বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫
কপি
[[ বিঃদ্রঃ আমি কাজীকে আবার পাল্টা জবাব দিয়েছি তার লিংক ]]
কাজীর মূল লেখার কপি যা সংগ্রহ করা সংযোজনের পূর্বের
//কাজী
ছাইফুজ্জামান
মাঝহাব বিদ্ধেষী
Md SaRower HosSain
এর মাঝহাব নিয়ে
বিষেধাগার ও তার
বিদ্ধেষপূর্ণ কিছু
প্রশ্ন ও তার জবাব।
:
প্রশ্ন:-
1) লা-মাযহাবী দ্বারা
কি বলতে চাও ???
==============
জবাব:-
যারা মুজতাহিদ
ইমামগণ ইজতেহাদ
অস্বীকার করে
নিজেরা মুজতাহিদ
না হওয়া সত্ত্বেও
নিজেরাই মুজতাহিদ
সেজে বসে আছে,
তাদেরকেই লা-
মাঝহাবি বলি।
প্রশ্ন:-
2) সর্বপ্রথম লা-
মাযহাবি হলেন
মুহাম্মাদ (সাঃ)!
===============
======
জবাব:- রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম মাঝহাব
মানবেন কেন? তিনি
তো ওহি প্রাপ্ত
শরিয়ত প্রণেতা।
তাঁর নিকট ওহি
এসেছে, তিনি
শরিয়ত প্রণেতা,
তাঁর মুক্কাল্লিদ
হওয়ার প্রয়োজন
নাই। তাই তিনি
কারো মুক্কাল্লিদ
নন।
এখন আপনাকে
জিজ্ঞেস করি যে,
আপনিও কি অনুরুপ
কিছু দাবি করতে
চান?
জবাব দিন।
প্রশ্ন:-
(3) লা মাযহাবি দিয়ে
আপনি কি বুঝাতে
চাচ্ছেন? লা
মাযহাবি মানে যদি
কোন মাযহাবের
অনুসরণ না করাকে
বুঝিয়ে থাকেন তবে
সর্বপ্রথম লা-
মাযহাবি ব্যক্তি
হলেন মুহাম্মাদ
রাসুলুল্লাহ ﷺ।
জবাব:-
এই প্রশ্নের জবাব
২য় প্রশ্নের জবাব
একই।
তিনি নিজেই
শরিয়ত প্রণেতা
অন্যের বিশ্লেষণ
মানতে যাবেন কেন?
এখন যদি ওহি আসার
সম্ভাবনা থাকতো
তাহলে হয়তো আপনি
দাবি করতে পারতেন
আপনার উপর ওহি
নাজিল হয়েছে। তাই
আপনি কাউকে
মানছেন না।
যেহেতু ওহির দরজা
এখন বন্ধ, তাই
আপনি ওসব বলতে
পারেন না।
আপনাকে অবশ্যই
মুজতাহিদ ইমামের
তাকলিদ করতে হবে।
কারণ আপনি নবী
নন, মুজতাহিদও নন।
প্রশ্ন:-
( 4) তেমনি ভাবে-
আবু বকর (রাঃ)
ছিলেন লা-মাযহাবি!
(5) হযরত উমর (রাঃ)
লা-মাযহাবি! (6)
হযরত উসমান (রাঃ)
লা-মাযহাবি! (7)
হযরত আলী (রাঃ)
লা-মাযহাবি!
জবাব:-
তাঁরা নবীজিকে
দেখে তাঁর থেকে
শিখে সরাসরি আমল
করেছেন, আপনি সে
রকম হতে পেরেছেন
কি?
এছাড়া তাঁরা ছিলেন
জলিলুল ক্কদর
সাহাবি এবং
মুজতাহিদ।
আপনি এখনো তাঁদের
পায়ের ধুলার সমানও
হতে পারেন নি।
প্রশ্ন:-
( 8) একই ভাবে ইমাম
আবু হানীফা (রহ.)
