বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত

============== মাযহাবীরা অন্য করেকটি দলিল দেয় নং- ৭ ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ 5. আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧﻌَﻤﺖَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ 6. সে সমস্ত লোকের পথ, ﻏَﻴﺮِ ﺍﻟﻤَﻐﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ 7. যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট। এখানে আল্লাহ তায়ালা তাক্বলীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
¤¤¤¤¤ জবাব ¤¤¤¤

এই যে ১. আপনার (হানাফি) সব খানে তাক্বলিদ খুজেন কেন ???

২. তাক্বলিদ কাকে বলে এটা আগে বলেন ??

5 নং আয়াতে সরল পথের কথা বলেছে এটা এদের মধ্যে কোন কোনটা 1.হানাফি সরল পথ 2.শাফি সরল পথ 3.মালেকি সরল পথ 4.হাম্বলি সরল পথ

না উপরের একটাও না নিচের এইটা
5.সিরাতে মুস্তাকিম (সুরা আনআম ১৫৩ নং আয়াতের বর্ণিত সরল পথ এবং মিশকাত মাদ্রাসা পাঠ্য ১ম খন্ড হাঃ ১৫৮/২৭ পৃঃ ২৯১ ,আহামদ, নাসাঈ, দারমী )

6 নং আয়াত সে সমস্ত লোকের পথ,
#এই আয়াত তাক্বলিদ এর সংঙ্গাকে বা তাক্বলিদকে খন্ড করে, (দেখতে এই লংকে তাক্বলিদের সংঙ্গা আছে:

Click This Link


কারণ, তাক্বলিদ হবে শুধু #এক জন মুস্তাহিদ ইমাম এর , এই মুস্তাহিদ এর কোন মত স্পষ্ট কুরআন ও হাদিসের বিপক্ষে গেলেও , মুকালীদ্ব অন্য আরেক জন ইমাম এর মত যেটা কুরআন ও হাদিস মতে সঠিক সে গ্রহন করতে পারবে না, """"তাক্বলিদের সংঙ্গা বিরুদ্ধীতা করবে""""॥

7 নং আয়াতের অপর অংশ: #যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।

এর ব্যাখ্যা দেখতে পারেন তাফসিরে ইবনে কাসীর এর সূরা ফাতিহা এর ৬ ও ৭ নং আয়াত"

আসুন দেখি, আল্লাহ তায়ালা কাদেরকে নিয়ামত দান করেছেনঃ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻭَﺣَﺴُﻦَ ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﺭَﻓِﻴﻘًﺎ 69 আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। (নিসা -৬৯)

এ ব্যাপারে সাহাবী বলেন দেখুন- আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ঐ সব ফেরেশতা, নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং সৎলোকের পথে পরিচালিত করুন যাদেরকে আপনি আপনার আনুগত্য ও ইবাদাতের কারণে পুরস্কৃত করেছেন।"

রাবী বিন আনাস রাঃ বলেন, "এর অর্থ হচ্ছে নবীগণ। "

মুজাহিদ রহঃ অর্থ নিয়েছেন, মুমিনগণ।

অকী রহঃ অর্থ নিয়েছেন, মুসলিমগন।

আবদুর রহমান রহঃ অর্থ নিয়েছেন, 'রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবীগণ (রাঃ) '

ইবনে কাছীর রহঃ সবগুলো ব্যাখ্যাকেই সমর্থন করেছেন। (তাফসীর ইবনে কাছীর ১/১১১-১১২ পৃঃ)

আল্লাহ তায়ালা এখানে আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমরা যেন দুআ করি যাতে তাঁর নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের অনুসৃত পথের অনুসরন করতে পারি।

আর সেই পথটি হচ্ছে 'সীরাতুল মুস্তাকীম '। { কুরআন ও হাদিসে সিরাতুল মুস্তাকিমের বর্ণনা

