মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হজের কয় দিন পরে ঈদুল আযহা সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং আরবি জিলহজ ১৪৩৬ হিজরী ???

সৌদি আরবের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ বুধবার সৌদি আরবে হজ বা আরাফাতের রোজার দিন এবং
২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ বৃহস্পতিবার ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ।


  • [২৯ তারিখ চাঁদ না দেখা গেলে পরে দিন অর্থাত্‍ ৩০ তারিখ আর চাঁদ দেখতে হবে না কারণ আরবি মাস ২৯ এর কম হবে না আবার ৩০ এর বেশী হবে না

তথ্য সূত্র :
মূসা’দ্দাদ (রহঃ) আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি মাস কম হয় না। তারা হল ঈদের দু’মাস রমযানের মাস ও যুলহজের মাস। আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেছেন, আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেন, রমযান ঘাটতি হলে যুলহাজ্জ (হজ্জ) পূর্ন হবে। আর যুলহাজ্জ (হজ্জ) ঘাটতি হলে রমযান পূর্ন হবে। আবূল হাসান (রহঃ) বলেন, ইসহাক ইবনু রাহওয়াই (রহঃ) বলেন, ফযীলতের দিক থেকে এ দুই মাসে ঘাটতি নেই, মাস ঊনত্রিশ দিনে হোক বা ত্রিশ দিনে হোক।(বুখারি (ইফা) ১৭৯১)
আবূল ওয়ালিদ (রহঃ) ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু’হাতের অঙ্গুলী তুলে ইশারা করে) বলেনঃ মাস এত এত দিনে হয় এবং তৃতীয় বার বৃদ্ধাঙ্গুলীটি বন্ধ করে নিলেন।(বুখারি (ইফা) ১৭৮৭) ]

সৌদি আরবে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং তারিখ হাজীগণ ও সাধারণ মুসলমানরা পশু কুরবানি দিবেন।
বাংলাদেশের অনেক লোক সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেবে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং ।
আর বাংলাদেশ সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক সৌদি আরবের পর দিন ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং শুক্রবার ঈদুল আযহা পালন করবে ।
[যা কুরআন ও হাদিস বিরুদ্ধী আবু হুরয়রা রা : হতে বণিত , রাসূল সা: বলেছেন :" যেদিন তোমরা রোজা পালন করো সেদিন হলো রোজা আর যেদিন তোমরা ঈদুল ফিতর পালন করো যেদিন হলো ঈদুল ফিতর আর যে দিন তোমরা ঈদুল আযহা পালন করো সেদিন হলো ঈদুল আযহা"।
ইসলামিক ফাউ: তিরমিযি বাংলা হা/৬৯৫
আয়েশা রা: হতে বর্নিত , রাসূল সা: বলেছেন: " ঈদুল ফিতর হলো ঐ একদিন যে দিন সকল মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকে এবং ঈদুল আযহা হলো ঐ একদিন যেদিন সকল মানুষ ঈদুল আযহা পালন করে থাকে ।"
ইসলামিক ফাউ: তিরমিযি হা/৮০০ ]

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং তারিখ মোতাবেক ৯ জিলহজ ১৪৩৬ হিজরী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ করতে আসা মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হজ পালন করবেন ।
[ মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ। নবী করিম (সা.) ফরমান, ‘আরাফাতে অবস্থান করাই হজ।’ (তিরমিজি)]

প্রতিবছর সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী হিজরি সনের জিলহজ মাসের ৮ তারিখ থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হয় এবং জিলহজ মাসের ১২ তারিখে শেষ হয়।
তারিখ গননা ও হজ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী বিশ্বের সব মুসলিমকে ঈদুল আযহা পালন করা ফরজ ।
কারণ কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা আছে হজের পরের দিন ঈদ হবে ।
হজ হয় সৌদি আরবের মক্কা শহরে । সুতরাং সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একই দিনে বিশ্বব্যাপী ঈদ না করা কুরআন ও হাদিস বিরুদ্ধী কাজ ।
কারণ আল্লাহ বলেছেন يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِۖقُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّۗوَلَيْسَ الْبِرُّ بِأَن تَأْتُوا الْبُيُوتَ مِن ظُهُورِهَا وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقَىٰۗوَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَاۚوَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম।
আর পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার মধ্যে কোন নেকী বা কল্যাণ নেই। অবশ্য নেকী হল আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে। আর তোমরা ঘরে প্রবেশ কর দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা নিজেদের বাসনায় কৃতকার্য হতে পার। সুরা বাকারা : ১৮৯ ।
এই আয়াত হতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, সমগ্র মানব জাতির জন্য একটাই তারিখ হবে আর তা মক্কা শহর কেন্দ্রিক নবচন্দ্র ভিত্তিক তারিখ যা হবে কারণ হজ হয় মক্কায় আর এই তারিখ এর সমষ্টিকে হিজরী সন বলে আমাদের কাছে বহুল পরিচিত ।

