মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না -চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ

মৃত আত্মা দুনিয়ায় ফিরে আসবে না - এটা আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ ------------------------------- জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন। তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না? আমি বললামঃ হ্যা, আল্লাহর রাসূল! তিনি (সা:) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কারো সাথে তাঁর পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেন নি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। তাকে তিনি (সুবহানাহু তাআলা) বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব। সে (জাবিরের পিতা) বললঃ হে প্রভু! আপনি আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আবা আপনার রাহে নিহত হতে পারি। বারাকাতময় আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত” (সূরা আল ইমরান: ১৬৯) [তিরমিযি: হা: ৩০১০; হাসান (আলবানী, যুবাইর আলী যাই, ইমাম তিরমিযী) ------------------------ মহান আল্লাহ বলেনঃ যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। না এটা হবার নয়; এটাতো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত। [সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০] {{ কপি }}

আইডি ডিজেবল ফিরিয়ে আনা

আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। ফিরিয়ে আনার কোন ওয়ে আছে? ai link a jaya Full details den.. and id card dea den. https://m.facebook.com/help/contact/260749603972907?refid=69

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য অজুর "ফরয বা রুকন নয়"

জাকির নায়েকের নামে তোলা মিথ্যা অপবাদের জবাব

""পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়"""

________________________________________________________________________

ডঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে
লা মাযহাবী লিডার আবু হানিফা
এর অনুসারী দেওবন্দী, বেরোল্ভী, নামধারী নাস্তিক ও ইহুদি খ্রিস্টানদের এজেন্টদের তোলা প্রচারিত অভিযোগের
সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযোগ
" পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর "ফরয বা রুকন নয়""

এর দলীল ভিত্তিক খন্ডন নিচে করা হলো :

________________________________

অভিযোগ খন্ডন এবং জবাব :

প্রথম কথা বিষয়টি একতেলাফী।

কাজেই যদি জাকির নায়েককে এ বিষয়ে কটাক্ষ করা হয় তাহলে তাদেরকে করতে হবে যারা এর পক্ষে
......... মানুষের বেশিরভাগ সময় অজু থাকে না।আর যদি অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা না যায় তাহলে বেশিরভাগ সময় কুরআন পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর কুরআন পড়া থেকে বিরত রাখা শয়তানের কাজ।

যারা বলে অজু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে না তারা সূরা ওয়াক্বিয়ার ৭৯ নং আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে থাকেন।

আয়াতটি নিম্নরূপ ﻻَ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇﻻَّ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥ َ. আয়াতখানির মূল শব্দ (Key words) হচ্ছে তিনটি।
যথা-মাস্ ( ﻣَﺲٌّ )=স্পর্শ করা/ ধারে কাছে আসা, উপলব্ধি করা,
হু ( ﻩُ ) = ঐ
এবং মুতাহ্হারুন ( ﻣُﻄَﻬَّﺮُﻭْﻥَ )=পাক- পবিত্র।
মূল শব্দ তিনটি অপরিবর্তিত রেখে আয়াতখানির সরল অর্থ দাঁড়ায়
“মুতাহ্হারুন (পাক- পবিত্র) ব্যতীত ঐ কুরআন কেউ মাস্ (স্পর্শ) করতে পারে না।”

আগের দুটি আয়াত সহ দেখলে অর্থ হয “নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সুরক্ষিত গোপন কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঐটি স্পর্শ করতে পারে না।” (৫৬:৭৭-৭৯)

এখানে যে কুরআনের কথা বলা হয়েছে তা পৃথিবীর কুরআন নয়, এটা লাওহে মাহফুজের কুরআন।
আর পাক-পবিত্র বলতে ফেরেস্তাদেরই বুঝানো হয়েছে।
কারন,
________________
১. যখন এই আয়াতগুলি নাজিল হয় তখন সম্পুর্ন কুরআন নাজিল হয় নি। তাই পৃথিবীর কুরআন এই আয়াত গুলিতে উল্লেখিত সুরক্ষিত গ্রন্থ হতে পারে না।

________________
২. “( ﻩُ )=ঐ” দ্বারা দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন বুঝিয়েছে। আর দুরবর্তী সংরক্ষিত কুরআন হচ্ছে লাওহে মাহফুজের কুরআন।

________________
৩. এখানে “স্পর্শ করো না” উল্লেখ নেই। উল্লেখ আছে “স্পর্শ করতে পারে না”।

পৃথিবীর কুরআন যে কেউ স্পর্শ করতে পারে।

তাই ঐটি পৃথিবীর কুরআন নয় লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন।

এই আয়াতে ‘মুতাহ্হারুন’ শব্দের অর্থ ইবনে কাছির ও আশরাফ আলী থানবী এর মতে ‘নিষ্পাপ ফেরেস্তা’,

মুফতি শফীর মতে বিপুল সংখ্যক সাহাবী,তাবেয়ী অনুযায়ী এটা হবে ‘নিষ্পাপ’,

মউদুদীও একে ‘নিষ্পাপ’ অনুবাদ করেছেন।

তাই কুরআন স্পর্শ করতে বা পড়তে অজু কোনও বিষয় নয়।

যারা মানেন তাদের জন্য নিচে দুটি হাদিসও উল্লেখ করছিঃ

“ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। একদা রাসূল (সা.) শৌচাগার হতে বের হয়ে আসলে তাঁর সামনে খাবার উপস্থিত করা হল। তখন লোকেরা বলল, আমরা কি আপনার জন্যে অজুর পানি আনব না? তিনি বললেন, যখন নামাজের প্রস্তুতি নিব শুধু তখন অজু করার জন্যে আমি আদিষ্ট হয়েছি।” (তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী)

“আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) পায়খানা হতে বের হয়ে বিনা অজুতে আমাদের কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশত খেতেন। তাঁকে কুরআন হতে বাধা দিতে পারত না বা বিরত রাখত না জানাবাত (গোসল ফরজ) ব্যতীত অন্য কিছু।” (আবু দাউদ, নাছায়ী ও ইবনে মাজাহ)

উপরোক্ত আয়াতের প্রকৃত অর্থ দাঁড়ায় [৫৬:৭৯] যারা আন্তরিক তারা ব্যতিত কেউই এটা উপলদ্ধি করতে পারে না।

আন্তরিকতাহীন যারা সন্তষ্ট নয় শুধুমাত্র কুরআনে তারা ঐশ্বরিকভাবে কুরআন বুঝা থেকে প্রতিরোধ প্রাপ্ত হয়। এই ধারনা কুরআনে বারবার দেওয়া হয়েছে (১৭:৪৫-৪৬,১৮:৫৭) ।

ফলে তারা এই আয়াতটিও বুঝতে পারে না। ৭:৩,১৭:৪৬,৪১:৪৪ , এবং ৫৬:৭৯ এর অনুবাদস্বমূহ মিলিয়ে দেখুন।

তাই অজুর অজুহাতে কুরআন থেকে দূরে থাকার অর্থই হয় না।

[কপি করা ও শেয়ার করা যাবে]

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

মুক্বাল্লিদ হল পশু/ জীব/জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ -আইম্মাহগন বলেনঃ

মুক্বাল্লিদ হল পশু /জীব /জানোায়ার সদৃশ/তুল্য চীজ - আইম্মাহগন বলেনঃ

=======================================================

আমি মুক্বাল্লিদ সম্প্রদায়কে গলায়/ ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করায় কতিপয় জাহিল বড়ই মর্মাহত হয়েছে। তারা এটাকে কর্কশ ও রূঢ বলে উল্লেখ করেছে। এখন আমি-ই বা কি করতে পারি, মুক্বাল্লিদ সম্প্রদায়কে গলায়/ ঘাড়ে দড়ি/বেড়ী দেয়া জীব/পশু/জানোয়ার হিসেবে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে সালাফে সালিহিন আমার অগ্রগামী হয়েছে - তাঁরা পূর্বসুরি, আমি তো উত্তরসুরি। মুকাল্লিদ সম্প্রদায় সম্পর্কে আমার বহু পূর্বেই আইম্মায়ে সালাফগণ মূল্যায়ন করে গেছেন - পশুর কথা সেখানেই এসেছে, আমি কেবল তা আমার মত করে ভাষান্তর করেছিঃ.

