বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)
_____________________________________________
%ভারতীর দেওবন্দী ,কবর পূজারী বেরলোভী ,পির পূজারী জর্দা খুরদের দাবী %
শবে বরাত হল ভাগ্য রজনী যা ১৫ শাবান দলিল দেয় নিচের আয়াত থেকে
3 . ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
4
. ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
এই কথা দিয়ে বলে (প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।) এটা হল শবে বরাত !!!!
এদের কথা মত এটা দাড়ায় যে কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে শবে বরাতে কারন আয়াতে বলা আছে (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে)
কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে এদের মতে" ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে" কেননা এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় !!!!!!
_____________________________________________
জবাব :: কুরআন নাজিল হয়েছে " ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে " না রামাদানে দেখুন নিচের লিংকে
কারন কুরআন নাজিল আর দুখানে আয়াতে বণির্ত রাত এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়
""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ২য় অংশ
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৩য় অংশ (পর্ব) .
{ }
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (৩য় পর্ব)
আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন
উল্লেখ নেই
____________________________________________________________
শবে বরাত বলুন আর
লাইলাতুল বারায়াত
বলুন কোন
আকৃতিতে শব্দটি
কুরআন মাজীদে
খুজে পাবেন না।
সত্য কথাটাকে সহজভাবে
বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন
মাজীদে ""শবে
বরাতের"" কোন
আলোচনা নেই।
সরাসরি তো দূরের
কথা আকার
ইংগিতেও নেই।
অনেককে দেখা যায়
""শবে বরাতের"" গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের
প্রথম চারটি আয়াত
পাঠ করেন।
আয়াতসমূহ হলঃ "হা-
মীম। শপথ সুস্পষ্ট
কিতাবের। আমিতো
এটা অবতীর্ণ
করেছি এক
বরকতময় রাতে।
আমি তো
সতর্ককারী। < u> এই রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরকৃত হয়।" (সূরা
দুখান, ১-৪)
শবে বরাত পন্থী
আলেম উলামারা
এখানে বরকতময়
রাত বলতে ১৫
শাবানের রাতকে
বুঝিয়ে থাকেন।
আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে
বরকতময় রাতের
অর্থ ১৫ শাবানের
রাতকে বুঝিয়ে
থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা
আল্লাহর কালাম
বিকৃত করার মত
অপরাধ।
কারণঃ
(এক) কুরআন
মাজীদের এ
আয়াতের তাফসীর
বা ব্যাখ্যা সূরা আল-
কদর দ্বারা করা হয়।
সেই সূরায় আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন
বলেনঃ
"আমি এই কুরআন
নাযিল করেছি
লাইলাতুল কদরে।
আপনি জানেন
লাইলাতুল কদর কি?
লাইলাতুল কদর হল
এক হাজার মাস
অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
এতে প্রত্যেক
কাজের জন্য
মালাইকা
(ফেরেশ্তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার
নির্দেশে। এই শান্তি
ও নিরাপত্তা ফজর
পর্যন্ত অব্যাহত
থাকে। "(সূরা কাদর,
১-৫)
অতএব বরকতময়
রাত হল লাইলাতুল
কদর। লাইলাতুল
বারায়াত নয়।
সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল
এই সূরা আল-কদর।
আর এ ধরনের
ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল-
কুরআনের এক
আয়াতের ব্যাখ্যা
অন্য আয়াত দ্বারা
করা হল সর্বোত্তম
ব্যাখ্যা।
(দুই) সূরা দুখানের
লাইলাতুল মুবারাকার
অর্থ যদি ""শবে বরাত"" হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ
দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে
বরাতে নাযিল
হয়েছে।
অথচ আমরা
সকলে জানি আল-
কুরআন নাযিল
হয়েছে রামাযান
মাসের লাইলাতুল
কদরে।
যেমন সূরা বাকারার
১৮৫ নং আয়াতে
আল্লাহ রাব্বুল
‘আলামীন বলেন,
"রামাযান মাস, যাতে
নাযিল করা হয়েছে
আল-কুরআন।"
(তিন) অধিকাংশ
মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন
বরকতময় রাত
বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে। তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী
হওয়ার কারণে
পরিত্যাজ্য।
এ বরকতময় রাতের
দ্বারা উদ্দেশ্য যদি
শবে বরাত হয়
তাহলে শবে কদর
অর্থ নেয়া চলবেনা।
(চার) উক্ত আয়াতে
বরকতময় রাতের
ব্যাখ্যা শবে বরাত
করা হল তাফসীর
বির-রায় (মনগড়া
ব্যাখ্যা), আর
বরকতময় রাতের
ব্যাখ্যা লাইলাতুল
কদর দ্বারা করা হল
কুরআন ও হাদীস
সম্মত তাফসীর।
সকলেই জানেন
