সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

মা

بسم الله الرحمن الرحيم "মা" কুরআনের ভাষায় - ووصينا الانسان بوالديه احسانا )আনকাবূত -৮( "মা" কথাটি হৃদয়বীণার সবগুলো তারে টোকা দেয়ার সামর্থ্য রাখে।"মা" যিনি হৃদয়ের গভীরের সর্বোচ্চ স্রোত।একটি শর্তহীন ভালবাসার নাম। "মা" হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী,যিনি গর্ভধারণ,সন্তানের জন্ম,সন্তানকে লালন-পালন,উত্তমচরিত্র গঠন,সর্বোপরি অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম। "মা" এমন একটি শব্দ,যে শব্দটি এক সর্গীয় পূণ্যতায় হৃদয়-মনকে অমিয় সুধায় প্লাবিত করে।বাংলা ভাষায় প্রথম শব্দ "ওম"।যার প্রচলিত রুপ "মা"।'ম' ধ্বনিটি সবচেয়ে সহজবোধ্য।পৃথিবীতে যতগুলো প্রসিদ্ধ ভাষা রয়েছে প্রায় সব ভাষায় 'ম' ধ্বনিটি বিদ্যমান।যেমন- ইংরেজীতে Mother, আরবীতে উম্মুন,হিন্দী আম্মা,উর্দূ আম্মি ইত্যাদি। "মা"যদি কল্যাণকামী না হতেন তবে মানবসভ্যতার চাকা শ্লথ হয়ে যেতো।সন্তানের প্রতি মায়ের এই তীব্র মমতার ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান বলে, মায়ের দুধে এক প্রকার রাসায়নিক যৌগিক পদার্থ আছে,যা সন্তানের দেহে প্রবেশ করলে মা ও সন্তানের মধ্যে সৌহার্দ্যের নিবিড় বন্ধন সৃস্টি হয়।মায়ের ভালবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় সম্ভব নয়।ইসলাম ধর্মে মাকে দেয়া হয়েছে অতুলনীয় মর্য্দা।হযরত আসমা বিনতে আবু বকর )রা.( থেকে বর্ণিত,বুখারী শরীফে সংকলিত হাদীসে "মা" মুশরিকা হলেও তাঁর সাথে ভালো ব্যাবহার করতে রাসূল )স.( নির্দেশ দিয়েছেন। মাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই।মায়ের প্রতি ভালবাসা সর্বমুহূর্তের।তবুও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার "মা" দিবস পালিত হয়ে আসছে।আবু হুরায়রা )রা.( থেকে বর্ণিত বুখারী শরীফে চয়িত আনুগত্য বেশি পাওয়ার হকদার হিসেবে ক্রমান্বয়ে তিনবার রাসূল )স.( মা'র কথা বলেছেন।"মা" ছোট্ট শিশুর প্রথম ভালবাসা।মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে জন্মের পরেও তিল তিল করে নাড়িছেড়া ধনকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন "মা"। মায়ের হৃদয়ের প্রবাহমান রক্তকণিকায় রয়েছে সন্তানের জন্য ভালবাসা।"মা" মা-ই,তাঁর কোনো ভিন্নরুপ নেই - জন গে। প্রেসিডেন্ট,উচ্চপদস্­থ কর্মকর্তা,ডাক্তার,ইঞ­্জিনিয়ারবা নিচুতলার যে কেউ থাকুক সন্তানের কাছে তাঁর পরিচয় তিনি গর্ভধারিণী "মা"।নবী করীম )স.( ফাতেমা )রা.( কে মা বলে ডাকতেন এবং পরম শ্রদ্ধায় দুধ মা হালিমাকে চাদর বিছিয়ে দিতেন।একমাত্র মায়ের জন্যই অসুবিধার সম্মুখীন হলে ইসলাম নামাজ ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে।মা'র দিকে অনুগ্রহের নজরে তাকালে প্রতিটি দৃস্টির বিনিময়ে কবুল হজ্বের সওয়াব পাওয়া যায়।একজন মা-ই তাঁর সন্তানের পক্ষ থেকে উত্তম আচরণ, সম্মান ও মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। "This person is never poor,who has mother" - আব্রাহাম লিংকন। এছাড়া মা সম্পর্কে নেপোলিয়ন এর বিখ্যাত উক্তি রয়েছে।প্রাণের প্রথম স্পন্দন থেকেই সন্তানের সঙ্গে মায়ের দেহ-মন-প্রাণ-আবেগ, অনুভূতির সম্পর্ক একসূত্রে গ্রথিত হয়ে যায়।সন্তানের জন্য মায়ের আশীর্বাদের স্নেহঝর্ণা প্রবাহিত হতেই থাকে। বর্তমান সমাজে সন্তান দ্বারা মা নির্যাতন,হত্যারমত লোমহর্ষক ঘটনা ও বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধি ঘটছে।মায়ের প্রতি সঠিক হক আদায় মায়ের অধিকার নিশ্চিতকরণে আশাতীত সুফল বয়ে আনতে পারে।আল্লাহর বাণী- واخفض لهما خناح الذل من الرحمة وقل رب ارحمهما كما ربياني صغيرا বনী ইসরাইল-২৪ আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন- মায়ের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সন্তান যেন "উহ" শব্দটিও না বলে। মনের মাঝে সর্বোচ্চ আসনটি মায়ের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং বার্ধক্যের একাকীত্বে সন্তানেরই উচিত মাকে সঙ্গ দেয়া।সর্বদা তাঁর খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে।কবির ভাষায়- "মায়ের আঁচল নিয়ে তোমরা যারা আছো মা'র স্নেহের ছায়ায় বুঝবে কি করে বলো মা ছাড়া এ জীবন কত অসহায়,,,,,,,

