মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ছহীহ বুখারীতে কি কোন যঈফ হাদীছ রয়েছে?

প্রশ্ন (৪০/২৪০) : ছহীহ বুখারীতে কি কোন যঈফ হাদীছ রয়েছে? শায়খ আলবানী (রহঃ) ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছকে ত্রুটিযুক্ত বা দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। -হুমায়ূন, বংশাল, ঢাকা। উত্তর : কেবল শায়খ আলবানী নন প্রথম যুগের বেশ কিছু মুহাদ্দিছ এ বিষয়ে ছহীহ বুখারীর কতিপয় হাদীছ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ইমাম দারাকুৎনী (৩০৬-৩৮৫ হিঃ) ছহীহ বুখারীর ৭৮টি এবং বুখারী ও মুসলিমের মিলিতভাবে ৩২টি হাদীছের উপর সমালোচনা করেছেন। এসব সমালোচনার উত্তরে বিভিন্ন গ্রন্থ লিপিবদ্ধ হয়েছে। ছহীহ বুখারীর ভাষ্যকারগণের প্রত্যেকেই সংক্ষেপে বা বিস্তারিতভাবে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ভাষ্যকার হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২হিঃ) ফাৎহুল বারীর ভূমিকা ‘হাদীয়ুস সারী’তে এইসব সমালোচনার একটি একটি করে বিস্তারিতভাবে জবাব দিয়েছেন (হাদীয়ুস সারী মুক্বাদ্দামা ফাৎহুল বারী ৮ম অনুচ্ছেদ ৩৬৪-৪০২) । আলোচনার শেষে উপসংহারে তিনি বলেন, সমালোচিত প্রত্যেকটি হাদীছই দোষযুক্ত নয়। বরং অধিকাংশের জওয়াব পরিষ্কার ও দোষমুক্ত। কোন কোনটির জওয়াব গ্রহণযোগ্য এবং খুবই সামান্য কিছু রয়েছে যা না বুঝে তাঁর উপর চাপানো হয়েছে। আমি প্রত্যেকটি হাদীছের শেষে এগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেশ করেছি’ (মুক্বাদ্দামা ৪০২ পৃঃ) । তিরমিযীর ভাষ্যকার শায়খ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের বলেন, ‘ছহীহ বুখারীর যে সব হাদীছ সমালোচিত হয়েছে তার অর্থ হ’ল সেগুলো ইমাম বুখারীর শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেনি। তবে হাদীছটি স্বীয় অবস্থানে ছহীহ। তিনি বলেন, মুহাক্কিক ওলামায়ে হাদীছ-এর নিকটে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের প্রতিটি হাদীছই ছহীহ। এ দু’টি গ্রন্থের কোন একটি হাদীছ দুর্বলতা বা ত্রুটিযুক্ত নয়। ইমাম দারাকুৎনীসহ মুহাদ্দিছগণের কেউ কেউ যে সমালোচনা করেছেন তার অর্থ হ’ল তাঁদের নিকট সমালোচিত হাদীছসমূহ ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারেনি। তবে সাধারণভাবে হাদীছগুলির বিশুদ্ধতা নিয়ে কেউই মতভেদ করেননি (আল বা‘এছুল হাছীছ, তাহকীক : আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের, পৃঃ ৩৩-৩৪) । শায়খ আলবানীও উছূলে হাদীছের আলোকে ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছের সমালোচনা করেছেন তাঁর ‘সিলসিলা যঈফাহ’ গ্রন্থে। উক্ত সমালোচনা হাদীছবিরোধী বা হাদীছে সন্দেহবাদীদের মত নয়। বরং একজন সূক্ষ্মদর্শী মুহাদ্দিছ বিদ্বান হিসাবে। যেমন ইতিপূর্বে অনেক মুহাদ্দিছ করেছেন। যদি এতে তিনি ভুল করে থাকেন তাহ’লেও নেকী পাবেন। আর ঠিক করে থাকলে দ্বিগুণ নেকী পাবেন। তবে তিনি যেসব হাদীছকে যঈফ বলেছেন, সেব্যাপারে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেননা দুর্বল রাবীদের বর্ণনা গ্রহণ করার ব্যাপারে তাঁর কতগুলি স্পষ্ট নীতি ছিল। যেমন : (১) দুর্বল রাবীদের সকল বর্ণনাই দুর্বল নয়। (২) উক্ত বিষয়ে অন্য কোন হাদীছ না পাওয়া এবং হাদীছটি বিধানগত ও আক্বীদা বিষয়ক না হওয়া। বরং হৃদয় গলানো ও ফযীলত বিষয়ে হওয়া। (৩) সনদে বা মতনের কোন ত্রুটি দূর করার জন্য বা কোন বক্তব্যের অধিক ব্যাখ্যা দানের জন্য কিংবা শ্রুত বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সহযোগী হিসাবে ( ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺎﺕ ) কোন হাদীছ আনা’ (ড. মুহাম্মাদ হামদী আবু আবদাহ, জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ে শরী‘আ অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে পেশকৃত গবেষণাপত্র, ৩৪ পৃঃ) । (সংগ্রহীত)