তিনি কোন মাযহাব
মানতেন? তার তো
কোন মাযহাব ছিলো
না? সুতরাং ইমাম আবু
হানীফা (রহ.) তিনিও
লা-মাযহাবি! (9)
ইমাম শাফি (রহ.) লা-
মাযহাবি! (10) ইমাম
মালেক (রহ.) লা-
মাযহাবি! (11) ইমাম
আহমাদ ইবনে
হাম্বল (রহ.) লা-
মাযহাবি!
জবাব:-
যারা নিজেই
মুজতাহিদ, তাদের
জন্য অন্য কারো
ইজতেহাদ মানা
নিস্প্রয়োজন।
উপরোক্ত মনিষিগণ
যেহেতু মুজতাহিদ
ছিলেন, তাই তাঁরা
সরাসরি রাসূলের
মুক্কাল্লিদ।
প্রশ্ন:-
( 12) আবু হানীফা রহ
কি হানাফী মাযহাব
তৈরী করেছেন? (13)
আবু হানীফা রহঃ কি
সব বিষয়ে সমাধান
দিয়ে গেছে? যদি
দিয়ে থাকে তাহলে
পরবর্তীতে নতুন
সমস্যা দেখা দেয়
কেন??? (14) আবু
হানীফার জন্মের
আগের দিন যেসব
মানুষ মারা গেছে
তারা কোন মাযহাব
মানতো? তারা সবাই
"লা-মাযহাবী"
ছিল ?? (15) আবু
হানীফা যখন শিশু
ছিলো তখন সারা
দুনিয়ার মুসলিমগণ
কোন মাযহাব
মানতো? "লা-মাযহাব"
কি?? (16) আবু
হানীফা তো আর
জন্ম থেকেই
মুজতাহিদ ছিলেননা।
মুজতাহিদ হতে কম
করে হলেও ২৫/৩০
বছর বয়স হয়েছে
তার। তাহলে আবু
হানীফার বয়স
২৫/৩০ বছর হওয়ার
আগে সারা দুনিয়ার
মুসলিমরা কোন
মাযহাব মানতো? "লা-
মাযহাবী" কি??
দলিল সহ জানতে
চাই।
জবাব:-
বিজ্ঞ ব্যাক্তি হলে
উপরের জবাবই
যথেষ্ট।
আর অজ্ঞ হলে
তর্ক করা বৃথা।
(মূল লেখা সময় দিন তারিখ September 28 . Monday at 9:57am)///
বিঃদ্রঃ সে (কাজী) পর সংযোজিত করেছে, তার জবাব দিব না, আমি তার মূল পোষ্টের মূল লেখার জবাব দিব তার লিংক এটা
[[ বিঃদ্রঃ আমি কাজীকে আবার পাল্টা জবাব দিয়েছি তার লিংক ]]
লা-মাযহাবী কাকে বলে ???
%লা-মাযহাবী কাকে বলে ???%
এই Lutfor Farazi দেওবন্দীর যাতে মাথা ব্যথা
লা-মাযহাবী ফিতনা নিয়ে
আজকে ওরে এই লা মাযহাবী নিয়ে বাঁশ দিমু
2048:@ [356001264552341:]
ঐ মাযহাবী দেওবন্দীর ছেলে দেখও নিচে এই সম্মাণিত ব্যক্তিগন কোন কোন মাযহাব মানত ????
(হাপানিদের স্বাভাব হল ব্লক দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো Lutfor Farazi এই দেওবন্দী একটা)
((বিঃদ্রঃ যারা হাপানি পালানোর কথা এখনো বলা হয়নি পরে হয়ত বলা লাগতে পারে ))
==============
(1) লা-মাযহাবী দ্বারা কি বলতে চাও ???
==============
(2) সর্বপ্রথম লা-
মাযহাবি হলেন
মুহাম্মাদ (সাঃ) !
=====================
(3) লা মাযহাবি দিয়ে
আপনি কি বুঝাতে
চাচ্ছেন?
লা মাযহাবি মানে
যদি কোন মাযহাবের অনুসরণ না করাকে বুঝিয়ে থাকেন তবে সর্বপ্রথম লা-
মাযহাবি ব্যক্তি
হলেন মুহাম্মাদ
রাসুলুল্লাহ ﷺ।
(4) তেমনি ভাবে-
আবু বকর (রাঃ)
ছিলেন লা-মাযহাবি!
