রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

সাওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী

সাওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী

============ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে সওম (রোজা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন করো। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ৩০ পূর্ণ কর।” নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২, স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১২,
আমর বিন দিনার (রহ.) কর্তৃক ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৪, ২১২৫, অনুচ্ছেদঃ ১৩,
মানসূর (রহ.) কর্তৃক রিবঈ (রহ.) সূত্রে উক্ত হাদিস বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৯,২১৩০, তিরমিযী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৬, কিতাবুস্ সাওম, অনুচ্ছেদঃ ৫,
নতুন চাঁদ দেখে সাওম (রোজা) ও (ঈদুল) ফিতর পালন, হাদিস ৬৮৮, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৮৬ (হাদিসটি নাসাঈর বর্ণনা)।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, “রসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন কর। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ত্রিশ পূর্ণ করো। বুখারী, অধ্যায়ঃ ৩০, কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১১,

নবী (স.) এর কথা, যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখো তখন স্বওম (রোজা) আরম্ভ কর। আবার যখন নতুন চাঁদ দেখো তখনই (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন কর, হাদিস ১৯০৯, মুসলিম,অধ্যায়ঃ ১৩, কিতাবুস সওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ২,

নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন করা এবং নতুন চাঁদ দেখে (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন করা এবং মাসের প্রথমে বা শেষের দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ১৭,১৮,১৯,২০/১০৮১, নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২,স্বিয়াম, অনুচ্ছেদঃ ৯,

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশদিন পূর্ণ করা, হাদিস ২১১৭, ২১১৮, অনুচ্ছেদঃ
এই হাদিসে যুহুরী হতে বর্ণনায় বিরোধের আলোচনা, হাদিস ২১১৯, অনুচ্ছেদঃ ১১,
ওবায়দুল্লাহ্ ইবনু ওমার থেকে এই হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২২, ২১২৩, তিরমিযী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
রমজান মাস আসার পূর্ব থেকে স্বিয়াম পালন না করা, হাদিস ৬৮৪, ইবনু মাজাহ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৭, কিতাবুস্ স্বিয়াম, অনুচ্ছেদঃ ৫,
রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের দিন স্বওম রাখা নিষেধ কিন্তু কারো নিয়মিত স্বওম রাখাতে সেদিন পৌঁছলে তার জন্য নয়, হাদিস ১৬৫০, অনুচ্ছেদঃ ৭,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম ও ঈদ পালন করা, হাদসি ১৬৫৫, বায়হাক্বী (সুনানুল কুবরা), স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১০,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৭৯৩২, ৭৯৩৩, ৭৯৩৪, ৭৯৩৫, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৮৫ (হাদিসটি নাসাঈর বর্ণনা)।

আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমার (রা.) থেকে বর্ণিত, “রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) রমজানের কথা আলোচনা করে বললেন,চাঁদ না দেখে তোমরা সওম (রোজা) পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন করবে না। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে তার সময় (৩০) পূর্ণ করবে।” - বুখারী, অধ্যায়ঃ ৩০, কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ৫,
রমজান বলা হবে, না রমজান মাস বলা হবে? যে বলে, উভয়টাই বলা যাবে, হাদিস ১৯০০, অনুচ্ছেদঃ ১১,

নবী (সাঃ) এর কথা যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখো তখন স্বওম (রোজা) আরম্ভ কর। আবর যখন নতুন চাঁদ দেখো তখনই (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন কর, হাদিস ১৯০৬, ১৯০৭, মুসলিম, অধ্যায়ঃ১৩,কিতাবুস্ স্বওম(রোজা), অনুচ্ছেদঃ ২,

নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন করা এবং নতুন চাঁদ দেখে (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন করা এবং মাসের প্রথমে বা শেষের দিন মেখাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৩,৪,৬,৭,৮,৯/১০৮০, নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২, স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১২,

আমর বিন দিনার (রহ.) কর্তৃক ইবনু আব্বাস(রা.) থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৪, বায়হাক্বী (সুনানুল কুবরা), স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১০,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৭৯২৫, ৭৯২৮, ৭৯৩১, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৯০ (হাদিসটি বুখারীর বর্ণনা)।

এই হাদিস গুলো থেকে বুঝা যায় যে, স্বওম (রোজা) এবং ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী।

শিক্ষাঃ ১। সওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা শর্ত।

২। রমজান মাস সঠিক সময়ে পাওয়ার জন্য শা’বানের চাঁদের হিসাব রাখা জরুরী।

************************************************************************** =================

শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?

