বলতে পারতেন,"আর তোমার আমার সন্তুষ্টির জন্য/তোমার কন্যার সন্তুষ্টির জন্য/যাদেরকে সদকা করবে তাদের সন্তুষ্টির লাভের জন্
তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার (উত্তম) বিনিময় দেওয়া হবে।

কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা:) তা না বলে বলেছেন,"আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যেকোন ব্যয় করনা কেন, তোমাকে তার (উত্তম) বিনিময় দেওয়া হবে।"

অতএব প্রমাণিত হল, জাকারিয়া ছাহেব তার ফাজায়েলে আমল এর ভুমিকাতে,""এত বড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালের নাজাতের জন্য উচিলা হইবে।""

লিখেছেন তা স্পষ্ট একটি শিরক।"

বিঃদ্রঃ-২ >- শাহবাগী,যারা ইসলাম  মাজহাব মানে না তাদের কে  লা-মাজহাবী বলা হয়, সমস্ত পীর নামে শয়তানের চেলা ভক্তরা ১০০.২ গজ দূরে থাকুন।

   #S#

ভূমিকা আমি কেন ইলিয়াসী তাবলিগ করি না?-৩

আমি কেন ইলিয়াসী তাবলিগ করি না?-৩

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সমস্ত কিছু করতে হবে।

দলিল:
(সূরা/আয়াত)

(১) সুরা বাকারা ২/২৭২;

(২) আল ইমরান ৩/১৫,৩/১৬২,৩/১৭

(৩) নিসা ৪;৯/৭২;

(৪) রা'দ ১৩/২২;

(৫) রূম ৩০/৩৮,৩০/৩৯; ৩০/৫৭;

(৬) ফাতহ্ ৪৮/২৯;

(৭) নাজম ৫৩/২৬;

(৮) মুমতাহানাহ্ ৬০/০১;

(৯) জুমু'আ ৬২/০৩;

(১০) দাহর ৭৬/০৯;

(১১) লাইল ৯২/১৭-২১;

(১২) বাইয়্যেনাহ্ ৯৮/০৮;

এখানে ১৬টি আয়াত আছে

হাদিস বুখারী হাঃনং১, ১১১৪, ৩৭৮২, ৩৭৮৬, ৫৮৯৭, ৫৯৮০, ৬০৩৪,

#s#