মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট এক (১)
—————————————————————————————————
মাযহাবীরা তাকলীদ
নিয়ে যে হাদিসের দলীল
দেয় তার জবাব :
.
মাযহাবীদের দলীল
হুযাইফা (রা)
হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, নবী (স.) বলেছেন,
তোমরা আমার
পরে আবু বাকার ও
ওমারের অনুসরণ
করবে।” -তিরমিযী,
সহীহ্ লি-
গইরিহী, অধ্যায়ঃ ৪৬,
রসূলুল্লাহ্ (স.)
এবং তাঁর সাহাবাগণের
মর্যাদা অনুচ্ছেদঃ ১৬, আবু বাকার ও ওমার
(রা.)গণের গুণাবলী, #হাদিস ৩৬৬২,
৩৬৬৩।
.
মাযহাবীরা ব্যাখ্যা করে এই ভাবে ::-
এই হাদিস থেকে বুঝা যায় কুরআন ও সুন্নাহ্ ছাড়াও অন্যকোন ব্যক্তির তাক্বলীদ (অন্ধ
অনুসরণ) করা যায়। অতএব, বুঝা গেল যে, হানাফী, শাফীঈ, মালিকি ও হাম্বলী মাযহাবের
তাক্বলীদ
করলে দোষণীয় হবে না।
—————————————————————————————————
জবাব :
১.
তাক্বলিদ তো এক ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
.
#এই হাদিসে তো দুই জন ব্যক্তির অনুসরণের নির্দেশনা আছে।
.
#মাযহাবীরা কি দুই জন ইমাম বা মুস্তাহিদ এর তাক্বলিদ করা জায়েয বলবেন?
.
#মাযহাবী আপনারা দুই জন ইমাম এর তাক্বলিদ করতে চান না ?
যেমন- ইমাম শাফি রঃ এবং ইমাম আবু হানিফা রঃ
.
#এখন আপনার এক জন যেমন ইমাম আবু হানিফা রহ তাক্বলিদ এর পক্ষে একটা দলিল দেন ?
.
#উপরের মাযহাবীদের
বিভ্রান্তিমূলক
ব্যাখ্যা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি। (আমিন)
.
#যদি এই হাদিস দিয়ে তাক্বলীদ বুঝে থাকেন তাহলে #আবু বাকার রাঃ ও
#ওমারের রাঃ
#নামে মাযহাব না করে অন্যদের নামে করলেন কেন?
.
#এটা কি রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আদেশ অমান্য হয়ে গেল না?
.
#এটাই কি আপনাদের রসূলুল্লাহ্ (স.) এর
আনুগত্যের নমুনা!!!!
.
#আসলে তাক্বলীদ আপনাদের মাথা নষ্ট করে দিয়েছে।
.
#যে কারণে সব সময়ই খুজতে থাকেন কিভাবে তাক্বলীদকে জায়েয বানানো যায়।
.
এই হাদিসটি বুঝতে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন- ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা যিনার অপরাধে জনৈকা পাগলীকে ধরে এনে ওমার (রা.) এর নিকট হাজির করা হয়। তিনি এ ব্যাপারে লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। এই সময় আলী (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, এর কি হয়েছে? উপস্থিত লোকেরা বলল, সে #অমুক গোত্রের পাগল মহিলা।
সে যিনা করেছে। ওমার (রা.) তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, তাকে নিয়ে ফিরে যাও। #অতপর, তিনি (আলী (রা.)) ওমার (রা.) এর নিকট এসে বললেন, হে আমিরুল মুমিনীন, আপনি কি জানেন না ৩ (তিন )ধরণের লোকের উপর থেকে ক্বলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (ক) পাগল যতণ না সে সুস্থ হয়, (খ) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতণ
না জাগ্রত হয়, (গ) অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু
যতণ না সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। #ওমার (রা.) বললেন, হ্যাঁ। আলী (রা.) বললেন, তাহলে তাকে পাথর মারা হবে কেন? তিনি বললেন, কোন কারণ নেই। আলী (রা.) বললেন, তবে তাকে ছেড়ে দিন। বর্ণনাকারী বললেন, ওমার (রা.) তাকে ছেড়ে দিলেন এবং আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করলেন। -আবু
দাউদ, সহীহ,
অধ্যায়ঃ ৩৩, কিতাবুল হুদুদ, অনুচ্ছেদঃ ১৬,
পাগল
চুরি বা হাদ্দযোগ্য
অপরাধ করলে,
হাদিস # ৪৩৯৯।
.
এই হাদিসটির
প্রতি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন। #আলী (রা.) যখন ওমার (রা.) এর ভুল ধরলেন তখন কিন্তু #ওমার (রা.) বলেননি যে, রসূলুল্লাহ্ (স.) আমার আনুগত্য
করতে বলেছেন তারপরেও তুমি আমার ভুল ধরেছ কেন?
.
বরং ওমার (রা.) তাঁর ভুল স্বীকার করে ভুলটি শোধরে নিয়েছেন।
.
তাহলে বুঝা গেল যে, ওমার (রা.) এর
অনুসরণও কুরআন
এবং হাদিসের আলোকে হতে হবে তাক্বলীদের আলোকে নয়।
.
এ বিষয়টি আরো ভালভাবে বুঝতে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন- সালিম বিন আব্দুল্লা হ্শামের এক লোক থেকে শুনেছেন সে আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমার (রা.) কে প্রশ্ন করেছিলেন তামাত্তু হাজ্জ জায়েজ না’কি নাজায়েয? তিনি বললেন, জায়েয। #প্রশ্নকারী বললেন, আপনার পিতা তো (ওমার রা.) এটা নিষেধ করেছেন। #আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমার (রা.) বললেন, আমাকে বল আমার
আব্বা নিষেধ করেছেন আর রসূলুল্লাহ (স.) করেছেন এখন আমার আব্বার নির্দেশ মানব না’কি রসূলুল্লাহ্ (স.) এর
নির্দেশ মানবো?
#প্রশ্নকারী বললেন, বরং রসূলুল্লাহ্ (স.) এর হুকম-ই মানতে হবে। ইবনু ওমার (রা.) বললেন, আসল বিষয় হলো রসূলুল্লাহ্ (স.) তামাত্তু হাজ্জ করেছেন।” -
তিরমিযী, সহীহ,
অধ্যায়ঃ ৭,
কিতাবুল হাজ্জ,
অনুচ্ছেদঃ ১৩,
তালবিয়া পাঠ করা,
হাদিস ৮২৪।
.
এই হাদিস থেকে আরো বুঝা গেল যে, স্বহাবায়ে কিরামগণ
ওমার (রা.) এর তাক্বলীদ করতেন না।
.
তাহলে কি স্বহাবায়ে কিরামগণ রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আদেশ লংঘন করেছিলেন?
(নাউযুবিল্লাহ্)
.
মোটেই
নয়।
.
তাহলে রসূলুল্লাহ্ (স.) আবু বাকার ও
ওর্মা (রা.) এর অনুসরণ করতে বলতে কি বুঝিয়েছেন?
.
মূলতঃ রসূলুল্লাহ্ (স.) বুঝিয়েছেন তাঁর (স.) পরে যেন আবু বাকার এবং ওমারকে খালীফা হ্বানানো হয়।
এভাবে বুঝ
নিলেই
হাদিস বুঝা সহজ হবে।
.
আল্লাহ আমাদের হারাম কাজ হতে রক্ষা করুক।
.
{{~Wait & See~}}
—————————————————————————————————