Click This Link


যা আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

ﻭَﻧَﺰَﻋْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِﻫِﻢ ﻣِّﻦْ ﻏِﻞٍّ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬِﻢُ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﻟِﻬَـﺬَﺍ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻟِﻨَﻬْﺘَﺪِﻱَ ﻟَﻮْﻻ ﺃَﻥْ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻟَﻘَﺪْ ﺟَﺎﺀﺕْ ﺭُﺳُﻞُ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻧُﻮﺩُﻭﺍْ ﺃَﻥ ﺗِﻠْﻜُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ﺃُﻭﺭِﺛْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺑِﻤَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ 43 তাদের অন্তরে যা কিছু দুঃখ ছিল, আমি তা বের করে দেব। তাদের তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণী প্রবাহিত হবে। তারা বলবেঃ আল্লাহ শোকর, যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। আমরা কখনও পথ পেতাম না, যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করতেন। আমাদের প্রতিপালকের রসূল আমাদের কাছে সত্য কথা নিয়ে এসেছিলেন। আওয়াজ আসবেঃ এটি জান্নাত। তোমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তোমাদের কর্মের প্রতিদানে। (আরাফ-৪৩)

ﺷَﺎﻛِﺮًﺍ ﻟِّﺄَﻧْﻌُﻤِﻪِ ﺍﺟْﺘَﺒَﺎﻩُ ﻭَﻫَﺪَﺍﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ 121 তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন। (নাহল-১২১)

ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﺃَﻭْﺣَﻴْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺭُﻭﺣًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻣَﺎ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏُ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥُ ﻭَﻟَﻜِﻦ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻧَّﻬْﺪِﻱ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻧَّﺸَﺎﺀ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻧَﺎ ﻭَﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺘَﻬْﺪِﻱ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ 52 এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন। (সুরা শুরা-৫২)

আলী রাঃ বলেন,"সহজ সরল পথটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।"(তাফসীরে ত্বাবারী হা/৪০, ইবনে কাছীর ১/১০৮ পৃঃ)

----------------------------------------

উপরের সমস্ত আলোচনার নির্যাস নিম্নের হাদীছ খানাঃ
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ হতে বর্নিত, রাসুল সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণণা করেছেন, একটি সরল সঠিক পথ তার দুপাশে দুটি প্রাচীর, যাতে রয়েছে বহু খোলা দরজা এবং দরজাসমুহে পর্দা ঝুলানো রয়েছে। আর পথের মাথায় একজন আহবায়ক রয়েছে, যে লোকদের আহবান করছে,
আসো সোজা পথে চলে যাও।
বক্র পথে চলিও না। আর তার আগে একজন আহবায়ক লোকদের ডাকছে।যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন একটি খুলতে চায় তখনি সে বলে সর্বনাশ! দরজা খোল না।
দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
অতঃপর রাসুল সাঃ কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল সঠিক পথটি হচ্ছে ইসলাম, আর খোলা দরজাসমুহ হচ্ছে হারামকৃত বিষয়সমুহ এবং ঝুলানো পর্দাসমুহ হচ্ছে কুরআন, আর আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোয়া) বা আল্লাহর ভয় যা প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমি যি হা/২৮৫৯,ত্বাবারী হা/১৮৬-১৮৭, মুসনাদে আবি হাতিম, তাফসীরে ইবনে জারীর, নাসাঈ)

-------------------------------------------

এক্ষনে আমরা দেখতে পাচ্ছি- ১.এই আয়াতদ্বয় দ্বারা যদি তাক্বলীদের উদ্দেশ্য ধরি তাহলে তো আমাদেরকে সকল মুমিনের তাক্বলীদ করতে হবে।

কোন মাযহাবী মুকাল্লিদ কি সকল মুমিনের তাক্বলীদ করে?

নাকি শুধুমাত্র একজন মুজতাহিদের তাক্বলীদ করে?

আসলে মুকাল্লিদরা তো একজন মুজতাহিদের তাক্বলীদের দাবী করে থাকে!

দলিল দিতে পারে না!!!

২. এই আয়াতদ্বয়ের দাবী হচ্ছে মুমিনদের অনুসৃত রাস্তা বা আল্লাহর নির্দেশিত রাস্তার (সীরাতুল মুস্তাকীম) অনুসরন করা।

কোথায় ঐসব ব্যক্তির অনুসরণ আর কোথায় রাস্তার (আদর্শের অনুসরণ) !!!!

