সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫
মহিলাদের বুকের উপর হাত বাঁধা নিয়ে Md SaRower Hossain VS Lutfor Farazi
মহিলাদের বুকের উপর হাত বাঁধা নিয়ে Md SaRower Hossain VS Lutfor Farazi
======
লুত্ফর ফরাজীর কৈই তুই
Lutfor Farazi (01723785925
এর সাথে আমি কথা বলি আজ ( Oct 7, 2014 বেলা ১২টা ৫৬ মিঃ ৫১ সেঃ Pm
Call duration 01:32 মিনিট
বিষয়= মহিলাদের বুকের উপর হাত বাঁধা নিয়ে
===
আমি= আসসালামু আলাইকুম,
Lutfor= ওলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুহু
আমি=
আপনার নাম কি Lutfor Farazi ?
Lutfor= জি ,
আমি= আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই ছিলাম?
Lutfor= জি ,আচছা বলুন।
আমি= প্রশ্নটা হইতেছে এই যে মাহিলারা যে বুঁকের উপরে হাত বাঁধে ঠিক আছে, এর কি কোন দলিল আছে??
Lutfor= জি , তাইবে তৌলদ।
আমি= তাবিল (কথার আওয়াজ কম ছিল বিধায় .
Lutfor= তাবেই তাবেই তাবেই, তাবেই বুঝেন??
আমি= হ্যাঁ, তাবেই বুঝি ঠিক আছে,
তাবেই,তাবে -তাবেই
তাবেই হচ্ছে যে সেই ব্যক্তি যে সাহাবিদের দেখেছে। আর তাবে-তাবেঈ হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে তাবেঈ কে দেখেছে।
Lutfor= হ্যাঁ ।
আমি= এই তো।
Lutfor= হ্যাঁ।
আমি= এটা কোথায় আছে ?
Lutfor= তাবেই তৌলদ,মুসনাদে আবি শায়ইবাতে।
আমি= আবি শায়ইবা, আবি শায়ইবাতে।আমি অনেকগুলো দলিল দেখেছি কিন্তু এই দলিলটা পাইনি এবং নেটে একটা নোট আছে আমার লেখা, ঠিক আছে।
MD SAROWER HOSSAIN এখন নামটা Change করা হইছে ""সত্য প্রচার""
ঠিক আছে।
#এখন আমি ব্লকে আছি আপনার।
দলিলটা দেখি কত টুকু!!
#আমি আজ রাত ৮টায় (৮টা ৪৫মিঃ একটা পোষ্ট করব।
পোষ্ট টা বর্তমানে আছে, কিন্তু পোষ্টার উত্তরো এখনো পাই নি হানাফিদের কাছ থেকে??
এই হল মোবাইলে কথা শেষ
এখন Lutfor এবার আপনা দলিল গুলো দেন দেখবে দেশবাসী
[গত লিংক ও ফরাজি সাহেবের আইডি লিংক এবং আইডি নং ১ম কমেন্ট আছে
{{{ গত পোষ্টের কপি
Mar 9 ,2014
দেখেন তো কত দিন আগের
#আমি কেন প্রচলিত
হানাফি নয়?-৩
Lutfor Farazi চোখ
দিয়ে দেখও
#হিদায়াহ
(করাচীঃ কুরআন মহল)
১/১০২ পৃ; ইলমুন
ফিক্বাহ ২/৭১ পৃ।
লিখা আছে:
>>>>>>নারীদের বুকের
উপর হাত বাঁধা<<<<<<
আর পূরুষদের নাভীর
নিচ বাঁধা।
#চিহ্ন>> <<অঙ্কিত
অংশ দলিল কুরআনের
কোন আয়াত ও কোন
সহিহ হাদিস আছে?
#দলিল ছাড়া ইবাদাত
পদ্ধতি গ্রহন কোথায়
আছে?