==========================================================

. ইমাম ইবন আব্দুল বার বলেছেন, ﻭﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﻌﺘﺰ : » ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺑﻬﻴﻤﺔ ﺗﻘﺎﺩ ﻭﺇﻧﺴﺎﻥ ﻳﻘﻠﺪ « ]ﺟﺎﻣﻊ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻓﻀﻠﻪ : ﺑﺎﺏ ﻓﺴﺎﺩ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﻧﻔﻴﻪ ﻭﺍﻟﻔﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ﻭﺍﻻﺗﺒﺎﻉ ] আব্দুল্লাহ বিন মু'তাঝ (রঃ) বলেল, " বেড়ী দেয়া [বাধ্য হওয়া] পশু/জীব/ জানোয়ার আর মুক্বাল্লিদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নাই" [(জামি' বায়ানুল 'ইলম - তাক্বলীদের ফ্যাসাদ... ...অনুচ্ছেদ)]

. আবূ যায়েদ কাযী ওবায়দুল্লাহ আদ- দাবূসী (মৃঃ ৪৩০ হিঃ/১০৩৯ খ্রিঃ) বলেছেন, "তাক্বলীদের সারমর্ম এই যে, মুক্বাল্লিদ নিজেকে চতুষ্পদ জন্তুর সাথে একাকার করে দেয় .. ... মুক্বাল্লিদ যদি নিজেকে এজন্য জন্তু বানিয়ে নেয় যে, সে বুদ্ধি-বিবেক ও অনুভূতিহীন, তাহলে তার (মস্তিষ্কের) চিকিৎসা করানো উচিৎ।" [(তাক্ববীমুল আদিল্লাহ ফী উছূলিল ফিক্বহ, পৃঃ ৩৯০; মাসিক ‘আল- হাদীছ’, হাযরো, সংখ্যা ২২, পৃঃ ১৬)]

. এছাড়া আরও সমালোচনা রয়েছে
- যার মোটামুটি বাংলা হলঃ

---------------------------------------------------------------------------.

হাফিয যায়লাঈ (রঃ) বলেছেনঃ- ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ ‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ মূর্খতা করে’ [নাসবুর রায়াহ, ১/২১৯]

. বদরুদ্দীন ‘আইনী বলেছেনঃ- ﻓﺎﻟﻤﻘﻠﺪ ﺫﻫﻞ ﻭﺍﻟﻤﻘﻠﺪ ﺟﻬﻞ ﻭﺁﻓﺔ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻘﻠﻴﺪ ‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ মূর্খতা করে। আর তাক্বলীদের কারণে সকল বিপত্তি’ [আল-বিনায়া শারহ হিদায়া, ১/৩১৭]

. ইমাম ত্বাহাবী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ- ﻭﻫﻞ ﻳﻘﻠﺪ ﺇﻻ ﻋﺼﺒﻲ ﺃﻭ ﻏﺒﻲ কট্টর/গোঁড়া ও আহাম্মক ব্যতীত কেউ তাক্বলীদ করে কি? [লিসানুল মীযান, ১/২৮০]

.

– হাফিয শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ (রঃ)

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

শবে বরাতী বিদ’আতীদের সর্বশেষ অস্ত্রঃ

শবেবরাতী বিদ’আতীদের সর্বশেষ অস্ত্রঃ =============== =========== শবে বারাত যায়েজ করার জন্য বিদ’আতীরা সর্বশেষ অস্ত্র হিসাবে যে কথা বলে থাকে তা হলো, “ফজিলতের ক্ষেত্রে জঈফ হাদীস পালন যোগ্য।” কোন হাদীস দূর্বল তখনই হয় যখন তার বর্ণনাকারীর কেউ মিথ্যূক, স্মরনশক্তি না থাকা, শিয়া আক্বীদা সম্পন্ন হওয়া ইত্যাদি দোষ অভিযুক্ত থাকে। মুসলীম শরীফের মোকাদ্দমা অধ্যায়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সালাফগণের আক্বীদা ছিলো জঈফ রাবীদের নিকট হতে তারা হাদীস গ্রহণ করতেন না। আমি নিচে তার কয়েকটি উল্লেখ করলামঃ ■ হাদীস একঃ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕُ ﺑْﻦُ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺍﻟْﺤَﻨْﻈَﻠِﻲُّ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻋِﻴﺴَﻰ، - ﻭَﻫُﻮَ ﺍﺑْﻦُ ﻳُﻮﻧُﺲَ - ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻷَﻭْﺯَﺍﻋِﻲُّ، ﻋَﻦْ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦِ ﻣُﻮﺳَﻰ، ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻘِﻴﺖُ ﻃَﺎﻭُﺳًﺎ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﻓُﻼَﻥٌ، ﻛَﻴْﺖَ ﻭَﻛَﻴْﺖَ . ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﺻَﺎﺣِﺒُﻚَ ﻣَﻠِﻴًّﺎ ﻓَﺨُﺬْ ﻋَﻨْﻪُ -সুলায়মান ইবনু মুসা (আঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি যদি নির্ভরযোগ্য হয়, তা হলে তাঁর থেকে হাদীস গ্রহণ করো। [সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....] ■ হাদীস দুইঃ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻧَﺼْﺮُ ﺑْﻦُ ﻋَﻠِﻲٍّ ﺍﻟْﺠَﻬْﻀَﻤِﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻷَﺻْﻤَﻌِﻲُّ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﺰِّﻧَﺎﺩِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺩْﺭَﻛْﺖُ ﺑِﺎﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﻣِﺎﺋَﺔً ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﻣَﺄْﻣُﻮﻥٌ . ﻣَﺎ ﻳُﺆْﺧَﺬُ ﻋَﻨْﻬُﻢُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚُ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻴْﺲَ ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻠِﻪِ -ইবনু আবু যিনাদ (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমি মদীনার একশ’ জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যারা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন, তবুও তাদের কাছে থেকে হাদীসগ্রহণ করা হতো না, কেননা তাদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তাদের কেউ হাদীস বর্ণনা করা ক্ষেত্রে যোগ্য নন। [সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....] ■ হাদীস তিনঃ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻋُﻤَﺮَ ﺍﻟْﻤَﻜِّﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥُ، ﺡ ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮِ ﺑْﻦُ ﺧَﻼَّﺩٍ ﺍﻟْﺒَﺎﻫِﻠِﻲُّ، - ﻭَﺍﻟﻠَّﻔْﻆُ ﻟَﻪُ - ﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥَ ﺑْﻦَ ﻋُﻴَﻴْﻨَﺔَ، ﻋَﻦْ ﻣِﺴْﻌَﺮٍ، ﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺳَﻌْﺪَ ﺑْﻦَ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻻَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺜِّﻘَﺎﺕُ -মুহাম্মদ ইবুন আবু উমার আল মাক্কী ও আবু বাক্বর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) .. মিস’আর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু ইব্রাহীমকে বলতে শুনেছি, নির্ভযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতিত অন্য কারো কাছে থেকে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর হাদীস গৃহীত হবে না। [সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....] ■ হাদীস চারঃ ﻛَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤَﺮْﺀِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ﺃَﻥْ ﻳُﺤَﺪِّﺙَ ﺑِﻜُﻞِّ ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻊَ -কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়। [সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৩, যা শুনে তা বর্ণনা করা নিষিদ্ধ] ►►দেখুন সাহাবীরা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ব্যতিত হাদীস গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন, আর আপনি দূর্বল ব্যক্তির হাদীস অবলিলায় গ্রহণ করছেন! আপনার বুঝ কি সাহাবীদের চাইতে ভালো? বস্তুত জঈফ বা দূর্বল হাদীস হলো রাসূল ﷺ এর সূন্নাহর ব্যাপারে কিছু অনুমান-ধারণার সৃষ্টি করে মাত্র। অথচ কোরআন ও হাদীসে এমন অনুমান নিষেধ, নিচে তার প্রমান দেখুনঃ মহান আল্লাহ বলেন, ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺘَّﺒِﻊُ ﺃَﻛْﺜَﺮُﻫُﻢْ ﺇِﻟَّﺎ ﻇَﻨًّﺎ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻟَﺎ ﻳُﻐْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺷَﻴْﺌًﺎ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻔْﻌَﻠُﻮﻥَ -আসলে তাদের বেশীরভাগ লোকই নিছক আন্দাজ - অনুমানের পেছনে চলছে৷ অথচ আন্দাজ -অনুমান দ্বারা সত্যের প্রয়োজন কিছুমাত্র মেটে না৷ তারা যা কিছু করছে তা আল্লাহ ভালভাবেই জানেন৷ [সূরা ইউনুস ৩৬] মহান আল্লাহ আরও বলেন, ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺇِﻥ ﺟَﺎﺀَﻛُﻢْ ﻓَﺎﺳِﻖٌ ﺑِﻨَﺒَﺈٍ ﻓَﺘَﺒَﻴَّﻨُﻮﺍ ﺃَﻥ ﺗُﺼِﻴﺒُﻮﺍ ﻗَﻮْﻣًﺎ ﺑِﺠَﻬَﺎﻟَﺔٍ ﻓَﺘُﺼْﺒِﺤُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰٰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠْﺘُﻢْ ﻧَﺎﺩِﻣِﻴﻦَ -হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, যদি কোন ফাসেক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে তা অনুসন্ধান করে দেখ৷ এমন যেন না হয় যে, না জেনে শুনেই তোমরা কোন গোষ্ঠীর ক্ষতি করে বসবে এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে৷[সূরা হুজুরাত ৬] এ সম্পর্কিত এক হাদীস হলোঃ -আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল ﷺ বলেছেন, ﺇِﻳَّﺎﻛُﻢْ ﻭَﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻈَّﻦَّ ﺃَﻛْﺬَﺏُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚ -তোমরা ধারণা- অনুমান থেকে বেঁচে থাক কারণ ধারণা- অনুমান সর্বাপেক্ষা মিথ্যা কথা। [বোখারী হা/৬০৬৬,৬৭২৪; মুসলিম হা/৬৪৩০] এ সর্ম্পকিত আর হাদীস দেখুন বুখারী ১০৬,১০৭,১০৮,১০৯, ১২৯১, ৩৪৬১, ১২৯১; মিশকাত ১৯৯; মুসলীম মোকদ্দমা অধ্যায়। →জঈফ তথা দূর্বল হাদীস যে পালনীয় নয় তার জন্য উপরোক্ত দলিলগুলোই যথেষ্ট। শরীয়তের কোন ক্ষেত্রেই তা গ্রহণযোগ্য নয়, তা হালাল-হারামের ক্ষেত্রে হোক বা ওয়াজ-নসীহত, ফজিলত সহ যে কোন বিষয়ে হোক। দূর্বল হাদীস ইসলামী শরীয়তে জায়েজ-ই হবে, তাহলে সম্মানিত মুহাদ্দিসগণের এত কষ্টের কি দরকার ছিলো? যুগে যুগে তাঁরা রাসূল ﷺ এর অগনিত হাদীস হতে কোনটি রাসূলের হাদীস আর কোনটি তাঁর হাদীস নয়, তা পৃথক করেছেন; এখন আপনি যদি বলেন, ইমান আক্বীদার ক্ষেত্রে সহীহ হাদীস মানবো, আর ফাজিলতের ক্ষেত্রে সহীহ পাশাপাশি জঈফও আমল করা যাবে। তা হলে ব্যাপারটি কি দাড়ালো? ফজিলত কি ইসলামী শরীয়তের অংশ নয়? আপনাদের মতো হুজুরেরা জঈফ হাদীসকে শিথিলতা দেখানের কারনে আজ অনেকেই রাসুল ﷺ হাদীস যাচাই- বাছাইয়ের প্রয়োজন মনে করেন না। অথচ এর কারনে সাহাবী, তাবেঈ, ও মুহাদ্দিসগণের বিশাল পরিশ্রম মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে জাল হাদীসের অনুপ্রবেশ ঘটছে ইসলামে এবং চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ জঈফ হাদীস বর্জনে চুড়ান্ত বক্তব্য হলো জঈফ হাদীস পালনের মাধ্যমে আল্লাহর বিধানকে দূর্বল তথা ত্রুটিযুক্ত ধারনা করা হচ্ছে।অথচ আল্লাহর বিধান সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত, এখানে বিন্দুমাত্র সন্দেহ বা ত্রুটির স্থান নেই! নাকি আপনি আল্লাহার বিধানকে ত্রুটিযুক্ত মনে করেন?

