বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

লা ~ মাযহাবী কারা কারা ????

বিষয়: লা ~ মাযহাবী কারা কারা ???? ————————————————————————————————— . . মাযহাব মানা ফরয। আর মাযহাব না মানলে লা মাযহাবি। . ============================================== . আচ্ছা মাযহাব মানা যদি ফরয হয় আর এই ফরয যদি কেউ অস্বীকার করে সে কি কাফের হবে? . অথবা এই ফরয যদি কেউ পালন না করে সে কি গোনাগার হবে? . যেমন যাকাত দেয়া ফরয। কিন্তু কেউ যদি যাকাত কে অস্বীকার করে তাহলে সে কাফের আর যদি যাকাত আলসতা করে আদায় না করে তাহলে কবীরা গোনাহগার হবে। . এই মাযহাব মানা কোন ধরনের ফরয? . আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসুল (সাঃ) শরী'আতের যত হুকুম ফরয আছে তা স্পষ্ট করে দিলেন . কিন্তু #মাযহাব ফরয করার জন্য হুজুরদের হাতে ছেড়ে দিলেন আর হুজুরগণ কুরআন ঘেটে ঘেটে বুঝতে পারলেন যে . #অমুক আয়াতে বুঝা যাচ্ছে মাযহাব মানা ফরয। . কিন্তু রাসুল (সাঃ) ও তার সাহাবীগণ সব ফরয বুঝলেন এবং মানলেন এই লুকিয়ে থাকা ফরয বুঝলেন না। . কিন্তু আমাদের হুজুরগণ বুঝতে পারলেন। . আচ্ছা মাযহাব মানা যদি ফরয হয় আর লা মাযহাবী হওয়া যদি গোনাহ এর কাজ হয় তাহলে তো আল্লাহ তা'আলা তার জন্য নিশ্চয় শাস্তি দিবেন। . কারণ মাযহাব মানা ফরয আর ফরয তরক করা কবীরা গোনাহ। . কিন্তু শাস্তি দেওয়ার আগে যখন বলবেন কারা কারা মাযহাবী হাত তুল। . তখন দেখা যাবে মাযহাবীগণ হাত তুলবে . কিন্তু #সাহাবীগণ হাত তুলছেন না, . #তাবেঈ ও তাবে তাবেঈগণ হাত তুলছেন না, . #ইমাম আবু হানীফা রহ হাত তুলছেন না, . #ইমাম মালিক রহ হাত তুলছেন না, . #ইমাম শাফেয়ী রহ হাত তুলছেন না, . #ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ হাত তুলছেন না। . তখন অবশ্য ই আল্লাহ তাদের পাকড়াও করবেন এই বলে যে তোমরা মাযহাব মানলে না কেন? . তোমরা কি জানতে না মাযহাব মানা ফরয ছিল? . #তারা নিশ্চয় বলবে হে আল্লাহ মাযহাব তো আমাদের মৃত্যুর পরে তৈরি হলো সেই মাযহাব আমরা মানব কি করে? . তার মানে সাহাবীগণ, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈগণ, ৪ ইমাম #সহ আরো অনেক থাকবেন #লা মাযহাবী। . তখন কি অবস্থা হবে জানি না। কিন্তু আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাকে বিচার দিবসের দিন #যারা লা মাযহাবী হিসাবে হাত তুলবেন না তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। (আমিন) { ~Wait & See~ }