মা

=মা= আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তাদের মাতা-পিতার ব্যাপারে উত্তম আচরণের তাকিদ প্রদান করেছি। কেননা তার মা কষ্টের পর কষ্ট স্বীকার করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে এবং দুই বছর পর সে বুকের দুধ খাওয়া ছেড়েছে। তুমি তোমার নিজের সৃষ্টির জন্য আমার শোকর আদায় করো এবং তোমার লালন-পালনের জন্য পিতা-মাতারও কৃতজ্ঞতা আদায় করো।’ (সূরা লুকমান, আয়াত নং-১৪)। পবিত্র কুরআন মজিদের এ বর্ণনাভঙ্গিতে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, মা সেবা, ভালবাসা, আনুগত্য, ভাল আচরণ ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার বেশি অধিকারী। সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একজন সাহাবী নবী করিম সা: এর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন­ আমার কাছে খেদমত পাবার সবচেয়ে বেশি হকদার কে? রাসূলে করিম সা: বললেন­ তোমার মা। -তারপর? -তোমার মা। -তারপর? -তোমার মা। -তারপর? -তোমার পিতা এবং তারপর পর্যায়ক্রমে তোমার আত্মীয়-স্বজন।’(বুখারী, মুসলিম) একবার এক ব্যক্তি রাসূলে করিম সা:-এর কাছে হাজির হয়ে অভিযোগ করল­ হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা খারাপ মেজাজের মানুষ। প্রিয় নবী সা: বললেন­ ‘নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহতভাবে যখন সে তোমাকে পেটে ধারণ করে ঘুরে বেড়িয়েছে, তখনতো সে খারাপ মেজাজের ছিল না।’ -হজরত! আমি সত্য বলছি সে খারাপ মেজাজের।’ -তোমার খাতিরে সে যখন রাতের পর রাত জাগত এবং নিজের দুধ পান করাত, সে সময়তো সে খারাপ মেজাজের ছিল না।’ -আমি আমার মায়ের সেসব কাজের প্রতিদান দিয়ে ফেলেছি।’ -সত্যিই কি তুমি তার প্রতিদান দিয়ে ফেলেছ?’ -আমি আমার মাকে কাঁধে চড়িয়ে তাঁকে হজ করিয়েছি।’ -তুমি কি তাঁর সেই কষ্টের বদলা বা প্রতিদান দিতে পার, যা তোমার ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সে স্বীকার করেছে?’ একবার হজরত জাহিমাহ রা: রাসূলে করিম সা:-এর খিদমতে হাজির হয়ে বললেন­ হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করাই আমার ইচ্ছা। এখন এ ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণের জন্য আপনার কাছে এসেছি, বলুন এ ব্যাপারে আপনার নির্দেশ কি? -তোমার মা কী জীবিত আছেন? -জ্বী, জীবিত আছেন। -তাহলে তুমি ফিরে যাও এবং তার খিদমতেই লেগে থাক। কেননা তার পায়ের নিচেই জান্নাত। (ইবনে মাযাহ, নাসায়ি শরিফ)। মায়ের খেদমতের গুরুত্ব সম্পর্কে সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন­ ‘আল্লাহর নৈকট্য এবং সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মায়ের সাথে উত্তম আচরণের চেয়ে বড় আমল আমার জানা নেই।’ মা যদি অমুসলিমও হয় তবুও তার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং তার সম্মান ও খেদমত করতে হবে। হজরত আসমা রা: বলেন­ ‘রাসূল সা:-এর জীবিতাবস্খায় আমার মা মুশরিকা থাকাকালীন আমার কাছে আসে। আমি রাসূল সা:-এর খিদমতে আরজ করলাম­ -আমার মা আমার কাছে এসেছে অথচ সে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন। সে ইসলামকে ঘৃণা করে, এমতাবস্খায়ও কী আমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার করব? -অবশ্যই তুমি তোমার মায়ের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে থাক।’ (সহিহ বুখারি শরিফ)। পৃথিবীতে মায়ের খিদমত না করলে কিংবা মায়ের প্রতি কোনোরূপ খারাপ আচরণ করলে, মাকে কষ্ট ও দু:খ দিলে সন্তান যত ইবাদত-বন্দেগি আর নেকের কাজই করুক না কেন, তার পক্ষে জান্নাত লাভ করা কখনোই সম্ভব হতে পারে না। পরিশেষে বলা যায়, মায়ের সন্তুষ্টি ও তার মমতাপূর্ণ অন্তরের দোয়া দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। পক্ষান্তরে দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ভাগ্য হলো সন্তানের প্রতি মায়ের দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের বদদোয়া।