#আলিম পাঠ্য তানবীরুল
মেশকাত ২য় খন্ড
{প্রকাশকাল জুন ২০০৭
ইং} অধ্যায় ১০ (বাবু
সিফাতিস সালাত ১ম
পরিচ্ছেদ হাদিস নং ৭৪১
এর সংশ্লিষ্ট
আলোচনায় পৃঃ৩২৩
ক্রমিক নং ৩ এ
বলা আছে যে ইমাম আবু
হানিফা রঃ মতে ........।আর
মহিলারা সিনার নিকট
(হাত) রাখবে।
Lutfor Farazi
মিঃ মুফতি আপনার
মারা শায়েখ সহ
মিঃ একটা দলিল দেও তো রাসুল সাঃ বলেছে,
মহিলারা সিনার নিকট
(হাত) রাখবে।
Lutfor Farazi
আপনারা তো রাসুল
সাঃ কে মানো না।
Lutfor Farazi
আপনারা মানো (দেওবন্দ) হিন্দুস্থানকে (ভারতK
তাই মিঃ দেওবন্দ
পুজা করেন কেন??
Lutfor Farazi দেওবন্দ এর
হক হওয়ার দলিল
কি আছে হাদিসে ???
Mar 9 ,2014 .
সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫
ভারতীয় উপমহাদেশে হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত হয়েছেঃ
ভারতীয় উপমহাদেশে
হানাফীরা ৫ ভাগে
বিভক্ত হয়েছেঃ
১. কাদিয়ানী – এরা
গোলাম আহমাদ
কাদিয়ানী নামে এক
দাজ্জাল যে মিথ্যা
নবুওতীর দাবী
করেছিলো তার
উম্মত।
এরা নিজেদেরকে
“আহমদীয়া” নামে
পরিচয় দেয়। এরা
পরিষ্কার কাফের ও
মুরতাদ।
২. মওদুদী জামাত –
এরা সাইয়্যেদ
আবুল আলা মওদুদীর
অনুসারী। এদের
সংগঠনের নাম
জামায়েতে ইসলামী।
ইসলাম ধর্মের
রাজনৈতিক
অপব্যাখ্যা
দাঁড় করিয়ে তারা
গণতন্ত্রের শিরকী
কুফুরীকে জায়েজ
বানিয়েছে,
হরতালকে
জিহাদের সমান
বানিয়েছে,
নির্বাচনকে
ওহুদ-বদরের ময়দান
বানিয়েছে। আর
এই তরীকায়
মারামারি করে কেউ
মরে
গেলে তারা শহীদ
হিসেবে
সার্টিফিকেট
দেয় আর বড় পুণ্যের
কাজ বলে মনে
করে। ক্ষমতায়
যাবার জন্য যেকোনো
সময় তারা তাদের
নীতি-গতি
পরিবর্তন করে।
একবার নারী
নেতৃত্ব
হারাম অনৈসলামিক
ফতোয়া দেয়,
আবার ক্ষমতায়
যাবার জন্য
হুদায়বিয়ার চুক্তির
দোহাই দিয়ে জায়েজ
বলে তর্ক করে।
৩. বেরেলভী – এরা
আহমাদ রেজা খান
বেরেলবীর অনুসারী।
এরা নিজেদেরকে
“রিজভী”,“বেরেলব
ী” বা কখনো
“সুন্নী”নামে পরিচয়
দেয়, যদিও
সুন্নতের সাথে
তাদের কোনো
সম্পর্কে
নেই। তাদের কাছে
ধর্ম মানেই হলো
কবর, মাজার আর
পীর পূজা। এদের
শিরকি কুফুরী
অনেক ক্ষেত্রে
হিন্দুদের
মতোই। মাযারে
সিজদা দেওয়া,
পীরকে
খুশি করার জন্য
পীরের পায়ে খাসি-
মুরগি উতসর্গ করা,
বিপদে পড়ে
আল্লাহকে না ডেকে
পীর-বুজুর্গদেরক
ে ডাকা, বানোয়াট
শীরকি কাহিনী
দিয়ে
ওয়াজ করা...এমন বহু
অপকর্মের সাথে
জড়িত এই বিদাতী
সূফীরা।
দেওয়ানবাগি,
কুতুববাগী,রাজার
বাগি,
সাইদাবাদী,আটরশী
, মাইজভান্ডারি,মা
নিকগঞ্জ...এদের
