শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিতর vs মাগরিবের সালাত

মাগরিবের সাথে সাদৃশ্য রেখে (অর্থাৎ দুই তাশাহুদের সাথে) বিতর পড়ার সপক্ষে মাসিক আল কাউসার নামক পত্রিকার প্রদত্ত কিছু দলিলের পর্যালোচনা ।
# তাদের_দলিল
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মাগরিব যেমন তিন রাকাত তেমনি বিতরও তিন রাকাত।’ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻮﺗﺮ ﺛﻼﺙ ﻛﺜﻼﺙ ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ . (মাজমাউয যাওয়াইদ ২/২৪২)
# তাহক্বীক্ব
শুধু হাদীসটির মতন দিয়ে দিলেই দলিল হয় না ? সাধারন মানুষের চোখে তারা এইভাবে ধুলো ছিটিয়ে চলে যাচ্ছে ।
হাদীসটির সনদসহ আরবী রেওয়াত -
7170 - ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺣْﻤَﺪَ ﺍﻟﺮَّﻗَّﺎﻡُ ﺍﻟﺘُّﺴْﺘَﺮِﻱُّ، ﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﺍﻟﺼَّﺒَّﺎﺡِ ﺍﻟْﻌَﻄَّﺎﺭُ، ﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﺤْﺮٍ ﺍﻟْﺒَﻜْﺮَﺍﻭِﻱُّ، ﺛَﻨَﺎ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞُ ﺑْﻦُ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦِ، ﻋَﻦْ ﺳَﻌْﺪِ ﺑْﻦِ ﻫِﺸَﺎﻡٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏« ﺍﻟْﻮِﺗْﺮُ ﺛَﻠَﺎﺙٌ ﻛَﺜَﻠَﺎﺙِ ﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ »
(মাজমুল আল আওসাত , হাদীস নং ৭১৭০)
-> সনদে ৫ ম রাবী হলেন আবূ - বাহর আল বাকরাবী ( ﺃَﺑُﻮ ﺑَﺤْﺮٍ ﺍﻟْﺒَﻜْﺮَﺍﻭِﻱُّ ) একজন দূর্বল রাবী ।
এনার সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন , তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নন । আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদীস গ্রহণ করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয় , তিনি নির্ভরযোগ্য নয় । আবূ দাঊদ আস সাজিসতানী বলেন, মানুষ তার হাদীস বর্জন করেছে । আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন , আমার দৃষ্টিতে তিনি দূর্বল । ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন , তিনি দূর্বল ।
(তাহজীবুল কামাল , রাবী নং ৩৮৯৭ , ১৭/২৭১ পৃষ্ঠা ।)
-> সনদের ৪ র্থ রাবী হলেন ইসমাঈল বিন মুসলিম ( ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞُ ﺑْﻦُ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ) একজন দূর্বল রাবী ।
এনার সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয় । আবূ বাকর আল - বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয় । আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, আমরা তার হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করি না । আবূ যুরআহ আর রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় দূর্বল । আবূ আলী আল-হাফিয আন নায়সাবূরী বলেন, তিনি দূর্বল ।
(তাহজীবুল কামাল , রাবী নং ৪৮৩ , ৩/১৯৮ পৃষ্ঠা ।)
#তাদের_দলিল
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দিবসের বিতর অর্থাৎ মাগরিব যেমন তিন রাকাত তেমনি রাতের বিতরও তিন রাকাত।’ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍ ﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺗﺮ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﺛﻼﺙ ﻛﻮﺗﺮ ﺍﻟﻨﻬﺎﺭ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ . (দারাকুতনী, নাসবুর রায়া ২/১১৯)
#তাহক্বীক্ব
হাদিসটি তারা গ্রহণ করলেন , কিন্তু হাদিসটির নীচে ইমাম দারাকুতনী (রহঃ) এর বক্তব্যকে গ্রহণ করতে ভুলে গেলেন ।
আসুন হাদীসটির সনদ এবং ইমাম দারাকুতনী (রহঃ) হাদীসটির সম্পর্কে কি মন্তব্য করেছেন সেটাও দেখি । সনদসহ আরবী রেওয়াত -
1653 - ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑْﻦُ ﺭُﺷَﻴْﻖٍ ﺑِﻤِﺼْﺮَ , ﺛﻨﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺣْﻤَﺪَ ﺑْﻦِ ﺣَﻤَّﺎﺩٍ ﺍﻟﺪُّﻭﻟَﺎﺑِﻲُّ , ﺛﻨﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺧَﺎﻟِﺪٍ ﻳَﺰِﻳﺪُ ﺑْﻦُ ﺳِﻨَﺎﻥٍ , ﺛﻨﺎ # ﻳَﺤْﻴَﻰ _ ﺑْﻦُ _ ﺯَ
ﻛَﺮِﻳَّﺎ _ ﺍﻟْﻜُﻮﻓِﻲُّ , ﺛﻨﺎ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶُ , ﻋَﻦْ ﻣَﺎﻟِﻚِ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﺤَﺎﺭِﺙِ , ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦِ ﻳَﺰِﻳﺪَ ﺍﻟﻨَّﺨَﻌِﻲِّ , ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ , ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏« ﻭِﺗْﺮُ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺛَﻠَﺎﺙٌ ﻛَﻮِﺗْﺮِ ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﺻَﻠَﺎﺓُ ﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ »
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রাতের বিতর তিন রাকাত, উহা হল দিনের বিতর মাগরিবের মত।
(সুনান দারাকুতনী , হাদীস নং ১৬৫৩)