মা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রচনাঃ মা "আমি মানুষকে এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছি যে তারা যেন মাতা পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করে।তার মা কষ্ট করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছিল এবং কষ্ট করেই প্রসব করেছিল।তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান করাতে ত্রিশমাস লেগেছে....।"(সুরা আহকাফ ১৫) সুরা লোকমান ১৪আয়াতে বলা হয়েছে_"আর প্রকৃতপক্ষে আমি মানুষকে মাতা পিতার হক চিনে নেবার জন্য নিজেই তাকিদ করেছি , তার মা দূর্বলতা সহ্য করে তাকে নিজের গর্ভে ধারণ করে এবং দু বছর লাগে তার দুধ ছাড়াতে, আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং নিজ মাতা পিতার প্রতিও।আমার দিকেই তোমাকে ফিরে আসতে হবে।" মায়ের সেবার মর্যদাঃ একদা রাসুল সাঃ জান্নাতে প্রবেশ করে কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনেন , ফিরিশতা থেকে জানেন এটা হারিছা ইবনে নুমানের তিলাওয়াত।তখন রাসুল সাঃ বলেন , পূণ্যের প্রতিদান এমনই হয়,হারিছা ইবনে নুমান সকল মানুষের চেয়ে মায়ের সাথে সদাচরণকারী।(শরহে সুন্নাহ) মায়ের সেবাই জিহাদঃ মোআবিয়া রা বলেন আমার পিতা জামিমা রাসুল সাঃ খেদমতে হাজির হয়ে জিহাদে যাওয়ার পরামর্শ চান ,তখন রাসুল সাঃ বলেন,তোমার ঘরে মা আছে? তিনি বললেন হ্যাঁ।রাসুল সাঃ বললেন মায়ের সেবাকে অবলম্বন কর,জান্নাত তার পায়ের কাছে।(আহমাদ) মায়ের মর্যদা বেশীঃ একদা এক লোক রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞেস করল আমার নিকট সবচেয়ে সদাচরণ পাওয়ার উপযোগী কে? তিনি বললেন,তোমার মা।আবার জিজ্ঞেস করল তারপর কে ? তিনি বললেন তোমার মা ।আবার বলল ,তারপর? তিনি বললেন,তোমার মা ।লোকটি আবার জিজ্ঞেস করল তারপর ? নবী সাঃ বললেন তোমার বাবা । (বুখারী) মায়ের অবাধ্যতার পরিণামঃ রাসুল সাঃ বলেন, উপকার করে খোঁটাদানকারী ,মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদ্যপায়ী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।(নাসায়ী) রাসুল সাঃএর অভিশাপঃ রাসুল সাঃ বলেন,তার নাসিকা ধুলায় মলিন হোক ,এভাবে তিনবার বললেন ।সাহাবাগণ বললেন কে সে? রাসুল সাঃ বলেন যে মা বাবাকে অথবা একজনকে বার্ধক্যে পেল অথচ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলনা।(মুসলিম) মা ই জান্নাত জাহান্নামঃ একদা এক ব্যক্তি বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাঃ সন্তানের উপর মাতাপিতার হক কি ? রাসুল সাঃ বলেন তারা দুজনই তোমার জান্নাত জাহান্নাম ।(ইবনে মাজাহ) মায়ের দিকে নেক দৃষ্টিঃ রাসুল সাঃ বলেন কোন সদাচারী সন্তান নেক দৃষ্টিতে নিজের মাতাপিতার প্রতি তাকায় আল্লাহ তার প্রতিটি দৃষ্টির বিণিময় একটি কবুল (নফল) হজ্বের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন...(মিশকাত) মায়ের অবাধ্যতার শাস্তিঃ রাসুল সাঃ বলেন, প্রত্যেক পাপ আল্লাহ যতটুকু ইচ্ছা মাফ করে দেন কিন্তু মাতাপিতার অবাধ্যতার শাস্তি দুনিয়াতে মৃত্যূর আগেই প্রদান করেন। (মিশকাত) পরিশেষে বলবো, মা ই আমার জান্নাত।আল্লাহ মালিক ,পৃথিবীর সব সন্তানকে মায়ের কদর বুঝার পাশাপাশি মায়ের খিদমাতের মাধ্যমে জান্নাতের উত্তম হকদার হ ওয়ার তৌফিকদান করুন ।আমীন ইয়া রাব্বে কারীম ।