প্রধান প্রধান পীরের
তরিকাগুলোর নাম।
৪. দেওবন্দী – এরা
দেওবন্দ মাদ্রাসা
ও তার আলেমদের
অন্ধ ভক্ত। তারা
মনে করে দেওবন্দ
হচ্ছে শ্রেষ্ঠ
মাদ্রাসা যদিও
ভারতের বাইরে এই
মাদ্রাসাকে মানুষ
চিনেইনা, এইখানে
পড়তে আসাতো দূরের
কথা। এরা
মক্কা-মদীনার
আলেমদের সাথে
সাথে
উপরে উপরে ভাব
দেখায়, কিন্তু
অন্তরে তাদের সাথে
দুশমনি রাখে ও
তাদের নামে মিথ্যা ও
বাজে কথা প্রচার
করে বেড়ায়।
দেওবন্দী আলেমদের
মাঝে
অনেক শিরকি
কুফুরী লক্ষ্য করা
যায়
যেগুলো বেরেলবীদের
মাঝেও দেখা যায়।
তবে পার্থক্য হলো –
দেওবন্দীদের
শিরকি কুফুরীগুলো
অনেকটা গোপন,
অধিকাংশ মানুষই
জানেই না।
৫. তাবলিগ জামাত –
মাওলানা ইলিয়াস
সাহেবের স্বপ্নে
প্রাপ্ত ধর্ম তাবলিগ
জামাত নিজেদের
মনমতো দাওয়াত ও
তাবলিগের একটা
জামাত যাদের মূল
উদ্দেশ্য হলো
ইসলাম নাম দিয়ে
দেওবন্দী মতবাদ
প্রচার করে যাওয়া।
এরা কুরান হাদীস
বাদ দিয়ে ফাযায়েল
আমাল নামক একটা
ভেজালের কেতাব
পড়ে ও আমল করে
আমাদের দেশে
অনেক বেদাত ও
ভ্রান্ত মতবাদের
মূল
উৎস এই ভেজাল
আমল।___________ _
______________ __
পরিশেষে, এই ৫টা
দলই নিজেদেরকে
হানাফী হওয়ার দাবী
করে কিন্তু আসলে
এরা কেউই প্রকৃত
হানাফী নয়। কারণ
ইমাম আবু হানীফা
ছিলেন খালেস কুরান
ও সুন্নতের অনুসারী
– আর এরা হচ্ছে
নিজদের ফেরকার
অন্ধ অনুসারী।
এইজন্য হানাফী
নামে ৫টা দলে ভাগ
হয়েছে – এবং এক দল
আরেক দলের
সাথে চরম বিরোধ।
সাধারণ মানুষ
হিসেবে আমাদের
উচিত
এই ৫টা ভ্রান্ত দল
থেকেই দূরে থাকা।
আর নিজেদের সাধ্য
অনুযায়ী কুরান ও
সুন্নতের
সত্যিকারের
আলেমদের কাছ
থেকে ইলম শিক্ষা
করে সেই অনুযায়ী
জীবন গঠন করা।
আল্লাহ আমাদের
তোওফিক দান করুন,
আমীন। —
লেবেলসমূহ:
ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ),
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
হানাফি
ওলীপুরীর মুজতাহিদ হওয়ার শর্তঃ ইমাম আবু হানিফা রঃ এর অবস্থান
ওলীপুরীর মুজতাহিদ
হওয়ার শর্তঃ
.
ওলীপুরী মুজতাহিদ
হওয়ার 1ম শর্ত
হিসেবে বলেন,
মুজতাহিদ হতে
হলে উসুলে তাফসীর
উসুলে
ফিকাহর বিষয়
জানার সাথে
সাথে ত্রিশ পারা
কুরআনের
ব্যাখ্যা রাসুলের
রেখে যাওয়া দশ
লক্ষ হাদীস সনদ
মতন এবং ইখতেলাফ,
রিজাল শাস্ত্র
কন্ঠস্ত থাকতে
হবে।
এটি হল মুজতাহিদ
হওয়ার প্রথম ধাপ।
.
উনার এই শর্ত মতে
আসুন ইমাম আবু
হানিফার অবস্থান
লক্ষ্য করিঃ
* ইমাম নাসাঈ বলেন-
ইমাম আবু
হানিফ. সামান্য কটি
হাদীস
বর্ণনায় প্রচুর ভুল
করেছেন।
(সিলসিলা 1ম
খন্ড-366)।
.
