বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

% শহীদগণ জীবিত আছেন কিন্তু আমাদের মত জীবিত নন %

% শহীদগণ জীবিত আছেন কিন্তু আমাদের মত জীবিত নন % #আল্লাহ তো বলেছে শহিদরা মৃত্যুবরণ করে বা মারা যায় : 09/111 . ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﺷْﺘَﺮَﻯٰ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢْ ﻭَﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻬُﻢ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَۚﻳُﻖَﺍﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻴَﻘْﺘُﻠُﻮﻥَ ﻭَﻳُﻘْﺘَﻠُﻮﻧَۖﻮ ﺍًﺪْﻋَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺣَﻘًّﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻧﺠِﻴﻞِ ﻭَﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻧِۚﻮَﻣَﻦْ ﺃَﻭْﻓَﻰٰ ﺑِﻌَﻬْﺪِﻩِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻬِۚﻔَﺎﺳْﺖَﺑْﺸِﺮُﻭﺍ ﺑِﺒَﻴْﻌِﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺑَﺎﻳَﻌْﺘُﻢ ﺑِﻬِۚﻮَﺫَٰﻟِﻚَ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﻔَﻮْﺯُ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। ¤মারা যাওয়ার পরে: আল্লাহ বলেছেন: ﻭَﻻ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮﺍ ﻟِﻤَﻦْ ﻳُﻘْﺘَﻞُ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺕٌ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀٌ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻻ ﺗَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা অনুভব করতে পার না। আল-বাকারাহ, ২/১৫৪ আরো বলেছেন: ﻭَﻻ ﺗَﺤْﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀٌ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻳُﺮْﺯَﻗُﻮﻥَ আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত, তাদেরকে রিয্ক দেয়া হয়। আলে‘ইমরান, ৩/১৬৯ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাখ্যা : আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি এ আয়াত সম্পর্কে (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন তিনি বললেনঃ তাদের রুহসমুহ সবুজ পাখীর পেটে রক্ষিত থাকে, যা আরশের সাথে ঝূলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় সেখানে বিচরণ করে অবশেষে সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রভূ তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কি কোন আকাংখা আছে? জবাবে তারা বললো, আমাদের আর কি আকাংখা থাকতে পারে আমরা তো যথেচ্ছভাবে জান্নাতে ঘোরাফেরা করছি। আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে এরূপ তিনবার করলেন। যখন তারা দেখলো, জবাব না দিয়ে প্রশ্ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বললো, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাংখা হয়, যদি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহসমূহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা আপনারই পথে নিহত হতে পারতাম। অতঃপর মহান আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোন প্রয়োজনই অবশিষ্ট নাই, তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো (আর প্রশ্ন করা হলো না)। সহীহ মুসলিম: ৪৭৭৯, সুনানু নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ আয়াতের আরেকটি শানেনুযূল জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে দেখা করে আমাকে বলেন: “হে জাবের কেন তোমাকে বিষণ্ণ দেখছি?” আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, আমার পিতা উহুদের দিন শাহাদাত বরণ করেন, তিনি অনেক সন্তান ও ঋণ রেখে গেছেন। তিনি বললেন: “আমি কি তোমাকে সুসংবাদ দিব না তোমার পিতার সাথে আল্লাহ কি নিয়ে সাক্ষাত করেছেন?” জাবের বলেন, আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন: আল্লাহ পর্দার আড়াল ব্যতীত কারো সাথে কখনো কথা বলেননি, কিন্তু তোমার পিতাকে জীবিত করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি বলেন: হে আমার বান্দা আমার নিকট চাও আমি তোমাকে দিব। জবাবে তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন: হে আমার রব আমাকে জীবিত করুন, আমি দ্বিতীয়বার আপনার রাস্তায় শহীদ হব। মহান আল্লাহ বললেন: আমার সিদ্ধান্ত পূর্বে চূড়ান্ত হয়ে গেছে যে, মৃতদের দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করা হবে না। তিনি বলেন: আর এ আয়াত নাযিল করলেন যে, ﻭَﻻ ﺗَﺤْﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত মনে করো না, আলে‘ইমরান, ৩/১৬৯। [আত-তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ]

মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না

মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না সূরা: Al-Anbiyaa (The Prophets) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: 21/34 . ﻭَﻣَﺎ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﺒَﺸَﺮٍ ﻣِّﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺍﻟْﺨُﻠْﺪَۖ ﺃَﻓَﺈِﻥ ﻣِّﺖَّ ﻓَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ আপনার (মুহাম্মাদ সাঃ) পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার (মুহাম্মাদ সাঃ) মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? 21/35 . ﻛُﻞُّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺫَﺍﺋِﻘَﺔُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِۗ ﻭَﻧَﺒْﻠُﻮﻛُﻢ ﺑِﺎﻟﺸَّﺮِّ ﻭَﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻓِﺘْﻨَﺔًۖ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻨَﺎ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সূরা: Az-Zumar (The Groups) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৩৯/30. ﺇِﻧَّﻚَ ﻣَﻴِّﺖٌ ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻣَّﻴِّﺘُﻮﻥَ নিশ্চয় তোমারও (মুহাম্মাদ সাঃ) মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে। সূরা: Ash-Shu'araa (The Poets) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ২৬/81. ﻭَﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻤِﻴﺘُﻨِﻲ ﺛُﻢَّ ﻳُﺤْﻴِﻴﻦِ যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন। 27/80 . ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺗَﻰٰ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟﺼُّﻢَّ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀَ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻟَّﻮْﺍ ﻣُﺪْﺑِﺮِﻳﻦَ আপনি আহবান শোনাতে পারবেন না মৃতদেরকে এবং বধিরকেও নয়, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যায়। 30/19 . ﻳُﺨْﺮِﺝُ ﺍﻟْﺤَﻲَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ ﻭَﻳُﺨْﺮِﺝُ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻲِّ ﻭَﻳُﺤْﻴِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﻮْﺗِﻬَﺎۚ ﻭَﻛَﺬَٰﻟِﻚَ ﺗُﺨْﺮَﺟُﻮﻥَ তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বহির্গত করেন জীবিত থেকে মৃতকে বহির্গত করেন, এবং ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এভাবে তোমরা উত্থিত হবে। 30/25 . ﻭَﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﺃَﻥ ﺗَﻘُﻮﻡَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽُ ﺑِﺄَﻣْﺮِﻩِۚ ﺛُﻢَّ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﻋَﺎﻛُﻢْ ﺩَﻋْﻮَﺓً ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﺨْﺮُﺟُﻮﻥَ তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্তিকা থেকে উঠার জন্যে তোমাদের ডাক দেবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে। 30/40 . ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺭَﺯَﻗَﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳُﻤِﻴﺘُﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳُﺤْﻴِﻴﻜُﻢْۖ ﻫَﻞْ ﻣِﻦ ﺷُﺮَﻛَﺎﺋِﻜُﻢ ﻣَّﻦ ﻳَﻔْﻌَﻞُ ﻣِﻦ ﺫَٰﻟِﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺷَﻲْﺀٍۚ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻰٰ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। 30/52 . ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺗَﻰٰ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺴْﻤِﻊُ ﺍﻟﺼُّﻢَّ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀَ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻟَّﻮْﺍ ﻣُﺪْﺑِﺮِﻳﻦَ অতএব, আপনি (মুহাম্মাদ সাঃ) মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে। 31/34 . ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﻋِﻠْﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺚَ ﻭَﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡِۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﻣَّﺎﺫَﺍ ﺗَﻜْﺴِﺐُ ﻏَﺪًﺍۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮٌ নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। 32/11 . ﻗُﻞْ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻛُﻢ ﻣَّﻠَﻚُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭُﻛِّﻞَ ﺑِﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻰٰ ﺭَﺑِّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। 35/22 . ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟْﺄَﺣْﻴَﺎﺀُ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺄَﻣْﻮَﺍﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺴْﻤِﻊُ ﻣَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀُۖ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧﺖَ ﺑِﻤُﺴْﻤِﻊٍ ﻣَّﻦ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘُﺒُﻮﺭِ আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি (মুহাম্মাদ সাং) কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন। 40/11 . ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺃَﻣَﺘَّﻨَﺎ ﺍﺛْﻨَﺘَﻴْﻦِ ﻭَﺃَﺣْﻴَﻴْﺘَﻨَﺎ ﺍﺛْﻨَﺘَﻴْﻦِ ﻓَﺎﻋْﺘَﺮَﻓْﻨَﺎ ﺑِﺬُﻧُﻮﺑِﻨَﺎ ﻓَﻬَﻞْ ﺇِﻟَﻰٰ ﺧُﺮُﻭﺝٍ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴﻞٍ তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’ বার জীবন দিয়েছেন। এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি? 40/67 . ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦ ﻧُّﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻋَﻠَﻘَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ ﻃِﻔْﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻟِﺘَﺒْﻠُﻐُﻮﺍ ﺃَﺷُﺪَّﻛُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻟِﺘَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﺷُﻴُﻮﺧًﺎۚ ﻭَﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَّﻦ ﻳُﺘَﻮَﻓَّﻰٰ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُۖ ﻭَﻟِﺘَﺒْﻠُﻐُﻮﺍ ﺃَﺟَﻠًﺎ ﻣُّﺴَﻤًّﻰ ﻭَﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻌْﻘِﻠُﻮﻥَ তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর। 40/68 . ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺖُۖ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﻰٰ ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻟَﻪُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜُﻮﻥُ তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা’-তা হয়ে যায়। 40/77 . ﻓَﺎﺻْﺒِﺮْ ﺇِﻥَّ ﻭَﻋْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﻖٌّۚ ﻓَﺈِﻣَّﺎ ﻧُﺮِﻳَﻨَّﻚَ ﺑَﻌْﺾَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻧَﻌِﺪُﻫُﻢْ ﺃَﻭْ ﻧَﺘَﻮَﻓَّﻴَﻨَّﻚَ ﻓَﺈِﻟَﻴْﻨَﺎ ﻳُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ অতএব আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে যে শাস্তির ওয়াদা দেই, তার কিয়দংশ যদি আপনাকে দেখিয়ে দেই অথবা আপনার প্রাণ হরণ করে নেই, সর্বাবস্থায় তারা তো আমারই কাছে ফিরে আসবে। 03/156 . ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻟَﺎ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻟِﺈِﺧْﻮَﺍﻧِﻬِﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﺿَﺮَﺑُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻏُﺰًّﻯ ﻟَّﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻋِﻨﺪَﻧَﺎ ﻣَﺎ ﻣَﺎﺗُﻮﺍ ﻭَﻣَﺎ ﻗُﺘِﻠُﻮﺍ ﻟِﻴَﺠْﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺣَﺴْﺮَﺓً ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻤْۗﻮَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺘُۗﻮَﺍﻟﻞُﻩَّ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ ﺑَﺼِﻴﺮٌ হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোন অভিযানে বের হয় কিংবা জেহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে মরতোও না আহতও হতো না। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তোমাদের সমস্ত কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ সবকিছুৃই দেখেন। 16/61 . ﻭَﻟَﻮْ ﻳُﺆَﺍﺧِﺬُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺑِﻈُﻠْﻤِﻬِﻢ ﻣَّﺎ ﺗَﺮَﻙَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦ ﺩَﺍﺑَّﺔٍ ﻭَﻟَٰﻜِﻦ ﻳُﺆَﺧِّﺮُﻫُﻢْ ﺇِﻟَﻰٰ ﺃَﺟَﻞٍ ﻣُّﺴَﻤًّﻯۖﻔَﺈِﺫﺍَ ﺟَﺎﺀَ ﺃَﺟَﻠُﻬُﻢْ ﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﺄْﺧِﺮُﻭﻥَﺳَﺎﻋَﺔًۖﻭَﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﻘْﺪِﻣُﻮﻥَ যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না। 16/70 . ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻛُﻢْۚﻭَﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَّﻦ ﻳُﺮَﺩُّ ﺇِﻟَﻰٰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ ﻟِﻜَﻲْ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢَ ﺑَﻌْﺪَ ﻋِﻠْﻢٍ ﺷَﻴْﺌًﺎۚﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﻗَﺪِﻳﺮٌ আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এরপর তোমাদের মৃত্যুদান করেন। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ পৌছে যায় জরাগ্রস্ত অকর্মন্য বয়সে, ফলে যা কিছু তারা জানত সে সম্পর্কে তারা সজ্ঞান থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সু-বিজ্ঞ সর্বশক্তিমান।

