সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত হয়েছেঃ

ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত হয়েছেঃ ১. কাদিয়ানী – এরা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নামে এক দাজ্জাল যে মিথ্যা নবুওতীর দাবী করেছিলো তার উম্মত। এরা নিজেদেরকে “আহমদীয়া” নামে পরিচয় দেয়। এরা পরিষ্কার কাফের ও মুরতাদ। ২. মওদুদী জামাত – এরা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদীর অনুসারী। এদের সংগঠনের নাম জামায়েতে ইসলামী। ইসলাম ধর্মের রাজনৈতিক অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে তারা গণতন্ত্রের শিরকী কুফুরীকে জায়েজ বানিয়েছে, হরতালকে জিহাদের সমান বানিয়েছে, নির্বাচনকে ওহুদ-বদরের ময়দান বানিয়েছে। আর এই তরীকায় মারামারি করে কেউ মরে গেলে তারা শহীদ হিসেবে সার্টিফিকেট দেয় আর বড় পুণ্যের কাজ বলে মনে করে। ক্ষমতায় যাবার জন্য যেকোনো সময় তারা তাদের নীতি-গতি পরিবর্তন করে। একবার নারী নেতৃত্ব হারাম অনৈসলামিক ফতোয়া দেয়, আবার ক্ষমতায় যাবার জন্য হুদায়বিয়ার চুক্তির দোহাই দিয়ে জায়েজ বলে তর্ক করে। ৩. বেরেলভী – এরা আহমাদ রেজা খান বেরেলবীর অনুসারী। এরা নিজেদেরকে “রিজভী”,“বেরেলব ী” বা কখনো “সুন্নী”নামে পরিচয় দেয়, যদিও সুন্নতের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কে নেই। তাদের কাছে ধর্ম মানেই হলো কবর, মাজার আর পীর পূজা। এদের শিরকি কুফুরী অনেক ক্ষেত্রে হিন্দুদের মতোই। মাযারে সিজদা দেওয়া, পীরকে খুশি করার জন্য পীরের পায়ে খাসি- মুরগি উতসর্গ করা, বিপদে পড়ে আল্লাহকে না ডেকে পীর-বুজুর্গদেরক ে ডাকা, বানোয়াট শীরকি কাহিনী দিয়ে ওয়াজ করা...এমন বহু অপকর্মের সাথে জড়িত এই বিদাতী সূফীরা। দেওয়ানবাগি, কুতুববাগী,রাজার বাগি, সাইদাবাদী,আটরশী , মাইজভান্ডারি,মা নিকগঞ্জ...এদের প্রধান প্রধান পীরের তরিকাগুলোর নাম। ৪. দেওবন্দী – এরা দেওবন্দ মাদ্রাসা ও তার আলেমদের অন্ধ ভক্ত। তারা মনে করে দেওবন্দ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা যদিও ভারতের বাইরে এই মাদ্রাসাকে মানুষ চিনেইনা, এইখানে পড়তে আসাতো দূরের কথা। এরা মক্কা-মদীনার আলেমদের সাথে সাথে উপরে উপরে ভাব দেখায়, কিন্তু অন্তরে তাদের সাথে দুশমনি রাখে ও তাদের নামে মিথ্যা ও বাজে কথা প্রচার করে বেড়ায়। দেওবন্দী আলেমদের মাঝে অনেক শিরকি কুফুরী লক্ষ্য করা যায় যেগুলো বেরেলবীদের মাঝেও দেখা যায়। তবে পার্থক্য হলো – দেওবন্দীদের শিরকি কুফুরীগুলো অনেকটা গোপন, অধিকাংশ মানুষই জানেই না। ৫. তাবলিগ জামাত – মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের স্বপ্নে প্রাপ্ত ধর্ম তাবলিগ জামাত নিজেদের মনমতো দাওয়াত ও তাবলিগের একটা জামাত যাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলাম নাম দিয়ে দেওবন্দী মতবাদ প্রচার করে যাওয়া। এরা কুরান হাদীস বাদ দিয়ে ফাযায়েল আমাল নামক একটা ভেজালের কেতাব পড়ে ও আমল করে আমাদের দেশে অনেক বেদাত ও ভ্রান্ত মতবাদের মূল উৎস এই ভেজাল আমল।___________ _ ______________ __ পরিশেষে, এই ৫টা দলই নিজেদেরকে হানাফী হওয়ার দাবী করে কিন্তু আসলে এরা কেউই প্রকৃত হানাফী নয়। কারণ ইমাম আবু হানীফা ছিলেন খালেস কুরান ও সুন্নতের অনুসারী – আর এরা হচ্ছে নিজদের ফেরকার অন্ধ অনুসারী। এইজন্য হানাফী নামে ৫টা দলে ভাগ হয়েছে – এবং এক দল আরেক দলের সাথে চরম বিরোধ। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত এই ৫টা ভ্রান্ত দল থেকেই দূরে থাকা। আর নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী কুরান ও সুন্নতের সত্যিকারের আলেমদের কাছ থেকে ইলম শিক্ষা করে সেই অনুযায়ী জীবন গঠন করা। আল্লাহ আমাদের তোওফিক দান করুন, আমীন। —