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬

আপনার শত্রুর Facebook একাউন্ট ডিলিট করে দিতে।

হ্যাক করে ফেলুন শত্রুর ফেইসবুক একাউন্ট আজকে দারুন একটি জিনিস নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের কাছে।যা একটি অন্যায় কাজ বলতে পারেন। আপনারা অনেকেই চান যে আপনার শত্রুর ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট করে দিতে।কি চান না? অবশ্যই চাইবেন যাদের চুলকানি আছে তারা।তাই একটি পোস্ট লিখতে বসে গেলাম।তবে… ১ম সাবধানতাঃএটা সম্পূর্ণ একটি শিক্ষার জন্যে লিখা । কারও ক্ষতির জন্যে না । কেউ যদি এটা করেন কারও ক্ষতির জন্যে তবে নিজ দায়িত্বে করবেন । এতে আমি কোন প্রকারের দায়ী থাকবো না। সাবধানতাঃ যেই একাউন্ট ডিলিট করে দিবেন তা আর কখনই ফেরত পাবেন না। এই কাজটা করতে আপনাকে বেশ কিছু স্টেপ পার হতে হবে । কি সেই স্টেপ গুলো? আসুন জেনে নিই। কি কি লাগবে এই কাজ করতেঃ ১ . যিনি ভিকটিম তার ফেসবুক প্রোফাইল লিঙ্ক । এটা আপনি সহজেই পাবেন। ২ . ভিকটিমের ইমেইল আইডি, যেটা দিয়ে তিনি লগ ইন করতে ব্যাবহার করে। ৩ . ভিকটিমের জন্ম তারিখ(তারিখ/ মাস/বছর) যা তিনি প্রোফাইলে ব্যাবহার করেছে। ৪ . ভিকটিমের ফেসবুক প্রোফাইলের নামের প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশ দিয়ে একটি ফেইক ইমেইল আইডি বানাবেন ইয়াহু অথবা জিমেইল। এখন যা যা করনীয়ঃ ১ . আপনি যেই ফেইক ইমেইল আইডি বানিয়েছিলেন তা উপরে দিন। ২ . আপনার সমস্যার সমাধানের জন্যে ফেসবুক থেকে আপনি একটা ইমেইল পাবেন। আপনি সেই ইমেইলে রিপ্লাই দিবেন এভাবেঃ I cannot access my Facebook and even I cannot access my Email ID associated with this account. এখানে আপনার কাছে ফেসবুক যেইসব ইনফরমেশন চাইতে পারে তা উপরের ১,২,৩ নং এ দেয়া আছে। ৩ . এখন আপনার কাজ শুধু পাহারা দেওয়া যে ভিকটিম তার ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করে কিনা।সে যদি ফেসবুক একাউন্ট ওপেন না করে তবে ফেসবুক থেকে আপনার কাছে সেই ফেইক ইমেইল আইডি তে একটি ইমেইল আসবে এভাবে “ Are you access associated Email Account or not ?” এখন আপনি আগের মত একই কথা লিখে রিপ্লাই দিন আবার। ৪ . পরের দিন আপনি ফেসবুক থেকে ইমেইল পাবেন “ your account has been Disabled ” ৫ . এখন আপনার কাজ শেষ । কিন্তু আবারও বলছি যে,সাবধানতাঃ যেই একাউন্ট ডিলিট করে দিবেন তা আর কখনই ফেরত পাবেন না।

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

আপনার Facebook কর্তিক Archive থেকে সমস্ত তথ্য কিভাবে পাবেন ?

