বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
‘ঘরে গরুর মাংশ আছে’ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট।
‘ঘরে গরুর মাংশ আছে’ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট।
ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে মন্দিরের থেকে এই ঘোষণা শোনার পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসে শত শত হিন্দু গ্রামবাসী।
ঘর থেকে টেনে হেচরে বের করে মুহম্মদ আখলাক সাহেব এবং তার ছেলে দানিশকে।
এরপর ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় দু’জনকে।
মুহম্মদ আখলাকের মাথা সম্পূর্ণরূপে থেতলে দেওয়া হয় , মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লো পঞ্চাশ উর্ধ্ব এ মানুষটি। গুরুতর আহত দানিশকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
মুহম্মদ আখলাকের রক্তাক্ত দেহ দর্শন কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না, তার স্ত্রী ও কন্যা।
কন্যা সাজিদা’র কেবল একটি প্রশ্ন, “ আচ্ছা, আমাদের ফ্রিজে তো গরু মাংশ ছিলো না, তবে কি তারা আমার বাবাকে ফিরিয়ে দেবে ?”
(সূত্র: , )
আখলাক সাহেবের কন্যা সাজিদার সাথে আমিও কিছু প্রশ্ন করতে চাই তাদের ??
১) ভারতে পশুর থেকে কি মানুষের মূল্য কম ? একটি সামান্য পশুর জন্য একজন মানুষকে হত্যা করা কতটা মনুষ্যহীনতার লক্ষণ?
২) ঐ মানুষগুলোর পক্ষে কি একটুও সহনশীল হওয়ার প্রয়োজন ছিলো না ? নাকি তারা মানুষই নয় ?
৩) তারা কি পারতো না সামান্য একটু গরু খাওয়ার জন্য একজন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা না করতে ? তারা কি পারতো না, আখলাক সাহেবের সন্তানদের এতিম না করতে, স্ত্রীকে বিধবা না করতে ?
৪) ধরে নিলাম, গরু খাওয়া অপরাধ ভারতে (কিন্তু এই ভারতী গরুর মাংস রপ্তানিতে বিশ্বের ১ম), সেই অপরাধের তো শাস্তিও আছে। তবে পুলিশকে ডাক দিলেই হতো। হামলা করার দরকার ছিলো কি ? নিজ হাতে হত্যা করা কি আইনত শুদ্ধ ?
৫) হিন্দুরা প্রায়শঃ বলে, বাংলাদেশ-ভারতে নাকি মুসলিম জঙ্গীবাদে ভরে যাচ্ছে, এ খবরের দ্বারা কি প্রমাণ হয় না, ভারতে একটি গণজঙ্গী রাষ্ট্র এবং মন্দিরগুলো হচ্ছে সেই জঙ্গী জমায়েতের কেন্দ্র ?
৬) মন্দির গুলো কি কাজে ব্যবহৃত হয়, উপাসনার কাজে নাকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লাগানোর কাজে ?
৭) একটা রাষ্ট্র ও বিচারব্যবস্থা কতটা সাম্প্রদায়িক হলে কোর্ট রায় দিয়ে গরু নিষিদ্ধ করতে পারে ?
৮) ধরে নিলাম, গরু নিষিদ্ধ। তবে সেটা কি শুধু মুসলমানদের জন্য ? কেন ভারত এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গরু রফতানিকারক দেশ ? কেন তারা কোরবানী ঈদে বাংলাদেশে গরু পাঠায় ?
৯) গরুকে হত্যা করলে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাই তারা তাদের ধর্মীয় আইন মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। খুব ভালো কথা। এখন মূর্তি পূজা করলেও তো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। তবে কি হিন্দুদের পূজাও নিষিদ্ধ করতে হবে ?
১০) বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায়শঃই বলে, বাংলাদেশে হিন্দুরা খুব নির্যাতিত হচ্ছে। কেউ কি বলতে পারবেন, বাংলাদেশের কোন হিন্দুদের উপর এ ধরনের সাম্প্রদায়িক কোন নির্যাতনের ঘটনা কখনও ঘটেছে ?
শেষে শুধু একটা কথাই বলতে হয়, মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ‘বোধ’ নামক এক শক্তির। মানুষের বোধোদয় হয়, কিন্তু পশুর হয় না। তবে যে সকল মানুষের সেই ‘বোধ’ টুকুও নেই, তাদের মানুষ না বলে পশু বলাই উত্তম
মালু/হিন্দুরা কি আর ধর্ম মানে ??
রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন ।((ঈদ পর্ব ৫ম))
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন।((ঈদ পর্ব ৫ম))
______________________________________________________
"চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভরশীল ইবাদত
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ । আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী । কাজেই তোমাদের মধ্যেযে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে । আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুণ আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর- (বাকারা ০২/ ১৮৫)
পৃথিবীর সকল জীবিত লোকই এ মাস পাবে । তথাপী উক্ত আয়াতে “যে লোক এ মাসটি পাবে”কেন বলা হল ?
এর ব্যাখ্যায় যারা চাঁদের উদয়স্থলের বিভিন্নতা গ্রহন করে নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে সাওম রাখতে হবে তারা বলে যে দেশে চাঁদ দেখা গেল তারা এ মাস পেল । যে দেশে চাঁদ দেখা গেল না তারা এ মাস পেল না। তাদের দেশে চাঁদ দেখার পরে পাবে ।
আয়াতে অসুস্থ, মুসাফির ব্যক্তির কথাও আছে । অর্থাৎ দেশের সকলে মাস পেয়ে রোজা রাখলেও অসুস্থ, মুসাফির অন্য মাসে সুস্থ, মুক্বীম অবস্থায় সাওম রাখতে পারবে।
অর্থাৎ সামগ্রীক ভাবে বলা যারা এ মাসে রোজা রাখতে পারবে তারা এ মাস পেল আর যারা রোজা রাখতে পারল না তারা এ মাস পেল না[অসুস্থ, মুসাফির, নামে মুসলমান (ইচ্ছাকৃত ভাবে সাওম রাখেনা) ও ভিন্ন ধর্মাবলী অন্যান্যরা]
ইসলামে মাসের শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
يَسْأَلُونَكَعَنِالْأَهِلَّةِۖقُلْهِيَمَوَاقِيتُلِلنَّاسِوَالْحَجِّۗ
তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে । বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য (মাসের) সময় (তারিখ) নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় (তারিখ) ঠিক করার মাধ্যম (বাকারাহ-০২/১৮৯)
চাঁদ দেখা
_________________
রসূল সা: বলেন, তোমরা সাওম রাখবে না,যে পর্যন্ত না চাঁদ দেখতে পাও।একই ভাবে তোমরা সাওম ভঙ্গ (ঈদ) করবে না, যে পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পাও । তবে যদি মেঘের কারনে তা তোমাদের কাছে গোপন থাকে,তবে শাবান মাস পূর্ণ করবে ৩০ দিনে।
অপর বর্ণনায় আছে, তিঁনি (সাঃ) বলেন- মাস কখনও ২৯ দিনেও হয় (সহীহ বুখারী-৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০,সহীহ মুসলিম-৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪)
"মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেছেন, “ঐ সাওম আরম্ভ হবে যেদিন সকলে সাওম রাখবে, সাওম ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই সাওম ভাঙ্গে আর কুরবানী করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে” (তিরমিযী, হাদিস নং ৬৯৭)
উপরের হাদিসে কি বুঝা যায়ঃ-
১) রমজানের সঠিক তারিখ জানার পূর্বে শা’বান মাসের চাঁদ দেখে সঠিক ভাবে শা’বানের শুরু তারিখ নির্ধারণ করা । অথচ রমযানের চাঁদ দেখার উপর বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয় । শা’বানের (যে কোন মাসের) ২৯ তারিখের দিবাগত রাত্রে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে শেষ হবে এবং ৩০ তারিখের দিবাগত রাত্র থেকে (পরবর্তী মাস) রমযান মাসের শুরু হবে (চাঁদ না দেখা গেলেও)
অতএব রমযানের চেয়ে শা’বানের চাঁদ দেখার গুরুত্ব বেশী (আরবী সকল মাসের চাঁদ দেখার গুরুত্ব আছে)
"আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) শাবানের মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি যখনই নতুন চাঁদ দেখতে পেতেন তখন সাওম শুরু করতেন । আর যদি নতুন চাঁদ না দেখতে পেতেন তাহলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে সাওম রাখতেন” (আবু দাউদ হাদিস নং ২৩১৮)
(২) “তোমরা, না চাঁদ দেখতে পাও” কথা দ্বারা বুঝা যায় পৃথিবীর সকল মানুষ যারা স্বচক্ষে চাঁদ না দেখবে সাওম রাখবে না, ঈদ করবে না; যারা দেখবে সাওম রাখবে, ঈদ করবে (এমন নয়) ।
আর কেউই চাঁদ না দেখলে ৩০ শে শা’বানের দিবাগত রাত্র থেকে সাওম রাখবে ।
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
______________
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন (সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
"একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন । তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন । এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় । রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যাঁ আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
"আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট, যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
"রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই। আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি (সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
"হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম । পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন (আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
"একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন। তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে । তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে, লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে” (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
1. সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
2. তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন ।
3. চাঁদ দেখার স্বাক্ষী নিজ দেশের লোক, পার্শ্ববতী দেশের লোক, পৃথিবীর যে কোন দেশের লোক কোথাকার হবে
অর্থাৎ“তোমরা” “সবাই” “সকলে”বলতে কাদের বুঝিয়েছেন ?
