সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

"লা-মাযহাবী" ইমাম নুমান ইবনে ছাবিত (আবু হানীফা) রহঃ কেন???

"লা-মাযহাবী" কে?? "লা-মাযহাবী" কে?? "লা-মাযহাবী" কে?? "লা-মাযহাবী" কে?? "লা-মাযহাবী" কে?? "লা-মাযহাবী" কে?? "লা-মাযহাবী" কে??
(১) ইমাম আবু হানিফা রহঃ এক নং """লা-মাযহাবী""" ছিলেন ।
মাযহাবীদের কাছে আমার কিছু জিজ্ঞাসাঃ
  • (২) আবু হানীফা রহ কি হানাফী মাযহাব তৈরী করেছেন?

(৩) আবু হানীফা রহঃ কি সব বিষয়ে সমাধান দিয়ে গেছে?
  • যদি দিয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে নতুন সমস্যা দেখা দেয় কেন???

(৪) আবু হানীফার জন্মের আগের দিন যেসব মানুষ মারা গেছে তারা কোন মাযহাব মানতো? তারা সবাই "লা-মাযহাবী" ছিল ??
(৫) আবু হানীফা যখন শিশু ছিলো তখন সারা দুনিয়ার মুসলিমগণ কোন মাযহাব মানতো?
"লা-মাযহাব" কি??
(৬) আবু হানীফা তো আর জন্ম থেকেই মুজতাহিদ ছিলেননা। মুজতাহিদ হতে কম করে হলেও ২৫/৩০ বছর বয়স হয়েছে তার। তাহলে আবু হানীফার বয়স ২৫/৩০ বছর হওয়ার আগে সারা দুনিয়ার মুসলিমরা কোন মাযহাব মানতো? "লা-মাযহাবী" কি??
দলিল সহ জানতে চাই।
(আর একটি কথাঃ আমি যখন কুরান ও সহীহ হাদীসের কথা বলি তখন মাযহাবীরা আন্দাজে আবুল তাবুল বলে)
  • উপরিউক্ত প্রশ্নের জবাব চাই।

{~Wait & See~}

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইমাম আবু হানিফা )রহ(-এর তাদীলের পর্যালোচনা

