বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
‘ঘরে গরুর মাংশ আছে’ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট।
‘ঘরে গরুর মাংশ আছে’ ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট।
ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে মন্দিরের থেকে এই ঘোষণা শোনার পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসে শত শত হিন্দু গ্রামবাসী।
ঘর থেকে টেনে হেচরে বের করে মুহম্মদ আখলাক সাহেব এবং তার ছেলে দানিশকে।
এরপর ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় দু’জনকে।
মুহম্মদ আখলাকের মাথা সম্পূর্ণরূপে থেতলে দেওয়া হয় , মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লো পঞ্চাশ উর্ধ্ব এ মানুষটি। গুরুতর আহত দানিশকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
মুহম্মদ আখলাকের রক্তাক্ত দেহ দর্শন কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না, তার স্ত্রী ও কন্যা।
কন্যা সাজিদা’র কেবল একটি প্রশ্ন, “ আচ্ছা, আমাদের ফ্রিজে তো গরু মাংশ ছিলো না, তবে কি তারা আমার বাবাকে ফিরিয়ে দেবে ?”
(সূত্র: , )
আখলাক সাহেবের কন্যা সাজিদার সাথে আমিও কিছু প্রশ্ন করতে চাই তাদের ??
১) ভারতে পশুর থেকে কি মানুষের মূল্য কম ? একটি সামান্য পশুর জন্য একজন মানুষকে হত্যা করা কতটা মনুষ্যহীনতার লক্ষণ?
২) ঐ মানুষগুলোর পক্ষে কি একটুও সহনশীল হওয়ার প্রয়োজন ছিলো না ? নাকি তারা মানুষই নয় ?
৩) তারা কি পারতো না সামান্য একটু গরু খাওয়ার জন্য একজন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা না করতে ? তারা কি পারতো না, আখলাক সাহেবের সন্তানদের এতিম না করতে, স্ত্রীকে বিধবা না করতে ?
৪) ধরে নিলাম, গরু খাওয়া অপরাধ ভারতে (কিন্তু এই ভারতী গরুর মাংস রপ্তানিতে বিশ্বের ১ম), সেই অপরাধের তো শাস্তিও আছে। তবে পুলিশকে ডাক দিলেই হতো। হামলা করার দরকার ছিলো কি ? নিজ হাতে হত্যা করা কি আইনত শুদ্ধ ?
৫) হিন্দুরা প্রায়শঃ বলে, বাংলাদেশ-ভারতে নাকি মুসলিম জঙ্গীবাদে ভরে যাচ্ছে, এ খবরের দ্বারা কি প্রমাণ হয় না, ভারতে একটি গণজঙ্গী রাষ্ট্র এবং মন্দিরগুলো হচ্ছে সেই জঙ্গী জমায়েতের কেন্দ্র ?
৬) মন্দির গুলো কি কাজে ব্যবহৃত হয়, উপাসনার কাজে নাকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লাগানোর কাজে ?
৭) একটা রাষ্ট্র ও বিচারব্যবস্থা কতটা সাম্প্রদায়িক হলে কোর্ট রায় দিয়ে গরু নিষিদ্ধ করতে পারে ?
৮) ধরে নিলাম, গরু নিষিদ্ধ। তবে সেটা কি শুধু মুসলমানদের জন্য ? কেন ভারত এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গরু রফতানিকারক দেশ ? কেন তারা কোরবানী ঈদে বাংলাদেশে গরু পাঠায় ?
৯) গরুকে হত্যা করলে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাই তারা তাদের ধর্মীয় আইন মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। খুব ভালো কথা। এখন মূর্তি পূজা করলেও তো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। তবে কি হিন্দুদের পূজাও নিষিদ্ধ করতে হবে ?
১০) বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায়শঃই বলে, বাংলাদেশে হিন্দুরা খুব নির্যাতিত হচ্ছে। কেউ কি বলতে পারবেন, বাংলাদেশের কোন হিন্দুদের উপর এ ধরনের সাম্প্রদায়িক কোন নির্যাতনের ঘটনা কখনও ঘটেছে ?
শেষে শুধু একটা কথাই বলতে হয়, মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ‘বোধ’ নামক এক শক্তির। মানুষের বোধোদয় হয়, কিন্তু পশুর হয় না। তবে যে সকল মানুষের সেই ‘বোধ’ টুকুও নেই, তাদের মানুষ না বলে পশু বলাই উত্তম
মালু/হিন্দুরা কি আর ধর্ম মানে ??
রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন ।((ঈদ পর্ব ৫ম))
চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন।((ঈদ পর্ব ৫ম))
______________________________________________________
"চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভরশীল ইবাদত
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ । আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী । কাজেই তোমাদের মধ্যেযে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে । আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুণ আল্লাহ তায়ালার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর- (বাকারা ০২/ ১৮৫)
পৃথিবীর সকল জীবিত লোকই এ মাস পাবে । তথাপী উক্ত আয়াতে “যে লোক এ মাসটি পাবে”কেন বলা হল ?
এর ব্যাখ্যায় যারা চাঁদের উদয়স্থলের বিভিন্নতা গ্রহন করে নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে সাওম রাখতে হবে তারা বলে যে দেশে চাঁদ দেখা গেল তারা এ মাস পেল । যে দেশে চাঁদ দেখা গেল না তারা এ মাস পেল না। তাদের দেশে চাঁদ দেখার পরে পাবে ।
আয়াতে অসুস্থ, মুসাফির ব্যক্তির কথাও আছে । অর্থাৎ দেশের সকলে মাস পেয়ে রোজা রাখলেও অসুস্থ, মুসাফির অন্য মাসে সুস্থ, মুক্বীম অবস্থায় সাওম রাখতে পারবে।
অর্থাৎ সামগ্রীক ভাবে বলা যারা এ মাসে রোজা রাখতে পারবে তারা এ মাস পেল আর যারা রোজা রাখতে পারল না তারা এ মাস পেল না[অসুস্থ, মুসাফির, নামে মুসলমান (ইচ্ছাকৃত ভাবে সাওম রাখেনা) ও ভিন্ন ধর্মাবলী অন্যান্যরা]
ইসলামে মাসের শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
يَسْأَلُونَكَعَنِالْأَهِلَّةِۖقُلْهِيَمَوَاقِيتُلِلنَّاسِوَالْحَجِّۗ
তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে । বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য (মাসের) সময় (তারিখ) নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় (তারিখ) ঠিক করার মাধ্যম (বাকারাহ-০২/১৮৯)
চাঁদ দেখা
_________________
রসূল সা: বলেন, তোমরা সাওম রাখবে না,যে পর্যন্ত না চাঁদ দেখতে পাও।একই ভাবে তোমরা সাওম ভঙ্গ (ঈদ) করবে না, যে পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পাও । তবে যদি মেঘের কারনে তা তোমাদের কাছে গোপন থাকে,তবে শাবান মাস পূর্ণ করবে ৩০ দিনে।
অপর বর্ণনায় আছে, তিঁনি (সাঃ) বলেন- মাস কখনও ২৯ দিনেও হয় (সহীহ বুখারী-৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০,সহীহ মুসলিম-৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪)
"মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেছেন, “ঐ সাওম আরম্ভ হবে যেদিন সকলে সাওম রাখবে, সাওম ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই সাওম ভাঙ্গে আর কুরবানী করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে” (তিরমিযী, হাদিস নং ৬৯৭)
উপরের হাদিসে কি বুঝা যায়ঃ-
১) রমজানের সঠিক তারিখ জানার পূর্বে শা’বান মাসের চাঁদ দেখে সঠিক ভাবে শা’বানের শুরু তারিখ নির্ধারণ করা । অথচ রমযানের চাঁদ দেখার উপর বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয় । শা’বানের (যে কোন মাসের) ২৯ তারিখের দিবাগত রাত্রে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে শেষ হবে এবং ৩০ তারিখের দিবাগত রাত্র থেকে (পরবর্তী মাস) রমযান মাসের শুরু হবে (চাঁদ না দেখা গেলেও)
অতএব রমযানের চেয়ে শা’বানের চাঁদ দেখার গুরুত্ব বেশী (আরবী সকল মাসের চাঁদ দেখার গুরুত্ব আছে)
"আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) শাবানের মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি যখনই নতুন চাঁদ দেখতে পেতেন তখন সাওম শুরু করতেন । আর যদি নতুন চাঁদ না দেখতে পেতেন তাহলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে সাওম রাখতেন” (আবু দাউদ হাদিস নং ২৩১৮)
(২) “তোমরা, না চাঁদ দেখতে পাও” কথা দ্বারা বুঝা যায় পৃথিবীর সকল মানুষ যারা স্বচক্ষে চাঁদ না দেখবে সাওম রাখবে না, ঈদ করবে না; যারা দেখবে সাওম রাখবে, ঈদ করবে (এমন নয়) ।
আর কেউই চাঁদ না দেখলে ৩০ শে শা’বানের দিবাগত রাত্র থেকে সাওম রাখবে ।
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
______________
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন (সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
"একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন । তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন । এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় । রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যাঁ আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
"আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট, যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
"রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই। আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি (সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
"হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম । পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন (আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
"একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন। তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে । তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে, লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে” (আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
1. সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
2. তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন ।
3. চাঁদ দেখার স্বাক্ষী নিজ দেশের লোক, পার্শ্ববতী দেশের লোক, পৃথিবীর যে কোন দেশের লোক কোথাকার হবে
অর্থাৎ“তোমরা” “সবাই” “সকলে”বলতে কাদের বুঝিয়েছেন ?
চলবে
হাদিসে কুরাইব ((ঈদ পর্ব ৪র্থ))
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২৩৯৯] ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে- উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব রাঃ বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছিলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধান করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্হায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমূ-আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমূ-আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যা, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ)-এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরুপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
====
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[২১১৫] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্হান করলে জুমূআর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু-আর রাত্রে দেখে ছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে? আমি বললাম: হ্যা, অন্যন্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মূআবিয়া রাঃ অথবা তার সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরুপই নির্দেশ দিয়েছেন।
========
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৯১] আলী ইবনু হুজর (রহঃ) কুরায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রাঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের রাঃ কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান
====
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ ((ঈদ পর্ব ৩য়))
রাসুল সাঃ এর নিজের আমল ঈদ চাঁদ
=======
ইসলামিক
ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ জামে
তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ৮/ সাওম
(রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
[৬৮৮] মুহাম্মাদ ইবনু
ইসমাঈল (রঃ) ইবনু
আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, জনৈক
বেদুঈন
নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কাছে এসে বলল,
আমি (রামাযানের) চাঁদ
দেখেছি,
তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন,
তুমি কি একথার
সাক্ষ্য দাও
যে আল্লাহ
ছাড়া কোন ইলাহ নাই?
তুমি কি আরো সাক্ষ্য
দাও যে মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আল্লাহর রাসূল?
সে বলল, হ্যাঁ।
তিনি বললেন,
হে বিলাল !রাঃ লোকদের
মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দাও
তারা যেন
আগামী কাল সিয়াম
পালন করে।
====
[৬৮৯] আবূ কুরায়ব (রহঃ) সিমাক ইবনু হারব (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটির সনদে মতভেদ রয়েছে। সুফিয়ান সাওরী প্রমূখ এটিকে সিমাক ইবনু হারব, ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। সিমাক (রহঃ) এর অধিকাংশ ছাত্র সিমাক -ইকরিমা সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। অধিকাংশ আলিমের এই হাদিস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বলেন, সিয়ামের ব্যাপারে এক ব্যক্তির সাক্ষ্যই গ্রহণীয়। ইবনু মুবারক, শাফিঈ রঃ ও আহমাদ (রঃ) ও কহফা বাসীর ((ইমাম আবূ হানীফা (রঃ) বক্তব্য এ-ই। ইসহাক (রঃ) বলেন,
দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া সিয়াম পালন করা যাবেনা। তবে সিয়ম ভঙ্গের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ নেই যে, দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
========
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সুনানে নাসাঈ
অধ্যায়ঃ ১৭/ সাওম (রোজা)
হাদিস নাম্বারঃ
২১১৬। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এক বেদুঈন এসে বললো যে, আমি চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা’বুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোযণা দিলেন যে, তোমরা সবাই সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন কর।
২১১৭। মুসা ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে একজন বেদূঈন এসে বললেন যে, আমি রাত্রে চাঁদ দেখেছি, তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন যে, তুমি কি সাক্ষ্য দেও যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং রাসুল? সে বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে বেলাল! তুমি লোকদের সামনে ঘোযণা করে দাও যে তারা যেন সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করে।
====
রাসুল (সাঃ) এর সমাধান করে গেছেন
এক জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শুরু করা যেতে পারে ।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,লোকেরা চাঁদ দেখেছে আমি নবী করীম (সাঃ) কে বললাম,আমিও চাঁদ দেখেছি,তখন নবী (সাঃ) নিজেও সাওম রাখলেন এবং লোক জনকেও সাওম রাখার আদেশ দিলেন-(-সহিহু সুনানি আবিদাউদ ২/৫৫ হাদিস নং ২৩৪২;আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৫, দারেমী)
===
একবার সাহাবীগণ রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন ।তারা তারাবিহ সলাত না পড়ার এবং পরদিন সাওম না রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন ।এমতাবস্থায় ‘হাররা’নামক এক স্থান থেকে জনৈক বেদুইন এসে সাক্ষ্য দেয় যে,সে চাঁদ দেখেছে।তখন তাকে রসূল সা: এর দরবারে নিয়ে আসা হয় ।রসূল সা: তাকে জিজ্ঞেস করেন,তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল ?সে বলে,হ্যা আমি সাক্ষ্য দেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে,আমি নতুন চাঁদ দেখেছি ।অত:পর রসূল সা: হযরত বেলাল রা: কে নির্দেশ দিলেন,লোকদেরকে জানিয়ে দেওয়ার জন্যে যাতে তারা তারাবিহ সলাত পড়ে এবং পরদিন সাওম রাখে(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪, তিরমিযী,নাসাঈ, ইবনে মাজাহ,দারেমী)
===
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখাই যথেষ্ট,যার দ্বীনদার হওয়া প্রমাণিত অথবা বাহ্যিক ভাবে দ্বীনদার হিসেবে পরিচিত (সুনানে আবু দাউদ হাঃ/২৩৪০)
====
দুই জন মুসলমানের স্বাক্ষীর উপর সাওম শেষ করা যেতে পারে ।
“রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই।আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি(সূত্র: আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১, ২৩৩২)
====
হযরত আবু উমাইর ইবনে আনাস (রাঃ) আপন এক আনসারী চাচা থেকে বর্ণনা করেন তারা বলেছেন, মেঘের কারনে আমরা শাওয়ালের চাঁদ দেখিনি বলে সাওম রেখে ছিলাম ।পরে দিনের শেষ ভাগে একটি কাফেলা আসল । তারা নবী করিম (সঃ) এর কাছে রাত্রে চাঁদ দেখেছে বলে সাক্ষী দিল । হুজুর (সঃ) লোকজনকে সে দিনের সাওম ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দিলেন এবং তার পরের দিন সকলে ঈদের সলাতে আসতে বললেন(আহমাদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, সহীহু সুনানি আবি দাউদ ১/৬৮৪ হাঃ ১১৫৭)
===
একবার লোকেরা রমজানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখা নিয়ে মতভেদ করেন।
তখন দুজন বেদুইন রসূল সা: এর কাছে হাজির হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে,গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে ।তখন রসূল সা: লোকদেরকে সাওম ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ।রাবী খালফ তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে,রসূল সা: আরও বলেন যে,লোকেরা যেন আগামীকাল ঈদগাহে আসে”(আবু দাউদ ৩য় খন্ড/২৩৩৩, ২৩৩৪)
সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে সাওম রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে
তবে সাওম ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন
====
Al-Baraheen al-Qatiya, কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী লেখেন
Al-Baraheen al-Qatiya,
কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ
গাঙ্গোহী লেখেন:
” ….একজন বুজূর্গ নবী মুহাম্মাদ(সা.)-কে (স্বপ্নে??) দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন
যখন তিনি দেখলেন যে, আল্লাহর রাসূল
(সা.) ঊর্দুতে কথা বলছেন। ঐ বুজূর্গ
জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এই ভাষা
কিভাবে জানেন, আপনি তো একজন
আরব?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘যখন থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসার ‘আলেমদের সাথে
আমার যোগাযোগ হয়েছে, তখন
থেকেই আমি এই ভাষা জানি।’ ” রশীদ
আহমাদ গাঙ্গোহী মন্তব্য করেন: , ‘
- এ থেকে আমরা এই মাদ্রসার বিশেষত্ব বুঝতে পারি।’
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
মালু নামক হিন্দু তোদের জন্য
মালুতো মালুর বাচ্চা
মালু নামক হিন্দু তোদের জন্য
1. তোরা যে,
কালী পূজার সময়
এককোপে পাঁঠাবলি দেস, সেই পাঁঠা কি নিরীহ নয়?