প্রশ্ন : GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কথা বলছে যে তারা কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?

জবাবঃ

কিছু মুর্খ দেখা যাচ্ছে আজকাল একই দিনে ঈদ ও সিয়ামের বিরোধিতা করতে গিয়ে GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কথা বলছে যে তারা কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?

আসলে মূর্খ গুলোর এ ব্যাপারে কোন জ্ঞানই নাই।

GMT/UTC 13 কেন হয়েছে জানার চেষ্টা করুন।

তারা তাদের ডেট লাইন পরিবর্তন করেছেন। এবং তারা ডে লাইট সেভিংস ব্যবহার করে।

Click This Link

GMT/UTC 13 কেন হয়েছে তা জানার চেষ্টা করুন।

Click This Link



এরা আসলে বিরোধীতা করতে করতে অন্ধ হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য পৃথিবীর মধ্যে সময়ের পার্থক্য সর্বোচ্চ 12 অথবা -12 এর বেশি হবে না।

এটাই সর্বাধিক সঠিক মত।

যে সব দেশে 13/ 14 GMT তারা নিজেরা তাদের সুবিধার জন্য তাদের ডেট লাইন পরিবর্তন করেছে।

এবং তারা সময় বাচানোর জন্য ডে লাইট সেভিং সিস্টেম ব্যবহার করছে।

যেমন বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে সকাল ৭ টাকে ৮ টা হিসেব করা হয়েছিল।

তাই সেই সব মুর্খদের বলবো।

অন্ধভাবে আলেম পূজা ছেড়ে দাও।

নিজ দলের আলেম যা ব্যাখ্যা করছে সেটাই ঠিক এমন অহংকার জাহান্নামে ও নিতে পারে। সাবধান।

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

( ৭ তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??

( ৭তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??

________________________________________________________

1. রাসুল (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের দিন ১ হিজরী সাল ধরে ১ তারিখ নির্ধারণ করে ১২ মাসে বছর এভাবে হিজরী সাল গণনা হয় বিভিন্ন মানদ্বন্দে চাঁদ দেখা বা স্বাক্ষীর জন্য হিজরী সাল তারিখের গড়মিল হয়েছে।

আরবি তারিখ কার হিজরত দিয়ে গননা করতে হবে???

2. কুরআন নাযিল হয়েছে লাইতুল ক্বদরে (বাকারা-১৮৫; ক্বদর-১) । কুরআন কয় রাতে নাজিল হয়েছে??? বাংলা না নবী সাঃ এর দেশের আরবি তারিখে???

3. ঈদের দিন সাওম রাখা হারাম-হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের সলাত আদায় করেছি । তিনি বলছেন, এ দুই দিনের সাওম রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন । প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা সাওম শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে-(সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১) আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্নীত,রাসুল (সাঃ) রোযার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন (সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২) এক দেশে ঈদ হলে অন্য দেশে রোযা রাখে !! কে হারাম করে ?!

4. আরাফা (জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ) বাংলা বা অন্য দেশের সেদিন ৯ তারিখ থাকে না তো আপনারা কেন সাওম রাখেন ????
ও আশুরার (দশই মুহাররাম) তারিখের ফযিলত- হযরত আবু কাতাদাহ (রাজিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়-আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ ৪/১২৬ হাদিস নং ২৬১৪ কোন দেশের আরাফ ও আশুরার তারিখ সঠিক!!

5. জিলহজ্বের ১০ তারিখে (সউদীর চাঁদের উপর নির্ভর করে) হাজিগণ কুরবানী করেন । হজ্জের কয় দিন পরে ঈদুল আজহা ?????

6. হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত হবে ১০ই মুহাররমের শুক্রবার ।পৃথিবীতে কিয়ামত কোন দেশের তারিখ অনুযায়ী হবে ??
তাহলে বাংলায় এক অথবা ২য় দিন পরে কিয়ামত হবে সুন্দর তো বাংলার চাঁদ মাম ???!!