জানা লোকের কাছে জানা

""ফাছ'য়ালূ আহলায যিকরি ইন কুনতুম লাতা লামূনা,বিলবাইনাতি ওয়ায যুবুর"" (নাহল ১৬ / ৪ এবং ২৭ / ৭) ""ইয কুলতুম ছামি'না ওয়া আতা'না""(সূরা মায়েদা ৫/৭ নং আয়াত) ""ইননা মা ইয়াছতাজীবুল লাযীনা ইয়াছমা'উন"" (আন'আম ৬/৩৬) ""তাদের মত হয়ো না যারা বলে আমরা শুনেছি অথচ তারা কিছুই শুনে না""(আনফাল ৮/২১) হাদিস= ১* আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বিভিন্ন সনদে ইমাম আহম্মাদ, ইমাম তিরমিযী ও ইমাম ইবনু জারীর রহঃ বর্ণনা করেছে,........... রসূল (সাঃ) যখন আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) এর সম্মুখে এই আয়াক তিলাওয়াত করলেনঃ """ ইততাখযু~আহবা-রহুম ওয়া রুহবা-নাহুম আরবা-বাম মিন দূনিল্লা-হি""" অর্থ-তারা (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানগণ) আল্লাহকে ছেড়ে তাদের আলেম (পন্ডিতগণ) ও দরবেশগণকে (সংসার বিরাগীগণকে) রব হিসাবে গ্রহণ করেছে""" (সূরা তওবা ০৯/৩১নং আয়াত।) আদী (রাঃ) তখন বললেন-তারা তাদের আলেম ও দরবেশকে রব বানায়নি । নবী (সাঃ) বললেন-হ্যাঁ, তারা নিশ্চয় তাদের আলেম ও দরবেশদেরকে রব বানিয়েছে। তাদের আলেম ও দরবেশগণ আল্লাহ কর্তৃক হালাল ঘোষিত বিষয়কে তাদের জন্য হারাম করেছে এবং হারাম ঘোষিত বিষয়কে হালাল বানিয়েছে। আর তারা সেই সব বিষয় নিজেদের আলেম ও দরবেশদেরকে তথা তাদের বিধি ব্যবস্থা মেনে নিয়েছে।-(বিস্তারিতঃ তাফসিরে ইবনে কাসীর আলোচ্য আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য।) *সূরা আনআম ০৬/১০৪ *সূরা আনআম ০৬/১৯

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

মাযহাবীদের লিডার বর্তমান মুফতি লুত্‍ফর এর তাক্বলিদের সংঙ্গার কপি প্রচার কারকদের #তাক্বলিদের সংঙ্গার জবাব ((মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ এর ২য় অংশ (৫.২))

মাযহাবীদের লিডার বর্তমান মুফতি লুত্‍ফর এর তাক্বলিদের সংঙ্গার কপি প্রচার কারকদের #তাক্বলিদের সংঙ্গার জবাব ((মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ এর ২য় অংশ (৫.২))

—————————————————————————————————

মূল : লুত্‍ফর ফরাজী . কপি প্রচারক :-//Shahariar Rahman Sajib

তাকলীদ হল, মাসায়েলে ইজতিহাদিয়্যাতে,গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তির এমন মুজতাহিদেরমুফতা বিহা মাসায়েলকে দলীলচাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া, যে ব্যক্তির মুজতাহিদহওয়া শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমানিত, এবং তার মাযহাবউসুলান ও ফুরূআন সংকলিত হয়ে মুকাল্লিদের কাছে আমলহিসেবে মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছেছে। ভাই দয়া করে এ সংজ্ঞাটির সবগুলো পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তাক্বলীদ হারাম দলিলসহ আলোচনা করুন

// .

—————————————————————————————————

আপনার দেওয়া সংঙ্গার জবাব নিচে দেওয়া হল:-

//Shahariar Rahman Sajib@ তাকলীদ হল, মাসায়েলে ইজতিহাদিয়্যাতে,গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তির এমন মুজতাহিদেরমুফতা বিহা মাসায়েলকে দলীল চাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া,//

জবাব:- সূরা তাওবার আয়াত ০৯/৩১ এবং হাদিস আদি ইবনে হাতেম এর সেই বিখ্যাত হাদিস দেখুন লিংক

[

Click This Link

] //যে ব্যক্তির মুজতাহিদহওয়া শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমানিত, এবং তার মাযহাবউসুলান ও ফুরূআন সংকলিত হয়ে মুকাল্লিদের কাছে আমলহিসেবে মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছেছে।//

জবাব : এই মতটা কোন মুতাওয়াতির সূত্রে পেয়েছে যা কুরআনে এবং হাদিসে নেই

  • নির্দিষ্ট করেছে ১৩০ ফরজ


  • চার মাযহাব চার ফরজ


  • চার কুরসি চার ফরজ


নির্দিষ্ট এক মুস্তাহিদ ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর তাক্বলিদ করতে হবে যার কোন একটা প্রমাণ নেই

এক ব্যক্তির তাক্বলিদ করার

এই গুলোর পক্ষে একটা দলিল দিন কুরআন ও হাদিস থেকে যা আপনার কাছে এসেছে ???