2.নরবলি প্রথা কারা
চালু করেছে?
3.মুরগি, হাঁস, ছাগল
কি নিরীহ নয়?
4.উদ্ভিদেরও প্রাণ
আছে। সুত্রাং তাদের
কেটেকুটে খাওয়াটাও কি জীবহত্যা নয়?
তোমরা সারাজীবন
বর্বর বর্বর বলে
চিৎকার কর।
অথচ তোমরাই হল বর্বর।
তোমাদের অধিকাংশ দেব-দেবীই নরবলি না
পেলে তুষ্ট হয়না।
তোমাদের গো-মায়া
দেখে আমারই কান্না
পাচ্ছে।
গোমাতা হত্যা পাপ।
অথচ সেই মাকে
হত্যার উদ্দেশ্যে টাকার জন্য পাচার করা পাপ নয়?
তোমরাই পাপী,
মহাপাপী।
নিজে করলে দোষ না অন্য কেউ করলেই দোষ হা হা হা হা হা মালুর জাত হিন্দু¡¡¡
মালু কেট হিন্দু
26/09/2015
Md SaRower HosSain
% নতুন চাদেঁর নির্দেশনা কি? ((ঈদ পর্ব ২য়)) %
% নতুন চাদেঁর
নির্দেশনা কি? %
________________________________
নুতন চাঁদ পৃথিবীর
কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে এবং চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক যেহেতু অত্র ফাতওয়ায় আলোচিত সকল ইবাদাত উদযাপন
চাঁদের তারিখের
সঙ্গে সম্পর্কিত তাই
নুতন চাঁদ পৃথিবীর
কোন অঞ্চলে সর্বপ্রথম দেখা যাবে আমাদেরকে সর্বাগ্রে সে ব্যাপারে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এ বিষয়ে ভৌগলিক
গবেষণার ফলাফল
হলো প্রতি চান্দ্র
মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময়ই সর্ব প্রথম মধ্য প্রাচ্যের কোন না কোন
দেশে দৃষ্টিগোচর হবে।
কারণ চান্দ্র মাসের প্রথম দিনে চাঁদ এবং সূর্য প্রায় একই সময়ে পূর্ব
দিগন্তে (জাপানে)
উদিত হয়।
এবং উদয় স্থলের পূর্ণ বিপরীত মেরুতে (দক্ষিণ- পশ্চিম আটলান্টিকে)
সূর্য অস্ত যাওয়ার
প্রায় ৪৯ মিনিট
পরে চাঁদ অস্ত যায়।
অর্থাৎ সর্ব পশ্চিম দিগন্তে প্রথম
তারিখের চাঁদ সূর্য
অস্ত যাওয়ার পরেও
প্রায় ৪৯ মিনিট
আকাশে থাকে। এ সময় সূর্যাস্তের পর
দিগন্তে চাঁদের
যে কিঞ্চিত অংশটুকু
সূর্যের আলোয়
প্রতিফলিত হয়
তাকেই আমরা নুতন চাঁদ হিসেবে দেখি।
প্রথম দিনের চাঁদ
সূর্যের ৪৯ মিনিট
পরে অস্ত যায় বলেই
২য় দিনের চাঁদ সূর্য
উদয়ের ৪৯ মিনিট
বিলম্বে পূর্বাকাশে
উদিত হয়।
কারণ আকাশের যে দিগন্ত রেখা আটলান্টিকের
জন্য অস্তস্থল, আবার সে দিগন্ত
রেখাই জাপানের জন্য উদয়স্থল।
এভাবে প্রতি দিনই
উদয়ের বিলম্বতায় ৪৯ মিনিট করে যুক্ত
হতে থাকে।
এ কারণেই ২৯ দিনে চাঁদকে ২৯টি স্থানে উদয় হতে দেখা যায়। আবার
সাড়ে ২৯ দিন পরে চাঁদ ২৪ ঘন্টা ঘুরে এসে পরবর্তী চন্দ্র মাসের ১ তারিখে আবার নুতন
করে সূর্যের
সঙ্গে প্রায় একই সময় উদিত হয়।
গবেষণালব্ধ আলোচিত তথ্যগুলোকে সঠিক
প্রমাণিত করছে এ
হিসেবটি।
প্রতি দিনের চাঁদ
উদয়ে বিলম্ব ঘটে ৪৯ মিনিট। প্রতি চান্দ্র মাসের পরিধি হচ্ছে সাড়ে ২৯ দিন ৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা। সুতরাং (৪৯ X ২৯১/২ দিন / ৬০
মিনিট) = ২৪ ঘন্টা।
এভাবেই প্রতি সাড়ে ২৯ দিনে চাঁদ ২৪
ঘন্টা সময় অতিক্রম
করে পরবর্তী চান্দ্র
মাসের ১ তারিখে আবার পূর্বের
স্থানে সূর্য উদয়ের
সমান সময়ে উদিত হয়।
সুতরাং প্রমাণিত
হলো যে, জাপান ও
আটলান্টিকের
মধ্যকার ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদ অস্ত যাওয়ার মধ্যে ব্যবধান হয় ৪৯
মিনিট।
ভৌগলিক ভাবে প্রমাণিত যে, গ্রীনিচমান সময়ের
(GMT) দিক
থেকে পৃথিবীর সর্ব
প্রথম সূর্য উদয়ের
দেশ জাপান।
যার ভৌগলিক অবস্থান ১৪২ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫ ডিগ্রী উত্তর
অক্ষাংশ। এ উদয় স্থল হিসেবে পূর্ণ বিপরীত মেরুর অস্তস্থল হল দক্ষিণ পশ্চিম আটলান্টিক
মহাসাগর। যার
ভৌগলিক অবস্থান ৩৮ ডিগ্রী পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশ এবং ৩৭.৫
দক্ষিণ অক্ষাংশ।
এ উদয় ও অস্ত স্থলের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১২
ঘন্টা এবং অবস্থানগত দূরত্ব ১৮০ ডিগ্রী।
কারণ প্রতি ১ ডিগ্রীতে সময়ের
ব্যবধান ৪ মিনিট।
চান্দ্র মাসের ১
তারিখে চাঁদ ও সূর্য প্রায় একই সময়ে জাপানে উদিত
হয়ে ১৮০ ডিগ্রী পথ
অতিক্রম করে সন্ধ্যায় সূর্য যখন
আটলান্টিকে অস্ত
যায়, চাঁদ তার পরেও আটলান্টিকের
আকাশে থাকে প্রায় ৪৯ মিনিট। ১৮০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে যদি সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান
হয় ৪৯ মিনিট
তাহলে এর অর্ধেক পথ অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করতে সূর্য ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান
হবে সাড়ে ২৪ মিনিট।
মধ্য প্রাচ্যের
(ইয়েমেন, রিয়াদ ও
বাগদাদ) অবস্থান ৪৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে হওয়ায়
উদয় স্থল জাপান ও
অস্ত স্থল আটলান্টিকের সঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের
ভৌগলিক অবস্থানের
ব্যবধান ৯০ ডিগ্রী।
যে কারণে মধ্য প্রাচ্যে যখন সূর্যাস্ত হয় তার পরেও চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ মধ্য প্রাচ্যের আকাশে থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সকল সময়ে সর্বপ্রথম মধ্য প্রাচ্যেই দৃষ্টি গোচর হবে।
এবং ক্রমান্বয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ সমূহে সূর্যাস্তের পরে চাঁদের স্থায়িত্ব আকাশে বেশি সময় থাকবে। যার ফলে চান্দ্র মাসের ১ তারিখে ঐ সকল পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশে চাঁদ ক্রমান্বয়ে বেশী সময় ধরে দেখা যাবে।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য থেকে পূর্বাঞ্চলীয় দেশসমূহ ক্রমান্বয়ে উদয় স্থলের নিকটবর্তী হওয়ায় সূর্যাস্তের পরে এখানকার আকাশে ১ তারিখের চাঁদের স্থায়িত্ব কম সময় থাকে এবং চাঁদ দিগন্তে আকাশে কম উঁচুতে থাকে বলেই উদয়স্থলের নিকটবর্তী দেশ সমূহ পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, চীন বা জাপানে কখনই চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ দেখা যাবে না।
উল্লেখিত আলোচনায় প্রমাণিত যে, প্রতি চান্দ্র মাসের ১ তারিখের চাঁদ সব সময় সর্বপ্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোন না কোন দেশে দেখা যাবে।
এর পরে আমাদের জানা প্রয়োজন, চাঁদ কোন কোন সময়ের নির্দেশক?
সময়কে বিশ্লেষণ করলে আমরা সেকেন্ড , মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছর সময়ের এ ৬টি স্তরের অস্তিত্ব খুজে পাই।
সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের উল্লেখিত সকল স্তর অথবা কোন না কোন স্তরের নির্দেশক।
যেমন মহান আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন- ﻭﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﺑﺤﺴﺒﺎﻥ অর্থাৎ সূর্য ও চাঁদ উভয়েই সময়ের হিসেব নির্দেশক।-(সূরাহ আর-রহমান-৫)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সূর্য ও চাঁদ উভয়ে একই ভাবে সময়ের উল্লেখিত স্তরগুলোর নির্দেশক? না কি এক একটি এক এক ধরনের সময় নির্দেশক? এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল হল সূর্য সময়ের উল্লেখিত ৬টি স্তরের প্রতিটিরই নির্দেশক।
অর্থাৎ সূর্যের পরিভ্রমণের মাধ্যমে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন- রাত, মাস ও বছরের হিসেব নির্ধারণ করা হয়।
পক্ষান্তরে চাঁদ শুরু ও শেষ হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র বছর ও মাসের হিসেব নির্ধারিত হয়।
কিন্তু চাঁদের শুরু-শেষ, পূর্ণতা ও ক্ষয়ের সঙ্গে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা এবং দিবা- রাত্রির আগমণ- প্রস্থানের কোন সম্পর্ক নেই।
পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত এটাই প্রমাণ করে। এরশাদ হচ্ছে- - ﻫﻮﺍﻟﺬﻯ ﺟﻌﻞ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﺿﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﻘﻤﺮ ﻧﻮﺭﺍ ﻭﻗﺪﺭﻩ ﻣﻨﺎﺯﻝ ﻟﺘﻌﻠﻤﻮﺍ ﻋﺪﺩ ﺍﻟﺴﻨﻴﻦ ﻭﺍﻟﺤﺴﺎﺏ অর্থাৎ তিনি আল্লাহ্ যিনি সূর্যকে করেছেন প্রখরতাপূর্ণ আলো আর চাঁদকে করেছেন স্নিগ্ধময় আলো। আর চাঁদের জন্য নির্ধারণ করেছেন অনেক গুলো মানযিল। (২৯দিনে ২৯টি উদয় ও অস্তন্থল) যাতে তোমরা জানতে পার বছরের সংখ্যা ও হিসাব। -(সূরাহ ইউনূস, আয়াত-৫)
অত্র আয়াতে কারীমায় “বছর” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও “মাস” কথাটি স্পষ্ট উল্লেখ না করে বরং তাকে ﺣﺴﺎﺏ শব্দে রূপকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারণ চান্দ্র বছর হয় সুনির্দিষ্ট ১২টি চন্দ্র মাস অথবা ৩৫৪দিনের সমন্বয়ে। এতে কোন কম বেশী হয়না। কিন্তু চান্দ্র মাস গুলো সুনির্দিষ্ট সংখ্যক দিন নিয়ে গঠিত নয়।বরং কোন মাস ২৯দিনে আবার কোন মাস ৩০দিনে হয়। অন্যদিকে এবছর যে চান্দ্র মাসটি ৩০দিনে হবে, আগামী বছর সে মাসটি ৩০দিনে হতে পারে, আবার ২৯দিনেও হতে পারে।কিন্তু মাস বলতে সুনির্দিষ্ট ৩০দিনকেই বুঝায়। এ কারণেই মহাবিজ্ঞ মহান রব্বুল আলামীন অত্র আয়াতে চান্দ্র মাসকে ﺷﻬﺮ বা মাস না বলে ﺣﺴﺎﺏ বলে উল্লেখ করেছেন।
অতএব পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে প্রমাণিত যে “চাঁদ শুধুমাত্র মাস ও বছরের সময় নির্দেশক”।
সময়ের এ ২টি স্তর সামগ্রিকভাবে বিশ্ববাসীর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
পক্ষান্তরে সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের প্রথম ৪টি স্তর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা ও দিন- রাত স্থানীয়ভাবে স্থানীয় মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে সালাতের দলিল (১ম পর্ব)
মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤
সকল প্রশংসা
জগত সমূহের
প্রতিপালক
আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি পরিপূর্ণ
দ্বীন হিসাবে
আমাদেরকে
ইসলাম দান
করেছেন, যে
দ্বীনে মানুষের
পক্ষ থেকে কোন
সংযোজন বা
বিয়োজনের
প্রয়োজন হয় না ৷
সালাত ও সালাম
তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া
সাল্লামের প্রতি,
যিনি আল্লাহর
দ্বীনের রিসালাতের
দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে
আদায় করেছেন,
কোথাও কোন
কার্পণ্য করেননি
।
দ্বীন হিসাবে যা
কিছু এসেছে তিনি
তা উম্মতের কাছে
পৌঁছে দিয়েছেন ও
নিজের জীবনে
বাস্তবায়ন করে
গেছেন ৷
তার সাহাবায়ে
কিরামের প্রতি
আল্লাহর রাহমাত
বর্ষিত হোক, যারা
ছিলেন উম্মতে
মুহাম্মাদীর আদর্শ ও আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সুন্নাহ পালনে
সকলের চেয়ে
অগ্রগামী ৷
পবিত্র কুরআনের
সূরা তাওবার ০৯:৩৬ নং আয়াতে বলা
হয়েছে- “নিশ্চয়
আল্লাহর বিধান
ও গণনায় মাস
১২টি, আসমান গুলো ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে । তার মধ্যে চারটি
সম্মানিত । এটিই
সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান । সূতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো
না”
সূরা ইউনুসের ১০:৫ম
আয়াতে বলা
হয়েছে- “তিনি (আল্লাহ), যিনি
সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চন্দ্রকে আলোকময় বানিয়েছেন এবং
ওর (গতির) জন্য
মঞ্জিলসমূহ নির্ধারণ
করেছেন যাতে তোমরা বছরসমূহের
সংখ্যা হিসাব জানতে পার পৃথিবীতে দিন
বলতে (রাত্র দিবা অথবা রাত্র রাত্র) সময় ২৪ ঘন্টাকে বুঝানো হয় ।
কোন জনগোষ্ঠীর দিন শুরু হয় রাত্র ১২ টা হতে পরবর্তী
রাত্র ১২ টা পর্যন্ত ।
তাদের মাস ফেব্রুয়ারী ব্যতিত সকল মাস ৩০ বা ৩১ দিনে, ১২ মাসে এক বছর এবং বছর ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে হয় ।
বিশ্বের সকল
মুসলিম উম্মার
দিন শুরু হয় সূর্যাস্ত হতে পরবর্তী সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত ।
মাস ২৯ বা ৩০ দিনে, ১২ মাসে এক বছর এবং বছরের দিন নির্দিষ্ট নয়
(কারন চাঁদের
উদয়ের উপর
নির্ভরশীল)
সূর্য পূর্ব দিকে
উদিত হয় । সমগ্র
বিশ্বে (সকল
ধর্মে) সময়
নির্ধারিত হয়
সূর্যের সাথে
সম্পর্ক করে ।
তাই পৃথিবীর পূর্ব
হতে ক্রমান্বয়ে
পশ্চিম দিকে
সূর্যদ্বয় এবং সূর্যাস্তের
সময়ের পার্থক্য দেখা যায় সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা ।