লা ~ মাযহাবী কারা কারা ????

বিষয়: লা ~ মাযহাবী কারা কারা ???? ————————————————————————————————— . . মাযহাব মানা ফরয। আর মাযহাব না মানলে লা মাযহাবি। . ============================================== . আচ্ছা মাযহাব মানা যদি ফরয হয় আর এই ফরয যদি কেউ অস্বীকার করে সে কি কাফের হবে? . অথবা এই ফরয যদি কেউ পালন না করে সে কি গোনাগার হবে? . যেমন যাকাত দেয়া ফরয। কিন্তু কেউ যদি যাকাত কে অস্বীকার করে তাহলে সে কাফের আর যদি যাকাত আলসতা করে আদায় না করে তাহলে কবীরা গোনাহগার হবে। . এই মাযহাব মানা কোন ধরনের ফরয? . আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসুল (সাঃ) শরী'আতের যত হুকুম ফরয আছে তা স্পষ্ট করে দিলেন . কিন্তু #মাযহাব ফরয করার জন্য হুজুরদের হাতে ছেড়ে দিলেন আর হুজুরগণ কুরআন ঘেটে ঘেটে বুঝতে পারলেন যে . #অমুক আয়াতে বুঝা যাচ্ছে মাযহাব মানা ফরয। . কিন্তু রাসুল (সাঃ) ও তার সাহাবীগণ সব ফরয বুঝলেন এবং মানলেন এই লুকিয়ে থাকা ফরয বুঝলেন না। . কিন্তু আমাদের হুজুরগণ বুঝতে পারলেন। . আচ্ছা মাযহাব মানা যদি ফরয হয় আর লা মাযহাবী হওয়া যদি গোনাহ এর কাজ হয় তাহলে তো আল্লাহ তা'আলা তার জন্য নিশ্চয় শাস্তি দিবেন। . কারণ মাযহাব মানা ফরয আর ফরয তরক করা কবীরা গোনাহ। . কিন্তু শাস্তি দেওয়ার আগে যখন বলবেন কারা কারা মাযহাবী হাত তুল। . তখন দেখা যাবে মাযহাবীগণ হাত তুলবে . কিন্তু #সাহাবীগণ হাত তুলছেন না, . #তাবেঈ ও তাবে তাবেঈগণ হাত তুলছেন না, . #ইমাম আবু হানীফা রহ হাত তুলছেন না, . #ইমাম মালিক রহ হাত তুলছেন না, . #ইমাম শাফেয়ী রহ হাত তুলছেন না, . #ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ হাত তুলছেন না। . তখন অবশ্য ই আল্লাহ তাদের পাকড়াও করবেন এই বলে যে তোমরা মাযহাব মানলে না কেন? . তোমরা কি জানতে না মাযহাব মানা ফরয ছিল? . #তারা নিশ্চয় বলবে হে আল্লাহ মাযহাব তো আমাদের মৃত্যুর পরে তৈরি হলো সেই মাযহাব আমরা মানব কি করে? . তার মানে সাহাবীগণ, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈগণ, ৪ ইমাম #সহ আরো অনেক থাকবেন #লা মাযহাবী। . তখন কি অবস্থা হবে জানি না। কিন্তু আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাকে বিচার দিবসের দিন #যারা লা মাযহাবী হিসাবে হাত তুলবেন না তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। (আমিন) { ~Wait & See~ }