{{এখানে এই পোষ্টে ০১ নং এবং ০৩ নং দুইটি ইসতিহাদি মাসায়েল আছে পারলে এই এক মুস্তাহিদ ইমামের তাক্বলিদ করা যাবে প্রমাণ করেন

এই দুটি মতে অন্য কোন ইমামের মত দিবে না

[

Click This Link

] //ভাই দয়া করে এ সংজ্ঞাটির সবগুলো পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তাক্বলীদ হারাম দলিলসহ আলোচনা করুন//

জবাব : দলিল ছাড়া কার কথা গ্রহণ করা যাবে প্রমাণ দেখেতে পারবেন ???

//দলীল চাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া,//

জবাব:-- দলিল ছাড়া আলেম বা পন্ডিত দের কথা গ্রহন করা এটা ইহুদি নাসারা এদের স্বাভাব দেখুন তাওবা ৩১ হাদিস আদি ইবনে এর সেই বিখ্যাত হাদিস ( ১ম লিংকে দেওয়া আছে

Click This Link

)
  • আপনার দেওয়া সংঙ্গা মতে"" আপনি বলেন দলিল ছাড়া কোন মত গ্রহন কাদের নীতি ???


  • আপনি বলেন, আপনার সংঙ্গার কথা মানব না আল্লাহ এবং তার নবীর কথা মানব ????


এক জন মুস্তাহিদ সব বিষয়ে সমাধান দিয়ে গিয়েছে কি ??

  • মুস্তাহিদের সব বিষয়ে সমাধান কি সবগুলো সঠিক ??


ধরুন বা হয়েছে , মুস্তাহিদ ভুল করেছে ,এখন মুস্তাহিদের এই ভুলটা মুকালিদরা মানবে না বাদ দিবে ??

আবার, বাদ দিয়ে অন্য আরেক জন এর মত গ্রহন করে তখন

#তাক্বলিদ খতম হয়ে যাবে কারণ ঐ মুকালিদ এখন আর মুকালিদ থাকবে না সে দলিল যাচাই কারী হবে,

#আর দলিল চাওয়া বা যাচাই মুকালিদের কাজ না ॥

ইসলামে মুস্তাহিদের ভুল এর উপর মুকালিদের আমল করার পক্ষে কি কোন দলিল আছে ???

  • মানুষ কি ভুল করে ???


{{~Wait & See~}}

—————————————————————————————————

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর,আনুগত্য কর রাসুলের ও উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯) মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট (ছয়) ৬

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট (ছয়) ৬

মাযহাবীর দলিল দেয় নং- ৬ "হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর,আনুগত্য কর রাসুলের ও উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯)

যেহেতু আল্লাহ তায়ালা এখানে আলেমদের আনুগত্যের কথা বলেছেন তাই তাদের তাক্বলীদ করা ওয়াজিব।

জবাবঃ

প্রথমত এখানে আগে বলা হয়েছে আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করতে।

  • অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করার লক্ষ্যেই উলিল আমরের আনুগত্য করতে হবে।


[[ জানতে এই পোষ্টটা পড়ুন

Click This Link

]] দ্বিতীয়ত উলিল আমর বলতে শাসক ও আলেম উভয় শ্রেণীকেই বুঝায়।

তারা যদি সত্যের বিরোধিতা করেন তাহলে তাদের কথা মানাযাবে না।

[[জানতে এই পোষ্টটা পড়ুন

Click This Link

]] কেননা রাসুল সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতায় সৃষ্টি জীবের কথা মানা যাবে না।" (মুত্তাফাক্ব আলাইহি,মিশকাত হা/৩৬৬৫)

  • তাই তাদের কথা দলিল প্রমাণের মাধ্যমে যাচাই করে মানতে হবে।


তৃতীয়ত এই আয়াতের পরের অংশেই বলা হয়েছে -"

যদি তোমাদের মাঝে মতবিরোধ হয় তবে তা ফিরিয়ে দাও আল্লাহ ওপরাসুলের দিকে।

  • "অতএব মুজতাহিদগণের যেখানে মতপার্থক্য রয়েছে সেখানে কুরআন ও হাদীছের আলোকে যাচাই করে যে মত অগ্রগণ্য হবে সেটাই গ্রহণ করতে হবে।


তাই কিভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির তাক্বলীদ করা যেতে পারে?

এই আয়াতে এই শব্দ কি একক বচন না বহু বচন উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯)?

  • তাক্বলিদ কয় ব্যক্তির করতে হয়?


