কেউ যদি দাবী করে যে,
ইজতিহাদী মাসআলায় তার বক্তব্য বা মতই চূড়ান্ত, তাহলে তিনটি সম্ভাবনা আছে, ১. সে আল্লাহ অথবা আল্লাহর রাসূল । ২. তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসে। ৩. উপরের দু'টি না ঘটে থাকলে এ লোকটি যে তার দাবীতে মিথু্যক, সেটাই চূড়ান্ত। প্রথম দু'টি বিষয় ছাড়া রাসূল স. এর ইন্তেকালের পরে ইজতিহাদী মাসআলায় কোন মতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে দেয়ার দাবীদার হয়তো চূড়ান্ত মিথ্যুক নতুবা নিজের মতকেই শরীয়ত বা ওহী মনে করে। কোন মুজতাহিদ ইমাম ইজতেহাদের ক্ষেত্রে এই দাবী করে না যে, তার মতটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু হানাফী (হাপানি) জাহেল মুকাল্লীদ Lutfor Faraji এই দাবী করে যে, আমাদেরটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব) ফরাজী
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব)
শরীয়তের যেসব মাসআলায় গবেষণার সুযোগ আছে, সেখানে চূড়ান্ত সত্যটি আমাদের অজানা।
লেবেলসমূহ:
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দাতা,
দেওবন্দী,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
হানাফি,
Lutfor Faraji
বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬
সত্যি কি ৮ রাকাত তারাবীহ ১২৫০ হিজরীর পর উৎপত্তি হল ?
লেখাটা ১ বছর আগের
{{ বিঃদ্রঃ ১২৫০ হিজরী পৃর্বে ৮ রাকাআত তারাবীহ ছিল কি না এটাই প্রমাণের জন্য এই পোষ্ট }}
% আমি আল্লাহর বান্দা" "নো দলাদলি" "নো আহলে হাদিস আমি" "আমি আল্লাহর বান্দা" %
______________________________________________
____________________________________________________________________________________________
৮ রাকাত তারাবীর প্রমাণিত একটি দলিল .
আসসালাম ওয়ালাইকুম
এক ভাই নাম ধারী হানাফি একটি পোষ্ট করে জানালেন -
"১২৫০ হিজরী পরে
যেভাবে ৮ রাকাআত
তারাবী উৎপত্তি
হলো"
সর্বপ্রথম ১২৮৫
হিজরীতে লা-
মাজহাবি আলেম
মুহাম্মাদ হুসাইন
বিটালভী এই ফতোয়া প্রচার করেছিলেন যে,
" ৮ রাকাআত তারাবী পড়া সুন্নাত এবং ২০ রাকাআত তারাবীর নামায পড়া বিদআত । "
তাহলে সত্যি কি ৮
রাকাত তারাবীহ ১২৫০ হিজরীর পর উৎপত্তি হল ?
আসুন ইনশআল্লাহ
এর জবাবটি খুঁজি
হাসান হাদিস (যা গ্রন্থকার নিজে হাসান বলেন) কি বলে ?
তারাবীহ সালাত যে ৮ রাকাত এর প্রমাণিত একটি দলিল উল্লেখ করি আগে ।
2nd
হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে মুসনাদ আহমদে । দেখুন-
ইমাম আহমদ নিজে
হাদিসটির সনদকে '
হাসান ' হিসাবে
উল্লেখ করেছেন ।
এখন একটু দেখি ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল (রহঃ) এর জন্মকাল এবং মৃত্যুকাল কবে ?
2nd
আমি যদি ধরেই নেই ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল (রহ) উক্ত হাদিসটি তাঁর
ইন্তাকালের শেষ
বয়সে অর্থাৎ ২৪১
হিজরিতে বর্ণনা করে যান ,
তাহলে যে ভাই বলেন '
"১২৫০ হিজরী পরে
যেভাবে ৮ রাকাআত
তারাবীহ উৎপত্তি
হলো"
এটা আমার
কাছে খুবই হাস্যকর
মনে হয় এবং গাজাঁখুরী ।
আপনাদের কাছে কি মনে হয় ?