জানা লোকের কাছে জানা

""ফাছ'য়ালূ আহলায যিকরি ইন কুনতুম লাতা লামূনা,বিলবাইনাতি ওয়ায যুবুর"" (নাহল ১৬ / ৪ এবং ২৭ / ৭) ""ইয কুলতুম ছামি'না ওয়া আতা'না""(সূরা মায়েদা ৫/৭ নং আয়াত) ""ইননা মা ইয়াছতাজীবুল লাযীনা ইয়াছমা'উন"" (আন'আম ৬/৩৬) ""তাদের মত হয়ো না যারা বলে আমরা শুনেছি অথচ তারা কিছুই শুনে না""(আনফাল ৮/২১) হাদিস= ১* আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বিভিন্ন সনদে ইমাম আহম্মাদ, ইমাম তিরমিযী ও ইমাম ইবনু জারীর রহঃ বর্ণনা করেছে,........... রসূল (সাঃ) যখন আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) এর সম্মুখে এই আয়াক তিলাওয়াত করলেনঃ """ ইততাখযু~আহবা-রহুম ওয়া রুহবা-নাহুম আরবা-বাম মিন দূনিল্লা-হি""" অর্থ-তারা (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানগণ) আল্লাহকে ছেড়ে তাদের আলেম (পন্ডিতগণ) ও দরবেশগণকে (সংসার বিরাগীগণকে) রব হিসাবে গ্রহণ করেছে""" (সূরা তওবা ০৯/৩১নং আয়াত।) আদী (রাঃ) তখন বললেন-তারা তাদের আলেম ও দরবেশকে রব বানায়নি । নবী (সাঃ) বললেন-হ্যাঁ, তারা নিশ্চয় তাদের আলেম ও দরবেশদেরকে রব বানিয়েছে। তাদের আলেম ও দরবেশগণ আল্লাহ কর্তৃক হালাল ঘোষিত বিষয়কে তাদের জন্য হারাম করেছে এবং হারাম ঘোষিত বিষয়কে হালাল বানিয়েছে। আর তারা সেই সব বিষয় নিজেদের আলেম ও দরবেশদেরকে তথা তাদের বিধি ব্যবস্থা মেনে নিয়েছে।-(বিস্তারিতঃ তাফসিরে ইবনে কাসীর আলোচ্য আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য।) *সূরা আনআম ০৬/১০৪ *সূরা আনআম ০৬/১৯

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

মাযহাবীদের লিডার বর্তমান মুফতি লুত্‍ফর এর তাক্বলিদের সংঙ্গার কপি প্রচার কারকদের #তাক্বলিদের সংঙ্গার জবাব ((মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ এর ২য় অংশ (৫.২))

মাযহাবীদের লিডার বর্তমান মুফতি লুত্‍ফর এর তাক্বলিদের সংঙ্গার কপি প্রচার কারকদের #তাক্বলিদের সংঙ্গার জবাব ((মাজহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট পাঁচ এর ২য় অংশ (৫.২))

—————————————————————————————————

মূল : লুত্‍ফর ফরাজী . কপি প্রচারক :-//Shahariar Rahman Sajib

তাকলীদ হল, মাসায়েলে ইজতিহাদিয়্যাতে,গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তির এমন মুজতাহিদেরমুফতা বিহা মাসায়েলকে দলীলচাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া, যে ব্যক্তির মুজতাহিদহওয়া শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমানিত, এবং তার মাযহাবউসুলান ও ফুরূআন সংকলিত হয়ে মুকাল্লিদের কাছে আমলহিসেবে মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছেছে। ভাই দয়া করে এ সংজ্ঞাটির সবগুলো পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তাক্বলীদ হারাম দলিলসহ আলোচনা করুন

// .

—————————————————————————————————

আপনার দেওয়া সংঙ্গার জবাব নিচে দেওয়া হল:-

//Shahariar Rahman Sajib@ তাকলীদ হল, মাসায়েলে ইজতিহাদিয়্যাতে,গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তির এমন মুজতাহিদেরমুফতা বিহা মাসায়েলকে দলীল চাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া,//

জবাব:- সূরা তাওবার আয়াত ০৯/৩১ এবং হাদিস আদি ইবনে হাতেম এর সেই বিখ্যাত হাদিস দেখুন লিংক

[

Click This Link

] //যে ব্যক্তির মুজতাহিদহওয়া শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমানিত, এবং তার মাযহাবউসুলান ও ফুরূআন সংকলিত হয়ে মুকাল্লিদের কাছে আমলহিসেবে মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছেছে।//

জবাব : এই মতটা কোন মুতাওয়াতির সূত্রে পেয়েছে যা কুরআনে এবং হাদিসে নেই

  • নির্দিষ্ট করেছে ১৩০ ফরজ


  • চার মাযহাব চার ফরজ


  • চার কুরসি চার ফরজ


নির্দিষ্ট এক মুস্তাহিদ ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর তাক্বলিদ করতে হবে যার কোন একটা প্রমাণ নেই

এক ব্যক্তির তাক্বলিদ করার

এই গুলোর পক্ষে একটা দলিল দিন কুরআন ও হাদিস থেকে যা আপনার কাছে এসেছে ???