(5) হযরত উমর (রাঃ) লা-মাযহাবি!
(6) হযরত উসমান (রাঃ)
লা-মাযহাবি!
(7) হযরত আলী (রাঃ)
লা-মাযহাবি!
(8) একই ভাবে ইমাম
আবু হানীফা (রহ.)
তিনি কোন মাযহাব
মানতেন? তার তো
কোন মাযহাব ছিলো
না?
- সুতরাং ইমাম আবু হানীফা (রহ.) তিনিও লা-মাযহাবি!
- (12) আবু হানীফা রহ কি হানাফী মাযহাব তৈরী করেছেন?
- যদি দিয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে নতুন সমস্যা দেখা দেয় কেন???
- উপরিউক্ত প্রশ্নের জবাব চাই।
দলে দলে বিভক্ত
%দলে দলে বিভক্ত %
_____________________
"অবশ্য যারা ধর্ম সর্ম্পকে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দ্বায়িত্ব তোমার (মুহাম্মাদ সাঃ) নেই,তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ার ভুক্ত"(সূরা আন'আম ৬/১৫৯)
_____________________
"তোমরা সকলে মিলিত ভাবে আল্লাহর রশিকে শক্ত করে আকঁড়ে ধর ,দলে দলে বিভক্ত হয়ো না"আল ইমরান ৩/১০৩ (অর্থাত্ কুরআন ও সহিহ হাদিসকে)॥
_____________________
হাদিস নং (১) এক
_____________________
হযরত আবদুল্লা বিন আমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত ,তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন,বনী ইসরাইলদের যাহা হইয়াছিল আমার উম্মাতের অবস্থাও ঠিক অনুরূপ তাহই হইবে। যেমনি ভাবে এক পায়ের জুতা অন্য পায়ের জুতার সমান হয়। এমন কি যদি তাহাদের মধ্যেও কেহ নিজের মায়ের সহিত প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়াছিল তাহা আমার উম্মাতের মধ্যেও সেইরূপ লোক হইবে । এতদ্ভিন্ন বনী ইসরাইল বাহাত্তুর দলে বিভক্ত হইয়াছিল। আর আমার উম্মাত বিভক্ত হইবে তিয়াত্তর দলে(৭৩)। আর তাহাদের একটি দল ব্যতিত সকলই জাহান্নামে যাইবে, সাহাবারা রাঃ বলিলেন হে আল্লাহর রাসূল সাঃ ! সেটি কোন দল? উত্তরে তিনি বলিলেন ,"আমি ও আমার সাহাবীগণ যে দলে আছি" যাহারা সেই দলে অবিচল থাকিবে।(তিরমীযি-মিশকাত মাদ্রাসা পাঠ্য ১ম খন্ড অধ্যায় ৭ পৃষ্ঠা নং ২৯৫ হাঃ নং ১৬২/৩১)
_____________________
হাদিস নং (২) দুই
_____________________
মু'আবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান(রাঃ) থেকে বর্ণিত ,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,তোমাদের পূর্ববতী আহলে কিতাবরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে, আর উম্মতের লোকেরা অচিরেই ৭৩ দলে বিভত্ত হবে , তাদের ৭২ দল হবে জাহান্নামী আর একটি দল হবে জান্নাতি, আর তা হলো "আল জামা'আহ"। (আবু দাউদ হাঃ নং ৪৫৯৯; দারেমী হাঃ নং ২৫১৮; জামেউল আহাদীস হা নং ৪৫৮২; জামেউল উসুলঃ হাঃ নং ৮৪৮৯; কানযৃল উম্মালঃ হাঃ নং ৩০৮৩৫; মুসনাদে সাহাবাঃ হাঃ নং ২০)
[01/10/2015]
বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
‘ঘরে গরুর মাংশ আছে’ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট।
‘ঘরে গরুর মাংশ আছে’ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট।
ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে মন্দিরের থেকে এই ঘোষণা শোনার পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসে শত শত হিন্দু গ্রামবাসী।
ঘর থেকে টেনে হেচরে বের করে মুহম্মদ আখলাক সাহেব এবং তার ছেলে দানিশকে।
এরপর ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় দু’জনকে।
মুহম্মদ আখলাকের মাথা সম্পূর্ণরূপে থেতলে দেওয়া হয় , মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লো পঞ্চাশ উর্ধ্ব এ মানুষটি। গুরুতর আহত দানিশকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
মুহম্মদ আখলাকের রক্তাক্ত দেহ দর্শন কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না, তার স্ত্রী ও কন্যা।
কন্যা সাজিদা’র কেবল একটি প্রশ্ন, “ আচ্ছা, আমাদের ফ্রিজে তো গরু মাংশ ছিলো না, তবে কি তারা আমার বাবাকে ফিরিয়ে দেবে ?”