কুরআন ও হাদীস
সম্মত ব্যাখ্যার
উপসি'তিতে মনগড়া
ব্যাখ্যা (তাফসীর
বির-রায়) গ্রহণ
করার কোন সুযোগ
নেই।
(পাঁচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা
কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো
হয়েছে। সাহাবী
ইবনে আব্বাস (রাঃ),
ইবনে কাসীর,
কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা
দুখানের ‘লাইলাতুম
মুবারাকা’র অর্থ
শবে বরাত নেয়াকে
প্রত্যাখ্যান
করেছেন। (তাফসীরে
মায়ারেফুল কুরআন
দ্রষ্টব্য)
ইমাম কুরতুবী (রহঃ)
তাঁর তাফসীরে
বলেছেনঃ “কোন
কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম
মুবারাকাহ’ দ্বারা
উদ্দেশ্য হল মধ্য
শাবানের রাত (শবে
বরাত)। কিন্তু' এটা
একটা বাতিল
ধারণা।”
অতএব এ আয়াতে
‘লাইলাতুম
মুবারাকাহ’ এর অর্থ
লাইলাতুল কদর।
শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়।
(ছয়) ইকরামা (রঃ)
বরকতময় রজনীর
যে ব্যাখ্যা শাবানের
১৫ তারিখ দ্বারা
করেছেন তা ভুল
হওয়া সত্ত্বেও
প্রচার করতে হবে
এমন কোন নিয়ম-
কানুন নেই। বরং তা
প্রত্যাখ্যান করাই
হল হকের দাবী।
তিনি যেমন ভুলের
উর্ধ্বে নন, তেমনি
যারা তার থেকে
বর্ণনা করেছেন
তারা ভুল শুনে
থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়।
(সাত) শবে বরাতের
গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা
দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত- মাউত, রিয্ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান-
নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ
করা হয়। আর শবে
বরাত উদযাপন কারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন।
তারা এর উপর
ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের
চেয়ে ১৫ শাবানের
রাতকে বেশী গুরুত্ব
দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের
গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত
আয়াত উপস'াপন
করেন তারা মানুষকে
সঠিক ইসলামী
আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে- প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না।
(আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস্তারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক। (আল জামে লি আহকামিল কুরআন, সূরা আদ-দুখানের তাফসীর দ্রষ্টব্য)
লাইলাতুল বারাআত হল লাইলাতুল কদরের একটি নাম।
শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের নাম নয় ইমাম শাওকানী (রহ.) তার তাফসীর ফতহুল কাদীরে একই কথাই লিখেছেন। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর : ইমাম শাওকানী দ্রষ্টব্য) এ সকল বিষয় জেনে বুঝেও যারা ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ করবেন শবে বরাত, তারা সাধারণ মানুষদের গোমরাহ করা এবং আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না।
শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি __________________________________________________
প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই?
সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খোঁজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছেতার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি।
শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই।
এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল- কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই।অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে।
____________________
অতএব এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত অভিহিত করা মানুষের মনগড়া বানানো একটি বিদ‘আত যা কুরআন বা হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (২য় পর্ব)
প্রসঙ্গ শবে বরাত
আপনারা সূরা দোখানের (৩ ও ৪) নং ---
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ
ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল
করেছি। এক বরকতময়
রাতে, নিশ্চয়
আমি সতর্ককারী।
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়।
এই দুইটি আয়াতের
দলিল দিয়ে শবে বরাতকে জায়েয
করতে চান এবং
হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)-
এর বর্ণিত হাদিস
দিয়ে, (যেখানে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা) ঘুম
থেকে জাগ্রত
হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় না পেয়ে তাকে যখন
বাকী নামক
কবরস্থানে খুঁজে পেলেন এবং তার প্রশ্নের জবাবে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'হে আইশা জান
না আজ কোন রাত?')