চলবে
হাদিসে কুরাইব ((ঈদ পর্ব ৪র্থ))
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২৩৯৯] ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে- উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব রাঃ বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছিলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধান করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্হায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমূ-আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমূ-আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যা, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ)-এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরুপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
====
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২১১৫] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূআর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখে ছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললাম: হ্যা, অন্যন্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া রাঃ অথবা তার সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন।
========
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৯১] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রাঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের রাঃ কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান
====
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ ((ঈদ পর্ব ৩য়))
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ
=======
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৮৮] মুহাম্মাদ ইবনু
ইসমাঈল (রঃ) ইবনু
আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, জনৈক
বেদুঈন
নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কাছে এসে বলল,
আমি (রামাযানের) চাঁদ
দেখেছি,
তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন,
তুমি কি একথার
সাক্ষ্য দাও
যে আল্লাহ
ছাড়া কোন ইলাহ নাই?
তুমি কি আরো সাক্ষ্য
দাও যে মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আল্লাহর রাসূল?
সে বলল, হ্যাঁ।
তিনি বললেন,
হে বিলাল !রাঃ লোকদের
মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দাও
তারা যেন
আগামী কাল সিয়াম
পালন করে।
====
[৬৮৯] আবূ কুরায়ব (রহঃ) সিমাক ইবনু হারব (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটির সনদে মতভেদ রয়েছে। সুফিয়ান সাওরী প্রমূখ এটিকে সিমাক ইবনু হারব, ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। সিমাক (রহঃ) এর অধিকাংশ ছাত্র সিমাক -ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। অধিকাংশ আলিমের এই হাদিস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, সিয়ামের ব্যাপারে এক ব্যক্তির সাক্ষ্যই গ্রহণীয়। ইবনু মুবারক, শাফিঈ রঃ ও আহমাদ (রঃ) ও কহফা বাসীর ((ইমাম আবূ হানীফা (রঃ) বক্তব্য এ-ই। ইসহাক (রঃ) বলেন,
দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া সিয়াম পালন করা যাবেনা। তবে সিয়ম ভঙ্গের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ নেই যে, দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
========
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
২১১৬। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এক বেদুঈন এসে বললো যে, আমি চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোযণা দিলেন যে, তোমরা সবাই সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন কর।
২১১৭। মুসা ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে একজন বেদূঈন এসে বললেন যে, আমি রাত্রে চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দেও যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে বেলাল! তুমি লোকদের সামনে ঘোযণা করে দাও যে তারা যেন সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করে।
====
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন-(-সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
===
একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন ।তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন ।এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় ।রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যা আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
===
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট,যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
====
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
“রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই।আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি(সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
====
হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম ।পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন(আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
===
একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন।
তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে ।তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে,লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে”(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন
====
Al-Baraheen al-Qatiya, কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী লেখেন
Al-Baraheen al-Qatiya,
কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ
গাঙ্গোহী লেখেন:
” ….একজন বুজূর্গ নবী মুহাম্মাদ(সা.)-কে (স্বপ্নে??) দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন
যখন তিনি দেখলেন যে, আল্লাহর রাসূল
(সা.) ঊর্দুতে কথা বলছেন। ঐ বুজূর্গ
জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এই ভাষা
কিভাবে জানেন, আপনি তো একজন
আরব?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘যখন থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসার ‘আলেমদের সাথে
আমার যোগাযোগ হয়েছে, তখন
থেকেই আমি এই ভাষা জানি।’ ” রশীদ
আহমাদ গাঙ্গোহী মন্তব্য করেন: , ‘
- এ থেকে আমরা এই মাদ্রসার বিশেষত্ব বুঝতে পারি।’
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
মালু নামক হিন্দু তোদের জন্য
মালুতো মালুর বাচ্চা
মালু নামক হিন্দু তোদের জন্য
1. তোরা যে,
কালী পূজার সময়
এককোপে পাঁঠাবলি দেস, সেই পাঁঠা কি নিরীহ নয়?