[[ না হলে বলতে হবে ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল (রহ) এর মৃত্যু ১২৫০ হিজরীতে ]]
{ বাড়তি কমেন্ট বাতিল করা হবে }
মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬
মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না -চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ
মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না - এটা আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ
-------------------------------
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন?
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন।
তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না?
আমি বললামঃ হ্যা, আল্লাহর রাসূল!
তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেন নি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন।
তাকে তিনি (সুবহানাহু তাআলা) বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব।
সে (জাবিরের পিতা) বললঃ হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আবা আপনার রাহে নিহত হতে পারি।
বারাকাতময় আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না।
এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরান: ১৬৯)
[তিরমিযি: হা: ৩০১০; হাসান (আলবানী, যুবাইর আলী যাই, ইমাম তিরমিযী)
------------------------
মহান আল্লাহ বলেনঃ
যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। না এটা হবার নয়; এটাতো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত। [সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০]
{{ কপি }}
আইডি ডিজেবল ফিরিয়ে আনা
আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। ফিরিয়ে আনার কোন ওয়ে আছে?
ai link a jaya Full details den.. and id card dea den.
https://m.facebook.com/help/contact/260749603972907?refid=69
বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬
পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য অজুর "ফরয বা রুকন নয়"
জাকির নায়েকের
নামে তোলা মিথ্যা অপবাদের জবাব
""পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়"""
________________________________________________________________________
ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে
লা মাযহাবী লিডার আবু হানিফা
এর অনুসারী দেওবন্দী, বেরোল্ভী,
নামধারী নাস্তিক ও
ইহুদি খ্রিস্টানদের
এজেন্টদের
তোলা প্রচারিত
অভিযোগের
সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযোগ
" পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য
কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়""
এর দলীল
ভিত্তিক খন্ডন
নিচে করা হলো :
________________________________
অভিযোগ খন্ডন এবং জবাব :
প্রথম কথা বিষয়টি একতেলাফী।
কাজেই যদি জাকির
নায়েককে এ
বিষয়ে কটাক্ষ করা হয় তাহলে তাদেরকে করতে হবে যারা এর পক্ষে
.........
মানুষের বেশিরভাগ
সময় অজু
থাকে না।আর
যদি অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা না যায় তাহলে বেশিরভাগ সময় কুরআন পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর কুরআন
পড়া থেকে বিরত
রাখা শয়তানের কাজ।
যারা বলে অজু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে না তারা সূরা ওয়াক্বিয়ার ৭৯ নং আয়াতের রেফারেন্স
দিয়ে থাকেন।
আয়াতটি নিম্নরূপ
ﻻَ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇﻻَّ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥ َ.
আয়াতখানির মূল
শব্দ (Key words)
হচ্ছে তিনটি।
যথা-মাস্
( ﻣَﺲٌّ )=স্পর্শ
করা/
ধারে কাছে আসা,
উপলব্ধি করা,
হু ( ﻩُ )
= ঐ
এবং মুতাহ্হারুন
( ﻣُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥَ )=পাক-