রাস্তার উপর চলতে চলতে মুমিনগণ ভূল করতেই পারেন, কেননা প্রত্যেক মানুষই ভূল ত্রুটির উদ্ধে নয়।

কিন্তু যে রাস্তার উপর চলছে সে রাস্তা ভূল নয়।

তাই এখানে সীরাতুল মুস্তাকীমের উপর চলার নির্দেশ হয়েছে,

কোন মৃত ইমামের অন্ধ তাক্বলিদ করা নয়।

সূরা ফাতিহার ৬নং আয়াত সরল পথের ব্যাখ্যা

¤ ¤% সূরা ফাতিহার ৬নং আয়াত সরল পথের ব্যাখ্যা %¤¤

==============

সরল পথের ব্যাখ্যা (কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে)

ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ - আমাদেরকে সরল- সঠিক পথ প্রদর্শন কর:- ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ (ইহদিনা) শব্দটি হিদায়াতুন শব্দ হতে নির্গত, অর্থ পথের সন্ধান, পথ প্রদর্শন, পরিচালনা।

ﺻﺮﺍﻁ (ছিরাতুন) শব্দটি একবচন,

ﺻﺮﻁ( বহুবচন (সুরুতুন) অর্থ – পথ।

সরলপথ সম্পর্কীত পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ – আল্লাহ সুবহানুতালা বলেন, সূরা বালাদ – আয়াত নং – ১০।

তিনি আরও বলেন, সূরা নাহল – আয়াত নং – ১২১),

আল্লাহ বলেন, শুরা – আয়াত নং – ৫২।

আল্লাহ বলেন, সূরা আরাফ – আয়াত নং – ৪৩)।মুসা (আ:) বলেন, ….. (সূরা শুয়ারা – আয়াত নং – ৬২)।

"সরলপথ" - পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ –
(১) সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (Yaseen: 4)

(২) আর তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করব। (An-Nisaa: 68)

(৩) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখে ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি সৎ পথে চলে, না সে ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরলপথে চলে? (Al-Mulk: 22)

৪) আমি তো সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবর্তীর্ণ করেছি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালনা করেন। (An-Noor: 46)

(৫) সে বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো। (Al-A'raaf: 16)

(৬) অতএব, আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সরল পথে রয়েছেন। (Az- Zukhruf: 43)

(৭) তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন। (An- Nahl: 121)

(৮) সরল পথ আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে এবং পথগুলোর মধ্যে কিছু বক্র পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে সৎপথে পরিচালিত করতে পারতেন। (An- Nahl: 9)

(৯) যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-Fath: 2)

(১০) যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-An'aam: 39)

(১১) বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে। (Taa- Haa: 135)

(১২) এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান। (Al- Baqara: 142)

(১৩) তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএব, এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা সংযত হও। (Al-An'aam: 153)

(১৪) অতএব, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাতে দৃঢ়তা অবলম্বন করেছে তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহের আওতায় স্থান দেবেন এবং নিজের দিকে আসার মত সরল পথে তুলে দেবেন। (An- Nisaa: 175)

(১৫) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, যারা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে। (An- Nisaa: 51)

(১৬) তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে। (Al-Ahqaf: 30)

(১৭) আমি আল্লাহর উপর নিশ্চিত ভরসা করেছি যিনি আমার এবং তোমাদের পরওয়ারদেগার। পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নাই যা তাঁর র্পূণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালকর্তার সরল পথে সন্দেহ নেই। (Hud: 56)

(১৮) এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন। (Al-Maaida: 16)

(১৯) আর যেদিন তাদেরকে সমবেত করা হবে, যেন তারা অবস্থান করেনি, তবে দিনের একদন্ড একজন অপরজনকে চিনবে। নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতকে এবং সরলপথে আসেনি। (Yunus: 45)

(২০) আর তোমরা কেমন করে কাফের হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল পথের। (Aali Imraan: 101)

(২১) আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন। (Al- Hajj: 67)

(২২) যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। (An- Nisaa: 115)

(২৩) আল্লাহ আরেকটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, দু’ব্যক্তির, একজন বোবা কোন কাজ করতে পারে না। সে মালিকের উপর বোঝা। যেদিকে তাকে পাঠায়, কোন সঠিক কাজ করে আসে না। সে কি সমান হবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায় বিচারের আদেশ করে এবং সরল পথে কায়েম রয়েছে। (An-Nahl: 76)

(২৪) যখন তাদেরকে মেঘমালা সদৃশ তরংগ আচ্ছাদিত করে নেয়, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে স্থলভাগের দিকে উদ্ধার করে আনেন, তখন তাদের কেউ কেউ সরল পথে চলে। কেবল মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে। (Luqman: 32)