যারা ফেসবুক ব্যাবহার করেন এই পোস্টটি তাদের জন্য, দেখেনিন আপনার ফেসবুক কর্তিক Archive করা আপনার ফেসবুক এর জীবন। আমরা এতদিন যা কিছু করেছি তা ফেইসবুক এর কাছে আছে, আমরা যেকোনো সময় চাইলে তা আনতে পারি। আজকে দেখাবো কীভাবে আপনার আর্কাইভ করা ডাটা আনবেন এবং দেখবেন আপনার পুরনো দিনগুলো।নিচে স্টিফ অনুযায়ী কাজ করুনঃ ১/প্রথমে Setting এ ক্লিক করুন। ২/এখন Download e copy তে ক্লিক করুন। ৩/এখন Start My Archive তে ক্লিক করুন। 4/ পাসওয়ার্ড চাইবে, দিয়ে দিন। এখন আবার পুনরায় Setting থেকে এখানে আসুন। যদি না আসে, একটু সময় অপেক্ষা করুন এবং Reload দিন। এখন দেখবেন Download Archive দেখাচ্ছে ক্লিক করে আপনার ডাটা ডাউনলোড করে নিন। এবার দেখুন আপনার পুরুনো সকল তথ্য গুলো। Any help please inbox. ..includ VAT 20%

ইমেইল হ্যাক হলে কিভাবে রিকোভার করবেন?

জেনে নিন আপনার ইমেইল হ্যাক হলে কিভাবে রিকোভার করবেন? প্রায়শই অসাবধানতার কারনে আমরা অনেকেই হ্যাকিংয়ের শিকার হই ।যার ফলে আমাদের গুরুত্বপূর্ন তথ্য হারাতে হয় অনেক ।আমরা আজকে জানবো কিভাবে হ্যাক হওয়া ইমেইল পুনরুদ্ধার করতে হয় । জিমেইলের ক্ষেত্রে: জিমেইলে ঢোকার যখন লগ-ইন করতে পারবেন না, তখন লগ-ইনের নিচে Can’t access your account?-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে E-mail address-এ আপনার ই-মেইল ঠিকানা লিখে Submit করুন। এখন কোড বক্সে ওপরের সংকেত লিখে Continue করুন। নতুন পেজ এলে আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানার অপশনটি নির্বাচন করা থাকবে, না থাকলে নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করুন। আপনার alternate ই-মেইল আইডিতে একটি মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি লিংক থাকবে। ওই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল ঠিকানা উদ্ধার করতে পারবেন। আপনার ই-মেইল আইডিতে যদি alternate ই-মেইল না দেওয়া থাকে তাহলে Answer your security question নির্বাচন করে Continue-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে আপনাকে একটি প্রশ্ন করা হবে (যে প্রশ্নটি ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করার সময় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন)। প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দিলেই নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি ফিরে পাবেন।প্রশ্নটিরউত্তরও যদি ভুলে যান বা কেউ পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে I can’t answer my security question নির্বাচন করে Continue-তে ক্লিক করুন । এখানে একটি ফরম পাবেন, সেটি পূরণ করে Submit-এ ক্লিক করুন। ফরম পূরণ করার সময় সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়ে থাকলে ২৪ ঘণ্টা পর আপনার অন্য ই-মেইল ঠিকানায় (যেটি ফরম পূরণ করার সময় দিয়েছেন) একটি মেইল যাবে। সেটির লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি ফিরে পেতে পারবেন। ইয়াহুর ক্ষেত্রে: ইয়াহুতে ঢোকার সময় যখন ‘লগ-ইন’ করতে পারবেন না, তখন লগইনের নিচে I can’t access my account-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে My password doesn’t work নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। এরপর My Yahoo! ID-এ আপনার ই-মেইল ঠিকানা (আইডি) লিখে Enter the code shown বক্সে নিচের সংকেতগুলো লিখে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে My alternate email-এ আপনার বিকল্প ই-মেইল ঠিকানাটি লিখে Next-এ ক্লিক করুন। আপনার বিকল্প ঠিকানায় একটি ই-মেইল যাবে এবং সেই মেইলে একটি লিংক থাকবে। ওই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে ই-মেইল ঠিকানা উদ্ধার করতে পারবেন। আপনার ই-মেইল অ্যাকাউন্টে যদি বিকল্প ই-মেইল না দেওয়া থাকে বা আপনার alternate ই-মেইল আইডিও যদি হ্যাকিং হয়ে যায়, তাহলে My alternate email-এর নিচের অপশনটি I can’t access any of the above নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে আপনাকে দুটি প্রশ্ন করা হবে (যে প্রশ্নগুলো ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করার সময় নির্বাচন করে দিয়েছিলেন)। প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিলেই নতুন পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার ই-মেইল ঠিকানা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