* ইমাম ইবনে আদী
বলেন- আবু
হানিফা যত হাদীস
বর্ণনা
করেছেন তার মধ্যে
মাত্র 19টি
হাদীস বিশুদ্ধ ছিল।
(সিলসিলা 1ম
খন্ড-466)।
.
* ইবনে খালদুন
বলেন- ইমাম আবু
হানিফা বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা
17টি পর্যন্ত।
(তারিখে ইবনে
খালদুন
444 পৃঃ সিরাতে নুমান
পৃঃ 102)
.
* ইমাম মুহাম্মাদ তাঁর
উস্তাদ ইমাম
আবু হানিফা থেকে
নিজে
মুয়াত্তা মুহাম্মাদে
মাত্র 13টি
হাদীস বর্ণনা
করেছেন।
(আত্তালীকুন
মুমাজ্জাদ আলা
মুয়াত্তা মুহাম্মাদ
এর ভূমিকা
39পৃঃ)
.
* বিখ্যাত হানাফী
আলেম আব্দুল
হাই লাখনৌভী বলেন:
ইমাম ইমাম
আবু হানিফার
বর্ণিত হাদীস
সংখ্যা 100 এর বেশী
হবে না, বরং
200 (উমদাতুর
রিআয়্যাহ 35 পৃঃ)
.
* ইমাম আবু হানিফা
এর কম হাদীস
বর্ণনার কারণ হল-
হাদীস বর্ণনার
শর্তাবলীর কড়া
কড়ি (সিরাতে
নুমান পৃঃ-103)
.
* ইবনে খালদুন, ইমাম
আবু হানিফার
কম হাদীস বর্ণনার
কারণ হিসেবে
বলেন: আর সহীহ
হাদীস যখন বিবেক
বিরোধী হোত তখন
ওটাকে তাঁর
যয়ীফ বলার
কড়াকড়ি করার
কারণে।
(তারিখে ইবনে
খালদুন 445 পৃঃ)
.
আর যাই হোক ইমাম
আবু হানিফার
দশলক্ষ হাদীস
মুখস্ত ছিল না একথা
সত্য।
****
উপরে
উল্লেখিত শর্ত
মোতাবেক ইমাম আবু
হানিফা কি
মুজতাহিদ ছিলেন?
আরো পড়ুন
Click This Link আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ ►ইমাম দারাকুতনী (রহঃ)
Click This Link নুমান ইবনে সাবিত (আবূ হানিফা) (রহঃ) এর প্রতি কঠিন জারাহ
Click This Link ইমাম আবূ হানিফা নিজেই স্বীকার করেছেনঃ আমি যা বলি তার সিংহভাগই ভুল।
লেবেলসমূহ:
ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ),
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
হানাফি
রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫
আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ
►ইমাম দারাকুতনী (রহঃ) , ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ) থেকে সর্বমোট ১৪ টি হাদীছ নিয়ে এসেছেন তার সুনান কিতাবে।
► হাদীছ নংঃ ২৯৮, ৪১৩, ৪১৪, ৫০৩, ৬২২, ১২৩৭, ১৩৭৭, ৩০১৪, ৩০১৫, ৩৪৫৮, ৩৮৪৭, ৪৪৭৭, ৪৫১০, ৪৭৯৪।
► তাহকীকঃ মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আল-সুরা উক্ত হাদীছগুলির মধ্যে ৪১৩, ৫০৩, ৬২২, ১৩৭৭ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৩০১৪ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৩৮৪৭, ৪৪৭৭ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৪৫১০ (মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আস-সুরা এই হাদীছের টীকায় বলেছেন আবু হানিফা যঈফুল হাদীছ), ৪৭৯৪ নং হাদীছগুলিকে যঈফ বলেছেন।
(দেখুন মাজদী বিন মানসুর বিন সাঈদ আল-সুরা তাহকীক দারাকুতনী, দার আআল-কুতুব আল-ইলমিয়াহ থেকে প্রকাশ)
লেবেলসমূহ:
ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ),
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
হানাফি
দেওবন্দীরা ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান_ ব্রিটিশ শাসন আমালে উলামায়ে দেওবন্দ স্বাভাবিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত করতো ও ওয়াজ মাহফিল করে বেড়াতো: (পর্ব ২য়)
(পর্ব ২য়)
দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান
——————————————
ব্রিটিশ শাসন আমালে উলামায়ে দেওবন্দ স্বাভাবিকভাবে মাদ্রাসা পরিচালিত করতো ও ওয়াজ মাহফিল করে বেড়াতো:
——————————————————————————————————————
দেওবন্দিদের দাবী উলামায়ে দেওবন্দ ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতো। যদি তারা সত্যিই জিহাদ করতো তাহলে এত বড় একটা মাদ্রাসা ব্রিটিশ শাসকদের সামনে কিভাবে তারা স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতো। কমন সেন্স দিয়ে চিন্তা করুন।
“আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. এর জীবন ও কর্ম ” নামে জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হক্কানী সাহেব। কিন্তু ওনার জীবনীর কোথাও ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ বিষয়ক কোন শব্দ উল্লেখ নেই। বরং এমন দু’টি বিষয় বর্ণিত হয়েছে যেটি ব্রিটিশদের সাথে তাদের সুসম্পর্কের প্রমাণ বহন করে..