(২৫) আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন- যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-Fath: 20)

(২৬) আর যদি তাদের বিমুখতা আপনার পক্ষে কষ্টকর হয়, তবে আপনি যদি ভূতলে কোন সুড়ঙ্গ অথবা আকাশে কোন সিড়ি অনুসন্ধান করতে সমর্থ হন, অতঃপর তাদের কাছে কোন একটি মোজেযা আনতে পারেন, তবে নিয়ে আসুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সবাইকে সরল পথে সমবেত করতে পারতেন। অতএব, আপনি নির্বোধদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। (Al-An'aam: 35)

(২৭) আর মূসা বেছে নিলেন নিজের সম্প্রদায় থেকে সত্তর জন লোক আমার প্রতিশ্রুত সময়ের জন্য। তারপর যখন তাদেরকে ভূমিকম্প পাকড়াও করল, তখন বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি যদি ইচ্ছা করতে, তবে তাদেরকে আগেই ধ্বংস করে দিতে এবং আমাকেও। আমাদেরকে কি সে কর্মের কারণে ধ্বংস করছ, যা আমার সম্প্রদায়ের নির্বোধ লোকেরা করেছে? এসবই তোমার পরীক্ষা; তুমি যাকে ইচ্ছা এতে পথ ভ্রষ্ট করবে এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথে রাখবে। তুমি যে আমাদের রক্ষক- সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর করুনা কর। তাছাড়া তুমিই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। (Al- A'raaf: 155)

(২৮) মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, ত আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।

# # সরলপথসম্পর্কীত সহীহ হাদীসসমূহঃ -

১। সহীহ হাদীসঃ হযরত আলী (রা:) সূত্রে বর্নীত তিনি বলেন, সহজ- সরল পথটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (ইবনু কাছীর ১/১৩০ পৃষ্ঠা, টীকা নং – তাফসীরে ত্বাবারী হা / ৪০)।

২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:)বলেন, - আল্লাহ একটা দৃষ্টান্ত বর্ননা করেছেন, একটি সরল-সঠিক পথ তার দু’পাশে দুটি প্রাচীর যাতে বহু খোলা দরজা রয়েছে এবং লোকদেরকে আহবান করছে, আস! পথে সোজা চলে যাও। বক্র পথে চলিও না। আর তার একটু আগে আর একজন আহবায়ক লোকদেরকে ডাকছে। যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন একটি খুলতে চায় তখনই সে তাকে বলে, সর্বনাশ দরজা খুল না। দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা:)কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল-সঠিক পথ হচ্ছে ইসলাম আর খোলা দরজা সমূহ হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত বিষয়সমূহ এবং ঝুলানো পর্দা সমূহ হচ্ছে কুরআন। আর তার সম্মুখের আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোঁয়া) যা প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমিযী হা/২৮৫৯, ত্ববারী হা/১৮৬-১৮৭) ।
অত্র হাদীসে পথ শব্দের সাথে সঠিক শব্দটি লাগানোর উদ্দেশ্যে এমন পথ যাতে কোন ভুল নেই এবং যার শেষ গন্তব্য জান্নাত।

##সরলপথ সম্পর্কীত যঈফ হাদীস সমূহঃ

– ১। হযরত আলী(রা:) বলেন, সঠিক পথ হচ্ছে আল্লাহর মজবুত রশি তা হচ্ছে জ্ঞান সম্পন্ন যিকির তা হচ্ছে সরল-পথ (তিরমিযী – হা/২৯০৬)।