[[জানতে এই পোষ্টেটি পড়ুন:- প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।

প্রশ্ন কর্তা:এক জন হানাফি মাযহাবী

Click This Link

]] এই আয়াতে তো মৃত ব্যক্তির তাকলিদ প্রমাণিত হয় কি ভাবে?

.নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট ৪

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট (চার) ৪

¤ মাযহাবী আলেমরা দলীল দেন " কাসীর ইবনু ক্বঈস (রহ.) সুত্রে বর্ণিত, “..রসূলুল্লাহ (দ.) বলেছেন, ...নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” -আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২০, কিতাবুল ইল্ম, অনুচ্ছেদঃ ১, জ্ঞানের ফাযীলাত, হাদিস # ৩৬৪১।

¤ এই হাদিস অনুযায়ী আলেমগণ নিজ থেকে শারীয়াহ’র বিধান দিতে পারেন। যেহেতু আলেমগণ নাবী (আ.) গণের ওয়ারিস। অতএব, এ হাদিসটি থেকেই বুঝা যায় যে, আলিমদের তাক্বলীদ করা বৈধ।"!!?

  • জবাব : ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণই ভুল।


কারণ নাবী রসূল গণ শারীয়াহর কোনো কথাই নিজ থেকে বলতে পারতেন না।

বরং তাঁদের কাছে যে ওয়াহি করা হতো শুধু তাই অনুসরণ করতেন।

¤ এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “কোনো রসূলেরই এই অধিকার ছিলো না যে, তাঁরা আল্লাহ’র অনুমতি ছাড়া (শারীয়াহ’র) কোনো বিধান নিয়ে আসবে।” - সূরা আর- রা’দ (১৩), ৩৮।

নাবী রসূলগণ যেহেতু নিজ থেকে শারীয়াহ র কোনো কথা বলতে পারতেন না,

সেখানে একজন আলেম কিভাবে নিজ থেকে শারীয়াহর কথা বলবেন ?

¤ হাদিসটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন, রসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন,

নাবীগণ (আ.) ওয়ারিস হিসেবে রেখে যান ইলম (জ্ঞান)।

আলিমগণ যদি নিজ থেকে শারীয়াহর কোনো কথা বলতে পারতেন তা হলে

  • তো নাবী গণের ইলম বা জ্ঞান রেখে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন ছিলো না॥


¤ বরং নাবীগণ (আ.) যে ইলম (জ্ঞান) রেখে গিয়েছেন তা বুঝাবার দায়িত্ব দিয়েগেছেন আলিমগণকে।

তাই হাদিসটিতে আলিমগণকে শারীয়াহ’র মাঝে নিজ ইচ্ছামত বিধান দেয়ার অধিকার দেয়া হয়নি।

বরং নাবী- রসূলগণ (আ.) ওয়াহী ছাড়া কিছুই বলতে পারতেন না। ঠিক নাবী- রসূলগণের ওয়ারিসগণ তারাই যারা নাবী-রসূলগণের (আ.) রেখে যাওয়া ওয়াহীর ইলম অনুযায়ী ফায়সালা দেন।

আর যারা নাবী রসূলগণের রেখে যাওয়া ইলম ব্যতীত ফায়সালা দেয় তারা নাবী রসূলগণের ওয়ারিস নয়।