অতএব মুসলিমদের জন্য কোন দেশে রাত্র (দিন শুরু) আবার কোন দেশে দিবা (দিনের অর্ধাংশ) অর্থাৎ একই দিন ।
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সালাতের সময় পৃথিবী সূর্যের আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের পার্থক্যের সাথে সম্পৃক্ত ।
আল্লাহ তায়ালা
বলেন:
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣَﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
)ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ : ১০৩)
‘নিশ্চয় সালাত
মুসলিমদের উপর
ফরজ নির্ধারিত
ও নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে’ (সুরা-আন-
নিসা: ০৪:১০৩)
আপনার পালন
কর্তার সপ্রশংসা
পবিত্রতা ও
মহিমা ঘোষনা
করুন সূর্যদ্বয়ের
পূর্বে সূর্যাস্তের
পূর্বে এবং
পবিত্রতা ও
মহিমা ঘোষনা
করুন রাত্রির
কিছু অংশ ও দিবা
ভাগে (ত্বোয়া হাঃ
আয়াত ২০:১৩০)
অতএব তোমরা
আল্লাহর পবিত্রতা স্বরণ কর সন্ধ্যায় ও
সকালে এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে (আর রুমঃ আয়াত ৩০:১৭, ১৮)
আর দিনের দুই প্রান্তেই সালাত ঠিক রাখবে এবং রাতে ও প্রান্ত ভাগে (হুদঃ আয়াত ১১:১১৪)
সূর্য্য ঢলে পরার
সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করুন (বণি
ইসরাঈলঃ আয়াত ১০:৭৮)
- ফজরঃ-(সূর্য দ্বয়ের পূর্বে- ত্বোয়া-হা২০/১৩০; প্রান্ত ভাগে- হুদ১১/১১৪) সূর্যদ্বয়ের আগ পর্যন্ত । রাসুল (সঃ) ফজরের সালাত এমন সময়ে পড়তেন যে, সালাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে চিনতে পারতেন না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৬০ পৃঃ)
- যোহরঃ-(মধ্যাহ্নে-রুম৩০/১৭, ১৮; দিবা ভাগে-ত্বোয়া হা২০/১৩০) সূর্য মাথার উপর হেলে যাওয়ার পর হতে কোন কাঠি বা মানুষের ছায়া তার সমান দীর্ঘ না হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, মেশকাত হাঃ নং ৫৮১)
- আছরঃ- (অপরাহ্নে- রুম৩০/১৭, ১৮) বস্তুর মুল ছায়া একগুন হওয়ার পর থেকে হলুদ রং হওয়া পর্যন্ত বাকি থাকে (মুসলিম, মেশকাত, হাঃ নং ৫৩৪)
- মাগরীবঃ- (সূর্যাস্তের পূর্বে-ত্বোয়া হা২০/১৩০; সুর্য্য ঢলে পরার সময় থেকে… ইসরাঈল১৭/৭৮) সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিম আকাশে লাল আভা দূর না হওয়া পর্যন্ত থাকে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৫০ পৃঃ)
- এশাঃ-(রাত্রির কিছু অংশ-ত্বোয়হা২০/১৩০; রাতে- হুদ১১/১১৪) মাগরীবের পর হতে অর্ধ রাত্র পর্যন্ত (মুসলিম, মেশকাত ৫৯ পৃঃ)
- জুমআঃ-প্রতি শুক্রবার যোহর সালাতের ওয়াক্তে । সাহাবী সাহল বিন সাআদ (রাযিঃ) বলেন, আমরা জুমুআর সালাতের আগে দুপুরের বিশ্রামও করতাম না এবং দুপুরের খাবারও খেতাম না বরং পরে করতাম (বুখারী মুসলিম, মেশকাত আলবানী ১/৪৪১ পৃঃ)
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
তাকাব্বাল আল্লাহ্ মিন্না ওয়া মিনকুম
তাকাব্বাল আল্লাহ্
মিন্না ওয়া মিনকুম
আজ ঈদ উল আযহা। মুসলিমদের ২ টি উৎসবের একটি। বিশ্বর মুসলিমরা আজ ঈদ এর সলাত পড়বে, কোরবানি দিবেঃ
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
ভারতীয় গরু থেকে সাবধান
[img]http://m.facebook.com/md.sarower.hossain55/photos/a.1474678739450550.1073741826.1443603405891417/1612863308965425/?type=3&source=56[/img]
একটা গোপন সত্য
তথ্য তুলে ধরছি
আপনাদের সামনে।
ভারত আমাদের গরু
দিবে না বলে স্রেফ
জানিয়ে দিয়েছিলো
কিছু দিন আগে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ ‘বাংলাদেশে
গরু পাঠানো হবে না’ বলে খুব বাহবা
পেয়েছিলো হিন্দুদের
কাছ থেকে।
এমনও বলেছিলো, তারা বাংলাদেশের মানুষের গরু খাওয়া বন্ধ করে দিবে। কিন্তু অবশেষে
টাকার লোভে পিছু
হটলো তারা।
বাংলাদেশে গরু পাঠিয়ে ভারত যে বিশাল অংকের মুনাফা করতো
সেখান থেকে তারা
বঞ্চিত হবে-এ
বিবেচনায় তাদের
মুসলিম বিদ্বেষী
আক্রোশ দমন করতে বাধ্য হলো। এখন নিজেদের ৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি ঠেকাতে সীমান্ত দিয়ে বন্যার স্রোতের মতো গরু পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে।
শুধু কি ব্যবসায় লাভ করার জন্য গরু
পাঠাচ্ছে? না।
দেখুন এক ফেসবুক
স্ট্যাটাসের কমেন্টে
ভারত থেকে বাবুলাল সরকার নামক এক ভারতীয় লিখেছে-
//“আরে বাংলাদেশী
শুযোরের বাচচা, আমরা
বা রাজনাথ সিং রা যে
গরু পাঠাচ্ছে, তাদের
প্রত্যকটাকে বিভিন্ন
ক্রানিক রোগের
জিবানু ইনজেকশন
করে দেওয়া হয়। ওই
গরুর মাংস খাবি আর
ক্রনিক ক্রনিক রোগে
ভুগবি আর ভারতে এসে
চিকিত্সা করাবি।
আমাদের লক্ষ্য :
গরু বেচে পয়সা কামাবো
আবার রোগের
চিকিত্সা করেও পয়সা
কামাবো ।
মানে ,,,,.... পোয়াও
মারবো.... আবার ধোনের
ভাড়াও নেব ।”//
(কমেন্টের লিঙ্ক: চাইলে দেওয়া হবে)
সূতরাং বাংলাদেশে
ভারতীদের গরু
পাঠানোর লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য হতে পারে
তিনটি:
ক) বাংলাদেশে থেকে ভারতের মোটা অংকের
টাকা তুলে নেওয়া।
খ) অপেক্ষাকৃত
কমমূল্যে গরু ছেড়ে
বাংলাদেশী খামারীদের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করা।
গ) গরুর শরীরে
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে স্লো-পয়জনিং করা,
এতে গরুর গোশত খেয়ে সেই বিষ মানুষের দেহেও সঞ্চালিত হয়ে
রোগ সৃষ্টি করে
মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।
তাই বাংলাদেশীদের
উচিত, নিজের ও
পরিবারের জীবন
সুরক্ষায় ভারতীয় গরু বর্জন করা।
হিন্দী ইলিয়াসী তাবলীগ এর গুমোর ফাঁস !!!¡¡¡- পর্ব চার (৪) ইলিয়াসী তাবলীগ এর দল ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর অর্থ বিকৃতি কারী
হিন্দী ইলিয়াসী তাবলীগ এর গুমোর ফাঁস !!!¡¡¡- পর্ব চার (৪)
ইলিয়াসী তাবলীগ এর দল ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর অর্থ বিকৃতি কারী
এই গাট্টি পাট্টি হিন্দি ইলিয়াসী তাবলীগ এর অনুসারিরা হিন্দী ইলিয়াসী তাবলীগ এরা "লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ "এর সঠিক ব্যাখ্যা করে না, করলে বিগত জাতির লোকদের মত বর্তমান পূথিবীর কাফের মুশরিক শাসক নেতা সমাজ প্রধানরা তাদের পথভ্রষ্ট ,গোমরাহ, গালি গালাজ করত, নির্বোধ, মিথ্যাবাদী, তোমাদের পিতাকে হত্যা করব ,তোমাদের দেশ বা তোমাদের বসতি থেকে বেড় করে দিব ইত্যাদি বলত কিন্তু তাদের হোয়াইট হাউজে খাওয়া তাদের জন্য ভিসা রেডি যেখানে সেখানে যেতে পারে
- ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর তরজমা করে ""কিছু থেকে কিছু হয় না, সব কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় ।দোকানে খাওয়ায় না, চাকরিতে খাওয়ায় না, ব্যবসা-বাণিজ্য খাওয়ায় না, আল্লাহ খাওয়া।
- এই বিশ্বাস করার নাম ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ""
- সুতরাং ""লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ"" এর মর্ম কথা হলো আল্লাহর আনুগত্যের বিপরীতে অন্য কারো আনুগত্য করা যাবেনা ।
- আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে অন্য কোন মানব রচিত হুকুম নিয়ম নীতি মানা যাবে না
- ব্যক্তি থেকে আন্তজার্তিক জীবনে আল্লাহর দেওয়া নিয়ম নীতি মান্য করতে হবে।
- গনতন্ত্র বাদীরা না আসলে টুঙ্গীর মোনাজাত হয় না
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
হজের কয় দিন পরে ঈদুল আযহা সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং আরবি জিলহজ ১৪৩৬ হিজরী ???
সৌদি আরবের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩
সেপ্টেম্বর ২০১৫
তারিখ বুধবার সৌদি
আরবে হজ বা
আরাফাতের রোজার দিন এবং
২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ
বৃহস্পতিবার ঈদুল
আযহা উদযাপিত হবে ।
- [২৯ তারিখ চাঁদ না দেখা গেলে পরে দিন অর্থাত্ ৩০ তারিখ আর চাঁদ দেখতে হবে না কারণ আরবি মাস ২৯ এর কম হবে না আবার ৩০ এর বেশী হবে না
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
Eid al-Adha is on Thursday, September 24, 2015 vs Friday, 25 September 2015
Eid al-Adha is on Thursday, September 24, 2015 vs Friday, 25 September 2015:
============================
- Thursday, 24 September 2015:
রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
এবার ২০১৫ ইং সালের ঈদুল আযহা হাদিস মতে ২৪ তারিখ আর গণতন্ত্রবাদী সরকারের মতে ২৫ তারিখ
এবার ২০১৫ ইং সালের ঈদুল আযহা হাদিস মতে ২৪ তারিখ আর গণতন্ত্রবাদী সরকারের মতে ২৫ তারিখ
==========
ইন্নাল হামদালিল্হালাহ, ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলিহিল
কারিম।
হাদিসের উল্লেখ
জ্বিলহজ্ব মাসের ৯
তারিখে হজ্ব হবে
এবং হজ্বের পরের
দিন অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০
তারিখে কুরবানি
মানে ঈদুল আযহা
অনুষ্ঠিত হবে।
- কিন্তু আমরা কি হজ্বের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করছি????
- অথচ হজ্বের অনুষ্ঠান গুলো প্রতিটা টিভি চ্যনেল সরাসরি সমপ্রাচারিত করে থাকে গতকাল ,
- আরো একটি কথা আপনি যে দিন ৯ তারিখ মনে করে (বাংলাদেশী তারিখ) সাওম রাখছেন সে দিন কি আরাফার মাঠে কিছু থাকে ???
মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ২য় ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
—————————————————————————————————
প্রশ্নঃ কতিপয় প্রচলিত হানাফি ভাই
বলে থাকে যে ‘হাদীস সহীহ না যঈফ’ তা আল্লাহ
সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে এবং নবী (সা:) হাদীসের এবং কোন রাবী মিথ্যূক বা সত্যবাদী এটা তো নবী (সা:)
বলে যান নাই।
সেক্ষেত্রে আপনারা মুহাদ্দীসগণের
তাকলীদ করেন।
তাহলে আপনারাও
তো মুকাল্লিদ?
—————————————————————
উত্তর /জবাব:
আমারা ৪
ইমামকেই মানি। ১
জনকে মানি না। ১
জনকে মানা জায়েজ নেই।
আপনি কি শুধু বাবার কথা মানবেন, চাচার
কথা শুনবেন না?
কোন সত্যবাদী ব্যক্তি যদি কোন
রাবীকে মিথ্যুক
অথবা রাবীকে মিথ্যুক নয় বলে তবে এটা মানতে হবে।
যদি এমন হয়
তবে তাহলে নাউযুবিল্লাহ রাসুল (সঃ) কেও মুকাল্লিদ
মানতে হবে।
- কারন প্রায় প্রতি বছর ঈদের সময় রসূল মুহাম্মাদ (সঃ) অন্য কোন ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে ঈদের চাঁদ উঠার খবর জেনে মেনে নিতেন (আবু দাউদ) ।
- জর্জ যত বড়ই মুফতী, আলেম হউক না কেন জর্জ কি ঐ স্বাক্ষীর কথার উপর রায় দিবে না?
- আপনার বাসায় একজন বড় মুফতী, ইমাম আসছে।
- ২য় কথা হলো আমারাও ইমামদের মান্য করি।
- এটা দেখা যাবে না যে, আমার ইমাম কে, তোমার ইমাম কে? আমার ইমাম ইমাম আবু হানিফা, বাকী গুলো কি আমার ইমাম নয়?
- চার (সহ বাকি সবাই) জনই আমাদের ইমাম!
শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
মাযহাবী পোস্টমর্টেম {{পার্ট -২ (( অংশ ১ম ))} হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
মাযহাবী পোস্টমর্টেম (পার্ট ২)
হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয়ে অন্ধ তাক্বলিদের খন্ড
- মাযহাবী আলেমরা বলে থাকে কোন হাদিস সহীহ্, বা যঈফ নির্ণয় করতে ইমামগণ থেকে মতামত গ্রহণ করতে হয়। কোন রাবী বিশ্বস্ত বা অবিশ্বস্ত যা কি’না ইমামগণের তাক্বলীদ বুঝায়। যে তাক্বলীদ আমরা সকলেই করে থাকি। এ থেকেই বুঝা যায় ইসলামে তাক্বলীদ রয়েছে।!!!
- এই বিষয়টি মোটেই ইমামগণের তাক্বলীদ (তাক্বলিদে শাখসী) নয়।
- এর দ্বারা তাক্বলিদে শাখসী খতম মানে একক ব্যক্তির তাক্বলিদ (অনুসরন)।
- তেমনি হাদিসের রাবী সম্পর্কে ইমামগণ থেকে জেনে নিলে তা অন্ধ তাক্বলীদ হয় না।
শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী মরাতে
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী
মরাতে অনেকের
আবেগে চোখ
অশ্রুশিক্ত হয়ে
যাচ্ছে।
আপনাদের স্বরণ
করিয়ে দেওয়ার
লক্ষ্যে মহসীন
আলীর কতিপয়
ধর্মদ্রোহী ও নোংরা
উক্তি উল্লেখ করছি:
- ১/ কোলকাতার নার্সরা আমার গোপন অঙ্গ হাত দিয়ে ধুয়ে দিছে আপনারা বাংলাদেশের নার্সরা কেন পারবেন না??