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

সাওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী

সাওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী

============ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে সওম (রোজা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন করো। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ৩০ পূর্ণ কর।” নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২, স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১২,
আমর বিন দিনার (রহ.) কর্তৃক ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৪, ২১২৫, অনুচ্ছেদঃ ১৩,
মানসূর (রহ.) কর্তৃক রিবঈ (রহ.) সূত্রে উক্ত হাদিস বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৯,২১৩০, তিরমিযী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৬, কিতাবুস্ সাওম, অনুচ্ছেদঃ ৫,
নতুন চাঁদ দেখে সাওম (রোজা) ও (ঈদুল) ফিতর পালন, হাদিস ৬৮৮, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৮৬ (হাদিসটি নাসাঈর বর্ণনা)।

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, “রসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন কর এবং চাঁদ দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন কর। যদি চাঁদ গোপন থাকে তবে ত্রিশ পূর্ণ করো। বুখারী, অধ্যায়ঃ ৩০, কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১১,

নবী (স.) এর কথা, যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখো তখন স্বওম (রোজা) আরম্ভ কর। আবার যখন নতুন চাঁদ দেখো তখনই (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন কর, হাদিস ১৯০৯, মুসলিম,অধ্যায়ঃ ১৩, কিতাবুস সওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ২,

নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন করা এবং নতুন চাঁদ দেখে (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন করা এবং মাসের প্রথমে বা শেষের দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ১৭,১৮,১৯,২০/১০৮১, নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২,স্বিয়াম, অনুচ্ছেদঃ ৯,

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশদিন পূর্ণ করা, হাদিস ২১১৭, ২১১৮, অনুচ্ছেদঃ
এই হাদিসে যুহুরী হতে বর্ণনায় বিরোধের আলোচনা, হাদিস ২১১৯, অনুচ্ছেদঃ ১১,
ওবায়দুল্লাহ্ ইবনু ওমার থেকে এই হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২২, ২১২৩, তিরমিযী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
রমজান মাস আসার পূর্ব থেকে স্বিয়াম পালন না করা, হাদিস ৬৮৪, ইবনু মাজাহ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৭, কিতাবুস্ স্বিয়াম, অনুচ্ছেদঃ ৫,
রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের দিন স্বওম রাখা নিষেধ কিন্তু কারো নিয়মিত স্বওম রাখাতে সেদিন পৌঁছলে তার জন্য নয়, হাদিস ১৬৫০, অনুচ্ছেদঃ ৭,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম ও ঈদ পালন করা, হাদসি ১৬৫৫, বায়হাক্বী (সুনানুল কুবরা), স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১০,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৭৯৩২, ৭৯৩৩, ৭৯৩৪, ৭৯৩৫, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৮৫ (হাদিসটি নাসাঈর বর্ণনা)।

আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমার (রা.) থেকে বর্ণিত, “রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) রমজানের কথা আলোচনা করে বললেন,চাঁদ না দেখে তোমরা সওম (রোজা) পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখে ফিতর (ঈদুল ফিতর) উদযাপন করবে না। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে তার সময় (৩০) পূর্ণ করবে।” - বুখারী, অধ্যায়ঃ ৩০, কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ৫,
রমজান বলা হবে, না রমজান মাস বলা হবে? যে বলে, উভয়টাই বলা যাবে, হাদিস ১৯০০, অনুচ্ছেদঃ ১১,

নবী (সাঃ) এর কথা যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখো তখন স্বওম (রোজা) আরম্ভ কর। আবর যখন নতুন চাঁদ দেখো তখনই (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন কর, হাদিস ১৯০৬, ১৯০৭, মুসলিম, অধ্যায়ঃ১৩,কিতাবুস্ স্বওম(রোজা), অনুচ্ছেদঃ ২,

নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন করা এবং নতুন চাঁদ দেখে (ঈদুল) ফিতর উদ্যাপন করা এবং মাসের প্রথমে বা শেষের দিন মেখাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৩,৪,৬,৭,৮,৯/১০৮০, নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২২, স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১২,

আমর বিন দিনার (রহ.) কর্তৃক ইবনু আব্বাস(রা.) থেকে উক্ত হাদিসের বর্ণনায় বিরোধ, হাদিস ২১২৪, বায়হাক্বী (সুনানুল কুবরা), স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ স্বওম (রোজা), অনুচ্ছেদঃ ১০,
নতুন চাঁদ দেখে স্বওম (রোজা) পালন অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ করা, হাদিস ৭৯২৫, ৭৯২৮, ৭৯৩১, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদঃ ২,
নুতুন চাঁদ দেখে স্বওম পালন, হাদিস ১৬৯০ (হাদিসটি বুখারীর বর্ণনা)।

এই হাদিস গুলো থেকে বুঝা যায় যে, স্বওম (রোজা) এবং ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা জরুরী।

শিক্ষাঃ ১। সওম (রোজা) ও ঈদ পালনের জন্য চাঁদ দেখা শর্ত।

২। রমজান মাস সঠিক সময়ে পাওয়ার জন্য শা’বানের চাঁদের হিসাব রাখা জরুরী।

************************************************************************** =================

শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?

প্রশ্ন : GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কথা বলছে যে তারা কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?

জবাবঃ

কিছু মুর্খ দেখা যাচ্ছে আজকাল একই দিনে ঈদ ও সিয়ামের বিরোধিতা করতে গিয়ে GMT 13 ও GMT 14 এর দেশ গুলোর কথা বলছে যে তারা কিভাবে একই দিনে ঈদ ও সিয়াম পালন করবে?