ইমাম দারাকুতনী হাদীসটি আনার সাথে সাথেই উল্লেখ করেছেন ,
ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺑْﻦُ ﺯَﻛَﺮِﻳَّﺎ ﻫَﺬَﺍ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻪُ : ﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟْﺤَﻮَﺍﺟِﺐِ ﺿَﻌِﻴﻒٌ , ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮْﻭِﻩِ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ ﻏَﻴْﺮُﻩُ
ইয়াহইয়া বিন জাকারিয়া , যাকে ইবনে আবিল হাওয়াযিব বলা হয় তিনি যঈফ । আমাশ থেকে মারফু সূত্রে সে ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেনি ।
বিঃদ্রঃ এই ইয়াহইয়া বিন জাকারিয়া ( ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺑْﻦُ ﺯَﻛَﺮِﻳَّﺎ ) হলেন উক্ত হাদীসের সনদের ৫ ম রাবী ।
#তাদের_দলিল
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাগরিব হল দিবসের বিতর। অতএব তোমরা রাতের নামাযকেও বিতর (বেজোড়) কর। ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ ﻭﺗﺮ ﺍﻟﻨﻬﺎﺭ ﻓﺄﻭﺗﺮﻭﺍ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻠﻴﻞ . (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৩/২৮)
#তাহক্বীক্ব
মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে সহীহ সনদে হাদীসটি এসেছে , সনদসহ আরবী রেওয়াত -
4676 ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ، ﻋﻦ ﻣﻌﻤﺮ ، ﻋﻦ ﺃﻳﻮﺏ ، ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﺳﻴﺮﻳﻦ ، ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ " : ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻣﺜﻨﻰ ﻣﺜﻨﻰ ، ﻭﺍﻟﻮﺗﺮ ﺭﻛﻌﺔ ﻣﻦ ﺁﺧﺮ ﺍﻟﻠﻴﻞ " ﻗﺎﻝ : ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : " ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ ﻭﺗﺮ ﺍﻟﻨﻬﺎﺭ ﻓﺄﻭﺗﺮﻭﺍ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻠﻴﻞ "
সনদের প্রত্যেক রাবীগনই নির্ভরযোগ্য এবং তারা প্রত্যেকেই সহীহ বুখারী ও মুসলিমের রাবী । এ হাদীছ থেকে বুঝা যায়, রাতের বিতর মাগরিবের মত করেই আদায় করতে হবে।কিন্তু এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এখানে রাকাতের সংখ্যার দিক থেকে যেমন মাগরিব নামায বিতর তথা বেজোড় করা হয়, অনুরূপ রাতেও বিতর তথা বেজোড় নামায আদায় করবে- উক্ত নামায আদায় করার জন্য মাগরিবের মত দু’ই তাশাহুদে পড়তে হবে একথা বলা হয়নি। এখানে রাকাতের সংখ্যার দিক থেকে বিতরকে মাগরিবের মত বলা হয়েছে- পদ্ধতির দিক থেকে নয়। এই কারণেই অন্য হাদীছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামাযকে মাগরিবের সাথে সাদৃশ্য করে পড়তে নিষেধ করেছেন।
আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
] ﻻَ ﺗُﻮﺗﺮُﻭﺍ ﺑِِﺜَﻼَﺙٍ ﺗَﺸَﺒَّﻬُﻮﺍ ﺑِﺼَﻼَﺓِ ﺍﻟﻤَﻐْﺮِﺏِ، ﻭﻟﻜِﻦْ ﺃﻭْﺗِﺮُﻭﺍ ﺑِﺨَﻤْﺲٍ ﺃﻭ ﺑﺴﺒﻊٍ ﺃﻭ ﺑِﺘِﺴْﻊٍ ﺃﻭْ ﺑِِﺎﺣﺪَﻯ ﻋَﺸَﺮَﺓ [
তোমরা মাগরিবের নামাযের সাথে সাদৃশ্য করে তিন রাকাত বিতর পড়না; বরং পাঁচ রাকাত দ্বারা বা সাত রাকাত দ্বারা বা নয় রাকাত দ্বারা কিংবা এগার রাকাত দ্বারা বিতর পড়।
শায়খ আলবানী বলেন, ‘তিন রাকাত বিতর দু’তাশাহুদে পড়লেই তা মাগরিবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। আর হাদীছে এটাকেই নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি একেবারে শেষ রাকাতে বসে তবে কোন সাদৃশ্য হবে না। হাফেয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে[64] একথাই উল্লেখ করেছেন এবং ছানআনী সুবুলস্ সালামে[65] এই পদ্ধতিকে উত্তম বলেছেন।’[66]
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, বিতর নামাযকে মাগরিবের মত করে আদায় করা তথা দু’তাশাহুদে অর্থাৎ- দু’রাকাতের পর তাশাহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে এক রাকাত পড়া সুন্নাতের পরিপন্থী যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
[৬৩] . তাহাভী, দারাকুতনী, ইবনু হিব্বান ও হাকিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীছটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন এবং ইমাম যাহাবী সমর্থন করেছেন। ইবনু হাজার ও শাওকানীও ছহীহ্ বলেছেন। (দ্রঃ ফাতহুল বারী, ২/৫৫৮, নায়লুল আউতার ৩/৪২-৪৩। শায়খ আলবানীও ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন (দ্রঃ ছালাতু তারাবীহ্- ৮৪ ও ৯৭ পৃঃ)
[৬৪] . ফাতহুলবারী, ৪/৩০১।
[৬৫] . সুবুলুস্ সালাম, ১/১২২।
[৬৬] . ছালাতুত্ তারাবীহ্- আলবানী, পৃঃ ৯৭।
বাকী যে সকল দলিল আছে , সেগুলি ৩ রাকআত বিতরের সপক্ষে । কিন্তু তা মাগরিবের মতন আদায় করতে হবে (অর্থাৎ দুই তাশাহুদের সাথে) তার পক্ষে তারা উক্ত দলিলগুলি দিয়েছেন , সন্মানিত পাঠক ! আমরা কখনও বলি না যে , ৩ রাকআত বিতর আদায় করা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত নয় , কিন্তু ৩ রাকআত বিতর ২ তাশাহুদের সাথে পড়ার কোন সহীহ দলিল নেই ।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