- ২/ যারা বোরকা পরে তারা জঙ্গি। তারা অসুন্দর, তাই তারা বোরকা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে।
- ৩/ সমাজের সব আকাম কুকাম বোরকা পরা মেয়েরাই করে।
- ৪/ টাঙ্গাইলের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ কারি মোল্লাদের শিরচ্ছেদ করা উচিত।
- ৫/ পর্দা করলে চলবে না, হাফ প্যান্ট পড়ে পুরুষের পাশাপাশি চলতে হবে। পুরুষদের ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে যেতে হবে।
- ৬/ আমি চাই দেশে বিখ্যাত নর্তকী গড়ে উঠুক।
- ৭/ আমি এইট পাশ তাতে সাংবাদিকরা বাল ফালানির কে??
- ৮/ ঐ সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে রাতে বউয়ের পাশে ঘুমাতে পারবি না।
- ৯/ ইসলাম সেকুলারিজম তাই তার বিধান মানা যাবেনা।
বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ করবেন???
আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ না করে
আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর রোজ বৃহশপ্রতিবার ঈদউল-আযহা পালন করবেন???????
- হাদিসের ভাষায় জ্বিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে হজ্ব হবে এবং হজ্বের পরের দিন
- অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখে কুরবানি মানে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।
- বাংলাদেশে কুরবানি মানে ঈদ পালন হয় হজ্বের দুই দিন পর।
- কুরবানি কবে করার কথা বা ঈদ কবে হবে????
- আর আপনি কবে করছেন???????
- কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ঐ দিন মক্কা মোআজ্জমা সহ সারা বিশ্বে ১০ বা ১১ জিল- হাজ্জ।
- যে দিন গুলোতে সাওম রাখা সকল ইমাম ও আলেমের ঐক্য মতে হারাম।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার পর্যাপ্ত হাট সরবরাহ করতে পারছে না।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবার পর্যাপ্ত হাট সরবরাহ করতে পারছে না।
মেয়র আনিসুলের উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও দূরবর্তী স্থানে হাট বসানোর পক্ষে ছিলো।
গতবারের তুলনায় হাটের সংখ্যাও তারা হ্রাস করে শুরুতেই। মাত্র ৬টি হাট নিয়ে কাজ শুরু করে তারা। এর মধ্যেই বাউনিয়া বাধের হাট ইজারা বাতিল হয়ে যায়। ফলে হাটের সংখ্যা দাড়ায় মাত্র ৫টি। হাটের স্বল্পতা সৃষ্টি হওয়াতে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আরো ৩টি হাট চেয়েছিলো। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ৩টির বদলে মাত্র একটি, শেরেবাংলা নগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাঠে হাট বসানোর অনুমতি দেয়। কিন্তু পরে আবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা বলে এসএসএফ বাহিনীর আপত্তির মুখে তা না করে দেয়। ফলে ঢাকা উত্তরে এবার সর্বসাকূলে হাট মাত্র ৫টি দাড়ায়, যা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নিজেই বলছে ‘অপর্যাপ্ত’, যা দিয়ে উত্তর সিটির জনগণের পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। বলাবাহুল্য, এবার উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই যানজট, নিরাপত্তা, পরিবেশ দূষণ, হাসপাতাল ইত্যাদির কথা বিবেচনা করা হলেও মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের কথা চিন্তা করা হয় নাই, চিন্তা করে নাই কিভাবে ৭০-৭৫ লক্ষ জনগণ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পশু সংগ্রহ করবে। ফলে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির গালে এক হিসেবে জুতা মেরেই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও দূরবর্তী এলাকায় নিয়েছিলো আনিসুলের উত্তর সিটি।
আমার মনে হয়, আনিসুলের উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ যেমন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি পাবলিকেরও উচিত সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের গালে জুতো মেরে দেয়া, হাট-হাসিল না মানা । গরুর গাড়িগুলো ঢাকা শহরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া। প্রাইভেট ভার্সিটির ছেলেপেলে যেমন রাস্তায় বসে ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ করেছে, তেমনি রাস্তায় রাস্তায় হাট বসিয়ে অপর্যাপ্ত হাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ।
হাট হ্রাস ও দূরে ঠেলে দেয়ায় মেয়র আনিসুলের এমন নাজেহাল হওয়া উচিত যেন, সামনের বার থেকে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত হাটের ব্যাপারে সচেতন থাকে।
প্রয়োজনীয় সূত্র:
http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2015/09/17/52353.php
লেখক :নয়ন চ্যাটার্জি
কোট-টাই বনাম পাগড়ি-পাঞ্জাবি
আসসালামু
আলাইকুম
কোট-টাই বনাম পাগড়ি-পাঞ্জাবি
- ১। দাওবন্দি কবর পুজারি, মাজার পুজারি, বিদআতি হুজুর দের যুক্তিঃ জাকির নায়েকের পোশাক কোট-টাই এসেছে খ্রিস্টানদের থেকে, তাই তার কথা শুনা যাবে না। কোট- টাই ধর্মীয় পোশাক না।
- ২। তাহলে শুনেন, আপনাদের পোশাক নিয়েঃ
- পাগড়ি, পাঞ্জাবি এসেছে হিন্দু আর শিখদের থেকে। তাহলে আপনাদের কথা ও শুনা যাবে না। আরব রা পাগড়ি, পাঞ্জাবি পরে না। অন্য ধর্মের, ধর্মীয় পোশাক পরাই যাবে না, হারাম।
- টুপি ইসলামিক পোশাক না, আরব রা টুপি পরে না। এটা সৌন্দর্যের প্রতীক
- বিদাতির কোন আমল কবুল হয় না, উল্টা আল্লাহর লানত
- কবর পুজা, মাযার পুজা, তাবিজ সব শিরক, যেই গুনাহের কোন মাফ নাই।
- আপনাদের পাঞ্জাবি, পাগড়ি, টুপির সাথে আরবদের পোশাকের কোন মিল নাই।
বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ এবার ‘বাংলাদেশে গরু পাঠানো হবে না’ বলে আবার কেন পাঠাও???
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ এবার ‘বাংলাদেশে গরু পাঠানো হবে না’ বলে খুব লম্ফঝম্ফ করেছিলো।
এমন বলেছিলো, তারা বাংলাদেশের মানুষের গরু খাওয়া বন্ধ করে দিবে।
ঢাকার বাজারে গরুর মাংশের দাম বাড়ায় খুশি প্রকাশ করেছিলো রাজনাথ। রাজনাথের ‘গো-মাতা’ বাচানোর পদক্ষেপে সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছিলো বাংলাদেশ ও ভারতের হিন্দুরা। রাজনাথের প্রশংসায় হয়েছিলো পঞ্চমুখ তারা। কিন্তু হিন্দুদের সুখ বেশিদিন সয় না। টাকার লোভে পিছু হটলো তারা। এতদিন লোক হাসিয়ে শেষে দিলো মল খসাতে বাধ্য হলো ভারত সরকার। গণহারে বিক্রি করা শুরু করলো তাদের গোমাতাকে।
খবরে এসেছে, এবার গত বারের তুলনায় অধিক গো-মাতা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
( http://goo.gl/HYiyTs , http://goo.gl/EldLRR, http://goo.gl/bjPMGA )
আমি বুঝি না, টাকা যখন লাগবে, তখন পশ্চাৎদেশ উচু করে টাকা চাওয়ার দরকার কি ? পাছাটা নিচু করে বললেই হয়, “মা নাও, রুপিয়া দাও”।
আজকে প্রথম আলো’র ফেসবুক পেইজে ‘ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে এবার বেশি গরু আসছে’ খবরটি
http://goo.gl/hQuQhE
আসার পর বাংলাদেশীরা অসংখ্য কমেন্ট করছিলো।
- আমি সেই সকল কমেন্ট থেকে বাছাই করে কিছু কমেন্ট আমার ওয়ালে দিলাম।
- ১) Ahmed Shayan : অগে পরে ওরা গরু এখানেই পাঠাবে । নাহয় ওরা এসব গরু দিয়ে করবেটা কি? ভারত এক্ষেত্রে যে নীতি অবলম্বন করছে তা পুরোটাই তাদের অাভ্যন্তরিক রাজনৈতিক সহানুভূতি অর্জনের জন্য ই করছে।
- ২) Mri Shohag : চাইনা আমরা ভারতের গরু।
- ৩) বাংলা টাইগার রিলিজ : রেন্ডিয়াকে ঠাপানোর দরকার। ।মোদি শুয়ারটা এবার টাকার লোভে গরু দেচ্ছে বাংলাদেশ এ।।আসলে হিদুরা কি খাই গরুর, খাই গরুর চুনা, গু গবর ইত্যাদি কোন কোন সালা গরুর মাংশ চালিয়ে দেয়।।।ফেজবুকে কি ইন্ডিয়ান আবাল আছে তারা এই খানে কমেন্ট কর।।সালারা শুয়োর ভক্ষনকারি বেয়াদব। সালাদের লজ্জা। নেই। ।তাই ইন্ডিয়ার হিদুদের আর মোদিকে গন্ডার দিয়ে পাছা মারতে হবে
- ৪) Sawon Khan : ভারতে কি তাহলে মানুষ কম গরু বেশি?আমার তো মনে ছিলোনা ভারতে সব গরু
- ৫) একাকী শব্দটির ন্যায় : বুঝলাম না : এদের কি মাথা খারাপ হইলো নাকি পেট ??? ভারত না গরু পুজা করবে তাই একটা দেবতা (!) কে ও দিবেনা বলে কতো কান্নাকাটি,, তাহলে আবার কেমনে গরু আসতেছে ???
- ৬) আহাদুল হক সোহাগ: ভারতের গরু মহাভারত বাসীদেরই খাওয়া উচিত।আমাদের দেশে গরুর অভাব নাই,আলহামদুলিল্লাহ।
- ৭) Mehedi Hasan: সামনে পুজার টাকা জোগার করতে ওদের মা কে বিক্রি করে দিচ্ছে।ছিঃ রেন্ডিয়া ছিঃ
- ৮) Afifa Afrin Afia : ভারত যদি এই দেশে গরু রপ্তানি না করে তাহলে ভারতের অর্থনীতিতে ধ্বস নামবে ।।।
- ৯) MD Karim: হা হা হা ।।।। টাকার কাছে ধরা মা প্রীতি
- ১০) সোহরাব হোসেন রুবেল : এই গরুগুলো কি ওদের সৎ মা নাকি?
- ১১) John Rocky : মাদার চোদেরা,,,তোদের গরু লাগব না,,,সব গরু মোদি আর রাজনাথ সিং এর পাছায় ঢুকায়া দে............
- ১২) Farhad Ul Awal : ভারতের গরু যদি বাংলদেশ না আসলে ও বাংলাদেশর কুরবানি ইদ বসে থাকবেনা। প্রতিবাদী মাস্টার টাকার জন্য এখন আবার মাকে দিতেছে কেন শুনলে লজ্জা হয় ছি ছি ছি,,,???
- ১৩) স্পার্ক তাহের : নোমো শালাদের লজ্জাবোধ করা উচিৎ ..গরু নাকি ওদের মা, টাকাকড়ি পাইলে মাকে বেচে দেয়।
- ১৪) Md Mamun Mollah: আমাদের দরকার নাই ভারতের গরু
- ১৫) Mohammad Masud Rana : ভারতের নেংটিরা কিছু দিন পর গরুতো তো দিবেই,,,তারপরে মুদিকেও চোরা পথে আমাদের কাছে বিক্রি করবে_।
মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
এই নাস্তিক বাদী এবং হিন্দু বাদী সরকার ইসলামের জন্য কিছু করে না ????!!
এই নাস্তিক বাদী এবং হিন্দু বাদী সরকার ইসলামের জন্য কিছু করে না ????!!
একেই বলে ধর্মকে অবমাননার স্বাধীনতা হা হা হা হা ¿¿
এটাই ধর্ম নিরুপেক্ষ বাদী বাংলাদেশ !!!¡
মুর্তির পায়ের নিচে আজ কোরাআন রাখা হচ্ছে!!!
মানবতাবাদী
সুশিল সমাজ আজ
কোথায়?????!!
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ
দেশে হিন্দুরা আজ কি করে মুর্তির পায়ের নিচে কোরআন রাখার
সাহস পায়?????????
বাংলার মুসলিমদের
পরুষত্ব কি কাপরুষে
রুপান্তরিত হয়েছে?????
হিন্দু মালু দিয়ে দেশের প্রায় সব সরকারী ক্ষেত্রে যাম করা এদের জন্য মালুর জাত এই সাহস পায় ¡¡
সংবাদের লিংক : www.somoyerkonthosor.com/archives/285807
সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সালাতে আমিন বলা নিয়ে €আহলে হক ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আহলে ঠক বিতর্কিত ট্যাগ লাগিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,
আহলে হক নামধারীদের বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। কারণ এরা হকের মাঝেইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়ঠক ঢুকায়। স্বলাতে "আমীন" বলা নিয়ে গুগলে সার্চ দেওয়ায় সামনে আসলো তথাকথিত আহলে হক দাবীদারদের ওয়েব সাইটের একটি পেইজ।
যেখানে রয়েছে কিছু খেজুইরা প্যাচাল যার লেখক মাওলানা আমীন সফদর এবং অনুবাদক বিশিষ্ট (কু) চিন্তাবিদ লুতফুর রহমান ফরাজী।
মূলত আস্তে আমীন বলার একটাও সহীহ হাদিস নেই।
রাসূলুল্লাহ সা: থেকে যত হাদিস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই উচ্চৈ:স্বরে আমীন বলা বা প্রকাশ্যে বলার ব্যাপারে।
যেহেতু নিজেদের মাযহাবের মতের পক্ষে কোন সহীহ হাদিস নাই, তাই ইচ্ছাকৃতভাবে
*.জোরে আমীন বলার হাদিস গুলো প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা,
*.সেগুলোর মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি করানো,
*.মানুষদের হাদিসগুলোর ব্যাপারে বিভ্রান্ত করা,
*.মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা,
*.সহীহ হাদিসকে যঈফ বানানো হানাফীদের নিকট খুবই পছন্দনীয়।
জোরে আমীন বলার হাদিস:
حَدَّثَنَامُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَاسُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَرَأَ { وَلاَ الضَّالِّينَ } قَالَ " آمِينَ " . وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ
ওয়েল বিন হুজর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ওলাদ্দল্লীন পড়তেন, তখন উচ্চৈ:স্বরে আমীন বলতেন। (আবু দাউদ, হাদিস # ৯৩২)
উপরের আবু দাউদের এই জোরে আমীনের হাদিসকে যঈফ বানানোর জন্য প্রথমে ২টি সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
অভিযোগ-১:সুফিয়ান সাওরী মুদাল্লিস, তিনি আন শব্দে সালামাহ বিন কুহাইল থেকে বর্ণনা করেছেন। তাই এটি যঈফ।
অভিযোগ-২:মুহাম্মদ বিন কাসীর যঈফ
১ নং অভিযোগের জবাব:
সুফিয়ান সাওরী মুদাল্লিস। এটা প্রমাণিত। তিনি সালামাহ বিন কুহাইল থেকে আন শব্দে বর্ণনা করেছেন। এটাও প্রমাণিত। তবে সুফিয়ান থেকে সালামাহ বিন কুহাইলের হাদ্দাসানা মর্মে হাদিস রয়েছে। বিধায়, আন শব্দের বর্ণনা কোন সমস্যা নয়।
প্রমাণ:
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ،عَنْ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍقَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ قَالَ: لَطَمْتُ مَوْلًى لَنَا فَفَرَّ، فَدَعَانِي أَبِي فَقَالَ لَهُ: اقْتَصَّ، كُنَّا وَلَدَ مُقَرِّنٍ سَبْعَةً، لَنَا خَادِمٌ، فَلَطَمَهَا أَحَدُنَا، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: مُرْهُمْ فَلْيُعْتِقُوهَا، فَقِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: لَيْسَ لَهُمْ خَادِمٌ غَيْرَهَا، قَالَ: فَلْيَسْتَخْدِمُوهَا فَإِذَا اسْتَغْنَوْا خَلُّوا سَبِيلَهَا.