আসলে মূর্খ গুলোর এ ব্যাপারে কোন জ্ঞানই নাই।

GMT/UTC 13 কেন হয়েছে জানার চেষ্টা করুন।

তারা তাদের ডেট লাইন পরিবর্তন করেছেন। এবং তারা ডে লাইট সেভিংস ব্যবহার করে।

Click This Link

GMT/UTC 13 কেন হয়েছে তা জানার চেষ্টা করুন।

Click This Link



এরা আসলে বিরোধীতা করতে করতে অন্ধ হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য পৃথিবীর মধ্যে সময়ের পার্থক্য সর্বোচ্চ 12 অথবা -12 এর বেশি হবে না।

এটাই সর্বাধিক সঠিক মত।

যে সব দেশে 13/ 14 GMT তারা নিজেরা তাদের সুবিধার জন্য তাদের ডেট লাইন পরিবর্তন করেছে।

এবং তারা সময় বাচানোর জন্য ডে লাইট সেভিং সিস্টেম ব্যবহার করছে।

যেমন বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে সকাল ৭ টাকে ৮ টা হিসেব করা হয়েছিল।

তাই সেই সব মুর্খদের বলবো।

অন্ধভাবে আলেম পূজা ছেড়ে দাও।

নিজ দলের আলেম যা ব্যাখ্যা করছে সেটাই ঠিক এমন অহংকার জাহান্নামে ও নিতে পারে। সাবধান।

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

( ৭ তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??

( ৭তম পর্ব ) হিজরী তারিখ কোনটা হবে ??

________________________________________________________

1. রাসুল (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের দিন ১ হিজরী সাল ধরে ১ তারিখ নির্ধারণ করে ১২ মাসে বছর এভাবে হিজরী সাল গণনা হয় বিভিন্ন মানদ্বন্দে চাঁদ দেখা বা স্বাক্ষীর জন্য হিজরী সাল তারিখের গড়মিল হয়েছে।

আরবি তারিখ কার হিজরত দিয়ে গননা করতে হবে???

2. কুরআন নাযিল হয়েছে লাইতুল ক্বদরে (বাকারা-১৮৫; ক্বদর-১) । কুরআন কয় রাতে নাজিল হয়েছে??? বাংলা না নবী সাঃ এর দেশের আরবি তারিখে???

3. ঈদের দিন সাওম রাখা হারাম-হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে ঈদের সলাত আদায় করেছি । তিনি বলছেন, এ দুই দিনের সাওম রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন । প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা সাওম শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে-(সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১) আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্নীত,রাসুল (সাঃ) রোযার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন (সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২) এক দেশে ঈদ হলে অন্য দেশে রোযা রাখে !! কে হারাম করে ?!

4. আরাফা (জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ) বাংলা বা অন্য দেশের সেদিন ৯ তারিখ থাকে না তো আপনারা কেন সাওম রাখেন ????
ও আশুরার (দশই মুহাররাম) তারিখের ফযিলত- হযরত আবু কাতাদাহ (রাজিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়-আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ ৪/১২৬ হাদিস নং ২৬১৪ কোন দেশের আরাফ ও আশুরার তারিখ সঠিক!!

5. জিলহজ্বের ১০ তারিখে (সউদীর চাঁদের উপর নির্ভর করে) হাজিগণ কুরবানী করেন । হজ্জের কয় দিন পরে ঈদুল আজহা ?????

6. হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত হবে ১০ই মুহাররমের শুক্রবার ।পৃথিবীতে কিয়ামত কোন দেশের তারিখ অনুযায়ী হবে ??
তাহলে বাংলায় এক অথবা ২য় দিন পরে কিয়ামত হবে সুন্দর তো বাংলার চাঁদ মাম ???!!

উপরের বিষয় গুলোর তারিখ যা চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়

যার যার নিজ দেশের চাঁদ উদয়ের উপর নির্ভর করে উক্ত তারিখ গণনা করলে সমগ্র বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিন হয় । আবার কোন দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয় ।

অর্থাৎ উক্ত দুই দেশে একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩১ বা ৩১/৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিল পাওয়া যায় না।

অতএব উক্ত দিনের তারিখ সঠীক না হলে গুনাহ্গার বা ফযিলত থেকে বঞ্চিত হতে হবে ।

সর্বজন স্বীকৃত যে উক্ত দিন (তারিখ) পৃথিবীতে একটাই হবে এবং আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে ।

একথা সকলেরই জানা, আরাফা, পবিত্র ঈদুল আযহা, আশুরা, পালনের দিন তারিখ বেশ কিছু দিন পূর্বেই সংবাদ পাওয়া যায় ।

যা বিশ্বে একই দিনে পালন করা সম্ভব । রমযান মাসের ১ম (যে কোন মাসের ১ম) তারিখ নির্ধারন এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর উপর নির্ভর করে ১ম রোজা এবং ঈদুল ফিতর (পরবর্তী মাস) ।

প্রত্যেক মাসের ১ম তারিখ নির্ধারনে বিশ্ব মুসলিম উম্মা এক হলেই সকল ইবাদত একই দিনে পালন করা সম্ভব হবে । (চলবে) ৮ম পর্বে -

বিশ্বে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা এবং Follow Saudi VS Follow Other (পর্ব ৬ষ্ট )

%% খারেজী বলা থেকে বিরত হন %% পূর্ণ জ্ঞানি মাদানি আলেমদের জন্য। ওনারা বলে বাংলাদেশে জসিমুদ্দিন রাহমানী সহ আরো বাংলার যারা সৌদির যে দিন ঈদ করে সে দিন ঈদ করে তারা ছাড়া আর কেহ সৌদির সাথে এক দিনে ঈদ করে না। নিচের লিস্ট দেখে আরো জ্ঞান অর্জন করবেন আর তওবা করতে পারেন আবার নাও পারেন , কোন কোন দেশ সৌদির সাথে এক দিনে ঈদ করেছে (৭৮ টি দেশ), বা করে থাকে। তোমরা কয়েকজন পণ্ডিত হয়ে বসে আছ। সৌদি কতৃপক্ষ ও খুশি, কিন্তু এদের হিংসা বা গাঁ জলে কেন? আমি (Ataur Rahman) নিজে গত কয়েক বছর নিজে সেই লিস্ট পোস্ট করি, moonsight ওয়েব সাইড থেকে Monday, 28 July 2014: 1.Afghanistan (Follow Saudi) 2.Albania (Follow Saudi) 3.Algeria (Follow Saudi) 4.Armenia (Follow Saudi) 5.Austria (Follow Saudi) 6.Azerbaijan (Follow Saudi) 7.Bahrain (Follow Saudi) 8.Bangladesh (Some areas follow Saudi) 9.Barbados (Local Sighting) 10.Belgium (Follow Saudi) 11.Bolivia (Follow Saudi) 12.Bosnia and Hercegovina (Follow Turkey) 13.Bulgaria (Follow Saudi) 14.Canada (FCNA/ ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America) 15.Chechnia (Follow Saudi) 16.Chile (Local Sighting) 17.China (Majority Follow MeccaCalendar.org) 18.Cosovo (Follow Turkey) 19.Croatia (Follow Turkey) 20.Denmark (Follow Saudi) 21.Egypt - Moon Born before sunset & moon sets at least 5 minutes after sunset 22.Fiji Islands (Late change of decision by Fiji Muslim League) http://www.fianz.co.nz/eid-ul-fitr-1435h 23.Finland (Follow Saudi) 24.France (Union des organisations islamiques de France) [also CFCM (Conseil français du culte musulman)] 25.Georgia (Follow Saudi) 26.Guyana (Accepted Chile sighting) 27.Hungary (Follow Saudi) 28.Iceland (Follow Saudi) 29.Indonesia (Claims of Sighting - Official Announcement) 30.Iraq (Sunnis Follow Saudi) 31.Ireland (ECFR - European Council for Fatwa and Research) 32.Italy (Follow Saudi) 33.Jordan (Follow Saudi) 34.Kazakhstan (Follow Saudi) 35.Kenya (Claims of sighting) 36.Kuwait (Follow Saudi) 37.Kyrgizstan (Follow Saudi) 38.Lebanon (Follow Saudi) 39.Libya (following others who declared Eid on Monday 28 July) 40.Luxembourg (ECFR - European Council for Fatwa and Research) 41.Macedonia (Follow Turkey) 42.Madagascer (Local Sighting) 43.Malawi (Local Sighting) 44.Malaysia (Age > 8 hours, altitude > 2°, elongation > 3°) 45.Mauritania (Follow Saudi) 46.Montenegro (Follow Turkey) 47.Namibia (Follow Saudi) 48.Netherlands (Follow Turkey) 49.New Zealand (Federation of Islamic Association of New Zealand) http://www.fianz.co.nz/eid-ul-fitr-1435h 50.Norway (Some follow Saudi) 51.Palestine (Follow Saudi) 52.Philippines (Follow Saudi) 53.Poland (Calculation) 54.Qatar (Follow Saudi) 55.Romania (Follow Saudi) 56.Russia (Follow Turkey) 57.Saudi Arabia (Official Announcement) 58.Serbia (Follow Turkey) 59.Slovania (Follow Turkey) 60.South Africa (Local Sighting) 61.Spain (Some Follow Saudi) 62.Sudan (Follow Saudi) 63.Sweden (Follow Saudi) 64.Switzerland (Follow Saudi) 65.Syria (Official Decision) 66.Taiwan (Follow Saudi) 67.Tajikistan (Follow Saudi) 68.Tatarstan (Follow Saudi) 69.Tunisia (Criteria of age, or altitude, or sunset-moonset lag) 70.Turkey (Somewhere on the globe Altitude > 5°, elongation > 8°) 71.Turkmenistan (Follow Saudi) 72.U.A.E. (Follow Saudi) 73.UK (Follow Saudi) [Coordination Committee of Major Islamic Centres and Mosques of London] 74.UK (Local Sighting) [Wifaaqul ulama), (Ahle Sunnat Wal Jamaat], OR (Sighting from South Africa) 75.USA (FCNA/ISNA - Fiqh Council of North America/Islamic Society of North America) 76.Uzbekistan (Follow Saudi) 77.Yemen (Completed 30 days) 78.Zimbabwe (South Africa Sighting) পরদিন ঈদ করেছে, নিচের দেশ গুলা - 1.Australia (Local Sighting) 2.Brunei (Local Sighting) 3.China (Some follow Local Sighting) 4.Hong Kong (Local Sighting) 5.India (Local Sighting) 6.Iran (Local Sighting) 7.Iraq (Shi'aas Follow Local Sighting) 8.Morocco (Local Sighting) 9.Oman (Local Sighting) 10.Pakistan (Local Sighting) 11.Spain (Some Follow Morocco) 12.Sri Lanka (Local Sighting) 13.Tanzania (Local Sighting)