ইমাম নুমান ইবনে সাবিত (আবু হানিফা) (রহঃ) সম্পর্কে কিছু তাদীলের বিশ্লেষণ। ডঃ খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বঙ্গানুবাদকৃত আল-ফিকহুল আকবার বইয়ের ২০ পৃঃ তে আবদুল্লাহ স্যার ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর উপর মুগীরাহ ইবন মিকসাম দাব্বী কূফীর একটি তাদীল (প্রশংসা) পেশ করেছেন, যেটি নিম্নরূপ قَالَ لي الْمُغيرَة بن مقسم الضَّبِّيّ جَالس أَبَا حنيفَة فَلَو كَانَ إِبْرَاهِيم حَيا لَكَانَ مُحْتَاجا إِلَى مُجَالَسَته إِيَّاه هُوَ وَالله يحسن ان يتَكَلَّم فِي الْحَلَال وَالْحرَام “আমাকে মুগীরাহ বলেনঃ তুমি আবূ হানীফার মাজলিসে বসবে, তাহলে ফিকহ শিখতে পারবে। কারণ (কুফার প্রসিদ্ধ ফকীহ ও মুহাদ্দীস, মুগীরার উস্তাদ) ইবরাহীম নাখয়ী (৯৫ হিজরী) যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনিও আবূ হানীফার মাজলিসে বসতেন। ... আল্লাহ্‌র কসম! হালাল ও হারামের বিষয়ে সে ভালভাবে কথা বলার যোগ্যতা রাখে।” সাইমারী, আখবারু আবী হানীফা, পৃষ্ঠা ৭৯; যাহাবী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৬/৪০৩; তারীখুল ইসলাম ৯/৩১২। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি এক্ষেত্রে এই তাদীলের সনদ পেশ করেননি। সনদটি এরকম- أخبرنَا أَبُو حَفْص عمر بن ابراهيم الْمصْرِيّ قَالَ ثَنَا مكرم قَالَ ثَنَا أَحْمد بن مُحَمَّد ابْن مغلس قَالَ ثَنَا يحيى بن أَكْثَم قَالَ سَمِعت جَرِيرًا قَالَ قَالَ لي الْمُغيرَة بن مقسم الضَّبِّيّ এই সনদে আছেন ইয়াহইয়া বিন আকসাম (يحيى بن أَكْثَم) ইনি একজন কাজ্জাব বা মিথ্যুক (তারীখ ইসলাম আল-দাঈফাহ ওয়া আল-কাজ্জাবিন , রাবী নং ৬৮৪) ইবন জাওজী তাকে তার দাঈফ ওয়া মাতরুকিন , রাবী নং ৩৬৯২ তে উল্লেখ করেছেন। 6929 - ت / يحيى بن أَكْثَم القَاضِي صَدُوق إِن شَاءَ الله تَعَالَى من الْفُقَهَاء قَالَ عَليّ بن الْحُسَيْن بن الْجُنَيْد كَانُوا لَا يَشكونَ أَنه يسرق الحَدِيث وَقَالَ الْأَزْدِيّ يَتَكَلَّمُونَ فِيهِ ইয়াহইয়া বিন আকসাম ফিখহের ক্ষেত্রে সুদুক ছিলেন ইনশআল্লাহ , আলী বিন আলহুশায়ন বিন আলজুনায়দ বলেন, তারা সন্দেহ করতেন না যে সে হাদীস চুরি করে। আলমুগনী ফি আলদাঈফ , রাবী নং ৬৯২৯ 9459 - يحيى بن أكثم [ت] القاضي. روى عن سفيان بن عيينة وطبقته. حدث عنه الترمذي، وكان من كبار الفقهاء. قال علي بن الحسين بن الجنيد: كانوا لا يشكون أنه يسرق الحديث. আলী বিন আলহুশায়ন বিন আলজুনায়দ বলেন, তারা সন্দেহ করতেন না যে সে হাদীস চুরি করে। وقال الأزدي: يتكلمون فيه. روى عن الثقات عجائب لا يتابع عليها. وقال آخر: كان يتبين بالميل إلى الاحداث. وقد سقنا ترجمته في التاريخ الكبير. مات في ذي الحجة سنة اثنتين وأربعين ومائتين. (মিজানুল ইহতিদাল , রাবী নং ৯৪৫৯) সুলাইমান ইবন মিহরান আল-আমাশ বলেন, إِنَّمَا يُحْسِنُ الْجَوَابَ فِي هَذَا وَمِثْلُهُ النُّعْمَانُ بْنُ ثَابِتٍ الْخَزَّازُ أَرَاهُ بُورِكَ لَهُ فِي عِلْمِهِ “এগুলির উত্তর তো কাপড় ব্যবসায়ী নুমান ইবন সাবিতই বলতে পারেন। আমার ধারনা তার ইলমে বরকত প্রদান করা হয়েছে।” )الانتقاء في فضائل الثلاثة الأئمة الفقهاء , ১/১২৬( এই তাদীল যে সনদে এসেছে সেটি নিম্নরূপ قَالَ ابو يَعْقُوب نَا عمر بن احْمَد بن عنزة الْمَوْصِلِيُّ قَالَ نَا أَبُو جَعْفَرِ بْنُ أَبِي الْمُثَنَّى قَالَ سَمِعْتُ ‫#‏ مُحَمَّدَ_بْنَ_ عُبَيْدٍ_الطَّن َافِسِيَّ‬يَقُولُ خَرَجَ الأَعْمَشُ يُرِيدُ الْحَجَّ فَلَمَّا صَارَ بِالْحِيرَةِ قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ اذْهَبْ إِلَى أَبِي حَنِيفَةَ حَتَّى يَكْتُبَ لَنَا الْمَنَاسِكَ قَالَ وَحَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَزَّارُ قَالَ نَا مُحَمَّد بن عبيد بن عنام قَالَ نَا مُحَمَّد بن عبد الله بْنِ نُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ سَمِعْتُ الاعمش يَقُول وَسُئِلَ عَن مسئلة فَقَالَ إِنَّمَا يُحْسِنُ الْجَوَابَ فِي هَذَا وَمِثْلُهُ النُّعْمَانُ بْنُ ثَابِتٍ الْخَزَّازُ أَرَاهُ بُورِكَ لَهُ فِي عِلْمِهِ এই তাদীলের সনদে আছেন মুহাম্মাদ বিন উবায়দ আল-তানফিসী )مُحَمَّدَ بْنَ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيَّ( 5804 - مُحَمَّد بن عبيد الطنافسي صَدُوق مَشْهُور قَالَ أَحْمد بن حَنْبَل يُخطئ ويصر سمع الْأَعْمَش মুহাম্মাদ বিন উবায়দ আল-তানফিসী জনপ্রিয় সুদুক , আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন ভুল করত এবং ভুলের উপর অব্যাহত থাকত, আমাশের নিকট শুনেছি। )আল-মুগনী ফি আল-দাঈফ, রাবী নং ৫৮০৪, খণ্ড ২, পৃঃ ৬১২( এছাড়াও অন্য জায়গায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেছেন قال كان أحمد بن حنبل يقول: محمد بن عبيد الطنافسى كان رجلا صدوقا، وكان يعلى اثبت منه. )জারাহ ওয়া তাদীল , রাবী নং ৪০, ৮/১০ পৃঃ( মিসআর ইবন কিদাম ইবন যাহীর কুফী ما أحسد أحدا بالكوفة إلا رجلين: أَبُو حنيفة في فقهه، والحسن بن صالح في زهده. কুফার দু ব্যক্তি ছাড়া কাউকে আমি ঈর্ষার যোগ্য বলে মনে করি নাঃ আবূ হানিফাকে তার ফিকহের জন্য এবং হাসান ইবন সালিহকে তার যুহদের জন্য। সনদসহ উক্ত তাদীল এসেছে তারীখ বাগদাদে, খণ্ড ১৫ , পৃঃ ৪৫৯ , রাবী নং ৭২৪৯ (ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর জীবনীতে) সনদটি নিম্নরূপ خْبَرَنَا الخلال، قَالَ: أَخْبَرَنَا الحريري، أن النخعي، حدثهم قَالَ: حَدَّثَنَا سليمان بن الربيع، قَالَ: حَدَّثَنَا همام بن مسلم، قال: سمعت مسعر بن كدام এই তাদীলের সনদে আছেন হাম্মাম ইবনু মুসলিম (همام بن مسلم) , যিনি একজন প্রতাখিত রাবী। ইবন জাওজী তার দাঈফ ওয়া মাতরুকীন , রাবী নং ৩৬১৬ , ৩/১৭৮ এ উল্লেখ করেছেন। ইবন হিব্বান তাকে يسرق الحَدِيث (যিনি হাদীস চুরি করেন) বলেছেন। (আল-মুগনী ফি আল-দাঈফ, রাবী নং ৬৭৬৬; মিজানুল ইহতিদাল, রাবী নং ৯২৫১) ইমাম দারাকুতনী তাকে মাতরুক বলেছেন। (লিসানুল মিহজান, রাবী নং ৭১০)