হজের আনুষ্ঠানিকতা মক্কা শহরে যেভাবে হয় :
সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী ৮ জিলহজ হাজিরা হজ শুরু করেন ও মিনায় অবস্হান করেন ।
তারা ৯ জিলহজ আরাফাত ময়দানে অবস্হান করেন । এই দিনটাই হজের দিন ।
[মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ। নবী করিম (সা.) ফরমান, ‘আরাফাতে অবস্থান করাই হজ।’ (তিরমিজি)]
তারা ১০ জিলহজ মক্কায় অবস্হান করেন ।
কুরবানী দিয়ে ঈদুল আযহা পালন করেন ।
আয়েশা রা: হতে বর্নিত , রাসূল সা: বলেছেন: " ঈদুল ফিতর হলো ঐ একদিন যে দিন সকল মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকে এবং ঈদুল আযহা হলো ঐ একদিন যেদিন সকল মানুষ ঈদুল আযহা পালন করে থাকে ।"
ইসলামিক ফাউ: তিরমিযি হা/৮০০
22/09/2015 {{Md SaRower HosSain}}

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

Eid al-Adha is on Thursday, September 24, 2015 vs Friday, 25 September 2015

Eid al-Adha is on Thursday, September 24, 2015 vs Friday, 25 September 2015:
============================
  • Thursday, 24 September 2015:

1. Afghanistan (Follow Saudi)
2. Albania (Follow Saudi)
3. Algeria (Follow Saudi)
4. Armenia (Follow Saudi)
5. Australia (Local Sighting)
6. Austria (Follow Saudi)
7. Azerbaijan (Follow Saudi)
8. Bahrian (Follow Saudi)
9. Bangladesh (Some areas follow Saudi)
10. Barbados (Local Sighting)
11. Belgium (Follow Saudi)
12. Bolivia (Follow Saudi)
13. Bosnia and Hercegovina (Follow Turkey)
14. Brunei (Local Sighting)
15. Bulgaria (Follow Saudi)
16. Chile (Local Sighting)
17. Chechnia (Follow Saudi)
18. Cosovo (Follow Turkey)
19. Croatia (Follow Turkey)
20. Denmark (Follow Saudi)
21. Egypt (Moon Born before sunset & moon sets at least 5 minutes after sunset)
22. Finland (Follow Saudi)
23. Georgia (Follow Saudi)
24. Ghana (Local Sighting)
25. Hungary (Follow Saudi)
26. Iceland (Follow Saudi)
27. Indonesia (Local Sighting)
28. Iraq (Follow Saudi)
29. Jordan (Follow Saudi)
30. Kazakhstan (Follow Saudi)
31. Kenya (Local Sighting)
32. Kuwait (Follow Saudi)
33. Kyrgizstan (Follow Saudi)
34. Lebanon (Follow Saudi)
35. Libya (Local Sighting)
36. Macedonia (Follow Turkey)
37. Malaysia (30 days completion - Official Announcement)
38. Mauritania (Follow Saudi)
39. Mauritius (Local Sighting)
40. Montenegro (Follow Turkey)
41. Netherlands (Follow Turkey)
42. Nigeria (Announced)
43. Norway (Decsion of Islamic Council of Norway http://www.irn.no according to agreed upon method, to follow annoncement from any Muslim country, and reject annoncement if they are before Calculations of easy sightabilty)
44. Palestine (Follow Saudi)
45. Philippines (Follow Saudi)
46. Qatar (Follow Saudi)
47. Romania (Follow Saudi)
48. Russia (Follow Turkey)
49. Saudi Arabia (Official Announcement)
50. Serbia (Follow Turkey)
51. Slovania (Follow Turkey)
52. South Africa (Local Sighting)
53. Spain (Local Sighting)
54. Spain (Some Follow Saudi)
55. Sri Lanka (Local Sighting)
56. Sudan (Follow Saudi)
57. Suriname (News from Guyana if not seen in Suriname)
58. Sweden (Follow Saudi)
59. Switzerland (Follow Saudi)
60. Syria (Follow Saudi)
61. Taiwan (Follow Saudi)
62. Tajikistan (Follow Saudi)
63. Tanzania (Local Sighting)
64. Tatarstan (Follow Saudi)
65. Trinidad & Tobago (Local Sighting)
66. Turkey (In Turkey Altitude > 5°, elongation > 8°)
67. Turkmenistan (Follow Saudi) 68. U.A.E. (Follow Saudi)
69. UK (30 days completion) [Wifaaqul ulama), (Ahle Sunnat Wal Jamaat], OR (Sighting from countries east of UK)]
70. UK (Follow Saudi) [Coordination Committee of Major Islamic Centres and Mosques of London]
71. USA (FCNA/ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America) relied on Saudi Announcement of Hajj.
72. Uzbekistan (Follow Saudi)
73. Yemen (Follow Saudi)
74. Zambia (Local Sighting)
75. Zimbabwe (Local Sighting)
Friday, 25 September 2015:
1. Bangladesh (Some follow Local Sighting)
2. Fiji Islands (Local Sighting)
3. India (Local Sighting)
4. Pakistan (Local Sighting)
5. South Korea (Shi'a - KiCEA registered NGO announced)
তথ্য সূত্র
http://www.moonsighting.com/1436zhj.html
{{Md SaRower HosSain}}

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এবার ২০১৫ ইং সালের ঈদুল আযহা হাদিস মতে ২৪ তারিখ আর গণতন্ত্রবাদী সরকারের মতে ২৫ তারিখ

এবার ২০১৫ ইং সালের ঈদুল আযহা হাদিস মতে ২৪ তারিখ আর গণতন্ত্রবাদী সরকারের মতে ২৫ তারিখ
==========
ইন্নাল হামদালিল্হালাহ, ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলিহিল কারিম।
হাদিসের উল্লেখ জ্বিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে হজ্ব হবে এবং হজ্বের পরের দিন অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখে কুরবানি মানে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।
  • কিন্তু আমরা কি হজ্বের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করছি????

না করছিনা। আমরা যে বাংলাদেশী তাই তো ¡¿¿¡
কারন সেদিন বাংলাদেশে থাকে ৯ই জ্বিলহজ্ব মানে হজ্বের দিন মনে করা হয়,
  • অথচ হজ্বের অনুষ্ঠান গুলো প্রতিটা টিভি চ্যনেল সরাসরি সমপ্রাচারিত করে থাকে গতকাল ,

তার পরেও আমাদের হুশ হয় না।
কুরবানি হবে হজ্বের পরের দিন অথছ বাংলাদেশে কুরবানি মানে ঈদ পালন হয়
হজ্বের দুই দিন পর।
আপনার নিজেকে প্রশ্ন করুন কি পালন করছেন ???
  • আরো একটি কথা আপনি যে দিন ৯ তারিখ মনে করে (বাংলাদেশী তারিখ) সাওম রাখছেন সে দিন কি আরাফার মাঠে কিছু থাকে ???

20/09/2015 {{Md SaRower HosSain }}

মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড

মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড

—————————————————————————————————
প্রশ্নঃ কতিপয় প্রচলিত হানাফি ভাই বলে থাকে যে ‘হাদীস সহীহ না যঈফ’ তা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে এবং নবী (সা:) হাদীসের এবং কোন রাবী মিথ্যূক বা সত্যবাদী এটা তো নবী (সা:) বলে যান নাই। সেক্ষেত্রে আপনারা মুহাদ্দীসগণের তাকলীদ করেন। তাহলে আপনারাও তো মুকাল্লিদ?
—————————————————————
উত্তর /জবাব:
আমারা ৪ ইমামকেই মানি।
১ জনকে মানি না। ১ জনকে মানা জায়েজ নেই।
আপনি কি শুধু বাবার কথা মানবেন, চাচার কথা শুনবেন না? কোন সত্যবাদী ব্যক্তি যদি কোন রাবীকে মিথ্যুক অথবা রাবীকে মিথ্যুক নয় বলে তবে এটা মানতে হবে।
যদি এমন হয় তবে তাহলে নাউযুবিল্লাহ রাসুল (সঃ) কেও মুকাল্লিদ মানতে হবে।
  • কারন প্রায় প্রতি বছর ঈদের সময় রসূল মুহাম্মাদ (সঃ) অন্য কোন ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে ঈদের চাঁদ উঠার খবর জেনে মেনে নিতেন (আবু দাউদ) ।

এভাবে বক্তব্য মানা তাকলীদ নয়।
কোন সাহাবী কি অন্য কারো সম্পর্কে রাসুল মুহাম্মাদ (সঃ) কে বলে নাই যে,
এই লোক এমন, এই লোক এই কাজ করেছে। রাসুল (সঃ) কি ঐ সাহাবীর বক্তব্য মানেন নাই? তা হলে এটা কি তাকলীদ?
এই ভাবে জর্জের সামনে যদি কোন স্বাক্ষী বলে যে, হ্যাঁ, আমি দেখেছি ও খুন করেছে।
  • জর্জ যত বড়ই মুফতী, আলেম হউক না কেন জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর কথার উপর রায় দিবে না?