উপরের বিষয় গুলোর তারিখ যা চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়

যার যার নিজ দেশের চাঁদ উদয়ের উপর নির্ভর করে উক্ত তারিখ গণনা করলে সমগ্র বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিন হয় । আবার কোন দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয় ।

অর্থাৎ উক্ত দুই দেশে একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩১ বা ৩১/৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিল পাওয়া যায় না।

অতএব উক্ত দিনের তারিখ সঠীক না হলে গুনাহ্গার বা ফযিলত থেকে বঞ্চিত হতে হবে ।

সর্বজন স্বীকৃত যে উক্ত দিন (তারিখ) পৃথিবীতে একটাই হবে এবং আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে ।

একথা সকলেরই জানা, আরাফা, পবিত্র ঈদুল আযহা, আশুরা, পালনের দিন তারিখ বেশ কিছু দিন পূর্বেই সংবাদ পাওয়া যায় ।

যা বিশ্বে একই দিনে পালন করা সম্ভব । রমযান মাসের ১ম (যে কোন মাসের ১ম) তারিখ নির্ধারন এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর উপর নির্ভর করে ১ম রোজা এবং ঈদুল ফিতর (পরবর্তী মাস) ।

প্রত্যেক মাসের ১ম তারিখ নির্ধারনে বিশ্ব মুসলিম উম্মা এক হলেই সকল ইবাদত একই দিনে পালন করা সম্ভব হবে । (চলবে) ৮ম পর্বে -

বিশ্বে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা এবং Follow Saudi VS Follow Other (পর্ব ৬ষ্ট )