মা

"মা" কিছুই বুঝেনা, ব্যক্ত করতে পারেনা, কোনো শক্তি নেই কিছু বলার ও বুঝার, ক্ষুধা পেলে শুধু কান্নাই যার ভাষা, এমন একটি শিশুকে হাজারো বাঁধা বিপত্তির পর্বতমালা পেরিয়ে, বহু ত্যাগ তিতিক্ষার সাগর পাড়ি দিয়ে আঁচলে বাঁধা সুখের পরশে স্বযত্নে লালন-পালন করে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা সেই মমতাময়ী নারীই হলেন মা। মা অতি ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর ভালবাসার বিশালতা সীমাহীন। পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর শব্দটি হচ্ছে মা। জগৎ সংসারের শত দুঃখ-কষ্টের মাঝে যে মানুষটির একটু সান্ত্বনা আর স্নেহ-ভালোবাসা আমাদের সমস্ত বেদনা দূর করে দেয় তিনিই হলেন মা। মায়ের চেয়ে আপনজন পৃথিবীতে আর কেউ নেই। দুঃখে-কষ্টে, সংকটে-উত্থানে যে মানুষটি স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেয় তিনি হচ্ছেন আমাদের সবচেয়ে আপনজন মা। প্রত্যেকটি মানুষ পৃথিবীতে আসা এবং বেড়ে ওঠার প্রধান ভূমিকা মায়ের। মায়ের তুলনা অন্যকারো সঙ্গে চলে না। মা হচ্ছেন জগতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ সবকিছুর উর্দ্ধে মা। মা মানে একরাশ অন্ধকারে এক বুক ভালবাসা, মা মানে সুন্দর জীবন, মা মানে সুন্দর জাতির উপহার। মা এমনই এক মমতাময়ী, চিরসুন্দর, চির শাশ্বত, যার নেই কোন সংজ্ঞা। মধু মিশ্রিত এক মহৌষধের নাম মা। ছোট্ট শিশুর প্রথম ভালবাসা, নিরাপত্তা আর মমতায় গড়া মায়ের কোল, সেই উষ্ণতার পরশে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চায় মন। বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে মা'কে ঘিরে জমা হয় ভালবাসা, অভিমান আর দুষ্টুমির শত শত গল্প। সঙ্কটকালে কেবলই মনে হয় যদি সব কিছু ছেড়ে মা"য়ের স্নেহমাখা কোলে মুখ লুকাতে পারতাম, তবে পৃথিবীর কোন কষ্টই আমাকে স্পর্শ করতে পারতোনা। পৃৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মা। মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত। মায়ের সেবা শুশ্রুষার দ্বারা জান্নাতের হকদার হওয়া যায়। বাবার তুলনায় ইসলাম মায়ের অধিকার অধিক ঘোষণা করেছে। প্রিয় নবী (সা.) পরিণত বয়সে মায়ের সান্নিধ্য পাননি। এ জন্য তিনি আফসোস করতেন। মায়ের সেবা করতে না পারার কষ্ট তার অন্তরে সর্বদা উপলব্দি করতেন। এ জন্য তিনি দুধমাতা হালিমা সাদিয়াকে (রা.) নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। সন্তানের জন্য মায়ের এক রাতের কষ্টের বিনিময় আদায় করা যাবে না কোনোভাবেই। মায়ের সঙ্গে নম্র আচরণ, যথাসাধ্য সেবা শুশ্রুষা এবং কায়মনোবাক্যে তার প্রতিদানের জন্য প্রভুর দরবারে দোয়া করলে মায়ের হক যৎকিঞ্চিত আদায় হতে পারে। মা সন্তানের জন্য জান্নাতের পথ করে দেন। যে সন্তান মায়ের সান্নিধ্য গ্রহণ করার পাশাপাশি মাকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে তারাই সাফল্যের সন্ধান পেয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, 'আর তোমার পালনকর্তা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, তোমরা কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সুব্যবহার করবে। যদি তাদের মধ্যে একজন কিংবা দু’জনই তোমার কাছে বৃদ্ধ বয়সে অবশ্যই পৌঁছে যায়, তাহলে (তাদের খিটখিটে ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে) তাদের তুমি উহ্ শব্দও বলবে না এবং তাদের ধমকও দেবে না। আর তাদের সঙ্গে তুমি সম্মানজনক কথা বলবে এবং তাদের জন্য দোয়ার মধ্য থেকে নম্রতার বাহু ঝুঁকিয়ে দাও। সাহাবি আবু উমামাহ (রা.) বলেন, একজন লোক বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.) সন্তানের ওপর পিতা-মাতার অধিকার কী? তিনি (সা.) বললেন, তারা দু’জন তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের আদর্শ মোতাবেক মায়ের মর্যাদা প্রদান করে জান্নাত অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা কি মুজতাহিদগন Lutfor Faraji Vs Ijharul Islam Al- kawsary