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব)

""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৫ম অংশ (পর্ব) ________________________________________ _Mufti Sana Ullah এই সম্মাণিত মুফতি কে উদ্দেশ্য করে এবং তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে_ জনাব মুফতি (শবে বরাত পাট্টি) সাহেব আপনি বলুন :: ১. "শব" শব্দের অর্থ কি ?? ২. "বরাত" অর্থ কি ?? ৩. "শবে বরাত" এই দুই শব্দ মিলে কি অর্থ হয় ?? ৪. "শবে বরাত" কাকে বলে ?? ৫. "কুরআনে কোন আয়াতে ভাগ্য রজনীর কথা বলা হয়েছে ????? ৬: "দুখানের বর্ণিত রাত যেটা ((আমি একে (কুরআন ) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।সূরা আদ দুখান-3-4) এখানে কয় রাতে কুরআন নাজিল এর কথা বলা হয়েছে ??? ৭. "কুরআন নাজিলের রাতে কি এই আয়াতে "লাইলাতুল মুবারাকা" বলা হয়েছে (এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ৮. "এই কথা কি কুরআন নাজিলের রাতের সাথে (এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। ) ????? ___________________________ ধরুন মানলাম আপনার কথা এখন তাহলে বলুন : 1.কুরআন নাজিল হয়েছে শাবান মাসে !!!! দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন লিংকে } ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

{ }{ বিঃদ্রঃ ১- কপি বাজি লিংক বাজি সরাসরি ডিলেট করা হবে }{ }{বিঃদ্রঃ ২- জনাব আশা করি উত্তর গুলো একে একে দিবেন }{ ______________________________________________________ ////সংগ্রহ:- যাকে উদ্দেশ্য কর নোট লেখা তার নাম ১ম কমান্ট দেখান : ০৪. (ক) শবে বরাত যে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ রজনী তার দলীল কোরআন থেকে- প্রথমত একটি বিষয় জানা প্রয়োজন যে, আমরা কসম করে থাকি মহান সত্ত্বা আল্লাহর নামে, আর সেই আল্লাহ নিজেই যদি তার কোন সৃষ্টিকে নিয়ে কসম করে, তাহলে তার মহত্ব কেমন হতে পারে? ❏আহলে হাদীস ভাইদের নয়নের শিরোমণী শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রহ.) বলেন- ﻣﺠﻤﻮﻉ ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ (1/ 290 ) ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗِﻪِ ﻟِﺄَﻧَّﻬَﺎ ﺁﻳَﺎﺗُﻪُ ﻭَﻣَﺨْﻠُﻮﻗَﺎﺗُﻪُ. ﻓَﻬِﻲَ ﺩَﻟِﻴﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺑُﻮﺑِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﺃُﻟُﻮﻫِﻴَّﺘِﻪِ ﻭَﻭَﺣْﺪَﺍﻧِﻴِّﺖِﻩِ ﻭَﻋِﻠْﻤِﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻭَﻣَﺸِﻴﺌَﺘِﻪِ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﺣِﻜْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋَﻈْﻤَﺘِﻪِ ﻭَﻋِﺰَّﺗِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺑِﻬَﺎ ﻟِﺄَﻥَّ ﺇﻗْﺴَﺎﻣَﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺗَﻌْﻈِﻴﻢٌ ﻟَﻪُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ . ....মহান আল্লাহ তার সৃষ্টির কোন কিছু নিয়ে কসম করা, তা ঐ জিনিষের মহান গুরুত্ব সন্মান ইত্যাদির উপর বুঝায়....। মাজমুউল ফাতাওয়া-১/২৯০। ❏ এখন দেখুন মহান আল্লাহ নিজেই পবিত্র কোরআনে শবে বরাত নিয়ে কসম করেছেন- ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺠﺮﺟﺎﻧﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ (ﺍﻟﻤﺘﻮﻓﻰ: 471ﻫـ ) ﻓﻰ ﺩﺭﺝ ﺍﻟﺪﺭﺭ ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻵﻱ ﻭﺍﻟﺴﻮﺭ (2/ 709 ) 2 - {ﻭَﻟَﻴﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ:} ﺍﻟﻈّﺎﻫﺮ ﺃﻧّﻬﻦّ ﻟﻴﺎﻟﻲ (4 ) ﺍﻷﻳﺎﻡ ﺍﻟﻤﻌﻠﻮﻣﺎﺕ، (5 ) ﻭﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻬﻦّ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺠﺎﺋﺰﺓ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺰﺩﻟﻔﺔ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺘﺎ ﺍﻟﻨّﺤﺮ، ﻭﻟﻴﺎﻟﻲ ﻣﻨﻰ، ﻭﻫﻲ ﺛﻼﺙ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨّﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺃﺭﺑﻊ ﻟﻴﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻠّﻮﺍﺗﻲ ﺇﺣﺪﺍﻫﻦ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ. (5 ) ﻳﻨﻈﺮ: ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ (19233 ) ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺜﻌﻠﺒﻲ 10/ 191، ﻭﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ 6/ 217، ﻭﺍﻟﻜﺸﺎﻑ 4/ 749 . অর্থাৎ : পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আল ফজরের শুরুতেই মহান আল্লাহ বলেন- শপথ দশ রাত্রির, উক্ত দশ রাত্রি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে, কিন্তু আল্লামা জুরযানী (রহ.) বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ সব রাত্রি যাতে পুরুস্কার ঘোষনা করা হয়েছে যেমন ..... শবে বরাত..। দারজুদ দুরার-২/৭০৯। ❏ উল্লেখ যে উক্ত দশ রাত্রির ব্যাখ্যায় কোন কোন মুফাসসের বলেন, যিলহজের দশ রাত্রি, আবার কেউ বা বলেন, মাহে রমজানের শেষ দশ রাত্রি ইত্যাদি বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ❏ বিখ্যাত তাবেয়ী মাসরুককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ﻣﺼﻨﻒ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ (4/ 376 ) 8120 - ﻋَﻦْ ﻣَﻌْﻤَﺮٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ ﻗَﺎﻝَ: ﺳُﺌِﻞَ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٌ ﻋَﻦِ {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ} [ﺍﻟﻔﺠﺮ: 2 ] ﻗَﺎﻝَ: «ﻫِﻲَ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺃَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔِ » {ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﻭَﻟَﻴَﺎﻝٍ ﻋَﺸْﺮٍ } এই আয়াত দ্বারা কি উদ্দেশ্য? তিনি বললেন বছরের সব উত্তম রাত্রিগুলো উদ্দেশ্য। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৪/৩৭৬, হাদীস-৮১২০। আর শবে বরাত বছরের একটি উত্তম রজনী তা আমরা হাদীস দ্বারা আলোচনা করেছি। ✏ ৪. (খ) মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আরোও বলেন- ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ (7/ 225 ) ﺣﻢ (1 ) ﻭَﺍﻟْﻜِﺘﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ (2 ) ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ (3 ) ﻓِﻴﻬﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ (4 )............. ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻛَﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔَ ﺍﻟﺦ হা-মীম, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। সূরা আদ দুখান-১-৪। উক্ত আয়াতে ‘‘বরকতময় রাত’’ নিয়ে মুফাসিরদের মাঝে মতানক্য রয়েছে, কেউ বলেন, সেই রাত্রি হলো লাইলাতুল কদর আবার কেউ বা বলেন, শবে বরাত। কিন্তু লাইতালুল কদর এটি অধিক গ্রহণযোগ্য মত। তাফসীরে ইবনে কাসীর-৭/২২৫। আর এই ব্যাখ্যা আহলে হাদীসদের নয়নের শিরোমনি আব্দুর রহমান মুবারকপুরীও বলেছেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী:৩/৩৬৭) ❏ সারকথা হলো, পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাবিদগণ কোন না কোন ভাবে পবিত্র কোরআন থেকেও শবে বরাতের দিকে ইংঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যা তার মহত্বের প্রতি ইংঙ্গিত বহন করে।////