মা

بسم الله الرحمن الرحيم "মা" কুরআনের ভাষায় - ووصينا الانسان بوالديه احسانا )আনকাবূত -৮( "মা" কথাটি হৃদয়বীণার সবগুলো তারে টোকা দেয়ার সামর্থ্য রাখে।"মা" যিনি হৃদয়ের গভীরের সর্বোচ্চ স্রোত।একটি শর্তহীন ভালবাসার নাম। "মা" হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী,যিনি গর্ভধারণ,সন্তানের জন্ম,সন্তানকে লালন-পালন,উত্তমচরিত্র গঠন,সর্বোপরি অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম। "মা" এমন একটি শব্দ,যে শব্দটি এক সর্গীয় পূণ্যতায় হৃদয়-মনকে অমিয় সুধায় প্লাবিত করে।বাংলা ভাষায় প্রথম শব্দ "ওম"।যার প্রচলিত রুপ "মা"।'ম' ধ্বনিটি সবচেয়ে সহজবোধ্য।পৃথিবীতে যতগুলো প্রসিদ্ধ ভাষা রয়েছে প্রায় সব ভাষায় 'ম' ধ্বনিটি বিদ্যমান।যেমন- ইংরেজীতে Mother, আরবীতে উম্মুন,হিন্দী আম্মা,উর্দূ আম্মি ইত্যাদি। "মা"যদি কল্যাণকামী না হতেন তবে মানবসভ্যতার চাকা শ্লথ হয়ে যেতো।সন্তানের প্রতি মায়ের এই তীব্র মমতার ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান বলে, মায়ের দুধে এক প্রকার রাসায়নিক যৌগিক পদার্থ আছে,যা সন্তানের দেহে প্রবেশ করলে মা ও সন্তানের মধ্যে সৌহার্দ্যের নিবিড় বন্ধন সৃস্টি হয়।মায়ের ভালবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় সম্ভব নয়।ইসলাম ধর্মে মাকে দেয়া হয়েছে অতুলনীয় মর্য্দা।হযরত আসমা বিনতে আবু বকর )রা.( থেকে বর্ণিত,বুখারী শরীফে সংকলিত হাদীসে "মা" মুশরিকা হলেও তাঁর সাথে ভালো ব্যাবহার করতে রাসূল )স.( নির্দেশ দিয়েছেন। মাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই।মায়ের প্রতি ভালবাসা সর্বমুহূর্তের।তবুও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার "মা" দিবস পালিত হয়ে আসছে।আবু হুরায়রা )রা.( থেকে বর্ণিত বুখারী শরীফে চয়িত আনুগত্য বেশি পাওয়ার হকদার হিসেবে ক্রমান্বয়ে তিনবার রাসূল )স.( মা'র কথা বলেছেন।"মা" ছোট্ট শিশুর প্রথম ভালবাসা।মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে জন্মের পরেও তিল তিল করে নাড়িছেড়া ধনকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন "মা"। মায়ের হৃদয়ের প্রবাহমান রক্তকণিকায় রয়েছে সন্তানের জন্য ভালবাসা।"