১. কাদিয়ানীদের ফিতনার বিরুদ্ধে তিনি কাদিয়ানে মাহফিল করতে যান। কিন্তু কাদিয়ানরা সর্বাত্মকভাবে ব্রিটিশ সরকারের মাধ্যমে চেষ্টা করেছে যে, এ জলসা কাদিয়ানে যেন না হতে পারে। লেখক বলেছেন (একটু খেয়াল করে পড়ুন) —
“কিন্তু উক্ত জলসাকে বাধা দেয়ার আইনগত কোনো কারণ ছিলোনা। কেননা, সে জলসাগুলোতে অত্যন্ত মার্জিত ও দৃঢ়তার সাথে আলেমসুলভ বয়ান হতো এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ দেয়াহতো না।”
উপরের কথা থেকে এটা স্পষ্ট তারা বিভিন্ন স্থানে জলসা করে বেড়াতো ও ইংরেজরা কোন বাধা দিতো না, কারণ তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতো না। তাই নিরাপত্তা পেতো, কোন বিশৃঙ্খলা হতো না।
২. ভাওলপুরে কাদিয়ানী ফেতনা জনিত কারনে এক মহিলাকে সাহায্য করার জন্য এক মুকাদ্দমার সাথে শাহ সাহেব জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে দেওবন্দী আরো বহু উলামাদের সাথে তাদের ইংরেজদের আদালতে দীর্ঘদিন যাতায়াত করতে হয়েছে। আনোয়ার শাহ কাশ্মিরীর সাথে পাকিস্থানের মূফতি শফি সাহেবও ছিলেন। তাদের কথায় –
‘‘আদলতে এত দেওবন্দী আলেম উপস্থিত ছিলেন যে সেটাকে আদালত কক্ষের পরিবর্তে দেওবন্দের দারুল হাদিস মনে হচ্ছিল………।’’
আর এ মুকদ্দমা রায় দিতে পুরো দু’বছর লেগেছিল।
[এ বিষয়ে বৃহৎ বর্ণনা রয়েছে বইটির ১৮৪ থেকে ১৯১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত]
উপরের ঘটনা থেকে বুঝা যায়, তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে কোন জিহাদ করতো না। যদি জিহাদই করতো তাহলে ইংরেজদের আদালতে তাদের এত সাবলীল আনাগোনা কখনও সম্ভব হতো না।
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫
(পর্ব ১ম ) দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান —————————————— ব্রিটিশ শাসকদের সম্পর্কে উপমহাদেশের তৎকালীন হানাফী উলামাদের ফাতাওয়া – ব্রিটিশ সরকারের সাথে জিহাদ করা হারামঃ
(পর্ব ১ম )
দেওবন্দী নামক নামধারী হানাফিরা হল ব্রিটিশ রাণী ভেক্টোরিয়ার জারজ সন্তান
——————————————
ব্রিটিশ শাসকদের সম্পর্কে উপমহাদেশের তৎকালীন হানাফী উলামাদের ফাতাওয়া – ব্রিটিশ সরকারের সাথে জিহাদ করা হারামঃ
—————————————————-
ফাতাওয়া প্রদানের তারিখ: ১৭ই রবিউসসানী, ১২৮৭ হি. (১৭ই জুলাই ১৮৭০)
এখানকার মুসলমানরা খ্রীস্টানদের দ্বারা সংরক্ষিত (নিরাপদ), আর যেখানে নিরাপত্তা প্রদান করা হয় সেদেশে কোন জিহাদ নেই। যখন মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার অভাব হবে সেখানে ধর্মীয় যুদ্ধ অপরিহার্য হবে, আর এই শর্ত এখানে অনুপস্থিত। এছাড়া, এটা আবশ্যক যে সেখানে মুসলমানদের বিজয় লাভ ও ইসলামের গৌরব বজায় রাখার সম্ভাবনা থাকতে হবে। যদি সে রকম কোন সম্ভাবনা না থাকে তবে জিহাদ করা হারাম।
তারপর মৌলভীগণ তাদের ফাতাওয়ার সমর্থনে ‘মানহাজুল গাফফার’ এবং ‘ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী’ থেকে আরবী উদ্ধৃতি উল্লেখ করেন।
ফাতাওয়া প্রদানকারীদের স্বাক্ষরঃ
মৌলভী আলী মুহাম্মাদ (লাখনৌ)