যারা বলে ইমাম বুখারী রহঃ মাযহাব মানতেন তাদের জন্য

যারা বলে ইমাম বুখারী রহঃ মাযহাব মানতেন তাদের জন্য



ইমাম বুখারী রহঃ নাকি শাফেয়ী মাযহাব মানতেন !!!!


এ কথা ইমাম বুখারী রহঃ এর কোন কিতাবে লিখে গেছেন ?



ইমাম বুখারি রহঃ এর কতিপয় অমুল্য ও অদ্বিতীয় কিতাবের নাম দিলাম যার কোথাও তিনি মাযহাব মানার কথা বলেন নি

  • ১. আল জামে আস সহিহ তথা বুখারি শরীফ ।

  • ২. রফউল ইদাইন । ১৯৮ টা হাদিস এনেছেন রফউল ইদাইনের পক্ষ্যে ।

  • ৩. খালকু আফআলিল ইবাদ ।

  • ৪. যুজউ কিরাতে খলফাল ইমাম। ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়ার পক্ষ্যে বিষদ আলোচনা করেছেন এই বইতে ।

  • ৫. কিতাবুয যুআফা ওয়াল মাতরকিন ।

  • ৬. তারিখুল কাবীর ।

  • ৭. তাফসিরুল কাবীর ।

  • ৮. কিতাবুল কুনা ।

  • ৯. কিতাবুল ওয়াহদান ।

  • ১০. কিতাবুল মাবসুত ।

  • ১১. কাযাইয়া সাহাবা ।

  • ১২. কিতাবুল হিবাহ ।

  • ১৩. আসামিস সাহাবা ।

  • ১৪. আল মাশীখাহ ।

  • ১৫. কিতাবুল ইলাল ।

  • ১৬. বির্রুল ওয়ালিদাইন ।

  • ১৭. কিতাবুর রিকাক ।

  • ১৮. বাদউল মাখলুকাত ।

  • ১৯. কিতাবুল ফাওয়াইদ ।

  • ২০. কিতাবুল আশরিবাহ ।

  • ২১. তারিখুস সাগীর ।

  • ২২. আদাবুল মুফরাদ ।

{ ~Wait & See~ }

০১. প্রশ্নঃ পৃথিবীতে নাকি মানুষ ছাড়াও জ্বিন নামে একটি জাতি বসবাস করে ।কিন্তু কোথায় ,তাহাদের তো কোথায় দেখা যায়না ? কেহ কেহ বলেন জ্বিন জাতি নাকি আগুনের তৈয়ারি তাহলে দোযখের আগুনে আবার তাহাদের শাস্তি হইবে কেমনে ?

নাস্তিকীয় প্রশ্নঃ ---------------------------- প্রশ্নঃ পৃথিবীতে নাকি মানুষ ছাড়াও জ্বিন নামে একটি জাতি বসবাস করে ।কিন্তু কোথায় ,তাহাদের তো কোথায় দেখা যায়না ? কেহ কেহ বলেন জ্বিন জাতি নাকি আগুনের তৈয়ারি তাহলে দোযখের আগুনে আবার তাহাদের শাস্তি হইবে কেমনে ? ==== উত্তরঃ জ্বি পৃথিবীতে মানুষ ছাড়াও আরেকটি জাতি আছে যাকে বলা হয় জ্বিন । যদিও আমরা অনেকেই সেটাকে আমাদের ভাষায় ভুত,প্রেত বলে অভিহিত করে থাকি । মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,"আমি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য । "(সুরা যারিআতঃ৫৬) তিনি আরও বলেন, "আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকা হতে এবং জ্বিন সৃষ্টি করেছি আগুন হতে । "(সুরা হিজরঃ২৭) আমরা জ্বীন জাতিকে দেখতে পাইনা কারন তারা অদৃশ্য । তবে তারা বিভিন্ন রুপ ধারন করতে পারে । আর তখনই তাদেরকে দেখা যায় । এমন অনেক মানুষ আছে আছে যারা জ্বিনে বিশ্বাস করতনা । কিন্তু যখন তারা নিজেরাই তা দেখেছে তখন তারা নির্ধিয়ায় মেনে নিয়েছে যে অবশ্যই মানুষ ছাড়া আরও কিছু একটা আছে । এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে যাদের জ্বীনের এক্সপেরিয়েন্স আছে ।আর সবাই একযোগে তা সাক্ষ দেবে । তাহলে এখন প্রশ্ন হলো তারা আগুনের তৈরি হলে জাহান্নামের আগুনে আবার তাদের শাস্তি হবে কেমনে ? আমরা মানুষ মাটির তৈরি । তাই বলে কি মাটির খন্ড দ্বারা আঘাত করলে ব্যথা পাইনা ? অবশ্যই পায় । ঠিক তেমনি জ্বীন আগুনের তৈরি হলেও আগুন দিয়েই তাদেরকে শাস্তি দেয়া সম্ভব । আর এছাড়াও জাহান্নামের আগুনের তাপ পৃথিবীর আগুনের তাপের চেয়ে ৬৯ গুন বেশী । রাসুল (সাঃ ) বলেছেন, "পৃথিবীর আগুনের তাপ জাহান্নামের আগুনের তাপের একভাগের সমান । "(সহীহ বুখারী- হাঃ/৩২৬৫ ; মুসলিম- হাঃ/২৮৪৩) সুতরাং আগুনের সৃষ্টি জ্বীন যখন তার নিজস্ব তাপমাত্রা হতে ৬৯ গুন বেশী তাপমাত্রাসম্পন্ন আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে তখন তারা শাস্তি পাবে কিনা তা সহজেই অনুমেয় ।

প্রশ্ন : সিহাহ সিত্তার ইমামরা কি মাযহাব মানতেন ???