মা" মা-ই,তাঁর কোনো ভিন্নরুপ নেই - জন গে। প্রেসিডেন্ট,উচ্চপদস্­থ কর্মকর্তা,ডাক্তার,ইঞ­্জিনিয়ারবা নিচুতলার যে কেউ থাকুক সন্তানের কাছে তাঁর পরিচয় তিনি গর্ভধারিণী "মা"।নবী করীম )স.( ফাতেমা )রা.( কে মা বলে ডাকতেন এবং পরম শ্রদ্ধায় দুধ মা হালিমাকে চাদর বিছিয়ে দিতেন।একমাত্র মায়ের জন্যই অসুবিধার সম্মুখীন হলে ইসলাম নামাজ ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে।মা'র দিকে অনুগ্রহের নজরে তাকালে প্রতিটি দৃস্টির বিনিময়ে কবুল হজ্বের সওয়াব পাওয়া যায়।একজন মা-ই তাঁর সন্তানের পক্ষ থেকে উত্তম আচরণ, সম্মান ও মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। "This person is never poor,who has mother" - আব্রাহাম লিংকন। এছাড়া মা সম্পর্কে নেপোলিয়ন এর বিখ্যাত উক্তি রয়েছে।প্রাণের প্রথম স্পন্দন থেকেই সন্তানের সঙ্গে মায়ের দেহ-মন-প্রাণ-আবেগ, অনুভূতির সম্পর্ক একসূত্রে গ্রথিত হয়ে যায়।সন্তানের জন্য মায়ের আশীর্বাদের স্নেহঝর্ণা প্রবাহিত হতেই থাকে। বর্তমান সমাজে সন্তান দ্বারা মা নির্যাতন,হত্যারমত লোমহর্ষক ঘটনা ও বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধি ঘটছে।মায়ের প্রতি সঠিক হক আদায় মায়ের অধিকার নিশ্চিতকরণে আশাতীত সুফল বয়ে আনতে পারে।আল্লাহর বাণী- واخفض لهما خناح الذل من الرحمة وقل رب ارحمهما كما ربياني صغيرا বনী ইসরাইল-২৪ আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন- মায়ের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সন্তান যেন "উহ" শব্দটিও না বলে। মনের মাঝে সর্বোচ্চ আসনটি মায়ের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং বার্ধক্যের একাকীত্বে সন্তানেরই উচিত মাকে সঙ্গ দেয়া।সর্বদা তাঁর খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে।কবির ভাষায়- "মায়ের আঁচল নিয়ে তোমরা যারা আছো মা'র স্নেহের ছায়ায় বুঝবে কি করে বলো মা ছাড়া এ জীবন কত অসহায়,,,,,,,