মৌলভী আবদুল হাই (লাখনৌ)
মুহাম্মাদ ফজলূল্লাহ (লাখনৌ)
মুহাম্মাদ নাইম (লাখনৌ)
মৌলভী রহমতুল্লাহ (লাখনৌ)
মৌলভী কুতুবুদ্দীন (দিল্লী)
মৌলভী ও মুফতী সাদুল্লাহ (লাখনৌ)
মৌলভী লুৎফুল্লাহ (রামপুর)
মৌলভী আলম আলী (রামপুর)
সূত্র: ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার, ইন্ডিয়ান মুসলমানস্, পৃ: ২১৪-২১৫ Screenshot
মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত
মাযহাবীদের পোষ্টমর্টেম পার্ট সাত : (৭) সূরা ফাতিহা ৫" ৬" ৭" নং আয়াত
==============
মাযহাবীরা অন্য করেকটি দলিল দেয় নং- ৭
ﺍﻫﺪِﻧَــــﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ
ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻘِﻴﻢَ
5. আমাদেরকে সরল পথ
দেখাও,
ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧﻌَﻤﺖَ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ
6. সে সমস্ত লোকের পথ,
ﻏَﻴﺮِ ﺍﻟﻤَﻐﻀُﻮﺏِ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ
7. যাদেরকে তুমি নেয়ামত
দান করেছ। তাদের
পথ নয়, যাদের
প্রতি তোমার গজব
নাযিল
হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।
এখানে আল্লাহ তায়ালা তাক্বলীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
¤¤¤¤¤ জবাব ¤¤¤¤
এই যে
১.
আপনার (হানাফি) সব খানে তাক্বলিদ খুজেন কেন ???
২.
তাক্বলিদ কাকে বলে এটা আগে বলেন ??
5 নং আয়াতে সরল পথের কথা বলেছে এটা এদের মধ্যে কোন কোনটা 1.হানাফি সরল পথ 2.শাফি সরল পথ 3.মালেকি সরল পথ 4.হাম্বলি সরল পথ
না উপরের একটাও না নিচের এইটা
5.সিরাতে মুস্তাকিম (সুরা আনআম ১৫৩ নং আয়াতের বর্ণিত সরল পথ এবং মিশকাত মাদ্রাসা পাঠ্য ১ম খন্ড হাঃ ১৫৮/২৭ পৃঃ ২৯১ ,আহামদ, নাসাঈ, দারমী )
6 নং আয়াত
সে সমস্ত লোকের পথ,
#এই আয়াত তাক্বলিদ এর সংঙ্গাকে বা তাক্বলিদকে খন্ড করে, (দেখতে এই লংকে তাক্বলিদের সংঙ্গা আছে:
কারণ, তাক্বলিদ হবে শুধু #এক জন মুস্তাহিদ ইমাম এর , এই মুস্তাহিদ এর কোন মত স্পষ্ট কুরআন ও হাদিসের বিপক্ষে গেলেও , মুকালীদ্ব অন্য আরেক জন ইমাম এর মত যেটা কুরআন ও হাদিস মতে সঠিক সে গ্রহন করতে পারবে না, """"তাক্বলিদের সংঙ্গা বিরুদ্ধীতা করবে""""॥
7 নং আয়াতের অপর অংশ:
#যাদেরকে তুমি নেয়ামত
দান করেছ।তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।
এর ব্যাখ্যা দেখতে পারেন তাফসিরে ইবনে কাসীর এর সূরা ফাতিহা এর ৬ ও ৭ নং আয়াত"
আসুন দেখি, আল্লাহ
তায়ালা কাদেরকে নিয়ামত দান করেছেনঃ
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ
ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ
ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀ
ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻭَﺣَﺴُﻦَ
ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﺭَﻓِﻴﻘًﺎ
69
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল
ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।
(নিসা -৬৯)
এ ব্যাপারে সাহাবী বলেন দেখুন-