সিহাহ সিত্তার ইমামরা কি মাযহাব মানতেন ???



যারা বলে চার ইমামরা মাযহাব তৈরি করেছে এবং সিহাহ সিত্তার ইমামরা মাযহাব মানতো তাদের জন্য

  • মাযহাব থেকে এই ইমামদের সময়ের পার্থক্য হল
  • ==============
    ইন্নাল হামদাইল্লাহ, ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলিহিল কারিম।



    মাযহাবের ইমামদের এবং সিহাহ সিত্তার ইমামদের জন্ম ও মৃত্যুর সন বিস্তারিত নিচে

    • ইমাম নুমান ইবনে ছাবিত (আবু হানীফা) রহঃ এর জন্ম ৮০ হিজরী। মৃত্যু-১৫০ হিজরী।




    • ইমাম মালিক রহঃ এর জন্ম-৯৩ হিজরী। মৃত্যু-১৭৯।




    • ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর জন্ম-১৫০ হিজরী। মৃত্যু-২০৪ হিজরী।




    • ইমাম আহমাদ বিন বিন হাম্বল রহঃ এর জন্ম-১৬৪, মৃত্যু-২৪১ হিজরী।





    [
    • ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর জন্ম ১১৩ হিজরী এবং মৃত্যু ১৮২ হিজরী




    এবং
    • ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর জন্ম ১৩১ হিজরী এবং মৃত্যু ১৮৯ হিজরী




    ]
    মুহাদ্দিসীনদের জন্ম ও মৃত্যু নিচে দেওয়া হল



    • মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল বুখারী রহঃ এর জন্ম-১৯৪ হিজরী এবং মৃত্যু ২৫৬ হিজরী।




    • মুসলিম বিন হাজ্জাজ ইমাম মুসলিম রহঃ এর জন্ম ২০৪ হিজরী এবং মৃত্যু ২৬১ হিজরী।




    • মুহাম্মদ বিন ঈসা বিন সাওরা ইমাম তিরমিজী রহঃ জন্ম-২১০ হিজরী এবং মৃত্যু ২৭৯ হিজরী।




    • মুহাম্মদ বিন ইয়াজিদ ইমাম ইবনে মাজাহ রহঃ এর জন্ম-২০৯ হিজরী এবং মৃত্যু-২৭৩ হিজরী।




    • সুলাইমান বিন আসআস ইমাম আবু দাউদ রহঃ এর জন্ম- ২০২ হিজরী এবং মৃত্যু-২৭৫ হিজরী।




    • আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইমাম নাসায়ী রহঃ এর জন্ম ২১৫ হিজরী এবং মৃত্যু ৩০৩ হিজরী।




    উপরে এই হল সিহাহ সিত্তার জন্ম ও মৃত্যুর সন।


    লক্ষ্য করুন যে,আর মাযহাব প্রতিষ্ঠা হয় ৪০০ হি: এখন যে মুর্খ বলবে যে সিহাহ সিত্তার ইমামরা মাযহাব মানতেন তার মাথার কি আছে???
    [দেখুন মাদ্রাসা পাঠ্য ৯ম -১০ম মুখতাসারুল কুদরি পৃঃ ৩ শাস্ত্রের পরিচিতিতে (২০১৩ সাল) ]


  • মাযহাব থেকে এই ইমামদের সময়ের পার্থক্য নিচে দেওয়া হল


    • ইমাম নুমান ইবনে ছাবিত (আবু হানীফা) রহঃ এর মৃত্যুর ১৫০-৪০০=২৫০ বছর পর জন্ম লাভ করেছে হানাফি মাযহাবের