%% খারেজী বলা থেকে বিরত হন %% পূর্ণ জ্ঞানি মাদানি আলেমদের জন্য। ওনারা বলে বাংলাদেশে জসিমুদ্দিন রাহমানী সহ আরো বাংলার যারা সৌদির যে দিন ঈদ করে সে দিন ঈদ করে তারা ছাড়া আর কেহ সৌদির সাথে এক দিনে ঈদ করে না। নিচের লিস্ট দেখে আরো জ্ঞান অর্জন করবেন আর তওবা করতে পারেন আবার নাও পারেন , কোন কোন দেশ সৌদির সাথে এক দিনে ঈদ করেছে (৭৮ টি দেশ), বা করে থাকে। তোমরা কয়েকজন পণ্ডিত হয়ে বসে আছ। সৌদি কতৃপক্ষ ও খুশি, কিন্তু এদের হিংসা বা গাঁ জলে কেন? আমি (Ataur Rahman) নিজে গত কয়েক বছর নিজে সেই লিস্ট পোস্ট করি, moonsight ওয়েব সাইড থেকে Monday, 28 July 2014: 1.Afghanistan (Follow Saudi) 2.Albania (Follow Saudi) 3.Algeria (Follow Saudi) 4.Armenia (Follow Saudi) 5.Austria (Follow Saudi) 6.Azerbaijan (Follow Saudi) 7.Bahrain (Follow Saudi) 8.Bangladesh (Some areas follow Saudi) 9.Barbados (Local Sighting) 10.Belgium (Follow Saudi) 11.Bolivia (Follow Saudi) 12.Bosnia and Hercegovina (Follow Turkey) 13.Bulgaria (Follow Saudi) 14.Canada (FCNA/ ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America) 15.Chechnia (Follow Saudi) 16.Chile (Local Sighting) 17.China (Majority Follow MeccaCalendar.org) 18.Cosovo (Follow Turkey) 19.Croatia (Follow Turkey) 20.Denmark (Follow Saudi) 21.Egypt - Moon Born before sunset & moon sets at least 5 minutes after sunset 22.Fiji Islands (Late change of decision by Fiji Muslim League) http://www.fianz.co.nz/eid-ul-fitr-1435h 23.Finland (Follow Saudi) 24.France (Union des organisations islamiques de France) [also CFCM (Conseil français du culte musulman)] 25.Georgia (Follow Saudi) 26.Guyana (Accepted Chile sighting) 27.Hungary (Follow Saudi) 28.Iceland (Follow Saudi) 29.Indonesia (Claims of Sighting - Official Announcement) 30.Iraq (Sunnis Follow Saudi) 31.Ireland (ECFR - European Council for Fatwa and Research) 32.Italy (Follow Saudi) 33.Jordan (Follow Saudi) 34.Kazakhstan (Follow Saudi) 35.Kenya (Claims of sighting) 36.Kuwait (Follow Saudi) 37.Kyrgizstan (Follow Saudi) 38.Lebanon (Follow Saudi) 39.Libya (following others who declared Eid on Monday 28 July) 40.Luxembourg (ECFR - European Council for Fatwa and Research) 41.Macedonia (Follow Turkey) 42.Madagascer (Local Sighting) 43.Malawi (Local Sighting) 44.Malaysia (Age > 8 hours, altitude > 2°, elongation > 3°) 45.Mauritania (Follow Saudi) 46.Montenegro (Follow Turkey) 47.Namibia (Follow Saudi) 48.Netherlands (Follow Turkey) 49.New Zealand (Federation of Islamic Association of New Zealand) http://www.fianz.co.nz/eid-ul-fitr-1435h 50.Norway (Some follow Saudi) 51.Palestine (Follow