Lutfor Faraji Vs Ijharul Islam Al- kawsary

একই Company বা ফিরকায় হানাফির দুই মুফতির বক্তব্য "" ইজতিহাদী মাসআলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে""

===========

এই ক্ষেত্রে Lutfor Faraji বলেছে, ""চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা নবী নয় মুজতাহিদগন""

অপর দিকে Ijharul Islam Al-kawsary বলেছে , "একইভাবে ইজতিহাদী মাসআলার ক্ষেত্রেও শরীয়তের নিদর্েশ হলো, মুজতাহিদ সাধ্য অনুযায়ী গবেষণা করবে। এক্ষেত্রে ভুল হলে এক সওয়াব। সঠিক হলে দু'সওয়াব।
মুজতাহিদকে প্রতে্যকটি মাসআলার চূড়ান্ত সত্য বের করার দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এজন্য ইজতিহাদী মাসআলায় নিজের গবেষণাকে চূড়ান্ত সত্য মনে করাটা 1:মূলত: নিজেকে আল্লাহ ও তার রাসূলের আসনে বসানোর শামিল। ##ইজতিহাদী মাসআলার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সত্যটি অজানা


আমার মন্তব্য: এত দেখি শত্রুর থেকেও বড় মহা শত্রু Lutfor Faraji Vs Ijharul Islam Al- kawsary


দুই জনের আইডি লিংক দেওয়া হল ID Link:

Lutfor Faraji Click This Link

And ID Link :

:Ijharul Islam Al- kawsary Click This Link

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬

হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ

হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ এর লেখক শত শত বছর পর ৫৯৩ হিজরীতে এসে "মার গানের অধিবাসী"বুরহানউদ্দীন মারগানী" হিদায়া নামক কিতাব রচনা করে ঘোষণা দিলেন: "নিশ্চয় হিদায়া কিতাব খানা কুরআনের মতো"নিশ্চয় এটা তার পূর্ববর্তী রচিত সকল গন্থরাজীকে রহিত করে ফেলেছে"(নাউযুবিল্লাহ)(হিদায়া মুকাদ্দামা আখেরাইন-৩য় খন্ড) "হানাফিদের কাছে কুরআনের মত"(হিদায়া ৩য় খন্ড ২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবি। মাদ্রাসা পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজিল পাঠ্য ভূমিকা পৃঃ ৬ আরাফাত পাবলিকেশন্স) এই মতবাদের খন্ডন। আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনকে উদ্দেশ্য করে নিচের আয়াতে চ্যালেঞ্জ করেছে= "আপনি বলে দিন,যুদি মানুষ এবং জ্বিন সকলে এ উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় যে এ কুরআনের মতো (কুরআন) রচনা করে আনবে তথাপিও কুরআনের অনুরূপ আনয়ন করতে পারবে না,যুদিও তারা একে অন্যের সাহায্যকারী হয়"(সূরা বানী ইসরাঈল/ইসরা ১৭নং আয়াত ৮৮;) সূরা হূদ ১১ আয়াত ১৩; সূরা বাকারাহ ২ আয়াত ২৩-২৪; আলোচক মুফতি মীর মোয়াজ্জম হোসাইন সাইফী হানাফি ফিকাহ এর কিতাব"হিদায়া" হানাফিদের জন্য বিপদ