দেখুন ইবনে মাজাহ
হাদীস -
১৩৮৯ ( ইসলামিক
ফাউন্ডেশন)
এই কথা দিয়ে তারা শবে বরাতকে জায়েজ করতে চায়।
আমি এইসব
সাম্মানিত শায়েক
বুজর্গ /
বুজর্গয়ানে দ্বীনদের
প্রশ্ন করি,
এই রাতটি যদি মুবারক রাত হয় (সূরা দুখানের আয়াত অনুযায়ী) হয় তাহলে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা)
ঘুমাচ্ছিলেন কেন?
এ ব্যাপারে তিনি জানতেনই
না বা কেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একা একা এই মুবারক
রাতের ফায়েজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন কি?
উম্মাতকে না জানিয়ে?? একাই ইবাদত বেশি করতে চেয়েছেন??
(নাউজুবিল্লাহ্ )।
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতকে 'লাইলাতুন
নিসফ্ মিন শাবান'
বললেন, কিন্তু
আপনাদের এ
সুন্নতটি পছন্দ
হলো না।
এই হাদীসের
আরবি সনদ দেখুন---
( ﺭﻗﻢ 974 ( ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻧﻬﺎ
ﺭﺃﺕ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺧﺮﺝ ﺫﺍﺕ ﻟﻴﻠﺔ ﺇﻟﻰ
ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ . ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻔﻌﻞ ﻧﻔﺴﻪ
ﺍﻟﺬﻱ ﺭﻭﻱ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ
ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻌﻠﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ
ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻓﻴﺤﻤﻞ ﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻭﺧﺮﻭﺟﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻓﻲ
ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ
ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ
তাহলে বুঝুন তাদের
অবস্থা।
আল্লাহ্ তা'আলা এ
উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন ও অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন এবং এ দ্বীনের মদ্ধে যে ব্যাক্তি নতুন কিছু প্রবর্তন করবে যার
তিনি অনুমোদন
দেননি তাকে তিনি অপছন্দ করেন।।
আল্লাহ্
তা'আলা বলেন ---
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ
ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲ
ﻭَﺭَﺿِﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡَ ﺩِﻳﻨًﺎ
আজ আমি তোমাদের
জন্যে তোমাদের
দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ
করে দিলাম, তোমাদের
প্রতি আমার অবদান
সম্পূর্ণ করে দিলাম
এবং ইসলামকে তোমাদের
জন্যে দ্বীন
হিসেবে পছন্দ করলাম।
সূরা মায়েদা আয়াত -৩
কিন্তু আপানাদের
বিদা'আত করা প্রছন্দ কিন্তু সুন্নত পছন্দ নয়, তাই
তো তারা বিদআ'ত
আবিষ্কার
করে সুন্নতকে হটিয়ে এ
রাতের নাম দিলেন
শবে বরাত। যারা সুন্নত
সুন্নত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন,
যারা সুন্নত রাখার
যায়গা পাননা একেবারে উপচিয়ে পড়ে তাদের
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর বলা নামটি পছন্দ হলো না কেন?