পবিত্র।
মূল শব্দ তিনটি অপরিবর্তিত রেখে আয়াতখানির সরল অর্থ দাঁড়ায়
“মুতাহ্হারুন (পাক- পবিত্র) ব্যতীত ঐ কুরআন কেউ মাস্ (স্পর্শ) করতে পারে না।”
আগের দুটি আয়াত
সহ দেখলে অর্থ হয
“নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সুরক্ষিত গোপন
কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঐটি স্পর্শ করতে পারে না।” (৫৬:৭৭-৭৯)
এখানে যে কুরআনের কথা বলা হয়েছে তা পৃথিবীর কুরআন
নয়, এটা লাওহে মাহফুজের
কুরআন।
আর পাক-পবিত্র
বলতে ফেরেস্তাদেরই
বুঝানো হয়েছে।
কারন,
________________
১. যখন এই আয়াতগুলি নাজিল
হয় তখন সম্পুর্ন কুরআন নাজিল হয় নি। তাই
পৃথিবীর কুরআন এই আয়াত গুলিতে উল্লেখিত সুরক্ষিত
গ্রন্থ হতে পারে না।
________________
২. “( ﻩُ )=ঐ”
দ্বারা দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন বুঝিয়েছে।
আর দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন
হচ্ছে লাওহে মাহফুজের কুরআন।
________________
৩. এখানে “স্পর্শ
করো না” উল্লেখ
নেই। উল্লেখ
আছে “স্পর্শ
করতে পারে না”।
পৃথিবীর
কুরআন যে কেউ স্পর্শ করতে পারে।
তাই ঐটি পৃথিবীর
কুরআন নয়
লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন।
এই আয়াতে ‘মুতাহ্হারুন’
শব্দের অর্থ
ইবনে কাছির ও
আশরাফ আলী থানবী এর মতে ‘নিষ্পাপ ফেরেস্তা’,
মুফতি শফীর মতে বিপুল সংখ্যক
সাহাবী,তাবেয়ী অনুযায়ী এটা হবে ‘নিষ্পাপ’,
মউদুদীও
একে ‘নিষ্পাপ’
অনুবাদ করেছেন।
তাই কুরআন স্পর্শ
করতে বা পড়তে অজু কোনও বিষয় নয়।
যারা মানেন তাদের
জন্য নিচে দুটি
হাদিসও উল্লেখ করছিঃ
“ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত।
একদা রাসূল (সা.)
শৌচাগার হতে বের
হয়ে আসলে তাঁর
সামনে খাবার
উপস্থিত করা হল।
তখন লোকেরা বলল, আমরা কি আপনার জন্যে অজুর পানি আনব না?
তিনি বললেন, যখন নামাজের
প্রস্তুতি নিব শুধু
তখন অজু করার
জন্যে আমি আদিষ্ট
হয়েছি।” (তিরমিযী,
আবু দাউদ,
নাসায়ী)
“আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.)
পায়খানা হতে বের
হয়ে বিনা অজুতে আমাদের কুরআন
পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশত খেতেন।
তাঁকে কুরআন
হতে বাধা দিতে পারত না বা বিরত
রাখত না জানাবাত
(গোসল ফরজ) ব্যতীত অন্য কিছু।” (আবু দাউদ,
নাছায়ী ও
ইবনে মাজাহ)
উপরোক্ত আয়াতের
প্রকৃত অর্থ দাঁড়ায়
[৫৬:৭৯]
যারা আন্তরিক তারা ব্যতিত কেউই
এটা উপলদ্ধি করতে পারে না।
আন্তরিকতাহীন
যারা সন্তষ্ট নয়
শুধুমাত্র কুরআনে তারা ঐশ্বরিকভাবে
কুরআন বুঝা থেকে
প্রতিরোধ প্রাপ্ত হয়।
এই ধারনা কুরআনে বারবার দেওয়া হয়েছে (১৭:৪৫-৪৬,১৮:৫৭)
।
ফলে তারা এই আয়াতটিও বুঝতে পারে না।
৭:৩,১৭:৪৬,৪১:৪৪ ,
এবং ৫৬:৭৯ এর
অনুবাদস্বমূহ
মিলিয়ে দেখুন।
তাই অজুর অজুহাতে কুরআন থেকে দূরে থাকার অর্থই হয়
না।
[কপি করা ও শেয়ার করা যাবে]
লেবেলসমূহ:
ডাঃ জাকির,
দেওবন্দী,
মাযহাব,
হানাফি,
Lutfor Faraji
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬
মুক্বাল্লিদ হল পশু/ জীব/জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ -আইম্মাহগন বলেনঃ
মুক্বাল্লিদ হল পশু /জীব /জানোায়ার
সদৃশ/তুল্য চীজ -
আইম্মাহগন বলেনঃ
=======================================================
আমি মুক্বাল্লিদ
সম্প্রদায়কে গলায়/
ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করায় কতিপয় জাহিল বড়ই
মর্মাহত হয়েছে। তারা এটাকে কর্কশ ও রূঢ বলে উল্লেখ করেছে।
এখন আমি-ই বা কি
করতে পারি,
মুক্বাল্লিদ
সম্প্রদায়কে গলায়/
ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে সালাফে সালিহিন আমার অগ্রগামী হয়েছে - তাঁরা পূর্বসুরি, আমি
তো উত্তরসুরি।
মুকাল্লিদ সম্প্রদায়
সম্পর্কে আমার বহু
পূর্বেই আইম্মায়ে
সালাফগণ মূল্যায়ন
করে গেছেন - পশুর
কথা সেখানেই এসেছে,
আমি কেবল তা আমার
মত করে ভাষান্তর
করেছিঃ.