ওলীপুরীর মুজতাহিদ হওয়ার শর্তঃ ইমাম আবু হানিফা রঃ এর অবস্থান

ওলীপুরীর মুজতাহিদ হওয়ার শর্তঃ . ওলীপুরী মুজতাহিদ হওয়ার 1ম শর্ত হিসেবে বলেন, মুজতাহিদ হতে হলে উসুলে তাফসীর উসুলে ফিকাহর বিষয় জানার সাথে সাথে ত্রিশ পারা কুরআনের ব্যাখ্যা রাসুলের রেখে যাওয়া দশ লক্ষ হাদীস সনদ মতন এবং ইখতেলাফ, রিজাল শাস্ত্র কন্ঠস্ত থাকতে হবে। এটি হল মুজতাহিদ হওয়ার প্রথম ধাপ। . উনার এই শর্ত মতে আসুন ইমাম আবু হানিফার অবস্থান লক্ষ্য করিঃ * ইমাম নাসাঈ বলেন- ইমাম আবু হানিফ. সামান্য কটি হাদীস বর্ণনায় প্রচুর ভুল করেছেন। (সিলসিলা 1ম খন্ড-366)। . * ইমাম ইবনে আদী বলেন- আবু হানিফা যত হাদীস বর্ণনা করেছেন তার মধ্যে মাত্র 19টি হাদীস বিশুদ্ধ ছিল। (সিলসিলা 1ম খন্ড-466)। . * ইবনে খালদুন বলেন- ইমাম আবু হানিফা বর্ণিত হাদীস সংখ্যা 17টি পর্যন্ত। (তারিখে ইবনে খালদুন 444 পৃঃ সিরাতে নুমান পৃঃ 102) . * ইমাম মুহাম্মাদ তাঁর উস্তাদ ইমাম আবু হানিফা থেকে নিজে মুয়াত্তা মুহাম্মাদে মাত্র 13টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। (আত্তালীকুন মুমাজ্জাদ আলা মুয়াত্তা মুহাম্মাদ এর ভূমিকা 39পৃঃ) . * বিখ্যাত হানাফী আলেম আব্দুল হাই লাখনৌভী বলেন: ইমাম ইমাম আবু হানিফার বর্ণিত হাদীস সংখ্যা 100 এর বেশী হবে না, বরং 200 (উমদাতুর রিআয়্যাহ 35 পৃঃ) . * ইমাম আবু হানিফা এর কম হাদীস বর্ণনার কারণ হল- হাদীস বর্ণনার শর্তাবলীর কড়া কড়ি (সিরাতে নুমান পৃঃ-103) . * ইবনে খালদুন, ইমাম আবু হানিফার কম হাদীস বর্ণনার কারণ হিসেবে বলেন: আর সহীহ হাদীস যখন বিবেক বিরোধী হোত তখন ওটাকে তাঁর যয়ীফ বলার কড়াকড়ি করার কারণে। (তারিখে ইবনে খালদুন 445 পৃঃ) . আর যাই হোক ইমাম আবু হানিফার দশলক্ষ হাদীস মুখস্ত ছিল না একথা সত্য। **** উপরে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক ইমাম আবু হানিফা কি মুজতাহিদ ছিলেন? আরো পড়ুন

Click This Link আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ ►ইমাম দারাকুতনী (রহঃ)

Click This Link নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ

Click This Link ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদিস শুনেছে যে চার জন সাহাবী (রাঃ) থেকে ১।আবদুল্লাহ বিন উনাইস (রাঃ) থেকে