২। হারীস (রা:)বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করে দেখি কিছু মানুষ বিভিন্ন কথায় মত্ত। আমি আলী (রা:)এর কাছে গিয়ে বললাম, আপনি দেখছেন না মানুষ মসজিদের মধ্যে কত কথায় লিপ্ত রয়েছে? তিনি বললেন, মনে রেখ আমি নবী করিম (সা:) কে বলতে শুনেছি অচিরেই অনেক ফেতনা দেখা দিবে। আমি বললাম, এসব ফেতনা বাঁচার পথ কি? রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর কিতাবটি এমন কিতাব যাতে রয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের সংবাদ। তাতে তোমাদের সবধরনের ফায়সালা রয়েছে তা হচ্ছে হক্ব ও বাতিলের মাঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের এক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। তা কোন মজা করার বস্ত নয়। তা এমন এক গ্রন্থ যদি মানুষ তাকে অহংকার করে ত্যাগ করে, তাহলে আল্রাহ তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ধ্বংস করে দিবেন। কেউ যদি কুরআন ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থে সঠিক, সহজ- সরল পথ অন্বেষন করে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। তা হচ্ছে আল্লাহর মজবুত রশি। তা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জিকির আর তা হচ্ছে সহজ-সরল পথ। কোন প্রবৃত্তি তা দ্বারা ভ্রষ্ট হবে না। কোন জিহবা তাতে বাতিল মিশাতে পারবে না। আলিমগণ পড়ে শেষ তৃপ্তি অর্জন করতে পারে না। বার বার পড়লেও তা পুরাতন হয় না। তার অলৌকিক দর্শন শেষ হয় না। জিনেরা শুনে বলেছিল আমরা আশ্চর্য কুরআন শুনলাম। তা এমন গ্রন্থ যে, কেউ তার মাধ্যমে কথা বললে সত্য হবে। তা দ্বারা ফায়সালা করলে ইনসাফ হবে, তা দ্বারা আমল করলে নেকী দেয়া হবে ও সে পথে দাওয়াত দিলে তাকে সঠিক সহজ-সরল পথ দেখানো হবে। (দারেমী হা/নং-৩৩৩১) ।

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

হানাফি এর বিশ্লেষণ

""হানাফি এর বিশ্লেষণ ""

হানাফি একটা লেডিস মাযহাব॥

এই প্রচলিত হানাফি , এই বিয়াদবেরা

""ইমাম নুমান ইবনে সাবেত রঃ"" এর নাম না নিয়ে হানাফি নাম নিল কারন

  • হা=হাদিস,


  • না=না জানা,


  • ফি=ফির্কা।


বুঝলেন তো ""হাদিস না জানা ফির্কা""=হানাফি

নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ

নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ।

324 - ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﺳَﻌِﻴﺪٍ، ﺛﻨﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺗَﻮْﺑَﺔَ، ﻋَﻦْ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻭْﺯَﺍﻋِﻲِّ، ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻤَّﺎ ﻣَﺎﺕَ ﺃَﺑُﻮ ﺣَﻨِﻴﻔَﺔَ، ﻗَﺎﻝَ: » ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻨْﻘُﺾُ ﻋُﺮَﻯ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﻋُﺮْﻭَﺓً ﻋُﺮْﻭَﺓً »

ইমাম আবূ হানীফার মৃত্যুর সংবাদ শুনলেন ইমাম আওযায়ী। শুনে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ। আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে ইসলামের আরও বহু সর্বনাশ হত। (আল-সুন্নাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ, হাদীস নং ৩২৪)

বর্ণনাকীদের পরিচিতিঃ

(১) ইবরাহীম বিন সাঈদ ( ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﺳَﻌِﻴﺪٍ)

  • ইমাম আবী হাতিম এনাকে সুদুক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। (জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ২৯৪)


  • ইমাম ইবন হিব্বান তাকে ‘আল-সিকাহ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছন। (রাবী নং ১২৩৪৩)


  • ইমাম নাসাঈ এনাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহজীবুল তাহজীব, রাবী নং ২১৮)


  • আবূ বাকর আল- খাতীব বলেন, ইনি সিকাহ হিসাবে সাব্যস্ত। (মিজানুল ইহতিদাল, রাবী নং ৯৯)


(২) আবূ তাওবা (ﺃَﺑُﻮ ﺗَﻮْﺑَﺔَ)

  • আবূ হাতিম বলেন, সিকাহ এবং হুজ্জাত। (সিয়ারু আলাম আল-নুবুলা, রাবী নং ২৩৫; জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ৩/৪১৭)


  • ইমাম নাসাঈ বলেন, তার মধ্যে সমস্যা নেই। (সিয়ারু আলাম আল-নুবুলা, রাবী নং ২৩৫; তাহজীবুল কামাল, রাবী নং ৪০৯)


  • ফাসাওয়ী বলেন, তার মধ্যে কোন সমস্যা নেই। (ঐ)


(৩) সালমাহ ইবনু কুলসুম ( ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ)

  • আবু জুরআত দিমাসকী বলেন, তিনি সিকাহ। (তারীখ দিমাসকী ৪৪৬; তাহজীবুল কামাল, রাবী নং ২৪৬৬)