==========================================================
.
ইমাম ইবন আব্দুল বার বলেছেন,
ﻭﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﻌﺘﺰ :
» ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺑﻬﻴﻤﺔ ﺗﻘﺎﺩ
ﻭﺇﻧﺴﺎﻥ ﻳﻘﻠﺪ «
]ﺟﺎﻣﻊ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻓﻀﻠﻪ :
ﺑﺎﺏ ﻓﺴﺎﺩ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﻧﻔﻴﻪ
ﻭﺍﻟﻔﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ
ﻭﺍﻻﺗﺒﺎﻉ ]
আব্দুল্লাহ বিন
মু'তাঝ (রঃ) বলেল,
" বেড়ী দেয়া [বাধ্য
হওয়া] পশু/জীব/
জানোয়ার আর
মুক্বাল্লিদের মধ্যে
কোনও পার্থক্য নাই"
[(জামি' বায়ানুল 'ইলম - তাক্বলীদের ফ্যাসাদ...
...অনুচ্ছেদ)]
.
আবূ যায়েদ কাযী
ওবায়দুল্লাহ আদ-
দাবূসী (মৃঃ ৪৩০
হিঃ/১০৩৯ খ্রিঃ)
বলেছেন,
"তাক্বলীদের সারমর্ম
এই যে, মুক্বাল্লিদ
নিজেকে চতুষ্পদ
জন্তুর সাথে একাকার
করে দেয় .. ...
মুক্বাল্লিদ যদি
নিজেকে এজন্য জন্তু
বানিয়ে নেয় যে, সে
বুদ্ধি-বিবেক ও
অনুভূতিহীন, তাহলে
তার (মস্তিষ্কের)
চিকিৎসা করানো
উচিৎ।"
[(তাক্ববীমুল
আদিল্লাহ ফী
উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ
৩৯০; মাসিক ‘আল-
হাদীছ’, হাযরো, সংখ্যা ২২, পৃঃ ১৬)]
.
এছাড়া আরও
সমালোচনা রয়েছে
-
যার মোটামুটি বাংলা
হলঃ
---------------------------------------------------------------------------.
হাফিয যায়লাঈ (রঃ)
বলেছেনঃ-
ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ
‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে
এবং মুক্বাল্লিদ
মূর্খতা করে’
[নাসবুর রায়াহ, ১/২১৯]
.
বদরুদ্দীন ‘আইনী
বলেছেনঃ-
ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ
ﻭﺁﻓﺔ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ
‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ
মূর্খতা করে। আর
তাক্বলীদের কারণে
সকল বিপত্তি’
[আল-বিনায়া শারহ
হিদায়া, ১/৩১৭]
.
ইমাম ত্বাহাবী (রঃ)
হতে বর্ণিত আছে যে,
তিনি বলেছেনঃ-
ﻭﻫﻞ ﻳﻘﻠﺪ ﺇﻻ ﻋﺼﺒﻲ ﺃﻭ ﻏﺒﻲ
কট্টর/গোঁড়া ও
আহাম্মক ব্যতীত
কেউ তাক্বলীদ করে
কি?
[লিসানুল মীযান,
১/২৮০]
.