এটা কি জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর মোকাল্লেদ হলো?
  • আপনার বাসায় একজন বড় মুফতী, ইমাম আসছে।

কিন্তু কিবলা কোন দিকে জানে না।
আপনাকে জিজ্ঞাসা করলো কিবলা কোন দিকে? আপনি বললেন, কিবলা এই দিকে। ঐ ইমাম মুফতী কি আপনার মুকাল্লীদ হইয়া গেলো?
  • ২য় কথা হলো আমারাও ইমামদের মান্য করি।

কোরআন আর সুন্নার সাথে মিললে তা আমরা মানি। না মিললে মানি নি।
এটা আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) ই বলেছেন। ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻨَﺎﺯَﻋْﺘُﻢْ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ ﻓَﺮُﺩُّﻭﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝِ যদি ইখতেলাফ দেখা দেয় তবে আল্লাহ ও তার রাসুলে দিকে ফিরে যাবে। কেন? ফয়সালার জন্য।
৪ ইমামের মাঝেই ইখতেলাফ রয়েছে।
কিতাব ও সুন্নাহ মোতাবেক {জিসনি বাত সহীহ হায় মানো} (!)
  • এটা দেখা যাবে না যে, আমার ইমাম কে, তোমার ইমাম কে? আমার ইমাম ইমাম আবু হানিফা, বাকী গুলো কি আমার ইমাম নয়?

তারাও আমার ইমাম।
  • চার (সহ বাকি সবাই) জনই আমাদের ইমাম!

{{~Wait & See~}}
—————————————————————————————————

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ১ম ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড

মাযহাবী পোস্টমর্টেম (পার্ট ২)
হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
  • মাযহাবী আলেমরা বলে থাকে কোন হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয় করতে ইমামগণ থেকে মতামত গ্রহণ করতে হয়। কোন রাবী বিশ্বস্ত বা অবিশ্বস্ত যা কি’না ইমামগণের তাক্বলীদ বুঝায়। যে তাক্বলীদ আমরা সকলেই করে থাকি। এ থেকেই বুঝা যায় ইসলামে তাক্বলীদ রয়েছে।!!!



জবাব :
এই ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ, হাদিসের ইমামগণের থেকে আমরা শারী’আহ’র বিধান নেই না। বরং হাদিসের রাবীগণ কে ভাল বা খারাপ তা গ্রহণ করি।
  • এই বিষয়টি মোটেই ইমামগণের তাক্বলীদ (তাক্বলিদে শাখসী) নয়।

মুহাদ্দিস গণ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করি ওমুক রাবী ভাল অথবা খারাপ এখনো তো অনেক জন মুহাদ্দিস থেকে নেওয়া হয়
{যা তাক্বলিদে মুতলাক্ব~ মুক্ত তাক্বলিদ }
  • এর দ্বারা তাক্বলিদে শাখসী খতম মানে একক ব্যক্তির তাক্বলিদ (অনুসরন)।

বুঝা গেল কোন মানুষ সম্পর্কে জানার জন্য কারো কথা মান্য করলে অন্ধ তাক্বলীদ হয় না।
  • তেমনি হাদিসের রাবী সম্পর্কে ইমামগণ থেকে জেনে নিলে তা অন্ধ তাক্বলীদ হয় না।

বরং তাহক্বীক অর্থাৎ যাচাই- বাছাই হয়।
মাযহাবীদের কথা দ্বারা তাদের মতের বিপক্ষে যায় কারণ তাক্বলিদ হবে একক ব্যক্তির কিন্তু উক্তি তে আছে অনেক জন ।
এক হানাফি মুক্কালিদ কি কোন মাসলায় জানতে অন্য কোন মাযহাবিদের শাফি মালিকি হাম্বলি কাছে যায়?
আল্লাহ আমাদের অন্ধ তাকলীদ (তাক্বলিদে শাখসী) হতে রক্ষা করুক।
§ S H M HASAN §

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী মরাতে

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী মরাতে অনেকের আবেগে চোখ অশ্রুশিক্ত হয়ে যাচ্ছে।
আপনাদের স্বরণ করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মহসীন আলীর কতিপয় ধর্মদ্রোহী ও নোংরা উক্তি উল্লেখ করছি:
  • ১/ কোলকাতার নার্সরা আমার গোপন অঙ্গ হাত দিয়ে ধুয়ে দিছে আপনারা বাংলাদেশের নার্সরা কেন পারবেন না??