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব)

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৪র্থ অংশ (পর্ব) _____________________________________________ %ভারতীর দেওবন্দী ,কবর পূজারী বেরলোভী ,পির পূজারী জর্দা খুরদের দাবী % শবে বরাত হল ভাগ্য রজনী যা ১৫ শাবান দলিল দেয় নিচের আয়াত থেকে 3 . ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। 4 . ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। এই কথা দিয়ে বলে (প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।) এটা হল শবে বরাত !!!! এদের কথা মত এটা দাড়ায় যে কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে শবে বরাতে কারন আয়াতে বলা আছে (আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে) কুরআন তাহলে নাজিল হয়েছে এদের মতে" ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে" কেননা এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় !!!!!! _____________________________________________ জবাব :: কুরআন নাজিল হয়েছে " ১৫ শাবান তথা শবে বরাতে " না রামাদানে দেখুন নিচের লিংকে কারন কুরআন নাজিল আর দুখানে আয়াতে বণির্ত রাত এটা হল সেই রাত যে রাতে কুরআন এবং প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় ""শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ১ম অংশ

Click This Link

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ২য় অংশ

Click This Link

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত "" ৩য় অংশ (পর্ব) .

Click This Link

{ }

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (৩য় পর্ব)

আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন উল্লেখ নেই ____________________________________________________________ শবে বরাত বলুন আর লাইলাতুল বারায়াত বলুন কোন আকৃতিতে শব্দটি কুরআন মাজীদে খুজে পাবেন না। সত্য কথাটাকে সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় পবিত্র কুরআন মাজীদে ""শবে বরাতের"" কোন আলোচনা নেই। সরাসরি তো দূরের কথা আকার ইংগিতেও নেই। অনেককে দেখা যায় ""শবে বরাতের"" গুরুত্ব আলোচনা করতে যেয়ে সূরা দুখানের প্রথম চারটি আয়াত পাঠ করেন। আয়াতসমূহ হলঃ "হা- মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। < u> এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়।" (সূরা দুখান, ১-৪) শবে বরাত পন্থী আলেম উলামারা এখানে বরকতময় রাত বলতে ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন। আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে বরকতময় রাতের অর্থ ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা আল্লাহর কালাম বিকৃত করার মত অপরাধ। কারণঃ (এক) কুরআন মাজীদের এ আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যা সূরা আল- কদর দ্বারা করা হয়। সেই সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ "আমি এই কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য মালাইকা (ফেরেশ্তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এই শান্তি ও নিরাপত্তা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। "(সূরা কাদর, ১-৫) অতএব বরকতময় রাত হল লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল বারায়াত নয়। সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল এই সূরা আল-কদর। আর এ ধরনের ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল- কুরআনের এক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াত দ্বারা করা হল সর্বোত্তম ব্যাখ্যা। (দুই) সূরা দুখানের লাইলাতুল মুবারাকার অর্থ যদি ""শবে বরাত"" হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে বরাতে নাযিল হয়েছে। অথচ আমরা সকলে জানি আল- কুরআন নাযিল হয়েছে রামাযান মাসের লাইলাতুল কদরে। যেমন সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন, "রামাযান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন।" (তিন) অধিকাংশ মুফাচ্ছিরে কিরামের মত হল উক্ত আয়াতে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। শুধু মাত্র তাবেয়ী ইকরামা রহ. এর একটা মত উল্লেখ করে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন বরকতময় রাত বলতে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতকেও বুঝানো যেতে পারে। তিনি যদি এটা বলে থাকেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী হওয়ার কারণে পরিত্যাজ্য। এ বরকতময় রাতের দ্বারা উদ্দেশ্য যদি শবে বরাত হয় তাহলে শবে কদর অর্থ নেয়া চলবেনা। (চার) উক্ত আয়াতে বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা শবে বরাত করা হল তাফসীর বির-রায় (মনগড়া ব্যাখ্যা), আর বরকতময় রাতের ব্যাখ্যা লাইলাতুল কদর দ্বারা করা হল কুরআন ও হাদীস সম্মত তাফসীর। সকলেই জানেন কুরআন ও হাদীস সম্মত ব্যাখ্যার উপসি'তিতে মনগড়া ব্যাখ্যা (তাফসীর বির-রায়) গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। (পাঁচ) সূরা দুখানের ৪ নং আয়াত ও সূরা কদরের ৪ নং আয়াত মিলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদরকেই বুঝানো হয়েছে। সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে কাসীর, কুরতুবী প্রমুখ মুফাচ্ছিরে কিরাম এ কথাই জোর দিয়ে বলেছেন এবং সূরা দুখানের ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ শবে বরাত নেয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। (তাফসীরে মায়ারেফুল কুরআন দ্রষ্টব্য) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) তাঁর তাফসীরে বলেছেনঃ “কোন কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল মধ্য শাবানের রাত (শবে বরাত)। কিন্তু' এটা একটা বাতিল ধারণা।” অতএব এ আয়াতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ এর অর্থ লাইলাতুল কদর। শাবান মাসের পনের তারিখের রাত নয়। (ছয়) ইকরামা (রঃ) বরকতময় রজনীর যে ব্যাখ্যা শাবানের ১৫ তারিখ দ্বারা করেছেন তা ভুল হওয়া সত্ত্বেও প্রচার করতে হবে এমন কোন নিয়ম- কানুন নেই। বরং তা প্রত্যাখ্যান করাই হল হকের দাবী। তিনি যেমন ভুলের উর্ধ্বে নন, তেমনি যারা তার থেকে বর্ণনা করেছেন তারা ভুল শুনে থাকতে পারেন অথবা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বানোয়াট বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব নয়। (সাত) শবে বরাতের গুরুত্ব বর্ণনায় সূরা দুখানের উক্ত আয়াত উল্লেখ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এ আকীদাহ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, শবে বরাতে সৃষ্টিকূলের হায়াত- মাউত, রিয্ক-দৌলত সম্পর্কে সিদ্ধান- নেয়া হয় ও লিপিবদ্ধ করা হয়। আর শবে বরাত উদযাপন কারীদের শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী এ ধারণাই পোষণ করেন। তারা এর উপর ভিত্তি করে লাইলাতুল কদরের চেয়ে ১৫ শাবানের রাতকে বেশী গুরুত্ব দেয়। অথচ কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ বিষয়গুলি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। তাই যারা শবে বরাতের গুরুত্ব বুঝাতে উক্ত আয়াত উপস'াপন করেন তারা মানুষকে সঠিক ইসলামী আকীদাহ থেকে দূরে সরানোর কাজে লিপ্ত, যদিও মনে- প্রাণে তারা তা ইচ্ছা করেন না। (আট) ইমাম আবু বকর আল জাসসাস তার আল-জামে লি আহকামিল কুরআন তাফসীর গ্রনে' লাইলালাতুন মুবারাকা দ্বারা মধ্য শাবানের রাত উদ্দেশ্য করা ঠিক নয় বলে বিস্তারিত আলোচনা করার পর বলেন : লাইলাতুল কদরের চারটি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতু মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত ও লাইলাতুস সিক। (আল জামে লি আহকামিল কুরআন, সূরা আদ-দুখানের তাফসীর দ্রষ্টব্য) লাইলাতুল বারাআত হল লাইলাতুল কদরের একটি নাম। শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের নাম নয় ইমাম শাওকানী (রহ.) তার তাফসীর ফতহুল কাদীরে একই কথাই লিখেছেন। (তাফসীর ফাতহুল কাদীর : ইমাম শাওকানী দ্রষ্টব্য) এ সকল বিষয় জেনে বুঝেও যারা ‘লাইলাতুম মুবারাকা’র অর্থ করবেন শবে বরাত, তারা সাধারণ মানুষদের গোমরাহ করা এবং আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি __________________________________________________ প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই? সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খোঁজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছেতার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি। শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই। এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল- কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই।অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে। ____________________ অতএব এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত অভিহিত করা মানুষের মনগড়া বানানো একটি বিদ‘আত যা কুরআন বা হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (২য় পর্ব)