মা

=মা= আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তাদের মাতা-পিতার ব্যাপারে উত্তম আচরণের তাকিদ প্রদান করেছি। কেননা তার মা কষ্টের পর কষ্ট স্বীকার করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে এবং দুই বছর পর সে বুকের দুধ খাওয়া ছেড়েছে। তুমি তোমার নিজের সৃষ্টির জন্য আমার শোকর আদায় করো এবং তোমার লালন-পালনের জন্য পিতা-মাতারও কৃতজ্ঞতা আদায় করো।’ (সূরা লুকমান, আয়াত নং-১৪)। পবিত্র কুরআন মজিদের এ বর্ণনাভঙ্গিতে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, মা সেবা, ভালবাসা, আনুগত্য, ভাল আচরণ ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার বেশি অধিকারী। সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একজন সাহাবী নবী করিম সা: এর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন­ আমার কাছে খেদমত পাবার সবচেয়ে বেশি হকদার কে? রাসূলে করিম সা: বললেন­ তোমার মা। -তারপর? -তোমার মা। -তারপর? -তোমার মা। -তারপর? -তোমার পিতা এবং তারপর পর্যায়ক্রমে তোমার আত্মীয়-স্বজন।’(বুখারী, মুসলিম) একবার এক ব্যক্তি রাসূলে করিম সা:-এর কাছে হাজির হয়ে অভিযোগ করল­ হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা খারাপ মেজাজের মানুষ। প্রিয় নবী সা: বললেন­ ‘নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহতভাবে যখন সে তোমাকে পেটে ধারণ করে ঘুরে বেড়িয়েছে, তখনতো সে খারাপ মেজাজের ছিল না।’ -হজরত! আমি সত্য বলছি সে খারাপ মেজাজের।’ -তোমার খাতিরে সে যখন রাতের পর রাত জাগত এবং নিজের দুধ পান করাত, সে সময়তো সে খারাপ মেজাজের ছিল না।’ -আমি আমার মায়ের সেসব কাজের প্রতিদান দিয়ে ফেলেছি।’ -সত্যিই কি তুমি তার প্রতিদান দিয়ে ফেলেছ?’ -আমি আমার মাকে কাঁধে চড়িয়ে তাঁকে হজ করিয়েছি।’ -তুমি কি তাঁর সেই কষ্টের বদলা বা প্রতিদান দিতে পার, যা তোমার ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সে স্বীকার করেছে?’ একবার হজরত জাহিমাহ রা: রাসূলে করিম সা:-এর খিদমতে হাজির হয়ে বললেন­ হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করাই আমার ইচ্ছা। এখন এ ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণের জন্য আপনার কাছে এসেছি, বলুন এ ব্যাপারে আপনার নির্দেশ কি? -তোমার মা কী জীবিত আছেন? -জ্বী, জীবিত আছেন। -তাহলে তুমি ফিরে যাও এবং তার খিদমতেই লেগে থাক। কেননা তার পায়ের নিচেই জান্নাত। (ইবনে মাযাহ, নাসায়ি শরিফ)। মায়ের খেদমতের গুরুত্ব সম্পর্কে সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন­ ‘আল্লাহর নৈকট্য এবং সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মায়ের সাথে উত্তম আচরণের চেয়ে বড় আমল আমার জানা নেই।’ মা যদি অমুসলিমও হয় তবুও তার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং তার সম্মান ও খেদমত করতে হবে। হজরত আসমা রা: বলেন­ ‘রাসূল সা:-এর জীবিতাবস্খায় আমার মা মুশরিকা থাকাকালীন আমার কাছে আসে। আমি রাসূল সা:-এর খিদমতে আরজ করলাম­ -আমার মা আমার কাছে এসেছে অথচ সে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন। সে ইসলামকে ঘৃণা করে, এমতাবস্খায়ও কী আমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার করব? -অবশ্যই তুমি তোমার মায়ের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে থাক।’ (সহিহ বুখারি শরিফ)। পৃথিবীতে মায়ের খিদমত না করলে কিংবা মায়ের প্রতি কোনোরূপ খারাপ আচরণ করলে, মাকে কষ্ট ও দু:খ দিলে সন্তান যত ইবাদত-বন্দেগি আর নেকের কাজই করুক না কেন, তার পক্ষে জান্নাত লাভ করা কখনোই সম্ভব হতে পারে না। পরিশেষে বলা যায়, মায়ের সন্তুষ্টি ও তার মমতাপূর্ণ অন্তরের দোয়া দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। পক্ষান্তরে দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ভাগ্য হলো সন্তানের প্রতি মায়ের দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের বদদোয়া।