2.নরবলি প্রথা কারা
চালু করেছে?
3.মুরগি, হাঁস, ছাগল
কি নিরীহ নয়?
4.উদ্ভিদেরও প্রাণ
আছে। সুত্রাং তাদের
কেটেকুটে খাওয়াটাও কি জীবহত্যা নয়?
তোমরা সারাজীবন
বর্বর বর্বর বলে
চিৎকার কর।
অথচ তোমরাই হল বর্বর।
তোমাদের অধিকাংশ দেব-দেবীই নরবলি না
পেলে তুষ্ট হয়না।
তোমাদের গো-মায়া
দেখে আমারই কান্না
পাচ্ছে।
গোমাতা হত্যা পাপ।
অথচ সেই মাকে
হত্যার উদ্দেশ্যে টাকার জন্য পাচার করা পাপ নয়?
তোমরাই পাপী,
মহাপাপী।
নিজে করলে দোষ না অন্য কেউ করলেই দোষ হা হা হা হা হা মালুর জাত হিন্দু¡¡¡
মালু কেট হিন্দু
26/09/2015
Md SaRower HosSain
% নতুন চাদেঁর নির্দেশনা কি? ((ঈদ পর্ব ২য়)) %
% নতুন চাদেঁর
নির্দেশনা কি? %
________________________________
নুতন চাঁদ পৃথিবীর
কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে এবং চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক যেহেতু অত্র ফাতওয়ায় আলোচিত সকল ইবাদাত উদযাপন
চাঁদের তারিখের
সঙ্গে সম্পর্কিত তাই
নুতন চাঁদ পৃথিবীর
কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে আমাদেরকে সর্বাগ্রে সে ব্যাপারে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এ বিষয়ে ভৌগলিক
গবেষণার ফলাফল
হলো প্রতি চান্দ্র
মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময়ই সর্ব প্রথম মধ্য প্রাচ্যের কোন না কোন
দেশে দৃষ্টিগোচর হবে।
কারণ চান্দ্র মাসের প্রথম দিনে চাঁদ এবং সূর্য প্রায় একই সময়ে পূর্ব
দিগন্তে (জাপানে)
উদিত হয়।
এবং উদয় স্থলের পূর্ণ বিপরীত মেরুতে (দক্ষিণ- পশ্চিম আটলান্টিকে)
সূর্য অস্ত যাওয়ার
প্রায় ৪৯ মিনিট
পরে চাঁদ অস্ত যায়।
অর্থাৎ সর্ব পশ্চিম দিগন্তে প্রথম
তারিখের চাঁদ সূর্য
অস্ত যাওয়ার পরেও
প্রায় ৪৯ মিনিট
আকাশে থাকে। এ সময় সূর্যাস্তের পর
দিগন্তে চাঁদের
যে কিঞ্চিত অংশটুকু
সূর্যের আলোয়
প্রতিফলিত হয়
তাকেই আমরা নুতন চাঁদ হিসেবে দেখি।
প্রথম দিনের চাঁদ
সূর্যের ৪৯ মিনিট
পরে অস্ত যায় বলেই
২য় দিনের চাঁদ সূর্য
উদয়ের ৪৯ মিনিট
বিলম্বে পূর্বাকাশে
উদিত হয়।
কারণ আকাশের যে দিগন্ত রেখা আটলান্টিকের
জন্য অস্তস্থল, আবার সে দিগন্ত
রেখাই জাপানের জন্য উদয়স্থল।
এভাবে প্রতি দিনই
উদয়ের বিলম্বতায় ৪৯ মিনিট করে যুক্ত
হতে থাকে।
এ কারণেই ২৯ দিনে চাঁদকে ২৯টি স্থানে উদয় হতে দেখা যায়। আবার
সাড়ে ২৯ দিন পরে চাঁদ ২৪ ঘন্টা ঘুরে এসে পরবর্তী চন্দ্র মাসের ১ তারিখে আবার নুতন
করে সূর্যের
সঙ্গে প্রায় একই সময় উদিত হয়।
গবেষণালব্ধ আলোচিত তথ্যগুলোকে সঠিক
প্রমাণিত করছে এ
হিসেবটি।
প্রতি দিনের চাঁদ
উদয়ে বিলম্ব ঘটে ৪৯ মিনিট। প্রতি চান্দ্র মাসের পরিধি হচ্ছে সাড়ে ২৯ দিন ৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা। সুতরাং (৪৯ X ২৯১/২ দিন / ৬০
মিনিট) = ২৪ ঘন্টা।
এভাবেই প্রতি সাড়ে ২৯ দিনে চাঁদ ২৪
ঘন্টা সময় অতিক্রম
করে পরবর্তী চান্দ্র
মাসের ১ তারিখে আবার পূর্বের
স্থানে সূর্য উদয়ের
সমান সময়ে উদিত হয়।
সুতরাং প্রমাণিত
হলো যে, জাপান ও
আটলান্টিকের