প্রসঙ্গ শবে বরাত আপনারা সূরা দোখানের (৩ ও ৪) নং --- ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। এই দুইটি আয়াতের দলিল দিয়ে শবে বরাতকে জায়েয করতে চান এবং হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)- এর বর্ণিত হাদিস দিয়ে, (যেখানে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা) ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় না পেয়ে তাকে যখন বাকী নামক কবরস্থানে খুঁজে পেলেন এবং তার প্রশ্নের জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'হে আইশা জান না আজ কোন রাত?') দেখুন ইবনে মাজাহ হাদীস - ১৩৮৯ ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) এই কথা দিয়ে তারা শবে বরাতকে জায়েজ করতে চায়। আমি এইসব সাম্মানিত শায়েক বুজর্গ / বুজর্গয়ানে দ্বীনদের প্রশ্ন করি, এই রাতটি যদি মুবারক রাত হয় (সূরা দুখানের আয়াত অনুযায়ী) হয় তাহলে হযরত আইশা সিদ্দীকা(রা) ঘুমাচ্ছিলেন কেন? এ ব্যাপারে তিনি জানতেনই না বা কেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একা একা এই মুবারক রাতের ফায়েজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন কি? উম্মাতকে না জানিয়ে?? একাই ইবাদত বেশি করতে চেয়েছেন?? (নাউজুবিল্লাহ্ )। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতকে 'লাইলাতুন নিসফ্ মিন শাবান' বললেন, কিন্তু আপনাদের এ সুন্নতটি পছন্দ হলো না। এই হাদীসের আরবি সনদ দেখুন--- ( ﺭﻗﻢ 974 ( ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻧﻬﺎ ﺭﺃﺕ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺧﺮﺝ ﺫﺍﺕ ﻟﻴﻠﺔ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ . ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻔﻌﻞ ﻧﻔﺴﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﺭﻭﻱ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺃﺧﺮﻯ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻌﻠﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻓﻴﺤﻤﻞ ﻗﻴﺎﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺧﺮﻭﺟﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ তাহলে বুঝুন তাদের অবস্থা। আল্লাহ্ তা'আলা এ উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন ও অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন এবং এ দ্বীনের মদ্ধে যে ব্যাক্তি নতুন কিছু প্রবর্তন করবে যার তিনি অনুমোদন দেননি তাকে তিনি অপছন্দ করেন।। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন --- ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲ ﻭَﺭَﺿِﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡَ ﺩِﻳﻨًﺎ আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। সূরা মায়েদা আয়াত -৩ কিন্তু আপানাদের বিদা'আত করা প্রছন্দ কিন্তু সুন্নত পছন্দ নয়, তাই তো তারা বিদআ'ত আবিষ্কার করে সুন্নতকে হটিয়ে এ রাতের নাম দিলেন শবে বরাত। যারা সুন্নত সুন্নত করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, যারা সুন্নত রাখার যায়গা পাননা একেবারে উপচিয়ে পড়ে তাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর বলা নামটি পছন্দ হলো না কেন? বিশেষ দ্রষ্টব্য:- আপনারা যদি আরবি সনদে কোন হাদীসে শবে ররাত শব্দ দেখাতে পাড়েন তাহলে আমিও আজ থেকে শবে বরাত পালন করবো। বিদা'আতের ব্যাপারে রাসূল (স) সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, বিদা'আত মাত্রই গুমরাহী বা ভ্রষ্ঠতা। রাসূল (স) এ থেকে বিরত থাকার জন্য কাঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বিদ‘আতের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে আমরা আরও ভয়াবহ চিত্র দেখতে পাব। বিদ‘আত সম্পর্কে রাসূূলুল্লাহ (সা) এরশাদ করেন। ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ- ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ যে ব্যক্তি আমার এই দীনের মাঝে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত। তিনি আরও বলেন, ﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ ﻭﻛﻞ ﺿﻼﻟﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ - প্রত্যেকটি নব উদ্ভাবিত জিনিষই পথভ্রষ্টতা আর পথভ্রষ্টতা দোজখের দিকে নিয়ে যায়। বোখারী / মুসলিম তবে আপনারা যদি তাহাজ্জুদ মনে করে মসজিদে কিছু সময় সলাত অতঃপর বাসায় সলাত পড়েন বা অন্যান্য ইবাদত করেন তাহলে সমস্যা নাই কিন্তু আমাদের দেশে যেভাবে উৎযাপন করা হয় এবং মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া মিলাদ এবং দলে দলে গিয়ে কবর জিয়ারত করা এবং হালুয়া রুটি খাওয়া বা বিতরন করা তা অবশ্যই বিদা'আত। আপনারা আবার ধরে নিয়েন না যে আমি করব জিয়ারত করতে নিশেধ করছি।কিন্তু প্রচলিত এই প্রথায় নয় করব জিয়ারত করতে হবে রসূল ( স) সুন্নাতের প্রথায় কারন করব জিয়ারতের অনেক গুলো সহীহ হাদীস আছে। পড়ে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ। মূলত মহান আল্লাহ প্রতি মদ্ধো রাত্রিতে নেমে আসেন আল্লাহ্ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে তখন আল্লাহ তায়া'লা নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে প্রার্থনা করছ আমি তাকে দান করব। কে আছ ক্ষমাপ্রার্থী আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। বুখারী শরীফ-১১৪৫, মুসলিম শরীফ-৭৫৮ এই রাতে সলাত বা ইবাদাতের জন্যে খাস করার দরকার হলে আল্লাহর নবী (স) করতেন, সাহাবা গন (রাদ) করতেন কিন্তু তা করেন নাই। কোন কোন তাঁবে ই তা ব্যক্তির নিজস্ব কাজ। কারো নিজস্ব কাজ অন্যের জন্যে সুন্নাত বা তরীকা হতে পারেনা। আজো কেউ যদি সাবানের আগে পরে রাত্রে এবাদাত করে এবং তাঁর অভ্যাস অনুসারে সাবানের রাতেও করে তাহলে তা ঠিক আছে। কিন্তু সাবানের রাত কে খাস করে ইবাদাত করা বিদা'আত হবে। আল্লাহ্ ভাল জানেন। ইনশাআল্লা হ আল্লাহ্ তালা আমাদের সবাইকেই হক বুঝা ও মানার তৌফিক দাও। আমীন

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

""শবে বরাত"" ইসলামে নেই, আছে ""কদরের রাত "" (পর্ব এক)

শবে বরাত ইসলামে নেই আছে ""কদরের রাত ""
------------------------------------------
নামধারী ভন্ড মুফতি এই ফেতনাবাজ দেখে নেও কুরআন কি বলে "শবে ......" এই জালিয়াত আপনিরা কুরআন থেকে "শবে বরাত" প্রমাণ করতে পারলে আমি তা পালন করব শর্ত হল "শবে" শব্দ কুরআন ও সহি হাদিস থেকে দেখাতে হবে??
------------------------------------------
সূরা: Ad-Dukhaan (The Smoke) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৪৪
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ 1. ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺣﻢ হা-মীম। 2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। 3. ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। 4. ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। 5. ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। 6. ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻚَۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত বরকতময় রাত কোনটি ??
একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে বলা আছে যে
ﺇﻧﺎَِّ ﺃﻧﺰََﻟﻨَْﺎﻩُ ﻓﻲِ ﻟﻴَْﻠﺔﻣﺒٍََُّﺎﺭﻛََﺔ َ "আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে",
এ আয়াতের আগের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে -
2. ﻭﺍﻟَْﻜﺘَِﺎﺏِ ﺍﻟﻤُْﺒﻴﻦِِ "শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের"।
এই আয়াত সহ মোট ১৩ বার আল্লাহ সুবঃ তাঁর কিতাব কুরআন মাজীদকে "কিতাবুম মুবীন" মানে "সুস্পষ্ট কিতাব" হিসাবে অভিহিত করেছেন।
এই সুস্পষ্ট কুরআনে খুবই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে কুরআন নাযিল হয়েছে রামাদান মাসে তা শাবান মাসে নয়?
আর কুরআন নাজিলের রাত যেটি লাইলাতুম মুবারাকা বা বরকতময় রাত সেইটি ।
এখন দেখি আমরা এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাবকে স্পষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কোন মাসে নাজিল হয়েছে?
রামাদান মাসে না শাবান মাসে ??
সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে উত্তর দিবে - .
شهَْرُ رمََضان الذََ َِّي أنزُِلَ فيها الْقرُْآنُ " রমযান মাস-যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে (বাকারা ২: ১৮৫)
এবার আমরা সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কে আবার প্রশ্ন করব আমরা বুঝলাম যে তুমি রামাদান মাসে অবতীর্ণ হয়েছো ।
তবে রামাদানের কোন সময় নাযিল হয়েছো?
রাতে না দিনে ?
রাতে হলে কোন রাতে ?
শাবানের ১৪ তারিখ দিন যেয়ে রাতে না লাইলাতুল কদরে ??
উত্তর দিবে এই সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী কিতাব কুরআন মাজিদ স্পষ্টভাবে উত্তর দিবে
-সূরা: Al-Qadr (The Power, Fate) মক্কায় অবতীর্ণ সূরা নং: ৯৭
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻘﺪﺭ 1. ﺑِّﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরে রাতে নাযিল করেছি ।
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছে রামাদান মাসের লাইলাতুল কদরে কুরআন তো বল না যে সে নাযিল হয়েছে "শবে বরাতে"???
আর সুরা দুখানের ৩ নং আয়াতের শুরুতে কুরআন নাযিলের রাতকেই লাইলাতুম মুবারাকা বলা হয়েছে
2. ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। 3. ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
এখানে পূর্ববতী আয়াতে বলা হয়েছে " ِশপথ সুস্পষ্ট কিতাবের" তার পরে বলা হয়েছে " আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে" এই রাত অন্য কোন রাত নয় ,
"বরকতময় রাতে হচ্ছে কদরের রাত " তাফসীর বিশারদগণের মতে সব চেয়ে বিশুদ্ধ , নির্ভরযোগ্য সঠিক তাফসীর হচ্ছে কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর।
{আরো জানতে পড়ুন ২য় অংশ পড়ুন}

শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬

প্রশ্ন: কেন আরবদেশের সঙ্গে একই সময়ে সাহরী ও ইফতার খাই না এবং নামায আদায় করি না?