    • ইমাম মালিক রহঃ এর মৃত্যু ১৭৯-৪০০=২২১ বছর পর জন্ম লাভ করেছে মালেকি মাযহাবের




    • ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মৃত্যু ২০৪-৪০০=১৯৬ বছর পর জন্ম লাভ করেছে শাফি মাযহাবের




    • ইমাম আহমাদ বিন বিন হাম্বল রহঃ এর মৃত্যু ২৪১-৪০০=১৫৯ বছর পর জন্ম লাভ করেছে হাম্বলী মাযহাবের




    মুহাদ্দিসীনদের মৃত্যু কত পরে মাযহাবের জন্ম তা নিচে দেওয়া হল


    • মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল বুখারী রহঃ এর মৃত্যু ২৫৬-৪০০=১৪৪ বছর পার প্রচলিত মাযহাব গুলো জন্ম হয়।




    • মুসলিম বিন হাজ্জাজ ইমাম মুসলিম রহঃ এর মৃত্যু ২৬১-৪০০=১৩৯ বছর পার প্রচলিত মাযহাব গুলো জন্ম হয়।




    • মুহাম্মদ বিন ঈসা বিন সাওরা ইমাম তিরমিজী রহঃ এর মৃত্যু ২৭৯-৪০০=১২১ বছর পার প্রচলিত মাযহাব গুলো জন্ম হয়।




    • মুহাম্মদ বিন ইয়াজিদ ইমাম ইবনে মাজাহ রহঃ এর মৃত্যু ২৭৩-৪০০=১২৭ বছর পার প্রচলিত মাযহাব গুলো জন্ম হয়।




    • সুলাইমান বিন আসআস ইমাম আবু দাউদ রহঃ এর মৃত্যু ২৭৫-৪০০=১২৫ বছর পার প্রচলিত মাযহাব গুলো জন্ম হয়।




    • আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইমাম নাসায়ী রহঃ এর মৃত্যু ৩০৩-৪০০=৯৭ বছর পার প্রচলিত মাযহাব গুলো জন্ম হয়।




    [অতিরিক্ত তথ্য
    • ইমাম ইবন খুজাইমা (রহ) (মৃত্যু- ৩১১ হিজরি)




    • ইমাম তহাবী (রহ) (মৃত্যু- ৩২১ হিজরি)




    • ইমাম তাবারানী(রহ) (মৃত্যু- ৩৬০ হিজরি)




    ]



    সিহাহ সিত্তার জন্ম ও মৃত্যুর সন কি ঠিক আছে মাযহাবীরা ??



    {{ Wait & See }}

    মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট এক (১) তোমরা আমার পরে আবু বাকার ও ওমারের অনুসরণ করবে।” -তিরমিযী,