(সূত্র: , )
আখলাক সাহেবের কন্যা সাজিদার সাথে আমিও কিছু প্রশ্ন করতে চাই তাদের ??
১) ভারতে পশুর থেকে কি মানুষের মূল্য কম ? একটি সামান্য পশুর জন্য একজন মানুষকে হত্যা করা কতটা মনুষ্যহীনতার লক্ষণ?
২) ঐ মানুষগুলোর পক্ষে কি একটুও সহনশীল হওয়ার প্রয়োজন ছিলো না ? নাকি তারা মানুষই নয় ?
৩) তারা কি পারতো না সামান্য একটু গরু খাওয়ার জন্য একজন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা না করতে ? তারা কি পারতো না, আখলাক সাহেবের সন্তানদের এতিম না করতে, স্ত্রীকে বিধবা না করতে ?
৪) ধরে নিলাম, গরু খাওয়া অপরাধ ভারতে (কিন্তু এই ভারতী গরুর মাংস রপ্তানিতে বিশ্বের ১ম), সেই অপরাধের তো শাস্তিও আছে। তবে পুলিশকে ডাক দিলেই হতো। হামলা করার দরকার ছিলো কি ? নিজ হাতে হত্যা করা কি আইনত শুদ্ধ ?
৫) হিন্দুরা প্রায়শঃ বলে, বাংলাদেশ-ভারতে নাকি মুসলিম জঙ্গীবাদে ভরে যাচ্ছে, এ খবরের দ্বারা কি প্রমাণ হয় না, ভারতে একটি গণজঙ্গী রাষ্ট্র এবং মন্দিরগুলো হচ্ছে সেই জঙ্গী জমায়েতের কেন্দ্র ?
৬) মন্দির গুলো কি কাজে ব্যবহৃত হয়, উপাসনার কাজে নাকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লাগানোর কাজে ?
৭) একটা রাষ্ট্র ও বিচারব্যবস্থা কতটা সাম্প্রদায়িক হলে কোর্ট রায় দিয়ে গরু নিষিদ্ধ করতে পারে ?
৮) ধরে নিলাম, গরু নিষিদ্ধ। তবে সেটা কি শুধু মুসলমানদের জন্য ? কেন ভারত এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গরু রফতানিকারক দেশ ? কেন তারা কোরবানী ঈদে বাংলাদেশে গরু পাঠায় ?
৯) গরুকে হত্যা করলে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাই তারা তাদের ধর্মীয় আইন মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। খুব ভালো কথা। এখন মূর্তি পূজা করলেও তো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। তবে কি হিন্দুদের পূজাও নিষিদ্ধ করতে হবে ?
১০) বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায়শঃই বলে, বাংলাদেশে হিন্দুরা খুব নির্যাতিত হচ্ছে। কেউ কি বলতে পারবেন, বাংলাদেশের কোন হিন্দুদের উপর এ ধরনের সাম্প্রদায়িক কোন নির্যাতনের ঘটনা কখনও ঘটেছে ?
শেষে শুধু একটা কথাই বলতে হয়, মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ‘বোধ’ নামক এক শক্তির। মানুষের বোধোদয় হয়, কিন্তু পশুর হয় না। তবে যে সকল মানুষের সেই ‘বোধ’ টুকুও নেই, তাদের মানুষ না বলে পশু বলাই উত্তম
মালু/হিন্দুরা কি আর ধর্ম মানে ??
রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন ।((ঈদ পর্ব ৫ম))
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন।((ঈদ পর্ব ৫ম))
______________________________________________________
"চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভরশীল ইবাদত
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ । আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী । কাজেই তোমাদের মধ্যেযে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে । আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুণ আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর- (বাকারা ০২/ ১৮৫)
পৃথিবীর সকল জীবিত লোকই এ মাস পাবে । তথাপী উক্ত আয়াতে “যে লোক এ মাসটি পাবে”কেন বলা হল ?
এর ব্যাখ্যায় যারা চাঁদের উদয়স্থলের বিভিন্নতা গ্রহন করে নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে সাওম রাখতে হবে তারা বলে যে দেশে চাঁদ দেখা গেল তারা এ মাস পেল । যে দেশে চাঁদ দেখা গেল না তারা এ মাস পেল না। তাদের দেশে চাঁদ দেখার পরে পাবে ।
আয়াতে অসুস্থ, মুসাফির ব্যক্তির কথাও আছে । অর্থাৎ দেশের সকলে মাস পেয়ে রোজা রাখলেও অসুস্থ, মুসাফির অন্য মাসে সুস্থ, মুক্বীম অবস্থায় সাওম রাখতে পারবে।
অর্থাৎ সামগ্রীক ভাবে বলা যারা এ মাসে রোজা রাখতে পারবে তারা এ মাস পেল আর যারা রোজা রাখতে পারল না তারা এ মাস পেল না[অসুস্থ, মুসাফির, নামে মুসলমান (ইচ্ছাকৃত ভাবে সাওম রাখেনা) ও ভিন্ন ধর্মাবলী অন্যান্যরা]
ইসলামে মাসের শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
يَسْأَلُونَكَعَنِالْأَهِلَّةِۖقُلْهِيَمَوَاقِيتُلِلنَّاسِوَالْحَجِّۗ
তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে । বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য (মাসের) সময় (তারিখ) নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় (তারিখ) ঠিক করার মাধ্যম (বাকারাহ-০২/১৮৯)
চাঁদ দেখা
_________________
রসূল সা: বলেন, তোমরা সাওম রাখবে না,যে পর্যন্ত না চাঁদ দেখতে পাও।একই ভাবে তোমরা সাওম ভঙ্গ (ঈদ) করবে না, যে পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পাও । তবে যদি মেঘের কারনে তা তোমাদের কাছে গোপন থাকে,তবে শাবান মাস পূর্ণ করবে ৩০ দিনে।
অপর বর্ণনায় আছে, তিঁনি (সাঃ) বলেন- মাস কখনও ২৯ দিনেও হয় (সহীহ বুখারী-৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০,সহীহ মুসলিম-৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪)
"মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেছেন, “ঐ সাওম আরম্ভ হবে যেদিন সকলে সাওম রাখবে, সাওম ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই সাওম ভাঙ্গে আর কুরবানী করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে” (তিরমিযী, হাদিস নং ৬৯৭)
উপরের হাদিসে কি বুঝা যায়ঃ-
১) রমজানের সঠিক তারিখ জানার পূর্বে শা’বান মাসের চাঁদ দেখে সঠিক ভাবে শা’বানের শুরু তারিখ নির্ধারণ করা । অথচ রমযানের চাঁদ দেখার উপর বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয় । শা’বানের (যে কোন মাসের) ২৯ তারিখের দিবাগত রাত্রে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে শেষ হবে এবং ৩০ তারিখের দিবাগত রাত্র থেকে (পরবর্তী মাস) রমযান মাসের শুরু হবে (চাঁদ না দেখা গেলেও)
অতএব রমযানের চেয়ে শা’বানের চাঁদ দেখার গুরুত্ব বেশী (আরবী সকল মাসের চাঁদ দেখার গুরুত্ব আছে)
"আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) শাবানের মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি যখনই নতুন চাঁদ দেখতে পেতেন তখন সাওম শুরু করতেন । আর যদি নতুন চাঁদ না দেখতে পেতেন তাহলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে সাওম রাখতেন” (আবু দাউদ হাদিস নং ২৩১৮)
(২) “তোমরা, না চাঁদ দেখতে পাও” কথা দ্বারা বুঝা যায় পৃথিবীর সকল মানুষ যারা স্বচক্ষে চাঁদ না দেখবে সাওম রাখবে না, ঈদ করবে না; যারা দেখবে সাওম রাখবে, ঈদ করবে (এমন নয়) ।
আর কেউই চাঁদ না দেখলে ৩০ শে শা’বানের দিবাগত রাত্র থেকে সাওম রাখবে ।
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
______________
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন (সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
"একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন । তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন । এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় । রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যাঁ আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
"আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট, যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
"রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই। আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি (সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
"হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম । পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন (আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
"একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন। তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে । তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে, লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে” (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
1. সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
2. তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন ।