Click This Link স্বয়ং ইমাম আবু হানিফাহ-ই হাদীসে তাঁর দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।তিনি নিজেই তা স্বীকারও করেছেন এবং বিশুদ্ধ সূত্রে তা বর্ণিত হয়ে সঙ্কলিতও হয়েছে।

Click This Link ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।

Click This Link ইমাম আবু হানিফা )রহ(-এর তাদীলের পর্যালোচনা

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ

►ইমাম দারাকুতনী (রহঃ) , ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ) থেকে সর্বমোট ১৪ টি হাদীছ নিয়ে এসেছেন তার সুনান কিতাবে। ► হাদীছ নংঃ ২৯৮, ৪১৩, ৪১৪, ৫০৩, ৬২২, ১২৩৭, ১৩৭৭, ৩০১৪, ৩০১৫, ৩৪৫৮, ৩৮৪৭, ৪৪৭৭, ৪৫১০, ৪৭৯৪। ► তাহকীকঃ মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আল-সুরা উক্ত হাদীছগুলির মধ্যে ৪১৩, ৫০৩, ৬২২, ১৩৭৭ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৩০১৪ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৩৮৪৭, ৪৪৭৭ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৪৫১০ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৪৭৯৪ নং হাদীছগুলিকে যঈফ বলেছেন। (দেখুন মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আল-সুরা তাহকীক দারাকুতনী, দার আআল-কুতুব আল-ইলমিয়াহ থেকে প্রকাশ)

দেওবন্দীরা ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান_ ব্রিটিশ শাসন আমালে উলামায়ে দেওবন্দ স্বাভাবিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত করতো ও ওয়াজ মাহফিল করে বেড়াতো: (পর্ব ২য়)

(পর্ব ২য়) দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান
——————————————
ব্রিটিশ শাসন আমালে উলামায়ে দেওবন্দ স্বাভাবিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত করতো ও ওয়াজ মাহফিল করে বেড়াতো:
——————————————————————————————————————
দেওবন্দিদের দাবী উলামায়ে দেওবন্দ ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতো। যদি তারা সত্যিই জিহাদ করতো তাহলে এত বড় একটা মাদ্রাসা ব্রিটিশ শাসকদের সামনে কিভাবে তারা স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতো। কমন সেন্স দিয়ে চিন্তা করুন।
“আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. এর জীবন ও কর্ম ” নামে জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হক্কানী সাহেব। কিন্তু ওনার জীবনীর কোথাও ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ বিষয়ক কোন শব্দ উল্লেখ নেই। বরং এমন দু’টি বিষয় বর্ণিত হয়েছে যেটি ব্রিটিশদের সাথে তাদের সুসম্পর্কের প্রমাণ বহন করে..
১. কাদিয়ানীদের ফিতনার বিরুদ্ধে তিনি কাদিয়ানে মাহফিল করতে যান। কিন্তু কাদিয়ানরা সর্বাত্মকভাবে ব্রিটিশ সরকারের মাধ্যমে চেষ্টা করেছে যে, এ জলসা কাদিয়ানে যেন না হতে পারে। লেখক বলেছেন (একটু খেয়াল করে পড়ুন) —
“কিন্তু উক্ত জলসাকে বাধা দেয়ার আইনগত কোনো কারণ ছিলোনা। কেননা, সে জলসাগুলোতে অত্যন্ত মার্জিত ও দৃঢ়তার সাথে আলেমসুলভ বয়ান হতো এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ দেয়াহতো না।”

উক্ত বইয়ের বাংলা অনুবাদের ১৭৫ পৃ:]


উপরের কথা থেকে এটা স্পষ্ট তারা বিভিন্ন স্থানে জলসা করে বেড়াতো ও ইংরেজরা কোন বাধা দিতো না, কারণ তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতো না। তাই নিরাপত্তা পেতো, কোন বিশৃঙ্খলা হতো না।
২. ভাওলপুরে কাদিয়ানী ফেতনা জনিত কারনে এক মহিলাকে সাহায্য করার জন্য এক মুকাদ্দমার সাথে শাহ সাহেব জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে দেওবন্দী আরো বহু উলামাদের সাথে তাদের ইংরেজদের আদালতে দীর্ঘদিন যাতায়াত করতে হয়েছে। আনোয়ার শাহ কাশ্মিরীর সাথে পাকিস্থানের মূফতি শফি সাহেবও ছিলেন। তাদের কথায় – ‘‘আদলতে এত দেওবন্দী আলেম উপস্থিত ছিলেন যে সেটাকে আদালত কক্ষের পরিবর্তে দেওবন্দের দারুল হাদিস মনে হচ্ছিল………।’’
আর এ মুকদ্দমা রায় দিতে পুরো দু’বছর লেগেছিল। [এ বিষয়ে বৃহৎ বর্ণনা রয়েছে বইটির ১৮৪ থেকে ১৯১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত]
উপরের ঘটনা থেকে বুঝা যায়, তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে কোন জিহাদ করতো না। যদি জিহাদই করতো তাহলে ইংরেজদের আদালতে তাদের এত সাবলীল আনাগোনা কখনও সম্ভব হতো না।