আবদুল্লাহ
ইবনে আব্বাস
রাঃ বলেন,"এর
ভাবার্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ঐ সব ফেরেশতা, নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং সৎলোকের পথে পরিচালিত করুন যাদেরকে আপনি আপনার আনুগত্য ও ইবাদাতের
কারণে পুরস্কৃত করেছেন।"
রাবী বিন আনাস
রাঃ বলেন, "এর অর্থ
হচ্ছে নবীগণ। "
মুজাহিদ রহঃ অর্থ
নিয়েছেন, মুমিনগণ।
অকী রহঃ অর্থ
নিয়েছেন,
মুসলিমগন।
আবদুর রহমান
রহঃ অর্থ নিয়েছেন,
'রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও
সাহাবীগণ (রাঃ) '
ইবনে কাছীর
রহঃ সবগুলো ব্যাখ্যাকেই
সমর্থন করেছেন।
(তাফসীর
ইবনে কাছীর
১/১১১-১১২ পৃঃ)
আল্লাহ তায়ালা এখানে আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমরা যেন দুআ করি যাতে তাঁর নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের অনুসৃত
পথের অনুসরন
করতে পারি।
আর সেই পথটি হচ্ছে 'সীরাতুল
মুস্তাকীম '। { কুরআন ও হাদিসে সিরাতুল মুস্তাকিমের বর্ণনা
যা আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন।
ﻭَﻧَﺰَﻋْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِﻫِﻢ
ﻣِّﻦْ ﻏِﻞٍّ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬِﻢُ
ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠّﻪِ
ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﻟِﻬَـﺬَﺍ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨَّﺎ
ﻟِﻨَﻬْﺘَﺪِﻱَ ﻟَﻮْﻻ ﺃَﻥْ ﻫَﺪَﺍﻧَﺎ ﺍﻟﻠّﻪُ
ﻟَﻘَﺪْ ﺟَﺎﺀﺕْ ﺭُﺳُﻞُ ﺭَﺑِّﻨَﺎ
ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻧُﻮﺩُﻭﺍْ ﺃَﻥ ﺗِﻠْﻜُﻢُ
ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ﺃُﻭﺭِﺛْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺑِﻤَﺎ
ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ
43
তাদের
অন্তরে যা কিছু দুঃখ
ছিল, আমি তা বের
করে দেব। তাদের
তলদেশ
দিয়ে নির্ঝরণী প্রবাহিত
হবে। তারা বলবেঃ আল্লাহ শোকর, যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। আমরা কখনও পথ
পেতাম না, যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করতেন। আমাদের
প্রতিপালকের রসূল
আমাদের কাছে সত্য কথা নিয়ে এসেছিলেন। আওয়াজ আসবেঃ এটি জান্নাত। তোমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তোমাদের কর্মের প্রতিদানে।
(আরাফ-৪৩)
ﺷَﺎﻛِﺮًﺍ ﻟِّﺄَﻧْﻌُﻤِﻪِ ﺍﺟْﺘَﺒَﺎﻩُ
ﻭَﻫَﺪَﺍﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ
ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ
121
তিনি তাঁর অনুগ্রহের
প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন।
আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত
করেছিলেন। (নাহল-১২১)
ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﺃَﻭْﺣَﻴْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺭُﻭﺣًﺎ
ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻣَﺎ
ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏُ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥُ ﻭَﻟَﻜِﻦ
ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻧَّﻬْﺪِﻱ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ
ﻧَّﺸَﺎﺀ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻧَﺎ ﻭَﺇِﻧَّﻚَ
ﻟَﺘَﻬْﺪِﻱ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ
ﻣُّﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ
52
এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক
ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব
কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন।
(সুরা শুরা-৫২)
আলী রাঃ বলেন,"সহজ
সরল
পথটি হচ্ছে আল্লাহর
কিতাব।"(তাফসীরে
ত্বাবারী হা/৪০,
ইবনে কাছীর ১/১০৮
পৃঃ)
----------------------------------------
উপরের সমস্ত
আলোচনার নির্যাস
নিম্নের হাদীছ খানাঃ
আবদুল্লাহ
ইবনে মাসউদ
রাঃ হতে বর্নিত,
রাসুল সাঃ বলেছেন,
"আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণণা করেছেন, একটি সরল সঠিক পথ তার দুপাশে দুটি প্রাচীর, যাতে রয়েছে বহু খোলা দরজা এবং দরজাসমুহে পর্দা ঝুলানো রয়েছে। আর পথের মাথায় একজন আহবায়ক রয়েছে, যে লোকদের আহবান করছে,
আসো সোজা পথে চলে যাও।
বক্র পথে চলিও না। আর তার আগে একজন আহবায়ক লোকদের ডাকছে।যখনই কোন বান্দা সে সকল দরজার কোন
একটি খুলতে চায় তখনি সে বলে সর্বনাশ! দরজা খোল না।
দরজা খুললেই তুমি তাতে ঢুকে পড়বে। আর ঢুকলেই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অতঃপর রাসুল সাঃ কথাগুলির ব্যাখ্যা করে বললেন, সরল সঠিক পথটি হচ্ছে ইসলাম, আর খোলা দরজাসমুহ হচ্ছে হারামকৃত বিষয়সমুহ এবং ঝুলানো পর্দাসমুহ হচ্ছে কুরআন, আর আহবায়ক হচ্ছে এক উপদেষ্টা (ফেরেশতার ছোয়া) বা আল্লাহর ভয় যা প্রত্যেক মুসলিমের
অন্তরে আল্লাহর পক্ষ হতে বিদ্যমান। (তিরমি
যি হা/২৮৫৯,ত্বাবারী হা/১৮৬-১৮৭,
মুসনাদে আবি হাতিম,
তাফসীরে ইবনে জারীর,
নাসাঈ)
-------------------------------------------
এক্ষনে আমরা দেখতে পাচ্ছি-
১.এই আয়াতদ্বয়
দ্বারা যদি তাক্বলীদের
উদ্দেশ্য ধরি তাহলে তো আমাদেরকে সকল মুমিনের তাক্বলীদ করতে হবে।
কোন
মাযহাবী মুকাল্লিদ
কি সকল মুমিনের
তাক্বলীদ করে?
নাকি শুধুমাত্র
একজন মুজতাহিদের
তাক্বলীদ করে?
আসলে মুকাল্লিদরা তো একজন
মুজতাহিদের
তাক্বলীদের
দাবী করে থাকে!
দলিল দিতে পারে না!!!
২. এই আয়াতদ্বয়ের
দাবী হচ্ছে মুমিনদের
অনুসৃত রাস্তা বা আল্লাহর নির্দেশিত রাস্তার (সীরাতুল
মুস্তাকীম) অনুসরন
করা।
কোথায় ঐসব
ব্যক্তির অনুসরণ
আর কোথায় রাস্তার
(আদর্শের অনুসরণ)
!!!!
রাস্তার উপর
চলতে চলতে মুমিনগণ ভূল করতেই পারেন, কেননা প্রত্যেক
মানুষই ভূল ত্রুটির
উদ্ধে নয়।
কিন্তু যে রাস্তার উপর
চলছে সে রাস্তা ভূল
নয়।
তাই
এখানে সীরাতুল
মুস্তাকীমের উপর
চলার নির্দেশ
হয়েছে,
কোন মৃত ইমামের অন্ধ তাক্বলিদ করা নয়।
লেবেলসমূহ:
মাযহাব,
মাযহাবী পোস্টমর্টেম,
লা মাযহাবী,
হানাফি
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)