  • ২/ যারা বোরকা পরে তারা জঙ্গি। তারা অসুন্দর, তাই তারা বোরকা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে।

  • ৩/ সমাজের সব আকাম কুকাম বোরকা পরা মেয়েরাই করে।

  • ৪/ টাঙ্গাইলের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ কারি মোল্লাদের শিরচ্ছেদ করা উচিত।

  • ৫/ পর্দা করলে চলবে না, হাফ প্যান্ট পড়ে পুরুষের পাশাপাশি চলতে হবে। পুরুষদের ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে যেতে হবে।

  • ৬/ আমি চাই দেশে বিখ্যাত নর্তকী গড়ে উঠুক।

  • ৭/ আমি এইট পাশ তাতে সাংবাদিকরা বাল ফালানির কে??

  • ৮/ ঐ সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে রাতে বউয়ের পাশে ঘুমাতে পারবি না।

  • ৯/ ইসলাম সেকুলারিজম তাই তার বিধান মানা যাবেনা।

তার ব্যাপারে কুরান কি বলে দেখুন:
"আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। (সুরা তওবাহ, আয়াত-৮৪)

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ করবেন???

আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ না করে

আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর রোজ বৃহশপ্রতিবার ঈদউল-আযহা পালন করবেন???????

  • হাদিসের ভাষায় জ্বিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে হজ্ব হবে এবং হজ্বের পরের দিন

  • অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখে কুরবানি মানে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।


কিন্তু আমরা কি হজ্বের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করছি????

না করছিনা।কারন সেদিন বাংলাদেশে থাকে ৯ই জ্বিলহজ্ব মানে হজ্বের দিন মনে করা হয়
অথছ হজ্বের অনুষ্ঠান গুলো প্রতিটা টিভি চ্যনেল সরাসরি সমপ্রাচারিত করে থাকে তার পরেও আমাদের হুশ হয়না। কুরবানি হবে হজ্বের পরের দিন অথছ
  • বাংলাদেশে কুরবানি মানে ঈদ পালন হয় হজ্বের দুই দিন পর।


আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন!!!!
  • কুরবানি কবে করার কথা বা ঈদ কবে হবে????


  • আর আপনি কবে করছেন???????


রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন যে,আরাফার দিনে
অর্থাৎ হজ্বের দিনের সাওমের ব্যাপারে আমি আল্লাহর উপর এ বিশ্বাস রাখি,ঐ দিনের সাওমের বিনিময়ে আল্লাহ পাক সাওম পালনকারীর পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন।(মুসলিম শরীফ,খন্ড-১,পৃঃ -৩৬৭) হাদীসে ঘোষিত এ মহান পূন্য লাভের আশায় অগণিত মুসলিম নর -নারী বাংলাদেশের স্থানীয় ৯ জিল-হাজ্জ সাওম রাখেন।
  • কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ঐ দিন মক্কা মোআজ্জমা সহ সারা বিশ্বে ১০ বা ১১ জিল- হাজ্জ।


অর্থাৎ কোন ভাবেই ঐ দিনটি আরাফার দিনতো নয়ই বরং কোরবানীর বা তাশরীকেন দিন প্রথম দিন।
  • যে দিন গুলোতে সাওম রাখা সকল ইমাম ও আলেমের ঐক্য মতে হারাম।


তাহলে ফল হলো স্থানীয় চাঁদ দেখার হিসেবে একটি নফল সাওম রেখে হারামে নিমজ্জিত হচ্ছেন অগণীত মুসলিম নারী- পুরুষ। অতএব আসুন যেহেতু আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর বুধবার হজ্ব হবে অতএব আমরা সে অনুযায়ী রোজা
এবং আমরা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ বৃহশপ্রতিবার ঈদুল আযহা পালন করি।
এবং আমল গুলো সহীহ সুন্নাহ পন্হায় পালনে সচেষ্ট হয়।

[লেখক: মোঃ আমিনুল ইসলাম]