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

(পর্ব ১ম ) দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান —————————————— ব্রিটিশ শাসকদের সম্পর্কে উপমহাদেশের তৎকালীন হানাফী উলামাদের ফাতাওয়া – ব্রিটিশ সরকারের সাথে জিহাদ করা হারামঃ

(পর্ব ১ম ) দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান —————————————— ব্রিটিশ শাসকদের সম্পর্কে উপমহাদেশের তৎকালীন হানাফী উলামাদের ফাতাওয়া – ব্রিটিশ সরকারের সাথে জিহাদ করা হারামঃ —————————————————- ফাতাওয়া প্রদানের তারিখ: ১৭ই রবিউসসানী, ১২৮৭ হি. (১৭ই জুলাই ১৮৭০) এখানকার মুসলমানরা খ্রীস্টানদের দ্বারা সংরক্ষিত (নিরাপদ), আর যেখানে নিরাপত্তা প্রদান করা হয় সেদেশে কোন জিহাদ নেই। যখন মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার অভাব হবে সেখানে ধর্মীয় যুদ্ধ অপরিহার্য হবে, আর এই শর্ত এখানে অনুপস্থিত। এছাড়া, এটা আবশ্যক যে সেখানে মুসলমানদের বিজয় লাভ ও ইসলামের গৌরব বজায় রাখার সম্ভাবনা থাকতে হবে। যদি সে রকম কোন সম্ভাবনা না থাকে তবে জিহাদ করা হারাম। তারপর মৌলভীগণ তাদের ফাতাওয়ার সমর্থনে ‘মানহাজুল গাফফার’ এবং ‘ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী’ থেকে আরবী উদ্ধৃতি উল্লেখ করেন। ফাতাওয়া প্রদানকারীদের স্বাক্ষরঃ মৌলভী আলী মুহাম্মাদ (লাখনৌ) মৌলভী আবদুল হাই (লাখনৌ) মুহাম্মাদ ফজলূল্লাহ (লাখনৌ) মুহাম্মাদ নাইম (লাখনৌ) মৌলভী রহমতুল্লাহ (লাখনৌ) মৌলভী কুতুবুদ্দীন (দিল্লী) মৌলভী ও মুফতী সাদুল্লাহ (লাখনৌ) মৌলভী লুৎফুল্লাহ (রামপুর) মৌলভী আলম আলী (রামপুর)

সূত্র: ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার, ইন্ডিয়ান মুসলমানস্‌, পৃ: ২১৪-২১৫ Screenshot

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত

মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত

============== মাযহাবীরা অন্য করেকটি দলিল দেয় নং- ৭ ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ 5. আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧﻌَﻤﺖَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ 6. সে সমস্ত লোকের পথ, ﻏَﻴﺮِ ﺍﻟﻤَﻐﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ 7. যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট। এখানে আল্লাহ তায়ালা তাক্বলীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
¤¤¤¤¤ জবাব ¤¤¤¤

এই যে ১. আপনার (হানাফি) সব খানে তাক্বলিদ খুজেন কেন ???

২. তাক্বলিদ কাকে বলে এটা আগে বলেন ??