Saudi) 52.Philippines (Follow Saudi) 53.Poland (Calculation) 54.Qatar (Follow Saudi) 55.Romania (Follow Saudi) 56.Russia (Follow Turkey) 57.Saudi Arabia (Official Announcement) 58.Serbia (Follow Turkey) 59.Slovania (Follow Turkey) 60.South Africa (Local Sighting) 61.Spain (Some Follow Saudi) 62.Sudan (Follow Saudi) 63.Sweden (Follow Saudi) 64.Switzerland (Follow Saudi) 65.Syria (Official Decision) 66.Taiwan (Follow Saudi) 67.Tajikistan (Follow Saudi) 68.Tatarstan (Follow Saudi) 69.Tunisia (Criteria of age, or altitude, or sunset-moonset lag) 70.Turkey (Somewhere on the globe Altitude > 5°, elongation > 8°) 71.Turkmenistan (Follow Saudi) 72.U.A.E. (Follow Saudi) 73.UK (Follow Saudi) [Coordination Committee of Major Islamic Centres and Mosques of London] 74.UK (Local Sighting) [Wifaaqul ulama), (Ahle Sunnat Wal Jamaat], OR (Sighting from South Africa) 75.USA (FCNA/ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America) 76.Uzbekistan (Follow Saudi) 77.Yemen (Completed 30 days) 78.Zimbabwe (South Africa Sighting) পরদিন ঈদ করেছে, নিচের দেশ গুলা - 1.Australia (Local Sighting) 2.Brunei (Local Sighting) 3.China (Some follow Local Sighting) 4.Hong Kong (Local Sighting) 5.India (Local Sighting) 6.Iran (Local Sighting) 7.Iraq (Shi'aas Follow Local Sighting) 8.Morocco (Local Sighting) 9.Oman (Local Sighting) 10.Pakistan (Local Sighting) 11.Spain (Some Follow Morocco) 12.Sri Lanka (Local Sighting) 13.Tanzania (Local Sighting)

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব) ________________________________________ _Mufti Sana Ullah এই সম্মাণিত মুফতি কে উদ্দেশ্য করে এবং তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে_ জনাব মুফতি (শবে বরাত পাট্টি) সাহেব আপনি বলুন :: ১. "শব" শব্দের অর্থ কি ?? ২. "বরাত" অর্থ কি ?? ৩. "শবে বরাত" এই দুই শব্দ মিলে কি অর্থ হয় ?? ৪. "শবে বরাত" কাকে বলে ?? ৫. "কুরআনে কোন আয়াতে ভাগ্য রজনীর কথা বলা হয়েছে ????? ৬: "দুখানের বর্ণিত রাত যেটা ((আমি একে (কুরআন ) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।সূরা আদ দুখান-3-4) এখানে কয় রাতে কুরআন নাজিল এর কথা বলা হয়েছে ??? ৭. "কুরআন নাজিলের রাতে কি এই আয়াতে "লাইলাতুল মুবারাকা" বলা হয়েছে (এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ৮. "এই কথা কি কুরআন নাজিলের রাতের সাথে (এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ___________________________ ধরুন মানলাম আপনার কথা এখন তাহলে বলুন : 1.কুরআন নাজিল হয়েছে শাবান মাসে !!!! দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন লিংকে } ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