সূত্র:আল আদাবুল মুফরাদ, মনিবের ব্যবহার পরিচ্ছেদ, হাদিস # ১৭৮
এছাড়া সহীহ মুসলিমেও সুফিয়ান থেকে আন শব্দে সালামাহ বিন কুহাইল সূত্রে হাদিস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ،عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنّ النَّبِيَّ K " قَامَ مِنَ اللَّيْلِ، فَقَضَى حَاجَتَهُ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ نَامَ
সূত্র: সহীহ মুসলিম, হাদিস # ৫৯৬
আবু দাউদের হাদিস যঈফ হলে তো মুসলিমের হাদিসও যঈফ হয়ে যায়।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, এই অভিযোগটিও অগ্রহণযোগ্য।
==================================================================
২নং অভিযোগের জবাব:
মুহাম্মদ বিন কাসীরকে যঈফ বলাটা বড় ধরণের ভুল। উচ্চৈ:স্বরে আমীনের হাদিসতে যঈফ বানানোর জন্য এই ভুল হানাফীদের গুরুমাওলানা আমীন সফদর করেছেন। আর তার অনুসরণ করেলুতফুর ফরাজীও করেছেন।
তবে আরেক মুফতি,ইজাহারুল ইসলাম একটু ধূর্ত প্রকৃতির। তাই তিনি এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাংগে। তিনি বলেছেন মুহাম্মদ বিন কাসীর বিতর্কিত।
এই বিতর্কিত ট্যাগ লাগানোর ফায়দা হচ্ছে আপনি বুঝতে পারবেন না এই রাবীর বর্ণিত হাদিসটি গ্রহণযোগ্য নাকি অগ্রহণযোগ্য।
তিনি সুফিয়ান সাওরী থেকে জোরে আমীন বলার আরেক হাদিসের বর্ণনাকারী খাল্লাদ বিন ইয়াহিয়া সম্পর্কেও তিনি এমন ট্যাগই লাগিয়েছেন।
আর খাল্লাদ বিন ইয়াহিয়াও বুখারীর রাবী।
ইমাম বুখারী রহ. তাঁর থেকে প্রায়২২টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। এই গ্রহণযোগ্য রাবীদের বিতর্কিত ট্যাগ লাগিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে মুসলিমরা না বুঝতে পারে এই রাবী গ্রহণযোগ্য নাকি অগ্রহনযোগ্য।
*.মুহাম্মাদ বিন কাসীর আবদী বুখারী ও মুসলিমের রাবী।
*.ইসলাম ওয়েবের তথ্য অনুযায়ী ইমাম বুখারী এই রাবী থেকে প্রায় ৬৪ হাদিস সহীহ বুখারীতে বর্ণনা করেছেন।
*.ইবনে হাজর আসকালানী রহ. এই রাবীকে তাকরীবে উল্লেখ করে সিকাহ বলেছেন। (দেখুন তাকরীবুত তাহযিব, রাবী নং - ৬২৯২)
সুতরাং মাওলানা আমীন সফদর গংদের মুহাম্মাদ বিন কাসীরকে যঈফ বলা ভুল।
================================================================= =
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشَّعِيرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَاعَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجْرِ بْنِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ K " فَجَهَرَ بِآمِينَ، وَسَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ خَدِّهِ
ওয়াইল ইবনে হুজর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর পিছনে নামায আদায় করা কালে তিনি স্বশব্দে আমীন বলেন এবং (নামায শেষে) ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরান এভাবে যে, আমি তাঁর গণ্ডদেশের সাদা অংশ পরিষ্কারভাবে দেখি।
সূত্র:সুনান আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, হাদিস ৯৩৩।
৩ নং অভিযোগ: উপরোক্ত হাদিসটি যঈফ বলা হয়েছে আলী বিন সালেহ শিয়া বলে।
৩ নং অভিযোগের জবাব:
*.আলী বিন সালেহ সিকাহ রাবী;
*.সহীহ মুসলিমের রাবী;
*.সালামাহ বিন কুহাইলের অন্যতম ছাত্র ইমাম মুসলিম একই সানাদে আলী বিন সালেহ সূত্রে সহীহ মুসলিমে ৩৯৬৫ নং হাদিসে উল্লেখ করেছেন।
প্রমাণ:
সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হাদিসটি সহীহ। আলী বিন সালেহ শিয়া নন।
শিয়া হলেই হাদিস বাতিল হয়ে যায় না।
বুখারী ও মুসলিমে অনেক হাদিস রয়েছে যার বর্ণনাকারী শিয়া।
আল্লাহ আমাদের সত্য বলার, সত্যবাদীদের সাথে থাকার ও সত্য গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ আমাদের মিথ্যাবাদীদের মিথ্যার কবল থেকে রক্ষা করুন। (আমীন)।
[ লেখক: Abdullah Arif Lalbagh
http://m.facebook.com/notes/406967502846152/ ]
রক্তাক্ত বায়তুল্লাহ হাজীদের রক্তে
রক্তাক্ত বায়তুল্লাহ
-----------------
(লেখক: আরিফুল ইসলাম)
নিরাপদ নগরী মক্কা লাল রক্তে রন্জিত!
হাজীদের রক্ত!
তাও আবার ৯/১১ এ!
৯/১১, যে দিন ভেঙ্গেছিল টুইন টাওয়ার।
যে ক্রেন শত শত টন মাল উঠায়, সে ক্রেন ভেঙ্গে পড়ল বাতাশে? সেটা আবার এই
দুর্যোগকালে বায়তুল্লাহ দিকেই তাক করা
ছিল।
আরব বিশ্বে অকালীন বালি ঝড়? বিশেষঞ্জরা বলছেন এটা ধুলি ঝড়ের মওসম
নয়।
নজির বহিীন ধুলি ঝড়ের কারণে মুজাহিদদের
বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ। আধুনিক
প্রযুক্তির বাহাদরী আপাতত বন্ধ। তারা
এটাকে আল্লাহ্'র সাহায্য হিসাবে দেখছে।
স্বপ্ন দেখছে আল কুদস বিজয়ের, নবুয়তের
আদলে খিলাফার স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন
দেখছে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহ্দী'র, ইশা ইবনে মারিয়ম আঃ এর সাথী
হওয়ার। নুসরা ফ্রন্ট দখলে নিয়েছে কাসাই আসদের সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ বিমান ঘাটির। এ
সুযোগে মুজাহিদরা একের পর এক এলাকা দখল করছে।
রাশিয়ান বাহীনি আবার মার্চ করেছে
দামেস্কর দিকে। তারা কি ভুলে গেছে
আফগানিস্থানে পরাজয়ের কথা? যে পরাজয় রাশিয়াকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছে।
না তারা আসছে আসন্ন মহাযুদ্ধে নিজেদের
ফ্রন্টে অবস্থান নিতে? পুতিন বলেছে দামেস্ক'কে লেলিসগ্রাদ বানাবো, কার জন্যে?
২৩ শে সেম্টম্বর। এ দিন দুনিয়া কি শেষ হয়ে যাবে হবে না নতুন সভ্যতা প্রসবের বেদনা শুরু
হবে?
আসছে ২৩ শে সেম্পটম্বর ঈদের দিনে ইহুদীরা
আল আকসা ভেঙ্গে সেখানে সোলেমন
টেম্পল তথা দাজ্জালের প্রসাদ বানাবে। ইহুদীরা প্রচার করতে শরু করেছে যে ২৩ শে সেপ্টেম্বর ভুমিকম্পে আল আকসা ধুলিস্বাৎ
হয়ে যাবে। আর তখন তারা সেখানে সোলেমন
টেম্পল বানাবে। যার সব কিছুই প্রিকাস্ট করা আছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এনে
জোড়া লাগানোর। যদি অভিশপ্ত ইহুদীরা একাজ করেই বসে, বলা বাহুল্য প্রতিটি
মুসলিমের রক্তে আগুন ধরবেই । বিশ্বব্যাপি শুরু হবে সর্বাত্বক যুদ্ধ।
অভিশপ্ত ইহুদীরা প্রত্নতাত্বিক খননের নামে অসংখ্য ডিনামাইন্ড সেট করেছে আল আকসার নীচে।
ধারনা করা যায় ২৩ শে সেপ্টেম্বর তারা সেই ডিনামাইন্ড ফাটিয়ে বলবে, আল্লাহ আকসা ধ্বংশ করেছে
সোলেমন টেম্পল তৈরীর জন্য।
নজিরবিহীন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বে
দাজ্জালের শাসন কায়েমের । কাফের
মুশরিকরা একজোট হয়ে সর্ব শক্তি নিয়োগ করেছে এ কাজে। ইসলামকে দুনিয়া থেকে
নিশ্চিন্ন করতে।
মুসলিমদের ব্যস্ত রেখেছে খেলাধুলা, গান বাজনা হাসি তামাশায়,
নাটক সিনেমায়, দুনিয়া দারিতে।
কিন্তু তাদের বুঝতে দেয়া হচ্ছে না সময়
একেবারেই শেষ। তাদের শহরগুলি, আরামের প্রসাদগুলি সহসাই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে ।
যে ভাবে ভেঙ্গেছে ইরাক, লিবিয়া,
সিরিয়ার বাড়িগুলো। তাদেরও উদ্বাস্তু হয়ে
ছুটতে হবে আহারের খোঁজে, আশ্রয়ের
খোঁজে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উঠে বসতে হবে
নৌকায়। জাগো মুসলিম, দৌড়াও, ইসলামের দিকে, জান্নাতের দিকে। না হলেও তুমি দৌড়াবে। সব হারিয়ে, শরনার্থী হয়ে, মিসকিন হয়ে অন্য দিকে। যে
দিকে শুধুই অকল্যান। SAROWER
খ্রিস্টানমিশনারীদেরভয়ংকর ষড়যন্ত্র
খ্রিস্টান
মিশনারীদের
ভয়ংকর ষড়যন্ত্র
(সময় এখনই
সাবধান হবার)
বাংলাদেশের
পার্বত্য
এলাকাকে ঘিরে
এনজিও এবং
আন্তর্জাতিক
খ্রিষ্টান লবি
ভিন দেশী
সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও
ধর্ম প্রচারের
লক্ষ্যে সুদীর্ঘ
কাল ব্যাপী নানা
মুখী চক্রান্ত
চালিয়ে আসছে।
চিকিৎসা, সমাজ ও
মানবতার সেবার
অভিনয়ে তারা
মূলতঃ পার্বত্য
এলাকার
দারিদ্র্যপীড়িত
জনগোষ্ঠীকে
ইউরোপীয়
জীবনাচার ও
দর্শনের দিকে
আকৃষ্ট করার
প্রয়াস চালাচ্ছে।
মুঘল আমলেই
এদেশের প্রতি
এন জি ও এবং
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের
শ্যেন দৃষ্টি
পতিত হয়।
ইষ্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানীর
শাসনামলে
মিশনারীগণ ভিন
দেশী সংস্কৃতির
বিকাশ ও
ধর্মান্তরের যে
প্রক্রিয়া
আনুষ্ঠানিক
ভাবে চালু করেন,
পর্যায়ক্রমে
পাকিস্তান ও
বাংলাদেশ আমলে
তার ক্রমবিকাশ
সাফল্যের সাথে
অব্যাহত থাকে।
স্কুল প্রতিষ্ঠা,
শিক্ষা উপকরণ
বিতরণ,
হাসপাতাল স্থাপন,
ঋণ প্রদান,
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়
কেন্দ্র নির্মাণ,
দারিদ্র্য
বিমোচন,
কমিউনিটি
ডেভেলপমেন্ট ও
নারীর ক্ষমতায়ন
প্রভৃতি মুখরোচক
কর্মসূচীর
আড়ালে রয়েছে এ
দেশে ইউরোপীয়
সংস্কৃতি ও
খ্রিষ্টান ধর্ম
প্রচার করার নীল
নকশার
বাস্তবায়ন।
উলেখ্য যে,
বাংলাদেশের
পার্বত্য এলাকায়
প্রায় ৪৫টি ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র
নৃতাত্ত্বিক
জাতিগোষ্ঠীর
অধিবাস। শত
বছর ধরে বহুবিধ
সমস্যায়
জর্জরিত হয়ে ২০
লাখ আদিবাসী
ক্রমাগত
প্রান্তীয়
পরিণতির দিকে
ধাবিত হচ্ছে।
রাজনৈতিক
বিচ্ছিন্নতা, চরম
দারিদ্র্য, ক্ষুধা,
অনাহার, মৃত্যু,
মহামারী, অপুষ্টি
ও স্যানিটেশন
সমস্যা তাদের
নিত্যসঙ্গী।
খাদ্য, বস্ত্র,
চিকিৎসা, শিক্ষা
ও বাসস্থান এই
পাঁচটি মৌলিক
মানবাধিকার
থেকে তাঁরা
বঞ্চিত। রাখাইন
ডেভেলপমেন্ট
ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান
মি.উসিথ মং
বলেন, রাখাইনরা
ক্ষুদ্র
জাতিগোষ্ঠী
হিসেবে এই
অঞ্চলে আদিম
অধিবাসী। প্রায়
৩৩ শতাংশ রাখাইন
এখন ভূমিহীন
আর গত ৩৫ বছরে
পটুয়াখালীতে
প্রায় ৯০ শতাংশ
রাখাইনকে নিজ
ভূমি থেকে উচ্ছেদ
হতে হয়েছে। ১৯৯১
সালের আদম
শুমারি অনুযায়ী
কেবল পার্বত্য
চট্টগ্রামের জন
সংখ্যা ১০ লাখ ৫
হাজার ৩৬২ জন।
অধিকাংশ চাকমা
ও মারমা বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বী,
টিপরা
অধিবাসিরা হিন্দু
ধর্মের আর
মিজো বম ও থেয়াং
খ্রিষ্টান। কিছু
কিছু গোত্র
আত্মা, প্রাণী ও
উদ্ভিদের
পূজারী।
(বাংলাপিডিয়া,
৫খন্ড, পৃ.৩৭১-২)। সাধারণভাবে এসব
ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী
এবং বিশেষভাবে
পাহাড়িরা
অত্যন্ত কষ্টে
আছে,
'মানুষ’করার জন্য
নানামুখী
সহযোগিতা
প্রয়োজন, তাদের
পৃথক সত্তা ও
নিজস্ব সংস্কৃতি
রক্ষা নিশ্চিত
করতে হবে
ইত্যাদি বক্তব্য
দেশের সীমানা
পেরিয়ে বিদেশেও