– হাফিয শাইখ যুবায়ের
আলী যাঈ (রঃ)
লেবেলসমূহ:
দেওবন্দী,
নাস্তিক,
মাযহাব,
লা মাযহাবী,
সুফিবাদ,
হানাফি,
Lutfor Faraji
সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬
শবে বরাতী বিদ’আতীদের সর্বশেষ অস্ত্রঃ
শবেবরাতী
বিদ’আতীদের
সর্বশেষ অস্ত্রঃ
===============
===========
শবে বারাত যায়েজ
করার জন্য
বিদ’আতীরা
সর্বশেষ অস্ত্র
হিসাবে যে কথা বলে
থাকে তা হলো,
“ফজিলতের
ক্ষেত্রে জঈফ
হাদীস পালন যোগ্য।”
কোন হাদীস দূর্বল
তখনই হয় যখন তার
বর্ণনাকারীর কেউ
মিথ্যূক,
স্মরনশক্তি না
থাকা, শিয়া
আক্বীদা সম্পন্ন
হওয়া ইত্যাদি দোষ
অভিযুক্ত থাকে।
মুসলীম শরীফের
মোকাদ্দমা অধ্যায়টি
পর্যালোচনা করলে
দেখা যায় যে,
সালাফগণের
আক্বীদা ছিলো
জঈফ রাবীদের
নিকট হতে তারা
হাদীস গ্রহণ
করতেন না। আমি
নিচে তার কয়েকটি
উল্লেখ করলামঃ
■ হাদীস একঃ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕُ ﺑْﻦُ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ
ﺍﻟْﺤَﻨْﻈَﻠِﻲُّ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻋِﻴﺴَﻰ، -
ﻭَﻫُﻮَ ﺍﺑْﻦُ ﻳُﻮﻧُﺲَ - ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ
ﺍﻷَﻭْﺯَﺍﻋِﻲُّ، ﻋَﻦْ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦِ
ﻣُﻮﺳَﻰ، ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻘِﻴﺖُ ﻃَﺎﻭُﺳًﺎ
ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﻓُﻼَﻥٌ، ﻛَﻴْﺖَ
ﻭَﻛَﻴْﺖَ . ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ
ﺻَﺎﺣِﺒُﻚَ ﻣَﻠِﻴًّﺎ ﻓَﺨُﺬْ ﻋَﻨْﻪُ
-সুলায়মান ইবনু মুসা
(আঃ) থেকে বর্ণিত
যে, তিনি বলেন,
আমি তাউস (রহঃ)
এর সঙ্গে সাক্ষাৎ
করলাম এবং বললাম,
অমুক ব্যক্তি
আমাকে এরূপ হাদীস
শুনিয়েছেন। তিনি
বললেন, সে ব্যক্তি
যদি নির্ভরযোগ্য
হয়, তা হলে তাঁর
থেকে হাদীস গ্রহণ
করো।
[সহীহ মুলসীম
মোকাদ্দমা,
অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের
সনদ বর্ণনা করা
নির্ভরযোগ্য বর্ণনা
ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ
না করা....]
■ হাদীস দুইঃ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻧَﺼْﺮُ ﺑْﻦُ ﻋَﻠِﻲٍّ
ﺍﻟْﺠَﻬْﻀَﻤِﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ
ﺍﻷَﺻْﻤَﻌِﻲُّ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ
ﺍﻟﺰِّﻧَﺎﺩِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻗَﺎﻝَ
ﺃَﺩْﺭَﻛْﺖُ ﺑِﺎﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﻣِﺎﺋَﺔً
ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﻣَﺄْﻣُﻮﻥٌ . ﻣَﺎ ﻳُﺆْﺧَﺬُ
ﻋَﻨْﻬُﻢُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚُ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻴْﺲَ
ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻠِﻪِ
-ইবনু আবু যিনাদ
(রহঃ) তাঁর পিতার
সূত্রে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন আমি
মদীনার একশ’ জন
লোকের সাক্ষাৎ
পেয়েছি যারা মিথ্যা
থেকে নিরাপদ
ছিলেন, তবুও তাদের
কাছে থেকে
হাদীসগ্রহণ করা
হতো না, কেননা
তাদের সম্পর্কে বলা
হতো যে, তাদের কেউ
হাদীস বর্ণনা করা
ক্ষেত্রে যোগ্য নন।
[সহীহ মুলসীম
মোকাদ্দমা,
অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের
সনদ বর্ণনা করা
নির্ভরযোগ্য বর্ণনা
ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ
না করা....]