{ }{ বিঃদ্রঃ ১- কপি বাজি লিংক বাজি সরাসরি ডিলেট করা হবে }{ }{বিঃদ্রঃ ২- জনাব আশা করি উত্তর গুলো একে একে দিবেন }{ ______________________________________________________ ////সংগ্রহ:- যাকে উদ্দেশ্য কর নোট লেখা তার নাম ১ম কমান্ট দেখান : ০৪. (ক) শবে বরাত যে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ রজনী তার দলীল কোরআন থেকে- প্রথমত একটি বিষয় জানা প্রয়োজন যে, আমরা কসম করে থাকি মহান সত্ত্বা আল্লাহর নামে, আর সেই আল্লাহ নিজেই যদি তার কোন সৃষ্টিকে নিয়ে কসম করে, তাহলে তার মহত্ব কেমন হতে পারে? ❏আহলে হাদীস ভাইদের নয়নের শিরোমণী শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) বলেন- ﻣﺠﻤﻮﻉ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ (1/ 290 ) ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗِﻪِ ﻟِﺄَﻧَّﻬَﺎ ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﻭَﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗُﻪُ. ﻓَﻬِﻲَ ﺩَﻟِﻴﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺑُﻮﺑِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﺃُﻟُﻮﻫِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﻭَﺣْﺪَﺍﻧِﻴِّﺖِﻩِ ﻭَﻋِﻠْﻤِﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻣَﺸِﻴﺌَﺘِﻪِ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﺣِﻜْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋَﻈْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋِﺰَّﺗِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﺄَﻥَّ ﺇﻗْﺴَﺎﻣَﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺗَﻌْﻈِﻴﻢٌ ﻟَﻪُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ . ....মহান আল্লাহ তার সৃষ্টির কোন কিছু নিয়ে কসম করা, তা ঐ জিনিষের মহান গুরুত্ব সন্মান ইত্যাদির উপর বুঝায়....। মাজমুউল ফাতাওয়া-১/২৯০। ❏ এখন দেখুন মহান আল্লাহ নিজেই পবিত্র কোরআনে শবে বরাত নিয়ে কসম করেছেন- ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺠﺮﺟﺎﻧﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ (ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ: 471ﻫـ ) ﻓﻰ ﺩﺭﺝ ﺍﻟﺪﺭﺭ ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻵﻱ ﻭﺍﻟﺴﻮﺭ (2/ 709 ) 2 - {ﻭَﻟَﻴﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ:} ﺍﻟﻈّﺎﻫﺮ ﺃﻧّﻬﻦّ ﻟﻴﺎﻟﻲ (4 ) ﺍﻷﻳﺎﻡ ﺍﻟﻤﻌﻠﻮﻣﺎﺕ، (5 ) ﻭﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻬﻦّ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺠﺎﺋﺰﺓ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺰﺩﻟﻔﺔ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺘﺎ ﺍﻟﻨّﺤﺮ، ﻭﻟﻴﺎﻟﻲ ﻣﻨﻰ، ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺙ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨّﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺃﺭﺑﻊ ﻟﻴﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻠّﻮﺍﺗﻲ ﺇﺣﺪﺍﻫﻦ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ. (5 ) ﻳﻨﻈﺮ: ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ (19233 ) ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺜﻌﻠﺒﻲ 10/ 191، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ 6/ 217، ﻭﺍﻟﻜﺸﺎﻑ 4/ 749 . অর্থাৎ : পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আল ফজরের শুরুতেই মহান আল্লাহ বলেন- শপথ দশ রাত্রির, উক্ত দশ রাত্রি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, কিন্তু আল্লামা জুরযানী (রহ.) বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ সব রাত্রি যাতে পুরুস্কার ঘোষনা করা হয়েছে যেমন ..... শবে বরাত..। দারজুদ দুরার-২/৭০৯। ❏ উল্লেখ যে উক্ত দশ রাত্রির ব্যাখ্যায় কোন কোন মুফাসসের বলেন, যিলহজের দশ রাত্রি, আবার কেউ বা বলেন, মাহে রমজানের শেষ দশ রাত্রি ইত্যাদি বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ❏ বিখ্যাত তাবেয়ী মাসরুককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ (4/ 376 ) 8120 - ﻋَﻦْ ﻣَﻌْﻤَﺮٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ ﻗَﺎﻝَ: ﺳُﺌِﻞَ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٌ ﻋَﻦِ {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ} [ﺍﻟﻔﺠﺮ: 2 ] ﻗَﺎﻝَ: «ﻫِﻲَ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺃَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔِ » {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ } এই আয়াত দ্বারা কি উদ্দেশ্য? তিনি বললেন বছরের সব উত্তম রাত্রিগুলো উদ্দেশ্য। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৪/৩৭৬, হাদীস-৮১২০। আর শবে বরাত বছরের একটি উত্তম রজনী তা আমরা হাদীস দ্বারা আলোচনা করেছি। ✏ ৪. (খ) মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আরোও বলেন- ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ (7/ 225 ) ﺣﻢ (1 ) ﻭَﺍﻟْﻜِﺘﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ (2 ) ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ (3 ) ﻓِﻴﻬﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ (4 )............. ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻛَﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ ﺍﻟﺦ হা-মীম, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। সূরা আদ দুখান-১-৪। উক্ত আয়াতে ‘‘বরকতময় রাত’’ নিয়ে মুফাসিরদের মাঝে মতানক্য রয়েছে, কেউ বলেন, সেই রাত্রি হলো লাইলাতুল কদর আবার কেউ বা বলেন, শবে বরাত। কিন্তু লাইতালুল কদর এটি অধিক গ্রহণযোগ্য মত। তাফসীরে ইবনে কাসীর-৭/২২৫। আর এই ব্যাখ্যা আহলে হাদীসদের নয়নের শিরোমনি আব্দুর রহমান মুবারকপুরীও বলেছেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী:৩/৩৬৭) ❏ সারকথা হলো, পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাবিদগণ কোন না কোন ভাবে পবিত্র কোরআন থেকেও শবে বরাতের দিকে ইংঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যা তার মহত্বের প্রতি ইংঙ্গিত বহন করে।////