চার মাযহাব

GS Islam
ভাই এর পোষ্ট থেকে কপি
ঘটনাটা কয়েকদিন আগের...!
আমার এক চাচা এবং আমার মাঝে
ফোনে কথা হচ্ছে মাঝহাব বিষয়ে...।।
উনি হানাফি মাজহাবের অনুসারী।
উল্লেখ্য যে উনি মাদ্রাসার লাইনে
উচ্চ শিক্ষিত একজন ব্যক্তি।
মাজহাব কেন মানতে হবে সে
উদ্দেশ্যে উনি আমাকে রেফারেন্স
হিসেবে সূরা নিসার ৫৯ নং হাদিসের
উদ্ধৃতি দিলেন।
আয়াতটি পড়ার পরে
উনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল...
প্রশ্ন(১) চাচা, আয়াতটি তো পড়লাম । এখন আমাকে
বলেন যে উক্ত আয়াত দিয়ে চার মাজহাবের
এক মাজহাব মানা ফরজ বুঝাচ্ছে
নাকি ওয়াজিব নাকি,
সুন্নত, নফল , মুস্তাহাব, মাকরুহ, কোনটি
বুঝাচ্ছে ?
...
উনি উত্তর দিয়েছেন ঠিক এভাবে...
=> আমি যতদুর লেখাপড়া শিখেছি
তাতে আমি জেনেছি ...
কুর-আনে সবকিছুর সমাধান
দেয়া থাকলেও সেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে
বলা হয়েছে যেমন ... কুর-আনে সালাত
আদায় করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু কিভাবে
আদায় করতে হবে তা বলা নাই। এজন্য বিস্তারিত
জানতে হলে আমাদেরকে হাদীস দেখতে হবে।
রাসুলের কথা বা কাজ এসব কিছুই হাদীস। কিন্তু
রাসুলের তেইশ বছর নবুয়তের জিন্দেগিতে যত হাদীস সব কিছুই
তো আর লিখে রাখা সম্ভব হয় নাই। বা পুরা তেইশ বছর
জুড়ে মাত্র এই কয়েক হাজার হাদীস ছিল ?? নিশ্চই
অনেক হাদীস বাদ পড়ে গেছে।
তাহলে দেখা গেল হাদীস দিয়েও তুমি
সবকিছু সমাধান করতে পারবে না।
যার কারণে বলা হচ্ছে (সূরা নিসা ৫৯)
উলিল আমরি মিনকুম
অর্থাৎ ফকিহগনের আদেশ মানতে হবে।
...
উনার বলা শেষ হলে আমি বললাম
ঠিক আছে এবার আমি কিছুক্ষণ বলি..
.
=> আমি উনাকে প্রথমে বললাম উক্ত
আয়াতের শেষের অংশটুকুতে তো একথা বলা
হচ্ছে যে, "যদি মতবিরোধ হয় তাহলে (ফারদ্দুহু ইলাল্লহি ওয়া রাসুলিহি)
আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের দিকে ফিরে যাও।"
তখন উনি জবাব দিলেন ...
"তার মানে আদেশদানকারীর কথা যদি
মত বিরোধপূর্ণ হয় তাহলে আবার
সেই কুর-আন হাদীসের দিকে ফিরে যেতে
হবে..!
আমি বললাম...
"তারমানে আবার গোড়ায় চলে যাও
।"
......
আমি তখন আনন্দিত হয়ে আরো
কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম...
প্রশ্ন(২) মনে করুন আমি শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
আর আমি যাকে বিয়ে করব সে হানফী মাজহাবী।
এখন প্রশ্ন হলো আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারবো?
=> ( আমি প্রশ্নটি করার পর তিনি কিছুক্ষণ চুপ হয়ে গেলেন)
পরে উত্তরে তিনি বললেন...... '' তাকে বিয়ে করতে পারবা কিনা এটা
আমি সঠিক বলতে পারলাম না... তবে আমি যতদুর লেখাপড়া শিখেছি
তাতে মনে হচ্ছে বিয়ে করা যাবে কোনো সমস্যা নেই। কারণ শাফেয়ী
মাজহাবের অনুসারীরাও জান্নাতে যাবে হানাফীরাও জান্নাতে যাবে।