প্রচুর শোনা যায়।
এর সূত্র ধরে
বিদেশি ফান্ড
দ্বারা পরিপুষ্ট
ঝাঁকে ঝাঁকে
এনজিও এখন তিন
পার্বত্য জেলায়
সক্রিয় আছে।
কিন্তু এতদিনে
পরিষ্কার হয়ে
গেছে যে, আর্ত-
মানবতার সেবার
নামে এসব
এনজিও’র
বেশিরভাগই
আসলে পাহাড়ি
জনগোষ্ঠীকে
ধর্মান্তরিত
করার কাজে
কোমর বেঁধে
নেমেছে। এ কাজে
তাদের সাফল্য
রীতিমত চোখ
ধাঁধানো।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের
তৈরি করা
প্রতিবেদনের
বরাত দিয়ে আমার
দেশ-এ প্রকাশিত
এক রিপোর্টে বলা
হয়েছে,গত ২০
বছরে সেখানে ১২
হাজার উপজাতীয়
পরিবারকে
ধর্মান্তরিত করে
খ্রিস্টান বানানো
হয়েছে। ওই
রিপোর্টের তথ্য
অনুযায়ী, তিন
পার্বত্য জেলা
খাগড়াছড়ি,
বান্দরবান ও
রাঙামাটিতে
বর্তমানে ১৯৪টি
গির্জা
উপজাতীয়দের
ধর্মান্তরিত করে
খ্রিস্টান
বানানোর
ক্ষেত্রে মুখ্য
ভূমিকা পালন
করছে। খাগড়াছড়ি
জেলায় আছে
৭৩টি গির্জা।
১৯৯২ সাল থেকে
২০১০ সাল
পর্যন্ত এ জেলায়
৪ হাজার ৩১টি
পরিবার খ্রিস্টান
হয়েছে।
বান্দরবান
জেলায় গির্জা
আছে ১১৭টি।
এখানে একই
সময়কালে
খ্রিস্টান হয়েছে
৬ হাজার ৪৮০টি
উপজাতীয়
পরিবার।
রাঙামাটিতে ৪টি
চার্চ খ্রিস্টান
বানিয়েছে ১
হাজার ৬৯০টি
উপজাতীয়
পরিবারকে।
এগুলো
তুলনামূলকভাবে
হাল আমলের
হিসাব। পাহাড়ি
যেসব
জনগোষ্ঠীর
লোকসংখ্যা
তুলনামূলকভাবে
কম, তাদের প্রায়
শতভাগ খ্রিস্টান
হয়ে গেছে অনেক
আগেই (এম. এ
নোমান, আমার
দেশ, ১২.০৮.২০১১)
। পাহাড়িদের
নিজস্ব সংস্কৃতি
অটুট রাখার জন্য
কুম্ভীরাশ্রু
বিসর্জনকারী
পশ্চিমা গোষ্ঠীর
প্রত্যক্ষ মদদে
চলা ধর্মান্তকরণ
সেখানে এমন
পরিস্থিতির
সৃষ্টি করেছে যে,
উপজাতীয়দের
নিজস্ব সংস্কৃতি,
ধর্মীয় মূল্যবোধ
আজ আক্ষরিক
অর্থেই বিপন্ন।
তাদের সামাজিক
ও পারিবারিক
বন্ধন শিথিল
হয়ে যাচ্ছে দিন
দিন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে
খ্রিস্টান হয়ে
যাওয়া পাহাড়িদের
দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি
যারা ঘটাচ্ছে তারা
যদি পাহাড়িদের
রাষ্ট্রীয়
আনুগত্যের
শিকড় কেটে দিতে
সক্ষম হয় তবে তা
বাংলাদেশের
অখন্ডতা ও
সার্বভৌমত্বের
জন্য বড় ধরনের
হুমকি হয়ে উঠবে।
এভাবে দেশের
একটি
স্পর্শকাতর
এলাকায়
ডেমোগ্রাফির
নাটকীয়
পরিবর্তন
স্বাভাবিকভাবে
মেনে নেয়া যায়
না। ত্রাণ ও সেবার
নামে আসলে ওই
অঞ্চলের দরিদ্র
ও পিছিয়ে পড়া
লোকজনকে
ধর্মান্তরিত হতে
প্রলুব্ধ করা
হচ্ছে বলে
জোরালো
অভিযোগ রয়েছে।
একথা সত্য যে,
আমরা বিপুল
সংখ্যাগরিষ্ঠ
সমতলবাসী
বাঙালিরা
পাহাড়িদের আর্থ-
সামাজিক
উন্নতির জন্য
পর্যাপ্ত
সহযোগিতা
করিনি।
পাশাপাশি এটাও
সত্য যে, ব্রিটিশ
রাজশক্তি
ঔপনিবেশিক
আমলে বিশেষ
মতলব নিয়ে
পাহাড়ি ও
বাঙালিদের মধ্যে
বিভাজন রেখা
টেনে দিয়েছিল
যাতে পরস্পরের
মধ্যে
সার্বিকভাবে
দূরত্ব তৈরি হয়।
তাদের সেই
দীর্ঘমেয়াদি
পরিকল্পনার ফল
এখন পাকতে শুরু
করেছে বলে মনে
হয় (এম. এ নোমান,
আমার দেশ,
১২.০৮.২০১১)। ড. ঊইলিয়াম
কেরি, ড.টমাস,
রিচার্ড হলওয়ে,
ফাদার ক্লাউজ
বার্লার, টরবেন
ভি পিটারসন,
আলফ্রেড রবিন
মন্ডল ও
ড.অলসন এর মতো
লোকেরা বাংলা
ভাষাভাষী
জনগোষ্ঠীর
মধ্যে বাইবেলের
শিক্ষা, কৃষ্টি ও
আদর্শ প্রচারের
জন্য বাংলা ভাষা
রপ্ত করেন। ১৭৯৩
সালে
মিশনারীদের
একটি
শক্তিশালী দল
বাংলাদেশে
আসেন। মি.কেরি
ও মি. পাওয়েল
মিলে দিনাজপুরে
একটি ক্ষুদ্র
চার্চ প্রতিষ্ঠা
করেন যা
বাংলাদেশে প্রথম
ব্যাপ্টিস্ট ও
প্রটেষ্ট্যান্ট
চার্চ। মি.কেরি
নতুন আঙ্গিকে
বাংলা ব্যাকরণ
সংশোধন করেন
এবং ১৮০০ সালে
ইংল্যান্ড থেকে
বাংলা বর্ণ মালার
ছক এনে
কলকাতার
শ্রীরামপূর মিশন
থেকে বাংলায়
বাইবেল মুদ্রন ও
প্রচারের ব্যবস্থা
করেন। ফোর্ট
উইলিয়াম
কলেজের বাংলা
বিভাগের প্রধান
হিসেবে কর্মরত
অবস্থায় ড. কেরি
‘কথোপকথন’ ও
‘ইতিহাসমালা’
নামক বাংলায়
দু’টি গ্রন্থ রচনা
করেন। ১৮৫৭
সালে সিপাহী
বিপ্লবের সময়
ভারতীয়
উপমহাদেশে ৯০টি
প্রটেস্ট্যান্ট
খ্রিষ্টান
মিশনারী সংস্থা
কর্মরত ছিল।
রোমান ক্যাথলিক
চার্চের সংখ্যা এর
বাইরে (মাসিক
তরজমানুল
কুরআন, লাহোর,
মার্চ, ১৯৬১)। এদেশে প্রতিকুল
পরিবেশে খ্রিষ্ট
ধর্ম-সংস্কৃতির
প্রচার ও বিকাশে
তাঁরা যে ত্যাগ ও
সাধনা করেন তা
রীতিমত
বিস্ময়ের উদ্রেক
করে। চন্দ্রঘোনা,
মালুমঘাট,
ময়মনসিংহ, রংপুর
ও রাজশাহী সহ
দেশের প্রত্যন্ত
অঞ্চলে
হাসপাতাল ও
মাতৃসদন
প্রতিষ্ঠা করে
কুষ্ঠ রোগ সহ
জটিল ব্যাধির
চিকিৎসা ও
অস্ত্রোপচার
চালিয়ে আসছে
একটি মাত্র
লক্ষ্যকে সামনে
রেখে, তা হলো এ
দেশে খ্রিষ্ট
ধর্ম, সংস্কৃতি ও
ঐতিহ্যের প্রচার
ও প্রসার। এই সব
হাসপাতাল হলো
মূলতঃ মানুষ ধরার
ফাঁদ ও
ষড়যন্ত্রের নীল
কুঠি।
মিশনারীদের এই
নিরন্তর সাধনা
ব্যর্থ হয়নি।
উপজাতীয় জন
গোষ্ঠীর
দরিদ্রতার সুযোগ
নিয়ে তাদের
শিক্ষা ও
চিকিৎসার
অভাবকে পুঁজি
করে খ্রিষ্টান
এনজিও কর্মি ও
মিশনারী
পাদ্রীরা দূর্গম
পার্বত্য এলাকায়
নীরবে-নিভৃতে
ধর্মান্তরের কাজ
চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে
কর্মতৎপর
এনজিও’র সংখ্যা
৩০ হাজার। এই
দেশে বহুজাতিক
কোম্পানির
আর্থ-রাজনৈতিক
স্বার্থে এবং
অসহায়, নিঃস্ব,
নিরক্ষর ও
প্রপীড়িত
মানুষকে সেবা
করার নামে
ইউরোপীয়
সংস্কৃতির বিকাশ
ও খ্রিষ্ট-ধর্মে
দীক্ষিত করার
অমানবিক
তৎপরতায় যেসব
এনজিও জড়িত
রয়েছে তাদের
মধ্যে রয়েছে:
১.কারিতাস
২.এমসিসি
(মেনোনাইট
সেন্ট্রাল
কমিটি)
৩.বাংলাদেশ
লুতারান মিশন
৪.দীপ শিখা
৫.স্যালভেশন
আর্মি ৬.ওয়ার্ল্ড
ভিশন ৭.সিডিএস
(সেন্টার ফর
ডেভেলপমেন্ট
সার্ভিস)
৮.আরডিআরএস
(রংপুর-দিনাজপুর
রুরাল সার্ভিস)
৯.সিসিডিবি
(খ্রিষ্টান
কমিশন ফর
ডেভেলপমেন্ট)
১০.হিড বাংলাদেশ
১১.সেভেনথ ডে
এ্যডভেঞ্চারিষ্ট
১২.চার্চ অব
বাংলাদেশ
১৩.প্লান
ইন্টারন্যাশনাল
১৪. সুইডিস ফ্রি
মিশন
১৫.কনসার্ণ
১৬.এডরা
১৭.অষ্ট্রেলিয়ান
ব্যাপটিষ্ট
সোসাইটি ১৭.
ফ্যামেলিজ ফর
চিলড্রেন ১৮. ফুড
ফর হাংরী
ইন্টারন্যাশনাল।
এই সব সংস্থার
বাজেটের শতকরা
৯০ ভাগ অর্থ
খ্রিষ্টানদের বা
খ্রিষ্টধর্মে
দীক্ষিত হবার
সম্ভাবনাময়
ব্যক্তিদের
স্বার্থে, নির্বাহী
কর্মকর্তা ও
বিদেশী
কনসালটেন্টের
পেছনে ব্যয়িত
হয়।
চার্চ অব
বাংলাদেশ নামে
একটি খ্রিষ্টান
মৌলবাদী এন, জি,
ও সংস্থা ১৯৬৫
সালে
কক্সবাজারের
মালুমঘাটে
খ্রিষ্টান
মেমোরিয়াল
হাসপাতাল স্থাপন
করে। স্থানীয়
জনসাধারণের
দরিদ্রতা, অভাব
ও নিরক্ষরতার
সুযোগ নিয়ে
হাসপাতালের
পরিচালক ডা.
ভিগা বি অলসন
বিগত ৩৮ বছর
যাবত খ্রিষ্ট ধর্ম
প্রচারে তৎপর
রয়েছেন। ১৯৬৪
খ্রিষ্টাব্দে অত্র
এলাকায় যেখানে
এক জন
খ্রিষ্টানও ছিলনা
সেখানে বর্তমানে
দশ হাজার বয়স্ক
নাগরিক
খ্রিষ্টান হয়েছে
এবং তাদের
পরিবার সহ এই
সংখ্যা বর্তমানে
৪০ হাজারে
উন্নীত হয়েছে।
মালুমঘাটের আশে
পাশের জমি চড়া
দামে উক্ত
এনজিও কিনে
নিচ্ছে
ধর্মান্তরিতদের
পুর্নবাসনের
উদ্দেশ্যে।
ইতোমধ্যে
হায়দারের নাসি
গ্রামের দক্ষিণ-
পশ্চিম প্রান্তে
বিশাল গীর্জা
গড়ে উঠেছে এবং
অত্র এলাকায়
ভিন দেশী
সংস্কৃতির বিকাশ
চোখে পড়ার মতো।
কয়েক বছর আগে
মালুমঘাট
হাসপাতালের ডা.
অলসন ১৩টি
মুসলিম
পরিবারের ২৫ জন
গরীব
মুসলমানকে
ফুসলিয়ে খ্রিষ্ট
ধর্মে দীক্ষিত
করার অভিযোগে
সংক্ষুব্ধ শত শত
স্থানীয় মানুষ
হাসপাতাল
আক্রমন করে
এবং যেসব ঘরে
ধর্মান্তর করা
হতো তা জালিয়ে
দেয়। বিক্ষুব্ধ
জনতাকে
ছত্রভঙ্গ করার
চেষ্টা করলে ২০
জন পুলিশ সহ ১০০
ব্যক্তি আহত হয়
(দৈনিক সংগ্রাম,
২৪অক্টোবর,
১৯৯২)।
ফস্টার
প্যারেন্টস
ইন্টারন্যাশনাল
নামক একটি
এনজিও সংস্থা
বাংলাদেশের ৯৬
হাজার পরিবারের
একটি শিশুকে
পোষ্য সন্তান
হিসেবে গ্রহণ
করে খ্রিষ্টান
বানানোর এক
জঘন্য
পরিকল্পনা হাতে
নিয়েছে।
ইতঃপূর্বে
ধর্মান্তরিতকরণের
অভিযোগে উক্ত
সংস্থাকে
জাকার্তা, বালি ও
সুদান থেকে
বহিষ্কার করা
হয়। সেভেনথ ডে
এডভানচারিষ্ট
চার্চ নামক
একটি খ্রিষ্টান
এনজিও ৮৫টি
স্কুল পরিচালনা
করে এবং
মাধ্যমিক
পর্যায়ের স্কুল বা
এতিমখানায় কোন
মুসলমান ছেলেকে
ভর্তি করা হয় না।
ভারতেও
বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ে এই
সংস্থাটির
প্রতিষ্ঠান
রয়েছে। উচ্চ
শিক্ষা ও
প্রশিক্ষনের
জন্য খ্রিষ্টান
কর্মচারী ও
খ্রিষ্টান
ছাত্রদেরকে
সেখানে পাঠিয়ে
থাকে। এই
সংস্থাটি সেবার
নামে বাংলাদেশের
মানুষকে
খ্রিষ্টান
বানানোর জন্য
১৯৯০-৯১ এবং
১৯৯১-৯২ আর্থিক
বছরে ২৩০
মিলিয়ন টাকা
খরচ করেছে। হিড
বাংলাদেশ নামের
এনজিও
মৌলভীবাজারের
কমলগঞ্জে,
ঢাকাস্থ বিহারী
রিফিউজি
ক্যাম্পে এবং
সুন্দরবনে সেবার
আড়ালে খ্রিষ্ট
সংস্কৃতির প্রচার
ও খ্রিষ্টান
জনগনের
উন্নয়নের জন্য
বছরে ৬ লাখ
মার্কিন ডলার
ব্যয় করে।
খ্রিষ্টান কমিশন
ফর
ডেভেলপমেন্ট ইন
বাংলাদেশ (CCDB)
জেনেভা ভিত্তিক
একটি খ্রিষ্টান
মিশনারী
প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের
পরিবার প্রথা,
সামাজিক
ব্যবস্থা,
সাংস্কৃতিক
ঐতিহ্য ও ধর্মীয়
মূল্যবোধ ভেঙ্গে
ইউরোপীয় আদলে
নতুন সমাজ গড়ার
কর্মসূচী
বাস্তবায়নে
লিপ্ত।
সিসিডিবির
বার্ষিক ৩.৫
মিলিয়ন
মার্র্কিন ডলার
বাজেট খেকে
খ্রিষ্টান জনগণ
এবং ভবিষ্যতে
যারা খ্রিষ্টান
হবে তারাই উপকৃত
হয়। সিসিডিব’র
বর্তমান মূল
লক্ষ্য হচ্ছে
উপজাতি ও
আদিবাসীদের
সকল
জনগোষ্ঠীর
ক্ষমতায়ন
স্থিতিশীল ও
অংশীদারিত্ব
ভিত্তিক উন্নয়ন
কর্মকান্ডে
নারীদের
কার্যকর
অংশগ্রহণ
নিশ্চত করার
জন্য তাদের ছোট
ছোট উদ্যোগকে
সমর্থন দান,
সকল পর্যায়ে
লিঙ্গ বৈষম্য
দূরীকরণ
ইত্যাদি।
ইউরোপের
কয়েকটি
দেশ,অস্ট্রেলিয়া
এবং মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র সহ
বিশ্বের অন্যান্য
দেশের দাতা
সংস্থা ও খ্রিষ্টান
মিশনারী সংগঠন
বিশেষতঃ
জেনেভার
ওয়ার্ল্ড
কাউন্সিল অব
চার্চেস, ব্রাড ফর
দি ওয়ার্ল্ড,
ইংল্যান্ডের
খ্রিষ্টান এইড,
নিউজিল্যান্ডের
চার্চ ওয়ার্ল্ড
সার্ভিস এবং
হল্যান্ডের
ইন্টারন্যাশনাল
চার্চ এইড ঢাকা
সিসিডিবিকে
অর্থ যোগান দেয়।
ওয়ার্ল্ড
কাউন্সিল অব
চার্চেস বছরে
একবার
সিসিডিবি’র
একটি গোল
টেবিল বৈঠকের
আয়োজন করে।
(বাংলাপিডিয়া,১০
খন্ড,পৃ.১৯৮-৯)।
লুথারান ওয়ার্ল্ড
ফেডারেশন অব
বাংলাদেশের
কর্তৃত্বাধীনে
পরিচালিত একটি
শক্তিশালী
এনজিও সংস্থার
নাম রংপুর-
দিনাজপুর রুরাল
সার্ভিস (RDRS)।
বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে
থাকা ৬ লাখ
লুথারেন
বিশ্বাসী এই
সংস্থার সাথে
জড়িত।নরওয়ে,
সুইডেন,
ডেনমার্ক ও
ফিনল্যান্ডের
লুথারেন চার্চ এই
সংস্থাকে অর্থের
যোগান দেয়। মি.