■ হাদীস তিনঃ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻋُﻤَﺮَ
ﺍﻟْﻤَﻜِّﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥُ، ﺡ
ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮِ ﺑْﻦُ ﺧَﻼَّﺩٍ
ﺍﻟْﺒَﺎﻫِﻠِﻲُّ، - ﻭَﺍﻟﻠَّﻔْﻆُ ﻟَﻪُ - ﻗَﺎﻝَ
ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥَ ﺑْﻦَ ﻋُﻴَﻴْﻨَﺔَ،
ﻋَﻦْ ﻣِﺴْﻌَﺮٍ، ﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻌْﺖُ
ﺳَﻌْﺪَ ﺑْﻦَ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻳَﻘُﻮﻝُ
ﻻَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇِﻻَّ
ﺍﻟﺜِّﻘَﺎﺕُ
-মুহাম্মদ ইবুন আবু
উমার আল মাক্কী ও
আবু বাক্বর ইবনু
খাল্লাদ আল বাহিলী
(রহঃ) .. মিস’আর
(রহঃ) থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি
বলেন, আমি সা’দ
ইবনু ইব্রাহীমকে
বলতে শুনেছি,
নির্ভযোগ্য ব্যক্তি
(সিকাহ) ব্যতিত
অন্য কারো কাছে
থেকে রাসুলুল্লাহ
(সঃ) এর হাদীস
গৃহীত হবে না।
[সহীহ মুলসীম
মোকাদ্দমা,
অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের
সনদ বর্ণনা করা
নির্ভরযোগ্য বর্ণনা
ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ
না করা....]
■ হাদীস চারঃ
ﻛَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤَﺮْﺀِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ﺃَﻥْ
ﻳُﺤَﺪِّﺙَ ﺑِﻜُﻞِّ ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻊَ
-কোন ব্যক্তি
মিথ্যাবাদী হওয়ার
জন্য এতটুকুই
যথেষ্ট যে, সে যা
শুনে তাই বলে
বেড়ায়।
[সহীহ মুলসীম
মোকাদ্দমা,
অধ্যায়ঃ৩, যা শুনে তা
বর্ণনা করা নিষিদ্ধ]
►►দেখুন সাহাবীরা
নির্ভরযোগ্য
ব্যক্তি ব্যতিত
হাদীস গ্রহণ করতে
নিষেধ করছেন, আর
আপনি দূর্বল
ব্যক্তির হাদীস
অবলিলায় গ্রহণ
করছেন! আপনার বুঝ
কি সাহাবীদের
চাইতে ভালো?
বস্তুত জঈফ বা
দূর্বল হাদীস হলো
রাসূল ﷺ এর সূন্নাহর
ব্যাপারে কিছু
অনুমান-ধারণার
সৃষ্টি করে মাত্র।
অথচ কোরআন ও
হাদীসে এমন অনুমান
নিষেধ, নিচে তার
প্রমান দেখুনঃ
মহান আল্লাহ বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺘَّﺒِﻊُ ﺃَﻛْﺜَﺮُﻫُﻢْ ﺇِﻟَّﺎ ﻇَﻨًّﺎ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻟَﺎ ﻳُﻐْﻨِﻲ ﻣِﻦَ
ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺷَﻴْﺌًﺎ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻔْﻌَﻠُﻮﻥَ
-আসলে তাদের
বেশীরভাগ লোকই
নিছক আন্দাজ -
অনুমানের পেছনে
চলছে৷ অথচ আন্দাজ
-অনুমান দ্বারা
সত্যের প্রয়োজন
কিছুমাত্র মেটে না৷
তারা যা কিছু করছে
তা আল্লাহ
ভালভাবেই জানেন৷
[সূরা ইউনুস ৩৬]