5 নং আয়াতে সরল পথের কথা বলেছে এটা এদের মধ্যে কোন কোনটা 1.হানাফি সরল পথ 2.শাফি সরল পথ 3.মালেকি সরল পথ 4.হাম্বলি সরল পথ

না উপরের একটাও না নিচের এইটা
5.সিরাতে মুস্তাকিম (সুরা আনআম ১৫৩ নং আয়াতের বর্ণিত সরল পথ এবং মিশকাত মাদ্রাসা পাঠ্য ১ম খন্ড হাঃ ১৫৮/২৭ পৃঃ ২৯১ ,আহামদ, নাসাঈ, দারমী )

6 নং আয়াত সে সমস্ত লোকের পথ,
#এই আয়াত তাক্বলিদ এর সংঙ্গাকে বা তাক্বলিদকে খন্ড করে, (দেখতে এই লংকে তাক্বলিদের সংঙ্গা আছে:

Click This Link


কারণ, তাক্বলিদ হবে শুধু #এক জন মুস্তাহিদ ইমাম এর , এই মুস্তাহিদ এর কোন মত স্পষ্ট কুরআন ও হাদিসের বিপক্ষে গেলেও , মুকালীদ্ব অন্য আরেক জন ইমাম এর মত যেটা কুরআন ও হাদিস মতে সঠিক সে গ্রহন করতে পারবে না, """"তাক্বলিদের সংঙ্গা বিরুদ্ধীতা করবে""""॥

7 নং আয়াতের অপর অংশ: #যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।

এর ব্যাখ্যা দেখতে পারেন তাফসিরে ইবনে কাসীর এর সূরা ফাতিহা এর ৬ ও ৭ নং আয়াত"

আসুন দেখি, আল্লাহ তায়ালা কাদেরকে নিয়ামত দান করেছেনঃ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻭَﺣَﺴُﻦَ ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﺭَﻓِﻴﻘًﺎ 69 আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। (নিসা -৬৯)

এ ব্যাপারে সাহাবী বলেন দেখুন- আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ঐ সব ফেরেশতা, নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং সৎলোকের পথে পরিচালিত করুন যাদেরকে আপনি আপনার আনুগত্য ও ইবাদাতের কারণে পুরস্কৃত করেছেন।"

রাবী বিন আনাস রাঃ বলেন, "এর অর্থ হচ্ছে নবীগণ। "

মুজাহিদ রহঃ অর্থ নিয়েছেন, মুমিনগণ।

অকী রহঃ অর্থ নিয়েছেন, মুসলিমগন।

আবদুর রহমান রহঃ অর্থ নিয়েছেন, 'রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবীগণ (রাঃ) '

ইবনে কাছীর রহঃ সবগুলো ব্যাখ্যাকেই সমর্থন করেছেন। (তাফসীর ইবনে কাছীর ১/১১১-১১২ পৃঃ)

আল্লাহ তায়ালা এখানে আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমরা যেন দুআ করি যাতে তাঁর নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের অনুসৃত পথের অনুসরন করতে পারি।

আর সেই পথটি হচ্ছে 'সীরাতুল মুস্তাকীম '। { কুরআন ও হাদিসে সিরাতুল মুস্তাকিমের বর্ণনা

Click This Link


যা আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

ﻭَﻧَﺰَﻋْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِﻫِﻢ ﻣِّﻦْ ﻏِﻞٍّ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬِﻢُ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﻟِﻬَـﺬَﺍ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻟِﻨَﻬْﺘَﺪِﻱَ ﻟَﻮْﻻ ﺃَﻥْ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻟَﻘَﺪْ ﺟَﺎﺀﺕْ ﺭُﺳُﻞُ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻧُﻮﺩُﻭﺍْ ﺃَﻥ ﺗِﻠْﻜُﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ﺃُﻭﺭِﺛْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺑِﻤَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ 43 তাদের অন্তরে যা কিছু দুঃখ ছিল, আমি তা বের করে দেব। তাদের তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণী প্রবাহিত হবে। তারা বলবেঃ আল্লাহ শোকর, যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। আমরা কখনও পথ পেতাম না, যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করতেন। আমাদের প্রতিপালকের রসূল আমাদের কাছে সত্য কথা নিয়ে এসেছিলেন। আওয়াজ আসবেঃ এটি জান্নাত। তোমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তোমাদের কর্মের প্রতিদানে। (আরাফ-৪৩)

ﺷَﺎﻛِﺮًﺍ ﻟِّﺄَﻧْﻌُﻤِﻪِ ﺍﺟْﺘَﺒَﺎﻩُ ﻭَﻫَﺪَﺍﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ 121 তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন। (নাহল-১২১)

ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﺃَﻭْﺣَﻴْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺭُﻭﺣًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻣَﺎ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏُ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥُ ﻭَﻟَﻜِﻦ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻧَّﻬْﺪِﻱ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻧَّﺸَﺎﺀ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻧَﺎ ﻭَﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺘَﻬْﺪِﻱ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ 52 এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন। (সুরা শুরা-৫২)