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
আপনারা যদি আরবি সনদে কোন
হাদীসে শবে ররাত শব্দ দেখাতে পাড়েন
তাহলে আমিও আজ
থেকে শবে বরাত পালন করবো।
বিদা'আতের
ব্যাপারে রাসূল (স)
সহীহ হাদীস
দ্বারা প্রমাণিত যে,
বিদা'আত মাত্রই
গুমরাহী বা ভ্রষ্ঠতা।
রাসূল (স) এ থেকে বিরত থাকার জন্য কাঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিদ‘আতের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে আমরা আরও ভয়াবহ চিত্র
দেখতে পাব।
বিদ‘আত সম্পর্কে রাসূূলুল্লাহ
(সা) এরশাদ করেন।
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ
ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ- ﺻﺤﻴﺢ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
যে ব্যক্তি আমার এই
দীনের মাঝে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়,
তবে তা প্রত্যাখ্যাত।
তিনি আরও বলেন,
ﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ ﻭﻛﻞ ﺿﻼﻟﺔ
ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ -
প্রত্যেকটি নব
উদ্ভাবিত জিনিষই
পথভ্রষ্টতা আর
পথভ্রষ্টতা দোজখের
দিকে নিয়ে যায়।
বোখারী / মুসলিম
তবে আপনারা যদি তাহাজ্জুদ
মনে করে মসজিদে কিছু সময় সলাত অতঃপর বাসায় সলাত পড়েন বা অন্যান্য ইবাদত
করেন তাহলে সমস্যা নাই
কিন্তু
আমাদের দেশে যেভাবে উৎযাপন
করা হয় এবং মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া মিলাদ
এবং
দলে দলে গিয়ে কবর জিয়ারত
করা এবং
হালুয়া রুটি খাওয়া বা বিতরন
করা তা অবশ্যই
বিদা'আত।
আপনারা আবার
ধরে নিয়েন
না যে আমি করব
জিয়ারত করতে নিশেধ করছি।কিন্তু প্রচলিত এই প্রথায় নয় করব জিয়ারত
করতে হবে রসূল ( স) সুন্নাতের প্রথায় কারন করব জিয়ারতের অনেক
গুলো সহীহ হাদীস
আছে।
পড়ে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
মূলত মহান আল্লাহ প্রতি মদ্ধো রাত্রিতে নেমে আসেন আল্লাহ্ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে তখন আল্লাহ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে প্রার্থনা করছ আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। বুখারী শরীফ-১১৪৫, মুসলিম শরীফ-৭৫৮
এই রাতে সলাত বা ইবাদাতের জন্যে খাস করার দরকার হলে আল্লাহর নবী (স) করতেন, সাহাবা গন (রাদ) করতেন কিন্তু তা করেন নাই।
কোন কোন তাঁবে ই তা ব্যক্তির নিজস্ব কাজ। কারো নিজস্ব কাজ অন্যের জন্যে সুন্নাত বা তরীকা হতে পারেনা।
আজো কেউ যদি সাবানের আগে পরে রাত্রে এবাদাত করে এবং তাঁর অভ্যাস অনুসারে সাবানের রাতেও করে তাহলে তা ঠিক আছে।
কিন্তু সাবানের রাত কে খাস করে ইবাদাত করা বিদা'আত হবে। আল্লাহ্ ভাল জানেন। ইনশাআল্লা হ আল্লাহ্ তালা আমাদের সবাইকেই হক বুঝা ও মানার তৌফিক দাও। আমীন
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬
""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (পর্ব এক)
শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত ""
------------------------------------------
নামধারী ভন্ড মুফতি এই ফেতনাবাজ দেখে নেও কুরআন কি বলে "শবে ......" এই জালিয়াত আপনিরা কুরআন থেকে "শবে বরাত" প্রমাণ করতে পারলে আমি তা পালন করব শর্ত হল "শবে" শব্দ কুরআন ও সহি হাদিস থেকে দেখাতে হবে??
------------------------------------------
সূরা: Ad-Dukhaan (The Smoke)
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৪৪
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ
1. ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺣﻢ
হা-মীম।
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
3.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
4.
ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত
হয়।
5.
ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই
প্রেরণকারী।
6.
ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻚَۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ।
তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাত কোনটি ??
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে বলা আছে যে
ﺇﻧﺎَِّ ﺃﻧﺰََﻟﻨَْﺎﻩُ ﻓﻲِ ﻟﻴَْﻠﺔﻣﺒٍََُّﺎﺭﻛََﺔ َ
"আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে",
এ আয়াতের আগের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে -
2. ﻭﺍﻟَْﻜﺘَِﺎﺏِ ﺍﻟﻤُْﺒﻴﻦِِ
"শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের"।
এই আয়াত সহ মোট ১৩ বার আল্লাহ সুবঃ তাঁর কিতাব কুরআন মাজীদকে "কিতাবুম মুবীন" মানে "সুস্পষ্ট কিতাব" হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই সুস্পষ্ট কুরআনে খুবই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাদান মাসে তা শাবান মাসে নয়?