টরবেন ভি
পিটারসনের
নেতৃত্বে ১৯৮৬
সাল হতে এই
সংস্থা নিরব-
কৌশলে প্রায় ২১৮
কোটি ৬৯ লাখ ৯৮
হাজার ৪৭৬ টাকা
ব্যয়ে বৃহত্তর
দিনাজপুর ও রংপুর
জেলার সীমান্ত
অঞ্চলের
আদিবাসী ও
সাঁওতাল অধ্যুষিত
এলাকায় ধর্ম
প্রচারের কাজ
চালিয়ে যাচ্ছে।
সীমান্ত এলাকার
বদলে দেশের
অভ্যন্তরে
প্রকল্প এলাকা
সম্প্রসারণে
সংস্থা অনাগ্রহী।
১৯৮১ সালের
পরিসংখ্যান
অনুযায়ী
একমাত্র
দিনাজপুরেই ৩৫
হাজার সাঁওতাল
খ্রিষ্টান হয়ে
গেছে। (মুহাম্মদ
নূরুজ্জামান,
বাংলাদেশ-
এনজিও
উপনিবেশবাদের
দূর্ভেদ্য জালে,
ঢাকা, ১৯৯৬,
পৃ.৬১-৭৩; দৈনিক
ইত্তেফাক, ৬
ডিসেম্বর, ১৯৮১)
জনাব রেজাউল
হক হেলাল
সম্প্রতি
খাগড়াছড়ি
পার্বত্য জেলার
সাজেক ইউনিয়নে
দশ হাজার
উপজাতির
সাংস্কৃতিক
পরিবর্তন ও
ধর্মান্তরের এক
চাঞ্চল্যকর
সংবাদ দিয়েছেন।
সাজেক
ইউনিয়নটি
সীমান্তবর্তী
দূর্গম পাহাড়ী
অঞ্চলে
অবস্থিত যা
আয়তনে
বাংলাদেশের
একটি জেলার
সমান। নৈসর্গিক
সৌন্দর্য লালিত
এই উপত্যকায়
পৌঁছতে
খাগড়াছড়ি বা
রাঙ্গামাটি শহর
থেকে দু’দিন সময়
লাগে। এই
ইউনিয়নের
বিশটি গ্রামে
খেয়াং, রম, পাংখু,
লুসাই উপজাতির
বাস। সাজেক
উপত্যকাটি
ভারতীয় সীমান্ত
রাজ্য মিজোরাম
সংলগ্ন। বিশ বছর
আগেও এখানে
খ্রিষ্ট ধর্মের
কোন নাম গন্ধ
ছিল না।
উপজাতীয়দের
ভাষা, সংস্কৃতি
সবই ছিল, আজ
কিছুই নেই। শুধু
ইংরেজীতে কথা
বলাই নয়;
সেখানকার
অধিবাসীরা
গীটার বাজিয়ে
ইংরাজী গান গায়;
মেয়েরা পরে
প্যান্ট-শার্ট-
স্কার্ট; এদের
দেখে মনে হয় যেন
বাংলার বুকে এক
খন্ড ইউরোপ।
জাতিতে তারা
প্রায় সবাই
খ্রিস্টান। দীর্ঘ
দিন ধরে এই
দুর্গম পার্বত্য
এলাকায়
খ্রিষ্টান
মিশনারীরা
অনেক কৌশল ও
টাকা ব্যয়ের
মাধ্যমে
উপজাতীয়দের
ধর্মান্তরিত করে
চলেছে।
ইতোমধ্যে পাংখু
উপজাতি পুরোপুরি
খ্রিষ্টান হয়ে
গেছে; বদলে গেছে
তাদের ভাষা; এমন
কি তাদের ভাষার
হরফও ইংরাজী
বর্ণমালায়
রূপান্তর করা
হয়েছে। এন জিও
নাম ধারন করে
কয়েকটি
খ্রিষ্টান
মিশনারী এই
দুর্গম এলাকায়
হাসপাতাল,
বিনোদন কেন্দ্র,
চার্চ ইত্যাদি গড়ে
তুলেছে। নিজস্ব
উপজাতীয় আদি
ভাষা ও সংস্কৃতি
এরা হারিয়ে
ফেলেছে
(ইনকিলাব, ২০ মে
২০০৩)।
বাংলাদেশের
উত্তরাঞ্চল,
পূর্বাঞ্চল ও
উত্তর-
পূর্বাঞ্চলের
পার্বত্য এলাকায়
গড়ে উঠেছে ক্রশ
চিহ্নিত সুদৃশ্য
গীর্জা।
প্রাথমিক ভাবে
মিশনারীদের
টার্গেট ছিল
হিন্দু ও পাহাড়ী
আদিবাসী
জনগোষ্ঠী এবং
পরবর্তীতে
মুসলমান।
বান্দরবান,
খাগড়াছড়ি,
রাঙ্গামাটি ও
ময়মনসিংহের
গহীন অরন্যে
বসবাসরত
আধুনিক সভ্যতার
আলোকধারা
থেকে বঞ্চিত
মানুষ বিশেষত:
চাকমা, মারমা,
তনছইঙ্গা, চাক,
খ্যাং, খূমি, বোম,
মো, মুরুং, টিপরা,
খাসিয়া, মনিপুরী,
খেয়াং, পাংখু, লুসাই,
মগ, গারো
উপজাতির মধ্যে
খ্রিষ্ট সংস্কৃতি ও
ধর্মের বিকাশ
এবং অনুশীলন
তাদের জীবন
ধারায় এনেছে
ব্যাপকতর
বৈচিত্র্য ও
আমুল পরিবর্তন।
প্রতিটি মানুষের
জন্য একটি
বাইবেল এবং
প্রত্যেক
জনগোষ্ঠীর জন্য
একটি গীর্জা
(Every man a Bible
and every People a
Church) এ
কর্মসূচীকে
সামনে রেখে
মিশনারীরা যে
তৎপরতা
বাংলাদেশে শুরু
করেছিল তার
লক্ষ্য পানে ছুটে
চলেছে
নিরন্তরভাবে।
১৯৩৯ সালে
যেখানে
বাংলাদেশে
খ্রিষ্টানের
সংখ্যা ছিল ৫০
হাজার, সেখানে
১৯৯২ সালে
খ্রিষ্টান
জনগোষ্ঠীর
সংখ্যা দাঁড়িয়েছে
৫০ লাখে; ২০১২
সালে এই সংখ্যা
দাঁড়াবে এক
কোটিতে। কট্টর
মৌলবাদী এনজিও
ওয়ার্ল্ড ভিশনের
অব্যাহত
প্রচেষ্টার ফলে
১৯৯১ সালে
একমাত্র গারো
পাহাড় এলাকায় ১৬
হাজার ভোটার
তালিকাভূক্ত হয়
এবং খ্রিষ্টান জন
শক্তি দাড়াঁয় ৫০
হাজারে।
বর্তমানে
হবিগঞ্জ,
মৌলভিবাজার,
সুনামগঞ্জ ও
সিলেটে ৩০ হাজার
খাসিয়া জনগণ
বাস করে।
পার্বত্য
খাসিয়াদের
বাসভূমি পশ্চিমে
গারো পাহাড়
পর্যন্ত বিস্তৃত।
দেড় শতাধিক
বছর পূর্বে
খ্রিষ্টান
মিশনারীরা
খাসিয়াদের মধ্যে
ধর্মপ্রচার শুরু
করেছিল।
বর্তমানে ৮০%
-৯০% খাসিয়া
খ্রিষ্টান, প্রায়
প্রতিটি পুঞ্জিতে
(গ্রাম) গির্জা
আছে। প্রতি
রোববারে
খ্রিষ্টান
খাসিয়ারা গির্জায়
প্রার্থনা এবং
পুঞ্জির বিষয়াদি
নিয়ে কিছুক্ষণ
আলোচনা করে।
খ্রিষ্টান
যাজকগণ অনেক
সময় পুঞ্জির
বিচার- আচারেরও
দায়িত্ব পালন
করেন। খ্রিষ্টান
কৃষ্টি ও ধর্মে
দীক্ষার ফলে
খাসিয়াদের আর্থ-
সামাজিক
কাঠামোই বদলে
গেছে। খ্রিষ্টান
খাসিয়ারা
প্রোটেস্ট্যান্ট
এদের মধ্যে
ক্যাথলিক
আদপেই নেই।
খাসিয়া ভাষা
অস্ট্রো-
এশিয়াটিক ভাষার
অন্তর্ভূক্ত।
বর্তমানে খাসিয়া
ভাষা সীমান্তের
ওপারে রোমান
হরফে লেখা হচ্ছে।
ইদানিং কালে
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের
প্রচেষ্টায়
সাঁওতাল লিপির
বর্ণমালাও
রোমান হরফে
পরিবর্তিত হয়ে
যাচ্ছে
(বাংলাপিডিয়া,-২
খন্ড,
পৃ.১০,১২; ৩খন্ড,
৭৯-৮৯)।
সাংবাদিক
ষ্টালিন সরকার
লিখেছেন যে,
উত্তরাঞ্চলের
ধর্মান্তরের
ঘটনা
আশংকাজনক
হারে বেড়ে গেছে।
মুসলমান, হিন্দু
আর সাওঁতালদের
মধ্যে ধর্ম ত্যাগ
করে খ্রিষ্টান
হওয়ার ঘটনা
ঘটছে অহরহ।
বৃহত্তর রংপুর ও
বৃহত্তর
দিনাজপুরের
আটটি জেলায়
ব্যাঙের ছাতার
মতো গজিয়ে
উঠেছে খ্রিষ্টান
মিশনারী। ওই সব
চার্চে গত পাঁচ
বছরে ১০ থেকে ১২
হাজার
ধর্মান্তরিত হয়ে
খ্রিষ্টান ধর্ম
গ্রহণ করেছে।
বেকারত্ব আর
দারিদ্র্যকে পুঁজি
করে মিশনারীর
লোকজন
ধর্মান্তরের টোপ
দিচ্ছে মানুষকে।
শুধু যুবক-যুবতী
আর অভাবী
মানুষকে নয়,
কোমলমতি
শিশুদেরও
খ্রিষ্টান করার
অপতৎপরতা
চালাচ্ছেন
পাদ্রীরা। তাঁরা
আটটি জেলায়
কমপক্ষে
৩০/৪০চি
নার্সারী স্কুল
খুলেছেন। এসব
স্কুলের
ক্লাসরুমে যিশুর
প্রতিকৃতি সহ
খ্রিষ্টিয়
সংস্কৃতির
বিভিন্ন ছবি ও
অনুষঙ্গ টাঙ্গিয়ে
রাখা হয়। পাঠ্য বই
পড়ার পাশাপাশি
ওই সব ছবি
দেখিয়ে
কোমলমতি
শিশুদের
খ্রিষ্টান ধর্ম ও
সংস্কৃতি
সম্পর্কে জ্ঞান
দেয়া হয়।
পাদ্রীদের
ধর্মান্তরের এই
মিশন চলতে
থাকলে আগামী
১০/১২ বছরে
উত্তরাঞ্চলের
জেলাগুলোতে
লক্ষাধিক দরিদ্র
ও বেকার যুবক
খ্রিষ্টান ধর্মে
দীক্ষিত হতে
পারে বলে আশংকা
করা হচ্ছে
(পূর্ণিমা,১৬
জুন,২০০৪/১৭বর্ষ
৪০ সংখ্যা, পৃ.৩৯)। বাংলাদেশে
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের এ
সাফল্য
নিঃসন্দেহে এ
দেশের
মুসলমানদের
ব্যর্থতার দলিল।
সাত সমুদ্র তের
নদীর ওপার থেকে
মিশনারীরা এসে
যদি
আদিবাসীদের
মধ্যে খ্রিষ্টান
র্ধম ওও ইঊরোপীয়
সংস্কৃতি প্রচার
করতে পারে তা
হলে এত কাছের
হয়েও আমরা
মুসলমানরা কেন
ইসলাম ধর্ম ও
সংস্কৃতি প্রচারে
হাত-পা গুটিয়ে
বসে রইলাম।
সাহায্যের হাত,
সহানুভূতির হাত,
সেবার হাত
পার্বত্য ভাইদের
প্রতি আমরা কেন
সম্প্রসারন
করতে পারলামনা।
এ দায়িত্ব
অবহেলার মাশুল
একদিন এই
দেশের
মুসলমানদের
দিতেই হবে। প্রায়
বিশ বছর আগে
পটিয়া আল-
জামিআ আল-
ইসলামিয়ার
প্রাক্তন প্রধান
পরিচালক হযরত
আলহাজ মাওলানা
মুহাম্মদ ইউনুছ
(রহ.) কাপ্তাই এর
অদূরে সূখবিলাস
ও বান্দরবান
সদরে দু’টি দশ
শয্যা বিশিষ্ট
আধুনিক দাতব্য
হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠা করে
পার্বত্য
জনগোষ্ঠীকে
চিকিৎসা সুবিধে
প্রদানের যে মহৎ
কাজ সূচনা
করেছিলেন তা
যথেষ্ট ইতিবাচক
ফল দিয়েছে
কিন্তু দুঃখের
বিষয় হযরত হাজী
সাহেবের দৃষ্টান্ত
অনুসরণ করে এ
ক্ষেত্রে আর
কেউ এগিয়ে
আসেননি।
আমাদের
সীমান্তের ওপারে
সেভেন সিস্টার
নামে খ্যাত
মিজোরাম,
নাগাল্যান্ড,
হিমাচল,
অরুনাচল প্রভৃতি
পাহাড়ী অঞ্চলের
বৃহত্তর
জনগোষ্ঠী এখন
র্ধমান্তরিত
খ্রিষ্টান। ঐ সব
পাহাড়ী অঞ্চল
সংলগ্ন
বাংলাদেশের
র্পাবত্য
এলাকায়ও
ইতোমধ্যে
উল্লেখযোগ্য
হারে খ্রীষ্টানের
সংখ্যা বৃদ্ধি
পেয়েছে। গড়ে
উঠেছে পাহাড়ের
কোল ঘেঁষে সুদৃশ্য
গীর্জা ও
মিশনারী স্কুল।
সাম্প্রতিক
আঞ্চলিক,
জাতীয় ও
আর্ন্তজাতিক
ঘটনাপ্রবাহ এ
কথার ইঙ্গিত
দিচ্ছে যে,
একদিন
চট্টগ্রামের
র্পাবত্য অঞ্চল
দক্ষিণ সুদান ও
ইন্দোনেশিয়ার
পূর্ব তিমূরের মত
জাতিসংঘের
তত্ত্বাবধানে
স্বাধীনতা লাভ
করবে। গড়ে উঠবে
বাংলাদেশের বুকে
আরেকটি
স্বাধীনদেশ।
খ্রিষ্টান
অধ্যুষিত
ইউরোপীয়
দাতাগোষ্ঠী ও
এনজিও চক্র
পার্বত্য
চট্টগ্রামকে
টার্গেট করে
সামনে এগুচ্ছে।
প্রায় দু’বছর
স্থগিত থাকার পর
জাতিসংঘ উন্নয়ন
কর্মসূচী (UNDP)
এই বছর
রাঙামাটি,
বিলাইছড়ি,
বান্দরবান ও
থানচিতে ২০ লাখ
মার্কিন ডলারের
‘কমিউনিটি
উন্নয়ন
কর্মসূচী’ নামক
প্রকল্প
বাস্তবায়ন করতে
যাচ্ছে। ২০০১
সালে পার্বত্য
চট্টগ্রামে তিন
বিদেশী
নাগরিককে
(ব্রিটিশ ও
ডেনিশ)
অপহরণের পর
বিদেশী
সংস্থাগুলো তাদের
তৎপরতা সাময়িক
ভাবে স্থগিত
রাখে। ইতোমধ্যে
বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক
সংস্থা উন্নয়নের
নামে দেদার
বৈদেশিক অর্থের
দ্বারা নব
দীক্ষিত
খ্রিষ্টান
জনগোষ্ঠীকে
পুনর্বাসনের
কাজে লিপ্ত
রয়েছে।
কমিউনিটি
ডেভেলপমেন্টের
প্ল্যানের অধীনে
তারা ধর্মান্তরিত
খ্রিষ্টান
যুবকদের উচ্চ
শিক্ষার জন্য
যুক্তরাজ্য,
যুক্তরাস্ট্র,
অষ্ট্রেলিয়া,
কানাডা প্রভৃতি
দেশে প্রেরণ
করে।
পরিস্থিতি এই