প্রশ্ন করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার তারিখ অনুযায়ী বাংলাদেশে রোযা ও ঈদ হবে, তাহলে আমরা কেন আরবদেশের সঙ্গে একই সময়ে সাহরী ও ইফতার খাই না এবং নামায আদায় করি না?
_________________________________________________________________________________________________________
উত্তর
::___________________________________
এখানে একটি মৌলিক কথা মনে রাখতে হবে যে, রোযা ফরয হওয়া নামায ফরয হওয়া এক বিষয়।
আর রোযা আদায় করা নামায আদায় করা এবং সাহরী ও ইফতার খাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
যে কোন ইবাদত ফরজ হওয়ার ভিত্তিকে আসবাবে উজুুব বা ওয়াজিব হওয়ার কারণ বলে ।
পক্ষান্তরে কোন ইবাদত বাস্তবায়ন করার ভিত্তিকে আসবাবে আদা বা সমাপনের কারণ বলে।
অর্থাৎ প্রতিটি ইবাদতের দুটি দিক রয়েছে।
একঃ ইবাদতটি ফরয হওয়া,
দুইঃ ফরয হওয়া উক্ত ইবাদতকে কার্যের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। রোযা রাখার ক্ষেত্রেও অনুরূপ।
প্রথমত; রোযা ফরয হওয়া,
দ্বিতীয়ত; রোযাকে কাজের মাধ্যমে পূর্ণতা দেয়া।
প্রথমটি অর্থাৎ রোযা ফরয হওয়া নির্ভর করে চাঁদ দেখার মাধ্যমে মাসের উপস্থিতির উপর।
ফলে পৃথিবীর আকাশে পবিত্র রমযান মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে রমযান মাস প্রমাণিত হওয়ার সাথে সাথে সমগ্র পৃথিবীর সকল মু’মিন নারী পুরুষের উপর একই সাথে রোযা ফরয হওয়া সাব্যস্ত হয়ে যায়। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ঘোষণা হলো-
ﻓﻤﻦ ﺷﻬﺪ ﻣﻨﻜﻢ ﺍﻟﺸﻬﺮ ﻓﻠﻴﺼﻤﻪ অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই রমযান মাসে উপনিত হবে সে যেন রোযা রাখে।
এখন প্রশ্ন হলো ফরয হওয়া এ রোযা আমরা কিভাবে আদায় করব?
যা রোযার দ্বিতীয় দিক অর্থাৎ রোযাকে কার্যে পরিণত করা যা শুরু হয় সাহরী খাওয়ার মাধ্যমে এবং শেষ হয় ইফতারের মাধ্যমে।
আর দ্বিতীয়টি অর্থাৎ সাহরী ও ইফতারীর মাধ্যমে রোযাকে বাস্তবায়ন করা নির্ভর করে সূর্যের পরিভ্রমনের উপর। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ঘোষণা হলো-
ﻭَﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺍﺷْﺮَﺑُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂُ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂِ ﺍﻟْﺄَﺳْﻮَﺩِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗِﻤُّﻮﺍ ﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ অর্থাৎ তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে (পূর্ব আকাশে) ভোরের শুভ্র রেখা পরিস্কার হয়। অতপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত।
অত্র আয়াতের ঘোষণা থেকে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে, রোযা কার্যের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করার শুরু হচ্ছে সুবহি সাদিক এবং রোযা সমাপ্ত হবে রাতের শুরুতে যা ইফতারের সময়।
সুবহি সাদিক এবং রাত হওয়া অবশ্যই সূর্যের পরিভ্রমনের সাথে সম্পর্কিত, চাঁদের সাথে নয়।
তাহলে উপরোক্ত দু’টি আয়াতের সারকথা এ দাড়ালো যে, পৃথিবীর কোথাও চাঁদ উদয় প্রমাণিত হওয়ার সংবাদ গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে পাওয়ার সাথে সাথে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মু‘মিন-মু’মিনার উপর রোযা ফরয হবে।
রোযা বাস্তবায়ন করতে হবে সূর্যের পরিভ্রমনের দ্বারা।
তাই সূর্যের পরিভ্রমনের প্রতি লক্ষ রেখেই স্থানীয় সৌর সময় অনুযায়ী পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন সময়ে সাহরী, ইফতার ও নামায আদায় করতে হয়।
যেহেতু বাংলাদেশে সূর্য উদয়-অস্ত মধ্য প্রাচ্যের মক্কা নগরীর উদয়-অস্তের সময় থেকে ৩ ঘন্টা অগ্রগামী সে কারণেই বাংলাদেশে সাহরী, ইফতার ও নামাযের সময় মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময়ের চেয়ে ৩ ঘন্টা আগে হবে।
সুতরাং এ ব্যপারে আর কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না।
মনে করুন রাষ্ট্রীয় ঘোষণা মতে সমগ্র বাংলাদেশবাসী শুক্রবার ১ম রমযানের রোযা রাখলেন।
অথচ ঐ দিনই পার্বত্য চট্রগ্রামের মানুষের সাহরীর শেষ সময় ও ইফতারের সময় যখন হয়, তার ১৩ মিনিট পরে হবে পঞ্চগড়বাসীদের সাহরীর শেষ সময় ও ইফতারের সময়। এর কারণ হলো রোযা রাখা হয় চাঁদের তারিখের ভিত্তিতে।
তাই একই চান্দ্রতারিখে সকলে রোযা রাখবে। আর সাহরী, ইফতার ও নামাযের সময় হয় সূর্যের গতি বিধিতে।
ফলে যার যার স্থানীয় সৌর সময়ানুযায়ী সাহরী ও ইফতার গ্রহণ এবং নামায আদায় করবে।

মুকাল্লিদ আলেম নয়

জনৈক কথিত মুকাল্লিদ/ মাঝাবি>~কথিত আহলে সুন্না ওয়াল জামা>~হানাফি>~ডেওবন্দি>~চোর মুনাইয়ের সমর্থনকারী> ~জর্দা খোর>~কাজ্জাব>~ইতর >বেয়াদব>কানা>দা জ্জালী>ফেতনাবাজ >প্রতারক>ব্যংগক ারী>খবিস,,,<(চল মান....)লুতফর রহমান ফরায়েজী বলছে যে= %%%%%%%%%%%%%%%% =রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। ==রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। ===রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। ====রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। =====রাসুল সাঃ কখনো ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়েছেন, আবার কখনও পড়েন নি। %%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%% (লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লাবিল্লাহ) =কাজ্জাব, লুতফর রহমান ফরায়েজী ইমামের পিছে সুরা ফাতিহা পড়ার মাসয়ালার সমাধান দিতে গিয়ে রাসুল সাঃ এর নামে কি বলছে এসব??? #এই কাজ্জাব- ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মাঝাবকে ধর্ম হিসেবে দেখে, আর মনে করে এটাই হক। এজন্য ইনিয়ে বিনিয়ে, মিথ্যা (এমনকি রাসুল সাঃ এর নামেও) বলে যায়। #একশ্রেণীরর আলেমরাই জাহান্নামে আগে যাবে। ওহ, আর একটি কথা= মুহাদ্দিসগণের একটি সুপরিচিত বাক্য আছে। আর তা হল- ""মুকাল্লিদ আলেম নয়, সে তো তাই বলে যা তার ইমাম বলেছে (হাদিস হোক আর মিথ্যা হোক)।"" %%%%%%%%%%%%%%%%%%%%

বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬

কয়টা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে মুস্তাহিদ রা???

একটা জনপ্রিয় জাল মুফতী বলেছে, "চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা হল মুস্তাহিদগণ"
আমি বলি ঐ জাল সাহেব আপনি দেখান তো """কয়টা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে মুস্তাহিদ রা""????

চুড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা হল মুস্তাহিদগণ Click This Link