আর কুরআন নাজিলের রাত যেটি লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতময় রাত সেইটি ।
এখন দেখি আমরা এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাবকে স্পষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কোন মাসে নাজিল হয়েছে?
রামাদান মাসে না শাবান মাসে ??
সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে উত্তর দিবে - .
شهَْرُ رمََضان الذََ َِّي أنزُِلَ فيها الْقرُْآنُ "
রমযান মাস-যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে (বাকারা ২: ১৮৫)
এবার আমরা সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কে আবার প্রশ্ন করব আমরা বুঝলাম যে তুমি রামাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছো ।
তবে রামাদানের কোন সময় নাযিল হয়েছো?
রাতে না দিনে ?
রাতে হলে কোন রাতে ?
শাবানের ১৪ তারিখ দিন যেয়ে রাতে না লাইলাতুল কদরে ??
উত্তর দিবে এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কুরআন মাজিদ স্পষ্টভাবে উত্তর দিবে -সূরা: Al-Qadr (The Power, Fate)
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নং: ৯৭
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻘﺪﺭ
1.
ﺑِّﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺇِﻧَّﺎ
ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ
নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরে রাতে নাযিল
করেছি ।
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছে রামাদান মাসের লাইলাতুল কদরে কুরআন তো বল না যে সে নাযিল হয়েছে "শবে বরাতে"???
আর সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে কুরআন নাযিলের রাতকেই লাইলাতুম মুবারাকা বলা হয়েছে
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
3.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে,
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
এখানে পূর্ববতী আয়াতে বলা হয়েছে " ِশপথ সুস্পষ্ট কিতাবের" তার পরে বলা হয়েছে " আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে" এই রাত অন্য কোন রাত নয় ,
"বরকতময় রাতে হচ্ছে কদরের রাত "
তাফসীর বিশারদগণের মতে সব চেয়ে বিশুদ্ধ , নির্ভরযোগ্য সঠিক তাফসীর হচ্ছে কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর।
{আরো জানতে পড়ুন
২য় অংশ পড়ুন}
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
শবে বরাত,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬
প্রশ্ন: কেন আরবদেশের সঙ্গে একই সময়ে সাহরী ও ইফতার খাই না এবং নামায আদায় করি না?
প্রশ্ন করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার তারিখ অনুযায়ী বাংলাদেশে রোযা ও ঈদ হবে, তাহলে আমরা কেন আরবদেশের সঙ্গে
একই সময়ে সাহরী ও ইফতার খাই না এবং নামায আদায় করি না?
_________________________________________________________________________________________________________
উত্তর ::___________________________________
এখানে একটি
মৌলিক কথা মনে
রাখতে হবে যে, রোযা ফরয হওয়া নামায ফরয হওয়া এক বিষয়।
আর রোযা
আদায় করা নামায
আদায় করা এবং
সাহরী ও ইফতার
খাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন
বিষয়।
যে কোন ইবাদত
ফরজ হওয়ার
ভিত্তিকে আসবাবে
উজুুব বা ওয়াজিব
হওয়ার কারণ বলে ।
পক্ষান্তরে কোন
ইবাদত বাস্তবায়ন
করার ভিত্তিকে
আসবাবে আদা বা
সমাপনের কারণ বলে।
অর্থাৎ প্রতিটি
ইবাদতের দুটি দিক
রয়েছে।
একঃ ইবাদতটি ফরয হওয়া,
দুইঃ ফরয
হওয়া উক্ত
ইবাদতকে কার্যের
মাধ্যমে বাস্তবায়ন
করা।
রোযা রাখার
ক্ষেত্রেও অনুরূপ।
প্রথমত; রোযা ফরয
হওয়া,
দ্বিতীয়ত;
রোযাকে কাজের
মাধ্যমে পূর্ণতা দেয়া।
প্রথমটি অর্থাৎ
রোযা ফরয হওয়া
নির্ভর করে চাঁদ
দেখার মাধ্যমে
মাসের উপস্থিতির
উপর।
ফলে পৃথিবীর
আকাশে পবিত্র
রমযান মাসের চাঁদ
দেখার মাধ্যমে
রমযান মাস
প্রমাণিত হওয়ার
সাথে সাথে সমগ্র
পৃথিবীর সকল মু’মিন
নারী পুরুষের উপর
একই সাথে রোযা
ফরয হওয়া সাব্যস্ত
হয়ে যায়।
এ সম্পর্কে
পবিত্র কুরআনের
ঘোষণা হলো-
ﻓﻤﻦ ﺷﻬﺪ ﻣﻨﻜﻢ ﺍﻟﺸﻬﺮ
ﻓﻠﻴﺼﻤﻪ
অর্থাৎ তোমাদের
মধ্যে যে ব্যক্তিই
রমযান মাসে উপনিত
হবে সে যেন রোযা
রাখে।
এখন প্রশ্ন হলো
ফরয হওয়া এ রোযা
আমরা কিভাবে
আদায় করব?