  • ইমাম যাহাবী বলেছেন ﺛﻘﺔ ﻧﺒﻴﻞ (আল-কাশফ, রাবী নং ২০৪৫)।


(৪) আওযায়ী ( ﺍﻟْﺄَﻭْﺯَﺍﻋِﻲّ(ِ

  • ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন এনাকে সিকাহ বলেছেন। (জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ১২৫৭)


  • আল-আজলী তাকে ‘সিকাহ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। (রাবী নং ৯৭০)


  • সুফিয়ান বিন উয়ায়না বলেন ‘ ﺇﻣﺎﻡ ﻳﻌﻨﻲ ﺇﻣﺎﻡ ﺯﻣﺎﻧﻪ ’(জারাহ ওয়া তাদীল, রাবী নং ১২৫৭)


  • ইনি ছিলেন ফখীহ, ইমাম। (লিসানুল মিহযান, রাবী নং ৩৭৮০)


অর্থাৎ এই সনদের সকল বর্ণনাকারীগন সিকাহ, হুজ্জাত। এবং এই তাদীলও ছহীহ সূত্রে এসেছে।

বিঃদ্রঃ সকল তথ্য গ্রহণ করা হয়েছে মাকতাবা শামেলা থেকে।

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদিস শুনেছে যে চার জন সাহাবী (রাঃ) থেকে ১।আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রাঃ) থেকে

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদিস শুনেছে যে চার জন সাহাবী (রাঃ) থেকে

  • ১।আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রাঃ) থেকে


"প্রচলিত হানাফি আপনারা সাহাবী (রাঃ) সর্ম্পকে এতো বড় মিথ্যা অপবাদ দিলেন"

কারন সম্মানিত সাহাবী (রা) মৃত্যুবরণ করেন সিরিয়ায় ৫৪ হিজরীতে (তাকরীবুত তাহযীব ক্রঃ ৩২১৬ পৃঃ২৯৬)

ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জন্ম ৮০ হিজরীতে।

আল্লাহ আমাদের ভুল বুঝার তৌফিক দান করন (আমিন)

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

স্বয়ং ইমাম আবু হানিফাহ-ই হাদীসে তাঁর দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।তিনি নিজেই তা স্বীকারও করেছেন এবং বিশুদ্ধ সূত্রে তা বর্ণিত হয়ে সঙ্কলিতও হয়েছে।

কিছু উক্তিঃ ================== হাদীসে ইমাম আবু হানীফাহর মাকাম কি? সেটা এর ওর কথা থেকে না নিয়ে উনার নিজের সাক্ষ্যটাই যথেষ্টঃ

স্বয়ং ইমাম আবু হানিফাহ-ই হাদীসে তাঁর দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