ভাবে অব্যাহত
থাকলে গোটা
পার্বত্য অঞ্চলে
অর্থনৈতিক দিক
দিয়ে সচ্ছল এবং
রাজনৈতিক দিয়ে
বিপজ্জনক
খ্রিষ্টান
জনগোষ্ঠী গড়ে
উঠবে। এই পাড়ের
পাহাড়ীয়
খ্রিষ্টানগণ
সীমান্তবর্তী ওই
পাড়ের
পার্বত্যাঞ্চলে
বসবাসরত নব
দীক্ষিত
খ্রিষ্টানদের
সাথে মিলে
বিচ্ছিন্নতাবাদী
আন্দোলন
পরিচালনা করতে
পারে। এই আশংকা
অমূলক নয়। NGO
তথা বেসরকারী
সংস্থা গুলো কোন
দেশের কোন
সরকারের বন্ধু
নয়। এনজিও’রা
তাদের খ্রিষ্টান
দাতাগোষ্ঠীর
গোপন
পরিকল্পনাই
বাস্তবায়ন করে
থাকে মাত্র।
বাংলাদেশের
সীমান্তবর্তী
ভারতীয় ছয়টি
রাজ্যের পাহাড়ী
এলাকায় বহুদিন
যাবত এনজিও এবং
খ্রিষ্টান
মিশনারীরা
আদিবাসীদের
ধর্মান্তরের কাজ
চালিয়ে যাচ্ছে
সুকৌশলে।
সম্প্রতি ওইসব
সংস্থার সঙ্গে
এতদঞ্চলের
উগ্রপন্থি
সংগঠনের
সর্ম্পক থাকার
খবর পাবার পর
সিবিআই ও
অন্যান্য
গোয়েন্দা সংস্থা
তদন্ত শুরু
করেছে। এই
পরিপ্রেক্ষিতে
৮২০ টি এনজিও
সংস্থাকে ভারতীয়
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়
কালো
তালিকাভুক্ত করে
ওই সব
রাজ্যসমূহের
জেলা
প্রশাসকদের
সর্তক থাকার
নির্দেশ দিয়েছে।
ভারতের উত্তর-
র্পূবাঞ্চলের
ছয়টি রাষ্ট্রের
কালো
তালিকাভুক্ত
এনজিওদের মধ্যে
রয়েছে ত্রিপুরায়
৬৯, মনিপূরের
১৯৭, আসামের
১৫১,
নাগাল্যান্ডের ৭৮,
সিকিমের ২,
মেঘালয়ের ৩২৩
টি।
কোলকাতার
আনন্দ বাজার
পত্রিকা
নয়াদিল্লীর সূত্র
উল্লেখ করে
জানিয়েছে: কালো
তালিকাভুক্ত
স্বেচ্ছাসেবী
সংস্থাগুলোর
বেশির ভাগই
আর্থ-সামাজিক,
শিক্ষাবিস্তার
এবং রোগ
প্রতিরোধ
সচেতনতার কাজ
করে বলে সরকারি
খাতায় পরিচিতি
রয়েছে। এসব কাজ
করতে গিয়ে
স্বেচ্ছাসেবী
সংস্থাগুলোর
সরকারের কাছ
থেকে নানা তথ্য ও
পরিসংখ্যান নিয়ে
থাকে। কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দা সংস্থা
মনে করছে এসব
তথ্য জঙ্গিরা
তাদের
অন্তর্ঘাতমূলক
কাজে ব্যবহার
করতে পারে।
কেন্দ্রীয়
গোয়েন্দাদের
কাছে আরো খবর
রয়েছে, বেশ কিছু
স্বেচ্ছাসেবী
সংস্থা জঙ্গীদের
রিক্রুটিং
‘এজেন্সি’ হিসেবে
কাজ করে।
খ্রিষ্টান
অধ্যুষিত দক্ষিণ
সুদানও স্বীকৃতি
পেয়েছে পূর্ব
তিমুরের পথ ধরে
কারণ জাতিসংঘ
সহ
আন্তর্জাতিক
ফোরামে রয়েছে
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের
ষ্ট্রং লবি। ২০০২
সালের মে মাসে
আন্তর্জাতিক
মুরব্বিদের
সহায়তায়
ইন্দোনেশিয়ার
২৭তম প্রদেশ
পূর্ব তিমুর
ইন্দোনেশিয়া
থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে স্বাধীনতা
লাভ করল।
কাশ্মীর,
মিন্দানাও,
আরাকান, আচেহ,
চেচনিয়া,
দাগিস্তান,
ফিলিস্তিন ও
জিংজিয়াং
অঞ্চলের
মুক্তিপাগল
জনতা আদৌ
বর্তমান
জাতিসংঘের
অধীনে
স্বাধীনতা পাবে
কিনা যথেষ্ট
সন্দেহ আছে।
কারণ এই সব
এলাকার
সংখ্যাগরিষ্ঠ
জনগোষ্ঠী
মুসলমান।
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের
উদ্দেশ্য
সম্পর্কে
আমাদের মধ্যে
কোন রূপ দ্বিধা
থাকা উচিৎ নয়।
১৮৫৭ খিষ্টাব্দে
East India
Company এর
Board of Directors
এর সভায় গৃহীত
প্রস্তাবে যে
বক্তব্য রাখা
হয়েছে তা
মিশনারীদের
উদ্দেশ্য বুঝতে
একান্ত সহায়ক
‘প্রকৃতি ভারতীয়
উপমহাদেশের
বিস্তীর্ণ
অঞ্চলটি এই
জন্য ব্রিটেনের
কাছে সোপর্দ
করেন, যাতে
এতদঞ্চলের এক
প্রান্ত হতে অপর
প্রান্ত পর্যন্ত
মিশনারীদের
বিজয় পতাকা
উড্ডীন হয়।
এতদঞ্চলকে
খ্রিষ্টান রাষ্ট্রে
পরিণত করার
জন্য প্রত্যেকের
আপ্রাণ চেষ্টা
করা
উচিৎ’ (তারীখে
পাকিস্তান ও
সিন্ধু
সেকেন্ডারী
স্কুল
পরীক্ষা-১৯৬২ ইং,
পৃঃ ৫০৪; দৈনিক
আজাদ, ঢাকা,
উর্দু পত্রিকার
মতামত শীর্ষক
নিবন্ধ,৩০ জৈষ্ঠ,
১৩৭৪ বাংলা)।
মুসলিম রাষ্ট্র
সমুহে মিশনারী
প্রেরক সমিতির
সভাপতি মি.কিস
জুয়াইমর
মিশনারীদের
উদ্দেশ্য
সম্পর্কে যে
মন্তব্য করেন তা
অত্যন্ত
খোলামেলা এবং
রীতিমত
উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন:
‘আমাদের
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের বড়
উদ্দেশ্য এই যে,
যেসব ছাত্র
আমাদের স্কুল-
কলেজ হতে
শিক্ষা সমাপন
করে বের হচ্ছে
তারা নিশ্চিত
রূপে ইসলাম থেকেবের হয়ে গেছে,
যদিও বের হওয়াটা
আনুষ্ঠানিক নয়।
অর্থাৎ নাম ও
পরিচিতিতে
খ্রিষ্টান না
হলেও মন-মেজায,
ধ্যান-ধারনা ও
চিন্তা-চেতনা
ইত্যাদিতে সে
ইসলাম বিমুখ
হয়েছে। শুধু
এতটুকু নয়, বরং সে
সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে
আমাদের
মিশনের এক জন
বড় পৃষ্ঠপোষক।
তার পক্ষ হতে
আমাদের
অনিষ্টের কোন
প্রকার আশংকা
নেই। সে আমাদের
ও আমাদের
মিশনের বিরুদ্ধে
টু শব্দটিও করতে
পারে না। এটা
আমাদের সে
সফলতা দুনিয়ায়
যার নজীর
নেই’ (মাসিক
বাইয়েনাত,
করাচী,
শা’বান-১৩৮৬
হিজরী)।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র ও
ব্রিটেন
ঐতিহ্যগত ভাবে
খ্রিষ্টান
মিশনারীদের বড়
পৃষ্ঠপোষক। এই
দু’রাষ্ট্র
ষড়যন্ত্র ও
আগ্রাসন চালিয়ে
পৃথিবীর যে দেশ
দখল করে
সেখানেই
রাষ্ট্রীয়
ছত্রছায়ায়
যাজকগণকে
খ্রিষ্টধর্ম ও
সংস্কৃতি
প্রচারের ব্যাপক
সুযোগ অবারিত
করে দেয়। যুদ্ধ
বিধ্বস্ত ইরাকের
আর্থ-রাজনৈতিক
পুনর্গঠনের
আড়ালে খ্রিষ্টান
ধর্ম বিকাশে
বাইবেল
প্রচারকদের
অগ্রণী ভূমিকা
সেই একই
চরিত্রের
বহিঃপ্রকাশ।
সম্প্রতি
কানাডার বৃহত্তম
সংবাদপত্র
Toronto Star
‘মার্কিন বাইবেল
প্রচারকরা
ইরাকের জন্য
সুবৃহৎ পরিকল্পনা
গ্রহণ করেছ’ এই
শিরোনামে এক
চাঞ্চল্যকর
প্রতিবেদন
প্রকাশ করে। এতে
বলা হয় সাদার্ন
ব্যাপটিষ্ট
কনভেনশনের
প্রেসিডেন্ট মি.
চার্লস স্ট্যানলি
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও
স্বজন হারা
ইরাকী জনগণকে
তাদের
অসহায়ত্বের
সুযোগে রিলিফ
সরবরাহের
পাশাপাশি খ্রিষ্ট-
ধর্মে দীক্ষিত
করার এক মহা
পরিকল্পনায় হাত
দিয়েছেন।
মি. চার্লস
স্ট্যানলি
প্রাক্তন
প্রেসিডেন্ট
জুনিয়র বুশের
ইরাক আক্রমণের
অন্যতম দোসর।
চার্লস স্ট্যানলি
আটলান্টার First
Baptist Church এর
প্রধান পুরোহিত।
বিশ্বের বৃহত্তম
টি ভি চ্যানেল
ক্যাবল নিউজ
নেটওয়ার্ক (CNN)
যা মার্কিন
প্রশাসনের
বশংবদ বলে
কুখ্যাত, সেই
চ্যানেলটির
প্রধান দফতর ও
আটলান্টায়
অবস্থিত।
গীর্জার প্রধান
পুরোহিতের
দায়িত্ব পালন
ছাড়াও চার্লস
স্টানলি ইনটাচ
মিনিস্ট্রি নামে
একটি ধর্ম
প্রচারণা
প্রতিষ্ঠান
পরিচালনা করেন
সেখান থেকে
১৪টি ভাষায়
স্ট্যানলির
ধর্মীয় ভাষণ
বিশ্বব্যাপী
প্রচারিত হয়ে
থাকে। বুশ ইরাক
আক্রমণের পূর্বে
ফেব্রুয়ারী হতে
চার্লস স্টানলি
তাঁর বিশ্বব্যাপী
প্রচারণায় এই
বক্তব্যটি প্রচার
করতে থাকে
“ঈশ্বর মার্কিন
সরকারকে
নির্দেশ
দিয়েছেন ভালকে
সম্প্রসারণ ও
মন্দকে প্রতিহত
করার জন্য।
অতএব এই সরকার
বাইবেল প্রদত্ত
নৈতিক ভিত্তির
উপর দাঁড়িয়ে
মার্কিন জাতিকে
রক্ষা এবং বিশ্বে
যারা দাসত্বে
আবদ্ধ রয়েছে
তাদের মুক্ত
করতে যুদ্ধে
যাচ্ছে।” তাঁর এই
ভাষণ আরবীতে
অনুবাদ করে
উপগ্রহ টিভি ও
রেডিওর মাধ্যমে
সারা আরব জাহান
বিশেষত
মধ্যপ্রাচ্যে
বারংবার প্রচার
করা হয়।
স্ট্যানলির
প্রতিষ্ঠান ছাড়া
মার্কিনী
ডানপন্থী
খ্রিষ্টানদের
আরো বহু
মিশনারী সংগঠন
ইরাকে
খ্রিষ্টধর্ম
প্রচার
কর্মকান্ড
বিস্তার করতে
প্রয়াসী হয়েছে।
(মাঈনুল আলম,
পূর্বকোন, ২৭ মে
২০০৩ পৃ.০৪)
এমনিতে গোটা
ইরাক জুড়ে আগে
থেকে খ্রিষ্টান
জনগোষ্ঠী আছে
প্রায় ১০ লাখ।
মার্কিনীদের
ছত্রছায়ায়
এনজিও ও
মিশিনারীদের
অব্যাহত
প্রয়াসের ফলে
খ্রিষ্টানের
সংখ্যা বাড়তে
থাকবে ক্রমশ
তারাই পাবে
যুদ্ধোত্তর ইরাকে
রাষ্টীয়
পৃষ্ঠপোষকতা ও
অর্থানুকুল্য।
ফলশ্রুতিতে এক
সময় লেবাননের
মতো ইরাকে ও
দেখা দিতে পারে
অস্থিতিশীল
পরিস্থিতি।
এন জি ও এবং
খ্রিষ্টান
মিশনারীগণ ৯০
ভাগ মুসলমানদের
এ দেশে
সাংস্কৃতিক
পরিমন্ডল
পরিবর্তনের মতো
সংঘাতমুখী যে
পরিস্থিতি সৃষ্টি
করতে যাচ্ছে
তাতে নীরব বসে
থাকা যায় না।
একটি স্বাধীন
দেশের জন্য এমন
পরিস্থিতি
সন্দেহাতীতভাবে
ভয়াবহ ও
ধ্বংসাত্মক।
বাংলাদেশের
অর্ধশতাধিক
অনিবন্ধিত এন
জি ও ২০০১ সালে
অবৈধভাবে
বিদেশ থেকে ৫৫
কোটি টাকা
এনেছে এবং
আশ্চর্যের বিষয়
হচ্ছে যে, দেশী-
বিদেশী ব্যাংকের
মাধ্যমে পুরো
অর্থ তারা ছাড়
করে নিয়ে গেছে।
আমরা এন জি ও
দের দেশীয়
সংস্কৃতি ও
আদর্শ বহির্ভূত
সকল কর্মকান্ড
ও ধৃষ্টতাপূর্ণ
দৌরাত্ম নিষিদ্ধ
করার দাবী
জানাই। নব্য ইষ্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানী এন জি
ও এবং
মিশনারীদের
কর্মকান্ড
ঘনিষ্টভাবে
মনিটরিং করা
সময়ের
অপরিহার্য দাবী।
ভয়াবহ
পরিস্থিতির এই
প্রেক্ষাপটে
বাংলাদেশের
মুসলমানদের
দাওয়াতী ও সেবার
ইতিবাচক
মানসিকতা নিয়ে
বাস্তব কর্মসূচী
হাতে নিতে হবে
যাতে খ্রিষ্টান
মিশনারীদের
কবল থেকে
বাংলাদেশের
সার্বভৌমত্ব,
উত্তরাধিকার
ঐতিহ্য ও লালিত
কৃষ্টি রক্ষা করা
যায়।
রাজনীতিবিদ,
বুদ্ধিজীবি,
আলিম সহ
সর্বস্তরের
মুসলমানদের এই
বিষয়ে সুচিন্তিত
কর্মপন্থা
নির্ধারণ করতে
হবে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)