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব) _____________________________________________ %ভারতীর দেওবন্দী ,কবর পূজারী বেরলোভী ,পির পূজারী জর্দা খুরদের দাবী % শবে বরাত হল ভাগ্য রজনী যা ১৫ শাবান দলিল দেয় নিচের আয়াত থেকে 3 . ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। 4 . ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। এই কথা দিয়ে বলে (প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।) এটা হল শবে বরাত !!!! এদের কথা মত এটা দাড়ায় যে কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে শবে বরাতে কারন আয়াতে বলা আছে (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে) কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে এদের মতে" ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে" কেননা এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় !!!!!! _____________________________________________ জবাব :: কুরআন নাজিল হয়েছে " ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে " না রামাদানে দেখুন নিচের লিংকে কারন কুরআন নাজিল আর দুখানে আয়াতে বণির্ত রাত এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ২য় অংশ

Click This Link

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৩য় অংশ (পর্ব) .

Click This Link

{ }

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (৩য় পর্ব)

আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন উল্লেখ নেই ____________________________________________________________ শবে বরাত বলুন আর লাইলাতুল বারায়াত বলুন কোন আকৃতিতে শব্দটি কুরআন মাজীদে খুজে পাবেন না। সত্য কথাটাকে সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন মাজীদে ""শবে বরাতের"" কোন আলোচনা নেই। সরাসরি তো দূরের কথা আকার ইংগিতেও নেই। অনেককে দেখা যায় ""শবে বরাতের"" গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের প্রথম চারটি আয়াত পাঠ করেন। আয়াতসমূহ হলঃ "হা- মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। < u> এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়।" (সূরা দুখান, ১-৪) শবে বরাত পন্থী আলেম উলামারা এখানে বরকতময় রাত বলতে ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন। আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে বরকতময় রাতের অর্থ ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা আল্লাহর কালাম বিকৃত করার মত অপরাধ। কারণঃ (এক) কুরআন মাজীদের এ আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যা সূরা আল- কদর দ্বারা করা হয়। সেই সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ "আমি এই কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য মালাইকা (ফেরেশ্তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এই শান্তি ও নিরাপত্তা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। "(সূরা কাদর, ১-৫) অতএব বরকতময় রাত হল লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল বারায়াত নয়। সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল এই সূরা আল-কদর। আর এ ধরনের ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল- কুরআনের এক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াত দ্বারা করা হল সর্বোত্তম ব্যাখ্যা। (দুই) সূরা দুখানের লাইলাতুল মুবারাকার অর্থ যদি ""শবে বরাত"" হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে বরাতে নাযিল হয়েছে। অথচ আমরা সকলে জানি আল- কুরআন নাযিল হয়েছে রামাযান মাসের লাইলাতুল কদরে। যেমন সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন, "রামাযান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন।" (তিন) অধিকাংশ মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন বরকতময় রাত বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে। তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী হওয়ার কারণে পরিত্যাজ্য। এ বরকতময় রাতের দ্বারা উদ্দেশ্য যদি শবে বরাত হয় তাহলে শবে কদর অর্থ নেয়া চলবেনা। (চার) উক্ত আয়াতে বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা শবে বরাত করা হল তাফসীর বির-রায় (মনগড়া ব্যাখ্যা), আর বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা লাইলাতুল কদর দ্বারা করা হল কুরআন ও হাদীস সম্মত তাফসীর। সকলেই জানেন কুরআন ও হাদীস সম্মত ব্যাখ্যার উপসি'তিতে মনগড়া ব্যাখ্যা (তাফসীর বির-রায়) গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। (পাঁচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে কাসীর, কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা দুখানের ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ শবে বরাত নেয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। (তাফসীরে মায়ারেফুল কুরআন দ্রষ্টব্য) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) তাঁর তাফসীরে বলেছেনঃ “কোন কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল মধ্য শাবানের রাত (শবে বরাত)। কিন্তু' এটা একটা বাতিল ধারণা।” অতএব এ আয়াতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ এর অর্থ লাইলাতুল কদর। শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়। (ছয়) ইকরামা (রঃ) বরকতময় রজনীর যে ব্যাখ্যা শাবানের ১৫ তারিখ দ্বারা করেছেন তা ভুল হওয়া সত্ত্বেও প্রচার করতে হবে এমন কোন নিয়ম- কানুন নেই। বরং তা প্রত্যাখ্যান করাই হল হকের দাবী। তিনি যেমন ভুলের উর্ধ্বে নন, তেমনি যারা তার থেকে বর্ণনা করেছেন তারা ভুল শুনে থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়। (সাত) শবে বরাতের গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত- মাউত, রিয্ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান- নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ করা হয়। আর শবে বরাত উদযাপন কারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন। তারা এর উপর ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের চেয়ে ১৫ শাবানের রাতকে বেশী গুরুত্ব দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত আয়াত উপস'াপন করেন তারা মানুষকে সঠিক ইসলামী আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে- প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না। (আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস্তারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক। (আল জামে লি আহকামিল কুরআন, সূরা আদ-দুখানের তাফসীর দ্রষ্টব্য) লাইলাতুল বারাআত হল লাইলাতুল কদরের একটি নাম। শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের নাম নয় ইমাম শাওকানী (রহ.) তার তাফসীর ফতহুল কাদীরে একই কথাই লিখেছেন। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর : ইমাম শাওকানী দ্রষ্টব্য) এ সকল বিষয় জেনে বুঝেও যারা ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ করবেন শবে বরাত, তারা সাধারণ মানুষদের গোমরাহ করা এবং আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি __________________________________________________ প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই? সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খোঁজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছেতার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি। শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই। এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল- কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই।অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে। ____________________ অতএব এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত অভিহিত করা মানুষের মনগড়া বানানো একটি বিদ‘আত যা কুরআন বা হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।