তিনি নিজেই তা স্বীকারও করেছেন এবং বিশুদ্ধ সূত্রে তা বর্ণিত হয়ে সঙ্কলিতও হয়েছে।

আমি তাঁর নিজের-ই এমন কয়েকটি স্বীকারোক্তি তুলে ধরছিঃ ১-২। ইবন আদী তাঁর আল-কামিল এ স্বয়ং আবু হানিফাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ https://library.islamweb.net/hadith/display_hbook.php ثنا احمد بن محمد بن سعيد ثنا محمد بن عبد الله بن سليمان ثنا سلمة بن شبيب ثنا المقري عبد الله بن يزيد أبو عبد الرحمن قال سمعت أبا حنيفة يقول عامة ما أحدثكم خطأ. --- --- قال ابن عدي )ج7 ص2473(: ثناه عبد الله بن محمد بن عبد العزيز ، حدثني محمود بن غيلان ، ثنا المقري ، سمعت أبا حنيفة ، يقول : ما رأيت أفضل من عطاء ، وعامة ما أحدثكم خطأ. ৩-৪। খতীব তাঁর তারীখ এ স্বয়ং আবু হানিফাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ قال الخطيب رحمه الله )ج13 ص425(: أخبرني ابن الفضل أخبرنا دعلج بن أحمد أخبرنا أحمد بن علي الأبار حدثني محمود بن غيلان حدثنا المقريء ]})في الأصل : حدثنا ابن المقريء والصواب ما أثبتناه والمقريء عبد الله بن يزيد({[ قال سمعت أبا حنيفة يقول: عامة ما أحدثكم به خطأ. --- --- قال أبو بكر الخطيب )ج13 ص425( : أخبرني الحسن بن أبي طالب حدثنا عبيد الله بن محمد بن حبابة حدثنا عبد الله بن محمد البغوي حدثنا ابن المقريء حدثنا أبي قال سمعت أبا حنيفة يقول : ما رأيت أفضل من عطاء وعامة ما أحدثكم به خطأ. اهـ . وهذا السند صحيح رجاله معروفون. فالحسن بن أبي طالب ترجمه الخطيب في »تاريخه« )ج7 ص425( فقال : الحسن بن محمد بن الحسن بن علي أبو محمد الخلال – إلى أن قال - : وكان ثقة له معرفة وتنبه. وعبيد الله بن محمد بن حبابة ترجمه الخطيب )ج10 ص377( فقال : عبيد الله بن محمد بن إسحاق بن سليمان بن مخلد بن إبراهيم بن مروان بن حبابن بن تميم أبو القاسم البزاز مقوثي الأصل ويعرف بابن حبابة … إلخ وقال : كان ثقة. وعبد الله بن محمد البغوي قد ترجم له. وابن المقريء محمد بن عبد الله بن يزيد. এই বর্ণনাগুলো সূর্যালোকের মত পরিস্কারভাবে আবু হানিফাহর হাদীসে দুর্বলতা প্রমাণ করে। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, আবু হানিফাহর কট্টর পক্ষপাতকারীরা এসব বর্ণনাগুলোরও অভিনব ব্যাখ্যা হাজির করে ফেলেছে; তাদের মতে ইমাম আবু হানিফাহ নাকি তাঁর ছাত্রদের পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল-ভাল হাদীস বলতেন!!! এই ব্যাখ্যা যদি সত্যিই হত তাহলে ওই বর্ণনাগুলোতেই তো সেকথার উল্লেখও থাকত; আর ওই বর্ণনাগুলোতে যদি বা না-ই থাকে অন্য কোন বিশুদ্ধ সূত্রে হলেও ইমাম আবু হানিফাহ হতে একথা বর্ণিত থাকত যে তিনি শুধুমাত্র তাঁর ছাত্রদের পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল-ভাল হাদীস বর্ণনা করতেন। হাদীস বর্ণনা দ্বীন-এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; হাদীস বর্ণনায় ভুল করা তো আরও মারাত্মক। এটা একটা অসম্ভব কথা/দাবী যে ইমাম আবু হানীফাহ ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদের পরীক্ষা করার জন্য ভুল হাদীস বর্ণনা করবেন অথচ এই বিষয়টি বিশুদ্ধ কোন সূত্রে স্বয়ং তাঁর থেকে খোলাসা করে বর্ণীত না হয়ে শুধু তাঁর ভুল হাদীস বর্ণনার কথা সঙ্কলিত হয়ে থেকে যাবে।

ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।

ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।

سمعت محمود بن غيلان قال سمعت المقري يقول سمعت أبا حنيفة يقول : عامة ما أحدثكم خطاء

(ইমাম তিরমিযীর ইলালঃ ১/৩৮৮)

ইমাম আবু হানিফার অত্র কথা বিশুদ্ধ সনদ দ্বারা প্রমানিত।

Click This Link

Click This Link

(১) ইমাম তিরমিযী তো ইমামই ইমাম।

(২) মাহমুদ বিন গাইলান মারঅযী (মৃত্যু ২৩৯ হিঃ) ইমাম, হাফিয, হুজ্জাহ, সিকাহ, বুখারি, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ সহ বিভিন্ন হাদীছের রাবী। (সিয়ার ২০৪০; তাহযীব ১০/৬৪; তাযকিরাহঃ৪৮৮)

(৩) আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযীদ ইমাম, হাফিয, মুহাদ্দিস, হুজ্জাহ, শাইখুল হারাম আবূ আব্দুর রহমান মুকরী (১২০-২১৩ হিঃ) বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ সহ বিভিন্ন হাদীছের রাবী। (সিয়ারঃ ১৫৬৬; কাশিফ ৩০৬৪; তারীখ কাবীরঃ ৭৪৫)

এছাড়াও দেখুনঃ কামেল ৮/২৩৭; তারীখে বাগদাদ ১৫/৫৪৪; তারীখ দামেশক ৪০/৩৯০; মুকতারাবঃ ১/৩৫৭)

তাহলে হানাফী ভাইরা কোন ফিকহের উপর আমল করছেন ?