{{এখানে এই পোষ্টে ০১ নং এবং ০৩ নং দুইটি ইসতিহাদি মাসায়েল আছে পারলে এই এক মুস্তাহিদ ইমামের তাক্বলিদ করা যাবে প্রমাণ করেন

এই দুটি মতে অন্য কোন ইমামের মত দিবে না

[

Click This Link

] //ভাই দয়া করে এ সংজ্ঞাটির সবগুলো পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তাক্বলীদ হারাম দলিলসহ আলোচনা করুন//

জবাব : দলিল ছাড়া কার কথা গ্রহণ করা যাবে প্রমাণ দেখেতে পারবেন ???

//দলীল চাওয়া ছাড়া মেনে নেয়া,//

জবাব:-- দলিল ছাড়া আলেম বা পন্ডিত দের কথা গ্রহন করা এটা ইহুদি নাসারা এদের স্বাভাব দেখুন তাওবা ৩১ হাদিস আদি ইবনে এর সেই বিখ্যাত হাদিস ( ১ম লিংকে দেওয়া আছে

Click This Link

)
  • আপনার দেওয়া সংঙ্গা মতে"" আপনি বলেন দলিল ছাড়া কোন মত গ্রহন কাদের নীতি ???


  • আপনি বলেন, আপনার সংঙ্গার কথা মানব না আল্লাহ এবং তার নবীর কথা মানব ????


এক জন মুস্তাহিদ সব বিষয়ে সমাধান দিয়ে গিয়েছে কি ??

  • মুস্তাহিদের সব বিষয়ে সমাধান কি সবগুলো সঠিক ??


ধরুন বা হয়েছে , মুস্তাহিদ ভুল করেছে ,এখন মুস্তাহিদের এই ভুলটা মুকালিদরা মানবে না বাদ দিবে ??

আবার, বাদ দিয়ে অন্য আরেক জন এর মত গ্রহন করে তখন

#তাক্বলিদ খতম হয়ে যাবে কারণ ঐ মুকালিদ এখন আর মুকালিদ থাকবে না সে দলিল যাচাই কারী হবে,

#আর দলিল চাওয়া বা যাচাই মুকালিদের কাজ না ॥

ইসলামে মুস্তাহিদের ভুল এর উপর মুকালিদের আমল করার পক্ষে কি কোন দলিল আছে ???

  • মানুষ কি ভুল করে ???


{{~Wait & See~}}

—————————————————————————————————

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর,আনুগত্য কর রাসুলের ও উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯) মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট (ছয়) ৬

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট (ছয়) ৬

মাযহাবীর দলিল দেয় নং- ৬ "হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর,আনুগত্য কর রাসুলের ও উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯)

যেহেতু আল্লাহ তায়ালা এখানে আলেমদের আনুগত্যের কথা বলেছেন তাই তাদের তাক্বলীদ করা ওয়াজিব।

জবাবঃ

প্রথমত এখানে আগে বলা হয়েছে আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করতে।

  • অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করার লক্ষ্যেই উলিল আমরের আনুগত্য করতে হবে।


[[ জানতে এই পোষ্টটা পড়ুন

Click This Link

]] দ্বিতীয়ত উলিল আমর বলতে শাসক ও আলেম উভয় শ্রেণীকেই বুঝায়।

তারা যদি সত্যের বিরোধিতা করেন তাহলে তাদের কথা মানাযাবে না।

[[জানতে এই পোষ্টটা পড়ুন

Click This Link

]] কেননা রাসুল সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতায় সৃষ্টি জীবের কথা মানা যাবে না।" (মুত্তাফাক্ব আলাইহি,মিশকাত হা/৩৬৬৫)

  • তাই তাদের কথা দলিল প্রমাণের মাধ্যমে যাচাই করে মানতে হবে।


তৃতীয়ত এই আয়াতের পরের অংশেই বলা হয়েছে -"

যদি তোমাদের মাঝে মতবিরোধ হয় তবে তা ফিরিয়ে দাও আল্লাহ ওপরাসুলের দিকে।

  • "অতএব মুজতাহিদগণের যেখানে মতপার্থক্য রয়েছে সেখানে কুরআন ও হাদীছের আলোকে যাচাই করে যে মত অগ্রগণ্য হবে সেটাই গ্রহণ করতে হবে।


তাই কিভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির তাক্বলীদ করা যেতে পারে?