মহান আল্লাহ আরও
বলেন,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺇِﻥ
ﺟَﺎﺀَﻛُﻢْ ﻓَﺎﺳِﻖٌ ﺑِﻨَﺒَﺈٍ ﻓَﺘَﺒَﻴَّﻨُﻮﺍ
ﺃَﻥ ﺗُﺼِﻴﺒُﻮﺍ ﻗَﻮْﻣًﺎ ﺑِﺠَﻬَﺎﻟَﺔٍ
ﻓَﺘُﺼْﺒِﺤُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰٰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠْﺘُﻢْ
ﻧَﺎﺩِﻣِﻴﻦَ
-হে ঈমান
গ্রহণকারীগণ, যদি
কোন ফাসেক
তোমাদের কাছে কোন
খবর নিয়ে আসে
তাহলে তা অনুসন্ধান
করে দেখ৷ এমন যেন
না হয় যে, না জেনে
শুনেই তোমরা কোন
গোষ্ঠীর ক্ষতি করে
বসবে এবং পরে
নিজেদের
কৃতকর্মের জন্য
লজ্জিত হবে৷[সূরা
হুজুরাত ৬]
এ সম্পর্কিত এক
হাদীস হলোঃ -আবূ
হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত রাসূল ﷺ
বলেছেন,
ﺇِﻳَّﺎﻛُﻢْ ﻭَﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻈَّﻦَّ
ﺃَﻛْﺬَﺏُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚ
-তোমরা ধারণা-
অনুমান থেকে বেঁচে
থাক কারণ ধারণা-
অনুমান সর্বাপেক্ষা
মিথ্যা কথা।
[বোখারী
হা/৬০৬৬,৬৭২৪;
মুসলিম হা/৬৪৩০]
এ সর্ম্পকিত আর
হাদীস দেখুন বুখারী
১০৬,১০৭,১০৮,১০৯,
১২৯১, ৩৪৬১, ১২৯১;
মিশকাত ১৯৯;
মুসলীম মোকদ্দমা
অধ্যায়।
→জঈফ তথা দূর্বল
হাদীস যে পালনীয়
নয় তার জন্য
উপরোক্ত
দলিলগুলোই যথেষ্ট।
শরীয়তের কোন
ক্ষেত্রেই তা
গ্রহণযোগ্য নয়, তা
হালাল-হারামের
ক্ষেত্রে হোক বা
ওয়াজ-নসীহত,
ফজিলত সহ যে কোন
বিষয়ে হোক।
দূর্বল হাদীস
ইসলামী শরীয়তে
জায়েজ-ই হবে,
তাহলে সম্মানিত
মুহাদ্দিসগণের এত
কষ্টের কি দরকার
ছিলো? যুগে যুগে তাঁরা
রাসূল ﷺ এর অগনিত
হাদীস হতে কোনটি
রাসূলের হাদীস আর
কোনটি তাঁর হাদীস
নয়, তা পৃথক
করেছেন; এখন
আপনি যদি বলেন,
ইমান আক্বীদার
ক্ষেত্রে সহীহ
হাদীস মানবো, আর
ফাজিলতের
ক্ষেত্রে সহীহ
পাশাপাশি জঈফও
আমল করা যাবে। তা
হলে ব্যাপারটি কি
দাড়ালো?
ফজিলত কি
ইসলামী শরীয়তের
অংশ নয়?
আপনাদের মতো
হুজুরেরা জঈফ
হাদীসকে শিথিলতা
দেখানের কারনে আজ
অনেকেই রাসুল ﷺ
হাদীস যাচাই-
বাছাইয়ের প্রয়োজন
মনে করেন না। অথচ
এর কারনে সাহাবী,
তাবেঈ, ও
মুহাদ্দিসগণের
বিশাল পরিশ্রম
মূল্যহীন হয়ে
পড়েছে। এই সুযোগে
জাল হাদীসের
অনুপ্রবেশ ঘটছে
ইসলামে এবং চরম
বিভ্রান্তির সৃষ্টি
হয়েছে।
সর্বশেষ জঈফ
হাদীস বর্জনে
চুড়ান্ত বক্তব্য
হলো জঈফ হাদীস
পালনের মাধ্যমে
আল্লাহর বিধানকে
দূর্বল তথা
ত্রুটিযুক্ত ধারনা
করা হচ্ছে।অথচ
আল্লাহর বিধান
সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত,
এখানে বিন্দুমাত্র
সন্দেহ বা ত্রুটির
স্থান নেই!
নাকি আপনি
আল্লাহার বিধানকে
ত্রুটিযুক্ত মনে
করেন?
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)