আলী রাঃ বলেন,"সহজ সরল পথটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।"(তাফসীরে ত্বাবারী হা/৪০, ইবনে কাছীর ১/১০৮ পৃঃ)

----------------------------------------

উপরের সমস্ত আলোচনার নির্যাস নিম্নের হাদীছ খানাঃ
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ হতে বর্নিত, রাসুল সাঃ বলেছেন, "আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণণা করেছেন, একটি সরল সঠিক পথ তার দুপাশে দুটি প্রাচীর, যাতে রয়েছে বহু খোলা দরজা এবং দরজাসমুহে পর্দা ঝুলানো রয়েছে। আর পথের মাথায় একজন আহবায়ক রয়েছে, যে লোকদের আহবান করছে,
আসো সোজা পথে চলে যাও।
বক্র পথে চলিও না। আর তার আগে একজন আহবায়ক লোকদের ডাকছে।যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন একটি খুলতে চায় তখনি সে বলে সর্বনাশ! দরজা খোল না।
দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
অতঃপর রাসুল সাঃ কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল সঠিক পথটি হচ্ছে ইসলাম, আর খোলা দরজাসমুহ হচ্ছে হারামকৃত বিষয়সমুহ এবং ঝুলানো পর্দাসমুহ হচ্ছে কুরআন, আর আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোয়া) বা আল্লাহর ভয় যা প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমি যি হা/২৮৫৯,ত্বাবারী হা/১৮৬-১৮৭, মুসনাদে আবি হাতিম, তাফসীরে ইবনে জারীর, নাসাঈ)

-------------------------------------------

এক্ষনে আমরা দেখতে পাচ্ছি- ১.এই আয়াতদ্বয় দ্বারা যদি তাক্বলীদের উদ্দেশ্য ধরি তাহলে তো আমাদেরকে সকল মুমিনের তাক্বলীদ করতে হবে।

কোন মাযহাবী মুকাল্লিদ কি সকল মুমিনের তাক্বলীদ করে?

নাকি শুধুমাত্র একজন মুজতাহিদের তাক্বলীদ করে?

আসলে মুকাল্লিদরা তো একজন মুজতাহিদের তাক্বলীদের দাবী করে থাকে!

দলিল দিতে পারে না!!!

২. এই আয়াতদ্বয়ের দাবী হচ্ছে মুমিনদের অনুসৃত রাস্তা বা আল্লাহর নির্দেশিত রাস্তার (সীরাতুল মুস্তাকীম) অনুসরন করা।

কোথায় ঐসব ব্যক্তির অনুসরণ আর কোথায় রাস্তার (আদর্শের অনুসরণ) !!!!

রাস্তার উপর চলতে চলতে মুমিনগণ ভূল করতেই পারেন, কেননা প্রত্যেক মানুষই ভূল ত্রুটির উদ্ধে নয়।

কিন্তু যে রাস্তার উপর চলছে সে রাস্তা ভূল নয়।

তাই এখানে সীরাতুল মুস্তাকীমের উপর চলার নির্দেশ হয়েছে,

কোন মৃত ইমামের অন্ধ তাক্বলিদ করা নয়।

সূরা ফাতিহার ৬নং আয়াত সরল পথের ব্যাখ্যা

¤ ¤% সূরা ফাতিহার ৬নং আয়াত সরল পথের ব্যাখ্যা %¤¤

==============

সরল পথের ব্যাখ্যা (কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে)

ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ - আমাদেরকে সরল- সঠিক পথ প্রদর্শন কর:- ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ (ইহদিনা) শব্দটি হিদায়াতুন শব্দ হতে নির্গত, অর্থ পথের সন্ধান, পথ প্রদর্শন, পরিচালনা।

ﺻﺮﺍﻁ (ছিরাতুন) শব্দটি একবচন,

ﺻﺮﻁ( বহুবচন (সুরুতুন) অর্থ – পথ।

সরলপথ সম্পর্কীত পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ – আল্লাহ সুবহানুতালা বলেন, সূরা বালাদ – আয়াত নং – ১০।

তিনি আরও বলেন, সূরা নাহল – আয়াত নং – ১২১),

আল্লাহ বলেন, শুরা – আয়াত নং – ৫২।

আল্লাহ বলেন, সূরা আরাফ – আয়াত নং – ৪৩)।মুসা (আ:) বলেন, ….. (সূরা শুয়ারা – আয়াত নং – ৬২)।