এই আয়াতে এই শব্দ কি একক বচন না বহু বচন উলিল আমরগণের।"(নিসা-৫৯)?

  • তাক্বলিদ কয় ব্যক্তির করতে হয়?


[[জানতে এই পোষ্টেটি পড়ুন:- প্রশ্ন :- তাক্কলীদ মানে কি? তাক্কলিদ কাকে বলে? বলা হয় তাক্কলিদের সংঙ্গা সঠিক সমস্যা হচ্ছে উক্তি গুলো বুঝতে।

প্রশ্ন কর্তা:এক জন হানাফি মাযহাবী

Click This Link

]] এই আয়াতে তো মৃত ব্যক্তির তাকলিদ প্রমাণিত হয় কি ভাবে?

.নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট ৪

মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট (চার) ৪

¤ মাযহাবী আলেমরা দলীল দেন " কাসীর ইবনু ক্বঈস (রহ.) সুত্রে বর্ণিত, “..রসূলুল্লাহ (দ.) বলেছেন, ...নিশ্চয়ই আলেমগণ হলেন নাবীদের ওয়ারিস। নাবীগণ কোন দিনার বা দিরহাম ওয়ারিসরূপে রেখে যান না। শুধু তাঁরা (আ.) ওয়ারিস সূত্রে রেখে যান ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ (ওয়ারিস) অংশ গ্রহণ করেছে।” -আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২০, কিতাবুল ইল্ম, অনুচ্ছেদঃ ১, জ্ঞানের ফাযীলাত, হাদিস # ৩৬৪১।

¤ এই হাদিস অনুযায়ী আলেমগণ নিজ থেকে শারীয়াহ’র বিধান দিতে পারেন। যেহেতু আলেমগণ নাবী (আ.) গণের ওয়ারিস। অতএব, এ হাদিসটি থেকেই বুঝা যায় যে, আলিমদের তাক্বলীদ করা বৈধ।"!!?

  • জবাব : ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণই ভুল।


কারণ নাবী রসূল গণ শারীয়াহর কোনো কথাই নিজ থেকে বলতে পারতেন না।

বরং তাঁদের কাছে যে ওয়াহি করা হতো শুধু তাই অনুসরণ করতেন।

¤ এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “কোনো রসূলেরই এই অধিকার ছিলো না যে, তাঁরা আল্লাহ’র অনুমতি ছাড়া (শারীয়াহ’র) কোনো বিধান নিয়ে আসবে।” - সূরা আর- রা’দ (১৩), ৩৮।

নাবী রসূলগণ যেহেতু নিজ থেকে শারীয়াহ র কোনো কথা বলতে পারতেন না,

সেখানে একজন আলেম কিভাবে নিজ থেকে শারীয়াহর কথা বলবেন ?

¤ হাদিসটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন, রসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন,

নাবীগণ (আ.) ওয়ারিস হিসেবে রেখে যান ইলম (জ্ঞান)।

আলিমগণ যদি নিজ থেকে শারীয়াহর কোনো কথা বলতে পারতেন তা হলে

  • তো নাবী গণের ইলম বা জ্ঞান রেখে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন ছিলো না॥


¤ বরং নাবীগণ (আ.) যে ইলম (জ্ঞান) রেখে গিয়েছেন তা বুঝাবার দায়িত্ব দিয়েগেছেন আলিমগণকে।

তাই হাদিসটিতে আলিমগণকে শারীয়াহ’র মাঝে নিজ ইচ্ছামত বিধান দেয়ার অধিকার দেয়া হয়নি।

বরং নাবী- রসূলগণ (আ.) ওয়াহী ছাড়া কিছুই বলতে পারতেন না। ঠিক নাবী- রসূলগণের ওয়ারিসগণ তারাই যারা নাবী-রসূলগণের (আ.) রেখে যাওয়া ওয়াহীর ইলম অনুযায়ী ফায়সালা দেন।

আর যারা নাবী রসূলগণের রেখে যাওয়া ইলম ব্যতীত ফায়সালা দেয় তারা নাবী রসূলগণের ওয়ারিস নয়।

  • অতএব, এই হাদিসটি কোনোভাবেই তাক্বলীদ প্রতিষ্ঠার দালিল হতে পারে না।


আল্লাহ আমাদের তাকলীদ হতে হেফাজত করুক। ((আমীন))।

{{ S H M HASAN }}