মধ্যকার ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদ অস্ত যাওয়ার মধ্যে ব্যবধান হয় ৪৯
মিনিট।
ভৌগলিক ভাবে প্রমাণিত যে, গ্রীনিচমান সময়ের
(GMT) দিক
থেকে পৃথিবীর সর্ব
প্রথম সূর্য উদয়ের
দেশ জাপান।
যার ভৌগলিক অবস্থান ১৪২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫ ডিগ্রী উত্তর
অক্ষাংশ। এ উদয় স্থল হিসেবে পূর্ণ বিপরীত মেরুর অস্তস্থল হল দক্ষিণ পশ্চিম আটলান্টিক
মহাসাগর। যার
ভৌগলিক অবস্থান ৩৮ ডিগ্রী পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫
দক্ষিণ অক্ষাংশ।
এ উদয় ও অস্ত স্থলের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১২
ঘন্টা এবং অবস্থানগত দূরত্ব ১৮০ ডিগ্রী।
কারণ প্রতি ১ ডিগ্রীতে সময়ের
ব্যবধান ৪ মিনিট।
চান্দ্র মাসের ১
তারিখে চাঁদ ও সূর্য প্রায় একই সময়ে জাপানে উদিত
হয়ে ১৮০ ডিগ্রী পথ
অতিক্রম করে সন্ধ্যায় সূর্য যখন
আটলান্টিকে অস্ত
যায়, চাঁদ তার পরেও আটলান্টিকের
আকাশে থাকে প্রায় ৪৯ মিনিট। ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে যদি সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান
হয় ৪৯ মিনিট
তাহলে এর অর্ধেক পথ অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান
হবে সাড়ে ২৪ মিনিট।
মধ্য প্রাচ্যের
(ইয়েমেন, রিয়াদ ও
বাগদাদ) অবস্থান ৪৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে হওয়ায়
উদয় স্থল জাপান ও
অস্ত স্থল আটলান্টিকের সঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের
ভৌগলিক অবস্থানের
ব্যবধান ৯০ ডিগ্রী।
যে কারণে মধ্য প্রাচ্যে যখন সূর্যাস্ত হয় তার পরেও চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ মধ্য প্রাচ্যের আকাশে থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সকল সময়ে সর্বপ্রথম মধ্য প্রাচ্যেই দৃষ্টি গোচর হবে।
এবং ক্রমান্বয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ সমূহে সূর্যাস্তের পরে চাঁদের স্থায়িত্ব আকাশে বেশি সময় থাকবে। যার ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখে ঐ সকল পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশে চাঁদ ক্রমান্বয়ে বেশী সময় ধরে দেখা যাবে।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য থেকে পূর্বাঞ্চলীয় দেশসমূহ ক্রমান্বয়ে উদয় স্থলের নিকটবর্তী হওয়ায় সূর্যাস্তের পরে এখানকার আকাশে ১ তারিখের চাঁদের স্থায়িত্ব কম সময় থাকে এবং চাঁদ দিগন্তে আকাশে কম উঁচুতে থাকে বলেই উদয়স্থলের নিকটবর্তী দেশ সমূহ পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, চীন বা জাপানে কখনই চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ দেখা যাবে না।
উল্লেখিত আলোচনায় প্রমাণিত যে, প্রতি চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময় সর্বপ্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোন না কোন দেশে দেখা যাবে।
এর পরে আমাদের জানা প্রয়োজন, চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক?