    মাযহাবী পোস্টমর্টেম পার্ট এক (১) ————————————————————————————————— মাযহাবীরা তাকলীদ নিয়ে যে হাদিসের দলীল দেয় তার জবাব : . মাযহাবীদের দলীল হুযাইফা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (স.) বলেছেন, তোমরা আমার পরে আবু বাকার ও ওমারের অনুসরণ করবে।” -তিরমিযী, সহীহ্ লি- গইরিহী, অধ্যায়ঃ ৪৬, রসূলুল্লাহ্ (স.) এবং তাঁর সাহাবাগণের মর্যাদা অনুচ্ছেদঃ ১৬, আবু বাকার ও ওমার (রা.)গণের গুণাবলী, #হাদিস ৩৬৬২, ৩৬৬৩। . মাযহাবীরা ব্যাখ্যা করে এই ভাবে ::- এই হাদিস থেকে বুঝা যায় কুরআন ও সুন্নাহ্ ছাড়াও অন্যকোন ব্যক্তির তাক্বলীদ (অন্ধ অনুসরণ) করা যায়। অতএব, বুঝা গেল যে, হানাফী, শাফীঈ, মালিকি ও হাম্বলী মাযহাবের তাক্বলীদ করলে দোষণীয় হবে না। ————————————————————————————————— জবাব : ১. তাক্বলিদ তো এক ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। . #এই হাদিসে তো দুই জন ব্যক্তির অনুসরণের নির্দেশনা আছে। . #মাযহাবীরা কি দুই জন ইমাম বা মুস্তাহিদ এর তাক্বলিদ করা জায়েয বলবেন? . #মাযহাবী আপনারা দুই জন ইমাম এর তাক্বলিদ করতে চান না ? যেমন- ইমাম শাফি রঃ এবং ইমাম আবু হানিফা রঃ . #এখন আপনার এক জন যেমন ইমাম আবু হানিফা রহ তাক্বলিদ এর পক্ষে একটা দলিল দেন ? . #উপরের মাযহাবীদের বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি। (আমিন) . #যদি এই হাদিস দিয়ে তাক্বলীদ বুঝে থাকেন তাহলে #আবু বাকার রাঃ ও #ওমারের রাঃ #নামে মাযহাব না করে অন্যদের নামে করলেন কেন? . #এটা কি রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আদেশ অমান্য হয়ে গেল না? . #এটাই কি আপনাদের রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আনুগত্যের নমুনা!!!! . #আসলে তাক্বলীদ আপনাদের মাথা নষ্ট করে দিয়েছে। . #যে কারণে সব সময়ই খুজতে থাকেন কিভাবে তাক্বলীদকে জায়েয বানানো যায়। . এই হাদিসটি বুঝতে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন- ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা যিনার অপরাধে জনৈকা পাগলীকে ধরে এনে ওমার (রা.) এর নিকট হাজির করা হয়। তিনি এ ব্যাপারে লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। এই সময় আলী (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, এর কি হয়েছে? উপস্থিত লোকেরা বলল, সে #অমুক গোত্রের পাগল মহিলা। সে যিনা করেছে। ওমার (রা.) তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, তাকে নিয়ে ফিরে যাও। #অতপর, তিনি (আলী (রা.)) ওমার (রা.) এর নিকট এসে বললেন, হে আমিরুল মুমিনীন, আপনি কি জানেন না ৩ (তিন )ধরণের লোকের উপর থেকে ক্বলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (ক) পাগল যতণ না সে সুস্থ হয়, (খ) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতণ না জাগ্রত হয়, (গ) অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু যতণ না সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। #ওমার (রা.) বললেন, হ্যাঁ। আলী (রা.) বললেন, তাহলে তাকে পাথর মারা হবে কেন? তিনি বললেন, কোন কারণ নেই। আলী (রা.) বললেন, তবে তাকে ছেড়ে দিন। বর্ণনাকারী বললেন, ওমার (রা.) তাকে ছেড়ে দিলেন এবং আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করলেন। -আবু দাউদ, সহীহ, অধ্যায়ঃ ৩৩, কিতাবুল হুদুদ, অনুচ্ছেদঃ ১৬, পাগল চুরি বা হাদ্দযোগ্য অপরাধ করলে, হাদিস # ৪৩৯৯। . এই হাদিসটির প্রতি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন। #আলী (রা.) যখন ওমার (রা.) এর ভুল ধরলেন তখন কিন্তু #ওমার (রা.) বলেননি যে, রসূলুল্লাহ্ (স.) আমার আনুগত্য করতে বলেছেন তারপরেও তুমি আমার ভুল ধরেছ কেন? . বরং ওমার (রা.) তাঁর ভুল স্বীকার করে ভুলটি শোধরে নিয়েছেন। . তাহলে বুঝা গেল যে, ওমার (রা.) এর অনুসরণও কুরআন এবং হাদিসের আলোকে হতে হবে তাক্বলীদের আলোকে নয়। . এ বিষয়টি আরো ভালভাবে বুঝতে নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন- সালিম বিন আব্দুল্লা হ্শামের এক লোক থেকে শুনেছেন সে আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমার (রা.) কে প্রশ্ন করেছিলেন তামাত্তু হাজ্জ জায়েজ না’কি নাজায়েয? তিনি বললেন, জায়েয। #প্রশ্নকারী বললেন, আপনার পিতা তো (ওমার রা.) এটা নিষেধ করেছেন। #আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমার (রা.) বললেন, আমাকে বল আমার আব্বা নিষেধ করেছেন আর রসূলুল্লাহ (স.) করেছেন এখন আমার আব্বার নির্দেশ মানব না’কি রসূলুল্লাহ্ (স.) এর নির্দেশ মানবো? #প্রশ্নকারী বললেন, বরং রসূলুল্লাহ্ (স.) এর হুকম-ই মানতে হবে। ইবনু ওমার (রা.) বললেন, আসল বিষয় হলো রসূলুল্লাহ্ (স.) তামাত্তু হাজ্জ করেছেন।” - তিরমিযী, সহীহ, অধ্যায়ঃ ৭, কিতাবুল হাজ্জ, অনুচ্ছেদঃ ১৩, তালবিয়া পাঠ করা, হাদিস ৮২৪। . এই হাদিস থেকে আরো বুঝা গেল যে, স্বহাবায়ে কিরামগণ ওমার (রা.) এর তাক্বলীদ করতেন না। . তাহলে কি স্বহাবায়ে কিরামগণ রসূলুল্লাহ্ (স.) এর আদেশ লংঘন করেছিলেন? (নাউযুবিল্লাহ্) . মোটেই নয়। . তাহলে রসূলুল্লাহ্ (স.) আবু বাকার ও ওর্মা (রা.) এর অনুসরণ করতে বলতে কি বুঝিয়েছেন? . মূলতঃ রসূলুল্লাহ্ (স.) বুঝিয়েছেন তাঁর (স.) পরে যেন আবু বাকার এবং ওমারকে খালীফা হ্বানানো হয়। এভাবে বুঝ নিলেই হাদিস বুঝা সহজ হবে। . আল্লাহ আমাদের হারাম কাজ হতে রক্ষা করুক। . {{~Wait & See~}} —————————————————————————————————