"সরলপথ" - পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ –
(১) সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (Yaseen: 4)

(২) আর তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করব। (An-Nisaa: 68)

(৩) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখে ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি সৎ পথে চলে, না সে ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরলপথে চলে? (Al-Mulk: 22)

৪) আমি তো সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবর্তীর্ণ করেছি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালনা করেন। (An-Noor: 46)

(৫) সে বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো। (Al-A'raaf: 16)

(৬) অতএব, আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সরল পথে রয়েছেন। (Az- Zukhruf: 43)

(৭) তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন। (An- Nahl: 121)

(৮) সরল পথ আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে এবং পথগুলোর মধ্যে কিছু বক্র পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে সৎপথে পরিচালিত করতে পারতেন। (An- Nahl: 9)

(৯) যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-Fath: 2)

(১০) যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-An'aam: 39)

(১১) বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে। (Taa- Haa: 135)

(১২) এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান। (Al- Baqara: 142)

(১৩) তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএব, এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা সংযত হও। (Al-An'aam: 153)

(১৪) অতএব, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাতে দৃঢ়তা অবলম্বন করেছে তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহের আওতায় স্থান দেবেন এবং নিজের দিকে আসার মত সরল পথে তুলে দেবেন। (An- Nisaa: 175)

(১৫) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, যারা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে। (An- Nisaa: 51)

(১৬) তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে। (Al-Ahqaf: 30)

(১৭) আমি আল্লাহর উপর নিশ্চিত ভরসা করেছি যিনি আমার এবং তোমাদের পরওয়ারদেগার। পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নাই যা তাঁর র্পূণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালকর্তার সরল পথে সন্দেহ নেই। (Hud: 56)

(১৮) এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন। (Al-Maaida: 16)

(১৯) আর যেদিন তাদেরকে সমবেত করা হবে, যেন তারা অবস্থান করেনি, তবে দিনের একদন্ড একজন অপরজনকে চিনবে। নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতকে এবং সরলপথে আসেনি। (Yunus: 45)

(২০) আর তোমরা কেমন করে কাফের হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল পথের। (Aali Imraan: 101)

(২১) আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন। (Al- Hajj: 67)

(২২) যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। (An- Nisaa: 115)

(২৩) আল্লাহ আরেকটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, দু’ব্যক্তির, একজন বোবা কোন কাজ করতে পারে না। সে মালিকের উপর বোঝা। যেদিকে তাকে পাঠায়, কোন সঠিক কাজ করে আসে না। সে কি সমান হবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায় বিচারের আদেশ করে এবং সরল পথে কায়েম রয়েছে। (An-Nahl: 76)

(২৪) যখন তাদেরকে মেঘমালা সদৃশ তরংগ আচ্ছাদিত করে নেয়, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে স্থলভাগের দিকে উদ্ধার করে আনেন, তখন তাদের কেউ কেউ সরল পথে চলে। কেবল মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে। (Luqman: 32)

(২৫) আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন- যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (Al-Fath: 20)

(২৬) আর যদি তাদের বিমুখতা আপনার পক্ষে কষ্টকর হয়, তবে আপনি যদি ভূতলে কোন সুড়ঙ্গ অথবা আকাশে কোন সিড়ি অনুসন্ধান করতে সমর্থ হন, অতঃপর তাদের কাছে কোন একটি মোজেযা আনতে পারেন, তবে নিয়ে আসুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সবাইকে সরল পথে সমবেত করতে পারতেন। অতএব, আপনি নির্বোধদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। (Al-An'aam: 35)

(২৭) আর মূসা বেছে নিলেন নিজের সম্প্রদায় থেকে সত্তর জন লোক আমার প্রতিশ্রুত সময়ের জন্য। তারপর যখন তাদেরকে ভূমিকম্প পাকড়াও করল, তখন বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি যদি ইচ্ছা করতে, তবে তাদেরকে আগেই ধ্বংস করে দিতে এবং আমাকেও। আমাদেরকে কি সে কর্মের কারণে ধ্বংস করছ, যা আমার সম্প্রদায়ের নির্বোধ লোকেরা করেছে? এসবই তোমার পরীক্ষা; তুমি যাকে ইচ্ছা এতে পথ ভ্রষ্ট করবে এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথে রাখবে। তুমি যে আমাদের রক্ষক- সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর করুনা কর। তাছাড়া তুমিই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। (Al- A'raaf: 155)