3. চাঁদ দেখার স্বাক্ষী নিজ দেশের লোক, পার্শ্ববতী দেশের লোক, পৃথিবীর যে কোন দেশের লোক কোথাকার হবে
অর্থাৎ“তোমরা” “সবাই” “সকলে”বলতে কাদের বুঝিয়েছেন ?
চলবে
হাদিসে কুরাইব ((ঈদ পর্ব ৪র্থ))
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২৩৯৯] ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে- উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব রাঃ বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছিলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধান করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্হায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমূ-আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমূ-আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যা, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ)-এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরুপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
====
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২১১৫] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূআর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখে ছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললাম: হ্যা, অন্যন্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া রাঃ অথবা তার সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন।
========
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৯১] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রাঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের রাঃ কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান
====
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ ((ঈদ পর্ব ৩য়))
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ
=======
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৮৮] মুহাম্মাদ ইবনু
ইসমাঈল (রঃ) ইবনু
আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, জনৈক
বেদুঈন
নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কাছে এসে বলল,
আমি (রামাযানের) চাঁদ
দেখেছি,
তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন,
তুমি কি একথার
সাক্ষ্য দাও
যে আল্লাহ
ছাড়া কোন ইলাহ নাই?
তুমি কি আরো সাক্ষ্য
দাও যে মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আল্লাহর রাসূল?
সে বলল, হ্যাঁ।
তিনি বললেন,
হে বিলাল !রাঃ লোকদের
মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দাও
তারা যেন
আগামী কাল সিয়াম
পালন করে।
====
[৬৮৯] আবূ কুরায়ব (রহঃ) সিমাক ইবনু হারব (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটির সনদে মতভেদ রয়েছে। সুফিয়ান সাওরী প্রমূখ এটিকে সিমাক ইবনু হারব, ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। সিমাক (রহঃ) এর অধিকাংশ ছাত্র সিমাক -ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। অধিকাংশ আলিমের এই হাদিস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, সিয়ামের ব্যাপারে এক ব্যক্তির সাক্ষ্যই গ্রহণীয়। ইবনু মুবারক, শাফিঈ রঃ ও আহমাদ (রঃ) ও কহফা বাসীর ((ইমাম আবূ হানীফা (রঃ) বক্তব্য এ-ই। ইসহাক (রঃ) বলেন,
দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া সিয়াম পালন করা যাবেনা। তবে সিয়ম ভঙ্গের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ নেই যে, দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
========
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
২১১৬। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এক বেদুঈন এসে বললো যে, আমি চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোযণা দিলেন যে, তোমরা সবাই সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন কর।
২১১৭। মুসা ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে একজন বেদূঈন এসে বললেন যে, আমি রাত্রে চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দেও যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে বেলাল! তুমি লোকদের সামনে ঘোযণা করে দাও যে তারা যেন সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করে।
====
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন-(-সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
===
একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন ।তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন ।এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় ।রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যা আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
===
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট,যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
====
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
“রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই।আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি(সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
====
হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম ।পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন(আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
===
একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন।
তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে ।তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে,লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে”(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন
====
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)