  • অতএব, এই হাদিসটি কোনোভাবেই তাক্বলীদ প্রতিষ্ঠার দালিল হতে পারে না।


আল্লাহ আমাদের তাকলীদ হতে হেফাজত করুক। ((আমীন))।

{{ S H M HASAN }}

বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫

ইন্ডিয়া কি কি কাজে সেরা আসুন জেনে নেইঃ

ইন্ডিয়া কি কি কাজে সেরা আসুন জেনে নেইঃ ১. দেশের বেশিরভাগ [৫০%] মানুষ খোলা আকাশের নিচে পায়খানা করে। (BBC) ২. পুত্র সন্তানের আশায় ইন্ডিয়াতে প্রতি চারটি নারী ভ্রূণের মধ্যে একটি নষ্ট করে ফেলা হয়। ৩. দিল্লিকে "ধর্ষণের নগরী" বলা হয় (CNN) ৪.ইন্ডিয়ার ৬০% মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। ৫. সমকামিতা , মদ এবং লেসবিয়ানিজম সামাজিকভাবে বৈধ (প্রথম আলো) ৬. পর্নস্টারকে (সানি লিয়ন) সামাজিকভাবে সম্মাননা দানকারী একমাত্র রাষ্ট্র (নয়া দিগন্ত) ৭.মুম্বাইকে পশ্চিমা বিশ্বে বলা হয় "সস্তা পতিতার নগরী" = "সিটি অফ চিপ টার্ট" (BBC) ৮. বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বস্তি ইন্ডিয়াতে (Hollywoodএবং Fox) ৯. পৃথিবীতে প্রতি বছর মোট ধর্মীয় দাঙ্গার ৫৭% ঘটে শুধু ইন্ডিয়াতে (Oxford University) ১০. ভারত এমন এক দেশ যার কোনো প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক নেই। (সিনহুয়া,রয়টার্স) Copied

মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫

মাগরিবের আজানের পর ফরজ নামাযের আগে কোন নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ।

মাগরিবের আজানের পর ফরজ নামাযের আগে কোন নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ।

আহলে হক (আহলে টক) মিডিয়া

থেকে সাম্প্রতিক একটি প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে

-----------------------------------------------------------------------------------

মাগরিবের আজানের পর ফরজ নামাযের আগে কোন নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ। তবে প্রত্যেক নামাযের আজান ও ইকামতে মাঝামাঝি সময়ে দুই রাকাত নামায পড়া নফল। আবশ্যক নয়। শুধু মাগরিব নামাযের ক্ষেত্রে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। অর্থাৎ মাগরীবের আজান দিলে ফরজের আগে অন্য কোন নামায নেই।

-----------------------------------------------------------------------------------

দলিল দিয়েছেনঃ عَن عَبد اللَّهِ بْنِ بُرَيدة، عَن أَبيهِ، رَضِي اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيه وَسَلَّم قَالَ: بين أَذَانَيْنِ صَلاةٌ إلاَّ الَمْغَرِبَ. হযরত আব্দুল্লাহ বিন বারিদাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-প্রতিটি দুই আজান [আজান ও ইকামত] এর মাঝে [নফল] নামায আছে মাগরিব নামায ছাড়া। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪৪২২,আলমুজামুল আওসাত,হাদীস নং-৮৩২৮,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১০৪০, সুনানে কুবরা বায়হাকী, হাদীস নং-৪১৭২}

-----------------------------------------------------------------------------------

  • • সনদের রাবী হিয়ান বিন আব্দুল্লাহ আল-আদী সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, ‘তিনি শক্তিশালী নন’। (আল-সুন্নান ১/২৬৫)


মুহাদ্দিছগনের মন্তব্যঃ

  • • উক্ত হাদীছ সম্পর্কে আলবানী (রহঃ) দাঈফ আল-জামে (২৩৬২) তে বলেছেন ‘দাঈফ’। এছাড়াও তিনি হাদীসটিকে ‘মুনকার’ বলেছেন (সীলসীলা দাঈফাহ ২১৩৯)।


  • • ইমাম হায়শামী মাজমু আল-জাওয়ায়েদ (২/২৩৪) এ বলেছেন সনদের হিয়ান বিন আব্দুল্লাহ , ইবন আদী এনাকে উল্লেখ করে বলেন এনার মধ্যে সংমিশ্রণ আছে।


  • • ইবন হাজার আসকালানী ‘ফাতহুল বারী’ (২/১২৮)এ বলেছেন ‘কিন্তু মাগরিব অংশটি অতিরিক্ত’।


  • • ইবন হাজম ‘আল-মুহাল্লা’ (২/২৫৩) তে বলেছেন ‘হিয়ান বিন আব্দুল্লাহ এর নিজস্ব কথা, যিনি ‘মাজহুল’।


  • • ইবনু মুলাকিন ‘শারহ বুখারী ইবনু মুলাকিন’ (৬/৪৬) এ বলেছেন, ‘এর সনদে আছেন হিয়ান বিন আব্দুল্লাহ, ইবন হাজম বলেছেন এটি হিয়ান বিন আব্দুল্লাহ এর নিজস্ব কথা, যিনি ‘মাজহুল’।


  • • আহমাদ শাকির ‘আল-মুহাল্লা’ (২/২৫৩) তে বলেছেন ‘দাঈফ'।


বিঃদ্রঃ আলবানী (রহঃ) এর তাহক্কিক মানতে না চাইলে তারটা বাদ দিয়ে বাকিদের মানুন