তবে তুমি যে মাজহাব মানবা তোমাকে সে মাজহাব পুরোপুরি ভাবে
মানতে হবে তুমি যদি হানাফী মানো তাহলে তোমাকে পুরোপুরীভাবে
হানাফী মানতে হবে আর যদি শাফেয়ী মানো তাহলে পুরোপুরিভাবে
শাফেয়ী মানতে হবে। অর্ধেক হানাফী আর অর্ধেক শাফেয়ী মানা
যাবে না।
............
প্রশ্ন(৩) আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম যে আমার বউ
পুরোপুরিভাবে হানাফি মানবে আর আমি পুরোপুরিভাবে
শাফেয়ি মাজহাব মানবো। এখন ধরেন... আমরা দুজন নামাজ
পড়বো বলে ওজু করে আসলাম। কোনো কারণে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে
আমার বউয়ের শরীরে কোথাও আমার একটু হাত লেগে গেল বা স্পর্শ হলো।
এখন আমার কি ওজু থাকবে নাকি ভেঙে যাবে ?
=> উত্তরে তিনি বললেন, গায়ে টাচ করলে ওজু ভাঙবে বলে হানাফী মাজহাবে
কোথাও উল্লেখ নাই। এটা ওজু ভঙ্গের কারণের মধ্যে পড়ে না।
আমি উনাকে বললাম যে হ্যা... হানাফী মাঝহাবে এমতাবস্থায় ওজু
ভাঙবে না বলা হলেও শাফেয়ী মাঝহাবে কিন্ত এটা বলা হচ্ছে যে
ওযু ভেঙে যাবে। এখন..
.
প্রশ্ন (৪) আমি আমার স্ত্রীকে বলতেছি যে আমাদের ওজু
ভেঙে গেছে আর আমার স্ত্রী বলতেছে না ওজু ভাঙ্গে নাই।
তাহলে আমাকে বলেন সমাধান টা কি হবে ??
=> উত্তরে তিনি বললেন, " তুমি যেহেতু শাফেয়ী মাজহাব মানো
তাহলে তোমার মাজহাবের নিয়মানুসারে তোমার ওজু ভেঙে গেছে। আর তার মাজহাবের নিয়মানুসারে তার ওজু ভাঙে নাই।
=> আমি তখন বললাম এইটা কেমনে হলো ??
.
((বিঃদ্রঃ হানাফীদের চামড়ায় কি তেলের পরিমান বেশি যে তাদের ওযু ভাঙবে না পক্ষান্তরে শাফেয়ীদের চামড়া কি এতই খসখসে যে শরীরে সামান্য হাতের টাচ লাগাতেই ওযু ভেঙে গেল ??))
.
তখন আমি উত্তর দিলাম....
আবু দাউদ এর এক নম্বর খন্ড
অধ্যায় সত্তর হাদীস নম্বর ১৭৯,
অনুসারে এমতাবস্থায় ওযু
ভাঙ্গবে না..!
এছাড়া সহিহ বুখারী এর এক নম্বর খন্ড
হাদীস নম্বর ৫১৯ অনুসারে একই কথা
বলা হচ্ছে যে এমতাবস্থায় ওযু
ভাঙ্গবে না..!
.
প্রশ্ন (৫) এখন আমি কোনটা মানবো ?? হাদীস মানবো নাকি শাফেয়ী মাজহাবের ঐটাই মানবো ??
.
=> উনি একটু দায় সারার মতো কোনো
রকমে উত্তরে বললেন, "" তুমি যদি শাফেয়ী
মানো তাহলে তো সমস্যা নেই কেননা তিনি কিন্তু কুর-আন হাদীসের উপর ভিত্তি করেই সমাধান দিয়েছেন....!!""
.
তখন আমি বললাম
প্রশ্ন (৬) তাহলে
সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের শেষের
সেই ফারদ্দুহু ইলাল্লাহি ওয়া রাসুলিহি (মতবিরোধ হলে আল্লাহ এবং তার রাসুলের দিকে ফিরে যাও)... একথার কি হবে ??
তাছাড়া প্রত্যেক ইমামই বলেছেন যে.....
""যখন সহিহ হাদীস পাবে সেটাই গ্রহণ করবে "" অর্থাৎ
তিনি নিজেই বলেছেন সহিহ হাদীস গ্রহন করার কথা।
তাহলে আমি কি করবো ??
হাদীস গ্রহণ করবো ? নাকি ওজু ভেঙে গেছে ধরে নিব ?
.
তখন তিনি জবাবে বললেন,... হাদীসটা
যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে হাদীস মানলে