    কোউ ভুল করলে তার ঐই কথা টুকু বাদ দিতে হবে।

    কোউ ভুল করলে তার ঐই কথা টুকু বাদ দিতে হবে। ------------- ----------------------------------------------------
  • আতী'উল্লা ওয়া আতী'উর রসূল


  • ------------- --------------------------------------------------- প্রমাণ কুরআনের আয়াত:
    আল্লাহ বলেছেন, (অনেক আয়াতে)

  • ""আতি'উল্লা ওয়া আতি'উর রাসূল""


  • সূরা নং ও আয়াত নং

    • ৩/৩২,১৩২;




    • ৪/১৩,৫৯,৬৯,৮০;




    • ৫/৯২;



    • ৮/১,২০,৪৬;



    • ৯/৭১;



    • ২৪/৪৭,৫২,৫৪;



    • ৩৩/৩১,৩৩;



    • ৪৭/৩৩;



    • ৪৮/১৭;



    • ৪৯/১৪;



    • ৫৮/১৩;



    • ৭৩/১৫,১৯



    খালি একটি আয়াতে আছে
    "" ইয়া~আইয়ুহাল লাযীনা আমানূ~আতী'উললাহা ওয়া আতী'উর রসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম ফাইন তানাযা'তুম ফী শাই'য়িন ফারুদদুহু ইল্লাল্লাহি ওয়ার রসূলি ইন কুনতুম তু'মিনূনা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি যালিকা খইরুওঁ ওয়া আহছানু তা'ওয়ীলা""
    [[59. ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺃَﻃِﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﻃِﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻭَﺃُﻭﻟِﻲ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮِ ﻣِﻨﻜُﻤْۖﻔَﺈِﻥ ﺗَﻨَﺎﺯَﻋْﺘُﻢْ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ ﻓَﺮُﺩُّﻭﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻟْﺂﺧِﺮِۚﺫَٰﻟِﻚَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻭَﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺗَﺄْﻭِﻳﻠًﺎ হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। ]](নিসা ৪/৫৯)

    • এখানে কি উলিল আমরি পূর্বে ""আতি""শব্দ আছে যে তাদের কে মানতেই হবে?



    তাদের কথা যত টুকু আল্লাহ ও তার রাসূলের কথার সাথে মিলবে সেটুকু মানতে হবে।
  • বরং তাদের কথা আল্লাহ ও তার রাসূলের কথার বিরূদ্ধে যায় তবে তাদের মানা যাবে কি?


    • না আল্লাহ ও রাসূলের মানবে?



    কুরআন ও সহি হাদিসের আলোকে জীবন গড়ার আল্লাহ তৌফিক দান করোন

    (আমিন)