যা রোযার দ্বিতীয় দিক অর্থাৎ রোযাকে কার্যে পরিণত করা
যা শুরু হয় সাহরী
খাওয়ার মাধ্যমে এবং শেষ হয় ইফতারের
মাধ্যমে।
আর দ্বিতীয়টি
অর্থাৎ সাহরী ও
ইফতারীর মাধ্যমে
রোযাকে বাস্তবায়ন
করা নির্ভর করে
সূর্যের পরিভ্রমনের
উপর। এ সম্পর্কে
পবিত্র কুরআনের
ঘোষণা হলো-
ﻭَﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺍﺷْﺮَﺑُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺘَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂُ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾُ
ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂِ ﺍﻟْﺄَﺳْﻮَﺩِ ﻣِﻦَ
ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗِﻤُّﻮﺍ ﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡَ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ
অর্থাৎ তোমরা
পানাহার কর যতক্ষণ
না কালো রেখা থেকে
(পূর্ব আকাশে)
ভোরের শুভ্র রেখা
পরিস্কার হয়।
অতপর রোযা পূর্ণ
কর রাত পর্যন্ত।
অত্র আয়াতের
ঘোষণা থেকে
পরিস্কার বুঝা
যাচ্ছে, রোযা
কার্যের মাধ্যমে
বাস্তবায়িত করার
শুরু হচ্ছে সুবহি
সাদিক এবং রোযা
সমাপ্ত হবে রাতের
শুরুতে যা ইফতারের
সময়।
সুবহি সাদিক
এবং রাত হওয়া
অবশ্যই সূর্যের
পরিভ্রমনের সাথে
সম্পর্কিত, চাঁদের
সাথে নয়।
তাহলে উপরোক্ত
দু’টি আয়াতের
সারকথা এ দাড়ালো
যে, পৃথিবীর কোথাও
চাঁদ উদয় প্রমাণিত
হওয়ার সংবাদ
গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে
পাওয়ার সাথে সাথে
সকল প্রাপ্ত বয়স্ক
মু‘মিন-মু’মিনার উপর
রোযা ফরয হবে।
রোযা বাস্তবায়ন
করতে হবে সূর্যের
পরিভ্রমনের দ্বারা।
তাই সূর্যের
পরিভ্রমনের প্রতি
লক্ষ রেখেই স্থানীয়
সৌর সময় অনুযায়ী
পৃথিবীর ভিন্ন
ভিন্ন স্থানে ভিন্ন
সময়ে সাহরী,
ইফতার ও নামায
আদায় করতে হয়।
যেহেতু বাংলাদেশে
সূর্য উদয়-অস্ত
মধ্য প্রাচ্যের মক্কা
নগরীর উদয়-অস্তের
সময় থেকে ৩ ঘন্টা
অগ্রগামী সে
কারণেই বাংলাদেশে
সাহরী, ইফতার ও
নামাযের সময়
মধ্যপ্রাচ্যের
স্থানীয় সময়ের
চেয়ে ৩ ঘন্টা আগে
হবে।
সুতরাং এ
ব্যপারে আর কোন
প্রশ্ন থাকতে পারে
না।
মনে করুন
রাষ্ট্রীয় ঘোষণা
মতে সমগ্র
বাংলাদেশবাসী
শুক্রবার ১ম
রমযানের রোযা
রাখলেন।
অথচ ঐ
দিনই পার্বত্য
চট্রগ্রামের মানুষের
সাহরীর শেষ সময় ও ইফতারের সময় যখন হয়, তার ১৩ মিনিট
পরে হবে
পঞ্চগড়বাসীদের
সাহরীর শেষ সময় ও ইফতারের সময়। এর কারণ হলো রোযা রাখা হয় চাঁদের তারিখের