সময়কে বিশ্লেষণ করলে আমরা সেকেন্ড , মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছর সময়ের এ ৬টি স্তরের অস্তিত্ব খুজে পাই।
সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের উল্লেখিত সকল স্তর অথবা কোন না কোন স্তরের নির্দেশক।
যেমন মহান আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন- ﻭﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﺑﺤﺴﺒﺎﻥ অর্থাৎ সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের হিসেব নির্দেশক।-(সূরাহ আর-রহমান-৫)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সূর্য ও চাঁদ উভয়ে একই ভাবে সময়ের উল্লেখিত স্তরগুলোর নির্দেশক? না কি এক একটি এক এক ধরনের সময় নির্দেশক? এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল হল সূর্য সময়ের উল্লেখিত ৬টি স্তরের প্রতিটিরই নির্দেশক।
অর্থাৎ সূর্যের পরিভ্রমণের মাধ্যমে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছরের হিসেব নির্ধারণ করা হয়।
পক্ষান্তরে চাঁদ শুরু ও শেষ হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র বছর ও মাসের হিসেব নির্ধারিত হয়।
কিন্তু চাঁদের শুরু-শেষ, পূর্ণতা ও ক্ষয়ের সঙ্গে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা এবং দিবা- রাত্রির আগমণ- প্রস্থানের কোন সম্পর্ক নেই।
পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত এটাই প্রমাণ করে। এরশাদ হচ্ছে- - ﻫﻮﺍﻟﺬﻯ ﺟﻌﻞ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﺿﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﻧﻮﺭﺍ ﻭﻗﺪﺭﻩ ﻣﻨﺎﺯﻝ ﻟﺘﻌﻠﻤﻮﺍ ﻋﺪﺩ ﺍﻟﺴﻨﻴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﺎﺏ অর্থাৎ তিনি আল্লাহ্ যিনি সূর্যকে করেছেন প্রখরতাপূর্ণ আলো আর চাঁদকে করেছেন স্নিগ্ধময় আলো। আর চাঁদের জন্য নির্ধারণ করেছেন অনেক গুলো মানযিল। (২৯দিনে ২৯টি উদয় ও অস্তন্থল) যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখ্যা ও হিসাব। -(সূরাহ ইউনূস, আয়াত-৫)
অত্র আয়াতে কারীমায় “বছর” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও “মাস” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ না করে বরং তাকে ﺣﺴﺎﺏ শব্দে রূপকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারণ চান্দ্র বছর হয় সুনির্দিষ্ট ১২টি চন্দ্র মাস অথবা ৩৫৪দিনের সমন্বয়ে। এতে কোন কম বেশী হয়না। কিন্তু চান্দ্র মাস গুলো সুনির্দিষ্ট সংখ্যক দিন নিয়ে গঠিত নয়।বরং কোন মাস ২৯দিনে আবার কোন মাস ৩০দিনে হয়। অন্যদিকে এবছর যে চান্দ্র মাসটি ৩০দিনে হবে, আগামী বছর সে মাসটি ৩০দিনে হতে পারে, আবার ২৯দিনেও হতে পারে।কিন্তু মাস বলতে সুনির্দিষ্ট ৩০দিনকেই বুঝায়। এ কারণেই মহাবিজ্ঞ মহান রব্বুল আলামীন অত্র আয়াতে চান্দ্র মাসকে ﺷﻬﺮ বা মাস না বলে ﺣﺴﺎﺏ বলে উল্লেখ করেছেন।
অতএব পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে প্রমাণিত যে “চাঁদ শুধুমাত্র মাস ও বছরের সময় নির্দেশক”।
সময়ের এ ২টি স্তর সামগ্রিকভাবে বিশ্ববাসীর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
পক্ষান্তরে সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের প্রথম ৪টি স্তর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা ও দিন- রাত স্থানীয়ভাবে স্থানীয় মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)