তো সমস্যা নাই।
.
=> এরপর আরো অনেক কথা হয়েছিল
যা লিখতে গেলে ছোট খাটো একটা
বই হয়ে যাবে....
.
যা হোক...
কিছু প্রশ্ন বলে রাখি পারলে
মাজহাবী ভাইয়েরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা
করবেন...
.
প্রশ্ন (৭) বিয়ের বছর দুই পর
আল্লাহ আমাদের একটা
ছেলে সন্তান দিলেন।
বাপ বলতেছে ওজু ভাঙবে আর
মা বলতেছে ওযু ভাঙবে না.... কার কথা মানবে সে ??
কিংবা মা বলতেছে
তোমাকে নাভীর নিচে হাত বাধতে হবে
আর বাপ বলতেছে নাভীর উপরে বাধতে
হবে। কার কথা মানবে সে ??
.
প্রশ্ন (৮) যেহেতু আমার স্ত্রী হানাফী
আর আমি শাফেয়ী তাহলে আমার
সন্তানের পরিচয় কি হবে ?? দুইটা কম্বাইন করে অর্থাৎ হানাফীর "হা" এবং শাফেয়ীর "শা" মিলে কি হাশায়ী হবে ??
নাকি চার মাজহাবের যেকোনো এক মাজহাব মানবে??
.
যদি বলেন সে তার পছন্দসই
যেকোনো একটা মাজহাব মানবে...
তাহলে দেখা গেলো সে বড় হয়ে হয়তো
হাম্বলি মাজহাব মানা শুরু করে দিল।
এক্ষেত্রে কিন্তু
কোনো আপত্তি দেখাতে পারবেন না।
.
প্রশ্ন: (৯) কোনো একটা কারণে রাগের মাথায় আমি
আমার বউকে এক সঙ্গে তিন তালাক
দিয়ে ফেললাম...
পরে আমি অনুতপ্ত হলাম যে কাজটা
করা উচিৎ হয়নি।
আমার বউয়ের কাছে শুনলাম সেও আমার কাছে থাকতে চায়।
কিন্ত সে হানাফী
মাজহাবের ফতুয়াটা দাড় করিয়ে বলল
যে, আমিতো থাকতে চাই কিন্ত আমার
মাজহাব তো বলছে পারবো না। একসঙ্গে
তিন তালাক দেয়াকে তিন তালাক হিসেবেই ধরার কথা বলা হয়েছে।
আমি বললাম ওটাকে এক তালাক
ধরতে হবে।
.
ছেলেকে বললাম তোমার মাকে ম্যানেজ
করো....
.
ছেলে কুর-আন হাদীসের রেফারেন্স
দিয়ে বলল যে আব্বা আমার মাকে
ফিরিয়ে নিতে পারবে....!
# দলিল: সুরা বাকারা ২২৯-২৩১
.
এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে
সেটা এক তালাক হিসেবে?
ধরা হবে।
# দলিলঃ আবু দাউদ হা/২১৯৬, সূরা ত্বলাক আয়াত ০১
.
এখন
তাহলে সমাধানটা কি হবে ??
.
প্রশ্ন(১০) এটার কি কোনো
সমাধান আছে নাকি নতুন কোনো
ফতুয়া তৈরি হবে যে "এক মাজহাবের ছেলের
সাথে আরেক মাজহাবের মেয়ের
বিবাহ হারাম .!!
.
প্রশ্ন (১১) ""চার মাজহাবের এক মাজহাব
পুরোপুরিভাবে মানতে হবে বা চার মাজহাবের এক মাজহাব মানা ফরজ""
এই কথাটা কুর-আনের কোন সুরায় বর্ণিত
হয়েছে ?
বা কোন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ?
অথবা চার ইমামের কোন ইমাম বলে গেছেন ??
.
প্রশ্ন(১২).......আরো প্রশ্ন লাগবে.........???
.
বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
গঠনমূলক এবং দলিলভিত্তিক
আলোচনা/সমালোচনা করতে পারেন।
আপনাকে স্বাগতম।
লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার/কপি
যেভাবে পারেন অন্যকে পড়ার সুজোগ
করে দিন।
আল্লাহ আমাদেরকে মাজহাবের গোঁড়ামি
থেকে দূরে রেখে সঠিক জিনিষ জেনে বুঝে
আমল করার তাওফিক দান করুন।
(আমিন)

বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব) ফরাজী

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (৩ পর্ব)

শরীয়তের যেসব মাসআলায় গবেষণার সুযোগ আছে, সেখানে চূড়ান্ত সত্যটি আমাদের অজানা।

কেউ যদি দাবী করে যে,

ইজতিহাদী মাসআলায় তার বক্তব্য বা মতই চূড়ান্ত, তাহলে তিনটি সম্ভাবনা আছে,

১. সে আল্লাহ অথবা আল্লাহর রাসূল ।

২. তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসে।

৩. উপরের দু'টি না ঘটে থাকলে এ লোকটি যে তার দাবীতে মিথু্যক, সেটাই চূড়ান্ত।

প্রথম দু'টি বিষয় ছাড়া রাসূল স. এর ইন্তেকালের পরে ইজতিহাদী মাসআলায় কোন মতকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে দেয়ার দাবীদার হয়তো চূড়ান্ত মিথ্যুক নতুবা নিজের মতকেই শরীয়ত বা ওহী মনে করে।

কোন মুজতাহিদ ইমাম ইজতেহাদের ক্ষেত্রে এই দাবী করে না যে, তার মতটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

কিন্তু হানাফী (হাপানি) জাহেল মুকাল্লীদ Lutfor Faraji এই দাবী করে যে, আমাদেরটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।



Click This Link



Click This Link



বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

সত্যি কি ৮ রাকাত তারাবীহ ১২৫০ হিজরীর পর উৎপত্তি হল ?

লেখাটা ১ বছর আগের

{{ বিঃদ্রঃ ১২৫০ হিজরী পৃর্বে ৮ রাকাআত তারাবীহ ছিল কি না এটাই প্রমাণের জন্য এই পোষ্ট }}

% আমি আল্লাহর বান্দা" "নো দলাদলি" "নো আহলে হাদিস আমি" "আমি আল্লাহর বান্দা" %

______________________________________________ ____________________________________________________________________________________________

৮ রাকাত তারাবীর প্রমাণিত একটি দলিল .

আসসালাম ওয়ালাইকুম

এক ভাই নাম ধারী হানাফি একটি পোষ্ট করে জানালেন -
"১২৫০ হিজরী পরে যেভাবে ৮ রাকাআত তারাবী উৎপত্তি হলো"
সর্বপ্রথম ১২৮৫ হিজরীতে লা- মাজহাবি আলেম মুহাম্মাদ হুসাইন বিটালভী এই ফতোয়া প্রচার করেছিলেন যে,
" ৮ রাকাআত তারাবী পড়া সুন্নাত এবং ২০ রাকাআত তারাবীর নামায পড়া বিদআত । "


তাহলে সত্যি কি ৮ রাকাত তারাবীহ ১২৫০ হিজরীর পর উৎপত্তি হল ?