ভিত্তিতে।
তাই একই চান্দ্রতারিখে
সকলে রোযা রাখবে।
আর সাহরী, ইফতার ও নামাযের সময় হয় সূর্যের গতি
বিধিতে।
ফলে যার
যার স্থানীয় সৌর
সময়ানুযায়ী সাহরী
ও ইফতার গ্রহণ এবং
নামায আদায় করবে।
মুকাল্লিদ আলেম নয়
জনৈক কথিত
মুকাল্লিদ/
মাঝাবি>~কথিত আহলে
সুন্না ওয়াল
জামা>~হানাফি>~ডেওবন্দি>~চোর মুনাইয়ের
সমর্থনকারী> ~জর্দা
খোর>~কাজ্জাব>~ইতর
>বেয়াদব>কানা>দা
জ্জালী>ফেতনাবাজ
>প্রতারক>ব্যংগক
ারী>খবিস,,,<(চল
মান....)লুতফর রহমান
ফরায়েজী বলছে যে=
%%%%%%%%%%%%%%%%
=রাসুল সাঃ কখনো
ইমামের পিছনে সুরা
ফাতিহা পড়েছেন,
আবার কখনও পড়েন
নি।
==রাসুল সাঃ কখনো
ইমামের পিছনে সুরা
ফাতিহা পড়েছেন,
আবার কখনও পড়েন
নি।
===রাসুল সাঃ কখনো
ইমামের পিছনে সুরা
ফাতিহা পড়েছেন,
আবার কখনও পড়েন
নি।
====রাসুল সাঃ কখনো
ইমামের পিছনে সুরা
ফাতিহা পড়েছেন,
আবার কখনও পড়েন
নি।
=====রাসুল সাঃ কখনো
ইমামের পিছনে সুরা
ফাতিহা পড়েছেন,
আবার কখনও পড়েন
নি।
%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%
(লা হাওলা ওয়ালা
কুউয়াতা
ইল্লাবিল্লাহ)
=কাজ্জাব, লুতফর
রহমান ফরায়েজী
ইমামের পিছে সুরা
ফাতিহা পড়ার
মাসয়ালার সমাধান
দিতে গিয়ে রাসুল সাঃ
এর নামে কি বলছে
এসব???
#এই কাজ্জাব- ইমাম
আবু হানিফা রহঃ এর
মাঝাবকে ধর্ম
হিসেবে দেখে, আর মনে
করে এটাই হক। এজন্য
ইনিয়ে বিনিয়ে, মিথ্যা
(এমনকি রাসুল সাঃ এর
নামেও) বলে যায়।
#একশ্রেণীরর
আলেমরাই জাহান্নামে
আগে যাবে।
ওহ, আর একটি কথা=
মুহাদ্দিসগণের একটি
সুপরিচিত বাক্য
আছে। আর তা হল-
""মুকাল্লিদ আলেম নয়,
সে তো তাই বলে যা
তার ইমাম বলেছে
(হাদিস হোক আর
মিথ্যা হোক)।""
%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
Lutfor Faraji র ভান্ডামী
বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬
কয়টা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে মুস্তাহিদ রা???
একটা জনপ্রিয় জাল মুফতী বলেছে, "চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা হল মুস্তাহিদগণ"
আমি বলি ঐ জাল সাহেব আপনি দেখান তো """কয়টা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে মুস্তাহিদ রা""????
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
পিরপুজারী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
Lutfor Faraji র ভান্ডামী
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)