হিদাইয়াহ গ্রন্থ কি আল কোরআনের সমান? Click This Link

কওমীদের জন্য । আবূ হানিফার (রঃ) জন্ম - ৮০ হিজরীতে । আল হিদায়া গ্রন্থ পরিচয় : এ গ্রন্থখানি মুখতাসারুল কুদূরীর ব্যাখ্যা ।লেখক হলেন আলী বিন আবী বকর । ব্যাখ্যা গ্রন্থকানি লেখা হয় ৫৯৩ হিজরীতে । মুখতাসারুল কুদূরীর (৫৯৩-৪২৮)=১৬৫ বছর পর ।মুখতাসারুল কুদূরীর লেখকের সাথে হিদায়ার লেখকের কোন দিন সাক্ষাত হয় নাই ।তিনি কোন দলিলের ভিত্তিতে কোন মাসআলাহ বলেছেন তা কোন প্রকারে তার নিকট হতে জানতে পারেন নাই ।তবুও মুখতাসারুল কুদূরীর বিরট ব্যাখ্যা তানি লিখেছেন । এই ব্যাখ্যার মূল্যায়ন হানাফীদের নিকট কুরআনের ন্যায় । হিদায়া ৩য় খন্ড,২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবী ।মাদ্রাসার পাঠ্য হিদায়াঃ ফাজেল ক্লাসের পাঠ্য, ভূমিকা পৃঃ ৬, আরাফাত পাবলিকেশন্স ।গ্রন্থখানি কওমী মাদ্রাসা ও উঁচু শ্রেণীতে পড়ানো হয় । গ্রন্থকার পরিচিতি : হিদায়ার লেখক কোন হাদিশবিদ ছিলেন না ।ফলে তিনি জাল ,যঈফ সকল শ্রেণীর হাদিশ নির্বিচারে দলিল হিসাবে পেশ করেছেন । তিনি ৫১১ হিজরিতে তুর্কি আঞ্চলের কারাগার নামক প্রদেশের মুরগিনান নামক শহরে জন্মগ্রহন করেন। তিনি সমরকন্দ (তুর্কিঅঞ্চলের)নামক শহরে ৫৯৩ হিজরিতে মৃত্যুবরন করেন । ঐ শহরে মুসলিমদের ,খৃষ্টানদের ,ইহুদীদের কবরস্থানের নাম ছিল আলাদা আলাদা । ঐ আঞ্চলের মুসলিমরা কেবল মাত্র কোরআন ও হাদিশ মানে চলতেন ,কোন মাঝাব কেও মানত না । কবর স্থানের নাম গুলি হল , মুসলিম _ মুহাম্মাদী খৃষ্টান _ঈসায়ী ইহুদী _ইহুদী হিদায়ার লেখক মারা যাবার পর মুহাম্মাদী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে দাফন করতে বাঁধা দেওয়া হয় ।তখন লেখকের ভক্তগন অন্যত্র দাফন করেন । হিদায়া -ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর (৫৯৩-১৫০)=৪৪৩ বত্সর পর (মৃত্যুর বছরকে লেখার বত্সর ধরা হয়েছে) লেখা হয়েছে । হিদায়ার লিখক ইমাম আবু হানিফার মূত্যুর (৫১১-১৫০)=৩৬১ বছর পর জন্ম নিয়ে কিভাবে ইমাম আবু হানিফার মতামত অবগত হলেন তার কোন সূত্রই বলেন নাই হিদায়াতে । অতএব সূত্রবিহীন কারো কোন কথা মান্য করা ইসলামে জায়েয নাই ।(সহিহ মুসলিম ১ম খন্ড) । [উপরোক্ত বিষয় লিখার মদ্ধ্য ভূল থাকলে আমাকে জানাবেন ।]

কাঠমোল্লারা মাযহাবকে ফরজ বা ওয়াজিব করে কি ভাবে

তথাকথিত কাঠমোল্লা অরুফে মাওলানারা চার মাযহাব ফরজ বা ওয়াজিব বানায় কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা দিয়ে। আফসোস..... প্রচলিত চার মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হলো রাসূল সা: এর মৃত্যুর কয়েকশ বছর পর, অথচ ফরজ বা ওয়াজিব হওয়ার দলিল দিচ্ছে কুরআন ও হাদীস দিয়ে!! সত্যিই বিশ্ময়কর!!