(২৮) মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, ত আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।

# # সরলপথসম্পর্কীত সহীহ হাদীসসমূহঃ -

১। সহীহ হাদীসঃ হযরত আলী (রা:) সূত্রে বর্নীত তিনি বলেন, সহজ- সরল পথটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (ইবনু কাছীর ১/১৩০ পৃষ্ঠা, টীকা নং – তাফসীরে ত্বাবারী হা / ৪০)।

২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:)বলেন, - আল্লাহ একটা দৃষ্টান্ত বর্ননা করেছেন, একটি সরল-সঠিক পথ তার দু’পাশে দুটি প্রাচীর যাতে বহু খোলা দরজা রয়েছে এবং লোকদেরকে আহবান করছে, আস! পথে সোজা চলে যাও। বক্র পথে চলিও না। আর তার একটু আগে আর একজন আহবায়ক লোকদেরকে ডাকছে। যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন একটি খুলতে চায় তখনই সে তাকে বলে, সর্বনাশ দরজা খুল না। দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা:)কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল-সঠিক পথ হচ্ছে ইসলাম আর খোলা দরজা সমূহ হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত বিষয়সমূহ এবং ঝুলানো পর্দা সমূহ হচ্ছে কুরআন। আর তার সম্মুখের আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোঁয়া) যা প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমিযী হা/২৮৫৯, ত্ববারী হা/১৮৬-১৮৭) ।
অত্র হাদীসে পথ শব্দের সাথে সঠিক শব্দটি লাগানোর উদ্দেশ্যে এমন পথ যাতে কোন ভুল নেই এবং যার শেষ গন্তব্য জান্নাত।

##সরলপথ সম্পর্কীত যঈফ হাদীস সমূহঃ

– ১। হযরত আলী(রা:) বলেন, সঠিক পথ হচ্ছে আল্লাহর মজবুত রশি তা হচ্ছে জ্ঞান সম্পন্ন যিকির তা হচ্ছে সরল-পথ (তিরমিযী – হা/২৯০৬)।

২। হারীস (রা:)বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করে দেখি কিছু মানুষ বিভিন্ন কথায় মত্ত। আমি আলী (রা:)এর কাছে গিয়ে বললাম, আপনি দেখছেন না মানুষ মসজিদের মধ্যে কত কথায় লিপ্ত রয়েছে? তিনি বললেন, মনে রেখ আমি নবী করিম (সা:) কে বলতে শুনেছি অচিরেই অনেক ফেতনা দেখা দিবে। আমি বললাম, এসব ফেতনা বাঁচার পথ কি? রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর কিতাবটি এমন কিতাব যাতে রয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের সংবাদ। তাতে তোমাদের সবধরনের ফায়সালা রয়েছে তা হচ্ছে হক্ব ও বাতিলের মাঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের এক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। তা কোন মজা করার বস্ত নয়। তা এমন এক গ্রন্থ যদি মানুষ তাকে অহংকার করে ত্যাগ করে, তাহলে আল্রাহ তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ধ্বংস করে দিবেন। কেউ যদি কুরআন ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থে সঠিক, সহজ- সরল পথ অন্বেষন করে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। তা হচ্ছে আল্লাহর মজবুত রশি। তা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জিকির আর তা হচ্ছে সহজ-সরল পথ। কোন প্রবৃত্তি তা দ্বারা ভ্রষ্ট হবে না। কোন জিহবা তাতে বাতিল মিশাতে পারবে না। আলিমগণ পড়ে শেষ তৃপ্তি অর্জন করতে পারে না। বার বার পড়লেও তা পুরাতন হয় না। তার অলৌকিক দর্শন শেষ হয় না। জিনেরা শুনে বলেছিল আমরা আশ্চর্য কুরআন শুনলাম। তা এমন গ্রন্থ যে, কেউ তার মাধ্যমে কথা বললে সত্য হবে। তা দ্বারা ফায়সালা করলে ইনসাফ হবে, তা দ্বারা আমল করলে নেকী দেয়া হবে ও সে পথে দাওয়াত দিলে তাকে সঠিক সহজ-সরল পথ দেখানো হবে। (দারেমী হা/নং-৩৩৩১) ।