মা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রচনাঃ মা "আমি মানুষকে এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছি যে তারা যেন মাতা পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করে।তার মা কষ্ট করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছিল এবং কষ্ট করেই প্রসব করেছিল।তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান করাতে ত্রিশমাস লেগেছে....।"(সুরা আহকাফ ১৫) সুরা লোকমান ১৪আয়াতে বলা হয়েছে_"আর প্রকৃতপক্ষে আমি মানুষকে মাতা পিতার হক চিনে নেবার জন্য নিজেই তাকিদ করেছি , তার মা দূর্বলতা সহ্য করে তাকে নিজের গর্ভে ধারণ করে এবং দু বছর লাগে তার দুধ ছাড়াতে, আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং নিজ মাতা পিতার প্রতিও।আমার দিকেই তোমাকে ফিরে আসতে হবে।" মায়ের সেবার মর্যদাঃ একদা রাসুল সাঃ জান্নাতে প্রবেশ করে কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনেন , ফিরিশতা থেকে জানেন এটা হারিছা ইবনে নুমানের তিলাওয়াত।তখন রাসুল সাঃ বলেন , পূণ্যের প্রতিদান এমনই হয়,হারিছা ইবনে নুমান সকল মানুষের চেয়ে মায়ের সাথে সদাচরণকারী।(শরহে সুন্নাহ) মায়ের সেবাই জিহাদঃ মোআবিয়া রা বলেন আমার পিতা জামিমা রাসুল সাঃ খেদমতে হাজির হয়ে জিহাদে যাওয়ার পরামর্শ চান ,তখন রাসুল সাঃ বলেন,তোমার ঘরে মা আছে? তিনি বললেন হ্যাঁ।রাসুল সাঃ বললেন মায়ের সেবাকে অবলম্বন কর,জান্নাত তার পায়ের কাছে।(আহমাদ) মায়ের মর্যদা বেশীঃ একদা এক লোক রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞেস করল আমার নিকট সবচেয়ে সদাচরণ পাওয়ার উপযোগী কে? তিনি বললেন,তোমার মা।আবার জিজ্ঞেস করল তারপর কে ? তিনি বললেন তোমার মা ।আবার বলল ,তারপর? তিনি বললেন,তোমার মা ।লোকটি আবার জিজ্ঞেস করল তারপর ? নবী সাঃ বললেন তোমার বাবা । (বুখারী) মায়ের অবাধ্যতার পরিণামঃ রাসুল সাঃ বলেন, উপকার করে খোঁটাদানকারী ,মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদ্যপায়ী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।(নাসায়ী) রাসুল সাঃএর অভিশাপঃ রাসুল সাঃ বলেন,তার নাসিকা ধুলায় মলিন হোক ,এভাবে তিনবার বললেন ।সাহাবাগণ বললেন কে সে? রাসুল সাঃ বলেন যে মা বাবাকে অথবা একজনকে বার্ধক্যে পেল অথচ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলনা।(মুসলিম) মা ই জান্নাত জাহান্নামঃ একদা এক ব্যক্তি বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাঃ সন্তানের উপর মাতাপিতার হক কি ? রাসুল সাঃ বলেন তারা দুজনই তোমার জান্নাত জাহান্নাম ।(ইবনে মাজাহ) মায়ের দিকে নেক দৃষ্টিঃ রাসুল সাঃ বলেন কোন সদাচারী সন্তান নেক দৃষ্টিতে নিজের মাতাপিতার প্রতি তাকায় আল্লাহ তার প্রতিটি দৃষ্টির বিণিময় একটি কবুল (নফল) হজ্বের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন...(মিশকাত) মায়ের অবাধ্যতার শাস্তিঃ রাসুল সাঃ বলেন, প্রত্যেক পাপ আল্লাহ যতটুকু ইচ্ছা মাফ করে দেন কিন্তু মাতাপিতার অবাধ্যতার শাস্তি দুনিয়াতে মৃত্যূর আগেই প্রদান করেন। (মিশকাত) পরিশেষে বলবো, মা ই আমার জান্নাত।আল্লাহ মালিক ,পৃথিবীর সব সন্তানকে মায়ের কদর বুঝার পাশাপাশি মায়ের খিদমাতের মাধ্যমে জান্নাতের উত্তম হকদার হ ওয়ার তৌফিকদান করুন ।আমীন ইয়া রাব্বে কারীম ।