আসুন ইনশআল্লাহ এর জবাবটি খুঁজি হাসান হাদিস (যা গ্রন্থকার নিজে হাসান বলেন) কি বলে ?

তারাবীহ সালাত যে ৮ রাকাত এর প্রমাণিত একটি দলিল উল্লেখ করি আগে ।

আপ লোড পিকচার মুসনাদে আহম্মদ ২ খন্ড ইঃফঃ পৃঃ ১৬৭-৬৮ হাদিস নং ১১১৪ বলা আছে ৮ রাকাত এর কথা Click This Link

2nd

Click This Link



হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে মুসনাদ আহমদে । দেখুন- ইমাম আহমদ নিজে হাদিসটির সনদকে ' হাসান ' হিসাবে উল্লেখ করেছেন ।

এখন একটু দেখি ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল (রহঃ) এর জন্মকাল এবং মৃত্যুকাল কবে ?

দেখুন - দলিলটি নেওয়া হয়েছে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ কর্তক প্রকাশিত মুসনাদ আহমদ , খণ্ড - ১ , মহাপরিচালকের কথা এবং প্রকাশকের কথা পৃষ্ঠা ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে আছে আপ লোড পিকচার ছবিতে দেওয়া আছে Click This Link

2nd

Click This Link



আমি যদি ধরেই নেই ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল (রহ) উক্ত হাদিসটি তাঁর ইন্তাকালের শেষ বয়সে অর্থাৎ ২৪১ হিজরিতে বর্ণনা করে যান ,
তাহলে যে ভাই বলেন ' "১২৫০ হিজরী পরে যেভাবে ৮ রাকাআত তারাবীহ উৎপত্তি হলো"

এটা আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয় এবং গাজাঁখুরী ।

আপনাদের কাছে কি মনে হয় ?

[[ না হলে বলতে হবে ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল (রহ) এর মৃত্যু ১২৫০ হিজরীতে ]] { বাড়তি কমেন্ট বাতিল করা হবে }

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না -চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না - এটা আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ ------------------------------- জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন। তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না? আমি বললামঃ হ্যা, আল্লাহর রাসূল! তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেন নি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তাকে তিনি (সুবহানাহু তাআলা) বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব। সে (জাবিরের পিতা) বললঃ হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আবা আপনার রাহে নিহত হতে পারি। বারাকাতময় আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরান: ১৬৯) [তিরমিযি: হা: ৩০১০; হাসান (আলবানী, যুবাইর আলী যাই, ইমাম তিরমিযী) ------------------------ মহান আল্লাহ বলেনঃ যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। না এটা হবার নয়; এটাতো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত। [সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০] {{ কপি }}

আইডি ডিজেবল ফিরিয়ে আনা

আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। ফিরিয়ে আনার কোন ওয়ে আছে? ai link a jaya Full details den.. and id card dea den. https://m.facebook.com/help/contact/260749603972907?refid=69

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য অজুর "ফরয বা রুকন নয়"

জাকির নায়েকের নামে তোলা মিথ্যা অপবাদের জবাব

""পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়"""

________________________________________________________________________

ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে
লা মাযহাবী লিডার আবু হানিফা
এর অনুসারী দেওবন্দী, বেরোল্ভী, নামধারী নাস্তিক ও ইহুদি খ্রিস্টানদের এজেন্টদের তোলা প্রচারিত অভিযোগের
সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযোগ
" পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়""

এর দলীল ভিত্তিক খন্ডন নিচে করা হলো :

________________________________

অভিযোগ খন্ডন এবং জবাব :

প্রথম কথা বিষয়টি একতেলাফী।

কাজেই যদি জাকির নায়েককে এ বিষয়ে কটাক্ষ করা হয় তাহলে তাদেরকে করতে হবে যারা এর পক্ষে
......... মানুষের বেশিরভাগ সময় অজু থাকে না।আর যদি অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা না যায় তাহলে বেশিরভাগ সময় কুরআন পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর কুরআন পড়া থেকে বিরত রাখা শয়তানের কাজ।

যারা বলে অজু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে না তারা সূরা ওয়াক্বিয়ার ৭৯ নং আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে থাকেন।

আয়াতটি নিম্নরূপ ﻻَ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇﻻَّ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥ َ. আয়াতখানির মূল শব্দ (Key words) হচ্ছে তিনটি।
যথা-মাস্ ( ﻣَﺲٌّ )=স্পর্শ করা/ ধারে কাছে আসা, উপলব্ধি করা,
হু ( ﻩُ ) = ঐ
এবং মুতাহ্হারুন ( ﻣُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥَ )=পাক- পবিত্র।
মূল শব্দ তিনটি অপরিবর্তিত রেখে আয়াতখানির সরল অর্থ দাঁড়ায়
“মুতাহ্হারুন (পাক- পবিত্র) ব্যতীত ঐ কুরআন কেউ মাস্ (স্পর্শ) করতে পারে না।”

আগের দুটি আয়াত সহ দেখলে অর্থ হয “নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সুরক্ষিত গোপন কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঐটি স্পর্শ করতে পারে না।” (৫৬:৭৭-৭৯)

এখানে যে কুরআনের কথা বলা হয়েছে তা পৃথিবীর কুরআন নয়, এটা লাওহে মাহফুজের কুরআন।
আর পাক-পবিত্র বলতে ফেরেস্তাদেরই বুঝানো হয়েছে।
কারন,
________________
১. যখন এই আয়াতগুলি নাজিল হয় তখন সম্পুর্ন কুরআন নাজিল হয় নি। তাই পৃথিবীর কুরআন এই আয়াত গুলিতে উল্লেখিত সুরক্ষিত গ্রন্থ হতে পারে না।

________________
২. “( ﻩُ )=ঐ” দ্বারা দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন বুঝিয়েছে। আর দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন হচ্ছে লাওহে মাহফুজের কুরআন।

________________
৩. এখানে “স্পর্শ করো না” উল্লেখ নেই। উল্লেখ আছে “স্পর্শ করতে পারে না”।

পৃথিবীর কুরআন যে কেউ স্পর্শ করতে পারে।

তাই ঐটি পৃথিবীর কুরআন নয় লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন।

এই আয়াতে ‘মুতাহ্হারুন’ শব্দের অর্থ ইবনে কাছির ও আশরাফ আলী থানবী এর মতে ‘নিষ্পাপ ফেরেস্তা’,

মুফতি শফীর মতে বিপুল সংখ্যক সাহাবী,তাবেয়ী অনুযায়ী এটা হবে ‘নিষ্পাপ’,

মউদুদীও একে ‘নিষ্পাপ’ অনুবাদ করেছেন।

তাই কুরআন স্পর্শ করতে বা পড়তে অজু কোনও বিষয় নয়।

যারা মানেন তাদের জন্য নিচে দুটি হাদিসও উল্লেখ করছিঃ

“ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। একদা রাসূল (সা.) শৌচাগার হতে বের হয়ে আসলে তাঁর সামনে খাবার উপস্থিত করা হল। তখন লোকেরা বলল, আমরা কি আপনার জন্যে অজুর পানি আনব না? তিনি বললেন, যখন নামাজের প্রস্তুতি নিব শুধু তখন অজু করার জন্যে আমি আদিষ্ট হয়েছি।” (তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী)

“আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) পায়খানা হতে বের হয়ে বিনা অজুতে আমাদের কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশত খেতেন। তাঁকে কুরআন হতে বাধা দিতে পারত না বা বিরত রাখত না জানাবাত (গোসল ফরজ) ব্যতীত অন্য কিছু।” (আবু দাউদ, নাছায়ী ও ইবনে মাজাহ)

উপরোক্ত আয়াতের প্রকৃত অর্থ দাঁড়ায় [৫৬:৭৯] যারা আন্তরিক তারা ব্যতিত কেউই এটা উপলদ্ধি করতে পারে না।

আন্তরিকতাহীন যারা সন্তষ্ট নয় শুধুমাত্র কুরআনে তারা ঐশ্বরিকভাবে কুরআন বুঝা থেকে প্রতিরোধ প্রাপ্ত হয়। এই ধারনা কুরআনে বারবার দেওয়া হয়েছে (১৭:৪৫-৪৬,১৮:৫৭) ।

ফলে তারা এই আয়াতটিও বুঝতে পারে না। ৭:৩,১৭:৪৬,৪১:৪৪ , এবং ৫৬:৭৯ এর অনুবাদস্বমূহ মিলিয়ে দেখুন।

তাই অজুর অজুহাতে কুরআন থেকে দূরে থাকার অর্থই হয় না।

[কপি করা ও শেয়ার করা যাবে]